সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে শুরু হওয়া দরপতনের মধ্যে মঙ্গলবার আশা জাগিয়েও পতনেই লেনদেন শেষ হয়। চতুর্থ কর্মদিবসেও ঘুরে দাঁড়াতে পারল না পুঁজিবাজার।
সূচক পতনের মধ্য দিয়ে বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসইর প্রধান সূচক ৭ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্নে অবস্থান করছে।
ব্রোকারেজ হাউসে চেক জমা দিয়ে নগদায়নের আগে শেয়ার কেনা যাবে না বলে ১১ অক্টোবর বিএসইসির নির্দেশনা জারির পর পুঁজিবাজারে পতন হয়। ৩০ অক্টোবর সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার পর পুঁজিবাজারে কিছুটা উত্থান দেখা যায়।
পরের কর্মদিবস ৩১ অক্টোবরে সূচক ছিল ৬ হাজার ৩০৭ পয়েন্টে। সেখান থেকে ৬ নভেম্বর সূচক বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে। অর্থাৎ এই ৪ কর্মদিবসে সূচকে যোগ হয় ১০৮ পয়েন্ট।
চেক নগদায়ন ইস্যুর শেষ না হতেই বাংলাদেশ সফরে থাকা আইএমএফের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএসইসির বৈঠককে নিয়ে জল ঘোলা হতে থাকে।
আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি পুঁজিবাজারের কোনো রকম বাহ্যিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। ফ্লোর প্রাইস বা শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর স্বাভাবিক বাজারের পরিপন্থি। ফলে বিএসইসির সঙ্গে বৈঠকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়ার জন্য আইএমএফ চাপ দিতে পারে বলে আলোচনা হতে থাকে।
যদিও বিএসইসি থেকে জানানো হয়, আইএমএফের সঙ্গে বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে নেই ফ্লোর প্রাইস। তারপরও সেই উৎকণ্ঠায় বৈঠকের দিন সোমবার সূচকের ২২ পয়েন্ট পতনে লেনদেন হয়।
আইএমএফের সঙ্গে বৈঠকের পর কোনো নেতিবাচক খবর না আসায় মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুটা হয়েছিল আশা জাগানিয়া, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিরাশ করে সূচক ৮ পয়েন্ট হারিয়ে লেনদেন শেষ হয়।
বিশ্লেষকরা জানান, কয়েক দিনের উত্থানের পর কিছুটা প্রফিট টেকিং হচ্ছে, যার ধারাবাহিকতা বজায় থাকল বুধবারও।
৩৩ পয়েন্ট কমে সূচক পতনের মধ্য দিয়ে সংশোধন আরও দীর্ঘ হলো। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩৫০ পয়েন্টে, যা গত ৩১ অক্টোবরের পর সর্বনিম্ন।
ওই দিন থেকে চার কর্মদিবসে ১০৮ পয়েন্ট উত্থানের বিপরীতে গত তিন দিনে সূচক কমল প্রায় ৬৫ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে যতগুলোর দর বেড়েছে, কমেছে তার তিন গুণের বেশি। ৩৪টির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরপতন হয় ১০৪টির। আর ২১৮টির লেনদেন হয় অপরিবর্তিত দরে, যার দুই-একটি ছাড়া সবই রয়েছে ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তরে।
সূচকের সঙ্গে লেনদেনে ভাটা পড়েছে। হাতবদল হয় ১ হাজার ১৮ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে পৌনে ৫০০ কোটি টাকা কম।
গতকাল লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪৯৪ কোটি ৫৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা।
লেনদেনের বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজারে পতন হয়েছে কিছুটা গুজবের জন্য। ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হবে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আর কিছুটা হয়েছে প্রফিট টেকিংয়ের কারণে। কয়েক দিনের উত্থানে যারা লাভ করতে পেরেছেন, তারা মুনাফা তুলে নিচ্ছেন।’
সূচকে প্রভাব যাদের
সবচেয়ে বেশি ৬ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট সূচক কমেছে বেক্সিমকো ফার্মার দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট কমেছে বিকন ফার্মার কারণে। শেয়ারপ্রতি দাম কমেছে ২ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
সি-পার্লের দর ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ২ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট।
এ ছাড়া ওরিয়ন ইনফিউশন, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ, নাভানা ফার্মা, সোনালী পেপার, ইস্টার্ন ক্যাবলস, ইউনিক হোটেল ও ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ২৫ দশমিক ২৯ পয়েন্ট।
বিপরীতে ২ দশমিক ০৩ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে ওরিয়ন ফার্মা। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
বসুন্ধরা পেপারের দর ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট।
কোহিনূর কেমিক্যাল সূচকে যোগ করেছে ১ দশমিক ৭১ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে জেনেক্স ইনফোসিস, মনোস্পুল, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোনালী আঁশ ও প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট।
শীর্ষ ৫ খাত যেমন
আগের দিনের মতোই শীর্ষ রয়েছে প্রযুক্তি খাত। লেনদেন হয়েছে ২১৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যা আগের দিনে ছিল ২০৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
২টি করে কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৮টির দরপতন হয়েছে।
১৭১ কোটি ৩০ লাখ টাকা লেনদেন করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। আগের দিনে লেনদেন ছিল ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৭টির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে, ১১টির দরপতনে।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে কাগজ ও মুদ্রণ খাত। লেনদেন প্রায় অর্ধেক কমেছে খাতটিতে। হাতবদল হয়েছে ৮৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১৫৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
৩টি করে কোম্পানির দরবৃদ্ধি, ১টির অপরিবর্তিত দরে ও ২টির দরপতন হয়েছে।
চতুর্থ স্থানে থাকা বিবিধ খাতে লেনদেন হয়েছে ৭৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। ২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬টির অপরিবর্তিত ও ৪টির দরপতনে লেনদেন হয়েছে।
পঞ্চম স্থানে থাকা প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি ৬০ লাখ, যা গতকাল ছিল ১০৩ কোটি ১০ লাখ টাকা।
১টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ২৬টির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে। ১৫টির লেনদেন হয় দর কমে।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ দর বেড়ে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩ টাকা ৩০ পয়সায়, যা আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ২১ টাকা ২০ পয়সায়।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ছিল অ্যাপেক্স ফুডস। ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ২৫৮ টাকা ৫০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ২৩৭ টাকা ৭০ পয়সা।
মনোস্পুলের দর ৮ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়ে ৩৩৩ টাকা ৮০ পয়সায় শেয়ার বেচাকেনা হয়েছে। আগের দিনের সমাপনী দর ছিল ৩০৮ টাকা ৫০ পয়সা।
এ ছাড়া দরবৃদ্ধির দশে ছিল- সোনালী আঁশ, জেনেক্স ইনফোসিস, পেপার প্রসেসিং, কোহিনূর কেমিক্যাল, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বসুন্ধরা পেপার ও তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল।
দরপতনের শীর্ষ ১০
সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ কমে শমরিতা হসপিটালের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৯ টাকা ৩০ পয়সা, যা আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ৯১ টাকা ৯০ পয়সায়।
ইস্টার্ন ক্যাবলসের দর ১১ দশমিক ৪২ শতাংশ কমে ২০৩ টাকা ২০ পয়সায় প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। পূর্বের দর ছিল ২২৯ টাকা ৪০ পয়সা।
৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ দর কমে নাভানা ফার্মার শেয়ার বেচাকেনা হয়েছে ১১২ টাকা ২০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ১২১ টাকা ৮০ পয়সায়।
এ ছাড়াও পতনের তালিকায় শীর্ষ দশের মধ্যে ছিল মালেক স্পিনিং, লুবরেফ বাংলাদেশ, ওরিয়ন ইনফিউশন, মীর আকতার, সি-পার্ল, ইস্টার্ন হাউজিং ও ম্যাকসন স্পিনিং।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য