× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Reserves will relax if reforms are implemented IMF
google_news print-icon

সংস্কার বাস্তবায়ন হলে রিজার্ভ স্বস্তিদায়ক হবে: আইএমএফ

সংস্কার-বাস্তবায়ন-হলে-রিজার্ভ-স্বস্তিদায়ক-হবে-আইএমএফ
বুধবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বিফ্রিংয়ে কথা বলেন আইএমএফ প্রতিনিধিদলের নেতা রাহুল আনান্দ। ছবি: এএফপি
আইএমএফ-এর এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রাহুল আনান্দ বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে একটা সংকট তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। রপ্তানি ও রেমিট্যান্স কমেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অবস্থাও তেমন ভালো নয়। ফলে ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট বা চলতি হিসাবে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে ঝুঁকি রয়েছে। ঋণের টাকা পাওয়ার পর বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল হবে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বাড়বে। তবে এজন্য সরকারকে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।’

বৈশ্বিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তাই এই মুহূর্তে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষা করাই সরকারের জন্য জরুরি বলে মনে করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্বস্তিদায়ক অবস্থানে আসবে।

বাংলাদেশে ১৫ দিনের সফর শেষে বুধবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিফ্রিংয়ে এ কথা জানান আইএমএফ প্রতিনিধিদলের নেতা সংস্থাটির এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রাহুল আনান্দ।

সফরের শেষ দিনে বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠক করে আইএমএফ প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন অর্থমন্ত্রী। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে আইএমএফ প্রতিনিধিদল।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের পর সফরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন রাহুল আনান্দ।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে একটা সংকট তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। রপ্তানি ও রেমিট্যান্স কমেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অবস্থাও তেমন ভালো নয়। ফলে ব্যালান্স অফ পেমেন্ট বা চলতি হিসাবে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে ঝুঁকি রয়েছে। ঋণের টাকা পাওয়ার পর বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল হবে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বাড়বে। তবে এ জন্য সরকারকে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।

আগামী জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আইএমএফ মিশনের দলনেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে আমরা মোটেই উদ্বিগ্ন নই। আর্থিক খাতের সংস্কার কর্মসূচিকে আইএমএফ সব সময়ই গুরুত্ব দেয়, এবারও দেয়া হয়েছে। নির্বাচনের সঙ্গে সংস্কারের কোনো সম্পর্ক নেই।’

বাংলাদেশ কখনও বিদেশি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি উল্লেখ করে রাহুল আনান্দ বলেন, ‘আইএমএফ বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ উন্নয়ন সহযোগী। দীর্ঘ বছর ধরে এ দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রয়েছে। আশা করি, ভবিষ্যতেও এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।’

সংস্কার বাস্তবায়ন হলে রিজার্ভ স্বস্তিদায়ক হবে: আইএমএফ
বুধবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইএমএফ-এর এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রাহুল আনান্দ। ছবি: এএফপি

বৈশ্বিক সংকটের বাস্তবতায় বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ঝুঁকি তৈরি হলে আইএমএফ-এর কাছে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চায় ঢাকা। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী যা ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।

চলতি বছরের জুলাইয়ের ২৪ তারিখে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আইএমএফ-এর প্রধান কার্যালয় এ বিষয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়। তারই অংশ হিসেবে ঋণ নিয়ে আলোচনা করতে ২৬ অক্টোবর আইএমএফ-এর ১০ সদস্যের একটি স্টাফ মিশন বাংলাদেশ সফরে আসে।

এই সফরকালে প্রতিনিধি দলটি অর্থ বিভাগের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করে।

এসব বৈঠকে আর্থিক খাতে চলমান সংস্কার কর্মসূচি ও সরকারের নীতি বিষয়ে আলোচনা হয়। ঋণ পেতে বেশকিছু শর্ত নিয়ে আলোচনা করে আইএমএফ।

বুধবার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সফর শেষ করে আইএমএফ প্রতিনিধি দল।

আইএমএফ যে বাংলাদেশকে ঋণ দেবে তার ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গিয়েছিল। বুধবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সুখবরটি দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বাংলাদেশকে সাত কিস্তিতে মোট ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে আইএমএফ। ঋণের সুদের হার হবে ২ দশমিক ২ শতাংশ। গ্রেস পিরিয়ডসহ আগামী ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে সরকারকে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

এক্সটেনডেট ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি, এক্সটেনডেট ফান্ড ফ্যাসিলিটি ও রেজিলিয়ান্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি- এই তিন কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশকে ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে আইএমএফ।

দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তির পর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো ধরনের শর্ত ছাড়াই আইএমএফ আমাদেরকে ঋণ দিচ্ছে। তারা যেসব শর্ত দিয়েছে মূলত সেগুলো আমাদেরই নেয়া সংস্কার কর্মসূচি, যা বাজেটে উল্লেখ করা আছে।

সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফ দলনেতা রাহুল আনন্দ আরও বলেন, বাংলাদেশে এখন যে রিজার্ভ আছে তা দিয়ে সাড়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। এই রিজার্ভকে তিনি ভালো বা খারাপ কোনো কিছু হিসেবেই আখ্যায়িত করেননি।

রাহুল আনন্দ বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে না কমবে তা নির্ভর করবে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর। কেননা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি কোনদিকে যাবে তা কেউ বলতে পারছে না।

‘তবে আমরা মনে করি, যেসব সংস্কার কর্মসূচি নেয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে পারলে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল হবে এবং রিজার্ভ স্বস্তিদায়ক অবস্থানে আসবে।’

আইএমএফ বলেছে, সৃষ্ট সঙ্কট মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে রাজস্ব আহরণে জোর দিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। এই খাতে সংস্কার জরুরি বলে মনে করে বহুজাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি।

দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের জন্য শেয়ারবাজার এবং বন্ড মার্কেট উন্নয়নেও জোর দিতে বলেছে আইএমএফ।

জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় এই খাতে আরও বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা বলেছে আইএমএফ। ভর্তুকি ব্যবস্থাপনায় সংস্কার চায় সংস্থাটি। তারা বলেছে, ভর্তুকির সুফল গরিব মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

আইএমএফ বলেছে, মূল্যস্ফীতি সারাবিশ্বেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। বিশ্ব বাজারে সব পণ্যের দাম বেড়েছে। ফলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারেও।

এক প্রশ্নের জবাবে আইএমএফ দলনেতা বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নীতিতে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’

আরও পড়ুন:
আইএমএফ-বিএসইসি বৈঠকে গুরুত্ব পেল অটোমেশন
গ্যাস-বিদ্যুতের দাম নির্ধারণপদ্ধতি জানতে চায় আইএমএফ
বিএসইসি ও বিডার সঙ্গে আইএমএফ বসবে সোমবার
আইএমএফের শর্ত জনগণের বাড়তি বোঝা হবে: টিআইবি
রপ্তানি বাড়াতে পরিকল্পনা জানতে চেয়েছে আইএমএফ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Ukraine will be destroyed by warplanes not attacks on NATO countries

ন্যাটো দেশে হামলা নয়, ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিলে ধ্বংস করা হবে

ন্যাটো দেশে হামলা নয়, ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিলে ধ্বংস করা হবে ছবি: রয়টার্স
এ সময় পুতিন বলেন, ‘এসব যুদ্ধবিমান যদি ইউক্রেনের বাইরের কোনো দেশ থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে আসে, তবে সেসব স্থানও আমাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে, তা সে যে স্থানই হোক না কেন।’

পশ্চিমা ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর ওপর হামলার পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার। এমনকি এর বাইরে পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক বা বাল্টিক কোনো দেশের ওপরও হামলা চালাবে না তারা। তবে ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিলে তা ধ্বংস করা হবে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

স্থানীয় সময় বুধবার রাশিয়ার বিমান বাহিনীর পাইলটদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব কথা বলেছেন তিনি।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে পূর্ব দিক থেকে রাশিয়ার দিকে অগ্রসর হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। তবে রাশিয়ার এসব অঞ্চলের ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর ওপর হামলার পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন পুতিন।

তিনি বলেন, ‘এ জোটভুক্ত দেশগুলোর প্রতিও কোনো আগ্রাসন দেখানো হবে না। পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক বা বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোকে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে যেসব কথা রটানো হয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণ বাজে কথা।’

এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে অর্থ, অস্ত্র ও বুদ্ধি দিয়ে সমর্থন করার অভিযোগ এনে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এ কারণেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে মস্কোর যে সম্পর্ক, তা সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।’

পশ্চিমারা ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেয়ার বিষয়ে পুতিন বলেন, ‘এ ধরনের কর্মকাণ্ডে ইউক্রেনের পরিস্থিতি পাল্টাবে না। আর ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান ও রকেট লঞ্চারের মতো ওগুলোকেও (এফ-১৬) আমরা ধ্বংস করব।’

তিনি বলেন, ‘এসব যুদ্ধবিমান যদি ইউক্রেনের বাইরের কোনো দেশ থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে আসে, তবে সেসব স্থানও আমাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে, তা সে যে স্থানই হোক না কেন।’

এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কাও বাড়াবে বলে এ সময় সতর্ক করেন তিনি।

আরও পড়ুন:
মস্কোতে আইএসের হামলার সামর্থ্যে বিশ্বাস নেই রাশিয়ার

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
A Bangladeshi youth was killed by police in the United States

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
পুলিশ জনিয়েছে, ৯১১ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ ওই যুবকের বাসায় গিয়েছিল। এ সময় কাঁচি দিয়ে অফিসারদের হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। এরই এক পর্যায়ে তার পায়ে গুলি চালানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় বুধবার নিউ ইয়র্কের কুইন্সের একটি বাসায় মানসিক অবসাদে ভোগা ওই যুবককে বাধ্য হয়েই গুলি করতে হয় বলে পুলিশ দাবি করেছে।

নিউ ইয়ক টাইমস বলছে, ১৯ বছর বয়সী উইন রোজারিওকে দুপুর পৌনে ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তিনি ওজোন পার্কের ১০৩ নম্বর স্ট্রিটে দ্বিতীয় তলার বাসায় তার পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।

পুলিশ জনিয়েছে, ৯১১ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ ওই যুবকের বাসায় গিয়েছিল। এ সময় কাঁচি দিয়ে অফিসারদের হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। এরই এক পর্যায়ে তার পায়ে গুলি চালানো হয়।

নিহতের ভাই উশতো রোজারিও বলেন, মা উইনকে ফেরাতে চেষ্টা করছিলেন। তবে এর মধ্যেই পুলিশ গুলি ছুড়েছে। এই গুলি ছোড়ার কোনো দরকার ছিল না।

পুলিশ ডিপার্টমেন্টের টহল প্রধান জন চেল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দুজন অফিসার মানসিক যন্ত্রণায় থাকা ব্যক্তি সম্পর্কে ৯১১ নম্বরে একটি কল পেয়ে সেখানে যায়। বাধ্য হয়েই গুলি চালাতে হয়েছে। বেশ উত্তেজনাপূর্ণ, বিশৃঙ্খল এবং বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হয়েছিল। রোজারিও ৯১১ নম্বরে কল করেছিলেন।

উইনের বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও জানান, তার পরিবার ১০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্কে যান। উইনের স্বপ্ন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়া। পরিবারের গ্রিন কার্ড পেতে দেরি হওয়ায় সেটি আর হয়নি।

নিহতের ভাই উশতো রোজারিও জানান, তার ভাই দুই বছর আগে ওজোন পার্কের জন অ্যাডামস হাই স্কুল থেকে স্নাতক করেছে। সম্প্রতি বিষণ্ণ ছিলেন তিনি। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে গত বছর হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাকে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Facebooks secret surveillance on competitors

প্রতিযোগীদের ওপর গোপন নজরদারি ফেসবুকের

প্রতিযোগীদের ওপর গোপন নজরদারি ফেসবুকের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। ছবি: টেকক্রাঞ্চ
২০১৬ সালের জুনে মার্ক একটি ইমেইলে বলেন, স্ন্যাপচ্যাট তাদের সিস্টেম এনক্রিপট (যে পদ্ধতির মাধ্যমে তথ্য গোপন কোডে রূপান্তরিত হয় যা তথ্যের প্রকৃত অর্থ লুকিয়ে রাখে) করার কারণে অ্যাপটির অভ্যন্তরীণ কোনো তথ্য ফেসবুকের কাছে নেই। তাদের সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে একটি নতুন উপায় বের করা গুরুত্বপূর্ণ।

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের নেতৃত্বাধীন মেটার প্ল্যাটফর্মগুলো স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব এবং অ্যামাজন ব্যবহারকারীদের তথ্য গোপনে নজরদারি করছে বলে অভিযোগ করে নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ফেডারেল আদালত।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চের বরাত দিয়ে বুধবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফেসবুক ২০১৬ সালে ‘ঘোস্টবাস্টারস’ নামে একটি গোপন প্রজেক্ট চালু করেছিল যাতে স্ন্যাপচ্যাট ও এর সার্ভার ব্যবহারকারীদের মধ্যে নেটওয়ার্ক ট্রাফিক এনক্রিপ্ট এবং ডিক্রিপ্ট করা যায়।

স্ন্যাপচ্যাটের ভূতের (ঘোস্ট) মতো লোগোর সঙ্গে মিল রেখে ফেসবুক এটির নাম দিয়েছে ‘প্রজেক্ট ঘোস্টবাস্টারস’।

আদালতের নথি অনুসারে, ঘোস্টবাস্টারস প্রজেক্টটি স্ন্যাপচ্যাটের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা অর্জন ও ব্যবহারকারীর আচরণ বোঝার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

নথিতে প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনা করা সে সময়ের অভ্যন্তরীণ ফেসবুক ইমেইলগুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ২০১৬ সালের জুনে মার্ক এমন একটি ইমেইলে বলেন, স্ন্যাপচ্যাট তাদের সিস্টেম এনক্রিপট (যে পদ্ধতির মাধ্যমে তথ্য গোপন কোডে রূপান্তরিত হয় যা তথ্যের প্রকৃত অর্থ লুকিয়ে রাখে) করার কারণে অ্যাপটির অভ্যন্তরীণ কোনো তথ্য ফেসবুকের কাছে নেই।

তাই তাদের সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে একটি নতুন উপায় বের করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন মার্ক। এর জন্য একটি কাস্টম সফটওয়্যার তৈরির কথা জানান তিনি।

এর পরিপ্রেক্ষিতেই পরবর্তীতে ফেসবুকের প্রকৌশলীরা ঘোস্টবাস্টারস তৈরি করেন। পরে অ্যামাজন এবং ইউটিউবকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রকল্পটি প্রসারিত করা হয়ে।

ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতের তথ্য অনুসারে, ফেসবুকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভদের একটি দল এবং প্রায় ৪১ জন আইনজীবী প্রজেক্ট ঘোস্টবাস্টারে কাজ করেছেন, তবে ফেসবুকের কিছু কর্মী এ প্রকল্পের বিপক্ষে ছিলেন। তারা এটি নিয়ে তাদের উদ্বেগও প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন:
ফলোয়ার হারিয়ে রিক্ত ফেসবুক ব্যবহারকারীরা
নতুন ভিআর হেডসেট বাজারে আনল ‘মেটা’
ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট মুছে ‘শান্তিতে আছে’ মেটার চ্যাটবট
বইতে এলো দেশের ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাস
পদ ছাড়ছেন মেটার সিওও স্যান্ডবার্গ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
81 Palestinians were killed in 24 hours of Israeli attacks in Gaza

গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৮১

গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৮১ গাজার আল-শিফা হাসপাতালের কাছে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ছবি: সংগৃহীত
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়া সত্ত্বেও হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পাস হওয়ার পরও গাজায় আক্রমণ থেমে নেই। ইসরায়েলের হামলায় ২৪ ঘণ্টায় ৮১ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৯৩ জন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েল গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় অব্যাহত হামলা চালিয়ে আসছে। এসব হামলায় এ পর্যন্ত নারী-শিশুসহ ৩২ হাজার ৪১৪ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৭৮৭ জনেরও বেশি।

গাজায় এসব হামলার পাশাপাশি পশ্চিম তীরেও নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল।

প্যালেস্টাইনের অবরুদ্ধ গাজা সিটির আল-শিফা হাসপাতালের কাছে একটি আবাসিক বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, গাজায় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার একটি পরিবারের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছে প্যালেস্টাইনের বার্তা সংস্থা ‘ওয়াফা’।

এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গাজার বৃহত্তম চিকিৎসা কেন্দ্র আল-শিফা ও এর আশপাশে ইসরায়েলি বাহিনী ব্যাপক আকারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

এর আগে রাফাহ শহরের একটি আবাসিক বাড়িতে ইসরায়েলি বোমা হামলায় নয় শিশুসহ ১৮ জন নিহত হন।

এ ছাড়া রাফাহ শহরের উত্তর-পূর্বে নাসর এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র গোলাবর্ষণেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

প্রায় ছয় মাসের টানা ইসরায়েলি আক্রমণে বাস্ত্যুচ্যুত ১৪ লাখ গাজাবাসী বর্তমানে শরণার্থী হিসেবে রাফাহতে অবস্থান করছেন।

সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাতে জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়েছে।

প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তবে নিরাপত্তা পরিষদের বাকি ১৪টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়।

প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই প্রস্তাব অবশ্যই বাস্তবায়ন হতে হবে। কোনো পক্ষ এই যুদ্ধবিরতি ও এর শর্তগুলো বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে তা হবে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।

হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা নেতানিয়াহুর

এদিকে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব হওয়া সত্ত্বেও ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটি, রাফাহসহ পুরো উপত্যকাজুড়ে হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

হামাসের যুদ্ধবিরতির দাবিকে ‘ভ্রান্তিমূলক’ উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় মঙ্গলবার এক এক্স বার্তায় বলেছে, ‘ইসরায়েল তার যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জন, বন্দিদের মুক্তি ও হামাসকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা পর্যন্ত গাজায় সামরিক আক্রমণ চালিয়ে যাবে।’

আরও পড়ুন:
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধানকে গাজায় প্রবেশে বাধা ইসরায়েলের
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য মিসর-সৌদি যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন
গাজার আল শিফা হাসপাতালে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল
গাজার শিশুদের মধ্যে দ্রুত ছড়াচ্ছে তীব্র অপুষ্টি: জাতিসংঘ
যুদ্ধ শুরুর পর ত্রাণবাহী প্রথম জাহাজ গাজা উপকূলে

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Radical Islamists behind Moscow attack Putin

মস্কোতে হামলায় উগ্র ইসলামপন্থিদের হাত রয়েছে: পুতিন

মস্কোতে হামলায় উগ্র ইসলামপন্থিদের হাত রয়েছে: পুতিন সন্ত্রাসীদের হামলায় জ্বলছে মস্কোর ক্রোকাস সিটি হল (বাঁয়ে); রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা জানি এই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে উগ্র ইসলামপন্থিদের হাতে। তবে অবশ্যই এই প্রশ্নের জবাব দরকার- সন্ত্রাসীরা কেন ইউক্রেনে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল? ওখানে তাদের জন্য কে অপেক্ষা করছিল?’

মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে কনসার্টে হামলায় ‘উগ্র ইসলামপন্থিদের’ হাত রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, এই নৃশংসতার পেছনে ইউক্রেনের হাত থাকতে পারে।

শুক্রবার ওই হামলার ঘটনার পর এই প্রথমবারের মতো তিনি এমনটা বলেছেন। তবে এই হামলার দায় স্বীকার করা আইএস-এর কথা উল্লেখ করেননি পুতিন।

শুক্রবারের ওই ভয়াবহ হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।

ছদ্মবেশী বন্দুকধারীরা ক্রোকাস সিটি হলে ঢুকে কনসার্টে অংশগ্রহণকারীদের ওপর গুলি চালায় এবং ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে অন্তত ১৩৭ জন নিহত হয়। হামলায় ১৮০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মোট ৯৭ জন এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

টেলিভিশনে সোমবার সম্প্রচারিত এক বৈঠকে পুতিন বলেন, ‘আমরা জানি এই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে উগ্র ইসলামপন্থিদের হাতে, যাদের আদর্শের বিরুদ্ধে শত শত বছর ধরে লড়াই করছে মুসলিম বিশ্ব।’

পুতিন বলেন, ‘তবে অবশ্যই এই প্রশ্নের জবাব দরকার- অপরাধ করার পর সন্ত্রাসীরা কেন ইউক্রেনে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল? ওখানে তাদের জন্য কে অপেক্ষা করছিল?’

ইসলামিক স্টেট ইন খোরাসান প্রভিন্স শুক্রবার থেকে বেশ কয়েকবার বলেছে যে, তারা এই হামলার দায় স্বীকার করেছে এবং আইএসআইএল-অনুমোদিত মিডিয়া চ্যানেলগুলো হামলার সময় বন্দুকধারীদের গ্রাফিক ভিডিও প্রকাশ করেছে।

আইএস হামলার দায় স্বীকার করার পর যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা তাদের দাবির পক্ষে সাফাই গায়। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘ফ্রান্সের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, এর জন্য আইএসআইএল নামে একটি সংগঠনকে দায়ী করা হচ্ছে।’

এর আগে সোমবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের রাশিয়ায় তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করার আহ্বান জানান।

এই হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ৭ মার্চ মস্কোকে সতর্ক করেছিল বলে যে খবর বেরিয়েছে, সে বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের গোয়েন্দা তথ্য গোপনীয়।’

আরও পড়ুন:
মস্কোয় হামলার ঘটনায় যা বললেন পুতিন
মস্কোয় কনসার্টে হামলার ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৩৩

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Greetings from the Prime Minister of Russia on Independence Day

স্বাধীনতা দিবসে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

স্বাধীনতা দিবসে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা কোলাজ: নিউজবাংলা
রুশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও তার দায়িত্বশীল কাজে নতুন সাফল্য এবং বন্ধুপ্রতিম বাংলাদেশি জনগণের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্টিন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে মিখাইল মিশুস্টিন বলেন, ‘রাশিয়ান ফেডারেশন সরকারের পক্ষ থেকে এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অভিনন্দন।’

তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার চেতনায় বিকশিত হচ্ছে, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এগিয়ে যাচ্ছে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে নানা যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করলে বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী এবং উভয়ের স্বার্থরক্ষা হবে।’

রুশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও তার দায়িত্বশীল কাজে নতুন সাফল্য এবং বন্ধুপ্রতিম বাংলাদেশি জনগণের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
In the United States many casualties are feared due to the impact of the ship on the bridge in the river

যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজের ধাক্কায় সেতু ভেঙে নদীতে, বহু হতাহতের শঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজের ধাক্কায় সেতু ভেঙে নদীতে, বহু হতাহতের শঙ্কা ছবি: আলজাজিরা
স্থানীয় সময় সোমবার রাত দেড়টার দিকে সেতুটিতে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী একটি পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কা লাগে। এতে সেতুর ওপর থাকা অনেকগুলো গাড়ি নিয়ে এর একাংশ পানিতে ধসে পড়ে।

জাহাজের ধাক্কায় ধসে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাল্টিমোরের প্যাটাপস্কো নদীর ওপর নির্মিত ‘ফ্রান্সিস স্কট কি’ সেতু। এ ঘটনায় বহু হতাহতের শঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন।

স্থানীয় সময় সোমবার রাত দেড়টার দিকে সেতুটিতে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী একটি পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কা লাগে। এতে সেতুর ওপর থাকা অনেকগুলো গাড়ি নিয়ে এর একাংশ পানিতে ধসে পড়ে।

এই দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাল্টিমোর সিটি ফায়ার ডিপার্টমেন্ট।

প্রাথমিক বিবৃতিতে মেরিল্যান্ড পরিবহন কর্তৃপক্ষ (এমটিএ) জানিয়েছে, ‘আন্তঃরাজ্য মহাসড়কের ওপর নির্মিত আই-৬৯৫ কি ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে। তাই প্যাটাপস্কো নদীর সংযোগ সড়ক এড়িয়ে চলতে চালকদের অনুরোধ করা হচ্ছে।’

শুরুতে তারা জানায়, ‘ফ্রান্সিস স্কট কি’ সেতুতে একটি দুর্ঘটনার কারণে আন্তঃরাজ্য মহাসড়কের উভয় লেনে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বাল্টিমোর মেয়র জানিয়েছেন, উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন এবং তারা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।

বাল্টিমোর ফায়ার বিভাগের কমিউনিকেশন পরিচালক কেভিন কার্টরাইট রাত ৩টার দিকে বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকর্মীরা পানিতে নেমে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে সাতজন পানিতে তলিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, স্থানীয় সময় রাত দেড়টার দিকে জরুরি নম্বরে কল আসে। এতে বলা হয় বাল্টিমোর সেতুতে বাণিজ্যিক জাহাজ ধাক্কা দেয়ায় এক কলাম ভেঙে সেতুটি ধসে পড়েছে। ওই সময় সেতুটিতে একাধিক যানবাহন ছিল।

কার্টরাইট বলেন, ‘আমরা এখন ডুবে যাওয়াদের উদ্ধারের সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। তবে কতজন মানুষ পানিতে পড়ে গেছে সে সম্পর্কে সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।’

মন্তব্য

p
উপরে