× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
The lowest remittance in 8 months is falling to 34 billion in reserves
google_news print-icon

৮ মাসে সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স, ৩৪ বিলিয়নে নামছে রিজার্ভ

৮-মাসে-সবচেয়ে-কম-রেমিট্যান্স-৩৪-বিলিয়নে-নামছে-রিজার্ভ
গত বছরের অক্টোবরে ১৬৪ কোটি ৬৯ লাখ (১.৬৪ বিলিয়ন) ডলার এসেছিল। আগের মাস সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৪ কোটি ডলার। এ হিসাবে গত বছরের অক্টোবরের চেয়ে এই অক্টোবরে ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ রেমিট্যান্স কম এসেছে।

সেপ্টেম্বরের মতো সদ্য শেষ হওয়া অক্টোবর মাসেও বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স কমেছে। এ মাসে ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ (১.৫২ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত আট মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম।

গত বছরের অক্টোবরে ১৬৪ কোটি ৬৯ লাখ (১.৬৪ বিলিয়ন) ডলার এসেছিল। আগের মাস সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৪ কোটি ডলার। এ হিসাবে গত বছরের অক্টোবরের চেয়ে এই অক্টোবরে ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ রেমিট্যান্স কম এসেছে। আর সেপ্টেম্বরের চেয়ে কম এসেছে ১ শতাংশের মতো।

গত ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ৪৪ লাখ (১.৪৯ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এর পর আট মাস পর সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স আসলো অক্টোবরে।

অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক কমায় রিজার্ভ নেমেছে ৩৬ বিলিয়ন ডলারের নিচে। মঙ্গলবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৫ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। আগামী সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের মতো আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ নেমে আসবে ৩৪ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে।

গত বছরের আগস্টে এই রিজার্ভ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। এক বছর আগে ২৭ অক্টোবর রিজার্ভ ছিল ৪৬ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার।

৮ মাসে সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স, ৩৪ বিলিয়নে নামছে রিজার্ভ

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি করে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। জুলাইয়ে এসেছিল ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার; যা ছিল আগের ১৪ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর গত বছরের জুলাইয়ের চেয়ে বেশি ছিল ১২ শতাংশ।

আগস্টে আসে ২ দশমিক শূন্য চার বিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ। ওই দুই মাসে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ৪ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে যা ছিল ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ বেশি।

তবে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম চার মাসের (জুলাই-অক্টোবর) হিসাবে রেমিট্যান্স প্রবাহে এখনও প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। এই চার মাসে ৭২০ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ বেশি।

গত অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে ৭০৫ কোটি ৫২ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে মন্দা দেখা দেয়। পুরো অর্থবছরে ২ হাজার ১০৩ কোটি (২১.০৩ বিলিয়ন) ডলার এসেছিল। আগের অর্থবছরের (২০২০-২১) চেয়ে কমেছিল ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ। তবে চলতি অর্থবছরে ঘুরে দাঁড়ায় অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক। শুরু থেকেই ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা যাচ্ছিল। তবে সেপ্টেম্বর থেকে ফের হোঁচট খেয়েছে।

২০২০-২১ অর্থবছরে করোনা মহামারির মধ্যেও অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল আগের অর্থবছরের (২০১৯-২০) চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২২-২৩ অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে আশা করা হয়েছে, রেমিট্যান্স ঊর্ধ্বমুখী হবে এবং চলতি অর্থবছরে গত বছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি আসবে।

প্রকৃত রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি

রিজার্ভের এই হিসাব নিয়ে প্রশ্ন আছে। বেশ কিছুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের যে তথ্য প্রকাশ করছে, তা থেকে প্রকৃত রিজার্ভ ৮ বিলিয়ন ডলার কম।

সংকট মোকবিলায় সরকার আইএমএফের কাছে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের যে ঋণ চেয়েছে, তা নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনার জন্য আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল এখন ঢাকায়। ইতোমধ্যে গভর্নরসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। বৈঠকে রিজার্ভের হিসাবায়নে মোট রিজার্ভ ও প্রকৃত রিজার্ভকে নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করার কথা বলা হয়। রিজার্ভ থেকে কোন কোন বিনিয়োগকে বাদ দিয়ে প্রকৃত রিজার্ভ হিসাব করতে হবে, তা-ও আবার স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

৮ মাসে সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স, ৩৪ বিলিয়নে নামছে রিজার্ভ

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে রিজার্ভের প্রকৃত হিসাব নিয়ে। আইএমএফ বলছে, ভুল শ্রেণিকরণের কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের আকার বড় হয়েছে বলে দাবি করে আইএমএফ।

২০২১ সালে আইএমএফ বলেছিল, চলতি বছরের জুনের শেষ দিকে বাংলাদেশে ৪৬ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ থাকার যে কথা বলা হয়েছিল, তা আসলে ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে বলা হয়েছে। রিজার্ভবহির্ভূত সম্পদ অন্তর্ভুক্ত করে রিজার্ভ ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এবার ঋণ নিয়ে আলোচনা করতে এসে আইএমএফ কর্মকর্তারা বেশ জোরালোভাবেই এ বিষয়টি তুলে ধরে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে এক ধরনের শর্ত হিসেবেই যুক্ত করে দিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক এতে সম্মত হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে এখন থেকে আইএমএফের কাছে তথ্য পাঠানোর সময় প্রকৃত রিজার্ভের তথ্য পাঠানো হবে।

এক বছর আগেও দেশে রিজার্ভ ছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের (৪৮ বিলিয়ন) বেশি। আমদানি খরচ বাড়ায় যা এখন কমে হয়েছে ৩ হাজার ৫৮৫ কোটি (৩৫.৮৫ বিলিয়ন) ডলার। রিজার্ভ থেকে ৭ বিলিয়ন দিয়ে গঠন করা হয়েছে রপ্তানিকারকদের জন্য রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ)।

আবার রিজার্ভের অর্থ দিয়ে গঠন করা হয়েছে লং টার্ম ফান্ড (এলটিএফ) ও গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ)। বাংলাদেশ বিমানকে উড়োজাহাজ কিনতে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে রিজার্ভ থেকে ঋণ দেয়া হয়েছে। আবার পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের খনন কর্মসূচিতেও রিজার্ভ থেকে অর্থ দেয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কাকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দেয়া হয়েছে। এসব খাতে সব মিলিয়ে ব্যবহৃত হয়েছে ৮ বিলিয়ন ডলার।

আইএমএফ বলছে, এসব বিনিয়োগকে বাদ দিয়ে রিজার্ভের প্রকৃত হিসাব করতে হবে। কারণ রিজার্ভের এসব অর্থ চাইলেই ফেরত পাওয়া যাবে না। জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবে না। আইএমএফের শর্ত মানলে বর্তমানে রিজার্ভ কমে হয় ২৭ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। আর চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর তা নেমে আসবে ২৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে। সেপ্টেম্বরে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। সেই হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী একটি দেশের কমপক্ষে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ রিজার্ভ থাকতে হয়। সে বিবেচনায় বেশ অস্বস্তিতে আছে বাংলাদেশ।

তবে আশার কথা, ডিসেম্বরের মধ্যে আইএমএফের ঋণের সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রথম কিস্তির দেড় বিলিয়ন ডলার পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ঋণ পাওয়া গেলে সংকট কিছুটা হলেও কেটে যাবে বলে মনে করছেন অর্থনীতির গবেষক দীর্ঘদিন আইএমএফের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করা আহসান এইচ মনসুর।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আইএমএফের মূল কাজ হচ্ছে ক্রাইসিস ঠেকানো। সংস্থাটির এই ঋণ একটি আস্থার সৃষ্টি করবে। বিশ্বব্যাংক তখন পাশে থাকবে। তারা ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার কম সুদের যে ঋণ দিতে চাচ্ছে, সেটা দ্রুত দিয়ে দেবে।

‘এডিবি এগিয়ে আসবে। জাইকা আসবে। সবাই এগিয়ে আসবে। তখন তারা সবাই তাদের সাপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে আসবে। রিজার্ভ বাড়বে; সরকার সাহস পাবে। আর সেই সাহসের ওপর ভর করে করোনা মহামারির মতো এই সংকটও মোকাবিলা করতে পারবে।’

আরও পড়ুন:
আড়াই মাসেই ৫ বিলিয়ন রেমিট্যান্স
ডলারের চাপ সামাল দিচ্ছে বিপুল রেমিট্যান্স
রেমিট্যান্স ২ বিলিয়ন ছাড়াচ্ছে আগস্টেও
ইউরোপে বাংলাদেশের পোশাকের দাপট
দেড় মাসেই ৩১ হাজার কোটি টাকা পাঠালেন প্রবাসীরা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Millionaire accounts reduced due to political change Bangladesh Bank

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে কমেছে কোটিপতি অ্যাকাউন্ট: বাংলাদেশ ব্যাংক

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে কমেছে কোটিপতি অ্যাকাউন্ট: বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের গেটে প্রতিষ্ঠানটির লোগো। ফাইল ছবি
অর্থনীতিবিদরা সাম্প্রতিক উত্তোলনের জন্য রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ক্ষুদ্র আমানতকারীদের মধ্যে আতঙ্ককে দায়ী করেন।

চলতি বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ব্যাংক ব্যবস্থায় এক কোটি বা তার বেশি টাকার হিসাবধারীর সংখ্যা কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের জুলাই-সেপ্টেম্বর তিন মাসের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্তত ২৬ হাজার কোটিপতি এক কোটি টাকার বেশি অর্থ উত্তোলন করেছেন।

এসব টাকা উত্তোলনের কারণে ব্যাংক হিসাবের ব্যালেন্স কোটি টাকার নিচে নেমেছে দেড় হাজারের বেশি মানুষের।

দেশে প্রকৃত কোটিপতির সঠিক সংখ্যা অনিশ্চিত থাকলেও ব্যাংকে কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা থেকে একটি আনুমানিক সংখ্যা বলা যেতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকে এসব অ্যাকাউন্ট উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৭৫ সালে এক কোটি টাকার বেশি হিসাব ছিল মাত্র ৪৭টি।

২০১৫ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৭ হাজার ৫১৬ জনে। ২০২০ সালের মার্চে কোভিড-১৯ মহামারির শুরুতে এ ধরনের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৬২৫টি, যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজারে।

অর্থনীতিবিদরা সাম্প্রতিক উত্তোলনের জন্য রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ক্ষুদ্র আমানতকারীদের মধ্যে আতঙ্ককে দায়ী করেন।

তাদের মতে, দুর্বল ব্যাংকগুলো কোটিপতিদের বড় অঙ্কের অর্থ বিতরণ করতে হিমশিম খায়। এর ফলে অনেকে তাদের মূলধন শক্তিশালী ব্যাংকে স্থানান্তর করতে বাধ্য হয়।

ফলে শক্তিশালী ব্যাংকগুলোতে একক হিসাবে একীভূত তহবিল এক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এই প্রবণতার ভিত্তিতে এক কোটি টাকা বা তদূর্ধ্ব হিসাবের সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করা হয়েছিল, কিন্তু প্রত্যাশার বিপরীতে সংখ্যাটা কমেছে।

আরও পড়ুন:
তারল্য সংকট: টাকা উত্তোলনে ভোগান্তিতে ৬ ব্যাংকের গ্রাহক
অনলাইনে আয়কর পরিশোধে চার্জ নির্ধারণ
ক্রিকেটার সাকিবের ব্যাংক হিসাব জব্দ
প্রয়োজন ছাড়া ব্যাংক থেকে টাকা না তোলার আহ্বান
এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি নিলামে

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Mujibheens new design notes are coming in June

মুজিবহীন নতুন নকশার নোট আসছে জুনের মধ্যে

মুজিবহীন নতুন নকশার নোট আসছে জুনের মধ্যে
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, নোটের নকশায় পরিবর্তন আসছে। নতুন নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের আইকনিক প্রতিকৃতি না-ও থাকতে পারে। বরং তাতে বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক বা জুলাই বিপ্লবের দেয়ালচিত্র থাকতে পারে।

বহুল আলোচিত বাংলাদেশি ২০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০০ টাকা ও এক হাজার টাকা মূল্যমানের নতুন নোট আগামী ছয় মাসের মধ্যে বাজারে আসবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক এই তথ্য প্রকাশ করার পর আসন্ন নোটের নকশার উপাদান নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘নতুন নোট আসা নিশ্চিত। তবে নকশার সঠিক উপাদানগুলো নিশ্চিত করার সময় এখনও আসেনি।’

মুজিব থাকছে কিনা?

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো নোটের নকশায় সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। নতুন নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের আইকনিক প্রতিকৃতি আর নাও থাকতে পারে বলে ধারণা তাদের।

ধারণা করা হচ্ছে, নতুন মুদ্রায় বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক বা জুলাই বিপ্লবের দেয়ালচিত্র থাকতে পারে, যা একটি স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক মূল্যবোধকে তুলে ধরবে।

তারা বলেন, সরকার নতুন নোট মুদ্রণের অনুমোদন দিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ করার পর ছয় মাসের মধ্যে সেগুলোর প্রচলন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নকশা সংস্কার

সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত অন্তর্দৃষ্টি থেকে বোঝা যায় যে, প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো বাংলাদেশের ব্যাংক নোটের দৃশ্যমান পরিচয়কে নতুন আকার দিতে প্রস্তুত।

এটি যদি বাস্তবায়ন হয়, তবে নকশাগুলোতে শেখ মুজিবুর রহমানের স্থলে ধর্মীয় স্থান, ঐতিহ্যবাহী বাংলা মোটিফ এবং কৌতূহলের জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতির উদ্দীপক চিত্র স্থান পাবে।

এই পুনর্বিন্যাসটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গোটা সম্প্রদায় থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি পর্যায়ক্রমে বাদ দেয়ার বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ।

এই মাসে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে, আগামী বছরের জুনের মধ্যে এই নোটগুলো প্রচলনের পরিকল্পনা রয়েছে।

উত্তরাধিকারের রূপান্তর

বাংলাদেশে ২ টাকা থেকে ১০০০ টাকা মূল্যমানের প্রতিটি কাগজের নোটে বর্তমানে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি এবং নোটের উভয় পাশে তার প্রতিকৃতি রয়েছে।

এমনকি ধাতব মুদ্রাতেও তার ছবি রয়েছে। এটি তার স্থায়ী উত্তরাধিকারকে তুলে ধরে। নতুন নোট চালু করা হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক জনগণকে আশ্বস্ত করেছে যে, বাজারে বিদ্যমান সব মুদ্রার প্রচলন থাকবে।

আসন্ন নোটগুলো বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে একটি নতুন আখ্যানের সঙ্গে একত্রিত করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এটি দেশের এগিয়ে যাওয়ার যাত্রাকে তুলে ধরে।

আরও পড়ুন:
ব্যাংকগুলোকে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা
মুডি’র সিদ্ধান্তে অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রতিফলন নেই: বাংলাদেশ ব্যাংক
অনলাইনে আয়কর পরিশোধে চার্জ নির্ধারণ
প্রয়োজন ছাড়া ব্যাংক থেকে টাকা না তোলার আহ্বান
ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Liquidity assistance of Tk 225 thousand crores to banks

ব্যাংকগুলোকে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা

ব্যাংকগুলোকে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা
টাকা না ছাপানোর সিদ্ধান্ত থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক সাময়িকভাবে সরে এসেছে স্বীকার করে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এবং আর্থিক প্রবাহ বজায় রাখার জন্য সাময়িকভাবে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কঠোর আর্থিক নীতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্যাংকে গ্রাহকদের সব আমানত সুরক্ষিত রয়েছে।’

নগদ অর্থের সংকটে পড়া দেশের কয়েকটি ব্যাংককে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সদর দপ্তরের জাহাঙ্গীর আলম সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই পদক্ষেপের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করেন গভর্নর।

ব্যাংকিং খাতে তারল্য বাড়াতে টাকা না ছাপানোর সিদ্ধান্ত থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক সাময়িকভাবে সরে এসেছে বলে স্বীকার করেন ড. মনসুর।

তিনি বলেন, ‘ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এবং আর্থিক প্রবাহ বজায় রাখার জন্য সাময়িকভাবে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কঠোর আর্থিক নীতি অপরিবর্তিত রয়েছে এবং বাজারে অতিরিক্ত তারল্য কমানোর জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

নতুনভাবে সংযোজন করা তহবিলের সম্ভাব্য অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগের বিষয়ে গভর্নর ড. মনসুর বলেন, ‘বর্তমান পদক্ষেপগুলো সাম্প্রতিক অতীতের পুনরাবৃত্তি নয়। সে সময় অর্থ মুদ্রণের ফলে অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। চুরির সুযোগ দূর করে স্বচ্ছ ও নিরাপদে তহবিল বরাদ্দের বিষয়টি এবার নিশ্চিত করেছি আমরা।’

আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির ওপরও জোর দেন গভর্নর। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ব্যাংকে প্রত্যেক মানুষের আমানত নিরাপদ ও সুরক্ষিত। আমানতকারীদের আস্থা ধরে রাখতে অবিরাম প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’

ড. মনসুর বলেন, ‘ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থের সাময়িক ঘাটতি মেটাতে গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় অর্থ উত্তোলনের সুযোগ করে দিতে তারল্য সহায়তা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ সহায়তা সহজতর করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের অস্থায়ী প্রয়োজন মেটাতে সাময়িকভাবে অর্থ মুদ্রণ করবে।’

ব্যাংকে সব আমানত সুরক্ষিত রয়েছে বলে জনগণকে আশ্বস্ত করেন গভর্নর। একইসঙ্গে জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়া বা অযথা অর্থ উত্তোলন না করার আহ্বান জানান তিনি।

বাজারে প্রবর্তিত অতিরিক্ত তারল্য মুদ্রাস্ফীতির চাপ রোধে বিভিন্ন ধরনের বন্ডের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।

আরও পড়ুন:
মুডি’র সিদ্ধান্তে অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রতিফলন নেই: বাংলাদেশ ব্যাংক
তারল্য সহায়তা পেল আরও তিন ব্যাংক
প্রয়োজন ছাড়া ব্যাংক থেকে টাকা না তোলার আহ্বান
ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা
নীতি সুদ হার আবারও বাড়িয়ে ১০ শতাংশে পুনর্নির্ধারণ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
ADBs new president is Masato Kanda

এডিবির নতুন প্রেসিডেন্ট মাসাতো কান্ডা

এডিবির নতুন প্রেসিডেন্ট মাসাতো কান্ডা এডিবির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসাতো কান্ডা। ছবি: ইউএনবি
এডিবির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কান্ডা ২০২৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং ২০২৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তার মেয়াদ শেষ হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) পরিচালনা পর্ষদ সর্বসম্মতিক্রমে মাসাতো কান্ডাকে এডিবির ১১তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে।

ম্যানিলাভিক্তিক ঋণদাতা সংস্থাটি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়।

মাসাতসুগু আসাকাওয়ার স্থলাভিষিক্ত হওয়া ৫৯ বছর বয়সী কান্ডা বর্তমানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এডিবির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কান্ডা ২০২৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং ২০২৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তার মেয়াদ শেষ হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

প্রেসিডেন্ট আসাকাওয়ার ২০২৬ সালের ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত অসমাপ্ত মেয়াদেও দায়িত্ব পালন করবেন কান্ডা।

এডিবির বোর্ড অফ গভর্নরসের চেয়ারম্যান ও ব্যাংক অফ ইতালির গভর্নর ফ্যাবিও প্যানেট্টা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে কান্ডার ব্যাপক অভিজ্ঞতা এবং বহুপাক্ষিক পরিবেশে দক্ষ নেতৃত্ব এডিবিকে জটিল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারে সহায়তা করবে।’

তিনি বলেন, ‘এডিবির বোর্ড অফ গভর্নরস কান্ডার সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছে।’

প্রায় চার দশকের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কান্ডা জাপানের অর্থ মন্ত্রণালয়ে আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

আর্থিক খাতের নীতি এবং ম্যাক্রো-রাজস্ব নীতিতে তার ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে।

তিনি আর্থিক পরিষেবা সংস্থার ডেপুটি কমিশনার, বাজেট ব্যুরোর উপমহাপরিচালক এবং নীতি পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের উপসহকারী মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি শিক্ষা ও বিজ্ঞান নীতির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের ক্ষেত্রেও শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ।

বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকের (এমডিবি) বিবর্তন, মহামারি প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া এবং ঋণের স্থায়িত্ব এবং স্বচ্ছতার মতো মূল নীতিগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কান্ডা জি-৭, জি-২০ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে সক্রিয়ভাবে জড়িত।

আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপমন্ত্রী থাকাকালীন জাপান এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের ১৩তম পুনঃপূরণে ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি রেকর্ড অবদান রেখেছিল।

কান্ডা ২০১৬ সাল থেকে ওইসিডি করপোরেট গভর্ন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৩ সালে করপোরেট গভর্ন্যান্সের জি২০/ওইসিডি নীতিমালা পর্যালোচনার তত্ত্বাবধান করেন তিনি।

এমডিবিতে কৌশলগত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণেও তার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি বিশ্বব্যাংকে জাপানের অল্টারনেট এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

কান্ডা ১৯৮৭ সালে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক এবং ১৯৯১ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন।

আরও পড়ুন:
আগামী অর্থবছর বাংলাদেশের জন্য ভালো বছর হবে
রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ২৬.১ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি
৩ প্রকল্পে ৬২৭০ কোটি টাকা দিচ্ছে এডিবি, চুক্তি সই
এনভয় টেক্সটাইলকে ১১৮ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এডিবি
এডিবির ঋণ নিয়েও আসছে সুখবর

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
On November 23 remittances reached 1726 million dollars

নভেম্বরের ২৩ দিনে রেমিট্যান্স ১৭২ কোটি ৬০ লাখ ডলার

নভেম্বরের ২৩ দিনে রেমিট্যান্স ১৭২ কোটি ৬০ লাখ ডলার
আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ওই মাসে রেমিট্যান্স আসে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বরে আসে ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার এবং অক্টোবরে তা সামান্য কমে দাঁড়ায় ২৩৯ কোটি ৫১ লাখ ডলার।

চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম ২৩ দিনে দেশে ১৭২ কোটি ৬০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। সে হিসাবে, প্রতিদিন গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথে এমনটা জানানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি নভেম্বরের প্রথম ২৩ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৪ কোটি ডলার। তবে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে সবচেয়ে বেশি, ৯৫ কোটি ১০ লাখ ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩ কোটি ১০ লাখ ডলার ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

গত জুন মাসে দেশে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স আসে। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। ওই মাসে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৯১ কোটি ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

তবে আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এই প্রবণতা স্থিতিশীল হতে শুরু করে এবং ওই মাসেই রেমিট্যান্স আসে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ডলার। এরপর সেপ্টেম্বরে আসে ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার এবং অক্টোবরে তা সামান্য হ্রাস পেয়ে আসে ২৩৯ কোটি ৫১ লাখ ডলার।

আরও পড়ুন:
সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স বেড়েছে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি
২৮ দিনেই দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রেমিট্যান্স
আগস্টের ২৮ দিনে রেমিট্যান্স ২০০ কোটি ডলারের বেশি
রেমিট্যান্স প্রবাহে চমক দেখাচ্ছেন প্রবাসীরা
আন্দোলন-সহিংসতার জুলাইয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহে ধস

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Padma bank defaulter Salim arrested again

পদ্মা ব্যাংকের ঋণখেলাপি সেলিম ফের গ্রেপ্তার

পদ্মা ব্যাংকের ঋণখেলাপি সেলিম ফের গ্রেপ্তার
শেরপুর চেম্বার অফ কমার্সের সাবেক সভাপতি মো. আশরাফুল আলম সেলিমকে আগেও একবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অর্থ পরিশোধের শর্তে বন্ড দিয়ে জামিনে বেরিয়ে আসেন তিনি। কিন্তু তারপরও তিনি ব্যাংকের পাওনা অর্থ পরিশোধ করেননি।

পদ্মা ব্যাংকের বকশীগঞ্জ শাখার শীর্ষ ঋণখেলাপি ব্যবসায়ী ও শেরপুর চেম্বার অফ কমার্সের সাবেক সভাপতি মো. আশরাফুল আলম সেলিম ফের গ্রেপ্তার হয়েছেন।

গত বুধবার ব্যাংকের বকশীগঞ্জ শাখা ও রিকভারি টিমের সহযোগিতায় সাজাপ্রাপ্ত এই আসামিকে গ্রেপ্তার শেরপুর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

পদ্মা ব্যাংক পিএলসির করা মামলায় জামালপুর অর্থঋণ আদালত সেলিমকে গ্রেপ্তারের আদেশ জারি করে। এই ঋণগ্রহীতাকে এর আগেও এনআই অ্যাক্ট মামলার সাজার অধীনে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপর অর্থ পরিশোধের শর্তে বন্ড দিয়ে জামিনে বেরিয়ে আসেন তিনি। কিন্তু তারপরও তিনি ব্যাংকের পাওনা অর্থ পরিশোধ করেননি।

প্রসঙ্গত, তিয়াশা মিনি অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী আশরাফুল আলম সেলিমের কাছে সুদে-মূলে পদ্মা ব্যাংক পিএলসির পাওনা প্রায় ২৮ কোটি টাকা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

আরও পড়ুন:
পদ্মা ব্যাংকের আরেক ঋণখেলাপি গ্রেপ্তার
একীভূত হতে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে পদ্মা ব্যাংক
পদ্মা ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান আফজাল করিম
পদ্মা ব্যাংকের ঋণখেলাপি সেলিম গ্রেপ্তার

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Moodys decision does not reflect economic progress Bangladesh Bank

মুডি’র সিদ্ধান্তে অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রতিফলন নেই: বাংলাদেশ ব্যাংক

মুডি’র সিদ্ধান্তে অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রতিফলন নেই: বাংলাদেশ ব্যাংক
আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি মুডি’স বাংলাদেশের সার্বভৌম রেটিং বি১ থেকে বি২-এ নামিয়ে এনেছে এবং দৃষ্টিভঙ্গিকে নেতিবাচক দিকে নিয়েছে। মুডি’র এ সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সার্বভৌম ক্রেডিট রেটিং অবনমনে মুডির সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বলেছে, এতে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে অর্জিত উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঠিক প্রতিফলন হয়নি।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি মুডি’স ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশের সার্বভৌম রেটিং বি১ থেকে বি২-এ নামিয়ে এনেছে এবং স্বল্প মেয়াদে ইস্যুয়ার রেটিং নট প্রাইম হিসেবে বহাল রেখেছে। এছাড়া দৃষ্টিভঙ্গিকে নেতিবাচক দিকে নিয়েছে।

অবনমনের কারণ হিসেবে রাজনৈতিক ঝুঁকি এবং সম্ভাব্য অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেছে রেটিং এজেন্সিটি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, এ বছরের শুরুতে ঐতিহাসিক রাজনৈতিক রূপান্তরের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শুরু করা মূল সংস্কার ও উন্নতিকে উপেক্ষা করা হয়েছে এই মূল্যায়নে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্র-নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের আগস্টে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। নতুন সরকার অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করা, দুর্নীতি রোধ এবং সুশাসন শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে ব্যাপক সংস্কার শুরু করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে সংস্থাটি চলমান সংস্কার প্রচেষ্টা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার বৃহত্তর চিত্র উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক যুক্তি দিয়ে বলেছে, রেটিং এজেন্সির মূল্যায়ন একটি ‘পশ্চাৎমুখী দৃষ্টিভঙ্গি’ এবং নতুন সরকারের অধীনে ইতিবাচক পরিবর্তনগুলো পুরোপুরি বিবেচনা করেনি।

বাংলাদেশের সংস্কার ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ ও সরেজমিন পর্যালোচনার জন্য সংস্থাটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বলেছে, ‘মূল্যায়ন করার সময় মুডি’স দূরদৃষ্টির পরিচয় দেয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক বিশ্বাস করে, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমর্থন এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারত্ব উভয়ের সমর্থনে অব্যাহত সংস্কারের মাধ্যমে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির আরও বিস্তৃত মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়েছে। যার মধ্যে মূল অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ এবং প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ জড়িত। আর কেবল এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমেই মুডি’স বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের একটি সুষ্ঠু ও সঠিক মূল্যায়ন দিতে পারে।

আরও পড়ুন:
অনলাইনে আয়কর পরিশোধে চার্জ নির্ধারণ
প্রয়োজন ছাড়া ব্যাংক থেকে টাকা না তোলার আহ্বান
ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা
নীতি সুদ হার আবারও বাড়িয়ে ১০ শতাংশে পুনর্নির্ধারণ
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ফের মূল নীতি হার বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

মন্তব্য

p
উপরে