শেষ কর্মদিবসেও উত্থানের মধ্য দিয়ে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিল পুঁজিবাজার। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টানা তিন কর্মদিবস সূচকে পয়েন্ট যোগ হলো। সেই সঙ্গে দিনের চেয়ে বেড়ে ছয় কর্মদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ হলো লেনদেনও।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের প্রভাব শুরু হওয়া পতন থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপের কারণে তিন সপ্তাহ ধরে ফের সংশোধন চলছে পুঁজিবাজারে।
১৫ কর্মদিবস আগে ৯ নভেম্বর সর্বশেষ হাজার কোটির বেশি লেনদেন হয়েছিল ডিএসইতে। এরপরে তিন কর্মদিবস ৭০০ কোটি টাকার ঘরে লেনদেন হলেও ক্রমেই তা তলানিতে ঠেকে।
৮ কর্মদিবসে পরে ২১ নভেম্বর সর্বপ্রথম লেনদেন ৩০০ কোটির ঘরে নেমে আসে। হাতবদল হয় ৩৫১ কোটি ৯০ লাখ ২৩ হাজার টাকা।
পরে আরও তিনবার ৩০০ কোটির ঘরে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন ৩২৩ কোটি ৮০ লাখ ২৮ হাজার টাকা লেনদেন হয়, যা গত বছরের ৪ এপ্রিলের পর সর্বনিম্ন।
এমনকি ২৪ অক্টোবর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ডিএসইর লেনদেন বন্ধ থাকার পরও এর চেয়ে কম লেনদেন হয়নি।
রোববার ৪১৬ কোটির বেশি লেনদেন হলেও সোমবারই আবার লেনদেন ৩০০ কোটির ঘরে নেমে যাওয়ায় হতাশা ঘিরে ধরে। এরপর ধারাবাহিক তিন কর্মদিবস সূচক ও দুই কর্মদিবস লেনদেন বাড়ে।
ডিএসইতে হাতবদল হয় ৪৮৪ কোটি ৭৫ লাখ ১২ হাজার টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৩৫ কোটি ৩৮ লাখ ৪২ হাজার টাকা।
মঙ্গলবারের তুলনায় ১১৫ কোটি টাকা বেড়ে বুধবার হাতবদল হয়েছিল ৪৪৯ কোটি ৩৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
দরপতনের তুলনায় দরবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় তিন গুণ। ২৩টি কোম্পানির শেয়ারদর কমার বিপরীতে বেড়েছে ৬১টির। আগের দিন দরবৃদ্ধির সংখ্যা ছিল ৫১টির।
আগের দিনের তুলনায় দরবৃদ্ধি বেশি হলেও এসব কোম্পানি সূচকে খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেনি।
দিনভর উত্থান-পতনের মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৪৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে, যা ১০ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
সূচক ও লেনদেন বৃদ্ধির মধ্যেও একটি শেয়ারও লেনদেন হয়নি ৭২টির, যা আগের দিন ছিল ৮৬। ২৩৪টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে, যার দুই-একটি বাদে সবই ফ্লোর প্রাইসে রয়েছে।
বিপুল বিক্রয়াদেশের বিপরীতে এসব শেয়ারের ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। এ রকম ১২১টি শেয়ারের লেনদেন হয় ১ থেকে ১ হাজারের নিচে।
মাত্র ৬১টি কোম্পানিতে লেনদেন হয় কোটি টাকার বেশি, হাতবদল হয় ৩৮৬ কোটি ৪৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। বাকি আড়াই শতাধিক কোম্পানির লেনদেন হয় শত কোটির নিচে। এ রকম ২৫৭টি কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে ৯৮ কোটি ৩০ লাখ ৯২ হাজার টাকা।
লেনদেনের বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত কয়েক দিনের সংশোধনে মানুষের বড় রকমের লোকসান হয়েছে। যাদের মার্জিনে ঋণে বিনিয়োগ ছিল তাদের ফোর্স সেল হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে যখন বড় ধরনের পতন হয়, তখন বাজারে বায়ার তৈরি হয়ে যায়।’
এ উত্থানটা আরও বেশি হতে পারত বলে মনে করেন ব্রোকারদের এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘বাজার যেভাবে ওঠার দরকার ছিল, সেভাবে ওঠেনি। যে পরিমাণ লোকসান হয়েছে, তাতে আরও বেশি বায়ার তৈরি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হচ্ছে না ফ্লোর প্রাইসের কারণে। ফলে অনেকেই সাইডলাইনে আছেন।’
সূচকে প্রভাব যাদের
সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে বসুন্ধরা পেপার। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৭ দশমিক ৬০ শতাংশ।
ওরিয়ন ইনফিউশনের দর ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৫২ পয়েন্ট।
লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ সূচকে যোগ করেছে ১ দশমিক ০২ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইউনিক হোটেল, পূবালী ব্যাংক, বার্জার পেইন্টস, ওরিয়ন ফার্মা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ও সোনালী পেপার।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৯ দশমিক ০৭ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে সি-পার্ল। কোম্পানির দর কমেছে ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
বিকন ফার্মার দর শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ হ্রাসে সূচক কমেছে ১ দশমিক ০২ পয়েন্ট।
বেক্সিমকো ফার্মার কারণে সূচক হারিয়েছে শূন্য দশমিক ৭৮ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ।
এ ছাড়াও নাভানা ফার্মা, ই-জেনারেশন, জেনেক্স ইনফোসিস, মুন্নু সিরামিকস, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ক্যাবলস ও সামিট পোর্ট অ্যালায়েন্সের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৫ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ দর বেড়ে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫২৭ টাকা ৫০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ৪৮৫ টাকা ১০ পয়সা।
এরপরেই ৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেড়ে বেঙ্গল উইন্ডসরের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৮ টাকা ১০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ২৫ টাকা ৯০ পয়সা।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল হাক্কানি পাল্প। ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ৬৩ টাকায়। আগের দিনের দর ছিল ৫৮ টাকা ৫০ পয়সা।
এ ছাড়া তালিকায় ছিল বসুন্ধরা পেপার, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, অ্যাপেক্স ফুডস, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স ও ফাইন ফুডস।
দরপতনের শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ দর কমেছে বিডি ওয়েল্ডিংয়ের। প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৯ টাকা ৮০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ৩১ টাকা ৩০ পয়সা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ দর কমে সি-পার্লের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭৮ টাকা ৪০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ১৮৭ টাকা ১০ পয়সা।
এরপরেই দর কমেছে ই-জেনারেশনের। ৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ কমে শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ৬২ টাকা ৫০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ৬৫ টাকা ৫০ পয়সা।
এ ছাড়া তালিকায় পরের স্থানে ছিল জুট স্পিনার্স, মুন্নু সিরামিকস, শমরিতা হসপিটাল, নাভানা ফার্মা, ইস্টার্ন ক্যাবলস, আমরা টেকনোলজিস ও আমরা নেটওয়ার্কস।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য