টানা তিন দিন সূচক বাড়ার পর পতন হলো টানা চতুর্থ দিন। তবে তিন দিনের পর লেনদেনে দেখা গেল ইউটার্ন, যদিও তা বাড়েনি সেভাবে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে তিন চতুর্থাংশ শেয়ারের কার্যত ক্রেতা না থাকার মধ্যে যেসব শেয়ারের লেনদেন হলো, তাতে প্রাধান্য দেখা গেছে দুর্বল কোম্পানির।
পুঁজিবাজার মন্দার মধ্যেও স্বল্প মূলধনি এসব কোম্পানির শেয়ারদর গত কয়েক দিন ধরেই বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে।
শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৫ পয়সা আয় করে ১ টাকা লভ্যাংশ দেয়া স্বল্প মূলধনি মুন্নু সিরামিকসের দর বেড়েছে সবচেয়ে বেশি ৯.৬৯ শতাংশ। শেয়ারদর আগের দিন ছিল ১৩০ টাকা ৪০ পয়সা। বেড়ে হয়েছে ১৩৪ টাকা ৪০ পয়সা।
কোম্পানির করপোরেট ডিরেক্টর মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ৬ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেয়ার পর এই দর বৃদ্ধি পেল।
বাংলাদেশ অটোকারস দরবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ৩৭ পয়সা আয়ের বিপরীতে লভ্যাংশ দিয়েছে ৪০ পয়সা। ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫৪ টাকা ১০ পয়সায়।
৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ দর বেড়ে ১৪ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে ইসলামী কর্মাশিয়াল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার।
দরবৃদ্ধির তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে নতুন তালিকাভুক্ত এই কোম্পানিটি। এটি বাদ দিলে শীর্ষ দশের ৯টি কোম্পানিরই দরবৃদ্ধির পেছনে তেমন উপযুক্ত কারণ নেই।
শেয়ারপ্রতি ৪ টাকা ৫৪ পয়সা লোকসানে থাকার পরেও আজিজ পাইসের শেয়ারদর বেড়ে ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ। চতুর্থ স্থানে থাকা কোম্পানিটির শেয়ার ৯৫ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে ১০৪ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
২০২০ সালের পরে আয় বা উৎপাদনের কোনো তথ্য নেই, কিন্তু ৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ দর বেড়ে নর্দার্ন জুটের শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২৭৮ টাকা ৪০ পয়সায়।
নামমাত্র আয় করা মুন্নু অ্যাগ্রোর ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ ও বিপুল লোকসান ও উৎপাদনে না থাকা জুট স্পিনার্সের দর বেড়েছে ৭ দশমিক ২৭ শতাংশ।
শেয়ারপ্রতি ৫ টাকার কাছাকাছি লোকসানে থাকা ইস্টার্ন ক্যাবলসের দর বেড়েছে ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
নামমাত্র আয় ও লভ্যাংশ দেয়া স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজের দর বেড়েছে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
তালিকার দশম স্থানে থাকা অ্যাপেক্স স্পিনিংয়ের দর বেড়েছে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। অথচ কোম্পানির শেয়ারদরের তুলনায় আয় বা ডিভিডেন্ড ইল্ড মাত্র ১ দশমিক ৫২ শতাংশ।
অবশ্য আগের দিনের চেয়ে শতকোটি টাকার বেশি বেড়েছে লেনদেন। সোমবার হাতবদল হয়েছে ৪৫৬ কোটি ৯৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ১১৬ কোটি ৪৮ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।
রোববার হাতবদল হয়েছিল ৩৪০ কোটি ৪৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকা, যা তার আগের কর্মদিবসের চেয়ে ৮৪ কোটি ৭৮ লাখ ৭৮ হাজার টাকা তো কমই, একই সঙ্গে ৬ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল।
আগের দিনের মতোই দরবৃদ্ধির তুলনায় দরপতনের পাল্লা ভারি হওয়ায় সূচক কমেছে ৬ পয়েন্ট। এ নিয়ে চার কর্মদিবসে সূচক কমল ৩০ পয়েন্টের মতো।
সোমবার ৩০টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৫৪টির। এ ছাড়া আগের দর বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তর ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হয়েছে ২৪১টির, যা আগের দিনে ছিল ২২১টি।
৬৬টি কোম্পানির একটি শেয়ারও লেনদেন হয়নি। এর মধ্যে রেকর্ড ডেটের কারণে লেনদেন বন্ধ ছিল দুটির।
লেনদেনও ভারসাম্যপূর্ণ ছিল না। মাত্র ৫৪টি কোম্পানিতে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৬৩ কোটি ৫৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকার। বিপরীতে ২৭১টি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে কেবল ১৯৩ কোটি ৩৭ লাখ ৮৩ হাজার টাকার।
পুঁজিবাজারের লেনদেন প্রসঙ্গে ট্রেজার সিকিউরিটিজের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজারে এই মুহূর্তে ফান্ড আসছে না। টার্নওভার দেখে মনে হচ্ছে ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউটগুলোর ইয়ার এন্ডিংকে ঘিরে যে প্রফিট টেকিং এবং সেটেলমেন্টের বিষয় থাকে সেগুলো তারা আগেই গুছিয়ে নিয়েছে। যে কারণে তাদের থেকে সম্ভবত ফান্ড আসছে না, আর প্রত্যাশা করা মনে হয় ঠিক হবে না।’
সূচকে প্রভাব যাদের
সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৪২ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে বিকন ফার্মা। কোম্পানির দর কমেছে ১ দশমিক ০৫ শতাংশ।
কোহিনূর কেমিক্যালের দর ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ হ্রাসে সূচক কমেছে ১ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট।
বসুন্ধরা পেপারের কারণে সূচক হারিয়েছে ১ দশমিক ০৬ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ২ দশমিক ২২ শতাংশ।
এ ছাড়াও অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, জেনেক্স ইনফোসিস, বেক্সিমকো ফার্মা, ইউনিক হোটেল, সি-পার্ল ও এডিএন টেলিকমের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১০ দশমিক ০৩ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে মুন্নু সিরামিকস। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
ইস্টার্ন ক্যাবলসের দর ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ১৮ পয়েন্ট।
ইসলামী ব্যাংক সূচকে যোগ করেছে ১ দশমিক ০৯ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে বার্জার পেইন্টস, বাটা সুজ, মুন্নু অ্যাগ্রো, লুবরেফ বাংলাদেশ, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স ও জেএমআই সিরিঞ্জেস।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৭ দশমিক ০১ পয়েন্ট।
দরপতনের শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ দর কমেছে অ্যাডভেন্ট ফার্মা। প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৬ টাকা ৯০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ২৮ টাকা ২০ পয়সা।
এর পরেই ৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ দর কমে কোহিনূর কেমিক্যালের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৭০ টাকায়। আগের দিনের দর ছিল ৪৯১ টাকা ৩০ পয়সা।
আমরা টেকনোলজিসের শেয়ারদর ৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ কমে লেনদেন হয়েছে ৪০ টাকা ৭০ পয়সায়। আগের দিন দর ছিল ৪২ টাকা ২০ পয়সা।
তালিকায় পরের স্থানে ছিল ফাইন ফুডস, বিডি থাই ফুড, কে অ্যান্ড কিউ, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, আমরা নেটওয়ার্কস, জেনেক্স ইনফোসিস ও পেপার প্রসেসিং।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য