চেক নগদায়নের আগে শেয়ার কেনা যাবে না বলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্দেশনা পাল্টানোর সিদ্ধান্ত হলেও দরপতন থামেনি পুঁজিবাজারে।
নতুন ইস্যু হিসেবে সামনে এসেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল- আইএমএফ থেকে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ পাওয়ার আশায় সংস্থাটির সঙ্গে সরকারের বৈঠক ইস্যু।
আন্তর্জাতিক এই দাতা সংস্থাটি পুঁজিবাজারে কোনো ধরনের বাইরের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে। বর্তমানে দরপতন ঠেকাতে ‘ফ্লোর প্রাইস’ নামে সব শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বেঁধে দিয়ে যে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে, সেটি নিয়ে আইএমএফ কথা তুলতে পারে- এ নিয়ে শঙ্কার কথা বলাবলি হচ্ছে।
গত ১১ অক্টোবর চেক নিয়ে নির্দেশনা জারির পর থেকে পুঁজিবাজারে নতুন করে যে সংকট দেখা দিয়েছিল, সেটি আমলে নিয়ে ৩০ অক্টোবর এক বৈঠকে নির্দেশনা পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।
নিউজবাংলায় সেদিনই এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম জানান, চেক ব্যাংকে জমা না দিয়ে জালিয়াতির যে ৩৭টি প্রমাণ তারা পেয়েছেন, সেসব অভিযোগে শাস্তির বিধান রেখে এই নির্দেশনা সংশোধন করে দু-এক দিনের মধ্যে নতুন আদেশ জারি হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্তটি বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বস্তিকর হলেও তার আভাস সেই সোমবারের লেনদেনে। প্রায় পৌনে তিন শ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইসে হাতবদল হতে থাকার মধ্যে বাকি যেসব কোম্পানি আছে তার মধ্যে দর হারিয়েছে ৮৬টি কোম্পানি। বেড়েছে ২৯টির দর। ২৩২টি কোম্পানি আগের দিনের দরে লেনদেন হয়েছে। আরও ৩৭টি কোম্পানি বা মিউচুয়াল ফান্ডের একটি শেয়ার বা ইউনিটও হাতবদল হয়নি।
লেনদেন নেমে এসেছে আট শ কোটি টাকার নিচে। হাতবদল হয়েছে ৭৬৯ কোটি ২৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
সকালে এদিন লেনদেন শুরু হয় সূচক বাড়ার মধ্য দিয়েই। প্রথমেই ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬ পয়েন্ট বেড়ে গেলেও পরে তা ক্রমাগত কমতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ২৬ পয়েন্ট কমে সূচক নেমে যায় ৬ হাজার ৩০৭.৬৮ পয়েন্টে, যা গত ২৪ অক্টোবরের প্রায় সমান।
এর চেয়ে কম সূচক ছিল গত ২৪ অক্টোবর। সেদিন সূচকের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ২৮০ পয়েন্ট। তবে সে সময় পুঁজিবাজার তলানি থেকে উঠে এসে বিনিয়োগকারীদের আশা দেখাচ্ছিল।
বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আইএমএফ কী নিয়ে আলোচনা
বিনিয়োগকারী ফিদুল বিশ্বাস বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আইএমএফ নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, আইএমএফ খেলাপি ঋণ পরিশোধে কঠোর নীতি অনুসরণের ওপর জোর দিচ্ছে। এতে করে অনেক কোম্পানির ওপর চাপ বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা বিচলিত। তারা এই বিষয়টা ভাবছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইএমএফের হিসাব পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভও কমে আসবে। যেটা একটা শঙ্কার কারণ। শোনা যাচ্ছে, বিদেশিরা ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে চলে যাচ্ছে।
তবে আইএমএফের সফরে আশাবাদী আরেকটি পক্ষ। বিনিয়োগকারী একরামুল হক ফাহাদ বলেন, ‘আইএমএফের বাংলাদেশ সফর নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নেতিবাচক-ইতিবাচক, দুই ধরনের আলোচনাই হচ্ছে। আইএমএফের সঙ্গে বিএসইসির বৈঠক হবে সম্ভবত ৭ তারিখে। পুঁজিবাজারের জন্য ভালো কিছু হবে। শোনা যাচ্ছে, আইএমএফের মাধ্যমে ভালো বিনিয়োগ আসতে পারে। বিষয়টা আশা জাগাচ্ছে।’
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য ব্রোকারেজ হাউসের মালিকদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আইএমএফের সফর নিয়ে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে তো একটা আলোচনা আছেই। আগেরবার যখন এসেছিল তখন তারা মার্কেট ম্যানুপুলেশন নিয়ে আলোচনা করেছিল। কিন্তু এবার কী নিয়ে আলোচনা করবে তা আমরা জানি না।
‘তবে ধারণা করা হচ্ছে যে, ফ্লোর প্রাইস নিয়ে বা তুলে দেয়ার ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে। শোনা যাচ্ছে, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন মাধ্যমে ইনফ্লুয়েন্স করেছে, যাতে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া হয় এবং তারা শেয়ার বিক্রি করতে পারে। শেয়ার মার্কেটকে বলা হয়, লিক্যুইড অ্যাসেট। মার্কেটের সেন্সই হলো প্রয়োজনমতো টাকায় রূপান্তর করা। কিন্তু ফ্লোর প্রাইসের কারণে শেয়ার বিক্রি করতে পারা যাচ্ছে না। এতে মার্কেটের সেন্স নষ্ট হয়।
‘আবার অনেকেই চায় না ফ্লোর প্রাইস উঠুক। এতে তাদের লোকসানের আশঙ্কা থাকে। আমি ফ্লোর প্রাইস আরোপের বিপক্ষে ছিলাম। এখন আমিই বলব যে, এটা এখন তুলে দেয়া ঠিক হবে না।’
বেক্সিমকো-ওরিয়ন ও স্বল্প মূলধনিতে সর্বনাশ
গত ২৮ জুলাই সূচক ছয় হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে যাওয়ার পর বিএসইসি করোনাকালের মতোই পতন ঠেকাতে ফ্লোর প্রাইসে বেঁধে দেয়। পর দিন থেকে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়িয়ে উত্থানে ফেরার ইঙ্গিত দেয়।
তবে করোনাকালের মতো এবারের উত্থান ভারসাম্য মূল্য ছিল না। বড়জোর ৩০টি কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারণে সূচক তরতর করে বাড়তে থাকলেও বেশির ভাগ কোম্পানি ফ্লোর প্রাইসেই গড়াগড়ি খেতে থাকে।
এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা যত বাড়ে, ফ্লোরের কোম্পানির সংখ্যা তত বেশি বাড়তে থাকে।
সূচক বেড়েছে মূলত বেক্সিমকো ও ওরিয়ন গ্রুপের কোম্পানিগুলোর কারণে। এর সঙ্গে স্বল্প মূলধনি বেশ কিছু কোম্পানির দর অল্প সময়ে দেড় বা দ্বিগুণ হয়েছে। বড় মূলধনি বসুন্ধরা পেপার দরও তাই। নতুন তালিকাভুক্ত জেএমআই সিরিঞ্জ, সি পার্ল হোটেল, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ারদরে লাফ দেয়ারও কোনো ব্যাখ্যা ছিল না।
এরই মধ্যে বেক্সিমকো গ্রুপের সবচেয়ে বড় দুই কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড উত্থানের পর ফের ফ্লোরে ফিরেছে, শেয়ারপ্রতি বিনিয়োগকারীর লোকসান ২০ থেকে ৩০ টাকা, বেক্সিমকো ফার্মাও ফ্লোরের কাছাকাছি।
ওরিয়ন গ্রুপের ওরিয়ন ফার্মা, বিকন ফার্মা ও কোহিনূর কেমিক্যালসের শেয়ারদরে অস্বাভাবিক উত্থানের শেষে পতনের যে গতি, তাতে ব্যাপকভাবে আর্থিক লোকসানের পাশাপাশি টাকা আটকে যাওয়াও লেনদেনের গতি কমার কারণ।
এই কোম্পানিগুলো এখন সূচকের পতন ঘটাচ্ছে না কেবল, লেনদেনের গতি কমার কারণ হয়েও দাঁড়িয়েছে।
ওরিয়ন ফার্মার দর যখন ১৪০ থেকে ১৫৬ টাকার মধ্যে ছিল, তখন এক দিনে আড়াই শ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন হয়েছে। সেই লেনদেন এখন নেমেছে ৪০ কোটির নিচে। যে বেক্সিমকো লিমিটেডে দিনে দুই শ কোটি টাকার বা তার চেয়ে বেশি লেনদেন স্বাভাবিক প্রবণতায় পরিণত হয়েছিল, সেই কোম্পানির লেনদেন নেমেছে ৮ কোটি ১৪ লাখ টাকায়।
অর্থাৎ কয়েক হাজার কোটি টাকা কেবল বেক্সিমকো লিমিটেড ও ওরিয়ন ফার্মাতেই আটকে গেছে। কোহিনূর কেমিক্যালসের সর্বোচ্চ দর থেকে বর্তমান দর কম ২২০ টাকা, ওরিয়ন ফার্মা সর্বোচ্চ দর থেকে কমেছে ৪৫ টাকা, বিকন ফার্মা কমেছে ৮০ টাকা, ওরিয়ন ইনফিউশন কমেছে ৩১ টাকা।
গত দুই মাসের সর্বোচ্চ দর থেকে বেক্সিমকো লিমিটেড কমেছে ৩২ টাকা, বেক্সিমকো ফার্মা কমেছে ৫৫ টাকার বেশি।
এই দুটি গ্রুপের মধ্যে বিকন ফার্মার শেয়ার দিনের দরপতনের শীর্ষ তালিকায় ছিল। এই তালিকায় বাকি কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ ছিল অস্বাভাবিক উত্থান হওয়া স্বল্প মূলধনি ও নতুন কিছু কোম্পানি।
নতুন তালিকাভুক্ত নাভানা ফার্মা শেয়ার প্রতি ১ টাকা ১০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণার জেরে আগের দিন পুঁজিবাজারে শেয়ারদর বেড়েছিল ৭৮ শতাংশ। সেটির দর এদিন কমেছে সবচেয়ে বেশি ৯.৩৪ শতাংশ।
এ ছাড়া মনোস্পুল পেপারের দর ৮.৭৪ শতাংশ, সেনা কল্যাণ ইনস্যুরেন্সের দর ৮.৬০ শতাংশ, পেপার প্রসেসিংয়ের দর ৭.৩৪ শতাংশ, বিএনআইসিএলের দর ৬.৬৭ শতাংশ, জেমিনি সি ফুডের দর ৬.৬৫ শতাংশ, বিকন ফার্মার দর ৬.১৭ শতাংশ, মেট্রো স্পিনিংয়ের দর ৫.৬৯ শতাংশ এবং আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের দর কমেছে ৫.৩৫ শতাংশ।
শীর্ষ দশের বাইরে আরও চারটি কোম্পানির দর ৫ শতাংশের বেশি, ৫টি কোম্পানির দর ৪ শতাংশের বেশি, ১২টি কোম্পানির দর ৩ শতাংশের বেশি, ১২টির দর ২ শতাংশের বেশি, ১৭টির দর ১ শতাংশের বেশি কমেছে।
সূচক ফেলেছে মূলত ওরিয়ন গ্রুপ
সবচেয়ে বেশি ১১ দশমিক ৯০ পয়েন্ট সূচক কমেছে বিকন ফার্মার দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ৬ দশমিক ১৮ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট কমেছে বেক্সিমকো ফার্মার কারণে। শেয়ার প্রতি দাম কমেছে ২ দশমিক ৬১ শতাংশ।
ওরিয়ন ফার্মার শেয়ারদর ৪ দশমিক ২৯ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ২ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট।
এ ছাড়াও সোনালী পেপার, নাভানা ফার্মা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, কোহিনূর কেমিক্যাল, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, মনোস্পুল ও ইস্টার্ন ক্যাবলসের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৩০ দশমিক ২৮ পয়েন্ট।
এর মধ্যে ওরিয়নের তিন কোম্পানির কারণেই কমেছে ১৫.৯৭ পয়েন্ট।
বিপরীতে ৪ দশমিক ৩২ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে সি-পার্ল। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৮ দশমিক ২৩ শতাংশ।
বসুন্ধরা পেপারের দর ৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৫২ পয়েন্ট।
ইউনিক হোটেল সূচকে যোগ করেছে ২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে জেনেক্স ইনফোসিস, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, এডিএন টেলিকম, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, জেএমআই হসপিটাল, আমরা টেকনোলজিস ও প্রাইম ব্যাংক।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
আগের দিনের মতোই ১০ শতাংশ দরবৃদ্ধি হয়েছে তালিকার শীর্ষে থাকা চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের। শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ১২ টাকা ১০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ১১ টাকা।
সি-পার্লের দর বেড়েছে ৮ দশমিক ২৩ শতাংশ। শেয়ারটি ১৭৩ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে ১৮৮ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে।
৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ দর বেড়ে বসুন্ধরা পেপারের শেয়ার ৯১ টাকা ৮০ পয়সা লেনদেন হয়েছে। আগের দর ছিল ৮৬ টাকা।
এ ছাড়া তালিকায় থাকা ৬টি কোম্পানি যথাক্রমে জেনেক্স ইনফোসিস, এডিএন টেলিকম, আমরা টেকনোলজিস, ইনফরমেশন সার্ভিসেস, ইউনিক হোটেল ও রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি।
আর দশম স্থানে থাকা শমরিতা হসপিটালসহ ৭টি কোম্পানির দর বেড়েছে ২ শতাংশের বেশি। চারটি কোম্পানির দর বেড়েছে ১ শতাংশের বেশি। আর এর চেয়ে কম অর্থাৎ ১ শতাংশের নিচে দর বেড়েছে ৯টি কোম্পানির।
শীর্ষ ৫ খাত যেমন
শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। আগের দিনের মতোই এক মাত্র এই খাতটিতেই শতকোটির ওপরে লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হয়েছে ১০৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১৬৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। ১৮টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে। আর দরপতন হয়েছে ১২টির।
দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে কাগজ ও মুদ্রণ খাত। লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ৪টি কোম্পানির দরপতনের বিপরীতে ১টি করে কোম্পানির লেনদেন হয়েছে দরবৃদ্ধি ও আগের দরে।
৯৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন করে তৃতীয় অবস্থানে চলে এসেছে প্রযুক্তি খাত। ৫টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ২টির দরপতন ও ৪টির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে।
চতুর্থ স্থানে থাকা প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয়েছে ৮৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। খাতটিতে ৩টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ২৪টির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে ও ১৩টির দরপতনে।
৮০ কোটি ৭০ লাখ টাকা লেনদেন করে তালিকার পঞ্চম অবস্থানে ছিল বিবিধ খাত। আগের দিনে এ খাতে ৯৭ কোটি ২১ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল।
৪টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৭টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে। দরপতন হয়েছে ১টির।
বাকি খাতে লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটির নিচে। জ্বালানি ১৬টি, সাধারণ বিমা ১৮টি, ব্যাংক ২৯টি, বস্ত্র ৪৫টি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে ১৮টি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২০টির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে, যার দুই একটি বাদে সবই ফ্লোর প্রাইসে রয়েছে।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য