বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের পরের দিন রোববারই কিছুটা জেগে উঠল দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
সূচকের সঙ্গে লেনদেন শতকোটি টাকার বেশি বেড়ে ৫ কর্মদিবস পরে ৪০০ কোটির ঘর অতিক্রম করল। এ লেনদেনের ৮২ শতাংশই হয় ৮৯টি কোম্পানিতে।
গত ৩১ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর পুঁজিবাজার মাস দুয়েক চাঙা থাকলেও গত দুই মাস ধরে তা ক্রমশ নিম্নমুখী। ফ্লোর প্রাইস ছাড়িয়ে যেমন কোম্পানির শেয়ারের দর তরতর করে বাড়ছিল, এর মধ্যে সিংহভাগই ফ্লোর প্রাইস বা আশপাশের দরে নেমেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক মন্দা ও দেশের ব্যাংক খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির খবর সংবাদমাধ্যমে আসার পর পুঁজিবাজারে নতুন করে বিনিয়োগে সাহস হারিয়ে ফেলেন বিনিয়োগকারীরা। এর সঙ্গে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশের ঘোষণায় আরও বিমুখ হয়ে পড়েন বিনিয়োগকারীরা।
দেশে আবারও রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সংহিসতার পুনরাবৃত্তি ঘটার আশঙ্কায় ধীরে ধীরে নিজেদের গুটিয়ে নিতে থাকেন বিনিয়োগকারীরা, যার ফলে লেনদেনখরায় ভুগতে থাকে দেশের পুঁজিবাজার।
বর্তমানে পুঁজিবাজারে নিয়মিত লেনদেন হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ কোটির ঘরে। ১৯ কর্মদিবস থেকে ৫০০ কোটির ঘর ছাড়িয়ে ওপরে উঠতে পারেনি লেনদেন। আর হাজার কোটির ঘরে লেনদেন হয়েছে সর্বশেষ ২২ কর্মদিবস আগে।
গোলাপবাগে বিএনপির সমাবেশের পর আশঙ্কাজনক কোনো পরিস্থিতি উদ্ভূত না হওয়ায় কিছুটা চাঙাভাব দেখা গেল পুঁজিবাজারে।
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার ডিএসইতে হাতবদল হয় ৪১৪ কোটি ৮৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ১১৯ কোটি ১০ লাখ ১১ হাজার টাকা বেশি।
আগের সপ্তাহের সর্বশেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ২৯৫ কোটি ৭৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা। তার আগে মঙ্গলবার আড়াই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ২৭১ কোটি ৯৭ লাখ ৬১ হাজার টাকার লেনদেন হয়।
এর চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল। লকডাউনে লেনদেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আতঙ্কে ওই দিন হাতবদল হয় ২৩৬ কোটি ৬০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।
রোববার ৭৬টি কোম্পানির একটির শেয়ারও লেনদেন হয়নি। এর মধ্যে ছয়টির লেনদেন বন্ধ ছিল লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের কারণে।
৩১৪টির শেয়ারের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দরপতনের তুলনায় দরবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় আট গুণ। আটটি শেয়ারের দাম কমার বিপরীতে বেড়েছে ৬৩টির। অন্যদিকে ২৪৩টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে আগের দরে, যার প্রায় সবই ফ্লোর প্রাইসে গড়াগড়ি খাচ্ছে।
এর প্রভাবে সূচক বেড়েছে ১১ পয়েন্ট। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৩৯ পয়েন্টে। এটি বিগত ৬ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ১ ডিসেম্বর সূচক ছিল ৬ হাজার ২৪৫ পয়েন্ট।
কোন কোম্পানিতে লেনদেন কত
শতাধিক কোম্পানিতে শেয়ার লেনদেন হয়েছে নগণ্য। ১১৭টি কোম্পানিতে ১ থেকে ৯০০টির মধ্যে শেয়ার লেনদেন হয়।
১০ লাখ টাকার বেশি লেনদেন হওয়া কোম্পানির সংখ্যা ৮৯। এ কোম্পানিগুলোতে হাতবদল হয় ৩৩৮ কোটি ৫৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ৮১ দশমিক ৬০ শতাংশ।
১ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয় ৪৮টি কোম্পানিতে। এই লেনদেনের পরিমাণ ৩২৩ কোটি ৬৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
এর মধ্যে শীর্ষ ১০টি কোম্পানিতেই লেনদেন হয় ১৮৩ কোটি ৭৪ লাখ ৪ হাজার টাকা।
পুঁজিবাজার যখন চাঙা ছিল, তখন একটি কোম্পানিতেই এর দ্বিগুণ লেনদেন হতো।
আজ সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয় সালভো কেমিক্যালের শেয়ার। ৬৪ লাখ ৮১ হাজার ৪৬৯টি শেয়ার হাতবদল হয় ৪০ কোটি ১০ লাখ ৯৮ হাজার টাকায়।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ কোটি ৮৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকা লেনদেন হয় ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের। কোম্পানির মোট ৮১ লাখ ১৭ হাজার ৫৩৯টি শেয়ার হাতবদল হয়।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ১৭ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০টি শেয়ার হাতবদল হয় ২০ কোটি ৩২ লাখ ৯০ হাজার টাকায়।
এ ছাড়াও ১০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয় জেনেক্স ইনফোসিস, বেক্সিমকো ফার্মা, বিচ টেক হ্যাচারি, আমরা নেটওয়ার্কস, আমরা টেকনোলজিস, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও মুন্নু অ্যাগ্রোতে।
ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজ বেশ কিছু শেয়ার ফ্লোর ছেড়ে বেরিয়েছিল। এ কারণে কিছু ফান্ড রিলিজ হয়েছে। সেগুলোই আবার অন্যান্য শেয়ারে গেছে, যার কারণে লেনদেন বেড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে বিনিয়োগকারীরা নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছিলেন। যে আতঙ্ক ছিল, সেটা কাটিয়ে বিনিয়োগকারীরা রিল্যাক্সড ছিলেন আজ, সেটাও বলা যাচ্ছে না। কয়েক দিনের ট্রেড দেখার পর বোঝা যাবে।’
সূচকে প্রভাব যাদের
সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ।
ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং স্টেশনের দর ১০ বাড়ায় সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ৯৬ পয়েন্ট।
বেক্সিমকো ফার্মা সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ৮৭ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, সামিট পোর্ট অ্যালায়েন্স, ওরিয়ন ফার্মা, আমরা টেকনোলজিস, বসুন্ধরা পেপার, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও সি-পার্ল।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৭ দশমিক ৯১ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ২০ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে বার্জার পেইন্টস। কোম্পানিটির দর কমেছে শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ।
বাটা সুজের দর শূন্য দশমিক ৬৮ শতাংশ হ্রাসে সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৫১ পয়েন্ট।
সোনালী পেপারের কারণে সূচক হারিয়েছে শূন্য দশমিক ৩৯ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এছাড়াও বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক, অ্যাম্বি ফার্মা, বিকন ফার্মা, ইস্টার্ন ক্যাবলস ও বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ৮টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ২ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ দর বেড়ে ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৪ টাকায়, যা আগের দিন ছিল ৪০ টাকা।
৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ দর বেড়ে সোনালী আঁশের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৭১ টাকা ৯০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ৪৩৪ টাকা।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল আমরা টেকনোলজিস। ৮ দশমিক ২০ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ৪৩ টাকা ৫০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ৪০ টাকা ২০ পয়সা।
এ ছাড়া তালিকায় ছিল ওরিয়ন ইনফিউশন, মুন্নু অ্যাগ্রো, জুট স্পিনার্স, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও ই-জেনারেশন।
দরপতন যেমন
যে ৮ কোম্পানির দর কমেছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ২২ শতাংশ দর কমেছে অ্যাম্বি ফার্মার। প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৪১ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৫৫৩ টাকা ৩০ পয়সা।
এর পরই ১ দশমিক ৬০ শতাংশ দর কমে বাটা সুজের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৪৩ টাকা ৭০ পয়সায়। কোম্পানিটির আগের দিনের দর ছিল ৯৫০ টাকা ২০ পয়সা।
সোনালী আঁশের শূন্য দশমিক ৭৭ শতাংশ দর কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬১৫ টাকা ১০ পয়সায়। আগের দিন তা ছিল ৬১৯ টাকা ৯০ পয়সা।
এছাড়া তালিকায় পরের স্থানে ছিল বার্জার পেইন্টস, ইস্টার্ন ক্যাবলস, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ও বিকন ফার্মা।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য