দুই সপ্তাহ ধরে দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হওয়া দেশের প্রধান পুঁজিবাজারে ক্ষীণ আলো দেখা গেছে বুধবার। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচকে আগের দিনের চেয়ে দ্বিগুণ পয়েন্ট যোগ হওয়ার সঙ্গে লেনদেন বেড়েছে শত কোটি টাকার বেশি, তবে ‘খাদের কিনার’ থেকে পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তা বলা যাচ্ছে না।
আজ একটিও বেচাকেনা হয়নি এমন শেয়ারের সংখ্যা বেড়েছে। এখনও পৌনে ২০০টির বেশি শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে গড়াগড়ি খাচ্ছে। বিপুলসংখ্যক শেয়ারের বিক্রয়াদেশের বিপরীতে ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না এসব শেয়ারের।
ডিএসইতে বুধবার পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হয় ৪৪৯ কোটি ৩৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ১১৫ কোটি ৩২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা বেশি।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয়ার পর পুঁজিবাজারে কিছুটা উত্থান দেখা গিয়েছিল, কিন্তু এর পরে যে সংশোধন শুরু হয়েছে, তাতে গত তিন সপ্তাহ ধরে লেনদেন তলানিতে নেমেছে। এ সময়ে যে লেনদেন হচ্ছে, তা দুই মাস আগে ঊর্ধ্বমুখী পুঁজিবাজারের এক ঘণ্টার সমান।
এর মধ্যে মঙ্গলবার দেড় বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়। আর গত বছরের ৪ এপ্রিলের পর বা দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩২৩ কোটি ৮০ লাখ ২৮ হাজার টাকা লেনদেন হয় গত বৃহস্পতিবার।
এমনকি ২৪ অক্টোবর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ডিএসইর লেনদেন বন্ধ থাকার পরও এর চেয়ে কম লেনদেন হয়নি। সেখান থেকে অল্প অল্প বেড়ে আজ লেনদেন দ্বিতীয়বারের মতো ৪০০ কোটির ঘর ছাড়াল।
আগের দিনের মতোই দরপতনের তুলনায় দ্বিগুণ দরবৃদ্ধি হয়েছে। ২৬টি কোম্পানির শেয়ারদর কমার বিপরীতে বেড়েছে ৫১টির। মঙ্গলবার সংখ্যাটা ছিল ৬৩টি, তবে তা আজকের মতো সূচকে প্রভাব ফেলতে পারেনি।
২৩ পয়েন্ট যোগ হয়ে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৩৫ পয়েন্টে। গত ৯ কর্মদিবসের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ অবস্থান।
এর চেয়ে বেশি সূচক ছিল ১০ কর্মদিবস আগে ১৭ নভেম্বর। ওই দিন ডিএসইএক্সের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ২৬৫ পয়েন্টে।
লেনদেনের শুরুতে অবশ্য পতনের পাল্লাই বেশি ভারী ছিল। সকাল ১০টা ৫৪ মিনিটে আগের দিনের চেয়ে ৪ পয়েন্ট কমে লেনদেন হচ্ছিল, তবে এরপর ধারাবাহিকভাবে দরবৃদ্ধিতে শেষ পর্যন্ত ওই পরিমাণ সূচক বাড়ে।
সূচক, লেনদেন বৃদ্ধির মধ্যেও একটি শেয়ারও লেনদেন হয়নি ৮৬টির। আগের দিন এমন কোম্পানির সংখ্যা ছিল ৭৩টি।
২২৭টির লেনদেন হয় অপরিবর্তিত দরে, যার দুই-একটি বাদে সবই রয়েছে ফ্লোর প্রাইসে।
১১৬টির শেয়ারের বিপুল বিক্রয়াদেশের বিপরীতে ক্রেতা ছিল নগণ্য। কোম্পানিগুলোতে শেয়ার লেনদেন হয় ১ থেকে ১ হাজারের মধ্যে।
ভারসাম্য ছিল না লেনদেনেও। আড়াই শর মতো কোম্পানিতে লেনদেন শত কোটি অতিক্রম করতে পারেনি।
কোটি টাকার বেশি শেয়ার লেনদেন হয় ৫৪টি কোম্পানিতে। এ লেনদেনের পরিমাণ ৩৬০ কোটি ৩১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। বাকি ২৫০টি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ৮৯ কোটি ৫ লাখ ২৪ হাজার টাকা।
লেনদেনের বিষয়ে ট্রেজার সিকিউরিটিজ এর শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত কয়েক দিনের বাজারের চেয়ে আজকের বাজারের কোনো পার্থক্য নেই; একই অবস্থাতে আছে, তবে জাঙ্ক শেয়ারের কয়েকটা কিছু নড়াচড়া হয়েছে। যখন মার্কেট স্লো থাকে, এগুলোতে একটু মুভমেন্ট লক্ষ করা যায়।’
সূচকে প্রভাব যাদের
সবচেয়ে বেশি ৬ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে বিকন ফার্মা। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৪ দশমিক ৩১ শতাংশ।
বেক্সিমকো ফার্মার দর ৪ দশমিক ১৬ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৬ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট।
ইউনিক হোটেল সূচকে যোগ করেছে ২ দশমিক ০৪ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ, সি-পার্ল, মুন্নু সিরামিকস, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, আমরা নেটওয়ার্কস, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ও জেনেক্স ইনফোসিস।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২০ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন। কোম্পানির দর কমেছে ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
সোনালী পেপারের দর ১ দশমিক ০২ শতাংশ হ্রাসে সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৫২ পয়েন্ট।
চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কারণে সূচক হারিয়েছে শূন্য দশমিক ৩৪ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ।
এ ছাড়াও প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, বসুন্ধরা পেপার, ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, অ্যাপেক্স ফুডস, বিডি ওয়েল্ডিং ও পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৩ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ দর বেড়ে মুন্নু সিরামিকসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০৯ টাকা ৯০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ১০১ টাকা ৮০ পয়সা।
এরপরই ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়ে জুট স্পিনার্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৪৯ টাকা ২০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ২৩১ টাকা ২০ পয়সা।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল মুন্নু অ্যাগ্রো। ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ৬৫০ টাকা ২০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ৬০৪ টাকা ৯০ পয়সা।
এ ছাড়া জেমিনি সি ফুড, সোনালী আঁশ ও আমরা নেটওয়ার্কসের দর বেড়েছে ৭ শতাংশের বেশি। আর ইউনিক হোটেল ও আমরা টেকনোলজিসের ৫ শতাংশের বেশি এবং অ্যাডভেন্ট ফার্মা ও পেপার প্রসেসিংয়ের দর বেড়েছে ৪ শতাংশের ওপরে।
দরপতনের শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ দর কমেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের। প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৮৫ টাকা ১০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ৫২৪ টাকা ৪০ পয়সা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ দর কমে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৮ টাকা ১০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ৭২ টাকা।
এরপরই দর কমেছে অ্যাপেক্স ফুডসের। ৩ দশমিক ৩১ শতাংশ কমে শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ২৭১ টাকা ৪০ পয়সায়। যা আগের দিন ছিল ২৮০ টাকা ৭০ পয়সা।
এ ছাড়া তালিকায় পরের স্থানে ছিল বিডি ওয়েল্ডিং, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোনালী পেপার ও অ্যাম্বি ফার্মা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মন্তব্য