বিশ্বজুড়েই চলছে অর্থনৈতিক সংকট। প্রায় সবদেশই মূল্যস্ফীতির ধাক্কায় নাকাল। তবে সংকটের মধ্যেও আশার কথা হচ্ছে, উন্নত দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে আগের চেয়ে বেশি পোশাক আমদানি করছে। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ইউরোপের বাজারে দ্বিতীয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৃতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের অফিশিয়াল সোর্স অফিস অব টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা) ও ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানি করেছে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
ইউরোস্ট্যাটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৪৩ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়ে ১৭ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২২ দশমিক ৫৬ শতাংশ হিস্যা নিয়ে ইউরোপে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ দ্বিতীয়। আর চীন ২৯ দশমিক ৪ শতাংশ হিস্যা নিয়ে এ অঞ্চলে শীর্ষে রয়েছে।
ইইউ ২০২২ সালের প্রথম ৯ মাসে চীন থেকে ২২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে, যেখানে বছর-ওয়ারি প্রবৃদ্ধি ২৫ দশমিক ১৯ শতাংশ।
এ সময় তুরস্ক থেকে ইইউ ৯ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। দেশটির বছর-ওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। তুরস্ক ইইউর তৃতীয় বৃহত্তম পোশাকের বাজার। এ ছাড়া ভারত থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি বেড়েছে ১৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ ১০ পোশাক সরবরাহকারীর মধ্যে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
উচ্চ প্রবৃদ্ধিসহ অন্য দেশগুলো হলো কম্বোডিয়া ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ৩৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং পাকিস্তান ৩০ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
অটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে ৭ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। এই সময়ে বাংলাদেশ থেকে তাদের পোশাক আমদানি ৫০ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেড়েছে।
দুই বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল নিউজবাংলাকে বলেন, হতাশাব্যঞ্জক বিশ্ব অর্থনীতি এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির প্রেক্ষাপটের মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ তার প্রধান তিন প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের চেয়ে বেশি হারে পোশাক রপ্তানি করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানি ৪৩ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়ে ১৭ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যেখানে বিশ্ব থেকে তাদের আমদানি ২৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়েছে। এটি অবশ্যই আশাব্যঞ্জক। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এ কারণে ব্র্যান্ডগুলোর বিক্রয়কেন্দ্রে পোশাকের বিক্রি কিছুটা কমেছে।
আর অটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে বিশ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি ৩৪ দশমিক ৬১ শতাংশ বেড়েছে। ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ হিস্যা নিয়ে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য পোশাক আমদানির তৃতীয় বৃহত্তম উৎস হিসেবে অবস্থান ধরে রেখেছে।
চীন ২২ দশমিক ৪৮ শতাংশ হিস্যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সর্ববৃহৎ পোশাক সরবরাহকারী। এরপর ১৮ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম। ২০২২ সালের প্রথম ১০ মাসে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি ২৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় দেশটি থেকে ১৭ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারে পণ্য আমদানি করা হয়েছে।
একই সময়ে ভিয়েতনাম থেকে আমদানি ১৪ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, বছর-ওয়ারি ৩৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে ৭ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫০ দশমিক ৯৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্য শীর্ষ পোশাক সরবরাহকারীদের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। উচ্চ প্রবৃদ্ধিসহ অন্য শীর্ষ দেশগুলো হলো ইন্দোনেশিয়া ৫৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ, ভারত ৫৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ, কম্বোডিয়া ৪৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ, পাকিস্তান ৪০ দশমিক ১১ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়া ৩৯ দশমিক ৬১ শতাংশ।
আরও পড়ুন:দেশের পোল্ট্রি খাতে হরিলুটের অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। সংগঠনটির দাবি, এই খাতের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো গত ৫২ দিনে মুরগি ও বাচ্চার দাম বাড়িয়ে ৯৩৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
বিপিএর সভাপতি সুমন হাওলাদারের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন দাবি করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দেশে প্রতিদিন ব্রয়লার মুরগির চাহিদা ৩ হাজার ৫০০ টন। প্রান্তিক খামারিদের ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ এখন কেজিপ্রতি ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। আর করপোরেট প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যয় ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। তবে পাইকারি পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২৩০ টাকা পর্যন্ত এসব মুরগি বিক্রি হয়েছে। তাতে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো কেজিপ্রতি অন্তত ৬০ টাকা বেশি মুনাফা করেছে।’
বিপিএর বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘করপোরেট প্রতিষ্ঠানের (তাদের চুক্তিভিত্তিক ফার্মসহ) মাধ্যমে প্রতিদিন দুই হাজার টন মুরগি বাজারে আসে। সেই হিসাবে প্রতিদিন তাদের অতিরিক্ত মুনাফা হয় ১২ কোটি টাকা। এভাবে গত ৩১ জানুয়ারি থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত ৫২ দিনে ৬২৪ কোটি টাকা মুরগি বিক্রির মাধ্যমে লাভ করেছে কোম্পানিগুলো। আর এক দিনের মুরগির বাচ্চা বিক্রি করে তাদের মুনাফা ৩১২ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে মুরগি ও বাচ্চার দাম বাড়িয়ে ৯৩৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।’
সংগঠনটির দাবি, ‘দেশে প্রতিদিন মুরগির বাচ্চা উৎপাদন হয় ২০ লাখ। এসব বাচ্চা কোম্পানিগুলো উৎপাদন করে। একেকটি মুরগির বাচ্চা উৎপাদনে খরচ হয় ২৮ থেকে ৩০ টাকা, যা চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ছিল ১০ থেকে ১৫ টাকা। প্রতিটি এখন ৬২ থেকে ৬৮ টাকায় দেয়ার কথা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। প্রতিটি বাচ্চায় ৩০ টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করছে কোম্পানিগুলো।’
বিপিএ বলেছে, ‘ব্রয়লার মুরগির অস্বাভাবিক দামের কারণ প্রান্তিক খামারিরা ক্ষতি পোষাতে না পেরে খামার বন্ধ করে উৎপাদন থেকে ছিটকে পড়েছেন। এ সুযোগে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো পোলট্রির ফিড বা খাবার ও মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রান্তিক খামারি উৎপাদনে গেলে তখন বাজারে দাম কমিয়ে দিয়ে ক্ষতিতে ফেলছে।’
সংগঠনটি আরও বলেছে, ‘পোলট্রি ফিড ও মুরগির বাচ্চা শতভাগ উৎপাদন করে করপোরেট প্রতিষ্ঠান। তারাই আবার আংশিক ডিম ও মুরগি উৎপাদন করে। চুক্তিভিত্তিক খামারও রয়েছে তাদের। এতে করে বাজার তাদের দখলে চলে যাচ্ছে। এটা বন্ধ করা না গেলে এই খাতের অস্থিরতা কমানো সম্ভব নয়।’
আরও পড়ুন:পোলট্রি খাতের শীর্ষস্থানীয় চার প্রতিষ্ঠান খামার পর্যায়ে ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর খুচরা বাজারে এর দাম কমতে শুরু করেছে।
রমজানের প্রথম দিন শুক্রবার রাজধানীর শ্যামবাজার, সূত্রাপুর বাজার, ধুপখোলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে ব্রয়লার মুরগি ২৫০-২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২৬০-২৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
অযৌক্তিক দামে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করায় বৃহস্পতিবার এ খাতে দেশের চার প্রধান প্রতিষ্ঠান কাজী ফার্মস, প্যারাগন পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, আফতাব বহুমুখী ফার্মস ও সিপি বাংলাদেশকে তলব করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এরপর কোম্পানিগুলো খামার পর্যায়ে নির্ধারিত এ দামে মুরগি বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেয়।
এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংসের দাম। বাজারে হাড়সহ গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি, হাড়ছাড়া ১ হাজার টাকা কেজি, খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি, বকরি ১ হাজার টাকা কেজি।
এছাড়া বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের মতোই প্রকারভেদে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি, বুটের বেসন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, খেসারি ডালের বেসন ১০০ টাকা যা গত সপ্তাহেও একই দাম ছিল। মোটা মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা আর চিকন মসুর ডাল ১৪৫ টাকায় অপরিবর্তিত দরে বিক্রি হচ্ছে। চিনির মূল্য গত সপ্তাহের সমান ১২০ টাকা কেজি, মুড়ি ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, লেবু প্রকারভেদে ৪০-৬০-৮০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।
শ্যামবাজারের রাতুল এন্টারপ্রাইজের শফিকুল মোড়ল বলেন, ‘এখন এমন সময় আইছে যে রমজানেও মানুষের আনাগোনা কম দেখা যাচ্ছে। অথচ রমজান মাস আইলে মানুষের ভীড় লাইগ্যা থাকত। আর এখন হাতেগোনা মানুষ বাজারে আসতাছে। যেই হারে দাম বাড়ছে, মানুষও কী কইরা কিনবো? দাম কমলেই ভালা, আমরার বেচে বিক্রি বেশি হয়।’
মাছের দর কমেছে কিছুটা
রুই মাছ গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে। বাজারে প্রকারভেদে রুই ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঙাশ ২৫০ টাকা থেকে ৫০ টাকা কমে ২০০ টাকায়, ইলিশ ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাহিদা বেড়েছে তরমুজ বেলের
ইফতারিতে শরবত বানাতে তরমুজ ও বেলের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। বাজারে ৪০ টাকা কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। আর প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১৪০ টাকা হালি বেল বিক্রি হচ্ছে।
তরমুজ কিনতে আসা রিফাত হাসান বলেন, ‘তরমুজ কেজি ও পিস উভয় ভাবেই কিনতে পারছি। কেজি হিসেবে কিনলে ৪০ টাকা আর পিস হিসেবে কিনলে দেখা যাচ্ছে প্রকারভেদে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দিয়ে কেনা যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন:পবিত্র রমজান মাসে কোনো দোকানদার ক্রেতার কাছে সরকার নির্ধারিত বাজারমূল্যের বেশি নিলে এবং তা প্রমাণ হলে সংশ্লিষ্ট দোকান বন্ধ করে দেয়া হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মহাখালী কাঁচাবাজার পরিদর্শন এবং মূল্য তালিকা প্রদর্শনের ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড উদ্বোধনকালে তিনি এমন হুঁশিয়ারি দেন।
মূল্য তালিকা প্রদর্শনের ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড উদ্বোধনের আগে মেয়র ঢুকে পড়েন মহাখালী কাঁচাবাজারে। প্রথমে দুটি মুদি পণ্যের দোকানে এবং পরে একটি চালের দোকানে যান। সেখানে মূল্য তালিকা অনুযায়ী দোকানে পণ্যের দরদাম পরীক্ষা করেন। এ সময় তিনি দোকানদারদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'ডিসপ্লেতে প্রদর্শিত নির্ধারিত মূল্য তালিকার চেয়ে বেশি দাম নিলে দোকান বন্ধ করে দেব। কেউ ছাড় পাবেন না।'
ডিসপ্লে বোর্ড উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র বলেন, ‘অন্যান্য দেশে রমজান বা অন্য কোনো উৎসব এলে ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের জন্য ছাড় দেন। আর আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করেন। এটা খুবই লজ্জাজনক।
‘আমরা কাউন্সিলরকে আহ্বায়ক করে বাজার মনিটরিং কমিটি করে দিয়েছি। এছাড়া আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, কাউন্সিলররা মাঠে থাকবেন। কেউ বেশিমূল্য নিচ্ছে কি না তা জানতে আমরা মনিটরিং করব পুরো রমজান মাস।’
তিনি জানান, প্রতিদিন বিকেল ৩টায় পণ্যের দাম জানিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ডিএনসিসির মনিটরিং টিমের কাছে বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হবে। সেই মূল্য পাওয়ার পর তা ডিজিটাল বোর্ডের মাধ্যমে সবার কাছে তুলে ধরা হবে।’
মহাখালী কাঁচাবাজারে ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আ. ন. ম তরিকুল ইসলাম, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল বাকী, বাজার মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক ও ৩২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলামসহ অন্যান্য কাউন্সিলর এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:খামার পর্যায়ে দাম ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা ব্রয়লার মুরগি বিক্রির আশ্বাস দিয়েছে এ খাতে দেশের চার প্রধান প্রতিষ্ঠান কাজী ফার্মস, প্যারাগন পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, আফতাব বহুমুখী ফার্মস ও সিপি বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার অযৌক্তিক দামে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করায় চার কোম্পানিকে তলব করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এরপর কোম্পানিগুলো খামার পর্যায়ে নির্ধারিত এ দামে মুরগি বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেন।
শুক্রবার থেকে এ চারটি কোম্পানি নতুন দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করবে করলে ভোক্ত পর্যায়ে এর দাম কমবে বলে আশা করছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, রোজায় বাজারে ব্রয়লার মুরগির দামে ৩০-৪০ টাকার একটা প্রভাব পড়বে। আশা করছি, ভোক্তা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগির দাম কমবে ৩০-৪০ টাকা।
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘কাজী ফার্ম, সিপি, প্যারাগন ও আফতাব ফার্মের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। কোম্পানিগুলো আজ পর্যন্ত প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা করে মিলগেটে বিক্রি করেছে। তারা আজ বৈঠকে আমাদের জানিয়েছেন, আগামীকাল থেকে ১৯০-১৯৫ টাকায় বিক্রি করবে। আশা করছি, ভোক্তা পর্যায়ে এখন দাম ৩০-৪০ টাকা কমবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের আহ্বান করেছি, আপনারা এই রমজান মাসে একটু কম লাভ করেন। তারা একমত হয়েছেন। ফার্ম থেকে ব্রয়লার আসছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা রেটে। সে ক্ষেত্রে তো খোলাবাজারে ২৫০ টাকা হবেই।’
ব্রয়লারের দাম কমাতে প্রয়োজনে বর্ডার উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলেও জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
আরও পড়ুন:‘ঈদ ফেস্টিভ্যাল’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন চালু করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ।
মাসব্যাপী ক্যাম্পেইনটি ২৩ মার্চ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে, যেখানে থাকছে মেগা ডিল, হট ডিল, ফায়ারওয়ার্ক ভাউচার, দারাজ ক্লাব-কয়েন বুস্ট, শেইক শেইক, মিস্ট্রি বক্সসহ আকর্ষণীয় অফার। এ ছাড়াও ক্যাম্পেইন চলাকালীন গ্রাহকরা তাদের কেনা পণ্য রিভিউ করে জিতে নিতে পারবেন আকর্ষণীয় গিফট।
ডায়মন্ড স্পন্সর হিসেবে ক্যাম্পেইনে বাটা, হ্যায়ার, ইনফিনিক্স, লোটো, স্টুডিও এক্স, রিয়েলমি, ডেটল এবং লাইফবয়ের মতো ব্র্যান্ড পার্টনারদের সঙ্গে আরও যুক্ত হয়েছে গোল্ড স্পন্সর ফ্যাব্রিলাইফ, ফার্নিকোম, গোদরেজ, ম্যানফেয়ার, ম্যারিকো, মোশন ভিউ, মটোরোলা, নেসক্যাফে, সিঙ্গার, ডাভ এবং সিলভার স্পন্সর বাজাজ ইলেকট্রিকালস, লগিটেক, লুই উইল, বিয়ার্ডো, স্কিন পিওর, ভিট, রিবানা, স্কেমেই, স্টোন রোজ, স্বপন্স ওয়ার্ল্ড, টিপি-লিংক, রিন এবং অরাইমোর মতো ব্র্যান্ড পার্টনাররা।
এ ক্যাম্পেইনে পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে থাকছে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, এইচএসবিসি, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক। নন-কমার্শিয়াল পার্টনার হিসেবে থাকছে লিয়া’স বিউটি বক্স, গ্ল্যামফ্রিক বাই ফারিন, পাউডার রুম বাই এশা রুশদি, ল্যাভিশ বুটিক এবং পালস হেলথ কেয়ার।
ঈদ ফেস্টিভ্যাল সম্পর্কে দারাজ বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার তালাত রহিম বলেন, ‘আমরা এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকদের মাসজুড়ে সাশ্রয়ী কেনাকাটার অভিজ্ঞতা প্রদান করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রাহকদের সেরা ডিল ও অফার দেওয়ার বিষয়টি দারাজ বরাবরই অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে।
‘আমাদের ঈদ ফেস্টিভ্যালও তারই অংশ। আমরা আমাদের স্পন্সর ও পার্টনারদের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। তাদের কারণেই এই ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।’
আরও পড়ুন:আসন্ন রমজান মাসের চাহিদা অনুযায়ী ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজসহ অন্য নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুত ও সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)।
রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে পণ্য সামগ্রীর মজুত, আমদানি, সরবরাহ ও বাজার পরিস্থিতি বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় বৃহস্পতিবার এ কথা জানানো হয়।সভায় নিত্যপণ্যের উৎপাদক,সরবরাহকারী, ব্যবসায়ী ও ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। খবর বাসসের
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ, খেজুরসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের আমদানি, মজুদ ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।৩ লাখ মেট্রিক টনের বেশি চিনি রয়েছে, ভোজ্যতেলও চাহিদার তুলনায় বেশি মজুতআছে। নিত্যপণ্যের সরবরাহে ঘাটতির কোনো শঙ্কা নেই।
এমন পরিস্থিতিতে বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য ব্যবসায়ী ও ভোক্তা সবার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। বলেন, বৈশ্বিক কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যের মূল্য বাড়লে ব্যবসায়ীদের কিছু করার থাকে না। তবে অবৈধভাবে কেউ যেন দাম বৃদ্ধি না করে-আমরাও সে বিষয়টি মনিটারিং করবো।
তিনি বলেন, কোনো ব্যবসায়ী অবৈধভাবে দাম বাড়ালে সংশ্লিষ্ট বণিক সমিতিকে সেই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেটা না করলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ওই বণিক সমিতির লাইসেন্স বাতিল করবে। এক্ষেত্রে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে সরকারকে সহযোগিতা করা হবে।
জসিম উদ্দিন আরও বলেন, বাজার স্থিতিশীলা রাখার জন্য ভোক্তাদেরও দায়িত্বশীল আচরণ করা প্রয়োজন। চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত পণ্য কিনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা যাবে না।
ব্রয়লার মুরগি বা মাংসের দাম কমাতে আগামী ২/১ মাসের জন্য মাংস আমদানির অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, ব্রয়লার মুরগির যদি উৎপাদন খরচ বেশি হয়, তাহলে সরকার স্বল্প সময়ের জন্য মাংস আমদানির অনুমতি দিতে পারে। যাতে দাম কমে যায়।
মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক আহমে বলেন, চিনি ও ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যেপণ্যের সরবরাহ ঠিক আছে। রোজায় দাম স্থিতিশীল থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
এ সময় কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধি কাজী আব্দুল হান্নান অভিযোগ করেন, সরকার বিভিন্ন নিত্যপণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করার কারণে বাজার প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে না। অবৈধ মুনাফা রোধকল্পে বাজারকে প্রতিযোগিতামূলক করা জরুরি। এর জন্য নিত্যপণ্যের উপর শুল্ক কমানোর আহ্বান জানান তিনি।
সভায় অন্যদের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি আমীন হেলালী, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:পবিত্র রমজান উপলক্ষে গত সোমবার বিশেষ ইফতার বুফে ডিনারের আয়োজন করে প্ল্যাটিনাম হোটেলস্ বাই শেলটেক্।
জাঁকজমকপূর্ণ এ আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন দেশের নামী সাংবাদিক, ফুড ব্লগার ও কয়েকজন বিশেষ অতিথি।
রমজান উপলক্ষে প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ড ও প্ল্যাটিনাম রেসিডেন্সে পাওয়া যাবে দক্ষ শেফদের তৈরি মধ্যপ্রাচ্যের মুখরোচক আইটেম (যেমন: হায়দরাবাদি মাটন হালিম, চিকেন নেহারি, দাজাজ আল ফাহাম, কাবসা)। সেই সঙ্গে মিলবে ঐতিহ্যবাহী দেশীয় ইফতার আইটেমও। আরও পাচ্ছেন মহলাবিয়া, উম্মে আলী, পেস্ট্রি, আনলিমিটেড আইসক্রিম, সফট ড্রিংকস ও জুস।
প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডে এই ইফতার ও ডিনার বুফেটি পেয়ে যাবেন B1G2 অফারে ৩৬৫০ টাকায় (৩১ মার্চ পর্যন্ত)। B1G1 অফারে সেটি ৩ হাজার ৩০০ টাকা।
প্ল্যাটিনাম রেসিডেন্সের ক্ষেত্রে B1G2 অফার ২ হাজার ৯৯৯ টাকা (৩১ মার্চ পর্যন্ত) এবং B1G1 অফারে ২ হাজার ৩০০ টাকা। সেই সঙ্গে প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডে প্রতিদিন থাকছে দেশীয় এবং কন্টিনেন্টাল আইটেমের সেহরি বুফের আয়োজন, যার জনপ্রতি মূল্য ১ হাজার ৯৯৬ টাকা।
সেই সঙ্গে যারা পরিবার, বন্ধুবান্ধব বা অফিসের কলিগদের নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করতে চাইছেন, তাদের জন্য প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডের জিজি এবং প্ল্যাটিনাম রেসিডেন্সের টেরা বিস্ত্রতে থাকছে ইফতারের বিশেষ ব্যবস্থা। আরও পাওয়া যাবে টেকওয়ে ইফতার বক্স যেখানে পেয়ে জাচ্ছেন হায়দরাবাদি মাটন হালিম, জাফরানি রেশমি জিলাপি, চিকেন ও ফিশ কাবসা এবং দই বড়া। এ ছাড়া প্ল্যাটিনাম হোটেলস্ দেশের যেকোনো প্রান্তে ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার জনের ক্যাটারিং সার্ভিস দিয়ে থাকে।
শুধু তাই নয়, যারা একটু নিরিবিলি পরিবেশে পুল সাইডে বসে ইফতার করতে চান, তাদের জন্য প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডের ট্রাইব রুফটপ লাউঞ্জে থাকছে দুটি ফুল কোর্স সেট মেনু।
এই মেন্যুতে থাকছে চিকেন টেন্ডার, মোজারেলা স্টিকস, চিকেন ক্যাশিউনাট সালাদ, পিৎজা, ব্রেডেড প্রন, গ্রিলড চিকেনের সঙ্গে স্প্যাগেটি অ্যালিও ওলিওর মতো সিগনেচার ডিশ। এসব সেট মেন্যু ২০০০ ও ১৬০০ টাকায় B1G1 অফারে পেয়ে যাবেন।
ঢাকার নানান অফিস, রেস্টুরেন্ট ও দোকান থাকা বনানী ১১ নম্বরে প্লাটিনাম গ্র্যান্ডের অবস্থান। এর দূরত্ব হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৫ মিনিটের। বিমানবন্দর থেকে উত্তরায় অবস্থিত প্লাটিনাম রেসিডেন্সের দূরত্ব চার কিলোমিটার। দুটি হোটেলের মার্জিত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ যেকোনো বিশ্বমানের হোটেলের সঙ্গে তুলনাযোগ্য, যা ব্যবসায়ী ও ভ্রমণকারীদের জন্য আদর্শ জায়গা।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করা যাবে 01922110976, 01922110975 নম্বর দুটিতে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য