৬৫ প্রতিষ্ঠানকে বেস্ট করপোরেট অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে ইনস্টিটিউট অফ কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)। পাবলিক ও প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিগুলোর ২০২১ সালের গভর্ন্যান্স, ট্রান্সপারেন্সি ও পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ১৭ ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এই পুরস্কার বিতরণীর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার তুলে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমাদের বাণিজ্য সচিব একটা তথ্য দিয়েছিলেন যে গত মাসে আমরা (বাংলাদেশ) রেকর্ড ৫ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছি। এখানে এসে আমি বিএসইসি চেয়ারম্যানকে বলার পর তিনি আমাকে আরেকটি তথ্য জানালেন। তা হলো গত মাসে রেমিট্যান্স এসেছে রেকর্ড ২ বিলিয়ন ডলার।
‘চারদিকে বলাবলি হচ্ছে যে আমাদের অর্থনীতির অবস্থা ভালো না। আমরা পিছিয়ে যাব। আজকে অনেকের কথা শুনেছি৷ তাদের এগিয়ে যাওয়া ও স্বীকৃতির মাধ্যমে বোঝা যায়, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা এগিয়ে যাব।’
যারা রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়ার কথা ছড়াচ্ছেন তারা জেগে থেকে ঘুমাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুনেছি আইসিএমবি অনেক পুরস্কার পেয়েছে ও পেতে যাচ্ছে। এ থেকে বোঝা যায় তারা নিজেদের শিক্ষার মান বাড়িয়েছে, এগিয়ে যাচ্ছে।
‘আইসিএমএবি আজ স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে শুধু পুরস্কারপ্রাপ্তদের সম্মানিত করেনি, নিজেরাও বড় হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম ও ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি জসিম উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্যে বাংলাদেশ নতুন লেভেলে চলে গেছে। নভেম্বরে রেকর্ড ৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি হয়েছে। আরও বাড়বে, বাংলাদেশ আরও ভালো করবে। মাথাপিছু আয় তিন হাজারে চলে গেছে।’
আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উৎপাদন খরচ কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘সামনে কঠিন সময়, এসডিজি ও ভিশন ২০৪১ পূরণ করতে হলে কম্পিটিটিভ হতে হবে। আমাদের সাপ্লাই চেইনে সমস্যা আছে। এ সমস্যা দূর করা জরুরি। গ্যাস বিদ্যুতের স্মুথ সাপ্লাই ম্যানেজমেন্ট করতে হবে। এ জন্য সবকিছুর উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে হবে। অর্থনীতির গতি ধরে রাখতে চাইলে সবগুলো আইটেমই কোয়ালিটিসম্পন্ন হতে হবে। বিদেশে যেগুলো যায় সেগুলোর মান নিয়ে কাজ করতে কস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টদের দরকার।’
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘কস্ট ম্যানেজমেন্ট সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন জায়গায় যুক্ত হচ্ছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ভালোভাবে নিয়মমাফিক কাজ করলে এসব প্রতিষ্ঠান আরও ভালো হবে। এসব হবে লাভজনক প্রতিষ্ঠান। তাই আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও প্রতিযোগিতামূলক হতে হবে।’
আইসিএমএবির গুরুত্ব উল্লেখ করে শিবলী রুবাইয়াত বলেন, ‘পুঁজিবাজারের দুর্বল কোম্পানির বোর্ডে আইসিএমবিকে সংযুক্ত করছি, অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ভালো করতে পারবে। এমনকি কিছু ভালো কোম্পানিতেও সংযুক্ত করছি, যাতে তারা আরও ভালো মুনাফা করতে পারে। এতে সরকারের রাজস্বও বাড়বে।’
এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আইসিএমএবি যারা প্রফেশনাল তারা অনেকভাবে আমাদের ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করতে পারে। এই পেশাটা বিভিন্ন রকমের অপচয় রোধে কাজ করে থাকে। এলডিসি থেকে উত্তরণ করতে যাচ্ছি আমরা। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর অবদান অসামান্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের পর অনেক সুবিধাই থাকবে না। আমরা জিএসপি প্লাস নিয়ে কাজ করছি। আমেরিকান মার্কেটেও কাজ করছি। আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলকভাবে কাজ করছি। এজন্য দক্ষ জনবল দরকার। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর আমরা ভালো করতে পারব। এ নিয়ে আমি ভীত নই। যারা কস্ট অ্যাকাউন্টে কাজ করছেন তাদের সহযোগিতা আমাদের ব্যবসায়ীদের সহায়ক হবে।’
আইসিএমএবির প্রেসিডেন্ট মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অ্যাওয়ার্ড কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল আজিজ ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মুনিরুল ইসলামসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।
এবার ১৬৫টি প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ২৮টি মানদণ্ডের ভিত্তিতে ১৭ বিভাগে তিনটি করে (প্রথম পুরস্কার স্বর্ণ, দ্বিতীয় পুরস্কার রৌপ্য ও তৃতীয় পুরস্কার ব্রোঞ্জ) মোট ৬৫ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেয়া হয়।
এ বছর জুরিবোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। বোর্ডে সদস্য হিসেবে ছিলেন বেসরকারি ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন আহমেদ।
আইসিএমএবি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রাণাধীন পেশাগত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিং পেশার উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ ও প্রসারের লক্ষ্যে দেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রি প্রদান এবং এসব বিষয়ে গবেষণা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
১৭ ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো
রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক: এই ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে জনতা ব্যাংক লিমিটেড। দ্বিতীয় সোনালী ব্যাংক ও তৃতীয় অবস্থানে আছে রূপালী ব্যাংক।
বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক: প্রথম পুরস্কার পেয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড। যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছে ডাচ-বাংলা ও ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড। তৃতীয় পুরস্কারও যুগ্মভাবে পেয়েছে ইস্টার্ন ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক লিমিটেড।
বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক (ইসলামিক অপারেশন): এই ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। দ্বিতীয় হয়েছে ইসলামী ব্যাংক এবং যৌথভাবে তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অফ বাংলাদেশ লিমিটেড।
নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান: প্রথম পুরস্কার পেয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড। দ্বিতীয় আইডিএলসি ফাইন্যান্স এবং যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স করপোরেশন পিএলসি ও লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স।
সাধারণ বীমা: বীমায় গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড প্রথম পুরস্কার পেয়েছে। সাধারণ বীমা করপোরেশন দ্বিতীয় এবং নিটোল ইন্স্যুরেন্স ও এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড যৌথভাবে তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে।
লাইফ ইন্স্যুরেন্স: এই ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার লাভ করেছে সন্ধ্যানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স। যৌথভাবে তৃতীয় পুরস্কার লাভ করেছে ন্যাশনাল লাইফ ও পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ।
ফার্মাসিউটিক্যালস ম্যানুফ্যাকচারিং: এই ক্যাটাগরিতে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড প্রথম পুরস্কার ঘরে তুলেছে। আরেক শীর্ষ স্থানীয় কোম্পানি রেনেটা লিমিটেড পেয়েছে দ্বিতীয় পুরস্কার। যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে ওরিয়ন ফার্মা ও এসিআই লিমিটেড।
সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং: প্রথম পুরস্কার লাভ করেছে প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস পিএলসি। দ্বিতীয় হয়েছে এম.আই. সিমেন্ট ফ্যাক্টরি লিমিটেড। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেড ও হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড।
টেক্সটাইল ম্যানুফ্যাকচারিং: প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল পিএলসি প্রথম পুরস্কার পেয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে স্কয়ার টেক্সটাইল। এস্কোয়ার নিট কম্পোজিট এবং মতিন স্পিনিং মিলস পিএলসি যৌথভাবে তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে।
এমএনসি ম্যানুফ্যাকচারিং: এই ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড এবং ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড। রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ পিএলসি দ্বিতীয় ও বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড তৃতীয় পুরস্কার ঘরে তুলেছে।
অন্যান্য ম্যানুফ্যাকচারিং: এই ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড প্রথম, আরএকে সিরামিকস (বাংলাদেশ) লিমিটেড দ্বিতীয় এবং যৌথভাবে তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড ও বিবিএস ক্যাবলস লিমিটেড।
পাওয়ার জেনারেশন, ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন: এই ক্যাটাগরিতে সামিট পাওয়ার লিমিটেড প্রথম পুরস্কার পেয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। যৌথভাবে তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে ডোরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেড এবং বারাকা পাওয়ার লিমিটেড।
তেল, গ্যাস ও জ্বালানি: লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড প্রথম, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড দ্বিতীয় এবং এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেড তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে।
এনজিও: প্রথম পুরস্কার পেয়েছে ব্র্যাক। দ্বিতীয় অ্যাকশন এইড-বাংলাদেশ। যৌথভাবে তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে সাজিদা ফাউন্ডেশন ও ইউসেপ বাংলাদেশ।
অ্যাগ্রো এবং ফুড প্রসেসিং: প্রথম পুরস্কার পেয়েছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। যৌথভাবে দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে অ্যাগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানি ও ইনডেক্স অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে অ্যাপেক্স ফুডস লিমিটেড।
ট্রেডিং ও অ্যাসেম্বলি: প্রথম পুরস্কারটি পেয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। রানার অটোমোবাইলস পিএলসি পেয়েছে দ্বিতীয় পুরস্কার। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড।
আইটি ও টেলিকমিউনিকেশন: এই ক্যাটাগরিতে স্বর্ণ পেয়েছে গ্রামীণফোন লিমিটেড। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড এবং তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে বিডিকম অনলাইন লিমিটেড।
আরও পড়ুন:দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে। রেকর্ড দাম হওয়ার পর কিছুটা কমানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে। আগামীকাল বুধবার থেকে এ দাম কার্যকর করা হবে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটির বৈঠকে করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গত ৭ মার্চ ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১২ হাজার ৯০৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ১৩ দিন রেকর্ড দামে বিক্রির পর এখন স্বর্ণের দাম কিছুটা কমল।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৮ টাকা।
২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৬৩৩ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৬ হাজার ১৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরিতে এক হাজার ৪০০ টাকা কমিয়ে ৯০ হাজার ৯৭৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
ঈদের পর কারওয়ান বাজারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পরিত্যক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হবে। আর এখানকার পাইকারি কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের গাবতলীতে ডিএনসিসির পাইকারি কাঁচাবাজারে স্থানান্তর করা হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম সোমবার এসব কথা বলেন।
গাবতলীতে ডিএনসিসির প্রস্তাবিত কাঁচাবাজারে ডিএনসিসির আওতাধীন কারওয়ানবাজার কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের আমিনবাজার পাইকারি কাঁচাবাজারে স্থানান্তরের বিষয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্য দেন ডিএনসিসি মেয়র।
এ সময় তিনি বলেন, ‘কারওয়ানবাজার কাঁচাবাজারের ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় এটি ধসে পড়তে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কারণে বহু মানুষের জীবন হুমকিতে রয়েছে।
‘এখানকার ব্যবসায়ীদের দ্রুতই গাবতলিতে বরাদ্দ দেয়া হবে। বরাদ্দ দেয়ার পরও যারা আসবেন না তাদের দায় নিজেদেরকেই নিতে হবে। আর বরাদ্দ পাওয়ার পর কেউ না এলে সেটি নিয়ম অনুযায়ী অন্যজনকে বরাদ্দ দিয়ে দেয়া হবে।’
মতবিনিময় সভার শুরুতে কারওয়ান বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ গাবতলীতে ব্যবসায়ীদের স্থানান্তরে ক্ষেত্রে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
মেয়র বলেন, ‘প্রথম ধাপে কারওয়ান বাজার আড়ৎ মার্কেটের প্রথম তলার ৪০০ বর্গফুটের ৬২টি দোকান এবং দ্বিতীয় তলার ১৭০ বর্গফুটের ১১৪টি দোকান অর্থাৎ মোট ১৭৬টি দোকান স্থানান্তর করা হবে।
‘এছাড়াও কারওয়ানবাজারে সম্পত্তি বিভাগ কর্তৃক বরাদ্দকৃত ১৮০টি টিনশেড দোকান আমিনবাজারে পাইকারি কাঁচাবাজারের আশপাশের উন্মুক্ত স্থানে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।’
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘কারওয়ান বাজারের ভবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কোন দুর্ঘটনা ঘটলে বা আগুন লাগলে বহু মানুষ হতাহত হবে। আমরা আর মৃত্যুর মিছিল দেখতে চাই না৷ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে- ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কোনো ব্যবসা চলতে দেয়া যাবে না। ঈদের পর কারওয়ান বাজারের কাচাবাজারের ব্যবসায়ীদের স্থানান্তর শুরু হবে। ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিন। আপনাদের জন্য সব সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।’
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘কারওয়ান বাজার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রায় ৫শ’ বছর আগে। এটি যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন ঢাকার কেন্দ্রবিন্দু ছিল সদরঘাট। পর্যায়ক্রমে ঢাকা গুলিস্তান, মতিঝিল হয়ে অনেকদূর প্রসারিত হয়েছে। তাই কারওয়ান বাজার ঢাকার প্রান্তে স্থানান্তর করার মাধ্যমে স্মার্ট শহর নিশ্চিত করতে হবে। গাবতলীতে বাজার শুরু হলে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সার্বিক ব্যবস্থা নেবে।’
মতবিনিময় সভা শুরুর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিএনসিসি মেয়র গাবতলী পাইকারি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখেন।
আরও পড়ুন:ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ১৭ মার্চ, ২০২৪ রোববার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ কথা জানানো হয়।
ব্যাংকের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ব্যাংকের ডাইরেক্টর বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ও নাসির উদ্দিন, এফসিএমএ এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আলতাফ হুসাইন।
লোকসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে ভারত। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এ ভোটগ্রহণ আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে চলবে ১ জুন পর্যন্ত। ফলাফল ঘোষণা হবে আগামী ৪ জুন।
শনিবার ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজিব কুমার এ ঘোষণা দেন।
দেশটির নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, এবারের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হবে ১৯ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ ২৬ এপ্রিল, তৃতীয় দফা ৭ মে, চতুর্থ দফা ১৩ মে, পঞ্চম দফা ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৫ মে এবং সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১ জুন।
আনন্দবাজারে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় (১৯ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গ, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ছত্তিসগড়, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, লক্ষদ্বীপ, আন্দামান নিকোবার, বিহার, সিকিম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, আসাম ও অরুণাচলপ্রদেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বিতীয় দফায় (২৬ এপ্রিল) ভোট হবে কেরালা, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিসগড়, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, জম্মু ও কাশ্মীর, আসাম, মণিপুর ও ত্রিপুরায়।
তৃতীয় দফায় (৭ মে) জম্মু ও কাশ্মীর, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ছত্তিসগড়, গোয়া, দাদরা-নগর হভেলি ও দমন-দিউয়ে নেয়া হবে ভোট।
চতুর্থ দফায় (১৩ মে) মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে ভোটগ্রহণ হবে।
পঞ্চম দফায় (২০ মে) ভোট হবে লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও মহারাষ্ট্রে।
ষষ্ঠ দফায় (২৫ মে) দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় ভোট হবে।
সপ্তম দফায় (১ জুন) হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, চণ্ডীগড়, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, বিহার, গুজরাট, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং তামিলনাড়ুসহ একাধিক রাজ্যের ২৬টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে ওই সময়ের মধ্যে।
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবর প্রচারের বিরুদ্ধে শক্ত বার্তা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করা উচিত।
রাজিব কুমার বলেন, ভুয়া খবর প্রচার আইন অনুযায়ী কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯ (৩) (বি) ধারা প্রতিটি রাজ্যের নোডাল অফিসারদের বেআইনি বিষয়বস্তু অপসারণের ক্ষমতা দিয়েছে।
২০১৯ সালের নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয়বারের মতো কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে বিজেপি। তারা জয় পায় ৩০৩টি আসনে। আর বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পায় ৩৫৩ আসন। ওই নির্বাচনে বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৩৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৮৯ সালের পর ভারতের কোনো রাজনৈতিক দল এত বেশি ভোট আর পায়নি।
ওই নির্বাচনে মাত্র ৫২ আসনে জয় পেয়েছিল শতাব্দীপ্রাচীন দল কংগ্রেস। আর কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট জিতেছিল ৯৮ আসনে।
আরও পড়ুন:চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ। অথচ অর্থবছরের অর্ধেক সময় শেষে ডিসেম্বর নাগাদ প্রাপ্তি মাত্র ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ। এমনটা উল্লেখ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) উল্লেখ করেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে সরকারের বাজেট ঘাটতি ৮২ হাজার কোটি টাকা হবে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় এই থিঙ্ক ট্যাঙ্কের নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, ‘চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা এখনও অর্জিত হয়নি। বাকি ছয় মাসে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে প্রায় ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ হারে রাজস্ব সংগ্রহ করতে হবে, যা হবে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।’
এতে দেশের রাজস্ব ঘাটতি ৮২ হাজার কোটি টাকা দাঁড়াতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব নিয়ে শনিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিপিডি এসব কথা বলেছে।
ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫: সিপিডির সুপারিশমালা’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানটির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, গবেষক মুনতাসীর কামাল প্রমুখ।
দেশের অর্থনীতি এক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বড় ধরনের চাপের মধ্যে আছে। বিশেষত মূল্যস্ফীতির চাপে মানুষের জীবনযাত্রা সংকটে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করাই ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত বলে মনে করে সিপিডি।’
তিনি বলেন, ‘এমন একটা সময় বাজেট প্রণয়ন হতে যাচ্ছে যখন সামষ্টিক অর্থনীতি নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকে তারল্য সংকট, বাজেট বাস্তবায়নে নিম্ন ও স্লথ গতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নগামী এবং রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স নিচের দিকে।
‘এই পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বিশেষ করে উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও নিম্ন মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য সূচক যেখানে থাকার কথা সেটা নেই; বরং চরমভাবে চাপের মুখে পড়েছে। এর কারণ আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দুটোই।’
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘বাজেট প্রণয়ন হয় এক বছরের জন্য। বাজেটে যে নির্দেশনা থাকবে সেগুলো যেন চ্যালেঞ্জগুলো মেটাতে পদক্ষেপ নিতে পারে। মূল্যস্ফীতির চাপ কমানো, টাকার বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা রাখা ও দরিদ্র মানুষের স্বার্থের দিকে নজর দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের উন্নয়ন ব্যয়ও কমেছে। গত বছর ২৭ শতাংশের মতো থাকলেও এখন তা ২৫ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
সিপিডির মতে, নীতিনির্ধারকদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা। বৈদেশিক মুদ্রার হারকে স্থিতিশীল করা এবং মূল্যস্ফীতি কমানোর দিকে নজর দিতে হবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে দুর্বল ও সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর জন্য সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।’
সিপিডির সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- অর্থপাচার রোধে এনবিআরের শক্তিশালী ভূমিকা নেয়া, অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ বন্ধ করা, করদাতাদের হয়রানি বন্ধ করা, ইএফডি যন্ত্র সহজলভ্য করা এবং ওষুধের ওপর ভ্যাট কমানো।
সিপিডির পক্ষ থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ও আমদানি করা বই- এসবে শুল্ক, ভ্যাট এবং কর কমানোরও প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মুসলিমদের জন্য একটি অফার নিয়ে এসেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান নগদ।
নগদ ইসলামিক অ্যাপ বা *১৬৭# ডায়াল করে মোবাইল রিচার্জ, পেমেন্ট, ব্যাংক বা কার্ড থেকে অ্যাড মানিসহ যেকোনো লেনদেন করে মক্কা ও মদিনা সফরের সুযোগ পেতে পারেন গ্রাহকরা।
শর্ত হলো নগদ ইসলামিকের ব্যবহারকারী হতে হবে এবং পরিপূর্ণ সক্রিয় একটি নগদ ইসলামিক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
যদি কোনো নগদ ইসলামিক গ্রাহক মক্কা-মদিনা সফরের জন্য মনোনীত হন, তাহলে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে তাকে নগদ ইসলামিকের গ্রাহক সেবা থেকে এসএমএস, কলের মাধ্যমে জানানো হবে এবং উপহার গ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট তারিখ ও স্থানে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে উপস্থিত হতে হবে।
নগদ ইসলামিক শুধু বিজয়ী নির্বাচন, ঘোষণা এবং পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে দায়বদ্ধ থাকবে।
নতুন এই ক্যাম্পেইনের বিষয়ে নগদের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আমিনুল হক বলেন, ‘এমএফএস হিসেবে নগদই প্রথম ইসলামিক এমএফএস সেবা চালু করেছে। আমরা চাই ধর্মীয় বিধিবিধান মেনে চলা মুসলমান গ্রাহকেরা তাদের পছন্দমতো লেনদেন যেন নগদ ইসলামিকের মাধ্যমে করতে পারেন। অনেকের মক্কা-মদিনা ভ্রমণের ইচ্ছাপূরণ করার জন্য আমরা নতুন ক্যাম্পেইন নিয়ে এসেছি।’
আরও পড়ুন:প্রযুক্তি নির্ভর পৃথিবী পাল্টাচ্ছে প্রতিদিন। বর্তমান সময়ে যেকোনো কাজ, শিক্ষা কিংবা বিনোদনের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে ল্যাপটপের ব্যবহার। আধুনিক জীবনের সব রকমের প্রয়োজন মেটাতে ক্রমাগত আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে এসব ডিভাইস।
ফলে যত বেশি কাজ, তাপও উৎপন্ন হচ্ছে সেই হারে। এই তাপ কমাতে সাধারণত পোর্টেবল কুলিং ফ্যান ব্যবহার করা হয়। এভাবে বাহ্যিক তাপ কমানো গেলেও ল্যাপটপের ভেতরে আটকে পড়া তাপ নিয়ে চিন্তা থেকেই যায়।
তবে ল্যাপটপেই যদি একটি শক্তিশালী কুলিং সিস্টেম থাকে, তাহলে বাহ্যিক কুলিং ফ্যানের আর প্রয়োজন হয় না। বিষয়টি মাথায় রেখে গত বছর ইনবুক সিরিজের এক্স২ ল্যাপটপ বাজারে আনে ইনফিনিক্স। এই ল্যাপটপের ভেতরে আছে আইস স্টর্ম ১.০ নামক কুলিং প্রযুক্তি। এটি ল্যাপটপে একটি আদর্শ তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্যে করে। আইস স্টর্ম কুলিং সিস্টেম তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে মিলিটারি-গ্রেডের বায়ু চলাচল ব্যবস্থা। গেমিংসহ অন্যান্য কাজ কিংবা বিনোদনের সময় যা নিঃশব্দে পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে।
ইনফিনিক্সের এই প্রযুক্তিটি ল্যাপটপের কুলিং সিস্টেমের গুরুত্ব তুলে ধরে। ল্যাপটপ কিংবা এর ব্যবহারকারী, উভয়ক্ষেত্রেই এর প্রভাব রয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক, কীভাবে কার্যকর কুলিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের কাজে আসে এবং এর মাধ্যমে কী কী সমস্যার সমাধান হয়?
পারফরম্যান্স
ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে প্রথম সমস্যা হয় এর পারফরম্যান্সে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে ল্যাপটপের কাজের মান ও গতি কমে যায় এবং ল্যাগ সৃষ্টি হয়। একে থার্মাল থ্রটলিং বলে। কার্যকর কুলিং সিস্টেম দ্রুত এই তাপমাত্রা কমিয়ে এনে নিরবচ্ছিন্নভাবে উন্নত পারফরম্যান্সের লেভেল বজায় রাখতে পারে। ফলে মাল্টিটাস্কিং করা সহজ হয়, সফটওয়্যারগুলো দ্রুত কাজ করে এবং ব্যবহারকারীদের সামগ্রিক অভিজ্ঞতাও ভালো হয়।
স্থায়িত্ব ও জীবনকাল
ল্যাপটপের সিপিউ ও জিপিউ’র মতো অভ্যন্তরীণ উপাদানগুলো বেশ তাপ সংবেদনশীল। সময়ের সঙ্গে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে এসব উপাদানের ক্ষতি হয়। এতে ডিভাইসের নির্ভরযোগ্যতা কমে যায় এবং জীবনকালও সংক্ষিপ্ত হয়ে আসে। এক্ষেত্রে একটি ভালো কুলিং সিস্টেম দক্ষতার সঙ্গে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে অকালে হার্ডওয়্যার নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কমায়। এমন সক্রিয় ব্যবস্থা ল্যাপটপের জীবনকাল বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের আর্থিক লোকসানও কমিয়ে আনে।
পরিবেশবান্ধব
তাপমাত্রা বেশি হলে ফ্যানকে আরও বেশি কাজ করতে হয়, ফলে আরও বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়। ল্যাপটপে সার্বক্ষণিক ফ্যানের ব্যবহার কমিয়ে কার্যকরভাবে তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে উন্নত কুলিং সিস্টেম। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়, বিদ্যুৎ বিল কমে আসে এবং পরিবেশের সুরক্ষা হয়।
স্বস্তি এবং স্বাস্থ্য
ডিভাইসের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে ল্যাপটপ ব্যবহার করা খুবই অস্বস্তিকর। বিশেষভাবে, যখন কোলের উপর রেখে ব্যবহার করতে হয় তা অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে তোলে। দীর্ঘ সময় এভাবে ল্যাপটপ ব্যবহার করলে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ত্বক পুড়ে যাওয়াসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও, ফ্যান অতিরিক্ত শব্দ করলে তা ব্যবহারকারীর মনোযোগেও বিঘ্ন ঘটায়। ল্যাপটপ ঠান্ডা রেখে নিঃশব্দে কার্যক্রম বজায় রাখার মাধ্যমে এসব ঝুঁকি কমিয়ে আনে আইস স্টর্ম ১.০-এর মতো অত্যাধুনিক কুলিং সিস্টেমগুলো।
তাই ল্যাপটপের কুলিং সিস্টেম শুধু ডিভাইসের পারফরম্যান্স ও জীবনকালের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং ব্যবহারকারীর স্বস্তি, সুস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্যও এটি জরুরি।
ইনফিনিক্সের ইনবুক সিরিজের এক্স২ এবং ওয়াই২ প্লাস ল্যাপটপ দেশজুড়ে রায়ানস, স্টারটেক ও দারাজের মতো অনুমোদিত রিটেইলারদের কাছে পাওয়া যাচ্ছে। ১৪ থেকে ২০ মার্চ রায়ানস-এর ব্র্যান্ড উইক চলাকালীন ইনফিনিক্স ল্যাপটপ কিনলেই ক্রেতারা পাবেন একটি পাওয়ার ব্যাংক, একটি মাউস প্যাড এবং ১০০০ টাকার শপিং ভাউচার।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য