একটি কঠিন বছর শেষ করল পুঁজিবাজার। শুরুটা হয়েছিল কিছুটা আশা দেখিয়ে, তবে শেষটা হলো চরম হতাশায়।
২০২২ সাল শেষ হতে আর দুটি দিন বাকি, তার দুটিতেই সাপ্তাহিক ছুটি। পরের কর্মদিবস রোববার হবে নতুন বছরের প্রথম দিন।
২০২২ সালের শুরুতেও পুঁজিবাজার নিয়ে উচ্ছ্বাস ছিল না। ২০২১ সালের অক্টোবর থেকেই বাজার ছিল সংশোধনে। তবে সেটি শেষ করে ২০২২ সালের শুরুতে সূচক কিছুটা বাড়তে শুরু করে। কিন্তু এর মধ্যে ঘটে দুটি ঘটনা।
প্রথমত, শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব এবং ২৪ এপ্রিল ইউক্রেনে রুশ হামলার পর বিশ্বের প্রধান শক্তিগুলোর এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পর পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থা।
দুই ঘটনায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের পুঁজিবাজারেও দেখা যায় অস্থিরতা। বছর শেষেও কাটেনি সেটি। হতাশ, ক্লান্ত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশা ফিরবে- এমন কোনো দূরতম ইঙ্গিতও নেই।
অথচ বছরটি হতে পারত আলো ঝলমলে। পুঁজিবাজারে প্রথমবারের মতো লেনদেন শুরু করেছে ইসলামি সুকুক বন্ড। ৩ লাখ ১৬ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা বাজার মূলধন নিয়ে শুরু করেছে ২৫০টি সরকারি সিকিউরিটিজও।
পুঁজিবাজার নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে দীর্ঘ মতভিন্নতাও দূর হয়েছে এ বছর। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রক্ষণশীল নীতি পরিবর্তনের বিষয়টি আর আভাসে সীমাবদ্ধ নেই। তারা ব্যাংকগুলোকে আরও বেশি বিনিয়োগের সুযোগ দিয়ে নানা নির্দেশও দিয়েছে।
বিনিয়াগকারীদের এক যুগের দাবি মেনে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজার লিমিটের গণনা শেয়ারের ক্রয়মূল্যে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কিন্তু এসবের কিছুই বিনিয়োগকারীদের হতাশা ঠেকাতে পারেনি। বৈশ্বিক আর দেশের অর্থনীতি নিয়ে নেতিবাচক প্রচারেই উৎকণ্ঠিত তারা। হাত গুটিয়ে বড় বিনিয়োগকারীরাও। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ না বাড়ার বিষয়টি নিয়ে হতাশা জানিয়েছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম।
এ বছর যে মোটেও ভালো যায়নি, সে কথা স্বীকার করেছেন আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘এ বছর পুঁজিবাজার থেকে বিনিয়োগকারীরা লাভের মুখ দেখেননি। বরং গত বছর যে লাভ হয়েছিল, এ বছর সেটা হারিয়ে ফেলেছেন। আমরা পুঁজিবাজারে এমন জোয়ার-ভাটার খেলা দেখতে চাই না।’
ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার আশা করছেন নতুন বছর নতুন আশা নিয়ে আসবে। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০২৩ সালের শুরুতেই সংকট কিছুটা কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে। আগামী বছরের শুরুতেই ডিএসই’র অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড চালু হবে, মোবাইল অ্যাপসের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি, বন্ড মার্কেটের জন্য স্বতন্ত্র অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রতিষ্ঠাসহ বাজারের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বাড়াতে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।’
সূচক লেনদেনের কী চিত্র
২০২২ সালের প্রথম কর্মদিবস ২ জানুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সাধারণ সূচক ডিএসইএক্সের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ৮৫৩ পয়েন্ট। সেদিন লেনদেন ছিল ৮৯৪ কোটি ১৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।
বছরের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার সূচকের অবস্থান ৬ হাজার ২০৬ পয়েন্ট। এক বছরে পড়েছে ৬৪৭ পয়েন্ট বা ৯.৪৪ শতাংশ।
শেষ দিন লেনদেন ছিল ৩৪৫ কোটি ৭১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। অর্থাৎ বছরের প্রথম দিন যে লেনদেন, শেষ দিন তার অর্ধেকেরও কম।
সূচক আর লেনদেনে এই পার্থক্যে কেবল বোঝা যাবে না বছরটি কতটা খারাপ গেছে বিনিয়োগকারীদের জন্য। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে শেয়ারের লেনদেন হচ্ছে না বললেই চলে। ৩৯২টি কোম্পানির মধ্যে তিন শতাধিক কোম্পানির শেয়ারের হাতবদল নেই বললেই চলে।
অথচ বছরের শুরুতে ইঙ্গিত ছিল ভিন্ন। শুরুতে এরপর ১৪ কর্মদিবসের মধ্যে ১১ দিন সূচক বেড়ে ২০ জানুয়ারি সূচক দাঁড়ায় ৭ হাজার ১০৫ পয়েন্টে। লেনদেন দাঁড়ায় এক হাজার ৬০১ কোটি ২০ লাখ ২৬ হাজার টাকা।
আগের বছরের শেষ প্রান্তিকের হতাশা ভুলে তৈরি হওয়া আশার বেলুন ফুটো হতে থাকে এরপর থেকেই। শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির প্রভাব পড়ে দেশের পুঁজিবাজারে।
এর মধ্যে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলা, রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি নানা ঘটনার প্রভাব পড়ে পুঁজিবাজারে।
টাকা পতন হয় ২৮ জুলাই পর্যন্ত। সেদিন সূচক নামে ছয় হাজার পয়েন্টের নিচে। সেদিন দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লোর প্রাইস আরোপের সিদ্ধান্ত হয়, যা কার্যকর হয় পরদিন থেকে।
এরপর দুই মাসের বেশি উত্থান দেখে বিনিয়োগকারীরা। সূচক বেড়ে ছাড়িয়ে যায় ৬ হাজার ৬০০ পয়েন্ট। লেনদেন বেড়ে ২০ সেপ্টেম্বর দাঁড়ায় ২ হাজার ২৮২ কোটি ৩০ লাখ ৭৪ হাজার টাকায়।
গত ৯ কর্মদিবস মিলিয়ে সেদিনের সমান লেনদেন হয়নি। শেষ ৯ কর্মদিবসে হাতবদল হয়েছে ২ হাজার ৭৫৩ কোটি ৫৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকার শেয়ার।
প্রতিদিন কোটি কোটি লাখ লাখ শেয়ারের ক্রয়াদেশ বসানো থাকে, কিন্তু কেনার মানুষ থাকে না।
এই বছরে ২৪৪ কার্যদিবসে লেনদেনের পরিমাণ মোট ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। যার গড় লেনদেন ৯৬০ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আগের বছর ২০২১ সালে গড় লেনদেন ছিল ১ হাজার ৪৭৫ কোটি ২০ লাখ টাকা।
২০২২ সালে ডিএসইর ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মে ৩ লাখ ১৪ হাজার ১৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা বাজার মূলধন নিয়ে ২৫০টি সরকারি সিকিউরিটিজ তালিকাভুক্তির মাধ্যমে চলতি বছরের ১০ অক্টোবর বাজার মূলধনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ লাখ ৭২ হাজার ৫১৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
বছরশেষে বাজার মূলধনের দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬০ হাজার ৯৩৬ কোটি ৮০ লাখ টাকায়। অর্থাৎ দুই মাসে বাজার মূলধন কমেছে ১১ হাজার ৫৭৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
২০২২ সালে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হয় ১৪ হাজার ২৫৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। যা মোট লেনদেনের ৬ শতাংশ। অন্যদিকে ২০২১ সালে ব্লক মার্কেটে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৫১ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের প্রায় ৪ শতাংশ।
মন্দা বাজারেও উত্তোলন হাজার কোটির বেশি
পুঁজিবাজারের মন্দার মধ্যেও ২০২২ সালে ৬টি কোম্পানি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওতে বাজার থেকে তুলেছে ৭১৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
এছাড়াও একটি পারপিচুয়াল বন্ড এবং একটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড আইপিওর মাধ্যমে ৭৫ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করে। এক পারপিচ্যুয়াল বন্ড প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে তোলে আরও ৪০০ কোটি টাকা।
আগের বছর ১৯টি কোম্পানি আইপিওর মাধ্যমে তুলেছিল ১ হাজার ৮৫৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এছাড়া একটি একটি সুকুক বন্ড তিন হাজার কোটি টাকা এবং চারটি পারপিচ্যুয়াল বন্ড তোলে ২০০ কোটি টাকা।
২০২২ সাল ১টি কোম্পানি ১ কোটি ৯ লাখ রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মোট ১১ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করে। আগের বছর ২টি কোম্পানি তুলেছিল ৭৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
তবু আশা
পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, খারাপ সময় পেরিয়ে যেমন ভালো সময় আসে, তেমনি কঠিন ২০২২ শেষে আসবে আলো ঝলমলে ২০২৩।
ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ বছরের শেষটা একেবারেই ভালো যায়নি, এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। পুঁজিবাজার বৈশ্বিক রাজনীতি ও সাপ্লাই চেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত। যদি সবকিছু ইতিবাচক হয়ে আসে তাহলে তাই আমরা আশাবাদী আগামী বছর একটা ভালো সময় কাটাতে পারব।’
আশায় বুক বেঁধেছেন ডিএসই শেয়ারহোল্ডার পরিচালক শাকিল রিজভীও। তিনি বলেন, ‘এ বছর সারা বিশ্বই ছিল অর্থনৈতিকভাবে খারাপ অবস্থার মধ্যে। আগামী বছর যদি বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভালো হয় তাহলে দেশের পুঁজিবাজারের চিত্রও বদলাবে। যেহেতু পুঁজিবাজার দেশের ও বৈশ্বিক পরিস্থিতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাই আশা করছি, আগামী বছর সবকিছু ঠিক থাকলে পুঁজিবাজারও ঘুরে দাঁড়াবে।’
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য