প্রতিটি শেয়ারের বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন দর থেকে ১০ শতাংশ কমে ব্লক মার্কেটে শেয়ার বিক্রি করা যাবে, এই নির্দেশনা জারির পরদিন পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান হলো।
বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কায় বাংলাদেশের অর্থনীতি গিয়ে গুজব-গুঞ্জনে টালমাটাল পুঁজিবাজারে সপ্তাহের আগের তিন কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসইর প্রধান সূচক পড়েছিল ১৩৫ পয়েন্ট। বাজারে আতঙ্কের মধ্যে বুধবারও একপর্যায়ে ১৭ পয়েন্ট পতনে বিনিয়োগকারীর হতাশা আরও বাড়ার শঙ্কা দেখা দেয়।
তবে ক্রয় চাপে শেষ পর্যন্ত সূচক ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে শেষ হয় লেনদেন। দিনের সর্বনিম্ন অবস্থান থেকে বেড়েছে ৫২ পয়েন্ট।
দিন শেষে সূচকের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৫২ পয়েন্ট, যা গত সোমবারের সমান।
গত ৩১ জুলাই বেঁধে দেয়া ফ্লোর প্রাইসে তিন শ কোম্পানির ক্রেতাশূন্যতার মধ্যে মঙ্গলবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই দরের চেয়ে কমে শেয়ার বিক্রির সুযোগ দেয়। তবে মূল বাজার নয়, ব্লক মার্কেটে ফ্লোর প্রাইসের ১০ শতাংশ কমে শেয়ার বিক্রি করা যাবে।
এই নির্দেশনা নতুন নয়। ২০২০ সালে করোনার সময় ফ্লোর প্রাইসেও যখন বিপুলসংখ্যক কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছিল না, তখনও এই সুযোগ দেয়া হয়। তারপরেও চাপে থাকা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এই নির্দেশনা নতুন করে উৎকণ্ঠার জন্ম দেয়। তবে যা ভাবা হয়েছিল, তার বিপরীত আচরণ করেছে পুঁজিবাজার।
আগের দিন ২৪টি কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছিল ৬১ কোম্পানির দর। সোমবার ১৮টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে দর কমে ৬৮ কোম্পানির। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ২৫টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে দর হারায় ৮৭টি।
বুধবার বেড়েছে ৭৬ কোম্পানির শেয়ারদর, কমেছে ১১টির। আগের দিনের দরে ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হয়েছে ২৩৪টি কোম্পানি। আর ৬৮ কোম্পানির কোনো ক্রেতা ছিল না।
ছয়টি কোম্পানির দর বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি, চারটির দর বাড়ে ৮ শতাংশের বেশি। আরও ৫টি করে কোম্পানির দর ৭ ও ৬ শতাংশ, ৫টির দর ৫ শতাংশ, ১০টির দর ৪ শতাংশ, ৯টির দর ৩ শতাংশ, ১১টির দর বাড়ে ২ শতাংশ।
এসব কোম্পানির বেশির ভাগ গত কয়েকদিন ধরে দর হারাচ্ছিল ঝড়ের বেগে।
তবে শেয়ারদর বাড়লেও লেনদেন আরও কমে পাঁচ শ কোটির নিচে নেমেছে। হাতবদল হয়েছে কেবল ৪৬৮ কোটি ৫১ লাখ ৫৬ হাজার টাকার শেয়ার। গত ২৪ অক্টোবর কারিগরি জটিলতায় কয়েক ঘণ্টা লেনদেন বিঘ্নিত হওয়ার দিনটি বাদ দিলে ৩১ জুলাই ফ্লোর প্রাইস কার্যকরের পর এটি সর্বনিম্ন লেনদেন।
সূচক ছয় হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে যাওয়ার পর ২৮ জুলাই বিএসইসি দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লোর প্রাইস দেয়ার ঘোষণা দেয়। সেদিন লেনদেন ছিল ৪৪১ কোটি ৭৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা।
লেনদেনের বিষয়ে ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগের দিনের মতোই লেনদেন অনেক কম, এই জায়গায় এমন হতে পারে যে সরবরাহ শেষ হয়ে আসছে। এরকম অবস্থানে মার্কেটে ‘ন্যাচারাল বাউন্স ব্যাক’ হতে পারে। আজকে কিছুটা বেড়েছেও। যখন বাজার ঊর্ধ্বমুখী থেকে নিচের দিকে গেলে কেনার সুযোগ তৈরি হয়, আর নিম্নমুখী থেকে ঊর্ধ্বমুখী হলে বিক্রয় সুযোগ হতে পারে।’
সূচকে প্রভাব যাদের
সবচেয়ে বেশি ৫ দশমিক ৬২ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে বিকন ফার্মা। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
সোনালী পেপারের দর ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ০৩ পয়েন্ট।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন সূচকে যোগ করেছে ২ দশমিক ৬১ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৮ দশমিক ৩১ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে ওরিয়ন ইনফিউশন, নাভানা ফার্মা, ওরিয়ন ফার্মা, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ, জেনেক্স ইনফোসিস, বসুন্ধরা পেপার ও জেএমআই হসপিটাল।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ৬০ পয়েন্ট সূচক কমেছে স্কয়ার ফার্মার দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৮১ পয়েন্ট কমেছে বেক্সিমকো সুকুক বন্ডের কারণে। ইউনিট প্রতি দাম কমেছে ১ দশমিক ১৪ শতাংশ।
পূবালী ব্যাংকের দর শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৩৭ পয়েন্ট।
এ ছাড়া ন্যাশনাল টি, সোনালী আঁশ, প্রিমিয়ার ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, শাহজালাল ব্যাংক, আমরা নেটওয়ার্কস ও অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৪ দশমিক ১৪ পয়েন্ট।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ দর বেড়ে সিনোবংলার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৮ টাকা ৬০ পয়সায়। আগের দিনে লেনদেন হয় ৭১ টাকা ৫০ পয়সায়।
৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়ে নাভানা ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৯ টাকা ৭০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ৯০ টাকা ৭০ পয়সায়।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল ই-জেনারেশন। ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ৬০ টাকা ১০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ৫৪ টাকা ৭০ পয়সা।
এ ছাড়া দরবৃদ্ধির দশে ছিল- চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, অ্যাপেক্স ফুডস, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ক্যাবলস ও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন।
দরপতনের শীর্ষ ১০
প্রথম দিনেই সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ দর হারিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। অভিহিত মূল্য ১০ টাকায় যে শেয়ারের বরাদ্দ পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা, প্রথম দিনই তা সর্বোচ্চ দর কমে সর্বশেষ ৯ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে।
সোনালী আঁশের দর ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ কমে ৭৪২ টাকায় প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। পূর্বের দর ছিল ৮০১ টাকা ৬০ পয়সা।
৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ দর কমে ন্যাশনাল টি কোম্পানির শেয়ার বেচাকেনা হয়েছে ৬১০ টাকা ২০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ৬৩৫ টাকা ২০ পয়সায়।
এ ছাড়াও পতনের তালিকায় শীর্ষ দশের মধ্যে ছিল- আমরা নেটওয়ার্কস, ফাইন ফুডস, প্রিমিয়ার ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, শাহজালাল ব্যাংক ও স্কয়ার ফার্মা।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য