শ্রীমঙ্গল উপজেলার উত্তরসুর এলাকায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পভিত্তিক (বিসিক) শিল্পনগরী গড়ে তোলা হয় ২০১২ সালের জুলাই মাসে। বিশাল প্লট, সুবিশাল সীমানা দেয়াল, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়। কর্মকর্তাদের জন্য বানানো হয় একাধিক অফিস ভবন। ডাম্পিং ইয়ার্ড, মসজিদ, পুকুর এবং অন্যান্য সুবিধারও বন্দোবস্ত করা হয়।
এত সব সুযোগ-সুবিধা সত্ত্বেও সারা বছর তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে এই বিসিক শিল্পনগরীটি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখানে প্লটের দাম অনেক বেশি ধরা হয়েছে। তা ছাড়া নিরাপত্তার অভাব আছে। এ কারণে কাঁচামালের প্রাপ্যতা থাকা সত্ত্বেও উদ্যোক্তারা এখানে প্লট নিতে আগ্রহী হচ্ছেন না।
শ্রীমঙ্গলের ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, ‘বিসিকে জমির (প্লটের) দাম তিন গুণ। সরকার কোনো ভর্তুকি না দিলে এসব প্লটে শিল্প স্থাপন সম্ভব নয়। সারা দেশে যেখানে মানুষ প্লট নিতে প্রতিযোগিতায় নামে, সেখানে শ্রীমঙ্গলের চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। প্লট আছে, কিন্তু ক্রেতা নেই।’
ব্যবসায়ী মেঘনাদ হাজরা বলেন, ‘বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামালের জন্য বিখ্যাত শ্রীমঙ্গল, সেই সঙ্গে সিলেট বিভাগের এটি আদি ব্যবসাকেন্দ্র। এখানে বিনিয়োগ করলে অবস্থানগত কারণেই ব্যবসা লাভবান হয়। তবুও কেন প্লট নিয়ে মানুষ বিনিয়োগ করছে না, তা কর্তৃপক্ষের ভেবে দেখা উচিত এবং সেভাবেই সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।’
সরেজমিনে বিসিক এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দুটি ভবনে একজন প্রহরী ছাড়া কোনো জনবল নেই। তালাবদ্ধ সুউচ্চ সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে জঙ্গল গজিয়ে উঠেছে।
প্রহরী বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, ‘কয়দিন আগেও এখানে চুরি হয়েছে। থাকার কথা সাতজন গার্ড। কিন্তু আমি একা আছি।’
গেটের পাশেই কথা হয় স্থানীয় যুবক কবির মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘যখন এখানে স্থাপনা তৈরি হয়, এলাকার মানুষ খুশি হয়ে ভেবেছিল, এখানে কলকারখানা হবে, এলাকার বেকারত্ব দূর হবে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে শুধু এলাকার একটু সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয়েছে, আর কিছু না। সারা দিন তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকে। আর কিছুই এখানে চোখে পড়ে না।’
বিসিক কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ১২২টি প্লটের শিল্পনগরী গড়ে তুলতে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে এই নগরী গড়তে। ২০১২ সালের জুলাই মাসে ২০ একর জমির ওপর এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর বাস্তবায়নের তারিখ জুলাই, ২০১২ থেকে জুন, ২০১৯।
২০১৯ সালে প্রাথমিকভাবে মাত্র তিনটি প্লট তিন উদ্যোক্তা নেন। তবে তারা পরে অর্থ জমা না দিয়ে বরাদ্দ বাতিলের আবেদন করেন এবং প্রথম কিস্তির অর্থ ফিরিয়ে নেন।
এরকমই এক উদ্যোক্তা পুলক সূত্রধর বলেন, ‘আমি প্লট নিয়েছিলাম। পরে অন্যদের কাউকে এখানে প্লট নিতে আগ্রহী হতে না দেখায় আমিও টাকা ফেরত নিয়েছি। বিসিকের বাইরে কম টাকায় জমি কিনে আমি আমার কারখানা স্থাপন করেছি।’
বিসিক কর্তৃপক্ষ জানায়, প্লট বরাদ্দে উদ্যোক্তাদের আগ্রহী করতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের নিয়ে সেমিনার ও কর্মশালা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি এক উদ্যোক্তা একই প্রতিষ্ঠানের নামে ৪০টি প্লট বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছেন। বিসিক জেলা প্লট বরাদ্দ কমিটি সেগুলো প্রধান কার্যালয় থেকে ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়েছে।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, ‘এখানে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও কেন বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হচ্ছেন না, তা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে দেখা হবে। এখানে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নেয়া হবে।’
তবে স্থানীয় উদ্যোক্তারা বলছেন, শ্রীমঙ্গলে বিপুলসংখ্যক ছোট-বড় কারখানা গড়ে উঠেছে গত কয়েক বছরে। অনেকেই নতুন উদ্যোগ নিতে চান। কিন্তু জমির দাম বেশি হওয়ার কারণে বিসিকে প্লট নিতে মানুষ আগ্রহী না।
স্থানীয় বিনিয়োগকারী রাজু ঘোষ বলেন, ‘জমির দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় ক্রেতারা প্লট কিনতে আগ্রহী নন। তার ওপর কোনো প্রচার নেই, ভবন বানাতে বিসিককে যতটা আগ্রহী দেখা গেছে, অন্য বিষয়ে ততটা নয়। একজন উদ্যোক্তা কখনও জেনে-শুনে তার বিনিয়োগের টাকা শুধু জমির পেছনে অতিরিক্ত বিনিয়োগ করবেন না।’
টি প্ল্যান্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সদস্যসচিব জহর তরফদার বলেন, ‘রাস্তার পাশের জমির বর্তমান মূল্য দেড় লাখ টাকা এবং সামান্য ভেতরে ১ লাখ টাকা। অথচ বিসিকের জমির মূল্য ধরা হয়েছে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। এত দাম দিয়ে কে কিনবে বুঝতে পারছি না।’
শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, ‘বিসিক নিয়ে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ নেই। নতুন উদ্যোক্তাদের বিসিক টানতে পারছে না। যারা আগে কারখানা করেছেন তাদের বেশির ভাগ নিজের জায়গায়ই করছেন। এখন যারা করবেন বা করছেন, তাদের সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। জায়গার দাম স্থানীয় বাজারের সঙ্গে মিল থাকতে হবে। ২-৩ গুণ বেশি দিয়ে মানুষ কেন জায়গা কিনতে যাবে?’
মৌলভীবাজার বিসিকের উপব্যবস্থাপক মো. বেল্লাল হোসেন ভূঁইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রথম ধাপে আগ্রহী উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে আবেদন চাওয়া হলেও মাত্র তিন উদ্যোক্তা সাড়া দেন। পরে তারা তাদের প্লট বাতিল করেন। উপর মহল থেকে যেভাবে নির্দেশনা আসছে, সেভাবেই প্রচার চালানো হচ্ছে। প্লট তৈরিতে খরচ বেশি হওয়ায় প্লটের দাম বেশি।’
তিনি জানান, বিসিকের প্লটের দাম ১০ কিস্তিতে পরিশোধ করা যায়। এটি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সুযোগ। সম্প্রতি একটি প্রতিষ্ঠান ৪০টি প্লট চেয়ে আবেদন করেছে।
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি থেকে বের হয়ে নিজস্ব প্রশ্নপত্রে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তির আবেদন শুরু হবে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক খাদেমুল ইসলাম জানান, চলতি ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক পর্যায়ের লেভেল-১ সেমিস্টার-১ এ চারটি ইউনিটের অধীনে আটটি অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হবে।
গত ১৩ জানুয়ারি হাবিপ্রবির অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ৬৮তম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জিএসটি গুচ্ছতে না থাকার ও স্বতন্ত্রভাবে নিজস্ব (প্রশ্নপত্রে) তত্ত্বাবধানে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ লক্ষ্যে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত ভর্তির জন্য আবেদন করা যাবে। যাচাই-বাছাই শেষে আগামী ২১, ২২, ২৩ ও ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।
এ সংক্রান্ত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশের মাধ্যমে জানাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে সরওয়ার আহমেদ চৌধুরী আবদাল ও সাধারণ সম্পাদক পদে জুবায়ের বখত জুবের বিজয়ী হয়েছেন।
তারা দুজনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার সৈয়দ মোহাম্মদ তারেক শুক্রবার ভোর ছয়টায় এ ফল ঘোষণা করেন। ওই সময় তাকে সহযোগিতা করেন সহকারী নির্বাচন কমিশনার এম. আবদুল করীম আকবরী ও জামিল আহমদ।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সমিতির ২ নম্বর হলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
আইনজীবী সমিতির ২৬ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৬৫ জন প্রার্থী।
সভাপতি পদে বিজয়ী সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল পান ৭৭০ ভোট। তিনি সিলেট মহানগরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে রয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতা এটিএম ফয়েজ ৬৫৮ ভোট পান।
সিনিয়র সহসভাপতি পদে আওয়ামী লীগ নেতা জ্যোতির্ময় পুরকায়স্থ (কাঞ্চন) সর্বোচ্চ ৫৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জোছনা ইসলাম ৩৫৫, আলী হায়দার ২৩৩ এবং সৈয়দ ফেরদৌস ২১৩ ভোট পান।
সহসভাপতি-২ পদে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগপন্থি ও জুলাই অভ্যুত্থানের ঘটনায় করা মামলার আসামি মোহাম্মদ মোখলিসুর রহমান। তিনি সর্বোচ্চ ৪৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুস সোহেব আহমদ (৩৮২), আবদুল হান্নান (৩৭৮) ও আফরোজ আহমদ (৬৪) ভোট পান।
সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হন জুবায়ের বখত জুবের। সাবেক এ ছাত্রলীগ নেতা ৩০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগপন্থি গোলাম রাজ্জাক ৫৮, বিএনপিপন্থি জোহরা জেসমিন ২৪, বামপন্থি দেলোয়ার হোসেন দিলু ২৮৫, আওয়ামী লীগপন্থি মাসুদুর রহমান মুন্না ৪৮, আওয়ামী লীগপন্থি মমিনুর রহমান টিটু ২৭৯, জামায়াতপন্থি আজিম উদ্দিন ১৮৪ ও বিএনপিপন্থি মশরুর চৌধুরী শওকত ২৪২ ভোট পান।
সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগপন্থি ওয়াহিদুর রহমান চৌধুরী ৭০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিপন্থি ইকবাল আহমদ ৪৭৮ ও বিএনপিপন্থি তাজ রিহান জামান ২৩৬ ভোট পান।
যুগ্ম সম্পাদকের ২ পদে বিএনপিপন্থি রব নেওয়াজ রানা ৪২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতপন্থি আমিনুর রব চৌধুরী ১৫১, আওয়ামী লীগপন্থি কানন আলম ২৮৩, বিএনপিপন্থি সেবা বেগম ৩৫, বিএনপিপন্থি তানভীর আক্তার খান ২২২, জনতা পার্টির তাহামিনুল ইসলাম খান ২০২ ভোট পান।
এ ছাড়াও সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যের ১১টি পদের বিপরীতে ১৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ীরা হন। তারা হলেন অ্যাডভোকেট মো. গিয়াস উদ্দিন (৯৮৫ ভোট), এ.এস.এম. আব্দুল গফুর (৯২৩ ভোট), এ.কে.এম. ফখরুল ইসলাম (৯১৬ ভোট), মো. জামিলুল হক জামিল (৯১৪ ভোট), আবদুল মালিক (৮৯১ ভোট), কল্যাণ চৌধুরী (৮১৬ ভোট), আশিক উদ্দিন (৭৭৯ ভোট), জুবের আহমদ খান (৭৩৯ ভোট), আবু মো. আসাদ (৬৬৩ ভোট), মো. আলীম উদ্দিন (৬৬০ ভোট) এবং মো. ছয়ফুল হোসেন (৬২৬ ভোট)।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে শুক্রবার বাসের ধাক্কায় বিএনপির নেতাসহ মোটরসাইকেলের তিন আরোহী নিহত হয়েছেন।
ভোররাত চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তিনজন হলেন মিরসরাইয়ের মায়ানী বড়ুয়াপাড়ার বাসিন্দা ও বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রুবেল বড়ুয়া এবং নিপ্পু বড়ুয়া ও সনি বড়ুয়া।
মায়ানী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আশরাফ উদ্দিন জানান, তিনজন হোটেলে নাশতা করে বাড়ি ফেরার পথে বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘মিরসরাইয়ে দুর্ঘটনায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।’
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় শতাধিক বাড়িঘর পুড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
টেকনাফের নয়াপাড়া মৌচনি ক্যাম্পের জি-ব্লকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নয়াপাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ আবদুল হান্নান বলেন, ‘ক্যাম্পে আগুন লাগলে মুহূর্তেই আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে চারপাশ। এ সময় আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর।’
মৃত শিশুর পরিচয় এখনও জানা যায়নি বলেও জানান তিনি।
১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মোহাম্মদ কাউসার সিকদার বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও রোহিঙ্গাদের এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুড়ে গেছে শতাধিক বাড়িঘর। এ ছাড়াও আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় এপিবিএন।’
আরও পড়ুন:মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের একটি পাহাড়ি ছড়া থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা চা-বাগানের ফাঁড়ি কুরঞ্জি এলাকার একটি ছড়া থেকে দীপেন মুন্ডার (৩৫) মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
দীপেন কুরমা চা বাগানের ফাঁড়ি কুরঞ্জি এলাকার প্রসাদ মুন্ডার ছেলে।
পুলিশের ভাষ্য, বৃহস্পতিবার সকালে কুরঞ্জি পুঞ্জির কাছে পাহাড়ি ছড়ায় একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন। তার শরীরে ছিল একাধিক আঘাতের চিহ্ন। পরে স্বজনরা সেখানে গিয়ে লাশটি দীপেন মুন্ডার বলে শনাক্ত করে।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ আরও জানায়, বুধবার রাতে দুর্বৃত্তরা দীপেনকে নির্মমভাবে হত্যা করে কুরঞ্জি এলাকার একটি পাহাড়ি ছড়ায় লাশ ফেলে দিতে পারে।
এদিকে কমলগঞ্জ থানাকে বিষয়টি অবগত করলে খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কমলগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেনের নেতৃত্বে লাশ উদ্ধারে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
দীপেনের বাবা প্রসাদ মুন্ডা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ছেলের সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল কি না, জানা নেই। শেষকৃত্যানুষ্ঠান শেষে মামলা করব।’
কমলগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় দীপেনের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। পূর্বশত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করতে পারে।
আরও পড়ুন:হাওর অঞ্চলে সারের বাফার গুদাম করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. ছাইফুল আলম।
তিনি বলেন, ‘হাওর অঞ্চলের কৃষকদের জন্য অনেক দূর থেকে সার সরবরাহ করতে হয়। এ কারণে পরিবহন খরচ অনেক বেড়ে যায়। এ অবস্থায় হাওর অঞ্চলে সারের বাফার গুদাম করা প্রয়োজন।
‘সম্প্রতি কৃষি উপদেষ্টার সঙ্গে জুম মিটিংয়ে এখানকার কৃষি কর্মকর্তার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ হলরুমে সোমবার দুপুরে আয়োজিত অবহিতকরণ কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
রবি/২০২৪-২৫ অর্থবছরে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় বোরো আবাদ বৃদ্ধিতে করণীয় বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ খাদ্য উদ্বৃত্ত জেলা এবং হাওর খুবই বৈচিত্র্যময়। আমরা যদি কৌশলী হই, এখানকার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পারি এবং সঠিকভাবে কাজ করতে পারি, তাহলে খাদ্য উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব।’
বিএডিসির কর্মকর্তাদের এখানে কিছুটা অবহেলা রয়েছে উল্লেখ করে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘বিষয়টি সচিব মহোদয় অবহিত আছেন। এ অবহেলা কাটিয়ে উঠতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ফসলের মাঠ যদি ভালো না হয়, তবে বীজও ভালো হবে না। সে জন্য আগে ফসলের মাঠ ভালো করতে হবে। বীজ সরবরাহের ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে যে এলাকার জন্য যে জাত উপযোগী, সেটাই দিতে হবে।’
জমিতে সুষম মাত্রায় সার ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জমিতে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সার ব্যবহার করা হচ্ছে। সুষম মাত্রায় সার ব্যবহারের ক্ষেত্রে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ভূমিকা রাখতে হবে। কৃষকদেরকে বোঝাতে হবে।
‘জৈব সারের ব্যবহার বাড়াতে হবে। জৈব সার ব্যবহারে রাসায়নিক সারের ওপর চাপ কমে আসবে এবং মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।’
কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ উইং) কৃষিবিদ আবু মো. এনায়েত উল্লাহ।
কর্মশালায় জেলার ১৩টি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষক ও সংবাদকর্মীরা অংশ নেন।এতে বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার বিষয়গুলো তুলে ধরেন তারা।
আরও পড়ুন:মেহেরপুরের মুজিবনগর সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ২ কেজি ১৮ গ্রাম ওজনের ১৮টি স্বর্ণের বারসহ নুর হোসেন (৪৮) নামের ভারতীয় এক নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সীমান্তের ১০৪ নম্বর পিলারের কাছ থেকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
নুরের বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার হৃদয়পুর গ্রামে।
৬ বিজিবি চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মাদ জাহিদুর রহমান জানান, মুজিবনগরের সীমান্ত মাঠের মধ্যে দিয়ে স্বর্ণ চালান হবে, এমন খবরের ভিত্তিতে সীমান্তের মেইন পিলার ১০৪-এর সাব পিলার ৫-এর কাছে অবস্থান নেন মুজিবনগর সীমান্ত চৌকির (বিওপি) টহল কমান্ডার হাবিলদার রফিকুল ইসলামসহ বাহিনীর সদস্যরা। সন্দেহভাজন একজন বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করলে তাকে চ্যালেঞ্জ করেন বিজিবির সদস্যরা। ওই সময় পালানোর চেষ্টা করলে বিজিবি সদস্যরা তার পেছনে ধাওয়া করেন।
পরে মাঠের মধ্যে থেকে আটক করা হয়। ওই সময় নুর হোসেনের শরীর তল্লাশি চালান বিজিবির সদস্যরা। তার কোমরের সঙ্গে প্যান্টের ভেতর স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো তিনটি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। প্যাকেটের মধ্য থেকে ২ কেজি ১৮ গ্রাম ওজনের ১৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় হাবিলদার রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মুজিবনগর থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ ছাড়াও স্বর্ণের বারগুলো মেহেরপুর ট্রেজারি অফিসে জমার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য