বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের বিভাগীয় সমাবেশের আগে আগে পুঁজিবাজারে করুণ চিত্র তৈরি হলেও শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ হওয়ার পর ধীরে ধীরে গতি ফিরতে শুরু করেছে পুঁজিবাজারে।
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসইতে লেনদেন ১২ কর্মদিবস পর ছাড়াল পাঁচ শ কোটি টাকার ঘর।
আগের দিনও লেনদেন গত বৃহস্পতিবারের উত্তেজনার তুলনায় বেড়েছিল ১২০ কোটি টাকার মতো। সোমবার সেখান থেকে বাড়ল আরও দেড় শ কোটি টাকা।
সব মিলিয়ে লেনদেন হয়েছে ৫৬৮ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। এর আগে সবশেষ পাঁচ শ কোটি ছাড়িয়ে লেনদেন হয় গত ২৩ নভেম্বর। আর সোমবারের চেয়ে চেয়ে বেশি লেনদেন হয় এক মাস আগে গত ১৪ নভেম্বর। সেদিন হাতবদল ঞয় ৭১৪ কোটি টাকার বেশি।
বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার শঙ্কার মধ্যে দেশে রিজার্ভের পতন ছাড়াও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে নিয় উৎকণ্ঠার কারণে গত মাস দুয়েক ধরেই পুঁজিবাজার টালমাটাল। ফ্লোর প্রাইসের কারণে শ তিনেক কোম্পানির শেয়ার একটি নির্ধারিত দরের নিচে নামতে না পারার বাস্তবতার মধ্যে লেনদেনও দৃশ্যত আটকে ৭০ থেকে ৮০টি কোম্পানিতে।
কোনো দিন ৬০টির বেশি, কোনো দিন ৭০ টির বেশি, কোনো দিন ৮০টির বেশি কোম্পানির ক্রেতা উধাও হয়ে যায়। আর দুই শতাধিক কোম্পানির ক্রেতা থাকলেও লেনদেন হওয়া শেয়ারের সংখ্যা খুবই কম।
এর মধ্যে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে ঘিরে রাজনীতিতে উত্তাপের কারণে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর থেকে পুঁজিবাজারে লেনদেন কমতে কমতে দুই শ কোটি টাকার ঘরে নেমে যায়।
তবে শেষমেশ নানা শঙ্কাকে ভুল প্রমাণ করে সমাবেশটি হয়েছে শান্তিপূর্ণ। আর বিএনপি যে কর্মসূচি দিয়েছে, তাও অনেকটাই নমনীয়। আর এরপর থেকেই হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন বিনিয়োগকারীরা। ধীরে ধীরে সক্রিয় হতে শুরু করার ইঙ্গিত মিলছে।
এর মধ্যে আবার রিজার্ভের ইউটার্ন, বিশ্ববাজারে পণ্য ও জ্বালানির মূল্য কমে আসতে থাকা, নভেম্বরে রপ্তানি প্রথমবারের মতো পাঁচ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম, গত বছরের তুলনায় নভেম্বরে আমদানি অর্ধেকে নেমে আসা, রেমিট্যান্সের পতন থামা- সব মিলিয়ে অর্থনীতির এখন ঘুরে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
অর্থনীতি আর রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা থাকলে পুঁজিবাজারেও বিনিয়োগকারীরা ফিরবেন বলেও মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
লেনদেন বৃদ্ধির সঙ্গে কমে এসেছে লেনদেন না হওয়া কোম্পানির সংখ্যাও। অর্থাৎ আগের দিনের যতগুলো কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছিল তার চেয়ে বেশি সংখ্যক কোম্পানির শেয়ার বেচাকেনা হয়েছে।
এদিন ৩৫৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন এ সংখ্যাটা ছিল ৩১৪। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৯০ কোম্পানির শেয়ার।
লেনদেনের সঙ্গে দরবৃদ্ধির সংখ্যাও বেড়েছে। দরপতনের তুলনায় এ সংখ্যা চার গুণের বেশি। ১৭টি কোম্পানির দরপতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ৭৪টির।
এর প্রভাবে আগের দিনের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি সূচক বেড়েছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৬৬ পয়েন্টে, যা ২১ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ। সূচকের অবস্থান এর চেয়ে বেশি ছিল ১৩ নভেম্বর, ৬ হাজার ৩০৪ পয়েন্ট।
আজ একটি শেয়ারও লেনদেন হয়নি এমন শেয়ারের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪টিতে। এর মধ্যে ২টির লেনদেন বন্ধ ছিল লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের কারণে।
আগের দিন এ সংখ্যাটা ছিল ৭৬, যার মধ্যে ছয়টির লেনদেন বন্ধ ছিল লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের কারণে। তার আগের দিন একটি শেয়ারও লেনদেন হয়নি ৮৯টি কোম্পানির।
এ ছাড়া অপরিবর্তিত দরে লেনদেন হয়েছে ২৬৫টির, যার প্রায় সবই ফ্লোর প্রাইসে রয়েছে। আগের দিন অবশ্য এমন কোম্পানির সংখ্যা ছিল ২৪৩টি।
ক্যাল সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী (সিইও) রাজেশ সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বর্তমান অবস্থায় বলতে গেলে প্রায় সবাই স্টাকড হয়ে আছেন বিভিন্ন শেয়ারে। কোনো শেয়ারে কিছু মুভমেন্টের কারণে ফান্ড রিলিজ হলে সেটা অন্যদিকে যাচ্ছে।
‘আমাদের দেশের যারা মিড লেভেলের ইনভেস্টর, অর্থাৎ যাদের ৫ থেকে ১০ কোটি টাকার মধ্যে পোর্টফোলিও, তাদের হাতে নগদ থাকলেও এরকম পরিস্থিতি টাকা ইন করাতে চান না। কারণ তারা প্রায় সবাই মাইনাসে রয়েছেন। এমন সময় কোনোটাতে যদি একটু মুভমেন্ট হয় তখন হয়তো তারাও কিছুটা অ্যাক্টিভ হন। এভাবে সবার একটু করে অংশগ্রহণে লেনদেন বাড়ছে।’
সূচকে প্রভাব যাদের
সবচেয়ে বেশি ৩ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে বিকন ফার্মা। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
ওরিয়ন ইনফিউশনের দর ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট।
বেক্সিমকো ফার্মা সূচকে যোগ করেছে ২ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে বসুন্ধরা পেপার, কোহিনূর কেমিক্যাল, ওরিয়ন ফার্মা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ইউনিক হোটেল, জেএমআই হসপিটাল ও ইস্টার্ন হাউজিং।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২০ দশমিক ৭০ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে মেঘনা পেট্রোলিয়াম। কোম্পানির দর কমেছে ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
বার্জার পেইন্টসের দর শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ হ্রাসে সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৯০ পয়েন্ট।
সি-পার্লের কারণে সূচক হারিয়েছে শূন্য দশমিক ৬১ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক ২৭ শতাংশ।
এ ছাড়াও ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, বাটা সুজ, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, মুন্নু সিরামিকস, বিডি থাই ফুড, মুন্নু অ্যাগ্রো ও রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৪ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
এই তালিকার শীর্ষে দেখা গেছে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোকে।
সবচেয়ে বেশি ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ দর বেড়ে মনোস্পুলের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩১২ টাকায়, যা আগের দিন ছিল ২৮৬ টাকা ৯০ পয়সা।
৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ দর বেড়ে জুট স্পিনার্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৭৩ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের দিন ছিল ২৫১ টাকা ৭০ পয়সা।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল কোহিনূর কেমিক্যাল। ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ৪২১ টাকা ৮০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ৩৮৭ টাকা ৯০ পয়সা।
এ ছাড়া তালিকায় ছিল সোনালী আঁশ, পেপার প্রসেসিং, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, বসুন্ধরা পেপার, ওরিয়ন ইনফিউশন, বিডি কম ও ইস্টার্ন হাউজিং।
দরপতনের শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ দর কমেছে ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের। প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৮৭ টাকা ৫০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ১ হাজার ৮৫৬ টাকা ৩০ পয়সা।
এর পরেই ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ দর কমে মুন্নু অ্যাগ্রোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৯৭ টাকা ৯০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ৮২০ টাকা ৩০ পয়সা।
মেঘনা পেট্রোলিয়ামের শেয়ারদর ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ কমে লেনদেন হয়েছে ১৯৮ টাকা ৬০ পয়সায়। আগের দিন ছিল ২০৪ টাকা ৪০ পয়সা।
এ ছাড়া তালিকায় পরের স্থানে ছিল মুন্নু সিরামিকস, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বিডি থাই ফুড, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বেঙ্গল উইন্ডসর, বাটা সুজ ও সি-পার্ল।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য