পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডকে সার্বিক অবস্থা উন্নয়নের জন্য তিন বছর মেয়াদি পরিকল্পনা জমার নির্দেশ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
সোমবার আইডিআরএ’র সঙ্গে পদ্মা ইসলামী লাইফের পরিচালনা পর্ষদের এক সভায় এ নির্দেশনা দেয়া হয়। আইডিআরএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারীর সভাপতিত্বে সভায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার সব সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, পদ্মা ইসলামী লাইফের সব পরিচালক এবং মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আইডিআরএ’র নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন) ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিমার প্রিমিয়াম আয়, রিনিউয়াল হার, ব্যবস্থাপনা ব্যয়, লাইফ ফান্ডের পরিমাণ, বিনিয়োগ, অনিষ্পন্ন বিমা দাবির পরিমাণ, পরিশোধিত বিমা দারির পরিমাণ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় কোম্পানির সার্বিক অবস্থা উন্নয়নের জন্য তিন বছর মেয়াদি সময়ভিত্তিক পরিকল্পনা আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও দ্রুত বিমা দাবি পরিশোধ ও কর্তৃপক্ষের জারি করা সব নির্দেশনা ও অনুশাসন পরিপালনের নির্দেশ দেয়া হয়।
শেখ কবির হোসেন আবারও শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এ কে এম নুরুল ফজল বুলবুল।
রোববার প্রতিষ্ঠানটির ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) আগামী দুই বছরের জন্য তাদের এই পদে নির্বাচিত করা হয়।
ডিজিটাল প্লাটফর্মে ২২তম এজিএমে শেয়ারধারীদের সর্বসম্মতিক্রমে ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশও অনুমোদন করা হয়।
সিডিবিএল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। ডিপোজিটরি আইন ১৯৯৯, ডিপোজিটরি প্রবিধানমালা ২০০০, ডিপোজিটরি (ব্যবহারিক) প্রবিধানমালা, ২০০৩ এবং সিডিবিএল বাই লজ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংক, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিদেশি ব্যাংক, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (আইসিবি), তালিকাভুক্ত কোম্পানি, বিমা কোম্পানি, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় ২০০০ সালে গঠন হয় সিডিবিএল। তবে প্রতিষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে ২০০৩ সালে।
বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ইলেকট্রনিক ফর্মে সংরক্ষণ, ইলেকট্রনিক পদ্ধতির মাধ্যমে শেয়ার হস্তান্তর এবং স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন করা সব শেয়ারের নিষ্পত্তি করে থাকে সিডিবিএল।
সংস্থার চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে এজিএমে পরিচালক তপন চৌধুরী, আজম জাহাঙ্গীর চৌধুরী, ইউনুসুর রহমান, আসিফ ইব্রাহীম, সাঈদ বেলাল হোসেন, নাসের এজাজ বিজয় এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শুভঙ্কর কান্তি চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:বিশেষ ছাড় পাওয়া ২৬ বিমা কোম্পানি পুঁজিবাজারে কতটুকু বিনিয়োগ করেছে সেটি যাচাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
বুধবার এ নিয়ে আলোচনার জন্য কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে।
বিকাল সাড়ে তিনটায় কমিশনের মাল্টিপারপাস হলে ডাকা এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। এতে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যানকেও থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘তাদেরকে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে বিশেষ ছাড় দেয়া হয়েছিল। তাদের মূলধনের ২০ শতাংশ এখানে বিনিয়োগ করার কথা ছিল। সেটা তারা কতটা করেছে সে বিষয়ে জানব আমরা। আবার যারা এখনও আইপিওতে আসেনি তাদের কোনো সহায়তা দরকার আছে কি না, সেটি নিয়েও আলোচনা হবে।’
২৬টি বিমা কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য ছাড় দিয়ে ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে বিএসইসি। প্রজ্ঞাপন অনুসারে কোম্পানিগুলো ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির আইপিওর মাধ্যমে ন্যূনতম ১৫ কোটি টাকার তহবিল তুলতে পারবে।
এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোকে তাদের ইক্যুইটির ন্যূনতম ২০ শতাংশ অর্থ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করতে হবে।
দেশে বর্তমানে ৮১টি বিমা কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে ৩৫টি জীবন বিমা ও ৪৬টি সাধারণ বিমা কোম্পানি। এর মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫৫টি।
ছাড়ের ঘোষণার পরে নতুন করে দুটো বিমা কোম্পানি পুঁজিবাজারে এলেও রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বিমা করপোরেশন ও সাধারণ বিমা করপোরেশন ছাড়াও ২৪ কোম্পানি তালিকাভুক্তির বাইরে।
সরকারি দুটি কোম্পানির তালিকাভুক্তির জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় ও সরকারের উদ্যোগের প্রয়োজন হবে।
বেসরকারি ২৪টি কোম্পানি বিশেষ এই ছাড়ের আওতায় আছে।
যেসব কোম্পানিকে ডাকা হয়েছে
যেসব কোম্পানিকে ডাকা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে জীবন বিমা কোম্পানিগুলেঅ হলো: হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বায়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এনআরবি গ্লোবাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, আলফা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স, যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, স্বদেশ লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলো হলো এলআইসি (বাংলাদেশ), মেঘনা ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স ও সিকদার ইন্স্যুরেন্স।
আরও পড়ুন:বিমা কোম্পানির জন্য অফিসের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
১৫ নভেম্বর থেকে বিমা কোম্পানির অফিস চলবে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
রোববার আইডিআরএ থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করেছে।
সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের নতুন সময়সূচি নির্ধারণের পর এসেছে বিমার সময়সূচি।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সরকারি সিদ্ধান্ত ও ব্যাংক সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আইডিআরএ এবং সব বিমা কোম্পানির অফিস সময়সূচি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলো। আর সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে শুক্র ও শনিবার।
এর আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়।
আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময় হবে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এর আগে অফিস সময় করা হয়েছিল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
এদিকে ব্যাংক লেনদেনে চলবে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। আর আনুষাঙ্গিক কাজের জন্য ব্যাংক খোলা রাখা যাবে ৫টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:প্রাণিসম্পদ খাতকে বিমার আওতায় নিয়ে আসা দরকার বলে মনে করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এ জন্য তিনি নীতিমালা তৈরির জন্য জোর তাগাদা দেন।
রাজধানীর একটি হোটেলে রোববার এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
‘প্রাণিসম্পদ খাতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি ও প্রাণিবিমা সম্প্রসারণে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব প্রযুক্তির ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে আদর্শ প্রাণিসেবা লিমিটেড।
সেমিনারে মন্ত্রী বলেন, ‘বিমা একটি প্রচলিত ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় প্রাণীকে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব। প্রাণিসম্পদ খাতে বিমা সম্প্রসারণে একটি যৌথ কার্যকরী কমিটি গঠন করা দরকার।
‘প্রাণিবিমার জন্য নীতিমালা কীভাবে করা যায়, এ ক্ষেত্রে কী কী প্রতিবন্ধকতা আছে, কী সুযোগ আছে তা আগে নির্ধারণ করতে হবে। প্রাণিসম্পদ খাতে বিমা প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে সম্মিলিত উদ্যোগ দরকার।’
তিনি বলেন, ‘প্রাণিবিমা সম্প্রসারণে একটি কমিটি গঠন করে নীতি নির্ধারণ করতে হবে। এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে। সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে এ পলিসি নির্ধারণে কাজ শুরু করা হবে, পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।’
সেমিনারের পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন আদর্শ প্রাণিসেবা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফিদা হক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাধারণ বিমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান।
আরও পড়ুন:কর্মীদের বিমা সুবিধা দেবে বিউটি ও পারসোনাল কেয়ার ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম সাজগোজ লিমিটেড।
এ লক্ষে সম্প্রতি সাজগোজ লিমিটেড ও মেটলাইফ বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছে।
চুক্তির ফলে সাজগোজের কর্মীরা দুর্ঘটনা, অক্ষমতা, অকালমৃত্যু এবং জরুরি চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিমা সুরক্ষা পাবেন।
মেটলাইফের কাস্টমাইজড সল্যুশন, অনলাইনে দাবি-নিষ্পত্তির সেবা, দ্রুত বিমা দাবি প্রদান করা এবং আর্থিক সক্ষমতার কারণে সাজগোজের কর্মীদের জন্য মেটলাইফকে বিমা প্রদানকারী হিসেবে নির্বাচিত করেছে।
সাজগোজের কো-ফাউন্ডার ও সিসিও সিনথিয়া শারমিন ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ব্যবসা ও ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেন কর্মীরা। আমরা নিশ্চিত করতে চাই, কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমাদের প্রয়োজনের সাথে মেটলাইফের পলিসি এবং সুযোগ-সুবিধাগুলো মিলে গেছে। তাই আমরা মেটলাইফকে আমাদের কর্মীদের বিমা সুরক্ষার জন্য নির্বাচিত করেছি।’
মেটলাইফ বাংলাদেশের চিফ করপোরেট বিজনেস অফিসার নাফিস আখতার আহমেদ বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের উন্নতির পেছনে কর্মীদের অসামান্য অবদান থাকে। প্রতিষ্ঠান তাদের জন্য বিমা সুরক্ষার ব্যবস্থা করে জীবনের বহু অনিশ্চয়তা থেকে রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে।’
বাংলাদেশে আট শ’র বেশি প্রতিষ্ঠানের ২ লাখ ৭০ হাজারের বেশি কর্মী ও তাদের পরিবারকে বিমা সুরক্ষা দিচ্ছে মেটলাইফ।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাজগোজের হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ফারহানা প্রীতি, হেড অব হিউম্যান রিসোর্স হাসিবা বিনতে হান্নান, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অব হিউম্যান রিসোর্স রাজিব আহমেদ; মেটলাইফের ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এমপ্লয়ি বেনিফিটস মোহাম্মদ কামরুজ্জামানসহ অন্যরা।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হচ্ছে সাধারণ বিমা খাতের কোম্পানি ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স। প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে তারা ২০ কোটি টাকা তুলবে।
এই টাকা দিয়ে ফিক্সড ডিপোজিট, সরকারি সিকিউরিটিজ, তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ এবং আইপিও ব্যয় নির্বাহ করা হবে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৮৩৮তম সভায় কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়। পরে সংস্থাটির বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পুঁজিবাজারে সাধারণ বিমা খাতে এখন পর্যন্ত ৪১টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে। এই কোম্পানিটি তালিকাভুক্ত হলে সংখ্যাটি দাঁড়াবে ৪২।
বিমা কোম্পানিগুলোকে তিন বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই বিধান পরিপালনে তারা পুঁজিবাজারে আসছে বলে জানানো হয়েছে।
কোম্পানিটি প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে ২ কোটি ২ লাখ ৬১ হাজার ১০৬টি শেয়ার ইস্যু করবে। এভাবে তোলা হবে ২০ কোটি ২৬ লাখ ১১ হাজার ৬০ টাকা।
২০২১ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, তাদের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮২ পয়সা।
পুনর্মূল্যায়নসহ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৯৬ পয়সা। আর পুনর্মূল্যায়ন বাদে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৪৮ পয়সা।
আইপিও ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ও ইসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড। নিরীক্ষক হিসেবে কাজ করছে ইসলামী আফতাব অ্যান্ড কোম্পানি ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি কোনো প্রকার লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য