বাংলাদেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বা ডিএসইর লেনদেনে সোমবার যে সমস্যা দেখা দিয়েছে, সেটি এর আগেও দেখা গেছে বারবার। গত এক দশকে অন্তত ১০ বার বিভিন্নভাবে লেনদেন বিঘ্ন ঘটেছে, এর মধ্যে ২০২১ সালে ঘটেছে একাধিকবার।
সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত খোদ ডিএসই চেয়ারম্যান বলতে পারেননি কী কারণে লেনদেনে সমস্যা হলো। এ ঘটনায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
বর্তমানে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় সকাল সাড়ে ৯টায়। নিয়ম অনুযায়ী লেনদেন শুরু হওয়ার আগে ৫ মিনিট প্রি অর্ডার দেয়া যায়। আর লেনদেন শেষ হয় ১ টা ৫০ মিনিটে। এর পরে আরও ১০ মিনিট সমাপনী দরে লেনদেন করা যায়।
সোমবার সকালে সাড়ে ৯টায় লেনদেন শুরু হয়। ১০টা ৫৮ মিনিটে এসে হঠাৎ করেই লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। লেনদেনের নির্ধারিত সময় ১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত লেনদেন শুরুই করা যায়নি। পরে ২টা ১০ থেকে আড়াইটা পর্যন্ত চলে লেনদেন।
কেন হলো, ডিএসইর কেউ জানে না
ব্রোকারেজ হাউস শার্প সিকিউরটিজের কর্মকর্তা আব্দুল বারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা দেখলাম হঠাৎ করে আমাদের সার্ভারের সঙ্গে ডিএসই সার্ভারের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেল। ঠিক এমন না যে আমাদের সিস্টেম হ্যাং করেছে।’
ডিএসইর পক্ষ থেকে তখন জানানো হয়েছিল কারিগরি ত্রুটির কারণে লেনদেন বন্ধ আছে। কিন্তু কোনো কারণ বলা হয়নি।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি গ্লোবাল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, ‘এতক্ষণ কীভাবে লেনদেন বন্ধ থাকল আমি বুঝতে পারছি না। আমাদের কিছু জানানো হয়নি। বারবার ফোন করেও আমরা কোনো উত্তর পাইনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কারণ, লেনদেন সাসপেন্ড হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। যদি সেটা হতো ব্রোকারেজ হাউসগুলো অনেক বড় বিপদে পড়ে যেত।‘
এ বিষয়ে ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি। বলেন, ‘প্রেস রিলিজ দিয়ে জানিয়ে দেব।’
তবে পরে যে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়, তাতে বিপর্যয়ের এ কারণ নিয়ে কিছুই লেখা হয়নি।
ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) জিয়াউল করিমকে বারবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরে এসএমএস করে জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমানের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
শফিকুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের ম্যাচিং ইঞ্জিনে মনে হয় সমস্যা হয়েছে। সে জন্য লেনদেন বন্ধ।’
ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান বলেন, ‘আমি ব্যবস্থাপনা পরিচালককে রিপোর্ট করতে বলেছি। রিপোর্ট পেলে বলতে পারব কী সমস্যা।’
ডিএসইর মহাব্যবস্থাপক (আইসিটি) তারিকুল ইসলাম এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি। তিনি বলেন, ‘এটা তো টেকনিক্যাল বিষয়, এই মুহূর্তে বলা সম্ভব না ঠিক কী কারণে সমস্যা হয়েছিল। এটা পর্যালোচনা করে বের করে জানানো হবে।’
তিনি বলেন, ‘একটা মোবাইল বা কম্পিউটার হ্যাং হয়ে যায় তখন রিস্টার্ট দিলেই তো ঠিক হয়ে যায়। তাই বলে কি আইডেন্টিফাই করা যায় যে কেন সফটওয়্যার হ্যাং হয়েছিল? এটাও কিছুটা তেমন।’
সমস্যা হার্ডওয়্যারে?
২০২১ সালের ১৮ জুলাইও এভাবে কয়েক ঘণ্টা লেনদেন বন্ধ ছিল। তখন দোষ চাপানো হয় ওএমএস সফটওয়্যারের ওপর। পরে সেই সমস্যা সমাধান করা হয়।
আইটি বিশেষজ্ঞ ডিএসইর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়া নিউজবাংলাকে জানান, এটা কোনোভাবেই হতে পারে না যে, হুট করে এভাবে সার্ভার ডাউন হয়ে যাবে। এখানে অন্য কিছু আছে। এটা সফটওয়্যারজনিত কোনো কারণে হয়নি। মনে হয় হয়েছে হার্ডওয়্যারজনিত কারণে। কারণ সফটওয়্যারের কারণে হলে আরও আগে সমস্যা সমাধান করা যেত।
এমন ধারণা করার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, এমন তো না যে হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, তাই সাইট হ্যাং করে যাবে। এমন গতানুগতিক লেনদেন প্রতিদিনই হচ্ছে। এতে করে আকস্মিক সার্ভার এতক্ষণ বন্ধ থাকবে একটা চিন্তার বিষয়। এখানে সঠিক তদন্ত দরকার। ডিএসই অনেক পুরোনো হার্ডওয়্যার চালাচ্ছে। ২০ কোটি টাকায় ১২০টি ডেল সার্ভার কিনেও চালাচ্ছে না। পুরোনো হার্ডওয়্যারের কারণে এই সমস্যা হয়ে থাকতে পারে।
ডিএসইর এ সমস্যার বিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম সব সময় বলে এসছেন যে ডিএসইতে আইটিতে আরও বিনিয়োগ করতে হবে।
তদন্ত কমিটি গঠন
ডিএসইর এই রাখঢাকের মধ্যে লেনদেন বিপর্যয়ের কারণ তদন্তে কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি।
সংস্থাটির পরিচালক আবুল হাসানকে টিম লিডার ও সহকারী পরিচালক দস্তগীর হোসেনকে সদস্যসচিব করে পাঁচজনের একটি দলকে দেয়া হয়েছে দায়িত্ব।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিএসইসির উপপরিচালক ওয়ারিসুল হাসান রিফাত, সিসিবিএলের মহাব্যবস্থাপক ও সিটিও ইমাম হোসেন এবং সিডিবিএলের মহাব্যবস্থাপক মইনুল হক।
বিএসইসির অর্ডারে বলা হয়েছে, ‘ডিএসইর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিরতিহীনভাবে বিনিয়োগকারীদের লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হয়েছে, যা সিকিউরিটিজ মার্কেটের জন্য অপ্রত্যাশিত।’
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
মন্তব্য