পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২২টি কোম্পানি একই দিন লভ্যাংশ ঘোষণা করল। এই কোম্পানিগুলোর বেশিরভাগের লভ্যাংশই হলো ১০ শতাংশ। নূন্যতম লভ্যাংশের ঘোষণাও এসেছে কোনো কোনো কোম্পানির পক্ষ থেকে।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে এই ঘোষণা আসে। সোমবার ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে বিজ্ঞপ্তি আকারে এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ হবে। সেদিন শেয়ারদরের কোনো মূল্যসীমা থাকবে না।
আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ
এই কোম্পানিটি ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি লভ্যাংশ পাবে ১ টাকা ২০ পয়সা।
কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৫৫ পয়সা। আগের বছর আয় ছিল ১ টাকা ৪৫ পয়সা। সে বছর লভ্যাংশ দেয়া হয় ১০ শতাংশ বা শেয়ার প্রতি এক টাকা।
জিপিএইচ ইস্পাত
আয় কমে যাওয়ার পর কোম্পানিটি লভ্যাংশ প্রায় এক তৃতীয়াংশ করেছে। এবার তারা ৫.৫ শতাংশ নগদ ও সমপরিমাণ বোনাস মিলিয়ে ১১ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবেন ৫৫ পয়সা। আর প্রতি ২০০ শেয়ারে পাবেন ১১টি শেয়ার। আগের বছর লভ্যাংশ ছিল ২০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস।
আগের বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৪ টাকা ১৮ পয়সা, যা এবার নেমে এসেছে ৩ টাকা ৪২ পয়সায়।
কেপিসিএল
এই কোম্পানিটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ আর উদ্যোক্তা- পরিচালকদের জন্য ৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ সাধারণ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি এক টাকা আর উদ্যোক্তারা পাবেন ৮০ পয়সা করে।
২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর এক যুগে শেয়ার প্রতি সর্বনিম্ন ৩ পয়সা আয় হয়েছে কোম্পানিটির। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৮৭ পয়সা আয় হয়েছিল। লভ্যাংশ দেয়া হয়েছিল ১ টাকা ২৫ পয়সা।
এস্কয়ার নিট
২০১৯ সালে তালিকাভুক্তির পর সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে বস্ত্র খাতের কোম্পানিটি। আগের তিন বছর লভ্যাংশ এসেছিল ১৫ শতাংশ।
লভ্যাংশ কমালেও কোম্পানিটির আয় বেড়েছে। গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৩৬ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ২ টাকা ২০ পয়সা।
দেশ গার্মেন্টস
শেয়ার প্রতি আয় অনেকটা কমে গেলেও কোম্পানিটি লভ্যাংশ বাড়িয়েছে। এবার তারা বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ বা শেয়ারপ্রতি এক টাকা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা আগের বছর ছিল অর্ধেক।
এবার কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫ পয়সা যা গত বছর ছিল ৪০ পয়সা।
লুব রেফ
জ্বালানি খাতের এই কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর টাকা দ্বিতীয় বছর ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করল
কোম্পানিটির আয় এবার অনেকটাই কমে গেছে। গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ১৩ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ৩ টাকা ৪১ পয়সা।
বিডিপেইন্টস
এসএমই মার্কেটে তালিকাভুক্তির পর এই প্রথম লভ্যাংশ ঘোষণা করল কোম্পানিটি। তারা শেয়ার প্রতি দেবে এক টাকা বা ১০ শতাংশ নগদ।
কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ১৬ পয়সা। আগের বছর পুঁজিবাজারে আসার আগে কোম্পানিটির আয় ছিল শেয়ারপ্রতি ৯৭ পয়সা।
একমি পেস্টিসাইডস
ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানটি লভ্যাংশ দেবে ৫ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা।
গত বছরের নভেম্বরে লেনদেন শুরুর দিন ওই বছরের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া কোম্পানিটি এবার শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৫১ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ২ টাকা ১২ পয়সা।
আরডি ফুড
আয় বাড়লেও কোম্পানিটি লভ্যাংশ কমিয়েছে। পরিচালনা পর্ষদ ৫ শতাংশ নগদ বা শেয়ারপ্রতি ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১৮ পয়সা। আগের বছর এটি ছিল ৬৪ পয়সা। সে বছর ৩ শতাংশ নগদ ও ৩ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছিল কোম্পানিটি।
ডেফোডিল কম্পিউটারস
আয় সামান্য কমে যাওয়ার পর কোম্পানিটি লভ্যাংশও কিছুটা কমিয়েছে। এবার তারা ৫ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে এবার ৬৭ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৭০ পয়স। সে বছর বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ার প্রতি ৬০ পয়সা বা ৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়া হয়।
আলিফ ম্যানুফেকচারিং
কোম্পানিটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবে ২০ পয়সা।
কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫৮ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ৪৪ পয়সা। তখনও ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়।
গোল্ডেন হার্ভেস্ট
লোকসান কমার পাশাপাশি কোম্পানিটি লভ্যাংশও কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার তারা ২ শতাংশ বা শেয়ারপ্রতি ২০ পয়সা লভ্যাংশ দেবে, যা আগের বছর ছিল ৫০ পয়সা।
এই লভ্যাংশ পাবে কেবল সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। উদ্যোক্তা পরিচালকরা কোনো লভ্যাংশ নেবেন না।
কোম্পানিটির এবার শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪৭ পয়সা। আগের বছর শেয়ারপ্রতি ৭২ পয়সা লোকসান দিয়েও এবারের প্রস্তাবিত লভ্যাংশের চেয়ে শেয়ারপ্রতি ৩০ পয়সা বেশি বিতরণ করেছে কোম্পানিটি।
অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
বিপুল পরিমাণ লোকসান থেকে মুনাফায় ফিরেছে কোম্পানিটি। অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের দিন ১ শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশকেই চূড়ান্ত লভ্যাংশ হিসেবে বিবেচনা করেছে কোম্পানিটি।
কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২০ পয়সা। আগের বছর লোকসান ছিল ৫ টাকা ৮ পয়সা।
উসমানিয়া গ্লাস
লোকসানের কারণে রাষ্ট্রায়ত্ব এই কোম্পানিটি আগের তিন বছরের ধারাবাহিকতায় এবার লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কোম্পানিটি ২০১৭ সাল থেকেই টানা লোকসানে আছে। আগের বছরের তুলনায় লোকসান এবার অনেকটাই কমেছে।
এবার শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৬৬ পয়সা। আগের বছর এই লোকসান ছিল ৬ টাকা ৬৬ পয়সা।
তুংহাই নিটিং
বস্ত্র খাতের লোকসানি এই কোম্পানিটি গত পাঁচ বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও লভ্যাংশ দেবে না।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪২ পয়সা। আগের বছর এই লোকসান ছিল ২৯ পয়সা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য