করোনাকালের করুণ চিত্র ফিরে আসার পর পরিস্থিতি উত্তরণে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি এগিয়ে আসার উদ্যোগের খবরেও প্রাণ ফিরল না পুঁজিবাজারে। আগের দিনের চেয়ে সূচক ও সামান্য কিছু লেনদেন বাড়লেও রইল তিন শ কোটি টাকার ঘরেই।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এ নিয়ে ১৩ কর্মদিবসের মধ্যে ৭ দিনই লেনদেন হলো তিন শ কোটির ঘরে। চার দিন চার শ কোটি, একদিন পাঁচ শ কোটি ও একদিন দুই শ কোটির ঘরে লেনদেন হয়েছে।
বুধবার হাতবদল হয়েছে ৩১১ কোটি ৩২ লাখ ৭০ হাজার টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৩৯ কোটি ৩৫ লাখ ৯ হাজার টাকা বেশি।
আড়াই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয় মঙ্গলবার, হাতবদল হয় ২৭১ কোটি ৯৭ লাখ ৬১ হাজার টাকা। লকডাউনে লেনদেন বন্ধ হয়ে যাবে, এমন আতঙ্কে ২০২১ সালের ৫ এপ্রিলের পর এটিই সর্বনিম্ন লেনদেন। সেদিন হাতবদল হয় ২৩৬ কোটি ৬০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।
গত ৩১ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর পুঁজিবাজার মাস দুয়েক চাঙা থাকলেও গত দুই মাস ধরে তা ক্রমেই নিম্নমুখি। ফ্লোর প্রাইস ছাড়িয়ে যেমন কোম্পানির শেয়ারের দর তরতর করে বাড়ছিল, এর মধ্যে সিংহভাগই ফ্লোর প্রাইস বা আশপাশের দরে নেমেছে।
শক্তিশালী বহু কোম্পানি, যেগুলো বছরের পর বছর বিনিয়োগকারীদের দারুণ মুনাফা দিয়ে আসছে, সেগুলোর শেয়ারেরও ক্রেতা নেই। এখন আলোচনা হচ্ছে, ফ্লোর প্রাইসের কারণে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে।
লাখ লাখ শেয়ার বসিয়ে রেখেও ক্রেতা খুঁজে না পাওয়াই মূলত লেনদেনের এই খরার কারণ। বাজার এখন ৭০ থেকে ৮০টি কোম্পানির ওপর নির্ভর করছে। এগুলোর কোনো কোনোটিতে কয়েক মাস আগে দিনে এক শ বা দুই শ কোটি টাকা লেনদেন হতো। তবে বুধবার সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া কোম্পানিও কোনো রকমে ২০ কোটির ঘর ছাড়াতে পেরেছে।
এই পরিস্থিতিতে বিএসইসি চেয়ারম্যান প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন। এর মধ্যে বিএসইসি যোগাযোগ করেছে আইসিবির সঙ্গে। পুঁজিবাজারের কোম্পানিগুলোর অবণ্টিত লভ্যাংশ দিয়ে যে তহবিল করা হয়েছে, সেখান থেকে অর্থ দেয়ার কথা রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ কোম্পানিকে জানিয়েছে তারা।
এই তহবিল ছাড়াও জনতা ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংকের সঙ্গে তহবিলের জন্য আলোচনা চালাচ্ছে আইসিবি।
এমন খবরের পরেও বুধবার ৭৮টি কোম্পানির একটি শেয়ারও লেনদেন হয়নি। এর মধ্যে লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের কারণে লেনদেন বন্ধ ছিল ৩টির।
যে ৩১২টির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে, তার মধ্যে আড়াই শর বেশি কোম্পানির ক্রেতা ছিল নগণ্য। অন্যদিকে ২৪১টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে, যার প্রায় সবই ফ্লোর প্রাইসে পড়ে রয়েছে। এর বেশিরভাগেরই দিনভর ক্রেতার জায়গায় কোনো আদেশ ছিল না। ফ্লোর প্রাইসে মাঝেমধ্যে কেউ কিনে নিয়েছে শেয়ার।
এদিন ৩৯টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ থেকে ১ হাজারের মধ্যে, যা ক্রেতা না থাকার সামিল।
এদিন মোট ৪৩টি কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন হয়েছে এক কোটির ওপরে। এই লেনদেনের পরিমাণ ২৪০ কোটি ৯৮ লাখ ৯১ হাজার টাকার। বাকি ২৬৯টি শেয়ারের হাতবদল হয়েছে কেবল ৭০ কোটি ৩৩ লাখ ৭৯ হাজার টাকা।
যদিও দরপতনের তুলনায় দরবৃদ্ধির সংখ্যা হলেও এসব কোম্পানি সূচকের খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেনি। ২৮টি কোম্পানির দরপতনের বিপরীতে দরবৃদ্ধি হয়েছে ৪৩টির।
দিনের প্রথম দিকে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেশি থাকার পরেও বেলা একটার পরে পতনের আশঙ্কা তৈরি হয়। তবে শেষ পর্যন্ত ৪ পয়েন্ট বেড়ে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স অবস্থান করে ৬ হাজার ২৩৩ পয়েন্টে।
লেনদেনের বিষয়ে ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজারটা এই জায়গায় টিকে গেছে, এটা একটা পজিটিভ দিক। এখন প্রশ্ন হলো কেন ওপরে উঠছে না। সামগ্রিক অর্থনৈতিক চিত্র, তথ্য-উপাত্ত মিলিয়ে ওপরে যাওয়ার জন্য অনুকূল পরিবেশ এটা নয়। এর চেয়ে ডাউন হচ্ছে না, ৬ হাজার ৩০০ পয়েন্টকে কেন্দ্র করে সূচক ওঠানামা করছে, এটা ভালো দিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সময়টাতে সাধারণত ব্যাংক সেক্টরে একটা ফ্লো আসে। অর্থবছর শেষ হতে যাচ্ছে, অক্টোবর-নভেম্বর থেকেই অনেকে পজিশন নিতে শুরু করেন। এই সময়ে বিভিন্ন ব্যাংকের বিষয়ে যেসব খবর প্রকাশিত হচ্ছে, তাতে সবাই পুরো সেক্টরটা নিয়ে আতঙ্ক তৈরি করেছে। যে সেক্টরে ফ্লো আসার কথা, সেটাতেই যদি না আসে তাহলে পুঁজিবাজারে অবস্থার পরিবর্তন হুট করে আশা করা যায় না।’
সূচকে প্রভাব যাদের
সবচেয়ে বেশি ৪ দশমিক ০৬ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ১ দশমিক ০২ শতাংশ।
ওরিয়ন ইনফিউশনের দর ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট।
কেডিএস অ্যাক্সেসরিজ সূচকে যোগ করেছে ২ দশমিক ১৮ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে ওরিয়ন ফার্মা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বিকন ফার্মা, সামিট পোর্ট অ্যালায়েন্স, বার্জার পেইন্টস, জেনেক্স ইনফোসিস ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ৬ দশমিক ৭২ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ। কোম্পানির দর কমেছে ২ দশমিক ১১ শতাংশ।
সি-পার্লের দর ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হ্রাসে সূচক কমেছে ২ দশমিক ১০ পয়েন্ট।
এডিএন টেলিকমের কারণে সূচক হারিয়েছে ১ দশমিক ৬০ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ৫ দশমিক ১২ শতাংশ।
এ ছাড়াও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বিডি থাই ফুড, পূবালী ব্যাংক, অ্যাডভেন্ট ফার্মা ও ওয়ান ব্যাংকের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১৪ দশমিক ৩১ পয়েন্ট।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ দর বেড়ে কেডিএস অ্যাক্সেসরিজের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৪ টাকা ৫০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ৭৭ টাকা ১০ পয়সা।
এরপরেই ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেড়ে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৫৫ টাকা ২০ পয়সা, যা আগের দিন একই সমান দর বেড়ে হয়েছিল ৬০৯ টাকা ৫০ পয়সা।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল আমরা টেকনোলজিস। ৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ৪০ টাকা ৮০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ৩৯ টাকা ৪০ পয়সা।
এ ছাড়া তালিকায় ছিল জুট স্পিনার্স, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সামিট পোর্ট অ্যালায়েন্স, ওরিয়ন ফার্মা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও বেক্সিমকো ফার্মা।
দরপতনের শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৫ দশমিক ১২ শতাংশ দর কমেছে এডিএন টেলিকমের। প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১১ টাকা ১০ পয়সা, যা আগের দিন ছিল ১১৭ টাকা ১০ পয়সা।
এর পরেই ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ দর কমে অ্যাডভেন্ট ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৬ টাকা ৯০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ২৮ টাকা।
৩ দশমিক ২০ শতাংশ দর কমে বিডি থাই ফুডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৮ টাকা ৪০ পয়সায়। যা আগের দিন ছিল ৫০ টাকা।
এ ছাড়া তালিকায় পরের স্থানে ছিল ফাইন ফুডস, সি-পার্ল, অ্যাপেক্স ফুডস, লাফার্জ হোলসিম, ই-জেনারেশন, মুন্নু সিরামিকস ও এনসিসিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড-১।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য