পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৯২টি কোম্পানির মধ্যে তিন শতাধিক কোম্পানির দর বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইসে রয়েছে। বাকি যে কয়েকটি কোম্পানি আছে, সেগুলোর শেয়ারের ব্যাপক দরপতনে বিনিয়োগকারীর হতাশা আরও বাড়ল।
বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক বা ডিএসইএক্স কমেছে ২৭ পয়েন্ট, সূচক নেমে এসেছে ৬ হাজার ১৯৮ পয়েন্টে। গত ২৮ নভেম্বর সূচক ছিল এর চেয়ে এক পয়েন্ট কম। লেনদেন ফের তিন শ কোটির ঘরে। হাতবদল হয়েছে ৩৩৩ কোটি ৫৮ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।
বিশ্বজুড়ে মন্দার শঙ্কা, দেশের অর্থনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা, রাজনৈতিক অস্থিরতার শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা উদ্বেগে।
বড় পতন ঠেকাতে গত ৩১ জুলাই দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লোর প্রাইস দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এরপর কয়েক মাস বেড়েছে সূচক আর লেনদেন। প্রায় তিন মাস ধরে বাজার পড়ছে তো পড়ছেই।
এর মধ্যে দরপতনের সর্বনিম্ন সীমা ছুঁয়ে ফেলা কোম্পানির সংখ্যা প্রথমে এক শ, এরপর দেড় শ, তারপর দুই শ, আড়াই শ পেরিয়ে এখন তিন শ ছুঁয়েছে। ফলে এক দিনে ২৭ পয়েন্ট সূচক পতনই আসলে বাজারের এই পরিস্থিতিতে বড় পতন হিসেবেই ধরা যায়।
এদিন পুঁজিবাজারে তিনটি কোম্পানির লেনদেন স্থগিত ছিল রেকর্ড ডেটের কারণে। দুটির লেনদেন স্থগিত অন্য কারণে। বাকি ১০২টি কোম্পানির একটি শেয়ারও হাতবদল হয়নি। ২০৩টির হাতবদল হয়েছে হাতে গোনা। এই দুই শতাধিক কোম্পানির সম্মিলিত লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৩৩ লাখ ২৭ হাজার টাকা।
কেবল ৯টি কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে। এর একটি নতুন তালিকাভুক্ত ইসলামিক কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের দর কেবল সার্কিট ব্রেকার ছুঁয়ে লেনদেন হয়েছে। বাকি আটটির মধ্যে একটির দর ৬ শতাংশের বেশি, দুটির দর এক শতাংশের বেশি এবং বাকি ছয়টির দর বেড়েছে নামমাত্র।
অন্যদিকে দর হারানো কোম্পানিগুলো মধ্যে বেশি হারে কমেছে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলো, যেগুলোর দর গত কয়েকদিনে অনেকটাই বেড়েছিল। এদের ব্যবসায়িক অবস্থা ভালো না হলেও কেবল শেয়ার সংখ্যা কম, এ কারণে উঠানামার মধ্যে থাকে দর।
দর হারানোর কোম্পানিগুলোর মধ্যে সাতটির দর কিমেছে ৮ শতাংশের বেশি। সাতটি ৭ শতাংশের বেশি, আটটি ৬ শতাংশের বেশি, আটটি করে কোম্পানি ৫ শতাংশ, ৪ শতাংশ ও ৩ শতাংশের বেশি, সাতটি কোম্পানি ২ শতাংশের বেশি দর হারিয়েছে।
দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে লেনদেন
জুট স্পিনার্সের দর ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ কমে লেনদেন হয়েছে ৩০৩ টাকায়। আগের দিন দর ছিল ৩৩২ টাকা। কোম্পানিটির দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ হলেও এর চেয়ে নিচে নামা সম্ভব ছিল না।
নর্দার্ন জুটের দরও কমেছে ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ, এর বেশি দর কমতে পারত না। প্রতিটি শেয়ার হাতবদল হয় ২৪০ টাকা ৫০ পয়সায়। আগের দিন দর ছিল ২৬৩ টাকা ৫০ পয়সা।
ওরিয়ন ইনফিউশনের দর কমেছে ৭ দশমিক ৪৯৯ শতাংশ। এর চেয়ে বেশি কমতে পারত না কোম্পানিটির দর। আগের দিন দর ছিল ৬১৭ টাকা ৪০ পয়সা, কমে দাঁড়িয়েছ ৫৭১ টাকা ১০ পয়সায়।
কোহিনূর কেমিক্যালের দর কমেছে ৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪২২ টাকা ৩০ পয়সায়। এটির দর নামা সম্ভব ছিল ৪২০ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত।
এছাড়া মনোস্পুলের দর ৮ দশমিক ০৮ শতাংশ কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৮১ টাকায়। এ ছাড়া সোনালী আঁশ ও পেপার প্রসেসিংয়ের ৮ দশমিক ০৫ শতাংশ দরপতন হয়েছে।
মুন্নু সিরামিকস, ইস্টার্ন ক্যাবলস, অ্যাপেক্স ফুডস, আজিজ পাইপস, নাভানা ফার্মা, ওরিয়ন ইনফিউশন ও জেমিনি সি ফুডের দর কমেছে ৭ শতাংশের বেশি। ৮টি কোম্পানির দর কমেছে ৬ শতাংশের বেশি।
পুঁজিবাজারের লেনদেন প্রসঙ্গে ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যে ব্যাংকগুলোকে সেফ মনে করা হয়েছিল সেগুলো সম্পর্কেও নেগেটিভ খবর আসতে শুরু করেছে। কোনো ক্যানসার রোগীকে তার রিপোর্ট না দেখালে হয়তো তিনি সাময়িকভাবে চাপমুক্ত থাকেন, কিন্ত তার যে পরিণতি সেটা থেকে কি রক্ষা পান? স্টক মার্কেট ইকোনমির একটা উইং। ইকোনমির রিফর্মেশন ছাড়া একটা উইং নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। ক্যানসার রোগী হয়তো একটা নির্দিষ্ট দিনে একটু ভালো বোধ করতে পারেন। তাই বলে কি ক্যানসার থেকে আরোগ্য লাভ করেন?’
দরবৃদ্ধি যেমন
সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ দর বেড়েছে নতুন তালিকাভুক্ত ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের। শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১৭ টাকা ৬০ পয়সায়। আগের দিন দর ছিল ১৬ টাকা।
এরপরেই ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ দর বেড়ে সি-পার্লের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮২ টাকা ৫০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ১৭১ টাকা ৯০ পয়সা।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল এডিএন টেলিকম। ১ দশমিক ৫১ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সায়। আগের দিনে শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ১০৫ টাকা ৯০ পয়সায়।
এনসিসিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড-১ এর দর ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি ইউনিট লেনদেন হয়েছে ৬ টাকা ৮০ পয়সায়।
পুঁজিবাজারের লেনদেন প্রসঙ্গে ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যে ব্যাংকগুলোকে সেফ মনে করা হয়েছিল সেগুলো সম্পর্কেও নেগেটিভ খবর আসতে শুরু করেছে। কোনো ক্যানসার রোগীকে তার রিপোর্ট না দেখালে হয়তো তিনি সাময়িকভাবে চাপমুক্ত থাকেন, কিন্ত তার যে পরিণতি সেটা থেকে কি রক্ষা পান? স্টক মার্কেট ইকোনমির একটা উইং। ইকোনমির রিফর্মেশন ছাড়া একটা উইং নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। ক্যানসার রোগী হয়তো একটা নির্দিষ্ট দিনে একটু ভালো বোধ করতে পারেন। তাই বলে কি ক্যানসার থেকে আরোগ্য লাভ করেন?’
দরবৃদ্ধি যেমন
সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ দর বেড়েছে নতুন তালিকাভুক্ত ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের। শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১৭ টাকা ৬০ পয়সায়। আগের দিন দর ছিল ১৬ টাকা।
এরপরেই ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ দর বেড়ে সি-পার্লের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮২ টাকা ৫০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ১৭১ টাকা ৯০ পয়সা।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল এডিএন টেলিকম। ১ দশমিক ৫১ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সায়। আগের দিনে শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ১০৫ টাকা ৯০ পয়সায়।
এনসিসিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড-১ এর দর ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি ইউনিট লেনদেন হয়েছে ৬ টাকা ৮০ পয়সায়।
এছাড়া প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বার্জার পেইন্টস, ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ও ন্যাশনাল টি কোম্পানির দর বেড়েছে ১ শতাংশের নিচে।
সূচকে প্রভাব যাদের
সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে বিকন ফার্মা। কোম্পানির দর কমেছে ২ শতাংশ।
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ হ্রাসে সূচক কমেছে ২ দশমিক ২১ পয়েন্ট।
কোহিনূর কেমিক্যালের কারণে সূচক হারিয়েছে ২ দশমিক ০৩ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এ ছাড়াও ওরিয়ন ইনফিউশন, বসুন্ধরা পেপার, যমুনা অয়েল, ওরিয়ন ফার্মা, নাভানা ফার্মা, জেনেক্স ইনফোসিস ও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১৭ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৬২ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে সি-পার্ল। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ।
বার্জার পেইন্টসের দর শূন্য দশমিক ০১ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ৯১ পয়েন্ট।
ইসলামী ব্যাংক সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ৩৩ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে এডিএন টেলিকম, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, এনসিসিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স।
সব মিলিয়ে এই ৮টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৪ দশমিক ৩২ পয়েন্ট।
সূচকে প্রভাব যাদের
সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে বিকন ফার্মা। কোম্পানির দর কমেছে ২ শতাংশ।
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ হ্রাসে সূচক কমেছে ২ দশমিক ২১ পয়েন্ট।
কোহিনূর কেমিক্যালের কারণে সূচক হারিয়েছে ২ দশমিক ০৩ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এ ছাড়াও ওরিয়ন ইনফিউশন, বসুন্ধরা পেপার, যমুনা অয়েল, ওরিয়ন ফার্মা, নাভানা ফার্মা, জেনেক্স ইনফোসিস ও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১৭ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৬২ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে সি-পার্ল। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ।
বার্জার পেইন্টসের দর শূন্য দশমিক ০১ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ৯১ পয়েন্ট।
ইসলামী ব্যাংক সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ৩৩ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে এডিএন টেলিকম, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, এনসিসিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স।
সব মিলিয়ে এই ৮টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৪ দশমিক ৩২ পয়েন্ট।
এ ছাড়া প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বার্জার পেইন্টস, ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ও ন্যাশনাল টি কোম্পানির দর কমেছে ১ শতাংশের নিচে।
আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য