সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ৫ পয়েন্ট যোগ হওয়ার পর টানা তিন কর্মদিবস পতনে আস্থা সংকট দেখা দেয় পুঁজিবাজারে। শেষ কর্মদিবসেও সেখান থেকে বের হতে পারল না শেয়ারবাজার।
সূচকে সামান্য পয়েন্ট যোগ হলেও লেনদেন ৬ কর্মদিবস পরে হাজার কোটির নিচে নামল, যেটি ৭ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসইতে বৃহস্পতিবার হাতবদল হয়েছে ৭৯৭ কোটি ৯৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকার, যা আগের দিনের চেয়ে ২২০ কোটি ৯১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা কম। বুধবার লেনদেন ছিল ১ হাজার ১৮ কোটি ৮৫ লাখ ৩২ হাজার টাকা।
এর আগে হাজার কোটির নিচে লেনদেন হয়েছিল ১ নভেম্বর। ওই দিন হাতবদল হয়েছিল ৯০২ কোটি ৮৩ লাখ ১১ হাজার।
আজকের চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল তারও এক দিন আগে, অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর। সেদিন হাতবদল হয় ৭৬৯ কোটি ২৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
ব্রোকারেজ হাউসে চেক জমা দিয়ে নগদায়নের আগে শেয়ার কেনা যাবে না বলে ১১ অক্টোবর বিএসইসির নির্দেশনার পর পুঁজিবাজারে ফের দরপতন শুরু হয়। ৩০ অক্টোবর সিদ্ধান্ত পাল্টানোর পর ফ্লোর প্রাইস থেকে শেয়ারগুলো বের হতে শুরু করে।
গত সপ্তাহের বুধ, বৃহস্পতির পর চলতি সপ্তাহের বোববারও এই প্রবণতা দেখা যায়। এরপর বিএসইসি ও আইএমএফের বৈঠক নিয়ে উৎকণ্ঠায় শুরু হওয়া পতনে আবারও ফ্লোর প্রাইসে লেনদেনের সংখ্যাটা বাড়তে থাকে।
বৃহস্পতিবার দরবৃদ্ধির তুলনায় দরপতনের সংখ্যা বেশি থাকলেও সূচকে পয়েন্ট যোগ হওয়ার কারণ, সেগুলো সূচকে খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেনি। সেই সঙ্গে বিপুলসংখ্যক শেয়ারের লেনদেন হয়েছে আগের দরে, যেগুলোর দুই-একটি ছাড়া সবই ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন করছে।
অপরিবর্তিত দরে লেনদেন হয় ২২৭টির। আগের দিনে এই সংখ্যাটা ছিল ২১৮টি।
আগের দিনের মতোই দরবৃদ্ধির তুলনায় দরপতন হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।
লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৬টির, কমেছে ৮০টির।
দিনের শুরুতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আশার সঞ্চার হয়েছিল। ৮ মিনিটেই সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর কিছুটা কমলেও ১ ঘণ্টা ৬ মিনিটেও ওই পরিমাণ বেড়ে লেনদেন হয়েছে।
এরপর ক্রমাগত দরপতনে দুপুর ১২টা ২১ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৩৪৬ পয়েন্টে। সেখান থেকে ৩ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন শেষ হয়। ডিএসইএক্সের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ৩৫৩ পয়েন্টে।
ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মার্কেট পজের দিকে যেতে পারে। বাজার সোমবার, মঙ্গলবারের ওপর নির্ভর করবে বলেছিলাম। যেসব শেয়ার ম্যাচিউরড হয়েছিল সেগুলোর চাপ নিতে পারে কি-না, কিন্তু সেগুলোর চাপ নিতে পারেনি। সেভাবে শেয়ারের বায়ার নেই। এটা দুই রকম হতে পারে, বাজারে বায়ার নেই অথবা বায়ার আছে কিন্তু এই মুহূর্তে কেনার আগ্রহ নেই।’
সূচকে প্রভাব যাদের
সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ২৮ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে সি-পার্ল। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
ওরিয়ন ইনফিউশনের দর ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট।
বিকন ফার্মা সূচকে যোগ করেছে ১ দশমিক শূন্য দুই পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ১ দশমিক ৮১ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, ইস্টার্ন হাউজিং, ওরিয়ন ফার্মা, নাভানা ফার্মা, পূবালী ব্যাংক ও মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংক।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯০ পয়েন্ট।
বিপরীতে কোনো কোম্পানিই ১ পয়েন্ট সূচক কমাতে পারেনি। সবচেয়ে বেশি শূন্য দশমিক ৬৭ পয়েন্ট সূচক কমেছে ইউনিক হোটেলের দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ২ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৫৭ পয়েন্ট কমেছে সোনালী পেপারের কারণে। শেয়ার প্রতি দাম কমেছে ১ দশমিক ৭২ শতাংশ।
কোহিনূর কেমিক্যালের দর ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৫০ পয়েন্ট।
এ ছাড়া বাটা সুজ, জেনেক্স ইনফোসিস, বেক্সিমকো ফার্মা, আইটি কনসালট্যান্টস, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, আমরা টেকনোলজিস ও লুবরেফ বাংলাদেশের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৪ দশমিক ২৮ পয়েন্ট।
শীর্ষ ৫ খাত যেমন
আগের দিনের মতোই শীর্ষে রয়েছে প্রযুক্তি খাত। লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটি ৯০ লাখ টাকা, যা গতকাল ছিল ২১৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। তিনটি করে কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে সাতটির দরপতন হয়েছে। একটি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে আগের দরে।
১৪৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা লেনদেন করে আগের দিনের মতোই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। আগের দিনে লেনদেন ছিল ১৭১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পাঁচটি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৮টির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে, চারটির দরপতনে।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে সেবা ও আবাসন খাত। লেনদেন হয়েছে ৬৯ কোটি টাকা। খাতের দুইটি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে দর বেড়ে, আর একটি করে কোম্পানির দরপতন ও আগের দরে লেনদেন হয়েছে।
পরের স্থানে থাকা কাগজ ও মুদ্রণ খাতে হাতবদল হয়েছে ৬৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা, যা গতকাল ছিল ৮৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। দুইটি করে কোম্পানির দরবৃদ্ধি, একটির অপরিবর্তিত দরে ও তিনটির দরপতন হয়েছে।
পঞ্চম স্থানে থাকা প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৬০ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
চারটি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ২৫টির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে। ১০টির লেনদেন হয় দর কমে।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ দর বেড়ে সি-পার্লের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭৪ টাকা ৩০ পয়সায়। আগের দিনে লেনদেন হয় ১৫৮ টাকা ৫০ পয়সায়।
৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়ে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৫ টাকা ৬০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ২৩ টাকা ৩০ পয়সা।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ছিল সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট। ৯ দশমিক ১৪ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ৩৮ টাকা ২০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ৩৫ টাকা।
এ ছাড়া দরবৃদ্ধির ১০-এ ছিল সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, ওরিয়ন ইনফিউশন, ইস্টার্ন হাউজিং, আমরা নেটওয়ার্কস, নাভানা ফার্মা, মীর আকতার ও লাভেলো আইসক্রিম।
দরপতনের শীর্ষ ১০
সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ কমে আমরা টেকনোলজিসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৭ টাকা ১০ পয়সা, যা আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ৫১ টাকায়।
শমরিতা হাসপাতালের দর ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ কমে ৭৪ টাকা ১০ পয়সায় প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। পূর্বের দর ছিল ৭৯ টাকা ৩০ পয়সা।
৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ দর কমে কপারটেকের শেয়ার বেচাকেনা হয়েছে ৪০ টাকায়। আগের দিনের দর ছিল ৪২ টাকা ৪০ পয়সায়।
এ ছাড়াও পতনের তালিকায় শীর্ষ ১০-এর মধ্যে ছিল আইটি কনসালট্যান্টস, বিডি থাই ফুড, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, লুবরেফ বাংলাদেশ ও সোনালী আঁশ।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য