সপ্তাহের প্রথম দুই কর্মদিবসে দরপতনের পর মঙ্গলবার সূচক বাড়লেও সেটি স্থায়ী হয়নি। চতুর্থ কর্মদিবসে ফের দরপতন দেখল পুঁজিবাজার। লেনদেন কিছুটা বাড়লেও আগের দিনের মতোই প্রায় তিন শ কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতা খুঁজে মরেছেন বিনিয়োগকারীরা।
এসব কোম্পানির মধ্যে ৬৬টির শেয়ারের ক্রেতা ছিল না একজনও। ফ্লোর প্রাইসে ২৩০টি কোম্পানির শেয়ার হাতবদল হয়েছে নগণ্যসংখ্যক। এক কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে কেবল ৬৫ কোম্পানিতে, এক লাখ টাকার বেশি হাতবদল হওয়া এমন কোম্পানির সংখ্যা কেবল ১৬১টি।
আগের দিন কেবল ৬টি কোম্পানির শেয়ারের দর কমলেও বুধবার দর হারায় ৬৩টি। মঙ্গলবার দর বেড়েছিল ৭৮ কোম্পানির, সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ২০।
এই দরপতনে সূচক কমেছে ২২ পয়েন্ট। সপ্তাহের প্রথম দুই দিন যথাক্রমে ৫০ ও ২৪ পয়েন্ট পতনের পর মঙ্গলবার ৩৯ পয়েন্ট পুনরুদ্ধার হয়েছিল।
ওরিয়ন গ্রুপ, বসুন্ধরা পেপার ছাড়া অন্য কাগজ কোম্পানি, ওষুধ ও রসায়ন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বেশ কয়েকটি এক দিনের বিরতি দিয়ে ফিরেছে পতনের ধারায়। গত ৩১ জুলাই ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর এসব কোম্পানির দর বাড়তে বাড়তে আকাশচুম্বী হয়ে যায়। সেখান থেকে পড়তে পড়তে কিছু কোম্পানি ফ্লোরে নেমেছে, কিছু কোম্পানি ফ্লোর থেকে এক দিনের পতনের দূরত্বে রয়ে গেছে। কিছু কোম্পানি আর কয়েকদিন দর হারালেই ফ্লোরে নামবে- এমন পরিস্থিতিতে।
তবে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কোনো দিন আড়াই শ কোনো দিন তিন শ কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতা মিলছে না। লাখ লাখ শেয়ার বিক্রির জন্য বসিয়ে রেখে দিন শেষে হতাশ হতে হচ্ছে বিনিয়োগকারীর। এর মধ্যে মৌলভিত্তির বহু কোম্পানি আছে, যেগুলো বছরের পর বছর ধরে বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণীয় লভ্যাংশ দিয়ে আসছে, অর্থনৈতিক সংকটেও বেশ ভালো মুনাফা করছে। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে পারছে না।
যে ফ্লোর প্রাইসের কারণে পুঁজিবাজারে সূচক ও শেয়ারদরের পতন ঠেকানো গিয়েছিল, সেটি এখন লেনদেনের বাধা হলেও যে আতঙ্ক বাজারে, তার কারণে এটি তুলে নেয়ার মতো সিদ্ধান্তও নেয়া যাচ্ছে না।
বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতিও আছে চাপে। সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে আগামী জানুয়ারিতে মুক্তি মিলবে এই চাপ থেকে, তবে ফেসবুকে নানা গুজব, গুঞ্জনে কান দিয়ে উৎকণ্ঠিত হচ্ছে মানুষ।
এই অবস্থায় শেয়ার বিক্রি করতে না পারার কারণে লেনদেন আটকে আছে। তিন কর্মদিবস পর পাঁচ শ কোটি টাকার ঘর ছাড়ালেও চাঙা পুঁজিবাজারে এক ঘণ্টার লেনদেনও এখন হচ্ছে না সাড়ে চার ঘণ্টায়।
এমন একটি খাতও ছিল না, যেটি নিয়ে দিন ভালো গেছে। কোনো খাতে লেনদেন ছাড়ায়নি এক শ কোটির ঘর। শীর্ষে থাকা তথ্য প্রযুক্তি খাতে হাতবদল হয়েছে ৯৪ কোটি টাকা। টেলিযোগাযোগ খাতে বড় মূলধনি কোম্পানি গ্রামীণ ফোন ও রবি থাকার পরও লেনদেন হয়েছে কেবল ১০ লাখ টাকা। ব্যাংক খাতে লেনদেন চার কোটি টাকাও ছাড়াতে পারেনি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন ৭৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা হাতবদল হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। প্রায় সম পরিমাণ লেনদেন হয়েছে কাগজ ও প্রকাশনায়। এছাড়া জীবন বিমায় হাতবদল হয়েছে ৪৮ কোটি টাকা।
কোন পথে উত্তরণ জানা নেই: সাবেক ডিবিএ সভাপতি
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, দেশে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা ইত্যাদি কারণে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। দিন দিন ইনভেস্টর কমছে, ইন করছে না।
‘তাদের মনোভাব- সবাই যখন কিনবে, তখন আমরা কিনব। এখন বিনিয়োগের সময় না। ফ্লোর প্রাইস তুলে দিলে আরও নিচে নামবে। তাহলে এখন কেন কিনব?’
তিনি বলেন, ‘যারা এতদিন নিজস্ব স্বকীয়তায়, বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বাজারে বিনিয়োগ করে এসেছেন তারা বিপদে পড়েছেন। তাদের অনেকের শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে। একজনের টাকা প্রয়োজন পড়লেও বিক্রি করে টাকা নিতে পারছেন না।
‘প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কয়েকটা আইটেমে মুভ করছে বলেই লেনদেন চার শ কোটির ঘরে। সবাই যদি একটু করে কিনতো, তাহলেও এক হাজার কোটির নিচে লেনদেন হওয়ার কথা নয়।’
প্রাতিষ্ঠানিকদের বিনিয়োগ বাড়তে পারতো কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সেটা তো বলতে পারব না। কারণ, তারা কতটুকু বিনিয়োগ করছেন, তাদের কাছে কতটুকু টাকা আছে, সেটা বলা যাচ্ছে না।’
এর থেকে উত্তরণের পথ দেখছেন না ব্রোকারদের সাবেক এই নেতা। তিনি বলেন, ‘কোন ফর্মূলায় গেলে এই অবস্থা থেকে নিষ্কৃতি মিলবে, তা বোঝা যাচ্ছে না।’
সূচকে ফেলল যারা
সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ২৪ পয়েন্ট সূচক কমেছে বিকন ফার্মার দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ দশমিক ০৯ পয়েন্ট কমেছে ওরিয়ন ফার্মার কারণে। শেয়ার প্রতি দাম কমেছে ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
ওরিয়ন ইনফিউশনের দর ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ১ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট।
এ ছাড়া অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বেক্সিমকো ফার্মা, নাভানা ফার্মা, জেএমআই হসপিটাল, এডিএন টেলিকম, সি-পার্ল ও ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১৪ দশমিক ৫০ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ৪০ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে স্কয়ার ফার্মা। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ।
সোনালী পেপারের দর ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ৭৫ পয়েন্ট।
অ্যাডভেন্ট ফার্মা সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ৪১ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, বাটা সুজ, সোনালী আঁশ, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৪ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯6 শতাংশ দর বেড়ে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৯ টাকা ৬০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ৫৪ টাকা ২০ পয়সা।
এরপরেই ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেড়ে অ্যাডভেন্ট ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৪ টাকা ৮০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ২২ টাকা ৬০ পয়সা।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল সোনালী আঁশ। ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ৭৩১ টাকা ১০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ৬৮১ টাকা।
এ ছাড়াও শীর্ষ দশে থাকা বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ, মুন্নু অ্যাগ্রো ৪ দশমিক ০২ শতাংশ, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স ১ দশমিক ৭০ শতাংশ, সোনালী পেপার ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ, বাটা সুজ ১ দশমিক ১৭ শতাংশ ও কে অ্যান্ড কিউয়ের দর বেড়েছে ১ দশমিক ০৭ শতাংশ।
দরপতনের শীর্ষ ১০
দরপতনের শীর্ষে রয়েছে এইচআর টেক্সটাইল। ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ কমে শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ১১৫ টাকা ৯০ পয়সায়, আগের দিনে দর ছিল ১২৭ টাকা ৫০ পয়সা।
এডিএন টেলিকমের দর ৮ দশমিক ২৪ শতাংশ কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৮ টাকায়, আগের দিন ক্লোজিং প্রাইস ছিল ১০৬ টাকা ৮০ পয়সা।
মনোস্পুলের দর কমেছে ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২৫৫ টাকা ৫০ পয়সায়। আগের দিনে দর ছিল ২৭৫ টাকা ৫০ পয়সা।
এ ছাড়া শীর্ষ দশের মধ্যে জেমিনি সি ফুড, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, নাভানা ফার্মা, ই-জেনারেশন ও ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দর কমেছে ৬ শতাংশের বেশি।
ওরিয়ন ইনফিউশন ও জেএমআই হসপিটালের দর কমেছে ৫ শতাংশের বেশি।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য