পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের ধৈর্যের পরীক্ষা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। সূচক পতনের সঙ্গে আগের কর্মদিবসের মতো লেনদেন তিন শ কোটির ঘর অতিক্রম করতে পারল না।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এ নিয়ে গত ১১ কর্মদিবসের মধ্যে ৬ দিনই লেনদেন হলো তিন শ কোটির ঘরে। বাকি চার দিন চার শ কোটি ও এক কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে পাঁচ শ কোটির বেশি।
লাখ লাখ শেয়ার বিক্রির জন্য বসিয়ে ক্রেতা পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। এই অবস্থা থেকে কবে উত্তরণ হবে, তার কোনো আভাস না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। বহু বিনিয়োগকারী এখন ব্রোকারেজ হাউজে যাওয়াই ছেড়ে দিয়েছেন।
সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে হাতবদল হয়েছে ৩৪৪ কোটি ৮৬ লাখ ২৭ হাজার টাকার, যা আগের কর্মদিবস চেয়ে ৩১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বেশি।
রোববার ২০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয় পুঁজিবাজারে। হাতবদল হয় ৩১৩ কোটি ৫৬ লাখ ২ হাজার টাকার শেয়ার। যা চলতি বছরের তো বটেই, ২০২১ সালের ৫ এপ্রিলের পর এটিই সর্বনিম্ন লেনদেন।
সে সময় করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউনের আগে আগে পুঁজিবাজারে লেনদের স্থগিত হয়ে যাবে, এমন আতঙ্কে লেনদেন নামে তলানিতে। দিনভর হাতবদল হয় কেবল ২৩৬ কোটি ৬০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। তবে পরদিন যখন পুঁজিবাজার চালু থাকার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে, পরদিন থেকেই বাড়তে থাকে লেনদেন।
তবে নভেম্বরে শীত পড়ার আগে আগে শীতঘুমে যায় পুঁজিবাজার। ২৪ নভেম্বর ৩২৩ কোটি ৮০ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ২৪ অক্টোবর ৩৩৪ কোটি ৭৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকা, ২৭ নভেম্বর ৩৩৯ কোটি ৭৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং ২১ নভেম্বর ৩৫১ কোটি ৯০ লাখ ২৩ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে।
রোববারের আগে চলতি বছর সর্বনিম্ন লেনদেন ছিল গত ১৯ জুলাই। সেদিন ৩১৯ কোটি ৩৫ লাখ ২ হাজার টাকা লেনদেনের প্রধান কারণ ছিল কারিগরি ত্রুটি। সেদিন কয়েক ঘণ্টা লেনদেন বন্ধ ছিল।
করোনাকালের মতো না হলেও গত জুন থেকেই পুঁজিবাজার নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে থাকে। জুলাইয়ে ডিএসসির সাধারণ সূচক ৬ হাজার পয়েন্টের নিজে নেমে এলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বিনিয়োগকারীদের পাশে দাঁড়ায়। সব শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয়।
৩১ জুলাই থেকে উত্থানে ফেরে পুঁজিবাজার। এর মধ্যে বিনিয়োগকারীদের এক যুগের চাহিদাও পূরণ হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, শেয়ারের বাজারমূল্য নয়, ক্রয়মূল্য ধরেই গণনা হবে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজার লিমিট।
অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ফের চলে উত্থান। তবে অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়তে থাকলে ধীরে ধীরে গতি হারাতে থাকে পুঁজিবাজার।
এর মধ্যে ব্যাংকে টাকা রাখা নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়, সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা আরও বাড়ে। বেশ কিছু ব্যাংক থেকে বেআইনিভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণের বিষয়টিও আসে সামনে। এতে বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস নামতে থাকে তলানিতে।
এদিন ৯১টি কোম্পানির একটিও শেয়ারও লেনদেন হয়নি। এর মধ্যে ৮টির লেনদেন বন্ধ ছিল রেকর্ড ডেটের কারণে।
যে ২৯৯টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে, তার মধ্যে ২৩টির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরপতন হয়েছে ৫৫টির। আর অপরিবর্তিত দরে লেনদেন হয়েছে ২২১টি কোম্পানির, যার প্রায় সবই রয়েছে ফ্লোর প্রাইসে।
দরপতনের প্রভাবে সূচক কমেছে ১২ পয়েন্ট। ডিএসইএক্সের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১২ পয়েন্টে। সূচকের অবস্থান এর চেয়ে কম ছিল ৫ কর্মদিবস আগে। ২৮ নভেম্বর সূচক ছিল ৬ হাজার ১৯৭ পয়েন্টে।
১ থেকে ১ হাজারের মধ্যে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২৫টিতে। এক কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে মাত্র ৫১টি কোম্পানিতে। ২৭৪ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। বিপরীতে ২৪৮টি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে কেবল ৭০ কোটি ১৪ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
পুঁজিবাজারের লেনদেন নিয়ে ক্যাল সিকিউরিটিজের শীর্ষ নির্বাহী (সিইও) রাজেশ সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে ডিসেম্বরে মার্কেট এমন থাকে। কিন্তু এবার বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কারণ, আবার ১০ তারিখে বিএনপির কর্মসূচি, এসব বিষয় মাথায় রেখেই বিনিয়োগকারীরা সাইডলাইনে রয়েছেন। অন্যবার যেমন হয় কেউ লাভ করেন, কেউ লোকসানে থাকেন। কিন্তু এবার সবাই ধরা খেয়েছে।’
এখন বাজার যে অবস্থানে রয়েছে সেখান থেকে উঠে দাঁড়াতে সময় লাগবে বলেও মনে করেন তিনি। বলেন, ‘এটাও মার্কেটের একটা সুযোগ, এটাকে অ্যাকিউমুলেট করে মার্কেট দাঁড়াতে সময় লাগবে।
‘আমাদের দেশে অতীতে দেখা গেছে যখন অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ থাকে তখন মার্কেট ভালো থাকে। কিন্তু এবার সে রকম নয়।’
সূচকে প্রভাব যাদের
সবচেয়ে বেশি ৫ দশমিক ২২ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে বিকন ফার্মা। কোম্পানির দর কমেছে ২ দশমিক ৭০ শতাংশ।
ওরিয়ন ফার্মার দর ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ হ্রাসে সূচক কমেছে ২ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট।
বসুন্ধরা পেপারের কারণে সূচক হারিয়েছে ২ দশমিক ০৪ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।
এ ছাড়াও নাভানা ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, সোনালী পেপার, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, জেনেক্স ইনফোসিস ও পূবালী ব্যাংকের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১৭ দশমিক ১০ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৩০ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বার্জার পেইন্টসের দর ১ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ২৭ পয়েন্ট।
এডিএন টেলিকম সূচকে যোগ করেছে ১ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক, বিডি থাই ফুড, বাটা সুজ, প্রিমিয়ার ব্যাংক, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ও মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭১ পয়েন্ট।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ দর বেড়ে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৬৭ টাকায়, যা আগের দিন ছিল ৫২৭ টাকা ৫০ পয়সা।
এরপরেই ৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়ে এডিএন টেলিকমের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১৪ টাকা ২০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ১০৬ টাকা ৮০ পয়সা।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল বিডি থাই ফুড। ৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ৫০ টাকায়। আগের দিনের দর ছিল ৪৮ টাকা ১০ পয়সা।
এ ছাড়া অগ্নি সিস্টেমসের দর ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেড়ে শেয়ার বেচাকেনা হয়েছে ২৪ টাকায়। গতকাল ক্লোজিং প্রাইস ছিল ২৩ টাকা ১০ পয়সা।
সোনালী আঁশ ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের দর বেড়েছে ২ শতাংশের বেশি।
মুন্নু সিরামিকস, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এনসিসিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড-১ ও বিডি কমের দর বেড়েছে ১ শতাংশের বেশি।
দরপতনের শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৭ দশমিক ১৮ শতাংশ দর কমেছে জুট স্পিনার্সের। প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১৬ টাকায়, যা আগের দিন ছিল ২৩২ টাকা ৪০ পয়সা।
এর পরেই ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ দর কমে পেপার প্রসেসিংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০৩ টাকা ৫০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ২১৫ টাকা ৩০ পয়সা।
৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ দর কমে নাভানা ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮০ টাকা ১০ পয়সায়। যা আগের দিন ছিল ৮৪ টাকা ৭০ পয়সা।
এ ছাড়া তালিকায় পরের স্থানে ছিল বসুন্ধরা পেপার, জেমিনি সি-ফুড, কে অ্যান্ড কিউ, ওরিয়ন ফার্মা, মনোস্পুল, পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য