পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ২০২২ সালের ৩০ জুনে সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
এর মধ্যে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পাঁচটি কোম্পানি, দুটি কোম্পানি নগদের সঙ্গে বোনাস এবং তিনটি কোম্পানি কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কোম্পানিগুলো হলো ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, স্যালভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন, বঙ্গজ লিমিটেড, মেঘনা সিমেন্ট মিলস, তাল্লু স্পিনিং, গোল্ডেন সন ও মিথুন নিটিং।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে মঙ্গলবার কোম্পানিগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।
নগদ ও বোনাস যাদের
ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস
কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ৪ টাকা এবং ১০ শতাংশ বোনাস বা প্রতি ১০০টি শেয়ারের বিপরীতে ১০টি নতুন শেয়ার দেবে কোম্পানি।
একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯ টাকা ৫০ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮৭ টাকা ৫২ পয়সায়।
লভ্যাংশ পেতে হলে বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিওতে শেয়ার ধারণ করতে হবে আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, কারণ ওই দিন রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এই লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটি বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম করবে ৪ ফেব্রুয়ারি।
মেঘনা সিমেন্ট মিলস
১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ বা শেয়ারপ্রতি ৫০ পয়সা এবং ৫ শতাংশ বোনাস বা ১০০টি শেয়ারের বিপরীতে নতুন আরও পাঁচটি শেয়ার দেবে কোম্পানি।
বছর শেষ কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৯৫ পয়সা। এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৫৭ টাকা ৯০ পয়সায়। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১ ডিসেম্বর। আর তা অনুমোদনের জন্য এজিএম হবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর।
শুধুই নগদ লভ্যাংশ
ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস
এই কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বা শেয়ারপ্রতি ১০ পয়সা দেবে। অর্থবছর শেষে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২২ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৯৮ পয়সায়।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ নভেম্বর। লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য এজিএম হবে আগামী ২২ ডিসেম্বর।
স্যালভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি
কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ শেয়ারপ্রতি ১ টাকা দেবে বিনিয়োগকারীদের। কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৯৮ পয়সা। এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৫৮ পয়সায়। লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ ডিসেম্বর। আর লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য এজিএম হবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর।
সামিট এলায়েন্স পোর্ট
শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ বা প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ১ টাকা ৫০ পয়সা দেবে কোম্পানিটি। এই সময়ে কোম্পানির সমন্বিত ইপিএস, অর্থাৎ সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মিলিয়ে আয় হয়েছে ১ টাকা ১৯ পয়সা। আর সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৩৪ পয়সায়। লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ নভেম্বর। আর তা অনুমোদনের জন্য এজিএম হবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর।
অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন
এই কোম্পানিটিও ১০ শতাংশ নগদ বা শেয়ারপ্রতি ১ টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। বছর শেষে এর ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৬৭ পয়সা। আর এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৫৬ পয়সায়। লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ নভেম্বর। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কোম্পানি এজিএম করবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর।
বঙ্গজ লিমিটেড
বছর শেষে শেয়ারপ্রতি ২৬ পয়সা আয়ের বিপরীতে ৩ শতাংশ নগদ বা শেয়ারপ্রতি ৩০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পর্ষদ। একই সময়ে এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৮৮ পয়সায়। লভ্যাংশের পাওনাদার চূড়ান্ত করতে রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ নভেম্বর। আর তা অনুমোদনের জন্য এজিএম হবে আগামী ২০ ডিসেম্বর।
লভ্যাংশ দেবে না যারা
তাল্লু স্পিনিং
লোকসানে থাকায় বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত এসেছে কোম্পানিটির পর্ষদ থেকে। আলোচিত সময়ে সহযোগী প্রতিষ্ঠানসহ কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ২ পয়সা। আর সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৭৩ পয়সায়। লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ নভেম্বর। শেয়ারহোল্ডারদের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কোম্পানি এজিএম করবে আগামী ২০ ডিসেম্বর।
গোল্ডেন সন
এই কোম্পানিও কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কারণ আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২৯ পয়সা। আর সমন্বিত শেয়ারপ্রতি সম্পদ বা এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৭৪ পয়সায়। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ নভেম্বর। লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদনের কোম্পানির এজিএম হবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর।
মিথুন নিটিং
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর থেকে উৎপাদন বন্ধ থাকায় এই কোম্পানিও কোনো লভ্যাংশ দিতে পারবে না। এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ নভেম্বর। শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে বার্ষিক প্রতিবেদন অনুমোদনের জন্য কোম্পানি এজিএম করবে আগামী ২০ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য