× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
The situation of Garibganj due to the increased price of daily commodities
google_news print-icon

নিত্যপণ্যের বাড়তি দরে ‘গরিবগঞ্জের পরিস্থিতি’

নিত্যপণ্যের-বাড়তি-দরে-গরিবগঞ্জের-পরিস্থিতি
নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে সংকটে পড়েছে মানুষ। বসবাসে খরচ বাড়ছে প্রতিটা খাতেই। ফাইল ছবি
বাড়তি ব্যয় সামাল দিতে কেউ শখ আহ্লাদের পেছনে ব্যয় কমাচ্ছে, কেউ সন্তানদের পেছনে ব্যয় কমাচ্ছে, কেউ ঘোরাঘুরি বাদ দিচ্ছে, কাপড় কম কিনছে, বাজারে কম দামি মাছ ও সবজি কিনছে, কেউ আড্ডায় কম যাচ্ছে, বিয়েসহ সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ না নেয়া, কেউ বা রিকশা বাদ দিয়ে হাঁটছেন, বাসার গৃহকর্মী বাদ দিয়েছেন সন্তানকে প্রাইভেট টিউশন দেয়ার বদলে নিজেই পড়াচ্ছেন। এই খরচ কমিয়ে দেয়ায় আবার অর্থনীতিতে পড়ছে টাকার টান। যেমন পাড়ার খাবারের দোকানে বিক্রি কমে গেছে, ফুটপাতে ভ্যানের ফল বিক্রেতারও আয় আগের মতো নেই।

কবি তারাপদ রায়ের কবিতা ‘গরিবগঞ্জের রূপকথা’র মতো পরিস্থিতি অনেকটা। কবির সেই বড়সড় গ্রামটি গরিব, কারণ সেখানে টাকা নেই। এ কারণে কলের চাকাও নেই। যেহেতু কলের চাকা নেই, তাই মানুষের হাতে টাকাও নেই।

নিত্যপণ্যের দর বাড়ছে, এ কারণে মানুষ তার সংসারের খরচ কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছে। আর যে খাতে খরচ কমাচ্ছে, তাতে আবার আরেকজনের আয় কমে যাচ্ছে।
সরকারি হিসাবেই এখন মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ ছুঁই ছুঁই। অর্থাৎ একই পণ্য বা সেবা নিতে গত বছর এক হাজার টাকা খরচ হলে এখন তা লাগছে ১১০০।

যে সংসারের ব্যয় ছিল ২০ হাজার, তার এখন লাগছে ২২ হাজার, যে সংসারের ব্যয় ছিল ৪০ হাজার তার এখন লাগছে ৪৪ হাজার।

বাড়তি ব্যয় সামাল দিতে কেউ শখ আহ্লাদের পেছনে ব্যয় কমাচ্ছে, কেউ সন্তানদের পেছনে ব্যয় কমাচ্ছে, কেউ ঘোরাঘুরি বাদ দিচ্ছে, কাপড় কম কিনছে, বাজারে কম দামি মাছ ও সবজি কিনছে, কেউ আড্ডায় কম যাচ্ছে, বিয়েসহ সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ না নেয়া, কেউবা রিকশা বাদ দিয়ে হাঁটছেন, বাসার গৃহকর্মী বাদ দিয়েছেন, সন্তানকে প্রাইভেট টিউশন দেয়ার বদলে নিজেই পড়াচ্ছেন।

এই খরচ কমিয়ে দেয়ায় আবার অর্থনীতিতে পড়ছে টাকার টান। যেমন পাড়ার খাবারের দোকানে বিক্রি কমে গেছে, ফুটপাতে ভ্যানের ফল বিক্রেতারও আয় আগের মতো নেই।

গৃহশ্রমিককে বাদ দিয়ে নিজেদের টিকে থাকার যে চেষ্টা, তাতে সেই গৃহশ্রমিকের সংসার কীভাবে চলবে? যে খাবার দোকানে বিক্রি কমে গেছে, সেই দোকানের উদ্যোক্তা বা কর্মচারীদের বিপত্তি আরও বেড়েছে, যে কাপড় বিক্রেতাকে বাড়তি দর পেয়েও মুখ ভার করে রাখতে হচ্ছে আগের চেয়ে কম বিক্রির কারণে, তিনি আবার চায়ের দোকানে কম যাওয়ায় চা বিক্রেতার মন খারাপ করতে হচ্ছে। কারণ বিক্রি কমে গেছে তারও।

রিকশায় না চেপে হেঁটে সাদেকুর রহমানরা দুই বেলায় হেঁটে অফিসে আসা-যাওয়া করায় তার শারীরিক কসরত হচ্ছে বটে, তবে দুই বেলায় তিনি ৫০ টাকা করে যে ১০০ টাকা দুজন রিকশাচালককে দিতেন, সেই টাকাটা এখন তারা কম পাওয়ায় তার সংসারের খরচ মেটানো হয়ে গেছে কঠিন।

এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ কবে বা কীভাবে তা নিয়ে অর্থনীতিবিদরা সুনির্দিষ্ট কোনো ধারণা দিতে পারছেন না। মূল্যস্ফীতি কমাতে দেশে দেশে যে কৌশলগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে, কাজে আসছে না সেগুলোর কিছুই। সব মিলিয়ে একটি হতাশাজনক সময়ে মানুষ।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম মনে করেন, মানুষের এই খরচ কমানোর প্রবণতা অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘মানুষ ব্যয় কাটছাঁট করলে তার প্রভাব সার্বিক অর্থনীতিতে পড়বে। কারণ ব্যয় কমাতে কেউ বাইরে খাওয়া কমিয়ে দিচ্ছে, তখন রেস্টুরেন্টের ব্যবসা কমবে। ঘোরাঘুরি কম করলে পর্যটন এলাকার মানুষের জীবনমানে প্রভাব পড়বে। পোশাক কেনা কমে যাওয়ায় বস্ত্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়ও নেতিবাচক ধারা দেখা দেবে। অর্থাৎ সার্বিক অর্থনীতি চাপে পড়বে।’

অর্থনীতিতে এভাবে টাকার স্রোত কমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বেতন বাড়ানোর সুপারিশ এসেছে। তবে ডলারের বিপরীতে টাকার দর কমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বেতন বা মজুরি বাড়ানোর মতো পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে কি না, এ নিয়ে ও আছে প্রশ্ন।

বিশ্ব অর্থনীতিতে যে মন্দার কথা বলাবলি হচ্ছে, তাতে প্রায় সব দেশের মতো ভীষণ চাপে বাংলাদেশের নির্দিষ্ট আয়ের মানুষরাও। খরচ বেড়ে যাচ্ছে, কিন্তু আয় বাড়ছে না। এই অবস্থায় সংসার চালানো হয়ে গেছে কঠিন।

যেভাবে টিকে আছে সংসারগুলো

বেসরকারি ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান। বাসা রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে। স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে সংসার।

নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি তার জীবনাচরণে বেশ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, ‘আগে যাত্রাবাড়ী থেকে মতিঝিল অফিসে রিকশায় যেতাম, এখন সে পথ হেঁটে যাই।’
সাদেকুর মাছ-মাংসেও খরচ কমিয়েছেন সংসারের খরচ মেটাতে গিয়ে। আগে ভাজি, তরকারি মিলিয়ে তিনটি আইটেম থাকলেও এখন খাবার টেবিলে ওঠে দুটি।

শখ-আহ্লাদ বা কিছুটা বিলাস করার সুযোগ নেই শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে চারজনের সংসার।

বাড়তি ব্যয় সামাল দিতে দুই মাস আগে তিন রুমের বাসা ছেড়ে দুই রুমের বাসা নিয়েছেন। আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি বা দাওয়াত-আড্ডায় যাচ্ছেন না সিদ্ধান্ত নিয়েই। সপ্তাহে ছুটির দিন সবাই মিলে বাইরে খাওয়ার অভ্যাসটিও বাদ দিয়েছেন।

শফিকুল বলেন, ‘দুই বছরে বাসাভাড়া বেড়েছে দুই হাজার টাকা। এতদিন মেয়ে স্কুলে পড়ত। সামনের জানুয়ারিতে ছেলেকেও স্কুলে দিতে হবে। তখন খরচ আরও বাড়বে। কী করব জানি না।’

করোনার কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে কোম্পানি ভালো ব্যবসা করতে পারেনি। এ জন্য গত দুই বছরে বেতন বাড়েনি। স্ত্রী একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে চাকরি করতেন। করোনার সময় সেটি বন্ধ হয়ে আর চালু হয়নি। ফলে ব্যয় বাড়লেও কার্যত তার পরিবারের আয় এই সময়ে কমেছে।

বেসরকারি একটি কলেজের প্রভাষক আমেনা সুলতানা। তার স্বামী একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। দুই মেয়ে ও শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে বেশ সচ্ছলভাবেই চলছিল এতদিন। কিন্তু হঠাৎ করেই জীবন হয়ে গেছে এলোমেলো।

বাড়তি ব্যয় সামাল দিতে গিয়ে তিনি যা জানালেন, তার অর্থ হচ্ছে, প্রতিদিন একটি রুটিনে যন্ত্রের মতো সব করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘মাসে দু-একবার হলে গিয়ে সিনেমা দেখা, রেস্তোরাঁয় খেতে যেতাম। এখন সেটা বাদ দিয়েছি। আগে নিয়মিত বিউটি পার্লারে যেতাম, এখন সেটাও বাদ দিয়েছি। প্রতি মাসে পোশাক বাবদ যে ব্যয় ছিল সেটা এখন সংসারের অন্য কাজে ব্যয় করতে হচ্ছে। সংসারের ওপর চাপও বাড়ছে।’

বেসরকারি একটি টেলিভিশনে চাকরি করেন সজল রহমান। মিরপুর ৬০ ফিটে থাকেন। স্ত্রী ও এক ছেলে নিয়ে সংসারের আয়ের উৎস তিনি একাই।

আমেনার মতোই অবস্থা তার জীবনেও। বলেন, ‘ছুটির দিনে পরিবারের সবাই বাইরে ঘোরাঘুরি ও রেস্টুরেন্টে খেতাম। এখন সেটা বাদ দিয়েছি। এখন ঘরেই কাটে ছুটির দিন। তাতে খরচটা বাঁচে।’

নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন টিটোন রহমান। বেতন ১৬ হাজার টাকা। ওভারটাইম কাজ করে তা ২০ হাজার হয়। স্ত্রী ও তিন বছরের এক ছেলেকে নিয়ে সাবলেটে থাকেন।

টিটোন বলেন, ‘ঘরভাড়া চার হাজার দেয়ার পর বাজার করতেই হিমশিম অবস্থা। আগে সপ্তাহে তিন দিন মাছ আর এক দিন মাংস খেতাম। কিন্তু গত তিন থেকে চার মাস মাছ সপ্তাহে দুই দিন আর মাংস মাসে দুইবার খেতে পারছি। বাচ্চাকে প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে দেব, তাও ডিমের দাম চড়া। এভাবে চলতে থাকলে সামনে কীভাবে সব সামাল দেব, বুঝতে পারছি না।’

আরেক ঝুঁকি ঋণের জাল

শেওড়াপাড়ার ছোট্ট একটি টিনের ঘরে বাস করেন আকলিমা খাতুন। স্বামী ও দুই মেয়ে নিয়ে তার সংসার। পাঁচ বাসায় কাজ করে মাসে আয় ৯ হাজার টাকা। আকলিমার স্বামী স্থায়ী কিছু করেন না। কাজের খোঁজে বের হয়ে কোনো কোনো দিন ফেরত আসতে হয় তাকে।

আকলিমা বলেন, ‘চার হাজার টাকা ঘর ভাড়া দেয়ার পর বাকি ৫ হাজার দিয়ে কোনটা রেখে কোনটা কিনব? চারজনের সংসারে চাল, ডাল, তেল কিনতেই সব শেষ। মাছ-মাংস তো দূরের কথা, সবজি কিনে খাব সে উপায়ও নেই। ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি বাজারে নেই।’

বাড়তি ব্যয় সামাল দিতে গিয়ে তিনি যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, সেটি তার ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে।

আকলিমা জানান, এনজিও বা কোনো সংস্থা বা কারও থেকে টাকা ধার করছেন প্রতি মাসেই। কিন্তু এখানেও দিতে হচ্ছে চড়া সুদ। ২০ হাজার ধার নিলে দেয়া লাগে ২৫ হাজার টাকা। প্রতি মাসেই কিস্তি দিতে হয় দেড় থেকে দুই হাজার টাকা।

কত বেড়েছে খরচ

পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে সেপ্টেম্বর মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ। এ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

অর্থাৎ গত বছর যা ব্যয় ছিল ১০ হাজার টাকা, চলতি বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৯১০ টাকা। এটি সামগ্রিক গড় হিসাব। ক্ষেত্রবিশেষে ব্যয় আরও বেড়েছে।
যেমন চালের দাম এখন ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। কাঁচাবাজারে মানুষের ব্যয়ও বেশ বেড়ে গেছে। বেশির ভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০ টাকার বেশি দরে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের হিসাবে দেখা গেছে, এক বছরের ব্যবধানে চালের দাম ১০ থেকে ১৩ শতাংশ বেড়েছে। তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ১৫ থেকে ২৪ শতাংশ। মানভেদে মসুর ডাল সর্বোচ্চ ১৮ শতাংশ, ডিমের দাম ৩১ শতাংশ, লবণ ১২ শতাংশের ওপরে, লেখার কাগজ ২২ শতাংশ, গুঁড়া দুধ মানভেদে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ বেড়েছে। তরল দুধের দর এই সময়ে ৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ৯৫ টাকা হয়ে গেছে।

বেতন বাড়ানোর পরামর্শ

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাড়তি ব্যয় নির্বাহে সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ ইনক্রিমেন্ট দেয়া যেতে পারে। সরকারি নিম্নপদে কর্মরতদের জন্য বিশেষ ইনক্রিমেন্ট সরকার বিবেচনা করবে। আর বেসরকারিদের ক্ষেত্রে সরকারের অনুরোধে তারা বিষয়টি বাস্তবায়ন করবে। শ্রমিক ও অন্য পেশাজীবীদের মজুরি পুনর্নির্ধারণও দরকার। এখানেও সরকারের উদ্যোগ নিতে হবে।

হতদরিদ্র মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়ানোর পরামর্শও এসেছে। তিনি বলেন, ‘এসব বিষয় বিবেচনা করে আয় যদি কিছুটা স্বাভাবিকের কাছাকাছি রাখা যায়, তাহলে অন্তত ভোগে কাটছাঁট করতে হবে না। মানুষের জীবনযাত্রায় যেসব খাত জড়িত সেসব সংযুক্ত খাতগুলোতে নেতিবাচক প্রভাবের মাত্রা কম থাকবে।’

অর্থনীতিবিদ এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘মানুষের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। শুধু বরাদ্দ বাড়ালেই হবে না, এর সুষ্ঠু বণ্টন যেন হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’

আরও পড়ুন:
দাম নিয়ে কারসাজির মামলার পর আরও বাড়ল বাজার খরচ
অত্যাবশ্যক ৯ পণ্যের দাম নির্ধারণ করবে সরকার
চালের দামে অস্থিরতা ৯ কারণে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Signature of Memorandum of Understanding and agreement between Dhaka Bejing

ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ৯ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ৯ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের কালজয়ী সাহিত্য ও শিল্পকর্মের অনুবাদ ও সৃজন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও খবর আদান-প্রদান, গণমাধ্যম, ক্রীড়া এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিময় সহযোগিতা। এর পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচ বিষয়ে সহযোগিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে।

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি এবং আটটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার চার দিনের চীন সফরের তৃতীয় দিন শুক্রবার দুই দেশের মধ্যে এ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও স্মারকগুলো স্বাক্ষর হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের কালজয়ী সাহিত্য ও শিল্পকর্মের অনুবাদ ও সৃজন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও খবর আদান-প্রদান, গণমাধ্যম, ক্রীড়া এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিময় সহযোগিতা। এর পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচ বিষয়ে সহযোগিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে।

এগুলো হলো বিনিয়োগ আলোচনা শুরু করা, চীনের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু, মোংলা বন্দরের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ, একটি রোবট ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ এবং একটি কার্ডিয়াক সার্জারি গাড়ি অনুদান।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে তুলসি গ্যাবার্ডের বক্তব্যের প্রতিবাদ সরকারের
ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর
ভারতের অভ্যন্তরে ‌খাসিয়াদের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
ইরান থেকে জ্বালানি তেল আমদানি বাড়াবে চীন
ভারতে বিমানের ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ, যাত্রীরা অক্ষত

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Positive response to reduce loan interest rates assured Chinas water resources management
ইউএনবিকে প্রেস সচিব

ঋণের সুদহার কমাতে ইতিবাচক সাড়া চীনের, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার আশ্বাস

ঋণের সুদহার কমাতে ইতিবাচক সাড়া চীনের, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং। কোলাজ: নিউজবাংলা
ড. ইউনূসের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্টের বৈঠককে অত্যন্ত সফল উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ইউএনবিকে বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি বিষয় উত্থাপন করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশকে দেওয়া চীনা ঋণের সুদের হার কমানো ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় দেশটির সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়টি ছিল।’

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের উত্থাপিত বিষয়গুলো চীন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং।

স্থানীয় সময় শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট এ কথা জানান।

ড. ইউনূসের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্টের বৈঠককে অত্যন্ত সফল উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ইউএনবিকে বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি বিষয় উত্থাপন করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশকে দেওয়া চীনা ঋণের সুদের হার কমানো ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় দেশটির সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়টি ছিল।’

তিনি বলেন, ‘বৈঠকে আলোচনা অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ, গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে।’

প্রেস সচিব বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার এটি ছিল প্রথম দ্বিপক্ষীয় বিদেশ সফর। এখন পর্যন্ত এটি একটি বড় সফলতা।’

প্রেসিডেন্ট শির বক্তব্যের বরাতে শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও কারখানা স্থাপনে চীন তার দেশের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করবে।

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট শি ফুজিয়ান প্রদেশের গভর্নর থাকাকালীন দুইবার বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে তিনি পড়াশোনা করেছেন। সে কথাও উল্লেখ করেছেন চীনের রাষ্ট্রপ্রধান।

প্রেসিডেন্ট শির উদ্বৃতি দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, তিনি বাংলাদেশি আম ও কাঁঠাল খেয়েছেন। এগুলো সুস্বাদু। আশা করা হচ্ছে বাংলাদেশ আগামী মৌসুমে এ দুটি ফল চীনে প্রচুর পরিমাণে রপ্তানি করবে।

চীনা প্রেসিডেন্ট ও প্রধান উপদেষ্টা চীনের পিপলস গ্রেট হলে করা বৈঠকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

তারা দুই দেশের সম্পর্ককে জোরদার করা ও ঢাকা-বেইজিংয়ের পারস্পরিক ও কৌশলগত স্বার্থকে এক নতুন উচ্চতায় নেওয়ার উপায় নিয়েও আলোচনা করেন।

আরও পড়ুন:
২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ
সমৃদ্ধ এশিয়া গড়তে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরির আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা প্রধান উপদেষ্টার
স্টারলিংকের ইন্টারনেট বাণিজ্যিকভাবে চালু করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Rivo brings C12 electric bikes with state of the art technology in the country market

দেশের বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সি৩২ ইলেকট্রিক বাইক আনল রিভো

দেশের বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সি৩২ ইলেকট্রিক বাইক আনল রিভো সি৩২-এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য শক্তিশালী ১৮০০ ওয়াট মোটর, যা ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। ছবি: রিভো
সি৩২-এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য শক্তিশালী ১৮০০ ওয়াট মোটর, যা ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। বাইকটির ইকো মোডে গতি ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং একবার চার্জে এটি ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে।

বাংলাদেশের বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সি৩২ ইলেকট্রিক বাইক এনেছে বৈশ্বিক ব্র্যান্ড রিভো। অত্যাধুনিক ৭২ ভোল্ট ২৬ অ্যাম্পিয়ার সম্পূর্ণ গ্রাফিন ব্যাটারি পরিচালিত এই ইলেকট্রিক বাইকের উদ্বোধন ঘোষণা করেন রিভো বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ভেন নি।

ফিচার

সি৩২-এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য শক্তিশালী ১৮০০ ওয়াট মোটর, যা ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। বাইকটির ইকো মোডে গতি ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং একবার চার্জে এটি ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে।

অন্যদিকে স্পোর্ট মোডে সর্বোচ্চ গতি ৬০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং এক চার্জে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে।

সি৩২ ইলেকট্রিক বাইকে উন্নত ৭২ ভোল্ট ২৬ অ্যাম্পিয়ার গ্রাফিন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে, যা পাঁচ শতাধিক চার্জিং সাইকেল সাপোর্ট করে এবং প্রতিটি পূর্ণ চার্জে মাত্র ২.০৮ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করে।

ব্যাটারিটি সম্পূর্ণ চার্জ হতে ১০.৬ ঘণ্টা সময় নেয়, যা রাতে চার্জ দিয়ে দিনব্যাপী ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।

নিরাপত্তা এবং আরামকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে রিভো সি৩২। এতে রয়েছে সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনে ড্রাম ব্রেক সিস্টেম, যা সর্বোচ্চ স্টপিং পাওয়ার নিশ্চিত করে।

ফ্রন্ট ও রিয়ার হাইড্রোলিক সাসপেনশন থাকার ফলে রাইডাররা মসৃণ ও আরামদায়ক রাইড উপভোগ করতে পারেন। এমনকি অপ্রশস্ত বা অসমান রাস্তাতেও।

রাতে নিরাপদ যাত্রার জন্য সি৩২-এ রয়েছে পূর্ণ এলইডি লাইটিং সিস্টেম, যার মধ্যে এলইডি হেডলাইট, টেইললাইট এবং টার্ন সিগন্যাল অন্তর্ভুক্ত।

রিভো সি৩২ শুধু শক্তিশালী পারফরম্যান্সই দেয় না, এটি ডিজাইনেও বেশ কার্যকর। ১৪০ কেজি ওজনের মজবুত অথচ হালকা ফ্রেম এবং সামনে ও পিছনে ৯০/৮০-১২'' ভ্যাকুয়াম টায়ার যুক্ত বাইকটি দুর্দান্ত গ্রিপ এবং স্থিতিশীলতা প্রদান করে।

২০৫ এমএম পর্যন্ত গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স থাকায় এটি যেকোনো ধরনের রাস্তার জন্য উপযোগী। সিট বাকেটে ২৪ লিটার স্টোরেজ স্পেস রয়েছে, যা ব্যক্তিগত জিনিসপত্র বহনের জন্য আদর্শ।

ব্যবহারকারীবান্ধব ডিজাইন এবং আরামের সমন্বয়ে এটি শহরের যাতায়াতকারী এবং দূরপাল্লার রাইডারদের জন্য একটি পারফেক্ট পছন্দ।

এখন থেকে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যে বাংলাদেশের সব শোরুমে পাওয়া যাচ্ছে।

সি৩২ যাতায়াতকে সহজ, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব করতে উন্নত প্রযুক্তি, শক্তিশালী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করছে, যা প্রতিদিনের যাত্রীদের পাশাপাশি পরিবেশ সচেতন রাইডারদের জন্য আদর্শ হতে পারে।

আরও পড়ুন:
মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলবে
পদ্মা সেতুতে বাইক এখনই নয়
‘মোগো ওপর দিয়া বাস চালাইয়া যাউক’
হানিফ ফ্লাইওভারে বাইক দুর্ঘটনায় তিতুমীর কলেজের ছাত্রী নিহত
মাস্টার চাবি বানিয়ে ৫০০ বাইক চুরি

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Three tonnes of potatoes went to Nepal through Banglabandha

বাংলাবান্ধা দিয়ে নেপালে গেল আরও ১০৫ টন আলু

বাংলাবান্ধা দিয়ে নেপালে গেল আরও ১০৫ টন আলু আলুবোঝাই ট্রাক। ছবি: বাসস
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন জানান, বুধবার বিকেলে স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচটি ট্রাকে ১০৫ টন আলু নেপালে গেছে।

আলু রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। এ স্থলবন্দর দিয়ে নতুন করে আরও ১০৫ টন আলু গিয়েছে নেপালে।

এ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ১ হাজার ৫৫৪ টন আলু নেপালে রপ্তানি করা হলো।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন জানান, বুধবার বিকেলে স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচটি ট্রাকে ১০৫ টন আলু নেপালে গেছে।

তিনি জানান, আলুগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এগুলো রপ্তানি করছে থিংকস টু সাপ্লাই ও ফাস্ট ডেলিভারি নামে দুটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে থিংকস টু সাপ্লাই ৪২ ও ফাস্ট ডেলিভারি ৬৩ টন রপ্তানি করে। এ ছাড়াও বন্দরটি দিয়ে হুসেন এন্টারপ্রাইজ, ক্রসেস এগ্রো, সুফলা মাল্টি প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং লোয়েড বন্ড লজিস্টিক নামের কয়েকটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানও নেপালে আলু রপ্তানি করছে।

উজ্জ্বল হোসেন বলেন, রপ্তানিকারকরা প্রয়োজনীয় নথিসহ অনলাইনে আবেদন করলে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের ল্যাবে পরীক্ষা করার পর ফাইটোসেনেটারি সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। রপ্তানিকৃত আলুগুলো স্টারিজ এবং লেডিও রোজেটা জাতের।

আরও পড়ুন:
গজারিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি, আলু পরিবহন বন্ধ
নেপালে সড়ক দুর্ঘটনায় আটজন নিহত
নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ঢাকা-দিল্লি-কাঠমাণ্ডু চুক্তি সই
নেপালে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৩
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
AA 3 Pro Sales of Sale of A Apo

‌‘এ৫ প্রো’ বিক্রিতে রেকর্ডের কথা জানাল অপো

‌‘এ৫ প্রো’ বিক্রিতে রেকর্ডের কথা জানাল অপো ‘অপো এ৫ প্রো’ বিক্রয় প্রবৃদ্ধির পোস্টার। ছবি: অপো
ডিভাইসটির প্রথম দিনের বিক্রয়ের বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে অপো বাংলাদেশ অথরাইজ এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, ‘এ সফলতা অপোর প্রতি বাংলাদেশি গ্রাহকদের আস্থা ও আগ্রহের বিষয়টিই সফলভাবে চিত্রিত করছে। তাদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো অভিনব পণ্য উদ্ভাবন ও সেবা প্রদানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

বাজারে নতুন আসা স্মার্টফোন ‘অপো এ৫ প্রো’ রেকর্ড গড়া পারফরম্যান্স করেছে বলে জানিয়েছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানি অপো।

কোম্পানিটি শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আগের জেনারেশনের ডিভাইসের তুলনায় নতুন স্মার্টফোনটি ৪৫০ শতাংশ বেশি বিক্রয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা বাংলাদেশের বাজারে অপোর ধারাবাহিক সফলতার নির্দেশক। তাৎপর্যপূর্ণ এ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের বাজারে অপোর ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি এবং ব্রান্ডটির প্রতি গ্রাহকদের গভীর আস্থা ও আনুগত্যের প্রতিফলন।

অপো প্রতিনিয়ত স্মার্টফোন প্রযুক্তির অভিনব উদ্ভাবনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোম্পানিটির ‘অপো এ৫ প্রো’ ডিভাইসের ক্ষেত্রেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। ফোনটি নিত্যদিনের বৈচিত্র্যময় চাহিদা পূরণে ভোক্তাদের আধুনিক ও উন্নত সব ফিচার ব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছে।

কোম্পানির কর্মকর্তা ও গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া

বিজ্ঞপ্তিতে অপো এ৫ প্রোর বিক্রয় নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা ও একাধিক গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেছে অপো।

ডিভাইসটির প্রথম দিনের বিক্রয়ের বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে অপো বাংলাদেশ অথরাইজ এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, ‘এ সফলতা অপোর প্রতি বাংলাদেশি গ্রাহকদের আস্থা ও আগ্রহের বিষয়টিই সফলভাবে চিত্রিত করছে। তাদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো অভিনব পণ্য উদ্ভাবন ও সেবা প্রদানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

একটি বেসরকারি প্রকৌশল কোম্পানিতে চাকরিরত তারেক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ অপোর নতুন ডিভাইস নিয়ে তার অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, ‘অপো এ৫ প্রোর ওয়াটারপ্রুফ, ডাস্টপ্রুফ এবং শকপ্রুফ ফিচার আমার সবচেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

‌‘আমি এ রকম একটি টেকসই ও সহনশীল স্মার্টফোনের জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছিলাম এবং আমার অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। স্মার্টফোনটি কিনতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত।’

আরেক গ্রাহক শারমিন আক্তার বলেন, “ঈদের আগে আমি একটি মোবাইল কেনার কথা ভাবছিলাম। এ ক্ষেত্রে স্মার্টফোনের দারুণ ডিজাইন ও উন্নত ফিচারগুলো আমার অগ্রাধিকারে ছিল।

“আমার মতে, বাজারের একই ঘরনার ফোনগুলোর মধ্যে এ বিষয়গুলোতে ‘অপো এ৫ প্রো’ই সেরা। ফোনটি পছন্দ করতে পেরে মনে হচ্ছে আমি সঠিক মোবাইলটিই বেছে নিয়েছি।”

নতুন ডিভাইসের ফিচার

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘অপো এ৫ প্রো’ বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন, যেটি আইপি৬৬, আইপি৬৮ এবং আইপি৬৯ রেটিং অর্জন করেছে। ডিভাইসটি পানি, ধুলা ও যেকোনো ধরনের শক থেকে সুরক্ষিত। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মোবাইলটির অনন্য স্থায়িত্ব।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মোবাইলটিতে সংযুক্ত আছে মিলিটারি গ্রেডের ইমপ্যাক্ট রেজিস্ট্যান্স প্রযুক্তি। পাশাপাশি ডিভাইসের মাদারবোর্ড থার্মাল কনডাকটিভিটি বৃদ্ধি করে এবং আগের জেনারেশনের স্মার্টফোনের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি সক্ষমতা প্রদান করে। মোবাইলটি এক হাজার বেন্ডিং টেস্টও উতরে গেছে। অর্থাৎ প্রতিদিনের যেকোনো পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে এটি ব্যবহার উপযোগী।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্মার্টফোনটি নান্দনিক ফটোগ্রাফির জন্য অনন্য। এতে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা এআই সংবলিত উন্নত ফিচার। ডিভাইসটিতে এআই ইরেজার ২.০ ব্যবহার করে সহজেই ছবিতে থেকে অপ্রয়োজনীয় বস্তু মুছে ফেলা যায়। এআই রিফ্লেকশন রিমুভার ব্যবহার করে অযাচিত রিফ্লেকশন সরিয়ে দেওয়া যায়।

এ ছাড়া এআই আনব্লার ফিচার ব্লারি বা অস্পষ্ট ছবিকে আরও স্পষ্ট করে তুলতে সাহায্য করে।

দাম

অপো জানায়, দেশজুড়ে রিটেইল স্টোর এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে স্মার্টফোনটি ২৩ হাজার ৯৯০ টাকায় ৮জিবি+২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে।

বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে অপোর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলোতে।

আরও পড়ুন:
ঈদ ঘিরে ‘অপো’র মেগা গিফট ক্যাম্পেইন
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘অপো এ৫ প্রো’ উন্মোচন
অপো এ৫ প্রোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন মেহেদী মিরাজ
আল্ট্রা ফোনের ধারণা ঘোষণা রিয়েলমির, যুক্ত করা যাবে ডিএসএলআর লেন্স
ক্যাশব্যাক ও স্মার্টফোন জেতার সুযোগ দিচ্ছে ইনফিনিক্স

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
India came to Chittagong port from Pakistan to 4000 tonnes of rice

ভারত, পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো ৪৮ হাজার টন চাল

ভারত, পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো ৪৮ হাজার টন চাল ভারতের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি তানাইস ড্রিম শুক্রবার কাফকো সংলগ্ন জেটিতে বার্থ করে। ছবি: বাসস
পাকিস্তান থেকে আসে ২৬ হাজার ২৫০ টন এবং ভারত থেকে আসে ২২ হাজার ৫০০ টন চাল।

চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে ভারত ও পাকিস্তান থেকে চালবোঝাই আরও দুটি জাহাজ।

এক দিনের ব্যবধানে দুটি জাহাজ বন্দরে পৌঁছায়।

এবার এসেছে ৪৮ হাজার ৭৫০ টন আতপ ও সিদ্ধ চাল। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে আসে ২৬ হাজার ২৫০ টন এবং ভারত থেকে আসে ২২ হাজার ৫০০ টন চাল।

চট্টগ্রাম বন্দরের সাইলো জেটি ও কাফকো-সংলগ্ন জেটিতে এই দুই জাহাজ নোঙর করে বলে শনিবার দুপুরে নিশ্চিত করেন খাদ্য অধিদপ্তরের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্শী চাকমা।

পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজটি শুক্রবার চট্টগ্রাম সাইলো জেটিতে বার্থিং করেছে জানিয়ে তিনি জানান, জাহাজ এমভি মারিয়ম গত ১১ মার্চ ২৬ হাজার ২৫০ টন আতপ চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে প্রবেশ করে।

অন্যদিকে ১২ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে প্রবেশ করে ভারতের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি তানাইস ড্রিম। জাহাজটি শুক্রবার কাফকো সংলগ্ন জেটিতে বার্থ করে।

এ জাহাজ থেকে ২২ হাজার ৫০০ টন বাসমতি নয় এমন সিদ্ধ চাল আনা হয়েছে।

পাকিস্তানের জাহাজ এমভি মারিয়মে আসা চালের নমুনা সংগ্রহ শেষে ভৌত বিশ্লেষণ সম্পন্ন হয়েছে মন্তব্য করে জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্শী চাকমা জানান, এ চালের খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অন্যদিকে ভারত থেকে আসা জাহাজ এমভি তানাইস ড্রিমের চালগুলোর নমুনা সংগ্রহ করা শেষ হয়েছে।

এর আগে বুধবার ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা ৩৮ হাজার ৮৮০ টন চাল বাংলাদেশে এসে পৌঁছে। জি-টু-জি চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম থেকে ১৭ হাজার ৮০০ টন আতপ চাল এবং আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ২১ হাজার ৮০ টন সিদ্ধ চাল কেনা হয়েছে।

গত ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে আরও ৬ হাজার টন সিদ্ধ চাল আমদানি করা হয়।

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামে বাসের ধাক্কায় ভাই, বোনসহ তিনজন নিহত
বিনা মূল্যে ১০ কেজি চাল পাবে এক কোটি পরিবার
ইরানে বোমা হামলার দায় স্বীকার পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর
ভারতে বিমানের ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ, যাত্রীরা অক্ষত
পাকিস্তানে বিস্ফোরণে ১০ জন নিহত

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Eid ul Gift campaign surrounded the Eid

ঈদ ঘিরে ‘অপো’র মেগা গিফট ক্যাম্পেইন

ঈদ ঘিরে ‘অপো’র মেগা গিফট ক্যাম্পেইন অপোর ঈদ মেগা গিফট ক্যাম্পেইনের পোস্টার। ছবি: অপো
ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ক্রেতারা তাদের চাহিদা উপযোগী দারুণ সব ডিল ও অফার উপভোগ করতে পারবেন।

জনপ্রিয় বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘অপো’ পবিত্র রমজান মাসে গ্রাহকদের জন্য বিশেষ ‘ঈদ মেগা গিফট ক্যাম্পেইন’ ঘোষণা করেছে।

১৩ মার্চ থেকে শুরু হয়ে সারা দেশে অপোর আউটলেটগুলোতে বিশেষ এ ক্যাম্পেইন চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত।

ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ক্রেতারা তাদের চাহিদা উপযোগী দারুণ সব ডিল ও অফার উপভোগ করতে পারবেন।

এ বছর অপো ভোক্তাদের জন্য ‘মেগা’ লটারি অফার ঘোষণা করেছে। এতে অংশ নিয়ে ক্রেতারা ১ লাখ টাকা সমমূল্যের গৃহস্থালি উপকরণ (হোম অ্যাপ্লায়েন্স), অপো প্যাড, অপো ওয়াচ অথবা ‘বাই ১, গেট ওয়ান ১’, ডিল উপভোগ করতে পারবেন।

এ ছাড়াও অপো সব ক্রেতার জন্যই বিশেষ ও নিশ্চিত উপহারের ঘোষণা দিয়েছে, যাতে করে সবাই এ আনন্দের ভাগিদার হতে পারেন। নির্দিষ্ট কিছু মডেলের স্মার্টেফোন কিনেও গ্রাহকরা উপহারের ভাগিদার হতে পারবেন। যেমন- ‘রেনো১২এফ’-এর সঙ্গে বিশেষ হুডি, ‘রেনো১৩এফ’-এর সঙ্গে বিশেষ ব্যাগ এবং নতুন বাজারে আসা ‘এ৫ প্রো’র সঙ্গে ‘অপো সুপার শিল্ড কার্ড’ পাবেন তারা।

অপো বাংলাদেশ, অথরাইজ এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, “আমাদের গ্রাহকদের সেরা সেবা দিতে অর্থাৎ কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স বৃদ্ধিতে অপো প্রতিনিয়ত অভিনবভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্টফোন উপভোগের মাধ্যমে এই ঈদে তারা অসাধারণ সব পুরস্কার জিতে নিতে পারবেন। ‘এ৫ প্রো’র উন্মোচন এবং মেগা গিফট ক্যাম্পেইনের এই ঘোষণা ভোক্তাদের রমজান উদযাপনে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে। অপোভক্তদের সঙ্গে এই বিশেষ উপলক্ষ যুক্ত করতে পেরে আমরা আনন্দিত।”

একটি অনলাইন লটারির মাধ্যমে মেগা গিফট লটারির বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে এবং তা অপো এ৩এক্স, এ৬০, রেনো সিরিজ এবং নতুন লঞ্চ হওয়া অপো এ৫ প্রোসহ বিভিন্ন ডিভাইসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

এ ক্যাম্পেইন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ক্রেতাদের নিকটস্থ অপো আউটলেট পরিদর্শনের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

আকর্ষণীয় ঈদ অফার ও অন্যান্য তথ্য পাওয়া যাবে অপো বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/OPPOBangladesh এবং ওয়েবসাইটে website https://www.oppo.com/bd/।

আরও পড়ুন:
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘অপো এ৫ প্রো’ উন্মোচন
অপো এ৫ প্রোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন মেহেদী মিরাজ
আল্ট্রা ফোনের ধারণা ঘোষণা রিয়েলমির, যুক্ত করা যাবে ডিএসএলআর লেন্স
ক্যাশব্যাক ও স্মার্টফোন জেতার সুযোগ দিচ্ছে ইনফিনিক্স
নান্দনিকতা ও সৌন্দর্যের মিশেলে আসছে ‘অপো এ ফাইভ প্রো’

মন্তব্য

p
উপরে