× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
The story of the monkey of mathematics in the capital market
google_news print-icon

পুঁজিবাজারে গণিতের সেই বানরের গল্প

পুঁজিবাজারে-গণিতের-সেই-বানরের-গল্প
১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের পর রাজনৈতিক উত্তেজনা কমে আসায় গত তিন দিন পুঁজিবাজারেও বাড়ে গতি। সমাবেশের আগের কর্মদিবসে লেনদেন ছিল ২৯৫ কোটি ৭৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা। তিন কর্মদিবস বেড়ে মঙ্গলবার লেনদেন ছাড়ায় ছয় শ কোটির ঘর। টানা তিন দিন বাড়ে সূচকও। তবে বুধবার লেনদেন আবার চার শ কোটির ঘরে নেমে গেছে।

তিন কদম উঠে এক কদম পিছলে গেলে একটি নির্দিষ্ট উচ্চতার বাঁশে উঠতে কত সময় লাগবে- গণিতে বহুল ব্যবহৃত এই গল্পের কাহিনি যেন পুঁজিবাজারে। তিন দিনে ৪৩ পয়েন্ট সূচক বাড়ার পাশাপাশি লেনদেন তিন শ কোটির ঘর থেকে বেড়ে ছয় শ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার পর চতুর্থ দিনেই ধপাস।

বুধবার সূচকের ১০ পয়েন্ট পতন হয়তো খুব একটা ধর্তব্যের নয়। কারণ, এই উত্থানপতন একটি স্বাভাবিক চিত্র। অর্থনৈতিক সংকটের শঙ্কার মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার আভাসে নভেম্বর আর ডিসেম্বরে গতি হারিয়ে পুঁজিবাজারের লেনদেন নামে ২০ মাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে।

১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের পর রাজনৈতিক উত্তেজনা কমে আসার পর গত তিন দিন পুঁজিবাজারেও বাড়ে গতি।

সমাবেশের আগের কর্মদিবসে লেনদেন ছিল ২৯৫ কোটি ৭৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা। সমাবেশের পরের কর্মদিবস রোববার তা বেড়ে হয় ৪১৪ কোটি ৮৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা।

সোমবার সেখান থেকে আরও খানিকটা বেড়ে গত ১৪ নভেম্বরের পর প্রথমবারের মতো ছাড়ায় পাঁচ শ কোটির ঘর। হাতবদল হয় ৫৬৮ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার টাকা।

মঙ্গলবার এখান থেকেও আরও কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৬১৬ কোটি ৪১ লাখ ৮১ হাজার টাকা।

অন্যদিকে সূচক রোববার বাড়ে ১১ পয়েন্ট, সোমবার ২৭ পয়েন্ট এবং মঙ্গলবার বাড়ল ৪ পয়েন্ট। গত ‍দুই মাসে টানা তিন দিন সূচক ও লেনদেন বাড়ার বিষয়টি এর আগে দেখা যায়নি বললেই চলে।

তবে তিন দিনের পর সেটি আর চার হয়নি। চতুর্থ দিনে এসে আবার কমে গেছে লেনদেন। হাতবদল হয়েছে ৪৩০ কোটি ২০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। আগের দিনের চেয়ে কমেছে প্রায় এক তৃতীয়াংশ বা ১৮৬ কোটি ২০ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।

কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর। ২৭টির বৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ৬৮টি। আগের দিনের দরে ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হয়েছে ২৪৬টি কোম্পানি।

রেকর্ড ডেটের কারণে লেনদেন বন্ধ ছিল দুটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কোম্পানির। বাকি ৪৮টি কোনো ক্রেতা ছিল না।

পুঁজিবাজারে গণিতের সেই বানরের গল্প
তিন দিন বাড়ার পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন আবার ধপাস। সেই সঙ্গে কমল শেয়ারদর ও মূল্য সূচক

লেনদেনের বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজারের ওঠানামার মধ্যে সুযোগ পেলে প্রফিট টেকিং হয় আরকি। কয়েকদিন বাড়ার পরে একটু সুযোগ পাওয়া অনেকে বিক্রি করে কিছুটা প্রফিট তুলে নেয়। এ ছাড়া আর কিছুই নয়।’

কোন খাত কেমন

লেনদেন চার শ কোটির ঘরে নেমে আসার সঙ্গে কমেছে খাতভিত্তিক লেনদেনের পরিমাণও। কোনো খাতেই শত কোটির ঘরে লেনদেন হয়নি। প্রযুক্তি, কাগজ ও জীবন বিমা খাতে দরপতনের পাল্লা ছিল ভারী। বাকি খাতে আর অপরিবর্তিত দরে লেনদেনের সংখ্যা বেশি ছিল।

সবচেয়ে বেশি ৭৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে, যা লেনদেনের ২০.৭৪ শতাংশ। আগের দিন লেনদেন ছিল ১২১ কোটি ১০ লাখ টাকা বা ৩৪.০৪ শতাংশ।

এদিন খাতের তিনটি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে নয়টির কমেছে ও ১৮টি অপরিবর্তিত দরে লেনদেন হয়েছে।

সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রযুক্তি খাতে। ৯টির দরপতনের বিপরীতে কেবল একটির দর বেড়ে লেনদেন হয়েছে। খাতটিতে হাতবদল হয়েছে ৫৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, যা লেনদেনের ১৪.৯৯ শতাংশ। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ৯২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

তৃতীয় স্থানে থাকা জ্বালানি খাতে লেনদেন হয়েছে ৩৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ১৮টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ফ্লোর প্রাইসে। তিনটির দর বেড়েছে, দুটির কমেছে।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আগের দিন ছিল ৩৯ কোটি ৮ লাখ টাকা। খাতের চারটি করে কোম্পানির দরপতন ও দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৯টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে ফ্লোর প্রাইসে।

পঞ্চম স্থানে থাকা প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। এদিন দুটি কোম্পানির দরবৃদ্ধি ও ছয়টির দরপতনের বিপরীতে ৩০টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে।

বাকি খাতে লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটির নিচে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি খাতের অপরিবর্তিত দরে লেনদেন করা কোম্পানির হার বেশি। সাধারণ বিমা ৩০টি বা ৭১.৪৩ শতাংশ, ব্যাংক ৩০টি বা ৯০.৯১ শতাংশ, বস্ত্র ৪৩টি বা ৯৩.৪৮ শতাংশ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ১৮টি বা ৯০ শতাংশ ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২০টি বা ৯৫.২৪ শতাংশ কোম্পানির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে।

সূচকে প্রভাব যাদের

সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন। কোম্পানির দর কমেছে ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

বেক্সিমকো ফার্মার দর ১ দশমিক ২৭ শতাংশ হ্রাসে সূচক কমেছে ১ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট।

ওরিয়ন ফার্মার কারণে সূচক হারিয়েছে শূন্য দশমিক ৯৬ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ২ দশমিক ১৪ শতাংশ।

এ ছাড়াও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বসুন্ধরা পেপার মিল, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, নাভানা ফার্মা, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও জেনেক্স ইনফোসিসের দরপতনে সূচক কমেছে।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৯ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট।

বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ২১ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে কোহিনূর কেমিক্যালস। কোম্পানিটি শেয়ারদর বেড়েছে ৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

সি-পার্লের দর ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬০ পয়েন্ট।

ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং স্টেশন সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ৫১ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে বিডি থাই ফুড, বাটা সুজ, পূবালী ব্যাংক, সোনালী আঁশ, অ্যাপেক্স ফুডস, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার ও কে অ্যান্ড কিউ।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৪ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট।

দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০

এই তালিকায় আগের দিনের মতোই স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলো দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় ছিল।

সবচেয়ে বেশি ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ দর বেড়ে কোহিনূর কেমিক্যালের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৯৭ টাকা ৪০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ৪৫৮ টাকা ৭০ পয়সা।

৮ দশমিক ৭১ শতাংশ দর বেড়ে নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৫৫ টাকা ৭০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ২৩৫ টাকা ২০ পয়সা।

তৃতীয় স্থানে ছিল জুট স্পিনার্স। ৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ৩২২ টাকা ৭০ পয়সায়। আগের দিনে শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ২৯৭ টাকা ৬০ পয়সায়।

তালিকায় ছিল ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং স্টেশন, সোনালী আঁশ, কে অ্যান্ড কিউ, অ্যাপেক্স ফুডস, বিডি থাই ফুড, বিডি ওয়েল্ডিং ও জেমিনি সি ফুড। এর মধ্যে ইন্ট্রাকো ছাড়া সবই স্বল্প মূলধনি। আর বিডি থাই ফুডের শেয়ার সংখ্যাও বেশি নয় খুব একটা।

দরপতনের শীর্ষ ১০

সবচেয়ে বেশি ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ দর কমেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের। প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৭৮ টাকা ৭০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ৮৪১ টাকা ৫০ পয়সা।

এর পরেই ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ দর কমে মুন্নু অ্যাগ্রোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮১১ টাকা ৬০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ৮৫৭ টাকা ৭০ পয়সা।

অ্যাম্বি ফার্মার শেয়ারদর ৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ কমে লেনদেন হয়েছে ৫৫১ টাকা ৩০ পয়সায়। আগের দিন দর ছিল ৫৭৯ টাকা ৭০ পয়সা।

এ ছাড়া তালিকায় পরের স্থানে ছিল তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, আমরা টেকনোলজিস, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, রংপুর ফাউন্ড্রি, বিডি কম, হাক্কানি পাল্প ও আইটি কনসালট্যান্টস।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে উত্থান, ৮৯ কোম্পানি ঘিরে লেনদেন
সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগে আনার উদ্যোগ
পুঁজিবাজারের লেনদেন ফের ২০০ কোটির ঘরে
বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল পুঁজিবাজার চায় বিমা কোম্পানি
আইসিবি এগিয়ে আসার খবরেও পুঁজিবাজার নিষ্প্রাণ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Capital market crisis due to lack of institutional investment Salman F Rahman

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের অভাবে পুঁজিবাজারের সংকট: সালমান এফ রহমান

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের অভাবে পুঁজিবাজারের সংকট: সালমান এফ রহমান রাজধানীতে ২০২৩-২৪ প্রাক-বাজেট আলোচনায় বুধবার প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। ছবি: নিউজবাংলা
‘আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেটের একটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্ট্রাকচারাল ডিফেট (কাঠামোগত দুর্বলতা) রয়ে গেছে। আমরা অনেকেই অনেক কথা বলি কিন্তু এসব দুর্বলতা সমাধানে যেসব কাজ করা দরকার আমরা তা করছি না।’

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ না থাকাকে দেশের পুঁজিবাজারের চলমান তারল্য সংকটের মূল কারণ হিসেবে দেখছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান (সালমান এফ রহমান)।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেটের একটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্ট্রাকচারাল ডিফেট (কাঠামোগত দুর্বলতা) রয়ে গেছে। আমরা অনেকেই অনেক কথা বলি কিন্তু এসব দুর্বলতা সমাধানে যেসব কাজ করা দরকার আমরা তা করছি না।’

বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), দৈনিক সমকাল এবং চ্যানেল ২৪-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ২০২৩-২৪ প্রাক-বাজেট আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সালমান এফ রহমান।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি এ বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি এনালাইসিস করে দেখেছি যে, আমাদের দৈনিক যে লেনদেন এতে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ হচ্ছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের। আর ৫ থেকে ১০ শতাংশ হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী। আইসিবি টোটালি ইনঅ্যাকটিভ (নিষ্ক্রিয়), এছাড়া সিটি ব্যাংক ও অন্যান্য বিনিয়োগকারী ব্যাংক রয়েছে তারা দৈনিক লেনদেনের ৫ শতাংশ অংশগ্রহণ করছে। মূল সমস্যাটা এই জায়গাতেই।’

তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দেশের ফ্রন্টিয়ার মার্কেটে দৈনিক লেনদেনে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ থাকে ৯০ শতাংশ আর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী থাকে ১০ শতাংশ।’

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আমি আজকেও এটা শুনেছি যে, কথার কথায় সবাই বলে ছোট বিনিয়োগকারীদের আমাদের বাঁচাতে হবে। ছোট বিনিয়োগকারীকে রক্ষা করা তো সরকারের দায়িত্ব না। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের এখানে বিনিয়োগ করাই উচিত না। তাদের উচিত প্রাতিষ্ঠানিক মাধ্যমে বিনিয়োগ করা।

‘এখানে আমরা শুধু ব্রোকারকে ব্যবহার করি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে, কিন্তু বিনিয়োগের সিদ্ধান্তগুলো একজন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী হিসেবে আমি নিজে নিচ্ছি। আর যখনই আমার ভুলের কারণে আমি লস করি তখন দায়িত্বটা সরকারে হয়ে যাবে। বাহ খুব সুন্দর।’

প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, ‘এই স্ট্রাকচারাল ডিফেটটা (কাঠামোগত দুর্বলতা) যদি আমরা না ঠিক করতে পারি, তাহলে আমাদের পুঁজিবাজার বড় করা অনেক বেশি কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।’

সালমান এফ রহামন বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি বিশ্বব্যাপী সমস্যা। রিজার্ভের সমস্যা সমাধানে আমরা আমদানি কমাতে সক্ষম হয়েছি। আগামী জুনে রিজার্ভ নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে, আইএমএফ ঋণ দেবে না বিভিন্ন আশঙ্কা করেছিলেন অনেকে। কিন্তু আইএমএফ থেকে ঋণ পাওয়া গেছে। প্রথম দফায় ঋণ ছাড়ও হয়েছে। ব্যাংক সুদের হার সীমা তুলে দেওয়া হচ্ছে। ম্যাক্রো ইকোনমিতে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে আমরা সঠিক পথেই আছি।’

তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজার চাঙা করতে বন্ড মার্কেটকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সব পণ্যে প্রণোদনা দিতে হবে। আমরা অনেক দেশ, এমনকি উন্নত দেশের তুলনায় ভালো আছি। বেসরকারি খাতের সহযোগিতায় আমরা অনেক ভালো পজিশনে আছি। কৃষি, প্রবাসী আয় ও রপ্তানি খাতের কারণে আমাদের পজিশন ধরে দেখতে পেরেছি।’

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘ট্যাক্স জিডিপি অনুপাত বিশ্বের মধ্যেই কম। ট্যাক্স নেট ও জিডিপি বাড়াতে হলে অটোমেশনের বিকল্প নেই। কাঠামোগত সমস্যা আছে, তা হচ্ছে পরোক্ষ করের নির্ভরশীলতা। এটা কমাতে হবে। প্রত্যক্ষ কর বাড়াতে হবে। বড় সমস্যা হচ্ছে আমরা এখনো রাজস্ব আদায়ে কাস্টমসের নির্ভরতা বেশি। এটা কমাতে হবে।

‘ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন যদি ২০১৪ সালে করতে পারতাম তাহলে এই সেক্টর নিয়ে এতো প্রশ্ন উঠতো না। কর আইন সহজ করতে হবে। কর নেট বৃদ্ধির কথা বলি, কিন্তু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কর দিতে চায় না। এটাই বাস্তবতা। সবাই করের আওতায় না এলে করনেট বৃদ্ধি কীভাবে হবে? ব্যবসায় লাভ করছে, কিন্তু কর দিতে সমস্যা কোথায়? সব জায়গায় কর অব্যাহতি দিলে কর কোথা থেকে আসবে।’

মেনমেইড ফাইবারে কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে মেনমেইড ফাইভার মেনমেইড ফাইভার শুরু করেছি। এতদিন আমরা কী করলাম? ইয়াংওয়ান ২০ বছর আগে এগুলো করেছে। বর্তমানে তারা বিলিয়ন ডলারের মেনমেইড করতেছে, তাদের কি ইনসেন্টিভ দেয়া হইছে? তাহলে আমরা কেন এতদিন বসে রইলাম?’

ডিসিসিআই সভাপতি সামীর সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সাবেক সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
১৭ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন ডিএসইতে
নামমাত্র লেনদেনে সূচকের উত্থান
বিনিয়োগ সীমার নিচের ব্যাংকগুলোতে কঠোর হচ্ছে বিএসইসি

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Minimum transaction within 17 working days on DSE

১৭ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন ডিএসইতে

১৭ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন ডিএসইতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বুধবার সব সূচকের পতন হয়। ফাইল ছবি
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বুধবার সব সূচকের পতন হয়। আজ প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ১৬ দশমিক ২৬ পয়েন্ট হারায়।

দেশের পুঁজিবাজারে সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবস বুধবার সূচক ও লেনদেনে ভাটা পড়েছে। আজ সূচক কমার সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।

প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার সব সূচকের পতন হয়। আজ প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ১৬ দশমিক ২৬ পয়েন্ট হারায়। সূচকটি অবস্থান নেয় ৬ হাজার ২০৬ পয়েন্টে।

‘ডিএসইএস’ ৩ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক ৫ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমেছে।

সূচকের পতনের সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেনও কমে। আজ ৩২৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়, যা গত ১৭ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

ডিএসইতে ৩১২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়। এর মধ্যে ২১৩টি কোম্পানির শেয়ারদরই ছিল অপরিবর্তিত। দর বেড়েছে ১৭ কোম্পানির, বিপরীতে ৮২ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে।

অপর বাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়। সিএসইতে ৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।

আরও পড়ুন:
সপ্তাহের শেষ দিনে সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন
ডিএসইর সা‌বেক পরিচালক গোলাম রসুলের মৃত্যু
ডিএসইতে লেনদেন ৭০০ কোটি ছাড়াল
সূচকের সামান্য পতনে লেনদেন শেষ পুঁজিবাজারে
ডিএসইতে সূচকের পতন, লেনদেন ৪৫০ কোটির বেশি

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Rise of index in nominal transactions

নামমাত্র লেনদেনে সূচকের উত্থান

নামমাত্র লেনদেনে সূচকের উত্থান ফাইল ছবি।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ৩৪৯ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বেশি। আর এই সামান্য লেনদেন বৃদ্ধিতেও আগের দিনের সূচকের সঙ্গে যোগ হয়েছে ১৮ দশমিক ৭২ পয়েন্ট।

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে মঙ্গলবার নামমাত্র লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, এদিন ৩৪৯ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বেশি। আর এই সামান্য লেনদেন বৃদ্ধিতেও আগের দিনের সূচকের সঙ্গে যোগ হয়েছে ১৮ দশমিক ৭২ পয়েন্ট। বর্তমানে ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ২২২ পয়েন্টে।

জানা গেছে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৫৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ২২০ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৫ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৭টির, কমেছে ১৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২৪টির।

অপর শেয়ারবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৮২ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৫৭টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫০টির দর বেড়েছে, কমেছে ১২টির এবং ৯৫টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে ১২ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

আরও পড়ুন:
বিনিয়োগ সীমার নিচের ব্যাংকগুলোতে কঠোর হচ্ছে বিএসইসি
রমজানে পুঁজিবাজারে লেনদেনের নতুন সময়সূচি
পুঁজিবাজার: এক মাস পর লেনদেন ফের ৩০০ কোটির ঘরে
সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেনও
সপ্তাহের শেষ দিনে সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The financial condition of the countrys banks is actually worse

‘দেশের ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা বাস্তবে আরও খারাপ’

‘দেশের ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা বাস্তবে আরও খারাপ’ পল্টনে সিএমজেএফ কার্যালয়ে সোমবার আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এফআরসি চেয়ারম্যান মো. হামিদ উল্লাহ ভূঁঞা। ছবি: নিউজবাংলা
এফআরসি চেয়ারম্যান মো. হামিদ উল্লাহ ভূঁঞা বলেন, ‘আইএফআরএস হচ্ছে হিসাব রক্ষণের আন্তর্জাতিক নিয়ম। বাংলাদেশেও আইএফআরএস ৯-এর নিয়ম মেনে হিসাব রাখার কথা। কিন্তু দেশের ব্যাংক খাতে তা মানা হচ্ছে না। বাংলাদেশে আইএফআরএস-এর সব আইন মানলে ব্যাংকের সম্পদ ৪০ শতাংশ অবলোপন করতে হবে বা কমে যাবে।’

বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো তাদের খেলাপি ঋণের হিসাব ঠিকমতো দেখাচ্ছে না। খেলাপি ঋণ হিসাবের আন্তর্জাতিক আইন মানা হলে ব্যাংকগুলোর সম্পদ আরও কম হতো। কিন্তু ব্যাংকগুলো সেই আইন না মেনে নিজেদের সম্পদ বাস্তবের চেয়ে বেশি দেখাচ্ছে।

ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) চেয়ারম্যান মো. হামিদ উল্লাহ ভূঁঞা সোমবার এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

পুঁজিবাজারভিত্তিক সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিট্যাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) দেশের পুঁজিবাজার নিয়ে ‘সিএমজেএফ টক’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে।

হামিদ উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশে আইএফআরএস মেনে হিসাব রাখার কথা। কিন্তু দেশের ব্যাংক খাতে আইএফআরএস ৯-এর নিয়ম মানা হচ্ছে না। বাংলাদেশে আইএফআরএস-এর সব আইন মানলে ব্যাংকের সম্পদ ৪০ শতাংশ অবলোপন করতে হবে বা কমে যাবে।

‘আইএফআরএস হচ্ছে হিসাব রক্ষণের আন্তর্জাতিক নিয়ম। এই নিয়মগুলো বিশ্বের সব দেশের কোম্পানি মেনে চলে, যাতে আর্থিক প্রতিবেদনগুলো স্বচ্ছ হয়।

‘আইএফআরএস-এর ৯ নম্বর আইনটিতে বলা আছে- কিভাবে একটি কোম্পানি তাদের আর্থিক দায় ও আর্থিক সম্পদের হিসাব রাখবে। ব্যাংক যে ঋণগুলো দেয় সেগুলো তাদের হিসাব বইয়ে আর্থিক সম্পদ হিসেবে থাকে। আন্তর্জাতিক মান ব্যবহার করলে এই ঋণ বা আর্থিক সম্পদ অনেক কম দেখাতে হতো।’

এফআরসি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের আর্থিক প্রতিবেদনে জালিয়াতি ঠেকাতে ২০১৫ সালে গড়ে তোলা হয় ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি)। এখন যদি কোনো হিসাব নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান আর্থিক প্রতিবেদনে জালিয়াতি করতে সাহায্য করে তাকে শাস্তির আওতায় আনা যায়।

‘এ মুহূর্তে আইএফআরএস-এর ৯ ধারা বাস্তবায়ন করা হলে ব্যাংকের সম্পদ ৪০ শতাংশ রাইট অফ (অবলোপন) করতে হবে। আমরা চাই এটি বাস্তবায়ন করা হোক। তাহলে ব্যাংকের প্রকৃত চিত্র উঠে আসবে।’

রাজধানীর পল্টনে সিএমজেএফ-এর নিজস্ব কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সভাপতি জিয়াউর রহমান। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।

হামিদ উল্লাহ ভূঁঞা বলেন, ‘খেলাপি ঋণ বছরের পর বছর টেনে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে। এই টাকা কি কখনো ফেরত পাওয়া যাবে? ব্যাংকগুলো যদি আদায় করতে সক্ষম হয় তাহলে সমস্যা নেই। তবে আমাদের দেশের সংস্কৃতিতে দেখি খেলাপি ঋণ আদায় করা যায় না। বরং ২ শতাংশ জমা দিয়ে এগুলোকে আবার নিয়মিত ঋণে কনভার্ট করা হয়।

‘এ ২ শতাংশ দিয়ে তো ইন্টারেস্ট (সুদ আয়) আসে না। কারণ ইন্টারেস্ট তার চেয়ে অনেক বেশি। অথচ রি-সিডিউল করে রেগুলার করা হচ্ছে। আর ওই ঋণখেলাপি তখন আরেক ব্যাংকে গিয়ে লোন নিচ্ছে।’

হামিদ উল্লাহ বলেন, ‘আমি মনে করি আইএফআরএস-৯ বাস্তবায়ন করা হোক। ব্যাংকের সব ফিগার রিটার্ন অফ করে ব্যাংক একটি সেটেলড পজিশনে আসুক। কিন্তু সম্ভব না। আমি অনেকবার চেষ্টা করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক এটা মেনেই নিচ্ছে না।’

এফআরসিতে নিবন্ধিত হতে হবে অডিটরদের

আগামী ৩০ মে-র মধ্যে অডিটরদের এফআরসিতে নিবন্ধিত হতে হবে। কোনো অডিটর নিবন্ধিত না হলে তিনি তালিকাভুক্ত কোম্পানিসহ জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান অডিট করতে পারবে না।

এফআরসি চেয়ারম্যান বলেন, কোনো কোম্পানির রাজস্ব ৫০ কোটি টাকা বা তার বেশি হলে, সেই কোম্পানি জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট কোম্পানি হিসেবে বিবেচিত হবে।

এ ধরনের প্রতিষ্ঠান আছে ৩ হাজার চার শ’র মতো। এর বাইরে আড়াই হাজারের মতো ক্ষুদ্র ঋণ দেয়া প্রতিষ্ঠান আছে। এগুলোও জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হবে। সব মিলিয়ে সাড়ে ৫ হাজারের মতো প্রতিষ্ঠান জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট হিসেবে বিবেচিত হবে। কোনো অডিটর এফআরসিতে তালিকাভুক্ত না হলে এসব প্রতিষ্ঠান অডিট করতে পারবে না।

নিয়ম মানছে না বিমা কোম্পানি

হামিদ উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, ‘জীবন বিমা কোম্পানিগুলো কখনও প্রফিট অ্যান্ড লস অ্যাকাউন্ট করে না। তারা একটা অ্যাকাউন্ট করে, সেটি হলো রেভিনিউ অ্যাকাউন্ট। কিন্তু আইএএস ১-এ স্পষ্ট বলা আছে, আপনার কোম্পানির নেচার যাই হোক না কেন প্রফিট অ্যান্ড লস অ্যাকাউন্ট করতে হবে। কিন্তু এরা তা করে না। এমনকি আমরা চিঠি দিলে রেসপন্সও করে না।

‘অন্যান্য রেগুলেটর কিছুটা হলেও রেসপন্স করে। এই একটা সেক্টর, যেখান থেকে আমরা আজ পর্যন্ত কোনো রেসপন্স পাইনি।’

এফআরসিকে শক্তিশালী করা হচ্ছে

হামিদ উল্লাহ ভূঁঞা বলেন, এফআরসিতে জনবল নিয়োগ দেয়ার পর আমি প্রথম হাত দেব ক্যাপিটাল মার্কেটে। আমি ক্যাপিটাল মার্কেটের কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনের স্বচ্ছতার অবস্থা দেখতে চাই। ক্যাপিটাল মার্কেটের কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনে যদি ম্যানিপুলেশন হয় তাহলে অনেক মার্জিনাল ইনভেস্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
BSEC is cracking down on banks below the investment limit

বিনিয়োগ সীমার নিচের ব্যাংকগুলোতে কঠোর হচ্ছে বিএসইসি

বিনিয়োগ সীমার নিচের ব্যাংকগুলোতে কঠোর হচ্ছে বিএসইসি
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানিগুলো একক হিসাবে মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫% ও সাবসিডিয়ারিসহ সমন্বিতভাবে ৫০% শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনেক ব্যাংক এর ধারে কাছেও নেই। অথচ ওইসব প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ারবাজার থেকে নিয়মিত অর্থ উত্তোলন করে ব্যবসার পরিধি বাড়িয়ে থাকে।

বিনিয়োগ সীমার অনেক নিচে বা তুলনামূলক সক্ষমতার কম শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা ব্যাংকগুলোর ওপর কঠোর হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এলক্ষ্যে মঙ্গলবার থেকে চিঠি ইস্যু করা হবে।

শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের মাধ্যমে সহায়তার প্রত্যাশা থাকে। কিন্তু ফেব্রুয়ারির তথ্য অনুযায়ী, অনেক ব্যাংকের বিনিয়োগ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সীমার তুলনায় কম। এই অবস্থায় ওইসব ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগে আনার জন্য পদক্ষেপ নিতে চিঠি ইস্যু করা হবে।

বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানিগুলো একক হিসাবে মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫% ও সাবসিডিয়ারিসহ সমন্বিতভাবে ৫০% শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনেক ব্যাংক এর ধারে কাছেও নেই। অথচ ওইসব প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ারবাজার থেকে নিয়মিত অর্থ উত্তোলন করে ব্যবসার পরিধি বাড়িয়ে থাকে।

এবার তাতে অনীহা প্রকাশ করতে যাচ্ছে বিএসইসি।

বিএসইসির একটি সূত্রে জানা গেছে, শেয়াবাজার থেকে অর্থ নিয়ে ব্যাংকগুলো বড় হচ্ছে। কিন্তু শেয়ারবাজারে তাদের বিনিয়োগে অনীহা। তাই ওইসব প্রতিষ্ঠানের বন্ডেও অনীহা প্রকাশ করবে বিএসইসি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, কমিশন নিয়মিতভাবে ব্যাংকের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের বিষয়টি তদারকি করে। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারির তথ্য অনুযায়ি অনেক ব্যাংকের বিনিয়োগ সক্ষমতার বা বিনিয়োগ সীমার তুলনায় কম। কিন্তু শেয়ারবাজারের সহায়তায় ব্যাংকের বিনিয়োগ প্রত্যাশা করা হয়। যে প্রত্যাশা পূরণে ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগে আনতে চিঠি দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, যেসব ব্যাংক শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সীমার অনেক তলনাতি বা তুলনামূলক কম বিনিয়োগ, সেসব কোম্পানির পারপিচ্যুয়াল ও সাবঅর্ডিনেটেড বন্ডে অনুমোদনের ক্ষেত্রে ধীরগতি নীতি অনুসরন করা হবে। আর যেসব প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সীমার কাছাকাছি বিনিয়োগ, সেগুলোকে সুপার ফাস্ট (দ্রুত গতিতে) বন্ডের অনুমোদন দেওয়া হবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
New schedule of trading in stock market during Ramadan

রমজানে পুঁজিবাজারে লেনদেনের নতুন সময়সূচি

রমজানে পুঁজিবাজারে লেনদেনের নতুন সময়সূচি বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ভবন। ছবি: নিউজবাংলা
সোমবার বিএসইসির সহকারি পরিচালক মোসাভীর আল আশিকের সই করা এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, রমজানে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত দেশের দুই শেয়ারবাজার-ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হবে। আর ক্লোজিং সেশন থাকবে ১টা ২০ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।

আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেনের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সোমবার বিএসইসির সহকারি পরিচালক মোসাভীর আল আশিকের সই করা এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, রমজানে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত দেশের দুই শেয়ারবাজার-ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হবে। আর ক্লোজিং সেশন থাকবে ১টা ২০ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।

ওই চিঠিটি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কাছে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে সিডিবিএল ও সিসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিএমবিএ, ডিবিএ, এএএমসি এবং সিএমএসএফের চেয়ারম্যান কাছে পাঠানো হয়েছে। এর কপি বিএসইসির কমিশনার, পরিচালক ও চেয়ারম্যানের পিএসের কাছেও দেয়া হয়েছে।

স্বাভাবিক সময়ে শেয়ারবাজারে সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন:
সূচকের সামান্য পতনে লেনদেন শেষ পুঁজিবাজারে
ডিএসইতে সূচকের পতন, লেনদেন ৪৫০ কোটির বেশি
পুঁজিবাজারে অস্থিরতা নিরসনে বিনিয়োগকারীদের ১২ দাবি
আসিফ ইব্রাহিম সিএসইর চেয়ারম্যান পুনর্নির্বাচিত
পুঁজিবাজার জোর করে ভালো রাখার উদ্যোগ ভেস্তে গেছে

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital market After a month the transaction is again in the house of 300 crores

পুঁজিবাজার: এক মাস পর লেনদেন ফের ৩০০ কোটির ঘরে

পুঁজিবাজার: এক মাস পর লেনদেন ফের ৩০০ কোটির ঘরে ডিএসইর একটি ব্রোকারেজ হাউসে বিনিয়োগকারীরা। ফাইল ছবি
ডিএসইতে সোমবার লেনদেন হয় ৩৪৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৫২ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিনের তুলনায় সোমবার ১০৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা কম লেনদেন হয়।

কয়েক দিন ৫০০ কোটি, ৬০০ কোটি ও ৭০০ কোটি টাকার ঘরে লেনদেন হয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার পুঁজিবাজারে লেনদেন কমে ফের নেমে এলো ৩০০ কোটি টাকার ঘরে।

লেনদেন কমার এ দিনে পতন হয়েছে মূল্যসূচকেরও।

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি ৩২৬ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। সেদিন সূচক ছিল ৬ হাজার ২১৯ পয়েন্ট।

সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হয় ৩৪৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৫২ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিনের তুলনায় সোমবার ১০৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা কম লেনদেন হয়।

লেনদেন কমার পাশাপাশি আগের দিনের চেয়ে সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৬ হাজার ২০৪ পয়েন্টে।

ডিএসইতে ৩২০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল।

আজ দর বাড়া কোম্পানির সংখ্যা ৫১টি। দর কমেছে ৩৫টির; অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩৪টি কোম্পানির।

অপর পুঁজিবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের নামমাত্র উত্থানে লেনদেন শেষ হয়।

সিএসইতে ৮ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।

আরও পড়ুন:
ডিএসইতে সূচকের পতন, লেনদেন ৪৫০ কোটির বেশি
পুঁজিবাজারে অস্থিরতা নিরসনে বিনিয়োগকারীদের ১২ দাবি
আসিফ ইব্রাহিম সিএসইর চেয়ারম্যান পুনর্নির্বাচিত
পুঁজিবাজার জোর করে ভালো রাখার উদ্যোগ ভেস্তে গেছে
ডিএসইতে নতুন চার স্বতন্ত্র পরিচালক

মন্তব্য

p
উপরে