সপ্তাহের প্রথম দুই কর্মদিবসে দরপতনের পর মঙ্গলবার সূচক বাড়লেও সেটি স্থায়ী হয়নি। চতুর্থ কর্মদিবসে ফের দরপতন দেখল পুঁজিবাজার। লেনদেন কিছুটা বাড়লেও আগের দিনের মতোই প্রায় তিন শ কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতা খুঁজে মরেছেন বিনিয়োগকারীরা।
এসব কোম্পানির মধ্যে ৬৬টির শেয়ারের ক্রেতা ছিল না একজনও। ফ্লোর প্রাইসে ২৩০টি কোম্পানির শেয়ার হাতবদল হয়েছে নগণ্যসংখ্যক। এক কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে কেবল ৬৫ কোম্পানিতে, এক লাখ টাকার বেশি হাতবদল হওয়া এমন কোম্পানির সংখ্যা কেবল ১৬১টি।
আগের দিন কেবল ৬টি কোম্পানির শেয়ারের দর কমলেও বুধবার দর হারায় ৬৩টি। মঙ্গলবার দর বেড়েছিল ৭৮ কোম্পানির, সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ২০।
এই দরপতনে সূচক কমেছে ২২ পয়েন্ট। সপ্তাহের প্রথম দুই দিন যথাক্রমে ৫০ ও ২৪ পয়েন্ট পতনের পর মঙ্গলবার ৩৯ পয়েন্ট পুনরুদ্ধার হয়েছিল।
ওরিয়ন গ্রুপ, বসুন্ধরা পেপার ছাড়া অন্য কাগজ কোম্পানি, ওষুধ ও রসায়ন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বেশ কয়েকটি এক দিনের বিরতি দিয়ে ফিরেছে পতনের ধারায়। গত ৩১ জুলাই ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর এসব কোম্পানির দর বাড়তে বাড়তে আকাশচুম্বী হয়ে যায়। সেখান থেকে পড়তে পড়তে কিছু কোম্পানি ফ্লোরে নেমেছে, কিছু কোম্পানি ফ্লোর থেকে এক দিনের পতনের দূরত্বে রয়ে গেছে। কিছু কোম্পানি আর কয়েকদিন দর হারালেই ফ্লোরে নামবে- এমন পরিস্থিতিতে।
তবে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কোনো দিন আড়াই শ কোনো দিন তিন শ কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতা মিলছে না। লাখ লাখ শেয়ার বিক্রির জন্য বসিয়ে রেখে দিন শেষে হতাশ হতে হচ্ছে বিনিয়োগকারীর। এর মধ্যে মৌলভিত্তির বহু কোম্পানি আছে, যেগুলো বছরের পর বছর ধরে বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণীয় লভ্যাংশ দিয়ে আসছে, অর্থনৈতিক সংকটেও বেশ ভালো মুনাফা করছে। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে পারছে না।
যে ফ্লোর প্রাইসের কারণে পুঁজিবাজারে সূচক ও শেয়ারদরের পতন ঠেকানো গিয়েছিল, সেটি এখন লেনদেনের বাধা হলেও যে আতঙ্ক বাজারে, তার কারণে এটি তুলে নেয়ার মতো সিদ্ধান্তও নেয়া যাচ্ছে না।
বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতিও আছে চাপে। সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে আগামী জানুয়ারিতে মুক্তি মিলবে এই চাপ থেকে, তবে ফেসবুকে নানা গুজব, গুঞ্জনে কান দিয়ে উৎকণ্ঠিত হচ্ছে মানুষ।
এই অবস্থায় শেয়ার বিক্রি করতে না পারার কারণে লেনদেন আটকে আছে। তিন কর্মদিবস পর পাঁচ শ কোটি টাকার ঘর ছাড়ালেও চাঙা পুঁজিবাজারে এক ঘণ্টার লেনদেনও এখন হচ্ছে না সাড়ে চার ঘণ্টায়।
এমন একটি খাতও ছিল না, যেটি নিয়ে দিন ভালো গেছে। কোনো খাতে লেনদেন ছাড়ায়নি এক শ কোটির ঘর। শীর্ষে থাকা তথ্য প্রযুক্তি খাতে হাতবদল হয়েছে ৯৪ কোটি টাকা। টেলিযোগাযোগ খাতে বড় মূলধনি কোম্পানি গ্রামীণ ফোন ও রবি থাকার পরও লেনদেন হয়েছে কেবল ১০ লাখ টাকা। ব্যাংক খাতে লেনদেন চার কোটি টাকাও ছাড়াতে পারেনি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন ৭৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা হাতবদল হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। প্রায় সম পরিমাণ লেনদেন হয়েছে কাগজ ও প্রকাশনায়। এছাড়া জীবন বিমায় হাতবদল হয়েছে ৪৮ কোটি টাকা।
কোন পথে উত্তরণ জানা নেই: সাবেক ডিবিএ সভাপতি
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, দেশে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা ইত্যাদি কারণে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। দিন দিন ইনভেস্টর কমছে, ইন করছে না।
‘তাদের মনোভাব- সবাই যখন কিনবে, তখন আমরা কিনব। এখন বিনিয়োগের সময় না। ফ্লোর প্রাইস তুলে দিলে আরও নিচে নামবে। তাহলে এখন কেন কিনব?’
তিনি বলেন, ‘যারা এতদিন নিজস্ব স্বকীয়তায়, বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বাজারে বিনিয়োগ করে এসেছেন তারা বিপদে পড়েছেন। তাদের অনেকের শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে। একজনের টাকা প্রয়োজন পড়লেও বিক্রি করে টাকা নিতে পারছেন না।
‘প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কয়েকটা আইটেমে মুভ করছে বলেই লেনদেন চার শ কোটির ঘরে। সবাই যদি একটু করে কিনতো, তাহলেও এক হাজার কোটির নিচে লেনদেন হওয়ার কথা নয়।’
প্রাতিষ্ঠানিকদের বিনিয়োগ বাড়তে পারতো কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সেটা তো বলতে পারব না। কারণ, তারা কতটুকু বিনিয়োগ করছেন, তাদের কাছে কতটুকু টাকা আছে, সেটা বলা যাচ্ছে না।’
এর থেকে উত্তরণের পথ দেখছেন না ব্রোকারদের সাবেক এই নেতা। তিনি বলেন, ‘কোন ফর্মূলায় গেলে এই অবস্থা থেকে নিষ্কৃতি মিলবে, তা বোঝা যাচ্ছে না।’
সূচকে ফেলল যারা
সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ২৪ পয়েন্ট সূচক কমেছে বিকন ফার্মার দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ দশমিক ০৯ পয়েন্ট কমেছে ওরিয়ন ফার্মার কারণে। শেয়ার প্রতি দাম কমেছে ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
ওরিয়ন ইনফিউশনের দর ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ১ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট।
এ ছাড়া অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বেক্সিমকো ফার্মা, নাভানা ফার্মা, জেএমআই হসপিটাল, এডিএন টেলিকম, সি-পার্ল ও ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১৪ দশমিক ৫০ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ৪০ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে স্কয়ার ফার্মা। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ।
সোনালী পেপারের দর ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ৭৫ পয়েন্ট।
অ্যাডভেন্ট ফার্মা সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ৪১ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, বাটা সুজ, সোনালী আঁশ, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৪ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯6 শতাংশ দর বেড়ে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৯ টাকা ৬০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ৫৪ টাকা ২০ পয়সা।
এরপরেই ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেড়ে অ্যাডভেন্ট ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৪ টাকা ৮০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ২২ টাকা ৬০ পয়সা।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল সোনালী আঁশ। ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ৭৩১ টাকা ১০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ৬৮১ টাকা।
এ ছাড়াও শীর্ষ দশে থাকা বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ, মুন্নু অ্যাগ্রো ৪ দশমিক ০২ শতাংশ, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স ১ দশমিক ৭০ শতাংশ, সোনালী পেপার ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ, বাটা সুজ ১ দশমিক ১৭ শতাংশ ও কে অ্যান্ড কিউয়ের দর বেড়েছে ১ দশমিক ০৭ শতাংশ।
দরপতনের শীর্ষ ১০
দরপতনের শীর্ষে রয়েছে এইচআর টেক্সটাইল। ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ কমে শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ১১৫ টাকা ৯০ পয়সায়, আগের দিনে দর ছিল ১২৭ টাকা ৫০ পয়সা।
এডিএন টেলিকমের দর ৮ দশমিক ২৪ শতাংশ কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৮ টাকায়, আগের দিন ক্লোজিং প্রাইস ছিল ১০৬ টাকা ৮০ পয়সা।
মনোস্পুলের দর কমেছে ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২৫৫ টাকা ৫০ পয়সায়। আগের দিনে দর ছিল ২৭৫ টাকা ৫০ পয়সা।
এ ছাড়া শীর্ষ দশের মধ্যে জেমিনি সি ফুড, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, নাভানা ফার্মা, ই-জেনারেশন ও ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দর কমেছে ৬ শতাংশের বেশি।
ওরিয়ন ইনফিউশন ও জেএমআই হসপিটালের দর কমেছে ৫ শতাংশের বেশি।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য