যেসব কোম্পানির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইসের বেশি রয়েছে, সেগুলোর শেয়ারদর এখন ক্রমাগত কমছে। যেসব কোম্পানির দর লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে বিস্ময় জাগাচ্ছিল, সেগুলোর দরই কমছে বেশি।
তবে দাম কমলে শেয়ারের চাহিদা বাড়বে এমনটি নয়। ক্রেতা নেই বললেই চলে, এ কারণে লেনদেন নেমেছে ৫০০ কোটি টাকার ঘরে, গতিশীল পুঁজিবাজারে এক ঘণ্টাতেই এর চেয়ে বেশি টাকা লেনদেন হয়।
অর্থনীতি নিয়ে সামগ্রিক যে উদ্বেগ, তার পাশাপাশি নানা গুজব, গুঞ্জনের প্রভাবও পুঁজিবাজারে। সব মিলিয়ে প্রায় প্রতিদিনই কমছে শেয়ারদর ও সূচক।
আগের দুই দিন ১০০ পয়েন্টের পর মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমল ৩৫ পয়েন্ট। সূচকের অবস্থান নেমে এসেছে গত তিন মাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে।
দিন শেষে ডিএসইএক্সের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১৮ পয়েন্টে। সূচক এর চেয়ে কম ছিল গত ১৪ আগস্ট, ৬ হাজার ১৭৫ পয়েন্ট।
গত ২৪ অক্টোবর কারিগরি জটিলতায় কয়েক ঘণ্টা লেনদেন বন্ধের দিনটি বাদ দিলে গত ২৪ জুলাইয়ের পর সবচেয়ে কম টাকার শেয়ার হাতবদল হলো।
সারা দিনে লেনদেন হয়েছে ৫৬০ কোটি ৯২ লাখ ৩১ হাজার টাকা। প্রায় চার মাস আগের সেই দিন লেনদেন ছিল ৪৭০ কোটি ৯৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
বহু কোম্পানির ক্রেতা নেই
এদিন বেড়েছে ২৪টি কোম্পানির দর, কমেছে ৬১টি আর ফ্লোর প্রাইসে থাকে ২৩৪টি কোম্পানির শেয়ারদর আগের দিনের দরে হাতবদল হয়েছে।
বাকি ৭০টি কোম্পানির একটি শেয়ারও হাতবদল হয়নি।
আবার আগের দিনের দরে হাতবদল হয়েছে এমন ২০টি কোম্পানির একটি করে, ৫টি কোম্পানির ২টি করে, ৭টি কোম্পানির ৫টি করে, একটি কোম্পানির ৬টি, দুটি কোম্পানির ৭টি এবং একটি করে কোম্পানির ৮ ও ৯টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
আরও ২৬টি কোম্পানির এক শ টির কম, ১৫টি কোম্পানির ১০০ থেকে ২০০টি, ১৩টি কোম্পানির ২০০ থেকে ৩০০টি, আরও ১০টি কোম্পানির ৫০০টির কম শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হওয়া ২৩৪টি কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে ১৬ কোটি ৭৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।
যে লেনদেন হয়েছে তার মধ্যে কেবল ১০টিতেই লেনদেনের অর্ধেক হয়েছে। শীর্ষ এই দশে লেনদেন হয়েছে ২৭০ কোটি ৯৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।
দর কমেছে ব্যাপক হারে
ফ্লোর প্রাইসের বেশি আছে, এমন কোম্পানিগুলোর মধ্যে যেগুলোর দর কমেছে, তার মধ্যে বহুগুলোর পতনের হার ছিল অনেক বেশি।
এর মধ্যে চারটি কোম্পানির দর কমেছে ৯ শতাংশের বেশি, দুটির ৮ শতাংশের বেশি, ৬টির ৭ শতাংশের বেশি, দুটি করে কোম্পানির ৬ ও ৫ শতাংশের বেশি, তিনটির দর কমেছে ৪ শতাংশের বেশি। আরও ৮টির দর কমেছে ৩ শতাংশের বেশি।
এর মধ্যে বেশি কমেছে, এমন কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর গত ৩১ জুলাই থেকে ফ্লোর প্রাইস কার্যকরের পর থেকে ক্রমাগত বাড়ছিল।
সবচেয়ে বেশি ৯.৯২ শতাংশ কমেছে ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর ৩৮ টাকা থেকে ৫৪ টাকা হয়ে যাওয়া লাভেলো আইসক্রিম। এই পতনে দর নেমে এসেছে ৩৮ টাকা ১০ পয়সায়।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এডিএন টেলিকমের দর কমেছে ৯.৮৮ শতাংশ। এই কোম্পানিটির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইসে ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫৪ টাকায় উঠে গিয়েছিল। বর্তমান দর ১১২ টাকা ২০ পয়সা।
৫৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১৪৭ টাকা ৯০ পয়সায় উঠে যাওয়া ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দর এখন নেমে এসেছে ৯২ টাকা ৮০ পয়সায় নেমে এসেছে। এটির দাম কমেছে ৯.৭২ শতাংশ।
লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে বিস্ময় জাগানো ওরিয়ন ফার্মা দর হারিয়েছে আরও ৯.১২ শতাংশ। ফ্লোর প্রাইসে ৮১ টাকা থেকে বেড়ে ১৫৬ টাকা ৫০ পয়সায় উঠে গিয়ে এরপর কমতে কমতে দর দাঁড়িয়েছে ৯৩ টাকা ৭০ পয়সায়।
একই গ্রুপের আরেক কোম্পানি বিকন ফার্মা দর হারিয়েছে ৮.৪৫ শতাংশ। ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৪৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়ে যায় ৩৯৩ টাকা। বিনিয়োগকারীর ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে এখন দর দাঁড়িয়েছে ২৫২ টাকা ২০ পয়সা।
৩১ জুলাই ১৬৫ টাকা ২০ পয়সা থেকে টানা বেড়ে পেপার প্রসেসিংয়ের দর উঠে গিয়েছিল ৩৩৯ টকো ৪০ পয়সায়। ৮.৩৭ শতাংশ কমে দর দাঁড়িয়েছে ২১০ টাকা ২০ পয়সায়।
ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের শেয়ার দর হারিয়েছে ৭.৮০ শতাংশ। দর স্থির হয়েছে ৪১ টাকা ৪০ পয়সা। ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে ৫২ টাকা হয়ে গিয়েছিল।
সোনালী পেপার দর হারিয়েছে ৭.৪৩ শতাংশ। এই কোম্পানিটির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর ৬৩০ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে ৯৬৫ টাকা ৮০ পয়সায় উঠে গিয়েছিল। সেখান থেকে কমতে কমতে এখন দাঁড়িয়েছে ৬৯২ টাকা ৬০ পয়সায়।
সোনালী আঁশের দর কমেছে ৬৩ টাকা ৯০ পয়সা বা ৭.৩৮ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর ৪৪৬ টাকা থেকে বেড়ে ৯৬১ টাকা হয়ে গিয়েছিল। কমতে কমতে এখন দাঁড়িয়েছে ৮০১ টাকা ৬০ পয়সা্।
রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ শিপিং মিলস-বিএসসি দর হারিয়েছে ৭.৩৭ শতাংশ। দর নেমে এসেছে ১১৪ টাকা ৩০ পয়সায়। ৩১ জুলাই ফ্লোর প্রাইস কার্যকর হওয়ার দিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১০৯ টাকা ৮০ পয়সা। পরে উঠে যায় ১৭৩ টাকায়। সেখান থেকে কমতে কমতে ফ্লোরের আশেপাশে নেমে এসেছে।
সর্বাধিক দরপতনের দশম স্থানে ছিল জেএমআই হসপিটাল। এটির দর কমেছে ৭.৩৫ শতাংশ। দিন শেষে দর দাঁড়িয়েছে ৭৫ টাকা ৭০ পয়সা। ফ্লোর প্রাইস দেয়ার দিন দর ছিল ৭১ টাকা ১০ পয়সায়। অস্বাভাবিক হারে বাড়তে বাড়তে দর উঠে যায় ১৪২ টাকা ৮০ পয়সায়। বেড়ে যাওয়া প্রায় সব টাকাই হারিয়ে গেছে।
ওরিয়ন গ্রুপের কোম্পানি কোহিনূর কেমিক্যালস দর হারিয়েছে ৭.১৯ শতাংশ। শেয়ারদর নেমেছে ৪৬৭ টাকা ৬০ পয়সায়। এই কোম্পানির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইসে ৩৬৩ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে উঠে যায় ৭৫৭ টাকা ৪০ পয়সায়।
ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর সবচেয়ে বিস্ময় জাগানো ওরিয়ন ইনফিউশন এদিন দর হারিয়েছে ৫২ টাকা বা ৬.২৯ শতাংশ। ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর ১০৪ টাকা ৭০ পয়সা থেকে এক হাজার টাকায় উঠে যাওয়া শেয়ারদর এখন নেমেছে ৭৮৫ টাকা ৮০ পয়সায়। দুই দিনই দর কমল দুই শ টাকা।
সূচক কমার প্রধান দায় ওরিয়ন গ্রুপের
ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর যে গ্রুপটির শেয়ারদর ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি নিয়ে নানা আলোচনা তৈরি হয়, লভ্যাংশের ঘোষণার পর হতাশা থেকে এই গ্রুপটির শেয়ারদর এখন কমছে সবচেয়ে বেশি।
মঙ্গলবার সূচক যতটা কমেছে, তার মধ্যে বেশিরভাগই কমেছে এই গ্রুপের চার কোম্পানির কারণে। সবচেয়ে বেশি সূচক কমিয়ে যে ১০টি কোম্পানি, তার মধ্যে আছে এই কোম্পানিগুলো।
বিকন ফার্মার দরপতনেই দর কমেছে ১১.৬ পয়েন্ট। ওরিয়ন ফার্মার কারণে কমেছে ৪.৭৪ পয়েন্ট। এছাড়া ওরিয়ন ইনফিউশন ২.৩১ পয়েন্ট আর কোহিনূর ক্যামিকেলস সূচক কমিয়েছে ১.৯৯ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে এই চার কোম্পানির কারণেই সূচক কমেছে ২০.৬৪ পয়েন্ট।
এছাড়া লভ্যাংশের কারণে সমন্বয়ে জেএমআই সিরিঞ্জের কারণে ৪.৩৮ পয়েন্ট, সোনালী পেপারের কারণে ৩.৯৫ পয়েন্ট, বিএসিসির কারণে ২.৯৯ পয়েন্ট, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের কারণে ২.০১ পয়েন্ট, এডিএন টেলিকমের কারণে ১.৭১ পয়েন্ট এবং জেএমআই হসপিটালের কারণে ১.৬২ পয়েন্ট সূচক কমেছে। সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানির কারণে সূচক কমেছে ৩৭.৩ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট বাড়িয়েছে এমন ১০টি কোম্পানির কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ১০.৬ পয়েন্ট।
এর মধ্যে বসুন্ধরা পেপার একাই বাড়িয়েছে ৩.৬ পয়েন্ট। দীর্ঘদিন পর স্কয়ার ফার্মার দর বৃদ্ধিতে সূচকে যোগ হয়েছে ১.৭২ পয়েন্ট আর ইউনিক হোটেল ১.২৭ পয়েন্ট এবং জেনেক্স ইনফোসিস যোগ করেছে ১.০৫ পয়েন্ট।
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বাটা সু, লুব রেফ, ইস্টার্ন ক্যাবলস, মবিল যমুনা এবং সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট সূচকে কিছু পয়েন্ট যোগ করেছে।
আরও পড়ুন:তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
মন্তব্য