পুঁজিবাজারে তিন কর্মদিবস লেনদেন ও সূচক বাড়ার পর কমল দুই কর্মদিবস।
অর্থনৈতিক চাপ ও রাজনৈতিক উত্তাপ- দুটো নিয়েই যখন স্বস্তির আভাস, তখন পুঁজিবাজারের ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিতের পর আবার উল্টো যাত্রায় গণিতে বানরের অঙ্ককেই আবার সামনে নিয়ে এসেছে।
চলতি সপ্তাহের প্রথম তিন দিনে ৪৩ পয়েন্ট সূচক বাড়ার পাশাপাশি লেনদেন তিন শ কোটির ঘর থেকে বেড়ে ছয় শ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার পর চতুর্থ দিনেই পতন দেখা দেয়। বুধবার ১০ পয়েন্টের পরে বৃহস্পতিবার আরও ৩ পয়েন্ট কমল সূচক।
অর্থনৈতিক সংকটের শঙ্কার মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার আভাসে নভেম্বর আর ডিসেম্বরে গতি হারিয়ে পুঁজিবাজারের লেনদেন নামে ২০ মাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে।
১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের পর রাজনৈতিক উত্তেজনা কমে আসার পর গত তিন দিন পুঁজিবাজারেও বাড়ে গতি।
সমাবেশের আগের কর্মদিবসে লেনদেন ছিল ২৯৫ কোটি ৭৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা। সমাবেশের পরের কর্মদিবস রোববার তা বেড়ে হয় ৪১৪ কোটি ৮৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
সোমবার সেখান থেকে আরও খানিকটা বেড়ে গত ১৪ নভেম্বরের পর প্রথমবারের মতো ছাড়ায় পাঁচ শ কোটির ঘর। হাতবদল হয় ৫৬৮ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার এখান থেকেও আরও কিছুটা বেড়ে হয় ৬১৬ কোটি ৪১ লাখ ৮১ হাজার টাকা।
অন্যদিকে সূচক রোববার বাড়ে ১১ পয়েন্ট, সোমবার ২৭ পয়েন্ট এবং মঙ্গলবার বাড়ে ৪ পয়েন্ট। গত দুই মাসে টানা তিন দিন সূচক ও লেনদেন বাড়ার বিষয়টি এর আগে দেখা যায়নি বললেই চলে।
তবে তিন দিনের পর সেটি আর চার হয়নি। চতুর্থ দিনে এসে আবার কমে যায় লেনদেন। হাতবদল হয় ৪৩০ কোটি ২০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। আগের দিনের চেয়ে কমে প্রায় এক তৃতীয়াংশ বা ১৮৬ কোটি ২০ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার সেটি আরও কিছুটা কমে হাতবদল হয়েছে ৪২৫ কোটি ২৭ লাখ ১৪ হাজার টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।
টানা দ্বিতীয় দিন কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর। ৩৬টির দরবৃদ্ধির বিপরীতে হারিয়েছে ৫৩টির। আগের দিন ২৭টির বৃদ্ধির বিপরীতে দর হারায় ৬৮টি। আগের দিনের দর বা ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হয়েছে ২৩৪টির। গতকাল এ তালিকায় ছিল ২৪৬টি কোম্পানি।
রেকর্ড ডেটের কারণে লেনদেন বন্ধ ছিল ৪টি কোম্পানির। বাকি ৬৮টি কোনো ক্রেতা ছিল না।
পুঁজিবাজারের লেনদেন নিয়ে শার্প সিকিউরিটিজের পরিচালক সৈয়দ গোলাম ওয়াদুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তিন উত্থানের পরে আবার দুই দিন পতন, তার মানে হলো এর চেয়ে কম দামে বেচার লোক নেই, আর বেশি দামে কেনার লোক নেই।’
তিনি বলেন, ‘বাজার একটু লেভেলে আসছে। এর চেয়ে বেশি পতন হচ্ছে না। উঠছে, আবার নামছে। বাজারের একটা টার্ম হলো মার্কেট কনসোলিডেট করা, অর্থাৎ পতনের পরে এক জায়গায় আবর্তিত হতে থাকে, সেখান থেকে কোনো এক দিকে ধাবিত হয়। সেটা ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে আবার নিম্নমুখীও হতে পারে।’
শীর্ষ ৫ খাত
কোনো খাতেই লেনদেন শত কোটির ঘর অতিক্রম করতে পারেনি। সবচেয়ে বেশি ৭৩ কোটি ১০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে, যা লেনদেনের ২১.৮৫ শতাংশ। আগের দিন এ খাতের লেনদেন ছিল ৭৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বা ২০.৭৪ শতাংশ। এদিন খাতের তিনটি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে আটটির কমেছে ও ২০টির অপরিবর্তিত দরে লেনদেন হয়েছে।
আগের দিনের মতোই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রযুক্তি খাত। খাতটিতে হাতবদল হয়েছে ৪৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, যা গতকাল ছিল ৫৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এদিন ৪টি দরবৃদ্ধির বিপরীতে পাঁচটির কমেছে ও একটির অপরিবর্তিত থেকে লেনদেন হয়েছে।
তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে প্রকৌশল খাত। লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের দিন এটি ছিল ৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এদিন ৬টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি ও ২টির দরপতনের বিপরীতে ২৭টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে।
লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে। লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ৭০ লাখ টাকা, আগের দিন এটি ছিল ৩১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
এদিন খাতের ৪টি করে কোম্পানির দরপতন ও দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৮টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে আগের দরে।
পঞ্চম স্থানে থাকা সিরামিকস খাতে হাতবদল হয়েছে ৩১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এ খাতে কোনো দরপতন হয়নি। ১টির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৪টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে।
সূচকে প্রভাব যাদের
সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন। কোম্পানির দর কমেছে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ।
বিকন ফার্মার দর ১ দশমিক ১৩ শতাংশ হ্রাসে সূচক কমেছে ১ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট।
কেডিএস অ্যাক্সেসরিজের কারণে সূচক হারিয়েছে ১ দশমিক ০১ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ৭ দশমিক ১২ শতাংশ।
এ ছাড়াও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, সি-পার্ল, সালভো কেমিক্যাল, লুবরেফ বাংলাদেশ, ইউনিক হোটেল, ওরিয়ন ফার্মা ও বিডি থাইফুডের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৯ দশমিক ৩০ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ১১ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে কোহিনূর কেমিক্যাল। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৩ দশমিক ৬২ শতাংশ।
মুন্নু সিরামিকসের দর ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮৭ পয়েন্ট।
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ৭৭ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ১ দশমিক ২৭ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে বেক্সিমকো ফার্মা, বাটা সুজ, মনোস্পুল, ইসলামী ব্যাংক, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, বসুন্ধরা পেপার ও পূবালী ব্যাংক।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭০ পয়েন্ট।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ দর বেড়ে মুন্নু সিরামিকসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩৮ টাকা ৩০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ১২৮ টাকা ৭০ পয়সা।
এরপরেই ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ দর বেড়ে মনোস্পুলের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৩২ টাকা ২০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ৩১২ টাকা ৭০ পয়সা।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল অ্যাপেক্স ফুডস। ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ৩০৯ টাকা ৭০ পয়সায়। আগের দিনে শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ২৯৩ টাকা।
এ ছাড়া তালিকায় ছিল হাক্কানি পাল্প, কে অ্যান্ড কিউ, নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিং, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, পেপার প্রসেসিং, কোহিনূর কেমিক্যাল ও বিডি ল্যাম্পস।
দরপতনের শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ দর কমেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের। প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭২০ টাকা ৩০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ৭৭৮ টাকা ৭০ পয়সা।
এর পরেই ৭ দশমিক ১১ শতাংশ দর কমে কেডিএস অ্যাক্সেসরিজের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৭ টাকায়। আগের দিনের দর ছিল ৮২ টাকা ৯০ পয়সা।
সালভো কেমিক্যালের শেয়ারদর ৬ দশমিক ২২ শতাংশ কমে লেনদেন হয়েছে ৬১ টাকা ৮০ পয়সায়। আগের দিন দর ছিল ৬৫ টাকা ৯০ পয়সা।
এ ছাড়া তালিকায় পরের স্থানে জুট স্পিনার্স, লুবরেফ বাংলাদেশ, বিডি থাই ফুড, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স ও ই-জেনারেশন।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য