বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইসে আড়াই শরও বেশি কোম্পানির ক্রেতা না থাকার পর কম দামে শেয়ার বিক্রির সুযোগ রাখল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
তবে মূল বাজারে নয়, ব্লক মার্কেটে বিক্রি করা যাবে এই শেয়ার। আর ফ্লোরের চেয়ে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমে লেনদেন করা যাবে। তবে ব্লকে কমে লেনদেন হলেও ফ্লোর প্রাইস কমে যাবে না। আবার ব্লকে যে দর হবে, সেটি মূল বাজারের দর হবে না।
বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বলে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। মঙ্গলবার ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে পাঠানো চিঠিতে এই বিষয়টি জানানো হয়।
তবে কম দামে বেচা গেলেও সার্কিট ব্রেকারের নিচে নামা যাবে না। যদি কোনো কোম্পানির সার্কিট ব্রেকার ৬.৫ শতাংশ হয়, তাহলে একদিন সাড়ে ৬ শতাংশ এবং দ্বিতীয় দিন সাড়ে ৩ শতাংশ কমতে পারবে।
গত ৩১ জুলাই থেকে দ্বিতীয় দফায় ফ্লোর প্রাইস কার্যকরের পর এক মাসের বেশি সময় পুঁজিবাজার ঊর্ধ্বগামী থাকলেও এবার এই উত্থান করোনাকালের মতো হয়নি। সে সময় প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারদর বাড়লেও এবার এক শর কিছু বেশি কোম্পানির দর বেড়েছে। শুরু থেকেই দুই শ কোম্পানির দর ফ্লোরে লেনদেন হচ্ছিল। সেটি বাড়তে বাড়তে এখন তিন শ ছুঁয়েছে।
এসব কোম্পানির লেনদেন হচ্ছে না বললেই চলে। মঙ্গলবার ৭০টি কোম্পানির একটি শেয়ারও লেনদেন হয়নি।
২০টি কোম্পানির একটি করে, ৫টি কোম্পানির ২টি করে, ৭টি কোম্পানির ৫টি করে, একটি কোম্পানির ৬টি, দুটি কোম্পানির ৭টি এবং একটি করে কোম্পানির ৮ ও ৯টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
আরও ২৬টি কোম্পানির ১০০টির কম, ১৫টি কোম্পানির ১০০ থেকে ২০০টি, ১৩টি কোম্পানির ২০০ থেকে ৩০০টি, আরও ১০টি কোম্পানির ৫০০টির কম শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হওয়া ২৩৪টি কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে ১৬ কোটি ৭৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। এটি কেবল একদিনের চিত্র নয়, প্রায় প্রতিদিনই একই ঘটনা ঘটছে।
লেনদেনে আগ্রহ নেই এমন কোম্পানির মধ্যে শক্তিশালী মৌলভিত্তির কোম্পানিও আছে, যেগুলো বছরের পর বছর বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণীয় লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। কিন্তু সর্বনিম্ন দরে বসিয়ে শেয়ার বিক্রি করতে পারছে না বিনিয়োগকারীরা, যেটি লেনদেন তলানিতে নামিয়েছে।
দাম কত কমতে পারবে
বিএসইসির এই নির্দেশনার কারণে ২০ টাকা দরের শেয়ার দুই টাকা কমে ১৮ টাকায় লেনদেন করা যাবে। এরপর ব্লক মার্কেটেও আর দাম কমতে পারবে না। তবে বাড়তে পারবে।
একইভাবে শেয়ারের দর যদি ২১ টাকা হয়, তাহলে দাম কমতে পারবে ২ টাকা ১০ পয়সা, যদি দর ২৬ টাকা হয়, তাহলে দর কমতে পারবে ২ টাকা ৬০ পয়সা, যদি ৫১৮ টাকা হয়, তাহলে দাম কমতে পারবে ৫১ টাকা ৮০ পয়সা।
আবার যেহেতু দর কমার ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার প্রযোজ্য হবে, সেহেতু এক দিনেই ১০ শতাংশ দর নাও কমতে পারে।
বিদ্যমান সার্কিট ব্রেকার অনুযায়ী শেয়ারদর ২০০ টাকা পর্যন্ত হলে এক দিনে ওঠানামার সীমা বা সার্কিট ব্রেকার ১০ শতাংশ। ২০১ টাকা থেকে ৫০০ টাকার শেয়ারে ৮.৭৫ শতাংশ, ৫০১ টাকা থেকে ১০০০ টাকার শেয়ারে ৭.৭০ শতাংশ, ১০০১ টাকা থেকে ২০০০ টাকার শেয়ারে ৬.২৫ শতাংশ, ২০০১ টাকা থেকে ৫০০০ টাকার শেয়ারে ৫ শতাংশ এবং ৫০০০ টাকার উপরের শেয়ারে ৩.৭৫ শতাংশ উত্থান-পতনের সীমা রয়েছে।
অর্থাৎ যেসব কোম্পানির শেয়ার দর ২০০ টাকার বেশি, সেগুলোর দর ১০ শতাংশ কমতে হলে কমপক্ষে দুই কর্মদিবস লাগবে।
‘ভালো সিদ্ধান্ত’
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী বিএসইসির এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছেন। তিনি মনে করেন না এটি মূল বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলার মতো কোনো ঘটনা।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ব্লকে তো কেউ কম দামে শেয়ার কেনার অর্ডার দিয়ে রাখতে পারবে না। সেখানে ক্রেতা ও বিক্রেতা নির্দিষ্ট থাকবে। কেউ যদি মনে করেন যে তিনি কমে বিক্রি করবেন এবং একই সঙ্গে একজন যদি ঠিক করেন, তিনি কিনবেন, কেবল সেই দুই জনের মধ্যে এই লেনদেন হবে।
তিনি বলেন, ‘এখন যে প্যানিক সিচুয়েশন, তাতে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয় বুমেরাং হবে। তখন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তার চেয়ে এই সিদ্ধান্ত ভালো হয়েছে। কেউ যদি লোকসান দিয়ে ক্রেতা ঠিক করতে পারে, তাহলে তিনি বের হয়ে যান।’
লালী বলেন, এটা কোনো নতুন সিদ্ধান্তও নয়। ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণের পর যখন ফ্লোর প্রাইসে ক্রেতা ছিল না, সে সময়ও ব্লকে এভাবে ১০ শতাংশ ছাড়ে বিক্রির সুযোগ দেয়া হয়েছিল। আমার মনে আছে, সে সময় স্কয়ার ফার্মার মতো শেয়ার ১৫৬ টাকায় লেনদেন হয়েছিল ব্লকে। তবে মূল বাজারে দর ঠিকই ছিল।
ব্লক মার্কেট কী
ব্লক মার্কেট হচ্ছে এমন একটা মার্কেট যেখানে বেশি পরিমাণের শেয়ার কেনাবেচা হয় যার শেয়ারের দাম এবং ভলিউম বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আগে থেকেই ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে ঠিক করা থাকে। মূল বাজারের মতো শেয়ারের দর হেঁকে সেখানে অচেনা কারও কাছ থেকে কেনার সুযোগ নেই।
ডিএসই এর যেই ট্রেডিং প্লাটফর্ম বা সফটওয়্যার আছে তার মাধ্যমেই এই ব্লক মার্কেটে লেনদেন করা হয়। সাধারণ মার্কেটের লেনদেনের মতই ব্লক মার্কেটে লেনদেন সম্পন্ন হয়।
এবারই নতুন নয়
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের ১৯ মার্চ ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু অধিকাংশ কোম্পানিতে ক্রেতা না থাকায় লেনদেন তলানিতে চলে যায়। সেই পরিস্থিতিতে ওই বছরের ১০ জুন ব্লক মার্কেটে ফ্লোরের নিচে লেনদেন করার সুযোগ দেয়া হয়েছিল।
পরে অবশ্য শেয়ারের ক্রয় চাপ বাড়ে এবং ফ্লোর ছাড়িয়ে যায় সিংহভাগ কোম্পানি। করোনার প্রকোপ কমার সঙ্গে সঙ্গে ধাপে ধাপে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া হয়। শুরুতে দেখা যায়, এতে শেয়ারগুলো দর হারাতে থাকলেও পরে ফ্লোরের দরকেও ছাড়িয়ে যায়।
আরও পড়ুন:তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
মন্তব্য