সপ্তাহের পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তিন দিনই ঢাকা স্টক এক্সচঞ্জে তিন শ কোটি টাকা লেনদেন হলো। এর মধ্যে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে সূচক কিছুটা বাড়লেও লেনদেন নেমে এসেছে দেড় বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন অবস্থানে।
লেনদেন শুরুর আগে ৫ মিনিট প্রি ওপেনিং সেশনে কম দামে শেয়ার বসিয়ে আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে, এমন মূল্যায়ন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বৃহস্পতিবার থেকে এই সেশন বাতিল করার পরেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। সূচকের পতন ঠেকলেও লেনদেন নেমেছে তলানিতে।
বৃহস্পতিবার ৪৬টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে ২৮টির দরপতনের দিন ফ্লোর প্রাইসে হাতবদল হয়েছে ২২৬ কোম্পানির শেয়ার। লভ্যাংশ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের কারণে এদিন স্থগিত ছিল ২১টি কোম্পানির লেনদেন। ফলে বাকি ৩৯০টি কোম্পানির মধ্যে ৬৯টির একটি শেয়ারও হাতবদল হয়নি।
সব মিলিয়ে লেনদেন হয়েছে ৩২৩ কোটি ৮০ লাখ ২৮ হাজার টাকা। চলতি বছর ১৯ জুলাই এর চেয়ে কম ৩১৯ কোটি ৩৫ লাখ ২ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছিল।
এর দুই দিন আগে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সারা দেশে লোডশেডিং করার ঘোষণা আসে সংবাদ সম্মেলন করে। এরপর পুঁজিবাজারে আতঙ্ক দেখা দেয়। ফলে শেয়ারদর কমার পাশাপাশি কমছিল লেনদেন।
এর চেয়ে কম লেনদেন হয় ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় এর পরদিন থেকে চলাচলে বিধিনিষেধ বা লকডাউনেরও ঘোষণা ছিল। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ থেকে এই বিধিনিষেধের মধ্যে পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। সেবারও লেনদেন স্থগিত থাকবে, এমন আতঙ্কে বিধিনিষেধ শুরুর আগের দিন ব্যাপক দরপতনের পাশাপাশি লেনদেন নেমে আসে তলানিতে। হাতবদল হয় ২৩৬ কোটি ৬০ লাখ ৭৪ হাজার টাকার শেয়ার। তবে লকডাউনেও লেনদেন চলবে, এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পরদিন থেকেই ঘুরে দাাঁড়ায় বাজার।
এরপর তিন শ কোটি টাকার ঘরে লেনদেন হয়েছে হাতে গোনা কয়েকদিন। এর মধ্যে চলতি সপ্তাহের দুটি কর্মদিবসেই হলো এই ঘটনা। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার ৩৫১ কোটি ৯০ লাখ ২৩ হাজার টাকা হাতবদল হয়। এমনকি গত ২৪ অক্টোবর কারিগরি ত্রুটিতে কয়েক ঘণ্টা লেনদেন বন্ধ থাকার দিনও আজকের চেয়ে বেশি ছিল লেনদেন। সেদিন হাতবদল হয় ৩৩৪ কোটি ৭৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।
উত্থানের একপর্যায়ে লেনদেন ছাড়িয়ে যায় তিন হাজার কোটি টাকার ঘর। তবে গত বছরের সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে যে দর সংশোধন শুরু হয়, তা আর শেষের নাম নেই। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্বের অর্থনীতি হয়ে যায় টালমাটাল, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর অভাবে ভুগতে থাকা দেশের পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা বারবার আতঙ্কে নিজের ক্ষতি করছেন। এবারও তাই হচ্ছে।
পুঁজিবাজারে এখনকার আতঙ্কের কারণ বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কার মধ্যে দেশের অর্থনৈতিক চাপ। এখন সব শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বেঁধে দেয়া আছে, এ কারণে প্রায় তিন শ কোম্পানির শেয়ারের দর কমতে পারছে না। কিন্তু এই সর্বনিম্ন দরে ক্রেতাও নেই।
ফ্লোরের বেশি থাকা ৮০ থেকে ৯০টি কোম্পানিরই শেয়ারেরই মূলত হাতবদল হয় প্রতিদিন। কিছু কোম্পানির একটি, কিছু কোম্পানির ১০ বা ১২ বা ২৮ বা ৩০০ বা ৪০০ বা ৫২৮টি- এভাবেই চলছে লেনদেন। বিপুলসংখ্যক শেয়ার বসানো থাকে বিক্রেতার ঘরে। কিন্তু ক্রেতা নেই।
এমনকি অর্থনৈতিক চাপের মধ্যেও দারুণ মুনাফা করছে, এমন কোম্পানির শেয়ারেরও ক্রেতা নেই। এই অবস্থায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফ্লোর প্রাইস থেকে ১০ শতাংশ ছাড়ে ব্লক মার্কেটে শেয়ার বিক্রির যে সুযোগ দিয়েছে, তাতেও নেই সাড়া।
যেসব কোম্পানির লেনদেন হয়েছে, তার মধ্যে কেবল ৫৩টির এক কোটি টাকার বেশি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এসব কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে ২৬৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৮১ শতাংশ।
বকি ২৪৭টি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে কেবল ২৩ কোটি ৩ লাখ টাকা।
লেনদেনের এই করুণ চিত্র নিয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট ও পুঁজিবাজারের অস্থিতিশীল পলিসির কারণে বিনিয়োগকারীরা সাইড লাইনে রয়েছেন। এখন বিনিয়োগে যাচ্ছেন না। যার কারণে লেনদেন এই পর্যায়ে নেমে এসেছে।’
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
ধারাবাহিকভাবে দর বাড়ছে নতুন তালিকাভুক্ত চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের। সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৫ টাকা ৫০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ৫৯ টাকা ৬০ পয়সায়।
৮ দশমিক ০৩ শতাংশ বেড়ে এপেক্স ফুডসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৫৯ টাকা ৫০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ২৪০ টাকা ২০ পয়সা।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল অ্যাডভেন্ট ফার্মা। ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ২৬ টাকা ৬০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ২৪ টাকা ৮০ পয়সা।
তালিকার পরের স্থানে থাকা মনোস্পুল, এডিএন টেলিকম ও বিকন ফার্মার দর বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি। ৪ শতাংশের বেশি দর বেড়েছে ইস্টার্ন হাউজিং ও নাভানা ফার্মার। এ ছাড়া এএফসি অ্যাগ্রো ও পেপার প্রসেসিংয়ের দর বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি।
দরপতনের শীর্ষ ১০
দরপতনের শীর্ষে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন। ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ কমে শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ৬৬২ টাকা ৪০ পয়সায়, আগের দিনে দর ছিল ৭১৬ টাকা ১০ পয়সা।
ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর ১০৭ টাকা থেকে বেড়ে এক হাজার টাকা ছুঁয়ে ফেলার পর এক মাসেরও কম সময়ে সেখান থেকে প্রায় ৪০ শতাংশ দর হারাল কোম্পানিটি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ কমে জিপিএইচ ইস্পাতের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৪ টাকা ৮০ পয়সায়। আগের দিন ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৪৭ টাকা ৩০ পয়সা।
অ্যাম্বি ফার্মার দর কমেছে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ১৬ শতাংশ। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৫০১ টাকা ৭০ পয়সায়। আগের দিনে দর ছিল ৫১৮ টাকা ১০ পয়সা।
সমান ৩ দশমিক ১৬ শতাংশ দর কমে ফাইন ফুডসের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে ৫৫ টাকা ১০ পয়সায়।
তালিকার পরের স্থানে থাকা সোনালী পেপার, প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও সোনালী আঁশের দর কমেছে ২ শতাংশের বেশি।
এ ছাড়া শীর্ষ দশের বাকি তিন কোম্পানি সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও বেঙ্গল উইন্ডসরের দর কমেছে ১ শতাংশের বেশি।
সূচকে প্রভাব যাদের
সবচেয়ে বেশি ৫ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে বিকন ফার্মা। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৫ দশমিক ০৩ শতাংশ।
বেক্সিমকো গ্রিন সুকুকের দর ২ দশমিক ৩০ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৭১ পয়েন্ট।
নাভানা ফার্মা সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ৭৭ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে বসুন্ধরা পেপার, ইস্টার্ন হাউজিং, এডিএন টেলিকম, কোহিনূর কেমিক্যাল, বাটা সুজ, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট ও লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১২ দশমিক ০২ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ০৭ পয়েন্ট সূচক কমেছে জিপিএইচ ইস্পাতের দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ।
সমান ২ দশমিক ০৭ পয়েন্ট সূচক কমেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের কারণে। শেয়ার প্রতি দাম কমেছে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ।
সোনালী পেপারের দর ২ দশমিক ৭২ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ১ দশমিক ২১ পয়েন্ট।
এ ছাড়া স্কয়ার ফার্মা, সি-পার্ল, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও সন্ধানী ইন্স্যুরেন্সের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৮ দশমিক ৩২ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য