× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Start trying to break the barrier of the floor?
google_news print-icon

ফ্লোরের ‘বাধা’ ভাঙার চেষ্টা শুরু?

ফ্লোরের-বাধা-ভাঙার-চেষ্টা-শুরু?
এদিন দর বেড়েছে ১১৩টি কোম্পানির, কমেছে ৪১টির। অর্থাৎ ফ্লোরের বেশি দরে লেনদেন হয়েছে মোট ১৫৪টির দর। গত আট কর্মদিবসে ফ্লোরের বেশি দরে লেনদেন হওয়া কোম্পানির এই সংখ্যাটি সর্বোচ্চ। এদিন ফ্লোর প্রাইসে হাতবদল হয়েছে ২১৬ কোম্পানির। ক্রেতা ছিল না ১৯ কোম্পানির। আগের দিন ফ্লোর প্রাইসে হাতবদল হয় ২৩২টি। ক্রেতা ছিল না ৩০টির।

চেক ইস্যুর সমাধানের পর পুঁজিবাজারে সূচক, লেনদেন সবই বৃদ্ধির মধ্যে অস্বস্তি কাটার একটি ইঙ্গিত মিলেছে। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক কোম্পানির শেয়ার এদিনও ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হলেও কিছু কোম্পানি এই বৃত্ত ভেঙে বের হওয়ার চেষ্টা করেছে।

বুধবার দরবৃদ্ধি ও কমেছে এমন কোম্পানির সংখ্যাই কেবল বেশি ছিল না, একটিও শেয়ারও হাতবদল হয়নি, এমন কোম্পানির সংখ্যাও গত আট কর্মদিবসের মধ্যে সবচেয়ে কম ছিল।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে এদিন সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩৫ পয়েন্ট, লেনদেন বেড়েছে ৫৫৮ কোটি টাকারও বেশি। হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ৪৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৫৯ হাজার টাকার, যা আগের দিন ছিল ৯০২ কোটি ৮৩ লাখ ১১ হাজার টাকা।

চেক জমা দিয়ে টাকা নগদায়নের আগে শেয়ার কেনা যাবে না বলে গত ১১ অক্টোবর বিএসইসির নির্দেশনা জারির পরেই কেবল নয়, গত ২৩ কর্মদিবসের মধ্যেই এটি সর্বোচ্চ লেনদেন।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর এর চেয়ে বেশি ১ হাজার ৪৮৪ কোটি ৪৫ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছিল।

চেক নির্দেশনা যে পাল্টাচ্ছে, সেটি গত রোববারই জানিয়েছিলেন বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের সঙ্গে বৈঠকের সময় নির্ধারিত হওয়ার পর সোমবার আতঙ্কে দরপতন হয়।

আইএমএফ ফ্লোর প্রাইস নিয়ে আপত্তি তোলে কি না, এই আতঙ্কে সেদিন পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেনের পতন হয়। যদিও সেদিনই বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম নিশ্চিত করেন আলোচ্যসূচিতে ফ্লোর প্রাইস নেই। পরের দিনই আতঙ্ক থামে।

বিএসইসির চেক নির্দেশনা পাল্টে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিটি আসে মঙ্গলবার। এর পর সব ধরনের সংশয় বা ‍গুঞ্জনের অবসান ঘটে।

গত ২৮ জুলাই সূচক ছয় হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে যাওয়ার পর বিএসইসি করোনাকালের মতোই পতন ঠেকাতে ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয়। পরদিন থেকে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়িয়ে উত্থানে ফেরার ইঙ্গিত দেয়।

তবে করোনাকালের মতো এবারের উত্থান ভারসাম্য মূল্য ছিল না। বড়জোর ৩০টি কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির কারণে সূচক তরতর করে বাড়তে থাকলেও বেশির ভাগ কোম্পানি ফ্লোর প্রাইসেই গড়াগড়ি খেতে থাকে।

এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা যত বাড়ে, ফ্লোরের কোম্পানির সংখ্যা তত বেশি বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে সংখ্যাটি ছাড়িয়ে যায় পৌনে তিন শ।

এই তালিকায় উঠে আসে বহুজাতিক ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, গ্রামীণফোন, রেকিট বেনকিনজার, স্কয়ার ফার্মা, স্কয়ার টেক্সটাইল, ইউনাইটেড পাওয়ার, ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক, আইডিএলসি, ডিবিএইচ, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা অয়েলের মতো শক্তিশালী মৌল ভিত্তির কোম্পানি। এমনকি বেক্সিমকো লিমিটেডও আগের বছরের চেয়ে দ্বিগুণ আয় করার তথ্য জানিয়ে শেয়ারপ্রতি ৫০ পয়সা লভ্যাংশ কম দেয়ার সিদ্ধান্ত জানানোর পর নেমে আসে ফ্লোর প্রাইসে।

এসব কোম্পানির মধ্যে বেক্সিমকো ও স্কয়ার ফার্মা এই বৃত্ত ভেঙেছে।

আগের দিন ফ্লোরে লেনদেন হওয়া বেক্সিমকো লিমিটেডে কেবল আট কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। ফ্লোর ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর লেনদেন লাফ দিয়ে হয়েছে ১৯৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

ফ্লোরের ‘বাধা’ ভাঙার চেষ্টা শুরু?
বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণার পরও ফ্লোরে পড়ে থাকা স্কয়ার ফার্মাও বের হয়েছে এই বাধা থেকে। শেয়ারদর এক টাকা বাড়লেও এটি স্বস্তিকর এই কারণে যে গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে একটি দরেই হাতবদল হচ্ছিল শেয়ারটি।

এদিন ফ্লোর থেকে বের হয়েছে যেসব কোম্পানির শেয়ার তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিমা খাতের। এই খাতটিতে দারুণ দিন গেছে।

সাধারণ বিমার ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩৮টির। আর আগের দিনের দরে লেনদেন হয়েছে চারটি। দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশে ছিল এই খাতের চারটি কোম্পানি। জীবনবিমা খাতে নতুন তালিকাভুক্ত একটি কোম্পানিও ছিল।

আগের দিনের মতোই চাঙা ছিল তথ্যপ্রযুক্তি খাতও। এই খাতের ১১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৯টির। কমেছে একটির আর একটির দর ছিল অপরিবর্তিত।

মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই দিন থেকে মার্কেট আপওয়ার্ড ট্রেন্ডে আছে। আমার মনে হয় এর কারণ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বায় করছে।’

তিনি যোগ করেন, ‘চেক নগদায়ন ও আইএমএফ ইস্যু ছিল, কিন্তু সেটা মেজর ইস্যু নয়। আমাদের মার্কেটে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা বেশি প্রভাব ফেলতে পারে না। ফলে প্রাতিষ্ঠানিকরা শেয়ার না কিনলে ট্রানজেকশন কমে যায়। যেহেতু বেশিরভাগ শেয়ার ফ্লোরে হয়তো তারা চিন্তা করছেন এখন কেনা দরকার, কিনছেন। শেয়ারগুলো ফ্লোর থেকে বের হচ্ছে, যার কারণে সূচক ও ট্রানজেকশন বাড়ছে।’

ফ্লোরের বাইরে কত কোম্পানি

এদিন দর বেড়েছে ১১৩টি কোম্পানির, কমেছে ৪১টির। অর্থাৎ ফ্লোরের বেশি দরে লেনদেন হয়েছে মোট ১৫৪টির দর। ফ্লোর প্রাইসে হাতবদল হয়েছে ২১৬ কোম্পানির। ক্রেতা ছিল না ১৯ কোম্পানির।

আগের দিন মঙ্গলবার ১১৬টি কোম্পানির দর বেড়েছিল, কমেছিল ১১টির। অর্থাৎ ফ্লোরের চেয়ে বেশি দরে হাতবদল হয় ১২৭টির। ফ্লোর প্রাইসে হাতবদল হয় ২৩২টি। ক্রেতা ছিল না ৩০টির।

বিএসইসির সঙ্গে আইএমএফের বৈঠকের সময় নির্ধারিত হওয়ার পর আগের দিন সোমবার ফ্লোর প্রাইসের বেশি দরে হাতবদল হওয়া কোম্পানির সংখ্যাটি ছিল ১১৫টি। সেদিন দর বাড়ে ২৯টি কোম্পানির, কমে ৮৬টির। সেদিন ক্রেতা ছিল না ৪২টির।

সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার সার্কিট ব্রেকার তুলে দেয়া-সংক্রান্ত ভুলে দুই ঘণ্টা দেরিতে লেনদেন শুরু হওয়ার পর দর বাড়ে ৪৪টির, কমে ৯১টির। অর্থাৎ ফ্লোরের চেয়ে বেশি দরে হাতবদল হয় ১৩৫টি কোম্পানি। ক্রেতা ছিল না ২৩টির।

গত বৃহস্পতিবার ফ্লোরের বেশি দরে লেনদেন হয়েছে, এমন কোম্পানির সংখ্যা ছিল ১৩২। সেদিন সূচক বাড়ার পাশাপাশি দর বাড়ে ৭৩টি কোম্পানির, হারায় ৫৯টি। সেদিন ফ্লোর প্রাইসে হাতবদল হয় ২৩১টির শেয়ার। অর্থাৎ ক্রেতা ছিল না ২৬টি কোম্পানির শেয়ারের।

তার আগের দিন ২৬ অক্টোবর দর বাড়ে ৭১টি কোম্পানির, হারায় ৪৬টি। ফ্লোরের বেশি দরে হাতবদল হয় ১১৭টি কোম্পানির। ফ্লোর প্রাইসে হাতবদল হয় ২১৯ কোম্পানির শেয়ার, ক্রেতা ছিল না ৫৩টির।

২৫ অক্টোবরও কোম্পানির সংখ্যা ছিল একই সমান। সেদিন দর বাড়ে ২১টির, কমে ৮৬টির। সেদিন ফ্লোর প্রাইসে হাতবদল হয় ২১৯ কোম্পানির শেয়ার। ক্রেতা ছিল না ৩৫টির।

ফ্লোরে থাকা কোম্পানিগুলোতেও লেনদেন বেশি হয়েছে। আগের দিন ২৩২টি কোম্পানিতে ৫৩ কোটি টাকা লেনদেন হলেও এদিন ২১৬ কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে ৯২ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

সূচকে প্রভাব যাদের

সবচেয়ে বেশি ৭ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ।

বসুন্ধরা পেপারের দর ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট।

ইস্টার্ন হাউজিং সূচকে যোগ করেছে ২ দশমিক ০৬ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে নাভানা ফার্মা, বেক্সিমকো লিমিটেড, জেনেক্স ইনফোসিস, স্কয়ার ফার্মা, এডিএন টেলিকম, কোহিনূর কেমিক্যাল ও জেএমআই হসপিটাল।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট।

বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ৩ দশমিক ৪০ পয়েন্ট সূচক কমেছে বিকন ফার্মার দরপতনে। প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ২ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৯৮ পয়েন্ট কমেছে আইপিডিসি ফাইন্যান্সের কারণে। শেয়ার প্রতি দাম কমেছে ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

ইউনিক হোটেলের দর ২ দশমিক ২০ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৮৩ পয়েন্ট।

এ ছাড়া জেএমআই সিরিঞ্জেস, সি-পার্ল, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ডোরিন পাওয়ার, ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং, মীর আকতার ও তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের দরপতনে সূচক কমেছে।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৮ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে সেরা বিবিধ খাত

৬টি খাতে শতকোটির ওপরে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে একটির লেনদেন তিন শ কোটি ছাড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশি দরবৃদ্ধি দেখা গেছে সাধারণ বিমা খাতে। আর বস্ত্র খাত সবেচেয়ে বেশি ৫১টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে।

আগের দিন লেনদেনে বড় লাফ দিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছিল প্রযুক্তি খাত। বুধবার চারগুণ লেনদেন বেড়ে শীর্ষে উঠে এসেছে বিবিধ খাত, যা আগের দিন তৃতীয় স্থানে ছিল। হাতবদল হয়েছে ৩১৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৭৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। তার আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ৮০ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

৪টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৭টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে। দরপতন হয়েছে ২টির।

আগের দিন শীর্ষ থাকা প্রযুক্তি খাত দ্বিতীয় স্থানে নেমে এসেছে। লেনদেন হয়েছে ১৮৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা। গত দুই সপ্তাহে থেকে খাতটিতে ভালো লেনদেন হতে দেখা যাচ্ছে। সোমবার ৯৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন করে তৃতীয় স্থানে ছিল, সেখান থেকে মঙ্গলবার ১৫৪ কোটি টাকা লেনদনে করে শীর্ষে ছিল।

৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে একটির করে কোম্পানির লেনদেন হয়েছে আগের দরে এবং দর হারিয়ে।

তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। হাতবদল হয়েছে ১৭৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা গতকাল ছিল ১৩৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ৬টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৬টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে। আর দরপতন হয়েছে ১০টির।

শত কোটি টাকার বেশি লেনদেন বেড়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে সাধারণ বিমা খাত। হাতবদল হয়েছে ১৬১ কোটি ৯০ লাখ টাকার, যা আগের দিন ছিল ৪৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

৩৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৪টির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে।

১১৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা লেনদেন করে পঞ্চম স্থানে থাকা প্রকৌশল খাতের ১০টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি, ২৩টির অপরিবর্তিত ও ৯টির লেনদেন হয়েছে দরপতনে।

এরপরেই কাগজ ও মুদ্রণ খাতে ১০৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি, একটির অপরিবর্তিত ও দুটির লেনদনে হয়েছে দর কমে।

সেবা ও আবাসন খাতে লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা, যা আগে দিন ছিল ৪২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

খাতটিতে তিনটি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে একটির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে।

জ্বালানি খাতে ৫৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা ছাড়া বাকি খাতের লেনদেন ছিল ৫০ কোটির নিচে। বাকি খাতের মধ্যে দরবৃদ্ধির হার বেশি ছিল জীবন বিমায়, ১১টি বা ৮৪ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়ে লেনদেন হয়েছে।

অন্যদিকে ব্যাংকের ২৮টি, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৫টি, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২৬টির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে।

দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০

শীর্ষ দশের একটির ১০ শতাংশ ও বাকি সবকটি কোম্পানির দর বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি। এ ছাড়াও ২০টির বেশি কোম্পানির দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ সীমার কাছাকাছি।

সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ দর বেড়ে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪২ টাকা ৯০ পয়সায়, যা আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ৩৯ টাকায়।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিডি ওয়েল্ডিং। শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ২৬ টাকা ৫০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ২৪ টাকা ১০ পয়সা।

লুব-রেফ বাংলাদেশের দর ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়ে শেয়ারটি ৪৩ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে ৪৭ টাকা ৬০ পয়সা বেচাকেনা হয়েছে।

এ ছাড়া তালিকায় ছিল- নাভানা ফার্মা, জেনেক্স ইনফোসিস, ইস্টার্ন হাউজিং, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স।

দরপতনের শীর্ষ ১০

সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ১০ শতাংশ কমে জেএমআই সিরিঞ্জেসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৫৮ টাকা ৬০ পয়সায়। আগের দিনে দর ছিল ৩৭৭ টাকা ৯০ পয়সা।

অ্যারামিট ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৫ দশমিক ০৬ শতাংশ কমে ৩১৩ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। যার দর ছিল ৩২৯ টাকা ৯০ পয়সা।

৪ দশমিক ৫০ শতাংশ দর কমে হাক্কানি পাল্পের শেয়ার বেচাকেনা হয়েছে ৭০ টাকায়। আগের দিনের দর ছিল ৭৩ টাকা ৩০ পয়সা।

শীর্ষ দশের মধ্যে ছিল ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং কোম্পানি, অ্যাপেক্স ফুডস, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ফার্মা এইডস, রংপুর ফাউন্ড্রি, বিডি ল্যাম্পস ও বিকন ফার্মা।

আরও পড়ুন:
মুনাফায় ফিরে লভ্যাংশ বাড়াল ক্রেতাহীন শেফার্ড
লভ্যাংশ কমাল উড়তে থাকা বসুন্ধরা পেপার
মতিন স্পিনিংয়ের দুর্দান্ত বছর, সর্বোচ্চ লভ্যাংশ
আয়-লভ্যাংশে স্কয়ার টেক্সটাইলের চমক
স্কয়ার ফার্মার ইতিহাসে সর্বোচ্চ নগদ লভ্যাংশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
With the beginning of the transaction starting in the first hour of the capital market

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।

এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market With the fall of transactions in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।

বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।

লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।

এই সম‌য়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯‌টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২‌টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, ‌সেখা‌নে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।

চট্টগ্রা‌মে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩‌টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬‌টির, কমেছে ৪৪‌টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market Most companies have decreased major collapse in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।

২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।

৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Transaction in Dhaka is going on in Chittagong

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।

এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।

সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।

দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

মন্তব্য

p
উপরে