রাজস্ব আদায় বাড়তে কর অব্যাহতি সুবিধা কমানোর তাগিদ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ। তাদের যুক্তি, এই পদক্ষেপ নিলে রাজস্ব আদায়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক বহুজাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির তুলনায় কর আহরণ কম হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে আয়কর, মূল্য সংযোজন কর-ভ্যাট ও আমদানি শুল্কে ব্যাপক মওকুফ সুবিধা দেয়া। এসব সুবিধা কমিয়ে আনলে রাজস্ব আদায় বাড়বে।
রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বার্ডের (এনবিআর) নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেছে সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দল। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বৈঠকে রাজস্ব আহরণের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চায় আইএমএফ। চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বাড়তি রাজস্ব আহরণের পরিকল্পনা সম্পর্কেও জানতে চায় সংস্থাটি।
ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন বা ইন্টিগ্রেশনের ওপর জোর দিয়েছে আইএমএফ। ভ্যাট বিভাগ ও কাস্টমসের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা যায় কিনা- সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে বলেছে সংস্থাটি।
নতুন কাস্টমস আইনের খসড়া তৈরি শুরু হয় ২০১২ সালে এবং আয়কর আইন হয় ২০১৭ সালে। এতদিনেও এই দুটি আইন বাস্তবায়ন করতে পারেনি সরকার। খসড়া আইনটি কোন অবস্থায় আছে সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়।
বৈঠকে এনবিআরের পক্ষ থেকে রাজস্ব আদায়ের বর্তমান পরিস্থিতি ও সংস্কারবিষয়ক কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। ভ্যাট, কাস্টমস ও আয়কর বিভাগ থেকে তিনটি পৃথক অবস্থানপত্র তুলে ধরা হয়।
আয়কর বিষয়ে এনবিআরের সদস্য আয়কর (নীতি) সামছুদ্দিন আহমেদ, ভ্যাট বিভাগের পক্ষে সদস্য (নীতি) জাকিয়া সুলতানা ও কাস্টমসের পক্ষে সদস্য শুল্ক (নীতি) মাসুদ সাদিক অবস্থানপত্র উপস্থাপন করেন ।
ঋণ নিয়ে আলোচনা করতে ১০ সদস্যের আইএমএফ স্টাফ মিশন বুধবার ঢাকায় এসেছেন। এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রাহুল আনান্দ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
ঢাকায় অবস্থানকালে প্রতিনিধি দল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সিরিজ বৈঠকের অংশ হিসেবে রোববার এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক করে আইএমএফ। এছাড়া রোববার এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিকেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে তারা।
বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের অর্থনীতিতে যে চাপ সৃষ্টি হয়েছে তা মোকাবিলায় আইএএমএফের কাছ থেকে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ইতোমধ্যে তিন কিস্তিতে ঋণ দেয়ার আভাস মিলেছে।
তবে এ ঋণ পেতে বরাবরের মতো এবারও বেশি কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে সরকারকে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রাজস্ব খাতে সংস্কার। তারই অংশ হিসেবে এনবিআরের সঙ্গে এই বৈঠক করে আইএমএফ।
সূত্র জানায়, রোববার এনবিআরের ভ্যাট, আয়কর ও কাস্টমস নীতি বিভাগের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে করে আইএমএফ প্রতিনিধি দল। সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এ বৈঠক চলে বেলা ২টা পর্যন্ত।
এরপর এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করে আইএমএফের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
এনবিআরের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ‘বৈঠকে রাজস্ব খাতের নানা বিষয় আলোচনায় উঠে এলেও আইএমএফের পক্ষ থেকে মূলবিষয় ছিল কর অব্যাহতি। আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস- তিনটি খাতেই অব্যাহতি কমানোর তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি।
কোন কোন খাতে কর অব্যাহতি দেয়া আছে তার তালিকা সম্পর্কে জানতে চায় প্রতিনিধি দল। বৈঠকে পর্যালোচনা করে ক্রমান্বয়ে এ সুবিধা কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে।
বৈঠকে এনবিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশের বৃহত্তর অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে বিভিন্ন সময়ে এসব সুবিধা দেয়া হয়েছে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিকশিত হয়। উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বাড়ে। কাজেই, কর অব্যাহতি কমালে বা বাতিল করলে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। তবে প্রতিবছর বাজেটে কিছু কিছু খাতে অব্যাহতি কমানো হচ্ছে।
জানা যায়, আয়কর নীতি বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে কর জাল বাড়ানোর কথা বলেছে আইএমএফ। তারা নতুন আয়কর আইনের হালনাগাদ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চায়। এছাড়া কর আদায় বাড়াতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়।
বর্তমানের করদাতা শনাক্তকরণ সংখ্যা ৭৭ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এনবিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কর জাল বাড়াতে বিআরটিএ, বিডা, ডিপিডিসিসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে চুক্তি করা হয়েছে। আরও কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি প্রক্রিয়াধীন।
এ ছাড়া চলতি বাজেটে ৩৮ ধরনের সেবা পেতে আয়কর বিবরণী ও প্রাপ্তি স্বীকারপত্র জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আয়কর আহরণের সবচেয়ে বড় খাত উৎসে কর ব্যবস্থাপনায় অটোমেশন করা হয়েছে। ই-টিআইএন প্রক্রিয়া স্বয়ংসম্পূর্ণ করা হয়েছে। নতুন আয়কর আইনের খসড়া সহজ করা হয়েছে। এসব উদ্যোগের ফলে কর জাল আরও বাড়বে।
কাস্টমস বিভাগের সঙ্গে আলোচনায় নতুন আইন দ্রুত বাস্তবায়নের কথা বলেছে আইএমএফ। এনবিআর বলেছে, প্রস্তাবিত আইনটি পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য জাতীয় সংসদে রয়েছে।
বাংলাদেশে আমদানি শুল্কের গড় সংরক্ষণ হার বা এভারেজ প্রোটেকশন রেট ২৮ থেকে ২৯ শতাংশ এবং গড় শুল্ক হার ১৪ শতাংশ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এই হার অনেক বেশি বলে মনে করে আইএমএফ। অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামাঞ্জস্য রেখে এটি যৌক্তিক করার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
এনবিআর বলেছে, দেশীয় শিল্পের সুরক্ষা দিতে গড় শুল্ক হার বেশি রাখা হয়েছে। তবে প্রতি বছর বাজেটে এটি কমানো হচ্ছে।
নতুন ভ্যাট আইন নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে বহুজাতিক সংস্থাটি ভ্যাট অব্যাহতি আরও কমিয়ে আদায় বাড়াতে বলেছে।
এনবিআর বলেছে, আদায় বাড়াতে আধুনিক প্রযুক্তির ভ্যাট মেশিন বা ইএফডি বসানো হয়েছে। এ কাজসম্পন্ন হলে ভ্যাট আহরণ অনেক বাড়বে।
আইএমএফ বরাবরই অভিযোগ করে আসছে যে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ শুল্ক-কর সুবিধা বেশি দেয়া হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশে জিডিপির তুলনায় কর আহরণের অনুপাত ১০ শতাংশের নিচে, যা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম। কম রাজস্ব আহরণের অন্যতম কারণ বেশি অব্যাহতি সুবিধা বলে মনে করা হয়।
এজন্য সুবিধা কমানোর তাগিদ দিয়ে আসছে সংস্থাটি। তাদের মতে, বাংলাদেশে কর-জিডিপি অনুপাত হওয়া উচিত কমপক্ষে ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ।
এনবিআরের সাবেক সদস্য রেজাউল হাসান এ বিষয়ে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আইএমএফের দাবি সঠিক নয়। ভ্যাট ও কাস্টমসে যেসব অব্যাহতি দেয়া আছে তার যৌক্তিকতা আছে। এই সুবিধা তুলে দিলে গরিবের ওপর চাপ আসবে।
‘উৎপাদন, সেবা, আমদানিসহ পাঁচটি স্তরে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা দেয়া আছে। এসব সুবিধা চায় না আইএমএফ। তারা মনে করে, এটি আধুনিক ভ্যাট আইনের পরিপন্থি। বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ ব্যবসায়ী ছোট কলেবরের। তারা সিস্টেমে হিসাব সংরক্ষণ করতে পারে না। যে কারণে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আইএমএফ তাতে আপত্তি তুলেছে। ছোট ব্যবসায়ীদের সুরক্ষা দেয়া সরকারের দায়িত্ব।’
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানিতে ভ্যাটে ৭২টি আদেশ রয়েছে অব্যাহতি সংক্রান্ত। আমদানি খাতে ২৩১টি পণ্য ভ্যাটের আওতার বাইরে। ব্যবসায়ী ও উৎপাদন পর্যায়ে আছে দুই শতাধিক। কৃষি পণ্য ভ্যাটমুক্ত। এছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে ৩৮টি সেবা খাতে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া আছে। মেগা প্রকল্পে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশও ভ্যাট এবং শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে।
আয়কর অব্যাহতির তালিকাও বেশ লম্বা। প্রায় ৫৮টি খাত করমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে। এর বাইরে অনেক খাত থেকে হৃাসকৃত বা বর্তমানের চেয়ে কম হারে কর আদায় করা হয়। বিদ্যুৎ খাত পুরোপুরি করমুক্ত।
বিভিন্ন খাতে কর অব্যাহতির নামে কী পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি হয়, তার সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই এনবিআরের কাছে। তবে ধারণা করা হয়, ভ্যাট আমদানি শুল্ক ও আয়কর খাতে অব্যাহতির নামে বছরে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকা কম রাজস্ব আয় হয়।
জানা যায়, কর অব্যাহতির বিষয়ে গত বছর একটি সমীক্ষা চালায় এনবিআর। তাতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন খাতে অব্যাহতি দেয়ার ফলে প্রতি বছর রাজস্ব ক্ষতি হয় মোট জিডিপির ২ দশমিক ২৮ শতাংশ।
এনবিআরের সাবেক সদস্য আমিনুর রহমান বলেন, ‘এ কথা সত্য যে আমাদের দেশে কর অব্যাহতি বেশি। অনেক ক্ষেত্রে প্রভাবিত হয়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় এ সুবিধা দেয়া হয়। এটা ঠিক নয়। এজন্য কর অব্যাহতির তালিকা পর্যালোচনার সময় এসেছে। তবে ভেবেচিন্তে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রেজোয়ান রাহমান বলেন, ‘কর অব্যাহতি তুলে দেয়া ঠিক হবে না। এটা করা হলে ব্যবসার খরচ আরও বাড়বে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে বৈঠক
এদিকে এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক শেষে রোববার বিকেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে আইএমএফ।
সূত্র জানায়, বৈঠকে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি। পাশাপাশি ব্যাংক কোম্পানি আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি এবং আটটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার চার দিনের চীন সফরের তৃতীয় দিন শুক্রবার দুই দেশের মধ্যে এ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও স্মারকগুলো স্বাক্ষর হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের কালজয়ী সাহিত্য ও শিল্পকর্মের অনুবাদ ও সৃজন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও খবর আদান-প্রদান, গণমাধ্যম, ক্রীড়া এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিময় সহযোগিতা। এর পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচ বিষয়ে সহযোগিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে।
এগুলো হলো বিনিয়োগ আলোচনা শুরু করা, চীনের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু, মোংলা বন্দরের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ, একটি রোবট ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ এবং একটি কার্ডিয়াক সার্জারি গাড়ি অনুদান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের উত্থাপিত বিষয়গুলো চীন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং।
স্থানীয় সময় শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট এ কথা জানান।
ড. ইউনূসের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্টের বৈঠককে অত্যন্ত সফল উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ইউএনবিকে বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি বিষয় উত্থাপন করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশকে দেওয়া চীনা ঋণের সুদের হার কমানো ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় দেশটির সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়টি ছিল।’
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে আলোচনা অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ, গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে।’
প্রেস সচিব বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার এটি ছিল প্রথম দ্বিপক্ষীয় বিদেশ সফর। এখন পর্যন্ত এটি একটি বড় সফলতা।’
প্রেসিডেন্ট শির বক্তব্যের বরাতে শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও কারখানা স্থাপনে চীন তার দেশের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করবে।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট শি ফুজিয়ান প্রদেশের গভর্নর থাকাকালীন দুইবার বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে তিনি পড়াশোনা করেছেন। সে কথাও উল্লেখ করেছেন চীনের রাষ্ট্রপ্রধান।
প্রেসিডেন্ট শির উদ্বৃতি দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, তিনি বাংলাদেশি আম ও কাঁঠাল খেয়েছেন। এগুলো সুস্বাদু। আশা করা হচ্ছে বাংলাদেশ আগামী মৌসুমে এ দুটি ফল চীনে প্রচুর পরিমাণে রপ্তানি করবে।
চীনা প্রেসিডেন্ট ও প্রধান উপদেষ্টা চীনের পিপলস গ্রেট হলে করা বৈঠকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
তারা দুই দেশের সম্পর্ককে জোরদার করা ও ঢাকা-বেইজিংয়ের পারস্পরিক ও কৌশলগত স্বার্থকে এক নতুন উচ্চতায় নেওয়ার উপায় নিয়েও আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সি৩২ ইলেকট্রিক বাইক এনেছে বৈশ্বিক ব্র্যান্ড রিভো। অত্যাধুনিক ৭২ ভোল্ট ২৬ অ্যাম্পিয়ার সম্পূর্ণ গ্রাফিন ব্যাটারি পরিচালিত এই ইলেকট্রিক বাইকের উদ্বোধন ঘোষণা করেন রিভো বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ভেন নি।
ফিচার
সি৩২-এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য শক্তিশালী ১৮০০ ওয়াট মোটর, যা ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। বাইকটির ইকো মোডে গতি ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং একবার চার্জে এটি ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে।
অন্যদিকে স্পোর্ট মোডে সর্বোচ্চ গতি ৬০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং এক চার্জে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে।
সি৩২ ইলেকট্রিক বাইকে উন্নত ৭২ ভোল্ট ২৬ অ্যাম্পিয়ার গ্রাফিন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে, যা পাঁচ শতাধিক চার্জিং সাইকেল সাপোর্ট করে এবং প্রতিটি পূর্ণ চার্জে মাত্র ২.০৮ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করে।
ব্যাটারিটি সম্পূর্ণ চার্জ হতে ১০.৬ ঘণ্টা সময় নেয়, যা রাতে চার্জ দিয়ে দিনব্যাপী ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।
নিরাপত্তা এবং আরামকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে রিভো সি৩২। এতে রয়েছে সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনে ড্রাম ব্রেক সিস্টেম, যা সর্বোচ্চ স্টপিং পাওয়ার নিশ্চিত করে।
ফ্রন্ট ও রিয়ার হাইড্রোলিক সাসপেনশন থাকার ফলে রাইডাররা মসৃণ ও আরামদায়ক রাইড উপভোগ করতে পারেন। এমনকি অপ্রশস্ত বা অসমান রাস্তাতেও।
রাতে নিরাপদ যাত্রার জন্য সি৩২-এ রয়েছে পূর্ণ এলইডি লাইটিং সিস্টেম, যার মধ্যে এলইডি হেডলাইট, টেইললাইট এবং টার্ন সিগন্যাল অন্তর্ভুক্ত।
রিভো সি৩২ শুধু শক্তিশালী পারফরম্যান্সই দেয় না, এটি ডিজাইনেও বেশ কার্যকর। ১৪০ কেজি ওজনের মজবুত অথচ হালকা ফ্রেম এবং সামনে ও পিছনে ৯০/৮০-১২'' ভ্যাকুয়াম টায়ার যুক্ত বাইকটি দুর্দান্ত গ্রিপ এবং স্থিতিশীলতা প্রদান করে।
২০৫ এমএম পর্যন্ত গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স থাকায় এটি যেকোনো ধরনের রাস্তার জন্য উপযোগী। সিট বাকেটে ২৪ লিটার স্টোরেজ স্পেস রয়েছে, যা ব্যক্তিগত জিনিসপত্র বহনের জন্য আদর্শ।
ব্যবহারকারীবান্ধব ডিজাইন এবং আরামের সমন্বয়ে এটি শহরের যাতায়াতকারী এবং দূরপাল্লার রাইডারদের জন্য একটি পারফেক্ট পছন্দ।
এখন থেকে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যে বাংলাদেশের সব শোরুমে পাওয়া যাচ্ছে।
সি৩২ যাতায়াতকে সহজ, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব করতে উন্নত প্রযুক্তি, শক্তিশালী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করছে, যা প্রতিদিনের যাত্রীদের পাশাপাশি পরিবেশ সচেতন রাইডারদের জন্য আদর্শ হতে পারে।
আরও পড়ুন:আলু রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। এ স্থলবন্দর দিয়ে নতুন করে আরও ১০৫ টন আলু গিয়েছে নেপালে।
এ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ১ হাজার ৫৫৪ টন আলু নেপালে রপ্তানি করা হলো।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন জানান, বুধবার বিকেলে স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচটি ট্রাকে ১০৫ টন আলু নেপালে গেছে।
তিনি জানান, আলুগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এগুলো রপ্তানি করছে থিংকস টু সাপ্লাই ও ফাস্ট ডেলিভারি নামে দুটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে থিংকস টু সাপ্লাই ৪২ ও ফাস্ট ডেলিভারি ৬৩ টন রপ্তানি করে। এ ছাড়াও বন্দরটি দিয়ে হুসেন এন্টারপ্রাইজ, ক্রসেস এগ্রো, সুফলা মাল্টি প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং লোয়েড বন্ড লজিস্টিক নামের কয়েকটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানও নেপালে আলু রপ্তানি করছে।
উজ্জ্বল হোসেন বলেন, রপ্তানিকারকরা প্রয়োজনীয় নথিসহ অনলাইনে আবেদন করলে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের ল্যাবে পরীক্ষা করার পর ফাইটোসেনেটারি সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। রপ্তানিকৃত আলুগুলো স্টারিজ এবং লেডিও রোজেটা জাতের।
বাজারে নতুন আসা স্মার্টফোন ‘অপো এ৫ প্রো’ রেকর্ড গড়া পারফরম্যান্স করেছে বলে জানিয়েছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানি অপো।
কোম্পানিটি শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আগের জেনারেশনের ডিভাইসের তুলনায় নতুন স্মার্টফোনটি ৪৫০ শতাংশ বেশি বিক্রয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা বাংলাদেশের বাজারে অপোর ধারাবাহিক সফলতার নির্দেশক। তাৎপর্যপূর্ণ এ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের বাজারে অপোর ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি এবং ব্রান্ডটির প্রতি গ্রাহকদের গভীর আস্থা ও আনুগত্যের প্রতিফলন।
অপো প্রতিনিয়ত স্মার্টফোন প্রযুক্তির অভিনব উদ্ভাবনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোম্পানিটির ‘অপো এ৫ প্রো’ ডিভাইসের ক্ষেত্রেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। ফোনটি নিত্যদিনের বৈচিত্র্যময় চাহিদা পূরণে ভোক্তাদের আধুনিক ও উন্নত সব ফিচার ব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছে।
কোম্পানির কর্মকর্তা ও গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া
বিজ্ঞপ্তিতে অপো এ৫ প্রোর বিক্রয় নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা ও একাধিক গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেছে অপো।
ডিভাইসটির প্রথম দিনের বিক্রয়ের বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে অপো বাংলাদেশ অথরাইজ এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, ‘এ সফলতা অপোর প্রতি বাংলাদেশি গ্রাহকদের আস্থা ও আগ্রহের বিষয়টিই সফলভাবে চিত্রিত করছে। তাদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো অভিনব পণ্য উদ্ভাবন ও সেবা প্রদানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
একটি বেসরকারি প্রকৌশল কোম্পানিতে চাকরিরত তারেক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ অপোর নতুন ডিভাইস নিয়ে তার অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, ‘অপো এ৫ প্রোর ওয়াটারপ্রুফ, ডাস্টপ্রুফ এবং শকপ্রুফ ফিচার আমার সবচেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
‘আমি এ রকম একটি টেকসই ও সহনশীল স্মার্টফোনের জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছিলাম এবং আমার অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। স্মার্টফোনটি কিনতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত।’
আরেক গ্রাহক শারমিন আক্তার বলেন, “ঈদের আগে আমি একটি মোবাইল কেনার কথা ভাবছিলাম। এ ক্ষেত্রে স্মার্টফোনের দারুণ ডিজাইন ও উন্নত ফিচারগুলো আমার অগ্রাধিকারে ছিল।
“আমার মতে, বাজারের একই ঘরনার ফোনগুলোর মধ্যে এ বিষয়গুলোতে ‘অপো এ৫ প্রো’ই সেরা। ফোনটি পছন্দ করতে পেরে মনে হচ্ছে আমি সঠিক মোবাইলটিই বেছে নিয়েছি।”
নতুন ডিভাইসের ফিচার
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘অপো এ৫ প্রো’ বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন, যেটি আইপি৬৬, আইপি৬৮ এবং আইপি৬৯ রেটিং অর্জন করেছে। ডিভাইসটি পানি, ধুলা ও যেকোনো ধরনের শক থেকে সুরক্ষিত। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মোবাইলটির অনন্য স্থায়িত্ব।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মোবাইলটিতে সংযুক্ত আছে মিলিটারি গ্রেডের ইমপ্যাক্ট রেজিস্ট্যান্স প্রযুক্তি। পাশাপাশি ডিভাইসের মাদারবোর্ড থার্মাল কনডাকটিভিটি বৃদ্ধি করে এবং আগের জেনারেশনের স্মার্টফোনের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি সক্ষমতা প্রদান করে। মোবাইলটি এক হাজার বেন্ডিং টেস্টও উতরে গেছে। অর্থাৎ প্রতিদিনের যেকোনো পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে এটি ব্যবহার উপযোগী।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্মার্টফোনটি নান্দনিক ফটোগ্রাফির জন্য অনন্য। এতে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা এআই সংবলিত উন্নত ফিচার। ডিভাইসটিতে এআই ইরেজার ২.০ ব্যবহার করে সহজেই ছবিতে থেকে অপ্রয়োজনীয় বস্তু মুছে ফেলা যায়। এআই রিফ্লেকশন রিমুভার ব্যবহার করে অযাচিত রিফ্লেকশন সরিয়ে দেওয়া যায়।
এ ছাড়া এআই আনব্লার ফিচার ব্লারি বা অস্পষ্ট ছবিকে আরও স্পষ্ট করে তুলতে সাহায্য করে।
দাম
অপো জানায়, দেশজুড়ে রিটেইল স্টোর এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে স্মার্টফোনটি ২৩ হাজার ৯৯০ টাকায় ৮জিবি+২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে।
বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে অপোর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলোতে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে ভারত ও পাকিস্তান থেকে চালবোঝাই আরও দুটি জাহাজ।
এক দিনের ব্যবধানে দুটি জাহাজ বন্দরে পৌঁছায়।
এবার এসেছে ৪৮ হাজার ৭৫০ টন আতপ ও সিদ্ধ চাল। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে আসে ২৬ হাজার ২৫০ টন এবং ভারত থেকে আসে ২২ হাজার ৫০০ টন চাল।
চট্টগ্রাম বন্দরের সাইলো জেটি ও কাফকো-সংলগ্ন জেটিতে এই দুই জাহাজ নোঙর করে বলে শনিবার দুপুরে নিশ্চিত করেন খাদ্য অধিদপ্তরের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্শী চাকমা।
পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজটি শুক্রবার চট্টগ্রাম সাইলো জেটিতে বার্থিং করেছে জানিয়ে তিনি জানান, জাহাজ এমভি মারিয়ম গত ১১ মার্চ ২৬ হাজার ২৫০ টন আতপ চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে প্রবেশ করে।
অন্যদিকে ১২ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে প্রবেশ করে ভারতের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি তানাইস ড্রিম। জাহাজটি শুক্রবার কাফকো সংলগ্ন জেটিতে বার্থ করে।
এ জাহাজ থেকে ২২ হাজার ৫০০ টন বাসমতি নয় এমন সিদ্ধ চাল আনা হয়েছে।
পাকিস্তানের জাহাজ এমভি মারিয়মে আসা চালের নমুনা সংগ্রহ শেষে ভৌত বিশ্লেষণ সম্পন্ন হয়েছে মন্তব্য করে জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্শী চাকমা জানান, এ চালের খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অন্যদিকে ভারত থেকে আসা জাহাজ এমভি তানাইস ড্রিমের চালগুলোর নমুনা সংগ্রহ করা শেষ হয়েছে।
এর আগে বুধবার ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা ৩৮ হাজার ৮৮০ টন চাল বাংলাদেশে এসে পৌঁছে। জি-টু-জি চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম থেকে ১৭ হাজার ৮০০ টন আতপ চাল এবং আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ২১ হাজার ৮০ টন সিদ্ধ চাল কেনা হয়েছে।
গত ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে আরও ৬ হাজার টন সিদ্ধ চাল আমদানি করা হয়।
আরও পড়ুন:জনপ্রিয় বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘অপো’ পবিত্র রমজান মাসে গ্রাহকদের জন্য বিশেষ ‘ঈদ মেগা গিফট ক্যাম্পেইন’ ঘোষণা করেছে।
১৩ মার্চ থেকে শুরু হয়ে সারা দেশে অপোর আউটলেটগুলোতে বিশেষ এ ক্যাম্পেইন চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত।
ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ক্রেতারা তাদের চাহিদা উপযোগী দারুণ সব ডিল ও অফার উপভোগ করতে পারবেন।
এ বছর অপো ভোক্তাদের জন্য ‘মেগা’ লটারি অফার ঘোষণা করেছে। এতে অংশ নিয়ে ক্রেতারা ১ লাখ টাকা সমমূল্যের গৃহস্থালি উপকরণ (হোম অ্যাপ্লায়েন্স), অপো প্যাড, অপো ওয়াচ অথবা ‘বাই ১, গেট ওয়ান ১’, ডিল উপভোগ করতে পারবেন।
এ ছাড়াও অপো সব ক্রেতার জন্যই বিশেষ ও নিশ্চিত উপহারের ঘোষণা দিয়েছে, যাতে করে সবাই এ আনন্দের ভাগিদার হতে পারেন। নির্দিষ্ট কিছু মডেলের স্মার্টেফোন কিনেও গ্রাহকরা উপহারের ভাগিদার হতে পারবেন। যেমন- ‘রেনো১২এফ’-এর সঙ্গে বিশেষ হুডি, ‘রেনো১৩এফ’-এর সঙ্গে বিশেষ ব্যাগ এবং নতুন বাজারে আসা ‘এ৫ প্রো’র সঙ্গে ‘অপো সুপার শিল্ড কার্ড’ পাবেন তারা।
অপো বাংলাদেশ, অথরাইজ এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, “আমাদের গ্রাহকদের সেরা সেবা দিতে অর্থাৎ কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স বৃদ্ধিতে অপো প্রতিনিয়ত অভিনবভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্টফোন উপভোগের মাধ্যমে এই ঈদে তারা অসাধারণ সব পুরস্কার জিতে নিতে পারবেন। ‘এ৫ প্রো’র উন্মোচন এবং মেগা গিফট ক্যাম্পেইনের এই ঘোষণা ভোক্তাদের রমজান উদযাপনে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে। অপোভক্তদের সঙ্গে এই বিশেষ উপলক্ষ যুক্ত করতে পেরে আমরা আনন্দিত।”
একটি অনলাইন লটারির মাধ্যমে মেগা গিফট লটারির বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে এবং তা অপো এ৩এক্স, এ৬০, রেনো সিরিজ এবং নতুন লঞ্চ হওয়া অপো এ৫ প্রোসহ বিভিন্ন ডিভাইসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
এ ক্যাম্পেইন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ক্রেতাদের নিকটস্থ অপো আউটলেট পরিদর্শনের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
আকর্ষণীয় ঈদ অফার ও অন্যান্য তথ্য পাওয়া যাবে অপো বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/OPPOBangladesh এবং ওয়েবসাইটে website https://www.oppo.com/bd/।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য