পুঁজিবাজারে তিন কর্মদিবস লেনদেন ও সূচক বাড়ার পর কমল দুই কর্মদিবস।
অর্থনৈতিক চাপ ও রাজনৈতিক উত্তাপ- দুটো নিয়েই যখন স্বস্তির আভাস, তখন পুঁজিবাজারের ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিতের পর আবার উল্টো যাত্রায় গণিতে বানরের অঙ্ককেই আবার সামনে নিয়ে এসেছে।
চলতি সপ্তাহের প্রথম তিন দিনে ৪৩ পয়েন্ট সূচক বাড়ার পাশাপাশি লেনদেন তিন শ কোটির ঘর থেকে বেড়ে ছয় শ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার পর চতুর্থ দিনেই পতন দেখা দেয়। বুধবার ১০ পয়েন্টের পরে বৃহস্পতিবার আরও ৩ পয়েন্ট কমল সূচক।
অর্থনৈতিক সংকটের শঙ্কার মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার আভাসে নভেম্বর আর ডিসেম্বরে গতি হারিয়ে পুঁজিবাজারের লেনদেন নামে ২০ মাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে।
১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের পর রাজনৈতিক উত্তেজনা কমে আসার পর গত তিন দিন পুঁজিবাজারেও বাড়ে গতি।
সমাবেশের আগের কর্মদিবসে লেনদেন ছিল ২৯৫ কোটি ৭৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা। সমাবেশের পরের কর্মদিবস রোববার তা বেড়ে হয় ৪১৪ কোটি ৮৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
সোমবার সেখান থেকে আরও খানিকটা বেড়ে গত ১৪ নভেম্বরের পর প্রথমবারের মতো ছাড়ায় পাঁচ শ কোটির ঘর। হাতবদল হয় ৫৬৮ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার এখান থেকেও আরও কিছুটা বেড়ে হয় ৬১৬ কোটি ৪১ লাখ ৮১ হাজার টাকা।
অন্যদিকে সূচক রোববার বাড়ে ১১ পয়েন্ট, সোমবার ২৭ পয়েন্ট এবং মঙ্গলবার বাড়ে ৪ পয়েন্ট। গত দুই মাসে টানা তিন দিন সূচক ও লেনদেন বাড়ার বিষয়টি এর আগে দেখা যায়নি বললেই চলে।
তবে তিন দিনের পর সেটি আর চার হয়নি। চতুর্থ দিনে এসে আবার কমে যায় লেনদেন। হাতবদল হয় ৪৩০ কোটি ২০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। আগের দিনের চেয়ে কমে প্রায় এক তৃতীয়াংশ বা ১৮৬ কোটি ২০ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার সেটি আরও কিছুটা কমে হাতবদল হয়েছে ৪২৫ কোটি ২৭ লাখ ১৪ হাজার টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।
টানা দ্বিতীয় দিন কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর। ৩৬টির দরবৃদ্ধির বিপরীতে হারিয়েছে ৫৩টির। আগের দিন ২৭টির বৃদ্ধির বিপরীতে দর হারায় ৬৮টি। আগের দিনের দর বা ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হয়েছে ২৩৪টির। গতকাল এ তালিকায় ছিল ২৪৬টি কোম্পানি।
রেকর্ড ডেটের কারণে লেনদেন বন্ধ ছিল ৪টি কোম্পানির। বাকি ৬৮টি কোনো ক্রেতা ছিল না।
পুঁজিবাজারের লেনদেন নিয়ে শার্প সিকিউরিটিজের পরিচালক সৈয়দ গোলাম ওয়াদুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তিন উত্থানের পরে আবার দুই দিন পতন, তার মানে হলো এর চেয়ে কম দামে বেচার লোক নেই, আর বেশি দামে কেনার লোক নেই।’
তিনি বলেন, ‘বাজার একটু লেভেলে আসছে। এর চেয়ে বেশি পতন হচ্ছে না। উঠছে, আবার নামছে। বাজারের একটা টার্ম হলো মার্কেট কনসোলিডেট করা, অর্থাৎ পতনের পরে এক জায়গায় আবর্তিত হতে থাকে, সেখান থেকে কোনো এক দিকে ধাবিত হয়। সেটা ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে আবার নিম্নমুখীও হতে পারে।’
শীর্ষ ৫ খাত
কোনো খাতেই লেনদেন শত কোটির ঘর অতিক্রম করতে পারেনি। সবচেয়ে বেশি ৭৩ কোটি ১০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে, যা লেনদেনের ২১.৮৫ শতাংশ। আগের দিন এ খাতের লেনদেন ছিল ৭৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বা ২০.৭৪ শতাংশ। এদিন খাতের তিনটি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে আটটির কমেছে ও ২০টির অপরিবর্তিত দরে লেনদেন হয়েছে।
আগের দিনের মতোই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রযুক্তি খাত। খাতটিতে হাতবদল হয়েছে ৪৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, যা গতকাল ছিল ৫৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এদিন ৪টি দরবৃদ্ধির বিপরীতে পাঁচটির কমেছে ও একটির অপরিবর্তিত থেকে লেনদেন হয়েছে।
তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে প্রকৌশল খাত। লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের দিন এটি ছিল ৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এদিন ৬টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি ও ২টির দরপতনের বিপরীতে ২৭টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে।
লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে। লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ৭০ লাখ টাকা, আগের দিন এটি ছিল ৩১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
এদিন খাতের ৪টি করে কোম্পানির দরপতন ও দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৮টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে আগের দরে।
পঞ্চম স্থানে থাকা সিরামিকস খাতে হাতবদল হয়েছে ৩১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এ খাতে কোনো দরপতন হয়নি। ১টির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৪টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে।
সূচকে প্রভাব যাদের
সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন। কোম্পানির দর কমেছে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ।
বিকন ফার্মার দর ১ দশমিক ১৩ শতাংশ হ্রাসে সূচক কমেছে ১ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট।
কেডিএস অ্যাক্সেসরিজের কারণে সূচক হারিয়েছে ১ দশমিক ০১ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ৭ দশমিক ১২ শতাংশ।
এ ছাড়াও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, সি-পার্ল, সালভো কেমিক্যাল, লুবরেফ বাংলাদেশ, ইউনিক হোটেল, ওরিয়ন ফার্মা ও বিডি থাইফুডের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৯ দশমিক ৩০ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ১১ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে কোহিনূর কেমিক্যাল। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৩ দশমিক ৬২ শতাংশ।
মুন্নু সিরামিকসের দর ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮৭ পয়েন্ট।
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ৭৭ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ১ দশমিক ২৭ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে বেক্সিমকো ফার্মা, বাটা সুজ, মনোস্পুল, ইসলামী ব্যাংক, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, বসুন্ধরা পেপার ও পূবালী ব্যাংক।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭০ পয়েন্ট।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ দর বেড়ে মুন্নু সিরামিকসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩৮ টাকা ৩০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ১২৮ টাকা ৭০ পয়সা।
এরপরেই ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ দর বেড়ে মনোস্পুলের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৩২ টাকা ২০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ৩১২ টাকা ৭০ পয়সা।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল অ্যাপেক্স ফুডস। ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ৩০৯ টাকা ৭০ পয়সায়। আগের দিনে শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ২৯৩ টাকা।
এ ছাড়া তালিকায় ছিল হাক্কানি পাল্প, কে অ্যান্ড কিউ, নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিং, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, পেপার প্রসেসিং, কোহিনূর কেমিক্যাল ও বিডি ল্যাম্পস।
দরপতনের শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ দর কমেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের। প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭২০ টাকা ৩০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ৭৭৮ টাকা ৭০ পয়সা।
এর পরেই ৭ দশমিক ১১ শতাংশ দর কমে কেডিএস অ্যাক্সেসরিজের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৭ টাকায়। আগের দিনের দর ছিল ৮২ টাকা ৯০ পয়সা।
সালভো কেমিক্যালের শেয়ারদর ৬ দশমিক ২২ শতাংশ কমে লেনদেন হয়েছে ৬১ টাকা ৮০ পয়সায়। আগের দিন দর ছিল ৬৫ টাকা ৯০ পয়সা।
এ ছাড়া তালিকায় পরের স্থানে জুট স্পিনার্স, লুবরেফ বাংলাদেশ, বিডি থাই ফুড, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স ও ই-জেনারেশন।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মন্তব্য