যেসব কোম্পানির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইসের বেশি রয়েছে, সেগুলোর শেয়ারদর এখন ক্রমাগত কমছে। যেসব কোম্পানির দর লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে বিস্ময় জাগাচ্ছিল, সেগুলোর দরই কমছে বেশি।
তবে দাম কমলে শেয়ারের চাহিদা বাড়বে এমনটি নয়। ক্রেতা নেই বললেই চলে, এ কারণে লেনদেন নেমেছে ৫০০ কোটি টাকার ঘরে, গতিশীল পুঁজিবাজারে এক ঘণ্টাতেই এর চেয়ে বেশি টাকা লেনদেন হয়।
অর্থনীতি নিয়ে সামগ্রিক যে উদ্বেগ, তার পাশাপাশি নানা গুজব, গুঞ্জনের প্রভাবও পুঁজিবাজারে। সব মিলিয়ে প্রায় প্রতিদিনই কমছে শেয়ারদর ও সূচক।
আগের দুই দিন ১০০ পয়েন্টের পর মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমল ৩৫ পয়েন্ট। সূচকের অবস্থান নেমে এসেছে গত তিন মাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে।
দিন শেষে ডিএসইএক্সের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১৮ পয়েন্টে। সূচক এর চেয়ে কম ছিল গত ১৪ আগস্ট, ৬ হাজার ১৭৫ পয়েন্ট।
গত ২৪ অক্টোবর কারিগরি জটিলতায় কয়েক ঘণ্টা লেনদেন বন্ধের দিনটি বাদ দিলে গত ২৪ জুলাইয়ের পর সবচেয়ে কম টাকার শেয়ার হাতবদল হলো।
সারা দিনে লেনদেন হয়েছে ৫৬০ কোটি ৯২ লাখ ৩১ হাজার টাকা। প্রায় চার মাস আগের সেই দিন লেনদেন ছিল ৪৭০ কোটি ৯৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
বহু কোম্পানির ক্রেতা নেই
এদিন বেড়েছে ২৪টি কোম্পানির দর, কমেছে ৬১টি আর ফ্লোর প্রাইসে থাকে ২৩৪টি কোম্পানির শেয়ারদর আগের দিনের দরে হাতবদল হয়েছে।
বাকি ৭০টি কোম্পানির একটি শেয়ারও হাতবদল হয়নি।
আবার আগের দিনের দরে হাতবদল হয়েছে এমন ২০টি কোম্পানির একটি করে, ৫টি কোম্পানির ২টি করে, ৭টি কোম্পানির ৫টি করে, একটি কোম্পানির ৬টি, দুটি কোম্পানির ৭টি এবং একটি করে কোম্পানির ৮ ও ৯টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
আরও ২৬টি কোম্পানির এক শ টির কম, ১৫টি কোম্পানির ১০০ থেকে ২০০টি, ১৩টি কোম্পানির ২০০ থেকে ৩০০টি, আরও ১০টি কোম্পানির ৫০০টির কম শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হওয়া ২৩৪টি কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে ১৬ কোটি ৭৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।
যে লেনদেন হয়েছে তার মধ্যে কেবল ১০টিতেই লেনদেনের অর্ধেক হয়েছে। শীর্ষ এই দশে লেনদেন হয়েছে ২৭০ কোটি ৯৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।
দর কমেছে ব্যাপক হারে
ফ্লোর প্রাইসের বেশি আছে, এমন কোম্পানিগুলোর মধ্যে যেগুলোর দর কমেছে, তার মধ্যে বহুগুলোর পতনের হার ছিল অনেক বেশি।
এর মধ্যে চারটি কোম্পানির দর কমেছে ৯ শতাংশের বেশি, দুটির ৮ শতাংশের বেশি, ৬টির ৭ শতাংশের বেশি, দুটি করে কোম্পানির ৬ ও ৫ শতাংশের বেশি, তিনটির দর কমেছে ৪ শতাংশের বেশি। আরও ৮টির দর কমেছে ৩ শতাংশের বেশি।
এর মধ্যে বেশি কমেছে, এমন কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর গত ৩১ জুলাই থেকে ফ্লোর প্রাইস কার্যকরের পর থেকে ক্রমাগত বাড়ছিল।
সবচেয়ে বেশি ৯.৯২ শতাংশ কমেছে ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর ৩৮ টাকা থেকে ৫৪ টাকা হয়ে যাওয়া লাভেলো আইসক্রিম। এই পতনে দর নেমে এসেছে ৩৮ টাকা ১০ পয়সায়।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এডিএন টেলিকমের দর কমেছে ৯.৮৮ শতাংশ। এই কোম্পানিটির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইসে ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫৪ টাকায় উঠে গিয়েছিল। বর্তমান দর ১১২ টাকা ২০ পয়সা।
৫৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১৪৭ টাকা ৯০ পয়সায় উঠে যাওয়া ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দর এখন নেমে এসেছে ৯২ টাকা ৮০ পয়সায় নেমে এসেছে। এটির দাম কমেছে ৯.৭২ শতাংশ।
লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে বিস্ময় জাগানো ওরিয়ন ফার্মা দর হারিয়েছে আরও ৯.১২ শতাংশ। ফ্লোর প্রাইসে ৮১ টাকা থেকে বেড়ে ১৫৬ টাকা ৫০ পয়সায় উঠে গিয়ে এরপর কমতে কমতে দর দাঁড়িয়েছে ৯৩ টাকা ৭০ পয়সায়।
একই গ্রুপের আরেক কোম্পানি বিকন ফার্মা দর হারিয়েছে ৮.৪৫ শতাংশ। ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৪৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়ে যায় ৩৯৩ টাকা। বিনিয়োগকারীর ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে এখন দর দাঁড়িয়েছে ২৫২ টাকা ২০ পয়সা।
৩১ জুলাই ১৬৫ টাকা ২০ পয়সা থেকে টানা বেড়ে পেপার প্রসেসিংয়ের দর উঠে গিয়েছিল ৩৩৯ টকো ৪০ পয়সায়। ৮.৩৭ শতাংশ কমে দর দাঁড়িয়েছে ২১০ টাকা ২০ পয়সায়।
ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের শেয়ার দর হারিয়েছে ৭.৮০ শতাংশ। দর স্থির হয়েছে ৪১ টাকা ৪০ পয়সা। ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে ৫২ টাকা হয়ে গিয়েছিল।
সোনালী পেপার দর হারিয়েছে ৭.৪৩ শতাংশ। এই কোম্পানিটির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর ৬৩০ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে ৯৬৫ টাকা ৮০ পয়সায় উঠে গিয়েছিল। সেখান থেকে কমতে কমতে এখন দাঁড়িয়েছে ৬৯২ টাকা ৬০ পয়সায়।
সোনালী আঁশের দর কমেছে ৬৩ টাকা ৯০ পয়সা বা ৭.৩৮ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর ৪৪৬ টাকা থেকে বেড়ে ৯৬১ টাকা হয়ে গিয়েছিল। কমতে কমতে এখন দাঁড়িয়েছে ৮০১ টাকা ৬০ পয়সা্।
রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ শিপিং মিলস-বিএসসি দর হারিয়েছে ৭.৩৭ শতাংশ। দর নেমে এসেছে ১১৪ টাকা ৩০ পয়সায়। ৩১ জুলাই ফ্লোর প্রাইস কার্যকর হওয়ার দিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১০৯ টাকা ৮০ পয়সা। পরে উঠে যায় ১৭৩ টাকায়। সেখান থেকে কমতে কমতে ফ্লোরের আশেপাশে নেমে এসেছে।
সর্বাধিক দরপতনের দশম স্থানে ছিল জেএমআই হসপিটাল। এটির দর কমেছে ৭.৩৫ শতাংশ। দিন শেষে দর দাঁড়িয়েছে ৭৫ টাকা ৭০ পয়সা। ফ্লোর প্রাইস দেয়ার দিন দর ছিল ৭১ টাকা ১০ পয়সায়। অস্বাভাবিক হারে বাড়তে বাড়তে দর উঠে যায় ১৪২ টাকা ৮০ পয়সায়। বেড়ে যাওয়া প্রায় সব টাকাই হারিয়ে গেছে।
ওরিয়ন গ্রুপের কোম্পানি কোহিনূর কেমিক্যালস দর হারিয়েছে ৭.১৯ শতাংশ। শেয়ারদর নেমেছে ৪৬৭ টাকা ৬০ পয়সায়। এই কোম্পানির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইসে ৩৬৩ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে উঠে যায় ৭৫৭ টাকা ৪০ পয়সায়।
ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর সবচেয়ে বিস্ময় জাগানো ওরিয়ন ইনফিউশন এদিন দর হারিয়েছে ৫২ টাকা বা ৬.২৯ শতাংশ। ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর ১০৪ টাকা ৭০ পয়সা থেকে এক হাজার টাকায় উঠে যাওয়া শেয়ারদর এখন নেমেছে ৭৮৫ টাকা ৮০ পয়সায়। দুই দিনই দর কমল দুই শ টাকা।
সূচক কমার প্রধান দায় ওরিয়ন গ্রুপের
ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর যে গ্রুপটির শেয়ারদর ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি নিয়ে নানা আলোচনা তৈরি হয়, লভ্যাংশের ঘোষণার পর হতাশা থেকে এই গ্রুপটির শেয়ারদর এখন কমছে সবচেয়ে বেশি।
মঙ্গলবার সূচক যতটা কমেছে, তার মধ্যে বেশিরভাগই কমেছে এই গ্রুপের চার কোম্পানির কারণে। সবচেয়ে বেশি সূচক কমিয়ে যে ১০টি কোম্পানি, তার মধ্যে আছে এই কোম্পানিগুলো।
বিকন ফার্মার দরপতনেই দর কমেছে ১১.৬ পয়েন্ট। ওরিয়ন ফার্মার কারণে কমেছে ৪.৭৪ পয়েন্ট। এছাড়া ওরিয়ন ইনফিউশন ২.৩১ পয়েন্ট আর কোহিনূর ক্যামিকেলস সূচক কমিয়েছে ১.৯৯ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে এই চার কোম্পানির কারণেই সূচক কমেছে ২০.৬৪ পয়েন্ট।
এছাড়া লভ্যাংশের কারণে সমন্বয়ে জেএমআই সিরিঞ্জের কারণে ৪.৩৮ পয়েন্ট, সোনালী পেপারের কারণে ৩.৯৫ পয়েন্ট, বিএসিসির কারণে ২.৯৯ পয়েন্ট, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের কারণে ২.০১ পয়েন্ট, এডিএন টেলিকমের কারণে ১.৭১ পয়েন্ট এবং জেএমআই হসপিটালের কারণে ১.৬২ পয়েন্ট সূচক কমেছে। সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানির কারণে সূচক কমেছে ৩৭.৩ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট বাড়িয়েছে এমন ১০টি কোম্পানির কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ১০.৬ পয়েন্ট।
এর মধ্যে বসুন্ধরা পেপার একাই বাড়িয়েছে ৩.৬ পয়েন্ট। দীর্ঘদিন পর স্কয়ার ফার্মার দর বৃদ্ধিতে সূচকে যোগ হয়েছে ১.৭২ পয়েন্ট আর ইউনিক হোটেল ১.২৭ পয়েন্ট এবং জেনেক্স ইনফোসিস যোগ করেছে ১.০৫ পয়েন্ট।
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বাটা সু, লুব রেফ, ইস্টার্ন ক্যাবলস, মবিল যমুনা এবং সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট সূচকে কিছু পয়েন্ট যোগ করেছে।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য