ঋণ নিয়ে চলমান আলোচনার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এশীয় প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চলের বিভাগীয় প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে একটি স্টাফ মিশন বুধবার ঢাকায় আসছেন। ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করবেন আইএমএফ প্রতিনিধি দল।
এ সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি আর্থিক খাতের সংস্কার ও নীতি পর্যালোচনা করতে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সিরিজ বৈঠক করবে আইএমএফ।
এরই মধ্যে বাংলাদেশ সফরে কথা বিৃবতির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটনভিত্তিক বহুজাতিক এই সংস্থাটি। আর্থিক খাতের সংস্কার ও নীতি বিষয়ে অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করাই এই সফরের উদ্দেশ্য বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশের ঋণ নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয় এ বছরের জুলাইতে। ওই সময় আইএমএফের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টালিনা জর্জিভার কাছে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়ে চিঠি দেয় অর্থ বিভাগ। চিঠিতে ঋণের বিষয়ে আইএমএফকে প্রয়োজনীয় আলোচনা শুরুর জন্য অনুরোধ করা হয়।
তিন বছরের জন্য ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চায় সরকার। মূলত লেনদেনের ভারসাম্য রক্ষা এবং বাজেটের সহায়তা বাবদ এই ঋণ চাওয়া হয়েছে, যদিও তখন ঋণ চাওয়া নিয়ে ‘লুকোচুরি’ খেলেছিল সরকার। অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমরা ঋণ চাইনি। তবে প্রয়োজন হলে চাইব।’
সরকার ভেবেছিল আইএমএফের কাছে ঋণ চাওয়ার অর্থই হচ্ছে দেশ অর্থ সংকটে আছে এটা স্বীকার করা। কিন্তু গণমাধ্যমে ঋণ সংক্রান্ত চিঠি ফাঁস হয়ে গেলে চুপসে যান অর্থমন্ত্রী।
আইএমএফের কাছে ঋণ চাওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য নতুন নয়। ১০ বছর আগে বর্ধিত ঋণ কর্মসূচি বা ইসিএফের আওতায় ১০০ কোটি ডলার ঋণ দেয় সংস্থাটি। নতুন ভ্যাট আইন প্রণয়নসহ কিছু শর্ত সাপেক্ষে তিন কিস্তিতে ওই ঋণ ছাড় করে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ উন্নয়ন সহযোগী আইএমএফ।
আট বছর পর সরকার নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করলেও সেটি আইএমএফের চাহিদা মতো হয়নি। বর্তমান আইনটি বিকৃত ও ত্রুটিপূর্ণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এবারও নতুন করে ঋণ পেতে হলে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে সরকারকে। অবশ্য, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে ঋণ পেতে গেলে শর্ত পূরণ করতে হয়-এটাই নিয়ম, তবে এই ঋণের জন্য কতটা প্রস্তুত সরকার, কিংবা আইএমএফকে খুশি করতে পারবে কিনা, সেটি এখন বড় প্রশ্ন। কারণ আইএমএফকে সন্তুষ্ট করার ওপরই নির্ভর করছে ঋণের বিষয়টি।
সম্প্রতি এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আইএমএফ তাদের শর্তের কথা বলবে। আমরা সেগুলো বিবেচনা করব। তাদের শর্তগুলো খারাপ হয় না। অনেক শর্ত আছে যেগুলো দেশের স্বার্থেই বাস্তবায়ন করা উচিত।’
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাবেক কর্মকর্তা ও বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই বছরে করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিও বেশ চাপের মধ্যে পড়েছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে আইএমএফের ঋণটা খুবই জরুরি।’
আহসান মনসুর আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ কোনো ব্যতিক্রম দেশ নয়। সারা বিশ্বে সংকট চলছে। এর মধ্যে কিছু দেশ কম খারাপ। আর কিছু দেশ বেশি খারাপ অবস্থায় আছে। কেউ স্বস্তিতে নেই। এই আপৎ কালে আমাদের কিছু কাজ করতে হবে। আর এই কাজের একটি হচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব আইএমএফের ঋণটা আমাদের পেতেই হবে। এ জন্য যদি সংস্থাটির কিছু শর্ত মানতে হয়, সেটা মেনেই ঋণটা নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আইএমএফের মূল কাজ হচ্ছে সংকট ঠেকানো। আইএমএফের ঋণ একটি আস্থার সৃষ্টি করে। এই সময়ে আইএমএফ আমাদের ঋণটা যদি দিয়ে দেয়, তাহলে বিশ্বব্যাংক তখন পাশে থাকবে। তারাও ঋণ দেবে। এডিবি এগিয়ে আসবে। জাইকা আসবে। সবাই এগিয়ে আসবে। তখন তারা সবাই তাদের সাপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে আসবে। আমাদের শুধু ব্যালান্স অব পেমেন্ট আর বাজেট সাপোর্টটি নিতে হবে। যাতে সরকার ব্যালান্স অব পেমেন্ট আর বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারে কোনো ক্রাইসিস ছাড়া।’
আইএমএফের কাছ থেকে সরকার যে ঋণ পেতে যাচ্ছে, তার আভাস পাওয়া গেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর আব্দুর রউফ তালুকদারের বক্তব্য থেকে।
এ মাসের ১০ অক্টোবর থেকে ১৬ অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভায় বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন তিনি।
বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর গর্ভনর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাবে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে আইএমএফ। আশা করা যাচ্ছে, ঋণের প্রথম কিস্তি ১৫০ কোটি ডলার এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ছাড় করা হবে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক থেকেও ৫০ কোটি ডলার পাওয়ার ব্যাপারে আরা আশাবাদি।’
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়া হবে ধরে নিয়েই শর্তের ব্যাপারে আলোচনা করতে আসছে আইএমএফ।
যেসব শর্ত নিয়ে আলোচনা হতে পারে
স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১১ বার আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবারই সংস্থাটি সংস্কারমূলক শর্ত জুড়ে দিয়েছে।
এবারও কিছু শর্ত দেয়া হয়েছে। ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। রাজস্ব খাতে সংস্কার, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) হারের কাঠামো সহজ করা, বাজেট থেকে সঞ্চয়পত্রকে আলাদা করা, বেঁধে দেওয়া ঋণের সুদের হার (৯ শতাংশ) তুলে দেওয়া, নগদ ও ঋণ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনা, রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকসহ ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমানো, ব্যাংক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করা এবং নজরদারি বাড়ানো এবং ব্যাংকগুলোর নিরাপত্তা সঞ্চিতি বিলম্বে সংরক্ষণের যে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, তা বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
সরকার এরই মধ্যে কিছু শর্ত পূরণ করেছে। ভর্তুকি কমাতে জ্বালানি তেলের দাম, সারের দাম বাড়িয়েছে। লোড শেডিংয়ের ভোগান্তির মধ্যেই বিদ্যুতের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে আনার কাজ চলছে। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে।
নতুন ভ্যাট আইনে একাধিক রেটের পরিবর্তে একটি রেট করার পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। সরকার এটা করতে পারছে না ব্যবসায়ীদের চাপে। তবে ব্যাংক সুদের হার ৯ শতাংশ থেকে বাড়ানো, জাতীয় সঞ্চয়পত্র বিক্রির অর্থ বাজেট থেকে পৃথক করা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কারের শর্ত নিয়ে বাংলাদেশ দর-কষাকষি করবে।
অর্থনীতিবিদ ও গবেষক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশ্বের প্রায় সব দেশ সুদের হার বাড়িয়েছে। উচ্চ সুদের সঙ্গে বিনিয়োগের কোনো সম্পর্ক নেই। সুদের হার বেশি থাকার সময় যে বিনিয়োগ পরিস্থিতি ছিল, এখন তো তা আরও কম। তাই সুদ হারের সীমা বা ক্যাপ তুলে দেয়া দরকার।’
মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় কর আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করা, ব্যাংক খাতে সুশাসন আনা ও খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার বিষয়ে তাগিদ দিয়ে আসছে আইএমএফ।
ঋণের বিপরীতে আইএমএফের সম্ভাব্য সব শর্ত পূরণে সরকারের প্রস্তুতির ঘাটতি রয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানায়।
কর-জিডিপি অনুপাত এখনও ৮ শতাংশই ছাড়িয়ে যেতে পারেনি বাংলাদেশ। এ হার রাতারাতি উন্নীত করে ফেলতেও বলবে না আইএমএফ। তবে কোন বছরে কতটা উন্নীত হবে, বাংলাদেশের কাছে তার একটা সময়ভিত্তিক পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন চাইবে সংস্থাটি। অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, সরকার ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গণনার হিসাব ঠিক করা এবং নতুন আয়কর আইন ও শুল্ক আইন পাস করার শর্ত দিতে পারে আইএমএফ। এ ছাড়া কর প্রশাসনকে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মধ্যে আনার প্রস্তাব করতে পারে তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘নিট রিজার্ভের হিসাব নিয়ে একটা সমীক্ষা চলছে। তা শেষ হওয়ার পর এ ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে।’
এনবিআর বলেছে, কর প্রশাসনকে অটোমেশন করা হয়েছে। কর নেট বাড়িয়ে অব্যাহতি কমিয়ে আহরণ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ব্যাংক খাতে উচ্চ খেলাপি ঋণ নিয়ে সব সময়ই প্রশ্ন আছে আইএমএফের। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো উন্নতি নেই। আইএমএফ উন্নতির শর্ত দেবে। অর্থমন্ত্রণালয় বলেছে, ব্যাংক খাতে সুশাসন আনা বা খেলাপি পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে রাতারাতি উন্নতি করা সহজ নয়।
আরও পড়ুন:শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে গত ০২ জুন, সোমবার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতি।
জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম মরতুজা, মোঃ ফয়েজ আলম ও মোঃ আশরাফুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আবেদিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভা সঞ্চালনায় ছিলেন কার্যকরী সভাপতি শাহ জাহান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি এস. এফ. এম. মুনির হোসেন, সহসভাপতি মজিবুর রাহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ছানোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনায় আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। আবার ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার সময় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। ট্রেড লাইসেন্স নিতেও রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দাখিলের বাধ্যবাধকতায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্রের বাধ্যবাধকতায় এসব পরিবর্তন আনা হয়েছে। এত দিন ৪৬টি সেবায় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখানোর বাধ্যবাধকতা ছিল।
এখন ১১ ধরনের সেবা নিতে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। শুধু কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীদের (টিআইএন) সিস্টেম জেনারেটেড প্রত্যয়নপত্র দাখিল করলেই হবে। ওই ১১টি সেবা হলো সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় নতুন ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণে; সমবায় সমিতির নিবন্ধন প্রাপ্তিতে; সাধারণ বিমার তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ারের নতুন লাইসেন্স গ্রহণে; ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ ও নবায়নে; চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, চার্টার্ড সেক্রেটারি, আইনজীবী ও কর আইনজীবী, অ্যাকচুয়ারি, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার হিসেবে কোনো স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ গ্রহণে; পাঁচ লাখ টাকার অধিক পোস্ট অফিস সঞ্চয়ী হিসাব খোলায়; এমপিওভুক্তির মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে দশম গ্রেড বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মচারীর কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের ক্ষেত্রে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেকট্রনিক উপায়ে টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে এবং মোবাইল ফোনের হিসাব রিচার্জের মাধ্যমে কমিশন, ফি বা অন্য কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্ট্যাম্প, কোর্ট ও কার্টিজ পেপারের ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসেবে লাইসেন্স নিবন্ধন ও তালিকাভুক্তিতে; ত্রি-চক্র মোটরযানের নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়নে; ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে লাইসেন্সিং অথরিটির কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ টেলিভিশনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ইতিহাসে ৫৪তম বাজেট।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার সময় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করছি, যা জিডিপির ১২.৭ শতাংশ। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।
তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই যে, ২০১৫ সালের পর এখন পর্যন্ত বেতন কাঠামো প্রণীত না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।
ঘরে বসে যেসব ক্রেতারা কেনাকাটা করতে চান, তাদের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনাকাটা আগামী অর্থবছর থেকে খানিকটা ব্যয়বহুল হতে পারে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ই-প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় থেকে কমিশনের ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করতে চাইছে। সেক্ষেত্রে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পণ্যের দাম বেশি হতে পারে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই ভ্যাটের হার ছিল ৫ শতাংশ।
জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে ভিন্ন বাস্তবতায় এবার সংসদের বাইরে ভিন্ন আঙ্গিকে পেশ হলো বাজেট। এবার সংসদ না থাকায় সংসদের আলোচনা বা বিতর্কের কোনো সুযোগ থাকছে না। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বাজেট উপস্থাপন করার পর ৩০ জুন তা রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে কার্যকর করা হবে।
তবে অতীতের রেওয়াজ মেনে বাজেট ঘোষণার পরদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে বাজেট নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া পুরো জুন মাসজুড়ে অংশীজনদের মতামত নেওয়ার কথাও তিনি বলেছেন।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে সরকারের ধারাবাহিক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করায় এবং সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পাওয়ায় মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নেমে আসবে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এ কথা বলেন। তার এ বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে আমাদের সরকার যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে তখন আমাদের সামনে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরে মানুষকে স্বস্তি দেয়া।
তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে আমরা ধারাবাহিকভাবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করেছি। এর ফলে নীতি সুদের হার ১৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মুদ্রানীতির আওতায় গৃহীত কার্যক্রমকে সহায়তা করতে সংকোচনমূলক রাজস্বনীতি অনুসরণ করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে আনায় সার্বিকভাবে সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠতে শুরু করেছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের ১০.৮৯ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশে নেমে এসেছে। আশার কথা হলো এবারের রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্মরণকালের মধ্যে সবচাইতে স্থিতিশীল ছিল। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এই জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের কোঠায় নেমে আসবে। মূল্যস্ফীতির সাথে এ লড়াইয়ের ফলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে।’
মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকা জরুরি উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল থাকা অত্যাবশ্যক। প্রবাস আয়ের প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক হওয়ায় এবং রপ্তানি স্থিতিশীল থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এপ্রিল মাসে বৃদ্ধি পেয়ে ২৭.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সে কারণে আমরা বিগত ১৪ মে তারিখে বাজারভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার চালু করেছি।
১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী আর্থিক অস্থিরতা সামাল দিতে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ। এর মূল লক্ষ্য ছিল বৈশ্বিক মুদ্রানীতি সমন্বয় সাধন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে উৎসাহ দেওয়া এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করা। বহু দেশ সংকটে পড়ে এই সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছে- কেউ সাময়িকভাবে রক্ষা পেয়েছে, কেউ আবার দীর্ঘমেয়াদি ঋণনির্ভরতার ফাঁদে পড়ে গেছে।
আজ, যখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ভারসাম্য ক্রমশ পশ্চিমকেন্দ্রীকতা থেকে সরে পূর্ব ও দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়ছে, তখন আইএমএফ তার প্রাসঙ্গিকতা ও নৈতিক অবস্থান নিয়ে এক নতুন প্রশ্নের সম্মুখীন।
ঋণ সহায়তা, নাকি ঋণের ফাঁদ?
আইএমএফ সাধারণত এমন শর্তে ঋণ দেয়, যার মধ্যে থাকে কঠোর ব্যয়সংযম, ভর্তুকি হ্রাস, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বাজারমুখী সংস্কার; কিন্তু এই শর্তগুলো অনেক সময় জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। স্থানীয় শিল্প ধসে পড়ে, বৈষম্য বেড়ে যায় এবং সাধারণ মানুষের জীবন আরও কঠিন হয়ে ওঠে। আর্জেন্টিনার অভিজ্ঞতা এর এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। ২০১৮ সালে আইএমএফ ইতিহাসের বৃহত্তম ঋণ প্যাকেজ ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করে। ফল ছিল বিপরীত- মুদ্রাস্ফীতি ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, দারিদ্র্য আরও বেড়ে যায় এবং দেশটি আবার মন্দার মুখে পড়ে।
এই অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে শুধু অর্থনৈতিক সমীকরণ দিয়ে কোনো দেশের সামাজিক বাস্তবতা নির্ধারণ চলে না।
আইএমএফের নীতিনির্ধারণ কাঠামো এখনো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী শক্তির ভারসাম্যের প্রতিচ্ছবি। উন্নত দেশগুলো (বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন) সংগঠনের ভোটের অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর অংশগ্রহণ প্রায় অনুপস্থিত। এই গণতান্ত্রিক ঘাটতি আজ দক্ষিণের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে গভীর অসন্তোষ ও অবিশ্বাসের জন্ম দিচ্ছে।
বিকল্প প্রতিষ্ঠানের উত্থান
এই প্রেক্ষাপটে বিকল্প আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন- নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (NDB), এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (AIIB) এবং ল্যাটিন আমেরিকান রিজার্ভ ফান্ড (FLAR) নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে। (NDB) এর সহায়তা তুলনামূলকভাবে শর্তমুক্ত এবং অংশগ্রহণমূলক। এখানে প্রতিটি দেশের ভোটের ও প্রতিনিধিত্বের সমান সুযোগ আছে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলো আরও আগ্রহী করে তুলেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখন শুধু আর্থিক বিকল্প নয়- এরা এক নতুন উন্নয়ন দর্শনের বাহক। সেই দর্শনে উন্নয়ন নির্ধারিত হয় স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনকে কেন্দ্র করে, বাইরের চাপ বা রূঢ় শর্ত নয়।
বিশ্ব আজ বহুমেরু। অর্থনৈতিক শক্তি ছড়িয়ে পড়ছে নানা অঞ্চলে। এই বাস্তবতায় টিকে থাকতে হলে আইএমএফকে নিজস্ব কাঠামো ও দর্শনে রূপান্তর আনতে হবে। প্রয়োজন গভর্ন্যান্সের সংস্কার, নীতিনির্ধারণে সমান অংশগ্রহণ, এবং সর্বোপরি সহানুভূতিশীল ঋণ নীতিমালা।
আইএমএফ যদি সত্যিই বৈশ্বিক আর্থিক স্থিতিশীলতার অভিভাবক হতে চায়, তাহলে তাকে হতে হবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক, এবং আঞ্চলিক বাস্তবতাসম্মত এটি শুধু আইএমএফের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রশ্ন নয়; এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার ও সার্বিক উন্নয়নের প্রশ্ন।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচার হওয়া অর্থ জব্দ কর তা বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার পরমর্শ দিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ সময়ে এবারের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর এফডিসিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচারকৃত অর্থ জব্দের মাধ্যমে বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করলে তা হতে পারে এবারের বাজেটের একটি অভিনব উৎস।’
‘গত সরকারের রেখে যাওয়া বিদেশি ঋণের চাপ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। এই সরকারের এই সময়ে অন্যতম সাফল্য ৫০০ কোটি (৫ বিলিয়ন) ডলার পরিশোধ করে বিদেশি ঋণের চাপ কমিয়ে আনা,’ যোগ করেন তিনি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই ঋণ বিলিয়ন ডলার করে বছর বছর বাড়ছিল। সামগ্রিকভাবে এই সরকারের সাফল্যের জায়গাটা হলো বহির্খাত, রেমিট্যান্স, রপ্তানি, দায়-দেনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, মজুদ বাড়ানো ও টাকার মূল্যমান স্থিতিশীল রাখা।’
তবে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, ‘খেলাপি ঋণ আদায়, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত এবং করের আওতা বাড়ানোর মতো নতুন কোনো কিছু না থাকায় এবারের বাজেটে কোনো চমক থাকছে না।’
‘যে প্রকল্পগুলো সরকারের কাছে আছে, তা অতিমূল্যায়িত ও তার ৪০ শতাংশ ব্যয়ই ভুয়া। আগের যে প্রকল্পগুলো থেকে রক্তক্ষরণ হতো, সেগুলো অব্যাহত আছে,’ বলেন তিনি।
সিপিডির এই সম্মানীয় ফেলো বলেন, ‘রাজস্ব ব্যয় সঠিকভাবে না করলে করদাতাদের উৎসাহ থাকে না। আমাদের কর কাঠামো বৈষম্যনির্ভর। আমাদের বৈদেশিক খাতে কিছুটা স্থিতিশীলতা অর্জিত হলেও ব্যক্তি খাতে স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগ এখনো আশানুরূপ অর্জিত হয়নি।’
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি নামের একটি বিতর্ক সংগঠন এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
‘রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করা আসন্ন বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত’ শীর্ষক ছায়া সংসদে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজকে পরাজিত করে ঢাকার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।
মন্তব্য