আগের সপ্তাহে একটু একটু করে সূচক ও লেনদেন বাড়লেও বৃহস্পতি থেকে শনিবার পর্যন্ত তিন কর্মদিবসে ৫০টিরও বেশি কোম্পানির লভ্যাংশ ও আরও প্রায় সমসংখ্যক কোম্পানির প্রান্তিক ঘোষণার প্রভাবে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে পুঁজিবাজারে আবার দরপতন হলো।
রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসইতে লেনদেন শুরু নিয়েই ঘটেছে নানা কাহিনি। কারিগরি জটিলতায় সকাল সাড়ে ৯টায় নির্ধারিত সময়ে লেনদেন শুরু করা যায়নি। প্রথমে জানানো হয়েছিল, লেনদেন শুরু হবে সকাল ১০টায়। কিন্তু তখনও লেনদেন শুরু করতে না পারার পর জানানো হয় সাড়ে ১০টায় শুরু হবে লেনদেন।
কিন্তু তখনও লেনদেন শুরু করা যায়নি। এরপর জানানো হয়, লেনদেন শুরু হবে বেলা ১১টা থেকে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা পর শুরু হয় লেনদেন।
আর দেরিতে শুরু হওয়ার পর লেনদেন চলে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত, যদিও এমনিতে দুপুর ১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত লেনদেন চলার কথা।
গত সপ্তাহেও এভাবে কারিগরি ত্রুটির কারণে লেনদেনে বিঘ্ন ঘটেছিল। আর বিষয়টি নিয়ে তদন্তে কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
লেনদেন শুরু হওয়ার পর থেকেই বিপুলসংখ্যক শেয়ার দর হারাতে থাকে। সেই সঙ্গে কমতে থাকে ডিএসইর প্রধান সূচক। একপর্যায়ে ডিএসইএক্স কমে যায় ৫৫ পয়েন্ট। তবে শেষ পর্যন্ত ৪৩ পয়েন্ট হারিয়ে শেষ হয় লেনদেন।
পাঁচ কর্মদিবস শেষে বৃহস্পতিবার লেনদেন হাজার কোটি টাকার ঘর ছাড়ালেও তা আবার নেমে গেছে ৮০০ কোটির ঘরে। হাতবদল হয়েছে মোট ৮২৬ কোটি ৫৯ লাখ ৯১ হাজার টাকার শেয়ার। আগের কর্মদিবসে লেনদেন ছিল ১ হাজার ৯৪ কোটি ৯৮ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
আগের সপ্তাহে টানা তিন কর্মদিবস দরপতন হওয়া কোম্পানির চেয়ে দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির সংখ্যা বেশি থাকলেও এদিন বেশিসংখ্যক কোম্পানির দর কমেছে। ৪৪টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ৯১টির। গত কয়েক মাসের ধারাবাহিকতায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যক কোম্পানির দর ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হয়েছে।
বেশি কমেছে লভ্যাংশ মনপুঃত না হওয়া স্বল্প মূলধনির
স্বল্প মূলধনি যেসব কোম্পানি বোনাস শেয়ারের বদলে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, সেগুলোর দর বেশি কমেছে। তবে সূচকের পতনে প্রধান ভূমিকায় ছিল বেস্কিমকো গ্রুপের দুই কোম্পানি আর ওরিয়ন গ্রুপের তিনটি।
সবচেয়ে বেশি ১১.৫৯ শতাংশ দর কমেছে ৮ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের প্রাণ এএমসিএলের। কোম্পানিটি আগের বহু বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও নগদ ৩২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোকে চলতি বছরের মধ্যে পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকা করতে হবে। প্রাণের মূলধন বাড়াতে হবে প্রায় চার গুণ।
বোনাস বা রাইট শেয়ার দেয়া হবে এই আশায় গত এক বছরে সর্বনিম্ন দরে ২০৬ টাকা ৭০ পয়সা থেকে প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে শেয়ারদর উঠে গিয়েছিল ৩৯৯ টাকায়।
গত বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির বোর্ড সভার দিন শেয়ার দর ছিল ৩০২ টাকা ৭০ পয়সা। কোনো মূল্যসীমা না থাকার এদিন দর ৩৫ টাকা ১০ পয়সা কমে নেমে এসেছে ২৬৭ টাকা ৬০ পয়সায়।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১.৪১ শতাংশ দর কমেছে বিডিকম অনলাইনের। কোম্পানিটি এবার ভালো লভ্যাংশ দেবে গুঞ্জনে গত তিন মাসে শেয়ারদর আড়াই গুণ হয়ে গিয়েছিল।
ফ্লোর প্রাইস ঘোষণার দিন গত ২৮ জুলাই দর ছিল ২৯ টাকা ৬০ পয়সা। সেখান থেকে দর ৭৯ টাকা ৯০ পয়সায় উঠে যায় অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। তবে যেভাবে উঠছিল, পড়ছিল সেভাবেই। আট কর্মদিবসেই সেখান থেকে দর কমে ৪২ টাকা ৩০ পয়সায় নেমে আসে। তবে এরপর আরও তিন কর্মদিবসে দর বেড়ে হয় ৪৮ টাকা ৪০ পয়সা।
কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৪০ পয়সা আয় করে এক টাকা লভ্যাংশ ঘোষণার পর দর হারিয়েছে ৫ টাকা ৪০ পয়সা। নেমে এসেছে ৪১ টাকা ৯০ পয়সায়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ১০.১৮ শতাংশ দর হারিয়েছে আরএফএল। ১০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানিটির দরও তরতর করে বাড়ছিল বোনাস বা রাইট শেয়ারের গুঞ্জনে। কিন্তু বহু বছরের ধারাবাহিকতায় এটি এবারও ২৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণার পর বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়েছে।
এই কোম্পানিটির শেয়ারদর গত ২৮ জুলাই ১৫৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে তিন মাসেরও কম সময়ে উঠে যায় ২৩২ টাকা ৪০ পয়সায়। এক দিনে ১৯ টাকা ৬০ পয়সা কমে দর দাঁড়িয়েছে ১৭৩ টাকায়।
আগামী ৭ নভেম্বর লভ্যাংশ-সংক্রান্ত সভা করতে যাওয়া ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস দর হারিয়েছে ১০ শতাংশ, যে কোম্পানিটির দর সম্প্রতি লাফাচ্ছিল।
এ ছাড়া গত সপ্তাহে শেয়ারপ্রতি এক টাকা ২০ পয়সা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা জেএমআই হসপিটালের দর ৯.৩৯ শতাংশ, ইয়াকিন পলিমারের দর ৮.৪৯ শতাংশ কমেছে।
স্বল্প মূলধনি পেপার পোসেসিং ৮.১১ শতাংশ, জেমিনি সি ফুড ৭.৪৫ শতাংশ, অ্যাপেক্স ফুড ৭.৪২ শতাংশ, এবং তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল ৭.৩৭ শতাংশ দর হারিয়েছে।
আরও একটি কোম্পানির দর ৭ শতাংশের বেশি, ৩টির দর ৬ শতাংশের বেশি, ৭টির দর ৫ শতাংশের বেশি, ৮টির দর কমেছে ৪ শতাংশের বেশি।
এমনকি শেয়ার প্রতি ২ টাকা নগদ ও প্রতি ১০টি শেয়ারের বিপরীতে ৮টি বোনাস শেয়ার ঘোষণা করা স্বল্প মূলধনি আনোয়ার গ্যালভানাইজিংও ৩.৫৩ শতাংশ বা ১৮ টাকা ৬০ পয়সা দর হারিয়েছে।
গত এক মাসে কোম্পানিটির দর ৩৯২ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৫৯০ টাকা উঠে গিয়েছিল। লভ্যাংশ ঘোষণার পর প্রথম কর্মদিবসে দর দাঁড়িয়েছে ৫০৮ টাকা।
সূচকে বেশি প্রভাব বেক্সিমকো এবং ওরিয়ন গ্রুপের পাঁচ কোম্পানি
স্বল্প মূলধনির দর বেশি কমলেও সূচকে প্রভাব ফেলার মতো কোম্পানি সেগুলো না। আলোচিত এই দুটি গ্রুপের বেস্কিমকো লিমিটেড ও বেস্কিমকো ফার্মা, ওরিয়ন ফার্মা, বিকন ফার্মা ও কোহিনূর কেমিক্যালস সূচক কমিয়েছে বেশি।
আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ আয় করেও বেস্কিমকো লিমিডেট লভ্যাংশ কমিয়েছে ৫ শতাংশ, আর বেস্কিমকো ফার্মা দেড় গুণ আয় করেও লভ্যাংশ বাড়ায়নি।
এর প্রভাবে বেস্কিমকো লিমিটেডের শেয়ারদর নেমে এসেছে বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইসে। বেস্কিমকো ফার্মার দরও ফ্লোর প্রাইসের কাছাকাছি নেমেও পরে সেখান থেকে কিছুটা বেড়েছে।
বেস্কিমকো লিমিটেডের ২.৬১ শতাংশ দরপতনে ৭.৫১ পয়েন্ট, বেস্কিমকো ফার্মার ২.০৫ শতাংশ দরপতনের কারণে কারণে ৬.১৭ পয়েন্ট সূচক কমেছে।
ওরিয়ন গ্রুপের চারটি কোম্পানির মধ্যে গত সপ্তাহে বিকন ফার্মা লভ্যাংশ ঘোষণা করে। কোম্পানিটির শেয়ারদর গত আড়াই বছরে ১৫ গুণের বেশি বেড়েছে। তবে লভ্যাংশ আহামরি হয়নি। তারপরও গত সপ্তাহে দর বেড়েছিল। নতুন সপ্তাহের শুরুতেই দর হারিয়ে একক কোম্পানি হিসেবে সূচক কমাল সবচেয়ে বেশি।
এই গ্রুপের আরও দুই কোম্পানি ওরিয়ন ফার্মা এবং তুমুল আলোচিত ওরিয়ন ইনফিউশন এখনও লভ্যাংশ ঘোষণা-সংক্রান্ত পর্ষদ সভার সময় ঘোষণা করেনি।
বিকন ফার্মার ৪.৭৯ শতাংশ দরপতনে সূচক কমেছে ১০.৭৪ পয়েন্ট। একক কোম্পানি হিসেবে আর কোনোটি সূচকে এত বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেনি।
ওরিয়ন ফার্মার ৪.০৪ শতাংশ দরপতনে ৩.১৭ পয়েন্ট আর কোহিনুর কেমিক্যালসের ১.৯২ শতাংশ দরপতনে সমান সংখ্যক পয়েন্ট সূচক কমেছে।
গ্রুপের আরেক কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশনের দর কমেছে ৩ টাকা ৭০ পয়সা।
এছাড়া সোনালী পেপার, জেএমআই হসপিটাল, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ইউনিক হোটেল, ও শাহজিবাজার পাওয়ারের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৪৫ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট।
বিপরীতে ১১ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে নাভানা ফার্মা। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৭৮ দশমিক ০৮ শতাংশ।
সি-পার্লের দর ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৬১ পয়েন্ট।
এডিএন টেলিকম সূচকে যোগ করেছে ১ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৭ দশমিক ০৯ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, বসুন্ধরা পেপার, ইস্টার্ন ক্যাবলস, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, প্রাইম ব্যাংক, যমুনা অয়েল ও মুন্নু সিরামিকস।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৭০ পয়েন্ট।
শীর্ষ ৫ খাত যেমন
একমাত্র খাত হিসেবে ২১টি বা ৫১.২২ শতাংশ কোম্পানির দরবৃদ্ধি দেখা গেছে সাধারণ বিমা খাতে। এ ছাড়া সবগুলো খাতেই দরবৃদ্ধি ও দরপতনের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক কোম্পানির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দর বা ফ্লোর প্রাইসে।
তালিকায় থাকা বস্ত্র খাতে সবচেয়ে বেশি ৪৯টি, ব্যাংক ২৭টি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ১৮টি, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২৬টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে।
একদিন পরেই আবার শীর্ষে চলে এসেছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। এক মাত্র এই খাতটিতেই শতকোটির ওপরে লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হয়েছে ১৬৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। আগের দিনে এর পরিমাণ ছিল ১৪১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৫টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে। দরপতন হয়েছে ১৪টির।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয়েছে ৯৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের দিনে ১১৮ কোটি ৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল। খাতটিতে ৩টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ২২টির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে ও ১৫টির দরপতনে।
তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বিবিধ খাতে। ৯৭ কোটি ২১ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। ১টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে। দরপতন হয়েছে ৬টির।
৭৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা লেনদেন করে চতুর্থ স্থানে থাকা সাধারণ বিমা খাতের ২১টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে আগের দরে লেনদেন হয়েছে ১৯টির। ১টি কোম্পানির দরপতন হয়েছে।
কাগজ ও মুদ্রণ খাতে ৬৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। ২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি, ৩টির দরপতন ও আগের দরে লেনদেন হয়েছে ১টির।
প্রযুক্তি খাতে ৬০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ছাড়া আর কোনো খাতের লেনদেন পঞ্চাশ কোটি অতিক্রম করেনি।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সর্বোচ্চ ৭৮ দশমিক ০৮ শতাংশ দর বেড়েছে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি নাভানা ফার্মার। ৫১ টাকা ১০ পয়সার শেয়ার ৩৯ টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৯১ টাকায়।
গত ১৮ অক্টোবর ২৪ টাকায় পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করে কোম্পানিটি। টানা ৭ কর্মদিবস ১০ শতাংশের আশোপাশে বেড়ে বৃহস্পতিবার দড় দাঁড়ায় ৫১ টাকা ১০ পয়সায়।
সেদিন লেনদেন শেষে কোম্পানিটি ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। আর এই লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে এদিন শেয়ারটির কোনো মূল্যসীমা ছিল না।
তিনটি কোম্পানির দর বেড়েছে পুরোপুরি ১০ শতাংশ। এর পরেই দরবৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে লেনদেন শুরু করা চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স। শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ১১ টাকায়।
ইস্টার্ন ক্যাবলসের শেয়ার ১৯০ টাকা থেকে বেড়ে ২০৯ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে।
একই সমান দর বেড়ে হাক্কানি পাল্প ৬৯ টাকা ৩০ পয়সা লেনদেন হয়েছে। আগের দর ছিল ৬৩ টাকা।
এছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ৮.৯৬ শতাংশ, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের ৮.৭৮ শতাংশ, এডিএন টেলিকম ৭.০৮ শতাংশ, মুন্নু সিরামিকস ৬.৮৯ শতাংশ, সিনোবাংলা ফার্মা ৬.০১ শতাংশ ও ইনফরমেশন সার্ভিসেসের দর বেড়েছে ৫.৩৬ শতাংশ।
এ ছাড়াও ৭টি করে ১৪টি কোম্পানির দর বেড়েছে ৪ ও ৩ শতাংশের বেশি, ২টির ২ শতাংশের বেশি, ১০টির এক শতাংশের বেশি এবং ১১টির দর বেড়েছে এক শতাংশের কম।
আরও পড়ুন:তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
মন্তব্য