× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Paying half of the loan installment is not default
google_news print-icon

ঋণের কিস্তির অর্ধেক দিলেই খেলাপি নয়

ঋণের-কিস্তির-অর্ধেক-দিলেই-খেলাপি-নয়
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘মেয়াদি ঋণের বিপরীতে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির ন্যূনতম ৭৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫০ শতাংশ পরিশোধ করলেই ওই ঋণগুলো খেলাপি করা যাবে না। তবে তা ডিসেম্বরের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।’

ঋণখেলাপি থেকে মুক্তির জন্য আবারও বিশেষ সুবিধা দিল আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন মাসের ঋণের কিস্তির অর্ধেক টাকা ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করলেই আর ঋণগ্রহীতা খেলাপি হবেন না।

রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে ‘ঋণ শ্রেণিকরণ’ সংক্রান্ত এমন নির্দেশনা দিয়ে সার্কুলার জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

তবে এ সুযোগ তারাই পাবেন যাদের অক্টোবর থেকে চলতি ডিসেম্বরের মধ্যে কিস্তি দেয়ার সূচি আছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘বহির্বিশ্বে যুদ্ধাবস্থা প্রলম্বিত হওয়ায় তার দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাবে শিল্পের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। এতে ঋণগ্রহীতাদের প্রকৃত আয় কমে গেছে।

‘দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল রাখা এবং ঋণগ্রহীতাদের ঋণের কিস্তি পরিশোধ সহজ করতে মেয়াদি ঋণের বিপরীতে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির ন্যূনতম ৭৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫০ শতাংশ ডিসেম্বরের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করা হলে ওই ঋণগুলো খেলাপি করা যাবে না।’

এই সার্কুলারের ফলে সুবিধাপ্রাপ্ত মেয়াদি ঋণগুলোর ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তি বা কিস্তিগুলোর অপরিশোধিত অংশ বিদ্যমান ঋণের পূর্বনির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী এক বছরের মধ্যে সম কিস্তিতে (মাসিক ও ত্রৈমাসিক) প্রদেয় হবে।

তবে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে অবশিষ্ট মেয়াদকালের সঙ্গে বর্ধিত এক বছর সময়কে বিবেচনায় নিয়ে কিস্তি পুনর্নির্ধারণপূর্বক নতুন সূচি অনুযায়ী আদায় করা যাবে। এছাড়া আগের সার্কুলারের অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, ব্যাংক খাতে এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতের মোট ঋণ ১৪ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

এর আগে ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে এক বৈঠকে দেশে চলমান অর্থনৈতিক সংকট বিবেচনায় আগামী বছরের জুন পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের খেলাপি না করার দাবি জানায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘কোভিড-পরবর্তী ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। সার্বিক প্রভাবে রপ্তানির কাঁচামালের দাম বাড়ায় খরচও বেড়েছে। এ জন্য এফবিসিসিআই সদস্যরা জানিয়েছেন যে তাদের ঋণ পরিশোধের বিশেষ সুবিধাটি আগামী ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত দেয়া হোক।

‘কারণ বর্তমানে জ্বালানি ও গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। অনেকে কারখানা চালাতে পারছেন না। এলসি না খোলার কারণে কাঁচামাল আমদানি করা যাচ্ছে না। এজন্য ব্যবসার ওপর একটা প্রভাব পড়ছে। আর ব্যবসা করতে না পারলে ঋণের কিস্তি দেয়া যাবে না। তাই ঋণ পরিশোধের সুবিধাটি আগামী বছরের জুন পর্যন্ত দেয়া হোক, যাতে কেউ খেলাপি না হয়।’

আরও পড়ুন:
ঋণখেলাপিদের আরও বড় ছাড়
কিংফিশারের মালিক মালিয়ার কারাদণ্ড
সুদের টাকার জন্য শিশু বিক্রি: প্রধান আসামি রিমান্ডে
ঋণখেলাপি মামলায় বাগদাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
আদালতে ৫১ ঋণখেলাপি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Producer merchant apps will not be middlemen
টাঙ্গাইলে বাজার পরিদর্শনকালে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

উৎপাদক-ব্যবসায়ীদের অ্যাপ আসছে, থাকবে না মধ্যস্বত্বভোগী

উৎপাদক-ব্যবসায়ীদের অ্যাপ আসছে, থাকবে না মধ্যস্বত্বভোগী বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু মঙ্গলবার টাঙ্গাইল শহরে মাহমুদুল হাসান চাঁদ বাজার মনিটরিংয়ে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: নিউজবাংলা
প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো সাধারণ মানুষ যেন স্বল্প মূল্যে পণ্যগুলো পায়। দেশের সব স্থানে নির্দেশ দেয়া আছে- কোনো পাইকার অবৈধভাবে পণ্য মজুত করে রাখলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

উৎপাদক থেকে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য অ্যাপ দেয়া হচ্ছে। কোনো মধ্যস্বত্বভোগী রাখা হবে না। এতে সাধারণ ক্রেতাদের হয়রানি বন্ধ হবে। আর পণ্য কে হোলসেল করল আর কে কিনল সেটাও বোঝা যাবে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু মঙ্গলবার টাঙ্গাইল শহরে মাহমুদুল হাসান চাঁদ (পার্ক বাজার) বাজার মনিটরিংয়ে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সারাদেশে যে মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছি সে অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা পণ্য বিক্রি করছেন। কোনো কোনো কম মূল্যেও বিক্রি করা হচ্ছে। চিনি ১৪৫ টাকার জায়গায় ১৩৮ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্যতেলও নির্ধারিত ১৬৩ টাকা থেকে কমিয়ে খুচরা পর্যায়ে ১৫৮ টাকা লিটার দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।’

তিনি বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে বাড়তি চাহিদা বিবেচনায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহে সব কিছুর কিছুটা ঘাটতির শঙ্কা থাকলেও এখন বাজারে কোনো পণ্যের ঘাটতি নেই। সব পণ‍্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে।’

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘দেশের সব স্থানে নির্দেশ দেয়া আছে- কোনো পাইকার অবৈধভাবে পণ্য মজুত করে রাখলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভোক্তাসাধারণকে বলব, পণ্যের দাম যদি বেশি নেয়া হয় সেক্ষেত্রে ভোক্তা অধিদপ্তর, পুলিশ ও প্রশাসনকে জানাবেন। জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো সাধারণ মানুষ যেন স্বল্প মূল্যে পণ্যগুলো পায়। আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরকে জরিমানা করতে চাই না। তাতে করে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পরে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে।’

মন্ত্রী এ সময় খুচরা দোকানে গিয়েও দোকানিদের সঙ্গে কথা বলেন। বাজার স্থিতিশীল রাখতে তাদের অনুরোধ জানান তিনি।

এদিকে বাজার মনিটরিংয়ের আগে মন্ত্রী টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

বাজার মনিটরিংয়ে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
‘সরকার দাম কমিয়ে দিয়েছে, প্রভাব বাজারে পড়েনি’
রমজানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ধাক্কায় শহরে ‘সংকুচিত মধ্যবিত্ত’
পাঁচ টাকার বাজারে ৯ খাদ্য উপকরণ
মাছ-মাংসসহ ২৯ পণ্যের দাম ঠিক করে দিল সরকার
নিত্যপণ্য নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে এমওইউ, ভারত মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তিও শিগগিরই

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The price of gold fell

কমলো স্বর্ণের দাম

কমলো স্বর্ণের দাম ফাইল ছবি
স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে। আগামীকাল বুধবার থেকে এ দাম কার্যকর করা হবে।

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে। রেকর্ড দাম হওয়ার পর কিছুটা কমানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে। আগামীকাল বুধবার থেকে এ দাম কার্যকর করা হবে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটির বৈঠকে করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এর আগে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গত ৭ মার্চ ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১২ হাজার ৯০৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ১৩ দিন রেকর্ড দামে বিক্রির পর এখন স্বর্ণের দাম কিছুটা কমল।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৮ টাকা।

২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৬৩৩ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৬ হাজার ১৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরিতে এক হাজার ৪০০ টাকা কমিয়ে ৯০ হাজার ৯৭৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
বিমান যাত্রীর মানিব্যাগে ৩ কোটি ১৪ লাখ টাকার স্বর্ণ
বিমান যাত্রীর মানিব্যাগে ৩ কোটি ১৪ লাখ টাকার স্বর্ণ
ক্রিকেটার স্বর্ণার বাসায় চুরি: রুমমেটের স্বামী গ্রেপ্তার
ক্রিকেটার স্বর্ণার মোবাইল-ডলার চুরি করে রুমমেটের স্বামীর চম্পট
সিগারেটের প্যাকেটে দেড় কেজি স্বর্ণ 

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
DNCC building in Caravanbazar will be demolished after Eid

‘ঈদের পর কারওয়ানবাজারের ডিএনসিসি ভবন ভেঙে ফেলা হবে’

‘ঈদের পর কারওয়ানবাজারের ডিএনসিসি ভবন ভেঙে ফেলা হবে’ সোমবার মতবিনিময় সভা শুরুর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিএনসিসি মেয়র গাবতলী পাইকারি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখেন। ছবি: নিউজবাংলা
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘কারওয়ানবাজার কাঁচাবাজারের ডিএনসিসি ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় এটি ধসে পড়তে পারে। এখানকার ব্যবসায়ীদের দ্রুতই গাবতলিতে বরাদ্দ দেয়া হবে। বরাদ্দ পাওয়ার পর কেউ না এলে সেটি নিয়ম অনুযায়ী অন্যজনকে বরাদ্দ দিয়ে দেয়া হবে।’

ঈদের পর কারওয়ান বাজারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পরিত্যক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হবে। আর এখানকার পাইকারি কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের গাবতলীতে ডিএনসিসির পাইকারি কাঁচাবাজারে স্থানান্তর করা হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম সোমবার এসব কথা বলেন।

গাবতলীতে ডিএনসিসির প্রস্তাবিত কাঁচাবাজারে ডিএনসিসির আওতাধীন কারওয়ানবাজার কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের আমিনবাজার পাইকারি কাঁচাবাজারে স্থানান্তরের বিষয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্য দেন ডিএনসিসি মেয়র।

এ সময় তিনি বলেন, ‘কারওয়ানবাজার কাঁচাবাজারের ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় এটি ধসে পড়তে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কারণে বহু মানুষের জীবন হুমকিতে রয়েছে।

‘এখানকার ব্যবসায়ীদের দ্রুতই গাবতলিতে বরাদ্দ দেয়া হবে। বরাদ্দ দেয়ার পরও যারা আসবেন না তাদের দায় নিজেদেরকেই নিতে হবে। আর বরাদ্দ পাওয়ার পর কেউ না এলে সেটি নিয়ম অনুযায়ী অন্যজনকে বরাদ্দ দিয়ে দেয়া হবে।’

মতবিনিময় সভার শুরুতে কারওয়ান বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ গাবতলীতে ব্যবসায়ীদের স্থানান্তরে ক্ষেত্রে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।

মেয়র বলেন, ‘প্রথম ধাপে কারওয়ান বাজার আড়ৎ মার্কেটের প্রথম তলার ৪০০ বর্গফুটের ৬২টি দোকান এবং দ্বিতীয় তলার ১৭০ বর্গফুটের ১১৪টি দোকান অর্থাৎ মোট ১৭৬টি দোকান স্থানান্তর করা হবে।

‘এছাড়াও কারওয়ানবাজারে সম্পত্তি বিভাগ কর্তৃক বরাদ্দকৃত ১৮০টি টিনশেড দোকান আমিনবাজারে পাইকারি কাঁচাবাজারের আশপাশের উন্মুক্ত স্থানে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।’

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘কারওয়ান বাজারের ভবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কোন দুর্ঘটনা ঘটলে বা আগুন লাগলে বহু মানুষ হতাহত হবে। আমরা আর মৃত্যুর মিছিল দেখতে চাই না৷ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে- ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কোনো ব্যবসা চলতে দেয়া যাবে না। ঈদের পর কারওয়ান বাজারের কাচাবাজারের ব্যবসায়ীদের স্থানান্তর শুরু হবে। ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিন। আপনাদের জন্য সব সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।’

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘কারওয়ান বাজার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রায় ৫শ’ বছর আগে। এটি যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন ঢাকার কেন্দ্রবিন্দু ছিল সদরঘাট। পর্যায়ক্রমে ঢাকা গুলিস্তান, মতিঝিল হয়ে অনেকদূর প্রসারিত হয়েছে। তাই কারওয়ান বাজার ঢাকার প্রান্তে স্থানান্তর করার মাধ্যমে স্মার্ট শহর নিশ্চিত করতে হবে। গাবতলীতে বাজার শুরু হলে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সার্বিক ব্যবস্থা নেবে।’

মতবিনিময় সভা শুরুর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিএনসিসি মেয়র গাবতলী পাইকারি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখেন।

আরও পড়ুন:
রামচন্দ্রপুর খালে ওঠা ১০ তলা ভবন ৬০ হাজারে বিক্রি
লাউতলা ও রামচন্দ্রপুর খাল উদ্ধারে ডিএনসিসি, ভাঙা হচ্ছে ১০ তলা ভবনও
দখলদার উচ্ছেদ করে খালের দুপাড় সাজাতে চান ডিএনসিসি মেয়র
বায়ুদূষণ কমাতে গবেষণা করে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ ডিএনসিসির
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে চীন পাশে থাকবে: রাষ্ট্রদূত

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Islami Bank pays homage to Bangabandhus portrait

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ইসলামী ব্যাংকের শ্রদ্ধা

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ইসলামী ব্যাংকের শ্রদ্ধা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ইসলামী ব্যাংকের শ্রদ্ধা। ছবি: সংগৃহীত
ব্যাংকের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ব্যাংকের ডাইরেক্টর বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ও নাসির উদ্দিন, এফসিএমএ এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আলতাফ হুসাইন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ১৭ মার্চ, ২০২৪ রোববার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ কথা জানানো হয়।

ব্যাংকের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ব্যাংকের ডাইরেক্টর বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ও নাসির উদ্দিন, এফসিএমএ এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আলতাফ হুসাইন।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের চুক্তি
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইসলামী ব্যাংকের শ্রদ্ধা
ঢাকার দুই জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং সম্মেলন করল ইসলামী ব্যাংক
প্রবাসী আয়ে ইসলামী ব্যাংকের নতুন রেকর্ড
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের তিনটি উপশাখা উদ্বোধন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
India Lok Sabha election date announced

লোকসভা ভোটের দিন-তারিখ ঘোষণা

লোকসভা ভোটের দিন-তারিখ ঘোষণা ছবি: ইন্ডিয়া টুডে
সাত ধাপে অনুষ্ঠেয় ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ১৯ এপ্রিল ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে ১ জুন পর্যন্ত। ফলাফল ঘোষণা হবে ৪ জুন।

লোকসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে ভারত। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এ ভোটগ্রহণ আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে চলবে ১ জুন পর্যন্ত। ফলাফল ঘোষণা হবে আগামী ৪ জুন।

শনিবার ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজিব কুমার এ ঘোষণা দেন।

দেশটির নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, এবারের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হবে ১৯ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ ২৬ এপ্রিল, তৃতীয় দফা ৭ মে, চতুর্থ দফা ১৩ মে, পঞ্চম দফা ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৫ মে এবং সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১ জুন।

আনন্দবাজারে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় (১৯ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গ, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ছত্তিসগড়, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, লক্ষদ্বীপ, আন্দামান নিকোবার, বিহার, সিকিম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, আসাম ও অরুণাচলপ্রদেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

দ্বিতীয় দফায় (২৬ এপ্রিল) ভোট হবে কেরালা, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিসগড়, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, জম্মু ও কাশ্মীর, আসাম, মণিপুর ও ত্রিপুরায়।

তৃতীয় দফায় (৭ মে) জম্মু ও কাশ্মীর, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ছত্তিসগড়, গোয়া, দাদরা-নগর হভেলি ও দমন-দিউয়ে নেয়া হবে ভোট।

চতুর্থ দফায় (১৩ মে) মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে ভোটগ্রহণ হবে।

পঞ্চম দফায় (২০ মে) ভোট হবে লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও মহারাষ্ট্রে।

ষষ্ঠ দফায় (২৫ মে) দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় ভোট হবে।

সপ্তম দফায় (১ জুন) হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, চণ্ডীগড়, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, বিহার, গুজরাট, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং তামিলনাড়ুসহ একাধিক রাজ্যের ২৬টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে ওই সময়ের মধ্যে।

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবর প্রচারের বিরুদ্ধে শক্ত বার্তা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করা উচিত।

রাজিব কুমার বলেন, ভুয়া খবর প্রচার আইন অনুযায়ী কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯ (৩) (বি) ধারা প্রতিটি রাজ্যের নোডাল অফিসারদের বেআইনি বিষয়বস্তু অপসারণের ক্ষমতা দিয়েছে।

২০১৯ সালের নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয়বারের মতো কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে বিজেপি। তারা জয় পায় ৩০৩টি আসনে। আর বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পায় ৩৫৩ আসন। ওই নির্বাচনে বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৩৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৮৯ সালের পর ভারতের কোনো রাজনৈতিক দল এত বেশি ভোট আর পায়নি।

ওই নির্বাচনে মাত্র ৫২ আসনে জয় পেয়েছিল শতাব্দীপ্রাচীন দল কংগ্রেস। আর কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট জিতেছিল ৯৮ আসনে।

আরও পড়ুন:
নির্বাচনের আগে পেট্রল ডিজেলের দাম কমাল ভারত
বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করল মোদি সরকার

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
82 thousand crore likely to be revenue shortfall CPD

৮২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি হতে পারে: সিপিডি

৮২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি হতে পারে: সিপিডি ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে শনিবার ‘জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫: সিপিডির সুপারিশমালা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, ‘চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা এখনও অর্জিত হয়নি। বাকি ছয় মাসে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে প্রায় ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ হারে রাজস্ব সংগ্রহ করতে হবে, যা হবে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।’

চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ। অথচ অর্থবছরের অর্ধেক সময় শেষে ডিসেম্বর নাগাদ প্রাপ্তি মাত্র ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ। এমনটা উল্লেখ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) উল্লেখ করেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে সরকারের বাজেট ঘাটতি ৮২ হাজার কোটি টাকা হবে।

দেশের শীর্ষস্থানীয় এই থিঙ্ক ট্যাঙ্কের নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, ‘চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা এখনও অর্জিত হয়নি। বাকি ছয় মাসে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে প্রায় ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ হারে রাজস্ব সংগ্রহ করতে হবে, যা হবে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।’

এতে দেশের রাজস্ব ঘাটতি ৮২ হাজার কোটি টাকা দাঁড়াতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব নিয়ে শনিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিপিডি এসব কথা বলেছে।

ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫: সিপিডির সুপারিশমালা’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানটির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, গবেষক মুনতাসীর কামাল প্রমুখ।

দেশের অর্থনীতি এক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বড় ধরনের চাপের মধ্যে আছে। বিশেষত মূল্যস্ফীতির চাপে মানুষের জীবনযাত্রা সংকটে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করাই ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত বলে মনে করে সিপিডি।’

তিনি বলেন, ‘এমন একটা সময় বাজেট প্রণয়ন হতে যাচ্ছে যখন সামষ্টিক অর্থনীতি নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকে তারল্য সংকট, বাজেট বাস্তবায়নে নিম্ন ও স্লথ গতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নগামী এবং রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স নিচের দিকে।

‘এই পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বিশেষ করে উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও নিম্ন মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য সূচক যেখানে থাকার কথা সেটা নেই; বরং চরমভাবে চাপের মুখে পড়েছে। এর কারণ আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দুটোই।’

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘বাজেট প্রণয়ন হয় এক বছরের জন্য। বাজেটে যে নির্দেশনা থাকবে সেগুলো যেন চ্যালেঞ্জগুলো মেটাতে পদক্ষেপ নিতে পারে। মূল্যস্ফীতির চাপ কমানো, টাকার বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা রাখা ও দরিদ্র মানুষের স্বার্থের দিকে নজর দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের উন্নয়ন ব্যয়ও কমেছে। গত বছর ২৭ শতাংশের মতো থাকলেও এখন তা ২৫ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।

সিপিডির মতে, নীতিনির্ধারকদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা। বৈদেশিক মুদ্রার হারকে স্থিতিশীল করা এবং মূল্যস্ফীতি কমানোর দিকে নজর দিতে হবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে দুর্বল ও সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর জন্য সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।’

সিপিডির সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- অর্থপাচার রোধে এনবিআরের শক্তিশালী ভূমিকা নেয়া, অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ বন্ধ করা, করদাতাদের হয়রানি বন্ধ করা, ইএফডি যন্ত্র সহজলভ্য করা এবং ওষুধের ওপর ভ্যাট কমানো।

সিপিডির পক্ষ থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ও আমদানি করা বই- এসবে শুল্ক, ভ্যাট এবং কর কমানোরও প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ ছাড়া সবাই বিদ্যুতে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বন্ধ চায়: সিপিডি
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর পরিবর্তে সামাজিক বিমা চায় সিপিডি
ব্যাংকিং খাত দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে: সিপিডি
দেশ খাদের কিনারে, একতরফা নির্বাচনে সংকট আরও বাড়বে: দেবপ্রিয়
পোশাক শিল্পে ন্যূনতম ১৭,৫৬৮ টাকা মজুরির সুপারিশ সিপিডির

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Opportunity to visit Makkah Madinah if cash is traded in Islami

নগদ ইসলামিকে লেনদেনে মক্কা-মদিনায় যাওয়ার সুযোগ

নগদ ইসলামিকে লেনদেনে মক্কা-মদিনায় যাওয়ার সুযোগ নগদের নতুন ক্যাম্পেইনের পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত
নগদের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আমিনুল হক বলেন, ‘এমএফএস হিসেবে নগদই প্রথম ইসলামিক এমএফএস সেবা চালু করেছে। আমরা চাই ধর্মীয় বিধিবিধান মেনে চলা মুসলমান গ্রাহকেরা তাদের পছন্দমতো লেনদেন যেন নগদ ইসলামিকের মাধ্যমে করতে পারেন। অনেকের মক্কা-মদিনা ভ্রমণের ইচ্ছাপূরণ করার জন্য আমরা নতুন ক্যাম্পেইন নিয়ে এসেছি।’

পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মুসলিমদের জন্য একটি অফার নিয়ে এসেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান নগদ।

নগদ ইসলামিক অ্যাপ বা *১৬৭# ডায়াল করে মোবাইল রিচার্জ, পেমেন্ট, ব্যাংক বা কার্ড থেকে অ্যাড মানিসহ যেকোনো লেনদেন করে মক্কা ও মদিনা সফরের সুযোগ পেতে পারেন গ্রাহকরা।

শর্ত হলো নগদ ইসলামিকের ব্যবহারকারী হতে হবে এবং পরিপূর্ণ সক্রিয় একটি নগদ ইসলামিক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।

যদি কোনো নগদ ইসলামিক গ্রাহক মক্কা-মদিনা সফরের জন্য মনোনীত হন, তাহলে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে তাকে নগদ ইসলামিকের গ্রাহক সেবা থেকে এসএমএস, কলের মাধ্যমে জানানো হবে এবং উপহার গ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট তারিখ ও স্থানে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে উপস্থিত হতে হবে।

নগদ ইসলামিক শুধু বিজয়ী নির্বাচন, ঘোষণা এবং পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে দায়বদ্ধ থাকবে।

নতুন এই ক্যাম্পেইনের বিষয়ে নগদের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আমিনুল হক বলেন, ‘এমএফএস হিসেবে নগদই প্রথম ইসলামিক এমএফএস সেবা চালু করেছে। আমরা চাই ধর্মীয় বিধিবিধান মেনে চলা মুসলমান গ্রাহকেরা তাদের পছন্দমতো লেনদেন যেন নগদ ইসলামিকের মাধ্যমে করতে পারেন। অনেকের মক্কা-মদিনা ভ্রমণের ইচ্ছাপূরণ করার জন্য আমরা নতুন ক্যাম্পেইন নিয়ে এসেছি।’

আরও পড়ুন:
মাস্টারকার্ড ‘এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেল নগদ
নগদ-দারাজ ক্যাম্পেইনের প্রথম পুরস্কার আইফোন-১৫ হস্তান্তর
‘নগদ’ রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইন: মোটরসাইকেলসহ মেগা গিফট
পল্লী বিদ্যুতের সব বিল দেয়া যাবে নগদে
বিশ্বকাপের সব ম্যাচ দেখা যাবে মাত্র ৬০ টাকায়

মন্তব্য

p
উপরে