টানা তিন দিন সূচক বাড়ার পর পতন হলো টানা চতুর্থ দিন। তবে তিন দিনের পর লেনদেনে দেখা গেল ইউটার্ন, যদিও তা বাড়েনি সেভাবে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে তিন চতুর্থাংশ শেয়ারের কার্যত ক্রেতা না থাকার মধ্যে যেসব শেয়ারের লেনদেন হলো, তাতে প্রাধান্য দেখা গেছে দুর্বল কোম্পানির।
পুঁজিবাজার মন্দার মধ্যেও স্বল্প মূলধনি এসব কোম্পানির শেয়ারদর গত কয়েক দিন ধরেই বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে।
শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৫ পয়সা আয় করে ১ টাকা লভ্যাংশ দেয়া স্বল্প মূলধনি মুন্নু সিরামিকসের দর বেড়েছে সবচেয়ে বেশি ৯.৬৯ শতাংশ। শেয়ারদর আগের দিন ছিল ১৩০ টাকা ৪০ পয়সা। বেড়ে হয়েছে ১৩৪ টাকা ৪০ পয়সা।
কোম্পানির করপোরেট ডিরেক্টর মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ৬ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেয়ার পর এই দর বৃদ্ধি পেল।
বাংলাদেশ অটোকারস দরবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ৩৭ পয়সা আয়ের বিপরীতে লভ্যাংশ দিয়েছে ৪০ পয়সা। ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫৪ টাকা ১০ পয়সায়।
৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ দর বেড়ে ১৪ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে ইসলামী কর্মাশিয়াল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার।
দরবৃদ্ধির তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে নতুন তালিকাভুক্ত এই কোম্পানিটি। এটি বাদ দিলে শীর্ষ দশের ৯টি কোম্পানিরই দরবৃদ্ধির পেছনে তেমন উপযুক্ত কারণ নেই।
শেয়ারপ্রতি ৪ টাকা ৫৪ পয়সা লোকসানে থাকার পরেও আজিজ পাইসের শেয়ারদর বেড়ে ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ। চতুর্থ স্থানে থাকা কোম্পানিটির শেয়ার ৯৫ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে ১০৪ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
২০২০ সালের পরে আয় বা উৎপাদনের কোনো তথ্য নেই, কিন্তু ৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ দর বেড়ে নর্দার্ন জুটের শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২৭৮ টাকা ৪০ পয়সায়।
নামমাত্র আয় করা মুন্নু অ্যাগ্রোর ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ ও বিপুল লোকসান ও উৎপাদনে না থাকা জুট স্পিনার্সের দর বেড়েছে ৭ দশমিক ২৭ শতাংশ।
শেয়ারপ্রতি ৫ টাকার কাছাকাছি লোকসানে থাকা ইস্টার্ন ক্যাবলসের দর বেড়েছে ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
নামমাত্র আয় ও লভ্যাংশ দেয়া স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজের দর বেড়েছে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
তালিকার দশম স্থানে থাকা অ্যাপেক্স স্পিনিংয়ের দর বেড়েছে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। অথচ কোম্পানির শেয়ারদরের তুলনায় আয় বা ডিভিডেন্ড ইল্ড মাত্র ১ দশমিক ৫২ শতাংশ।
অবশ্য আগের দিনের চেয়ে শতকোটি টাকার বেশি বেড়েছে লেনদেন। সোমবার হাতবদল হয়েছে ৪৫৬ কোটি ৯৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ১১৬ কোটি ৪৮ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।
রোববার হাতবদল হয়েছিল ৩৪০ কোটি ৪৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকা, যা তার আগের কর্মদিবসের চেয়ে ৮৪ কোটি ৭৮ লাখ ৭৮ হাজার টাকা তো কমই, একই সঙ্গে ৬ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল।
আগের দিনের মতোই দরবৃদ্ধির তুলনায় দরপতনের পাল্লা ভারি হওয়ায় সূচক কমেছে ৬ পয়েন্ট। এ নিয়ে চার কর্মদিবসে সূচক কমল ৩০ পয়েন্টের মতো।
সোমবার ৩০টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৫৪টির। এ ছাড়া আগের দর বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তর ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হয়েছে ২৪১টির, যা আগের দিনে ছিল ২২১টি।
৬৬টি কোম্পানির একটি শেয়ারও লেনদেন হয়নি। এর মধ্যে রেকর্ড ডেটের কারণে লেনদেন বন্ধ ছিল দুটির।
লেনদেনও ভারসাম্যপূর্ণ ছিল না। মাত্র ৫৪টি কোম্পানিতে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৬৩ কোটি ৫৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকার। বিপরীতে ২৭১টি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে কেবল ১৯৩ কোটি ৩৭ লাখ ৮৩ হাজার টাকার।
পুঁজিবাজারের লেনদেন প্রসঙ্গে ট্রেজার সিকিউরিটিজের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজারে এই মুহূর্তে ফান্ড আসছে না। টার্নওভার দেখে মনে হচ্ছে ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউটগুলোর ইয়ার এন্ডিংকে ঘিরে যে প্রফিট টেকিং এবং সেটেলমেন্টের বিষয় থাকে সেগুলো তারা আগেই গুছিয়ে নিয়েছে। যে কারণে তাদের থেকে সম্ভবত ফান্ড আসছে না, আর প্রত্যাশা করা মনে হয় ঠিক হবে না।’
সূচকে প্রভাব যাদের
সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৪২ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে বিকন ফার্মা। কোম্পানির দর কমেছে ১ দশমিক ০৫ শতাংশ।
কোহিনূর কেমিক্যালের দর ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ হ্রাসে সূচক কমেছে ১ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট।
বসুন্ধরা পেপারের কারণে সূচক হারিয়েছে ১ দশমিক ০৬ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ২ দশমিক ২২ শতাংশ।
এ ছাড়াও অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, জেনেক্স ইনফোসিস, বেক্সিমকো ফার্মা, ইউনিক হোটেল, সি-পার্ল ও এডিএন টেলিকমের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১০ দশমিক ০৩ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে মুন্নু সিরামিকস। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
ইস্টার্ন ক্যাবলসের দর ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ১৮ পয়েন্ট।
ইসলামী ব্যাংক সূচকে যোগ করেছে ১ দশমিক ০৯ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে বার্জার পেইন্টস, বাটা সুজ, মুন্নু অ্যাগ্রো, লুবরেফ বাংলাদেশ, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স ও জেএমআই সিরিঞ্জেস।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৭ দশমিক ০১ পয়েন্ট।
দরপতনের শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ দর কমেছে অ্যাডভেন্ট ফার্মা। প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৬ টাকা ৯০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ২৮ টাকা ২০ পয়সা।
এর পরেই ৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ দর কমে কোহিনূর কেমিক্যালের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৭০ টাকায়। আগের দিনের দর ছিল ৪৯১ টাকা ৩০ পয়সা।
আমরা টেকনোলজিসের শেয়ারদর ৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ কমে লেনদেন হয়েছে ৪০ টাকা ৭০ পয়সায়। আগের দিন দর ছিল ৪২ টাকা ২০ পয়সা।
তালিকায় পরের স্থানে ছিল ফাইন ফুডস, বিডি থাই ফুড, কে অ্যান্ড কিউ, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, আমরা নেটওয়ার্কস, জেনেক্স ইনফোসিস ও পেপার প্রসেসিং।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য