আগের সপ্তাহের শেষ দুই দিন ঘুরে দাঁড়ালেও নতুন সপ্তাহের প্রথম দিন পুঁজিবাজারে আবার ঢালাও দরপতন দেখল বিনিয়োগকারীরা। কেবল জীবনবিমা খাতের বিনিয়োগকারীরা ছিল স্বস্তিতে।
সব মিলিয়ে কেবল ২০টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, বিপরীতে কমেছে ৬৮টির। যে হারে দর কমেছে, সেটি ভীতি ছড়িয়েছে আরও বেশি।
এদিন ৮২টি কোম্পানির একটি শেয়ারও হাতবদল হয়নি। ২২০টি ছিল আগের দিনের দরে। এর সবগুলোই ফ্লোর প্রাইসে হাতবদল হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সিংহভাগেরই লেনদেন খুবই কম।
তিন শতাধিক কোম্পানির শেয়ারের কার্যত ক্রেতা না থাকায় বাজারে লেনদেন একেবারেই তলানিতে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসইতে এদিন হাতবদল হয়েছে কেবল ৪২২ কোটি ৮৮ লাখ ৯৩ হাজার টাকা।
গত ২৪ অক্টোবর কারিগরি ত্রুটিতে লেনদেন কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকার দিন বাদ দিলে এর চেয়ে কম লেনদেন হয়েছে সেই ১৯ জুলাই। চার মাস আগের সেই দিন হাতবদল হয় ৩১৯ কোটি ৩৫ লাখ ২ হাজার টাকা।
এক দিনে ৫০ পয়েন্ট হারিয়ে ডিএসইর সূচক নেমে এসেছে ৬ হাজার ২১৫ পয়েন্টে, যা গত ২৩ আগস্টের পর সর্বনিম্ন। ৬৭ কর্মদিবস আগে সেদিন সূচক ছিল ৬ হাজার ১৭৫ পয়েন্ট। তবে সে সময় পুঁজিবাজার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ৩১ জুলাই থেকে ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারদর তরতর করে বাড়তে থাকায় প্রায় প্রতিদিনেই বাড়ছিল সূচক।
তবে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার শঙ্কা আর চাপে পড়া বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে নানা গুজব গুঞ্জনে অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে নিম্নমুখী। ১০ অক্টোবর থেকেই সূচক কমল ২৮৫ পয়েন্ট। এর মধ্যে নভেম্বরের তিন সপ্তাহ যেতে না যেতেই সূচক থেকে নাই হয়ে গেছে ১৩৭ পয়েন্ট।
হতাশার এই সময়ে বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই জীবনবিমা খাতে চাঙাভাব দেখা দেয়। রোববার সপ্তাহের শুরুতেও দেখা যায় একই প্রবণতা। এদিন সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এমন ১০টি কোম্পানির মধ্যে ৮টিই এই খাতের।
দর বৃদ্ধি পাওয়া বাকি ১২টি কোম্পানির মধ্যে ৭টি আছে সাধারণ বিমা খাতের। বাকি ৫টি কোম্পানি অন্যান্য খাত মিলিয়ে।
জীবনবিমা খাত অবস্থান ধরে রাখতে পারলেও বৃহস্পতিবার দীর্ঘদিন পর ব্যাংকে যে আগ্রহ দেখা গিয়েছিল, তা দেখা যায়নি এদিন। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে খাতওয়ারি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন এই খাতটিতে হলেও নতুন সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে না নেমে এসেছে তলানিতে। ৩৪টি কোম্পানি মিলিয়ে হাতবদল হয়েছে ১৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার, যার মধ্যে নতুন তালিকাভুক্ত গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকেরই লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
দরবৃদ্ধির মতো লেনদেনেও শীর্ষে ছিল জীবনবিমা খাত। এই খাতের ১৩টি কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে ৭৩ কোটি ২০ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৮.১২ শতাংশ।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতের লেনদেনও ছিল প্রায় সমান, যে খাতে ২০টি কোম্পানি ফ্লোর প্রাইসে আর ৮টি দর হারিয়ে হাতবদল হয়েছে।
এই খাতে সবচেয়ে আলোচিত ওরিয়ন গ্রুপের চারটি কোম্পানির সবগুলোর দরপতন হয়েছে আবার। সূচক পতনে সবচেয়ে বেশি দায়ী যে ১০টি কোম্পানি, তার মধ্যে দুটি এই গ্রুপের।
ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার জীবন বিমায় কিছুটা মুভমেন্ট ছিল। বিনিয়োগকারীরা বিশ্লেষণ করে ওই দিকে ঝুঁকেছেন।’
দরবৃদ্ধির সেরা জীবন বিমা
সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ দর বেড়ে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০৭ টাকা ১০ পয়সায়। আগের দিনে লেনদেন হয় ৯৭ টাকা ৪০ পয়সায়।
৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়ে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৫ টাকা ২০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ৭৭ টাকা ৫০ পয়সা।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল নতুন তালিকাভুক্ত চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স। ৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ৪৪ টাকা ৯০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ৪০ টাকা ৯০ পয়সা।
প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স ৫.২৯ শতাংশ, পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৫.২২ শতাংশ, জুট স্পিনার্স ৩.৭৬ শতাংশ, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স ১.৬০ শতাংশ, ন্যাশনাল হাউজিং ১.৪০ শতাংশ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ১.২৯ শতাংশ ও রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ১.২৫ শতাংশ।
জীবন বিমা খাতের চারটি কোম্পানির দর অবশ্য কমেছে। আর একটি আগের দিনের দরে লেনদেন হয়েছে।
ফ্লোরের কাছে ওরিয়নের দুই কোম্পানি!
৩১ জুলাই থেকে নতুন করে ফ্লোর প্রাইস কার্যকর হওয়ার পর থেকে পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা কোম্পানিগুলো গত এক মাস ধরেই ব্যাপক দরপতনের মধ্যে আছে।
এর মধ্যে তুমুল আলোচিত ওরিয়ন গ্রুপের চারটি কোম্পানির মধ্যে দুটি ফ্লোরের কাছাকাছি ফিরে এসেছে। এতে ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
গত ২৮ জুলাই পুঁজিবাজারে দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লোর প্রাইস দেয়ার দিন বিকন ফার্মার দর ছিল ২৪০ টাকা ৮০ পয়সা। তবে কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ২৪৫ টাকা। এর নিচে নামা আপাতত সম্ভব নয়।
ফ্লোর প্রাইস কার্যকরের পর কোম্পানিটির শেয়ারদর তরতর করে বেড়ে ৩৯৩ টাকা হয়ে যায়। তবে পরে দেখা যায় এর আয় ও লভ্যাংশ আহামরি কিছু হয়নি। আর দর হারাতে হারাতে এখন নেমে এসেছে ফ্লোরের কাছাকাছি ২৫১ টাকা ৭০ পয়সায়।
আজ কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১৪ টাকা বা ৫.২৭ শতাংশ।
আর একদিন দরপতনেই ওরিয়ন ফার্মা ফ্লোর প্রাইস ৭৯ টাকা ৬০ পয়সায় নেমে আসতে পারে। গত ২৮ জুলাই পুঁজিবাজারে দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লোর প্রাইস দেয়ার দিন শেয়ারদর ছিল ৭৮ টাকা ৭০ পয়সা। সর্বোচ্চ উঠে ১৫৬ টাকা ৫০ পয়সা। এখন নেমে এসেছে ৮৫ টাকায়।
এর মধ্যে আজ কমেছে ৮.৯৯ শতাংশ বা ৮ টাকা ৪০ পয়সা।
ফ্লোর প্রাইস ঘোষণার দিন কোহিনূর ক্যামিকেলসের দর ছিল ৩৭৯ টাকা ৯০ পয়সা। তবে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারিত হয় ৩৮০ টাকা। সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে দর হয়ে যায় ৭৫৭ টাকা ৪০ পয়সা। সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে চূড়ায় উঠার পর যে দরপতন শুরু হয়, তাতে এখন নেমে এসেছে ৪৪৯ টাকা ৯০ পয়সায়।
আজ কোম্পানিটির দর কমেছে ২৪ টাকা ৪০ পয়সা বা ৫.১৪ শতাংশ।
তবে এখনও ফ্লোর প্রাইস থেকে অনেক দূরে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশনের দর। গত ২৮ জুলাই পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস ঘোষণার দিন দর ছিল ১০৪ টাকা ৭০ পয়সা। তবে কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ঠিক হয় ১০৭ টাকা ৩০ পয়সায়। অস্বাভাবিক উত্থানে এক পর্যায়ে দর এক হাজার টাকা ছুঁয়ে যায়। কমতে কমতে এখন তা নেমেছে ৮১৬ টাকা ৫০ পয়সায়।
আজ কমেছে ২৭ টাকা ১০ পয়সা বা ৩.২১ শতাংশ।
তবে এদিন সবচেয়ে বেশি দর হারানো ১০টি কোম্পানির মধ্যে ওরিয়ন গ্রুপের কেবল ওরিয়ন ফার্মাকে দেখা গেছে।
সেই কোম্পানিগুলোর দর এখন পড়ছে ব্যাপক হারে
বাকি সব কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর অস্বাভাবিক হারে বাড়ছিল। এখন কমছেও লাফিয়ে লাফিয়ে।
সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ দর হারিয়েছে নতুন তালিকাভুক্ত নাভানা ফার্মা, যেটির ২৫ টাকায় পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করে ১৩২ টাকায় উঠে যায়। এখন নেমেছে ৯০ টাকা ৯০ পয়সায়।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯.৯৭ শতাংশ কমেছে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দর, যেটি সম্প্রতি ১৪৭ টাকা ৯০ পয়সায় উঠে গিয়েছিল। এখন নেমেছে ৮৪ টাকায়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯.৯৪ শতাংশ দর হারিয়েছে বসুন্ধরা পেপার। বর্তমান দর ৯৬ টাকা ৯০ পয়সা, যেটি ১২৬ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে।
চতুর্থ সর্বোচ্চ ৯.৭০ শতাংশ কমে এডিএন টেলিকমের দর দাঁড়িয়েছে ১০৮ টাকা ৯০ পয়সা। এই কোম্পানিটির শেয়ারদর সম্প্রতি ১৫৯ টাকায় উঠে গিয়েছিল।
পঞ্চম সর্বোচ্চ ৯.৪৯ শতাংশ দর হারিয়ে ৩৫ টাকা ৩০ পয়সায় নেমেছে বিডিকম। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ৩০ টাকা ৩০ পয়সা। সম্প্রতি উঠে যায় ৭৯ টাকা ৯০ পয়সায়।
ষষ্ঠ সর্বোচ্চ ৯.৩২ শতাংশ কমে কেডএস অ্যাকসেসোরিজের দাঁড়িয়েছে ৭৮ টাকা ৮০ পয়সায়, যেটি সম্প্রতি ১০২ টাকা ১০ পয়সা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে।
সপ্তম সর্বোচ্চ ৯.১০ শতাংশ কমে সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজের দর নেমেছে ৭০ টাকা ৯০ পয়সায়। এই কোম্পানিটির দর উঠে গিয়েছিল ৯৩ টাকা ৮০ পয়সায়।
অষ্টম সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে ওরিয়ন ফার্মা। নবম সর্বোচ্চ কমেছে পেপার প্রসেসিংয়ের দর। ৮.৭৩ বা ১৮ টাকা ৫০ হারিয়ে কোম্পানিটির দর দাঁড়িয়েছে ১৯৩ টাকা ৫০ পয়সা, যেটি সম্প্রতি উঠে যায় ৩৩৯ টাকা ৪০ পয়সায়।
দশম সর্বোচ্চ ৮.৭২ শতাংশ বা ২৭ টাকা দর হারিয়ে মনোস্পুল পেপারের দর দাঁড়িয়েছে ২৮২ টাকা ৫০ পয়সা, যে কোম্পানিটির দর সম্প্রতি ৪৬৩ টাকা ৫০ পয়সা উঠে গিয়ে বিস্ময় তৈরি করেছিল।
আরও ৫টি কোম্পানির দর ৭ শতাংশের বেশি, দুটির দর ৬ শতাংশের বেশি, ৪টির দর ৫ শতাংশের বেশি, ৬টি দর ৪ শতাংশের বেশি, ১০টির দর ৩ শতাংশের বেশি, ৮টির দর কমেছে ২ শতাংশের বেশি। এর অনেকগুলো ফ্লোরের কাছাকাছি নেমে এসেছে।
সূচকে প্রভাব যাদের
সবচেয়ে বেশি ৬ দশমিক ১০ পয়েন্ট সূচক কমেছে বিকন ফার্মার দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ৫ দশমিক ২৭ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ৮২ পয়েন্ট কমেছে লাফার্জ হোলসিমের কারণে। শেয়ার প্রতি দাম কমেছে ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ।
ওরিয়ন ফার্মার দর ৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ৩ দশমিক ৭১ পয়েন্ট।
এ ছাড়া বসুন্ধরা পেপার, সোনালী পেপার, বেক্সিমকো ফার্মা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, নাভানা ফার্মা, এসিআই ও এমজেএল বাংলাদেশের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৩২ দশমিক ৫০ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি শূন্য দশমিক ৬০ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর ১ দশমিক ৩০ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪২ পয়েন্ট।
পূবালী ব্যাংক সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ৩৯ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, যমুনা অয়েল, প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স ও পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২ দশমিক ৮০ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য