কঠিন ২০২২ পার করলেও নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা যে আশা করেছিলেন, বছরের প্রথম দিনই তা মুখ থুবড়ে পড়েছে।
লেনদেন আবার নেমেছে দুই শ কোটি টাকার নিচে। ঢালাও দরপতনে অর্ধেক কোম্পানির দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা এক শতাংশ নির্ধারণ করার পরেও সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কেবল বেড়েছে ১৯টি কোম্পানির দর। কমেছে ১৪৯টি আর ফ্লোর প্রাইসে হাতবদল হয়েছে ১৬২টি কোম্পানি।
৩৯২টি কোম্পানির মধ্যে নানা কারণে বন্ধ তিনটির লেনদেন। ফলে এদিন ৫৯টি কোম্পানির একটি শেয়ারও হাতবদল হয়নি।
সারা দিনে লেনদেন হয়েছে কেবল ১৭৮ কোটি ৪২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। ২০২২ তো বটেওই, ২০২১ সালেও কোনো দিন এত কম লেনদেন হয়নি। এর চেয়ে কম লেনদেন ছিল প্রায় আড়াই বছর আগে ২০২০ সালের ৭ জুলাই। সেদিন হাতবদল হয় ১৩৮ কোটি ৫৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
২০২০ সালের মার্চে করোনা সংক্রমণের পর ধস নামার পর ওই বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে পুঁজিবাজারে যে উত্থান, তা চালু থাকে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এরপর পুঁজিবাজার সংশোধনে গেলেও বড় মূলধনি কিছু কোম্পানির দর বাড়তে থাকায় সূচকের উত্থান চলে। সেটি চলে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত।
এরপর থেকে আবার সংশোধন কাটিয়ে ২০২২ সালের শুরুতে পুঁজিবাজার আপন গতিতে ফিরতে শুরু করলেও শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব এবং এরপর ফেব্রুয়ারির শেষে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর বাজারে দেখা দেয় ধস।
গোটা বছর যায় এভাবেই। এর মধ্যে ২৮ জুলাই ডিএসইসি সাধারণ সূচক ছয় হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে যাওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লোর প্রাইস দেয়া হয়। এতে সূচকের পতন ঠেকানো গেছে বটে, তবে শেয়ার কেনায় আগ্রহ হারিয়ে বিনিয়োগকারীরা একেবারে সাইডলাইনে বসে।
ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর কিছু শেয়ারের অস্বাভাবিক উত্থানে যদিও অক্টোবরের শুরু পর্যন্তে সূচক আর লেনদেন বাড়ছিল, তবে সেই শেয়ারগুলো দর হারানেরা পর বিপুল পরিমাণ টাকা আটকে যাওয়ার কারণে লেনদেন এখন নামে তলানিতে।
প্রতি দিন কোটি কোটি শেয়ার বিক্রির আদেশ থাকলেও থাকে না ক্রেতা। এর মধ্যে ডিসেম্বরের শেষে ১৬৯টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দিয়ে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয় এক শতাংশ। তবে ১০ টাকার নিচের শেয়ারের দরপতন সম্ভব নয়।
আবার এই কোম্পানিগুলোর বেশ কিছুর দর ছিল ফ্লোর প্রাইসের অনেক উপরে, যেগুলো প্রায় নিয়মিত লেনদেন হচ্ছিল। কোনোদিন দর বাড়ত, কোনোদিন কমত। নতুন নিয়মে দর বাড়তে পারলেও কমার সুযোগ কম। এ কারণে এই কোম্পানিগুলোর লেনদেনও কমে যায়। এর প্রভাবে লেনদেন নেমে আসে দুই শ কোটির নিচে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম আশা করেছিলেন, নতুন বছরে আরও সুনির্দিষ্ট করে জানুয়ারি থেকে ঘুরে দাঁড়াবে পুঁজিবাজার।
তবে প্রথম দিনের ইঙ্গিত একেবারেই ভালো নয়। যে লেনদেন হয়েছে তার মধ্যে ২০টি কোম্পানিতেই হাতবদল হয়েছে সিংহভাগ।
টপ টোয়েন্টিতেই লেনদেন হয়েছে ১১৯ কোটি টাকা। বাকি ৩১০টি কোম্পানি মিলিয়ে হাতবদল হয়েছে কেবল ৫৯ কোটি ৪২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
একটি মাত্র কোম্পানি দিনের দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁতে পেরেছে। সেটি হলো নতুন তালিকাভুক্ত ইসলামিক কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, যেটি গত ১৮ ডিসেম্বর লেনদেন শুরুর পর থেকে প্রতিদিন দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে শেষ করছে লেনদেন। ১০ টাকায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির দর দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৯০ পয়সা। তবে এই দরে শেয়ারের বিক্রেতা নেই বললেই চলে। তারা দিনে লেনদেন হয়েছে কেবল ৬৯৩টি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিটির শেয়ারে যোগ হয়েছে চার শতাংশের কাছাকাছি। বাকি ৯টির দর বেড়েছে এক শতাংশের বেশি। বাকিগুলোর দর বৃদ্ধির হার একেবারেই নগণ্য।
অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি দর হারানো কোম্পানিটি হলো আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, যেটির শেয়ারের দাম কমেছে ৪.৪৮ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর হারানো ই জেনারেশনের দাম কমেছে ৪.২২ শতাংশ।
আরও ছয়টি কোম্পানির দর ৩ শতাংশের বেশি, ১০টির দর ২ শতাংশের বেশি এবং ১২টির দর কমেছে এক শতাংশের বেশি।
পুঁজিবাজারের লেনদেনের বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজকে ট্রানজেকশন অনেক কম হলো। কারণ, বাজার সাপোর্ট পাচ্ছে না। ট্রানজেকশন তো পুরো বাজারের না, ৫০ থেকে ৬০টি কোম্পানিতে হচ্ছে, যার কারণে কমেছে।’
কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেউ ইনভেস্ট করতে চাচ্ছে না। অপেক্ষা করছে যে, ফ্লোর প্রাইস তুলে দিলে বাজার কোনদিকে যায়, সেটাই দেখার জন্য অপেক্ষায় আছে।’
ব্যাংকে হঠাৎ ঝলক
লেনদেন তলানিতে, এর মধ্যে বছরের প্রথম দিন সূচকে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট যোগ করা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্যাংক খাতের প্রধান্য দেখা গেছে। তবে দাম এমন আহামরি বাড়েনি, সূচকে প্রভাবও খুব বেশি নয়।
২০২২ সালে অর্থনীতিতে টানের মধ্যেও ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফার যে তথ্য প্রকাশ পেয়েছে, তাতে দেখা যায় বেশিরভাগ ব্যাংকেরই মুনাফা বেড়েছে।
এরপর এই খাতের কিছু কোম্পানির শেয়ারের দর সামান্য বেড়েছে। আর ০.৯১ শতাংশ দর বাড়ার কারণে সূচকে ১.২৬ পয়েন্ট যোগ করেছে ইসলামী ব্যাংক।
আর কোনো কোম্পানিই সূচকে এক পয়েন্ট যোগ করতে পারেনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ০.৪৪ পয়েন্ট যোগ করেছে প্রাইম ব্যাংক। কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ০.৫২ শতাংশ। পূবালী ব্যাংকের দর ০.৭৬ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ০.৪ পয়েন্ট। এমটিবির দর বেড়েছে ০.৬০ শতাংশ, আর সূচকে যোগ হয়েছে ০.৩৫ পয়েন্ট, ওয়ান ব্যাংক যোগ করেছে।
নতুন তালিকাভুক্ত ইসলামিক কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির দর ৯.৯৬ শতাংশ বাড়ার কারণে ০.২৮ পয়েন্ট, বার্জার পেইন্টসের দর ০.১৫ শতাংশ বাড়ার কারণে ০.২৪ পয়েন্ট, ওরিয়ন ইনফিউশনের দর ০.৬৪ শতাংশ বাড়ার কারণে ০.১৪ পয়েন্ট, এবং মুন্নু সিরামিকদের দর ১.২২ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচকে পয়েন্ট যোগ হয়েছে ১১ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে এই কোম্পানিগুলো যোগ করেছে ৩.২২ পয়েন্ট।
অন্যদিকে সূচক সবচেয়ে বেশি ১.৪৬ পয়েন্ট কমিয়েছে বেক্সিমকো সুকুক বন্ড। এর দর কমেছে ২.৮১ শতাংশ। এছাড়া অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ১.০৯ পয়েন্ট, বিকন ফার্মা ০.৯ পয়েন্ট, ওরিয়ন ফার্মা ০.৮২ পয়েন্ট, বসুন্ধরা পেপার মিলস ০.৭১ পয়েন্ট, সিপার্ল হোটেল ০.৬৪ পয়েন্ট, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ও ইউনিক হোটেল ০.৬৩ পয়েন্ট করে, কোহিনূর কেমিক্যালস ০.৬১ পয়েন্ট এবং নাভানা ফার্মা ০.৫৭ পয়েন্ট সূচক ফেলেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক ফেলেছে ৮.০৬ পয়েন্ট।
এদিন লেনদেনের শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। মোট লেনদেনের ২৩ শতাংশ বা ৩৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা হাতবদল হয়েছে এই খাতে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা তথ্য প্রযুক্তি খাতে হাতবদল হয়েছে মোট লেনদেনের প্রায় ১৩ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে থাকা প্রকৌশল খাতের হিস্যা ১১ দশমিক ৪০ শতাংশ।
পরের অবস্থানগুলো ছিল যথাক্রমে কাগজ ও প্রকাশনা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, জীবন বিমা, সিরামিকস, বিবিধ, খাদ্য ও আনষঙ্গিক, সেবা ও আবাসন এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাত।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য