১৬৯টি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়ার এক সপ্তাহ পর পুঁজিবাজারে প্রথমবারের মতো লেনদেন তিন শ কোটি টাকার ঘর ছাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে টানা দুই দিন বেড়েছে সূচক।
এই সিদ্ধান্ত আসার পর প্রথম চারটি কর্মদিবসে এক দিন দুই শ কোটি টাকার নিচে এবং তিন দিন দুই শ কোটির ঘরে লেনদেন হয়েছে। এতে ফ্লোর আংশিক তোলার সিদ্ধান্ত পুঁজিবাজারের জন্য ‘বুমেরাং’ হয়েছে কি না, শুরু হয় আলোচনা।
তবে বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন প্রথমবারের মতো ছাড়াল তিন শ কোটি টাকার ঘর। আগের দিন ১৫ পয়েন্টের পর এদিন সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
অবশ্য সূচক বাড়লেও দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির তুলনায় দর হারিয়েছে, এমন কোম্পানির সংখ্যা বেশি। ৬০টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১০৭টির। ১৮৭টি কোম্পানি আগের দিনের দরে লেনদেন হয়েছে।
৩টি কোম্পানির লেনদেন রেকর্ড ডেটের কারণে বন্ধ রয়েছে। বাকি ৩৫টি কোম্পানির একটি শেয়ারও হাতবদল হয়নি।
ডিএসইতে এদিন হাতবদল হয় ৩৪৫ কোটি ৭১ লাখ ৪৬ হাজার টাকার শেয়ার, যা আগের দিনের চেয়ে ৮৭ কোটি ৪৮ লাখ ৬৭ হাজার টাকা বেশি। বুধবার লেনদেন ছিল ২৫৮ কোটি ২২ লাখ ৭৯ হাজার।
আজকের চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল সাত কর্মদিবস আগে ১৯ ডিসেম্বর। ওই দিন হাতবদল হয় ৪৫৬ কোটি ৯৬ লাখ ৭৯ হাজার কোটি টাকা।
ফ্লোর ওঠা কোম্পানির লেনদেন কেমন
গত ৩১ জুলাই দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর মাস তিনেক পুঁজিবাজারে চাঙাভাব থাকলেও অক্টোবরের শেষ থেকে আবার দেখা দেয় মন্দাভাব। ফ্লোর প্রাইসে নেমে আসা তিন শতাধিক কোম্পানির শেয়ার দর আর কমতে পারবে না, এই অবস্থানে আসার পর সেই দরে শেয়ার কিনতে আগ্রহী ছিল না বিনিয়োগকারীরা।
এই অবস্থায় ২২ ডিসেম্বর থেকে ১৬৯টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়ে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা এক শতাংশ করে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
তবে এসব কোম্পানি বাছাইপ্রক্রিয়ায় যে গলদ ছিল, তা বোঝা যায় এর পরেই। প্রথমত এমন একটি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তোলা হয়েছে, যেটির লেনদেন স্থগিত।
আবার বেশ কিছু কোম্পানির দর ফ্লোরের চেয়ে অনেক বেশি। কোনোদিন এর দর বাড়তি ৫ থেকে ৮ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি। কোনো দিন কমত এ রকম। কিন্তু এখন সেসব কোম্পানির দর কমতে পারছে না। ফলে ক্রেতাও পাওয়া যাচ্ছে না।
বিএসইসির আশা ছিল, ফ্লোর প্রাইস ওঠার পর এসব কোম্পানির লেনদেন বাড়বে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তা কমিয়ে দেয় আরও।
বৃহস্পতিবার সে চিত্র কিছুটা পাল্টেছে। আগের দিনের তুলনায় ডিএসইতে শেয়ার লেনদেন বেড়েছে ১ কোটি ১১ লাখ ৪৮৬টি। আজ ডিএসইর মোট ভলিউম দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮৩ হাজার ৯২৬টি, যা গতকাল ছিল ৩ কোটি ৪২ লাখ ৮৩ হাজার ৪৪০টি।
ক্রেতা না থাকা কোম্পানিগুলোর ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া বেশ কিছু কোম্পানির প্রায় ১ শতাংশ দর কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ।
শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ কমে ৪৭ টাকা ৬০ পয়সায় সুন্দরবন ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০টি। এর বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছিল আগে ১০ নভেম্বর, ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৪৭টি।
এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের ৬৩ হাজার ৯০৬টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা ১৪ ডিসেম্বরের থেকে এই আজ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এর চেয়ে বেশি ১ লাখ ৪২ হাজার ৪০২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছিল সেদিন।
দুই দিনে আগের চেয়ে আড়াই লাখের বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে মুন্নু সিরামিকসের। হাতবদল হয় ৮ লাখ ৪১ হাজার ৯৯০টি শেয়ার, যার বাজারমূল্য ১০ কোটি ৪০ লাখ ১০ হাজার টাকা।
শূন্য দশমিক ৭১ শতাংশ দর কমে কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬৩টি। এর চেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ১৭ নভেম্বর ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩৩৯টি।
আজিজ পাইপসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩ হাজার ৩৮৮টি, যার বাজার দর ২২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।
মুন্নু অ্যাগ্রোর শেয়ার বেচাকেনা হয়েছে ৫১ হাজার ৯০৯টি, যার আর্থিক মূল্যমান ৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৪০টি। শূন্য দশমিক ৯৮ শতাংশ দর কমে স্টাইল ক্রাফটের ১১ হাজার ৩৪০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ কমে শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪১টি।
এ ছাড়া বিডি অটোকারস, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, রূপালী ইন্স্যুরেন্স, হা-ওয়েল টেক্সটাইল, বিডি থাইসহ আরও বেশি কিছু কোম্পানির শেয়ার লেনদেন আগের চেয়ে বেড়েছে।
প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজের সাবেক সিইও সাইফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কয়েকদিন পতনের পরে আজকে কিছুটা বাই ছিল, যার কারণে সূচক ও ট্রানজেকশন বেড়েছে।’
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ দর বেড়ে ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৮ টাকা ১০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ২৫ টাকা ৬০ পয়সা।
৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ দর বেড়ে আমরা নেটওয়ার্কসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫১ টাকা ৪০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ৪৬ টাকা ৯০ পয়সা।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল ওরিয়ন ইনফিউশন। ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ৫২৭ টাকা ৪০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ৪৮৫ টাকা।
এ ছাড়া তালিকায় ছিল কোহিনূর কেমিক্যাল, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, নাভানা ফার্মা, অগ্নি সিস্টেমস, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, অ্যারামিট লিমিটেড ও চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
দরপতনের শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ দর কমেছে মুন্নু সিরামিকসের। প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২২ টাকা ৭০ পয়সায়।
১ শতাংশ দর কমে নর্দার্ন ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৯ টাকা ৬০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ৪০ টাকা।
সিএমপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড-১ এর দর ১ শতাংশ কমে প্রতি ইউনিট লেনদেন হয়েছে ৯ টাকা ৯০ পয়সায়। আগের দিন ছিল ১০ টাকা।
এ ছাড়া তালিকায় পরের স্থানে ছিল ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, রেনউইক যজ্ঞেশর, রহিম টেক্সটাইল, লিবরা ইনফিউশন, প্রাইম টেক্সটাইল, বিচ হ্যাচারি ও সাভার রিফ্যাক্টরিজ।
সূচকে প্রভাব যাদের
সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ৫২ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক। এদিন বন্ডের ইউনিট প্রতি দর বেড়েছে ৪ দশমিক ০৯ শতাংশ।
কোহিনূর কেমিক্যালের দর ৮ দশমিক ২১ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৪০ পয়েন্ট।
ওরিয়ন ইনফিউশন সূচকে যোগ করেছে ১ দশমিক ২৫ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে বার্জার পেইন্টস, নাভানা ফার্মা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, জেনেক্স ইনফোসিস, ইউনিক হোটেল, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং ও আমরা নেটওয়ার্কস।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৭ দশমিক ৯২ পয়েন্ট।
বিপরীতে কোনো কোম্পানিই ১ পয়েন্ট সূচক কমাতে পারেনি। সূচক কমিয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা, মুন্নু সিরামিকস, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, রহিম টেক্সটাইল, প্যাসিফিক ডেনিমস, রেনউইক যজ্ঞেশর, সায়হাম টেক্সটাইল, মুন্নু অ্যাগ্রো, ডমিনেজ স্টিল ও ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে শূন্য দশমিক ৫৩ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মন্তব্য