সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে শুরু হওয়া দরপতনের মধ্যে মঙ্গলবার আশা জাগিয়েও পতনেই লেনদেন শেষ হয়। চতুর্থ কর্মদিবসেও ঘুরে দাঁড়াতে পারল না পুঁজিবাজার।
সূচক পতনের মধ্য দিয়ে বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসইর প্রধান সূচক ৭ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্নে অবস্থান করছে।
ব্রোকারেজ হাউসে চেক জমা দিয়ে নগদায়নের আগে শেয়ার কেনা যাবে না বলে ১১ অক্টোবর বিএসইসির নির্দেশনা জারির পর পুঁজিবাজারে পতন হয়। ৩০ অক্টোবর সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার পর পুঁজিবাজারে কিছুটা উত্থান দেখা যায়।
পরের কর্মদিবস ৩১ অক্টোবরে সূচক ছিল ৬ হাজার ৩০৭ পয়েন্টে। সেখান থেকে ৬ নভেম্বর সূচক বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে। অর্থাৎ এই ৪ কর্মদিবসে সূচকে যোগ হয় ১০৮ পয়েন্ট।
চেক নগদায়ন ইস্যুর শেষ না হতেই বাংলাদেশ সফরে থাকা আইএমএফের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএসইসির বৈঠককে নিয়ে জল ঘোলা হতে থাকে।
আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি পুঁজিবাজারের কোনো রকম বাহ্যিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। ফ্লোর প্রাইস বা শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর স্বাভাবিক বাজারের পরিপন্থি। ফলে বিএসইসির সঙ্গে বৈঠকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়ার জন্য আইএমএফ চাপ দিতে পারে বলে আলোচনা হতে থাকে।
যদিও বিএসইসি থেকে জানানো হয়, আইএমএফের সঙ্গে বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে নেই ফ্লোর প্রাইস। তারপরও সেই উৎকণ্ঠায় বৈঠকের দিন সোমবার সূচকের ২২ পয়েন্ট পতনে লেনদেন হয়।
আইএমএফের সঙ্গে বৈঠকের পর কোনো নেতিবাচক খবর না আসায় মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুটা হয়েছিল আশা জাগানিয়া, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিরাশ করে সূচক ৮ পয়েন্ট হারিয়ে লেনদেন শেষ হয়।
বিশ্লেষকরা জানান, কয়েক দিনের উত্থানের পর কিছুটা প্রফিট টেকিং হচ্ছে, যার ধারাবাহিকতা বজায় থাকল বুধবারও।
৩৩ পয়েন্ট কমে সূচক পতনের মধ্য দিয়ে সংশোধন আরও দীর্ঘ হলো। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩৫০ পয়েন্টে, যা গত ৩১ অক্টোবরের পর সর্বনিম্ন।
ওই দিন থেকে চার কর্মদিবসে ১০৮ পয়েন্ট উত্থানের বিপরীতে গত তিন দিনে সূচক কমল প্রায় ৬৫ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে যতগুলোর দর বেড়েছে, কমেছে তার তিন গুণের বেশি। ৩৪টির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরপতন হয় ১০৪টির। আর ২১৮টির লেনদেন হয় অপরিবর্তিত দরে, যার দুই-একটি ছাড়া সবই রয়েছে ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তরে।
সূচকের সঙ্গে লেনদেনে ভাটা পড়েছে। হাতবদল হয় ১ হাজার ১৮ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে পৌনে ৫০০ কোটি টাকা কম।
গতকাল লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪৯৪ কোটি ৫৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা।
লেনদেনের বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজারে পতন হয়েছে কিছুটা গুজবের জন্য। ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হবে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আর কিছুটা হয়েছে প্রফিট টেকিংয়ের কারণে। কয়েক দিনের উত্থানে যারা লাভ করতে পেরেছেন, তারা মুনাফা তুলে নিচ্ছেন।’
সূচকে প্রভাব যাদের
সবচেয়ে বেশি ৬ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট সূচক কমেছে বেক্সিমকো ফার্মার দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট কমেছে বিকন ফার্মার কারণে। শেয়ারপ্রতি দাম কমেছে ২ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
সি-পার্লের দর ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ২ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট।
এ ছাড়া ওরিয়ন ইনফিউশন, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ, নাভানা ফার্মা, সোনালী পেপার, ইস্টার্ন ক্যাবলস, ইউনিক হোটেল ও ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ২৫ দশমিক ২৯ পয়েন্ট।
বিপরীতে ২ দশমিক ০৩ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে ওরিয়ন ফার্মা। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
বসুন্ধরা পেপারের দর ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট।
কোহিনূর কেমিক্যাল সূচকে যোগ করেছে ১ দশমিক ৭১ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে জেনেক্স ইনফোসিস, মনোস্পুল, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোনালী আঁশ ও প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট।
শীর্ষ ৫ খাত যেমন
আগের দিনের মতোই শীর্ষ রয়েছে প্রযুক্তি খাত। লেনদেন হয়েছে ২১৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যা আগের দিনে ছিল ২০৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
২টি করে কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৮টির দরপতন হয়েছে।
১৭১ কোটি ৩০ লাখ টাকা লেনদেন করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। আগের দিনে লেনদেন ছিল ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৭টির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে, ১১টির দরপতনে।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে কাগজ ও মুদ্রণ খাত। লেনদেন প্রায় অর্ধেক কমেছে খাতটিতে। হাতবদল হয়েছে ৮৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১৫৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
৩টি করে কোম্পানির দরবৃদ্ধি, ১টির অপরিবর্তিত দরে ও ২টির দরপতন হয়েছে।
চতুর্থ স্থানে থাকা বিবিধ খাতে লেনদেন হয়েছে ৭৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। ২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬টির অপরিবর্তিত ও ৪টির দরপতনে লেনদেন হয়েছে।
পঞ্চম স্থানে থাকা প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি ৬০ লাখ, যা গতকাল ছিল ১০৩ কোটি ১০ লাখ টাকা।
১টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ২৬টির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে। ১৫টির লেনদেন হয় দর কমে।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ দর বেড়ে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩ টাকা ৩০ পয়সায়, যা আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ২১ টাকা ২০ পয়সায়।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ছিল অ্যাপেক্স ফুডস। ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ২৫৮ টাকা ৫০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ২৩৭ টাকা ৭০ পয়সা।
মনোস্পুলের দর ৮ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়ে ৩৩৩ টাকা ৮০ পয়সায় শেয়ার বেচাকেনা হয়েছে। আগের দিনের সমাপনী দর ছিল ৩০৮ টাকা ৫০ পয়সা।
এ ছাড়া দরবৃদ্ধির দশে ছিল- সোনালী আঁশ, জেনেক্স ইনফোসিস, পেপার প্রসেসিং, কোহিনূর কেমিক্যাল, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বসুন্ধরা পেপার ও তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল।
দরপতনের শীর্ষ ১০
সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ কমে শমরিতা হসপিটালের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৯ টাকা ৩০ পয়সা, যা আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ৯১ টাকা ৯০ পয়সায়।
ইস্টার্ন ক্যাবলসের দর ১১ দশমিক ৪২ শতাংশ কমে ২০৩ টাকা ২০ পয়সায় প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। পূর্বের দর ছিল ২২৯ টাকা ৪০ পয়সা।
৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ দর কমে নাভানা ফার্মার শেয়ার বেচাকেনা হয়েছে ১১২ টাকা ২০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ১২১ টাকা ৮০ পয়সায়।
এ ছাড়াও পতনের তালিকায় শীর্ষ দশের মধ্যে ছিল মালেক স্পিনিং, লুবরেফ বাংলাদেশ, ওরিয়ন ইনফিউশন, মীর আকতার, সি-পার্ল, ইস্টার্ন হাউজিং ও ম্যাকসন স্পিনিং।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মন্তব্য