বিদায়ী সপ্তাহের শেষ দুই কর্মদিবসে ফ্লোর প্রাইস থেকে শেয়ারগুলোর বেরিয়ে আসার যে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল, সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববারে তা কিছুটা উবে গেল।
আবারও কিছু শেয়ার যোগ হয়েছে ফ্লোর প্রাইসের তালিকায়। দিনভর উত্থান-পতনের লড়াই শেষে সূচক সামান্য বাড়লেও লেনদেন কমেছে ২০০ কোটির বেশি।
বুধ ও বৃহস্পতিবার ফ্লোর প্রাইসের বেশি বা কম দরে লেনদেন হওয়া কোম্পানির সংখ্যা যেখানে ছিল ১৬৬ ও ১৫৪টি, সেটি আজ কমে হয়েছে ১৫৩টি। একই সঙ্গে ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হওয়া কোম্পানির সংখ্যাও বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার দুই শতাধিক কোম্পানির লেনদেন হয় অপরিবর্তিত দরে, যার দুই-একটি বাদে সবই ফ্লোর প্রাইসে ছিল। সেদিন এমন লেনদেন হয়েছে ২০২টি শেয়ারের। আজ সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৩টিতে।
চেক নগদায়নের আগেও শেয়ার কেনা যাবে বলে বিএসইসি থেকে আদেশ জারি এবং আইএমএফের সঙ্গে বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে ফ্লোর প্রাইস না থাকার বিষয়টি জানানোর ঘটনায় আতঙ্ক কমে বাজার ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের দিকে ফিরবে বলে আশাবাদী হয়ে ওঠেন বিনিয়োগকারীরা।
গত তিন কর্মদিবসে ইতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন হওয়ায় সে আশা আরও জোরালো হয়ে ওঠে, তবে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে কিছুটা উল্টো পথে ছুটল পুঁজিবাজার।
দিনের শুরুতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়, তবে পরের ১০ মিনিটেই আবার আগের অবস্থানে চলে যায়। বেলা ১১টা ২২ মিনিটে সূচকে ২১ পয়েন্ট যোগ হয়। এরপর আবার দরপতনে সূচক পড়লেও আগের দিনের চেয়ে নিচে নামেনি।
এরপর যে উত্থান দেখা দেয়, তাতে দুপুর ১২টা ৫৪ মিনিটে আগের দিনের চেয়ে ২২ পয়েন্ট বেড়ে সূচক দিনের সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৪৩২ পয়েন্টে দাঁড়ায়, তবে সেটিও স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ।
১টা ৪৪ মিনিটে সূচক পতনের আশঙ্কা তৈরি হয়, তবে শেষ মুহূর্তের সমন্বয়ে লেনদেন শেষ হয় ৫ পয়েন্ট বেড়ে। ডিএসইএক্স অবস্থান করে ৬ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে।
বৃহস্পতিবার ২২ কর্মদিবস পর প্রথমবারের মতো লেনদেন ছাড়ায় দেড় হাজার কোটি টাকার ঘর। লেনদেন হয় ১ হাজার ৫১২ কোটি ৪৪ লাখ ৯ হাজার টাকা, যা গত ২ অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ। সেদিন লেনদেন ছিল ১ হাজার ৫৩৩ কোটি ৪০ লাখ ৮১ হাজার টাকা।
সেখান থেকে কমে রোববার হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ২৭৫ কোটি ৩১ লাখ ১২ হাজার টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ২৩৭ কোটি ১২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা কম।
আজ ৬২টি কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন হয়েছে দর বেড়ে। বিপরীতে কমেছে ৯১টির দর।
রোববারের লেনদেন পর্যালোচনা করেই বাজারকে মূল্যায়ন করার বিপক্ষে মত দেন ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আজকের বাজার দেখেই নেগেটিভ ভাব ঠিক হবে না। আগের সপ্তাহেও শেষে দিকে এসে বাজার গতি পেয়েছিল। বুধবার যেসব এ ক্যাটাগরির শেয়ার ক্রয় ছিল সেগুলো আজ ম্যাচিউরড ছিল, সেক্ষেত্রে ওইসব শেয়ারে কিছু প্রফিট ও সেল থাকতে পারে। আরও দুই দিন গেলে তারপর বোঝা যাবে, আসলে ফ্লোর থেকে বের হবে নাকি ফ্লোরের দিকে যাবে।’
সূচকে প্রভাব যাদের
৪ দশমিক ১৯ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৫ দশমিক ৯১ শতাংশ।
বসুন্ধরা পেপারের দর ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৭০ পয়েন্ট।
বেক্সিমকো ফার্মা সূচকে যোগ করেছে ১ দশমিক ১১ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে জেনেক্স ইনফোসিস, ইস্টার্ন হাউজিং, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, পূবালী ব্যাংক, বিকন ফার্মা, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট ও আনোয়ার গ্যালভানাইজিং।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট সূচক কমেছে স্কয়ার ফার্মার দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ দশমিক ২৬ পয়েন্ট কমেছে সি-পার্লের কারণে। শেয়ার প্রতি দাম কমেছে ৬ দশমিক ১৩ শতাংশ।
ওরিয়ন ফার্মার দর ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৮২ পয়েন্ট।
এ ছাড়া ইউনিক হোটেল, বেক্সিমকো লিমিটেড, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, কোহিনূর কেমিক্যাল, মনোস্পুল, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস ও একমি ল্যাবের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৫ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট।
শীর্ষ ৫ খাত যেমন
বৃহস্পতিবার ৫টি খাতের লেনদেন শতকোটি ছাড়িয়েছিল, যার মধ্যে তিনটিতে লেনদেন হয়েছিল দুই শ কোটির ওপরে। রোববার শতকোটির ওপরে লেনদেন হয়েছে ৩টি খাতে, যার দুটিতে ২০০ কোটি ছাড়িয়েছে। আর একটির লেনদেন হয়েছে শতকোটির কাছাকাছি।
শতভাগ কোম্পানির দরবৃদ্ধি পেয়ে লেনদেন হয়েছে একমাত্র জীবন বিমায়। এর বাইরে পাটের ২টি বা ৬৬.৬৭ শতাংশ ও সেবা খাতের ২টি বা ৫০ শতাংশ কোম্পানির দরবৃদ্ধি দেখা গেছে।
সবচেয়ে বেশি অপরিবর্তিত দরে লেনদেন হয়েছে বস্ত্র খাতে, ৪৬টি কোম্পানির। এ ছাড়াও এ তালিকায় ছিল প্রধান খাতের মধ্যে ব্যাংকের ২৮টি, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৮টি, মিউচুয়্যাল ফান্ডের ২৬টি, জ্বালানির ১২টি ও সাধারণ বিমার ১১টি কোম্পানি।
২১১ কোটি ৬১ লাখ টাকা লেনদেন করে শীর্ষে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। আগের দিনে লেনদেন আরও বেশি ছিল, ২২৭ কোটি ৬৭ লাখ। ৬টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৫টির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে, ১০টির দরপতনে।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিবিধ খাত। হাতবদল হয়েছে ২০৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, যা বৃহস্পতিবার ছিল ২৪২ কোটি ২৩ লাখ টাকা। তার আগের দিনে লেনদেন আরও বেশি ছিল, ৩১৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
৪টি করে মোট ১২টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে আগের দরবৃদ্ধি, দরপতন ও অপরিবর্তিত দরে।
১৭৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা লেনদেন করে তৃতীয় স্থানে ছিল প্রযুক্তি খাত। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ২০০ কোটি ২২ লাখ টাকা। ৫টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ২টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে। ৪টি কোম্পানির দরপতন হয়েছে।
চতুর্থ সর্বোচ্চ ৯৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতে। ৪টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ২৩টির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে। ১৫টির লেনদেন হয় দর কমে।
পাঁচে থাকা কাগজ ও মুদ্রণ খাতে হাতবদল হয়েছে ৭৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। ২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে। ৩টির লেনদেন হয়েছে দরপতনে।
জীবন বিমা, সাধারণ বিমা, জ্বালানি, সেবা ও আবাসন ও বস্ত্র খাতে লেনদেন হয়েছে ৭২ থেকে ৫৪ কোটির মধ্যে।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ দর বেড়ে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭ টাকা ৬০ পয়সায়, যা আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ১৬ টাকায়।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ছিল প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স। ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ৮১ টাকা ৬০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ৭৪ টাকা ২০ পয়সা।
জেনেক্স ইনফোসিসের দর ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়ে ৯৬ টাকা ১০ পয়সায় শেয়ার বেচাকেনা হয়েছে। আগের দিনের সমাপনী দর ছিল ৮৭ টাকা ৪০ পয়সা।
এ ছাড়া দরবৃদ্ধির দশে ছিল- বসুন্ধরা পেপার, সিনোবাংলা, বিডি ওয়েল্ডিং, প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ ও পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
দরপতনের শীর্ষ ১০
সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ কমে মনোস্পুলের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩২১ টাকায়, যা আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ৩৪৭ টাকা ৮০ পয়সায়।
হাক্কানিপাল্পের দর ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ কমে ৬৩ টাকা ১০ পয়সায় প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। পূর্বের দর ছিল ৬৮ টাকা ২০ পয়সা।
৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ দর কমে আরএসআরএম স্টিলের শেয়ার বেচাকেনা হয়েছে ১৭ টাকা ৭০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ১৮ টাকা ৮০ পয়সা।
এ ছাড়াও পতনের তালিকায় শীর্ষ দশের মধ্যে ছিল বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, সি-পার্ল, কে অ্যান্ড কিউ, পেনিনসুলা চিটাগং, পেপার প্রসেসিং, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ও রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স।
আরও পড়ুন:তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
মন্তব্য