দুই সপ্তাহ ধরে দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হওয়া দেশের প্রধান পুঁজিবাজারে ক্ষীণ আলো দেখা গেছে বুধবার। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচকে আগের দিনের চেয়ে দ্বিগুণ পয়েন্ট যোগ হওয়ার সঙ্গে লেনদেন বেড়েছে শত কোটি টাকার বেশি, তবে ‘খাদের কিনার’ থেকে পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তা বলা যাচ্ছে না।
আজ একটিও বেচাকেনা হয়নি এমন শেয়ারের সংখ্যা বেড়েছে। এখনও পৌনে ২০০টির বেশি শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে গড়াগড়ি খাচ্ছে। বিপুলসংখ্যক শেয়ারের বিক্রয়াদেশের বিপরীতে ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না এসব শেয়ারের।
ডিএসইতে বুধবার পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হয় ৪৪৯ কোটি ৩৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ১১৫ কোটি ৩২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা বেশি।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয়ার পর পুঁজিবাজারে কিছুটা উত্থান দেখা গিয়েছিল, কিন্তু এর পরে যে সংশোধন শুরু হয়েছে, তাতে গত তিন সপ্তাহ ধরে লেনদেন তলানিতে নেমেছে। এ সময়ে যে লেনদেন হচ্ছে, তা দুই মাস আগে ঊর্ধ্বমুখী পুঁজিবাজারের এক ঘণ্টার সমান।
এর মধ্যে মঙ্গলবার দেড় বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়। আর গত বছরের ৪ এপ্রিলের পর বা দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩২৩ কোটি ৮০ লাখ ২৮ হাজার টাকা লেনদেন হয় গত বৃহস্পতিবার।
এমনকি ২৪ অক্টোবর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ডিএসইর লেনদেন বন্ধ থাকার পরও এর চেয়ে কম লেনদেন হয়নি। সেখান থেকে অল্প অল্প বেড়ে আজ লেনদেন দ্বিতীয়বারের মতো ৪০০ কোটির ঘর ছাড়াল।
আগের দিনের মতোই দরপতনের তুলনায় দ্বিগুণ দরবৃদ্ধি হয়েছে। ২৬টি কোম্পানির শেয়ারদর কমার বিপরীতে বেড়েছে ৫১টির। মঙ্গলবার সংখ্যাটা ছিল ৬৩টি, তবে তা আজকের মতো সূচকে প্রভাব ফেলতে পারেনি।
২৩ পয়েন্ট যোগ হয়ে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৩৫ পয়েন্টে। গত ৯ কর্মদিবসের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ অবস্থান।
এর চেয়ে বেশি সূচক ছিল ১০ কর্মদিবস আগে ১৭ নভেম্বর। ওই দিন ডিএসইএক্সের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ২৬৫ পয়েন্টে।
লেনদেনের শুরুতে অবশ্য পতনের পাল্লাই বেশি ভারী ছিল। সকাল ১০টা ৫৪ মিনিটে আগের দিনের চেয়ে ৪ পয়েন্ট কমে লেনদেন হচ্ছিল, তবে এরপর ধারাবাহিকভাবে দরবৃদ্ধিতে শেষ পর্যন্ত ওই পরিমাণ সূচক বাড়ে।
সূচক, লেনদেন বৃদ্ধির মধ্যেও একটি শেয়ারও লেনদেন হয়নি ৮৬টির। আগের দিন এমন কোম্পানির সংখ্যা ছিল ৭৩টি।
২২৭টির লেনদেন হয় অপরিবর্তিত দরে, যার দুই-একটি বাদে সবই রয়েছে ফ্লোর প্রাইসে।
১১৬টির শেয়ারের বিপুল বিক্রয়াদেশের বিপরীতে ক্রেতা ছিল নগণ্য। কোম্পানিগুলোতে শেয়ার লেনদেন হয় ১ থেকে ১ হাজারের মধ্যে।
ভারসাম্য ছিল না লেনদেনেও। আড়াই শর মতো কোম্পানিতে লেনদেন শত কোটি অতিক্রম করতে পারেনি।
কোটি টাকার বেশি শেয়ার লেনদেন হয় ৫৪টি কোম্পানিতে। এ লেনদেনের পরিমাণ ৩৬০ কোটি ৩১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। বাকি ২৫০টি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ৮৯ কোটি ৫ লাখ ২৪ হাজার টাকা।
লেনদেনের বিষয়ে ট্রেজার সিকিউরিটিজ এর শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত কয়েক দিনের বাজারের চেয়ে আজকের বাজারের কোনো পার্থক্য নেই; একই অবস্থাতে আছে, তবে জাঙ্ক শেয়ারের কয়েকটা কিছু নড়াচড়া হয়েছে। যখন মার্কেট স্লো থাকে, এগুলোতে একটু মুভমেন্ট লক্ষ করা যায়।’
সূচকে প্রভাব যাদের
সবচেয়ে বেশি ৬ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে বিকন ফার্মা। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৪ দশমিক ৩১ শতাংশ।
বেক্সিমকো ফার্মার দর ৪ দশমিক ১৬ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৬ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট।
ইউনিক হোটেল সূচকে যোগ করেছে ২ দশমিক ০৪ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ, সি-পার্ল, মুন্নু সিরামিকস, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, আমরা নেটওয়ার্কস, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ও জেনেক্স ইনফোসিস।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২০ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন। কোম্পানির দর কমেছে ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
সোনালী পেপারের দর ১ দশমিক ০২ শতাংশ হ্রাসে সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৫২ পয়েন্ট।
চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কারণে সূচক হারিয়েছে শূন্য দশমিক ৩৪ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ।
এ ছাড়াও প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, বসুন্ধরা পেপার, ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, অ্যাপেক্স ফুডস, বিডি ওয়েল্ডিং ও পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৩ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ দর বেড়ে মুন্নু সিরামিকসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০৯ টাকা ৯০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ১০১ টাকা ৮০ পয়সা।
এরপরই ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়ে জুট স্পিনার্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৪৯ টাকা ২০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ২৩১ টাকা ২০ পয়সা।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল মুন্নু অ্যাগ্রো। ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ৬৫০ টাকা ২০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ৬০৪ টাকা ৯০ পয়সা।
এ ছাড়া জেমিনি সি ফুড, সোনালী আঁশ ও আমরা নেটওয়ার্কসের দর বেড়েছে ৭ শতাংশের বেশি। আর ইউনিক হোটেল ও আমরা টেকনোলজিসের ৫ শতাংশের বেশি এবং অ্যাডভেন্ট ফার্মা ও পেপার প্রসেসিংয়ের দর বেড়েছে ৪ শতাংশের ওপরে।
দরপতনের শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ দর কমেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের। প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৮৫ টাকা ১০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ৫২৪ টাকা ৪০ পয়সা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ দর কমে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৮ টাকা ১০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ৭২ টাকা।
এরপরই দর কমেছে অ্যাপেক্স ফুডসের। ৩ দশমিক ৩১ শতাংশ কমে শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ২৭১ টাকা ৪০ পয়সায়। যা আগের দিন ছিল ২৮০ টাকা ৭০ পয়সা।
এ ছাড়া তালিকায় পরের স্থানে ছিল বিডি ওয়েল্ডিং, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোনালী পেপার ও অ্যাম্বি ফার্মা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য