আগের সপ্তাহে ১০১.৯৫ পয়েন্ট পতনের পর নতুন সপ্তাহের শুরুতেও বিনিয়োগকারীদের হতাশ করল পুঁজিবাজার। যেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম কমা সম্ভব, সেগুলোর মধ্যে ১৮টি ছাড়া সবগুলোর দামই কমেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ারদর, যেগুলো ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর অস্বাভাবিক হারে বেড়ে চলেছিল।
সব মিলিয়ে এদিন সূচক কমেছে ৪৭.৯৮ পয়েন্ট। দুই শতাধিক কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইস দিয়ে ঠেকিয়ে রাখার কারণে এই দরপতন সম্ভাব্য সর্বোচ্চ দরপতনের কাছাকাছি।
শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইসের বেশি আছে এমন ১৩৭টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ১১৯টি কোম্পানি। বাকিগুলোর মধ্যে ১ শতাংশের বেশি বেড়েছে কেবল ৭টি কোম্পানির দর।
বাজারে শেয়ারের ক্রেতা নেই বললেই চলে। লেনদেন নেমে এসেছে ৭০০ কোটি টাকার ঘরে, যা কিছুদিন আগেও নিয়মিত ২ হাজার কোটি টাকার ওপর ছিল।
এদিন হাতবদল হয়েছে মোট ৭৮৮ কোটি ৪৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা, যা আগের দিন ছিল ৯৭৫ কোটি ৬২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
সবশেষ এর চেয়ে কম লেনদেন ছিল গত ১৪ আগস্ট। ৪৬ কর্মদিবস আগে সেদিন হাতবদল হয় ৬৪৪ কোটি ৪৫ লাখ ৩১ হাজার টাকার শেয়ার। তবে সে সময় পুঁজিবাজার তলানি থেকে উঠে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছিল বলে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা হলেও আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন।
ঢালাও পতনের এই দিন ভালো করতে পারেনি নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা স্কয়ার ফার্মা, স্কয়ার টেক্সটাইল ও মতিন স্পিনিং মিলসের শেয়ারও।
শেয়ারপ্রতি ১০ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণার পর সকালে ফ্লোর প্রাইস থেকে উঠে দাঁড়ালেও দিন শেষে সেই ফ্লোরে ফিরেছে স্কয়ার ফার্মা। শেয়ারপ্রতি ১০ টাকার বেশি আয় করে ৫ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করা মতিন স্পিনিং মিলস আর আগের বছরের চেয়ে আড়াই গুণ আয় করে ৭৫ শতাংশ লভ্যাংশ বাড়ানো স্কয়ার টেক্সটাইলের শেয়ার দর হারিয়ে ফিরেছে ফ্লোর প্রাইসে।
ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর যেসব কোম্পানির শেয়ারে ভর করে সূচক বাড়ছিল সেসব কোম্পানির মধ্যে বেক্সিমকো লিমিটেড ফ্লোর প্রাইসের কাছাকাছি নেমে এসেছে। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ১১৫ টাকা ৬০ পয়সা। গত ২০ সেপ্টেম্বর দর উঠে গিয়েছিল ১৪৬ টাকা। ২১ কর্মদিবস পর সেখান থেকে ২৭ টাকা কমে বর্তমান দর ১১৯ টাকা ১০ পয়সা।
১৯ কর্মদিবসে ১৪৯ টাকা ৬০ পয়সা থেকে দর ৩৫ টাকা ৭০ পয়সা হারিয়ে এখন ১১৩ টাকা ৯০ পয়সায় অবস্থান করছে ওরিয়ন ফার্মা।
তবে এই দুটি কোম্পানি নয়, গত বৃহস্পতিবারের মতোই এদিন ঝড় গেছে গত ৩১ জুলাই থেকে যেসব কোম্পানির শেয়ারদর অস্বাভাবিক হারে বেড়েছিল। এর বেশির ভাগই স্বল্প মূলধনি।
১৩টি কোম্পানির দর কমেছে এক দিনে যত কমা সম্ভব ততটাই। এর মধ্যে কেবল একটির পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি টাকার বেশি। এগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ কোম্পানির ব্যবসা, শেয়ারপ্রতি আয় ও সম্পদমূল্য বিবেচনায় শেয়ারদর নিয়ে প্রশ্ন বড় হয়ে উঠেছে।
সব মিলিয়ে এদিন ৫টি কোম্পানির দর ৯ শতাংশের বেশি, ৯টি কোম্পানির দর ৮ শতাংশের বেশি, ৬টির দর ৭ শতাংশের বেশি, ৮টির দর ৬ শতাংশের বেশি, ৯টির দর ৫ শতাংশের বেশি, ১১টির দর ৪ শতাংশের বেশি এবং ৮টির দর ৩ শতাংশের বেশি কমেছে।
‘বাজার গেইম বেইজ বা প্লেয়ার ড্রিভেন হয়ে গেছে’
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, ‘ফান্ডামেন্টাল বেইজ বাজার তো নাই। ভালো ডিভিডেন্ড দেয়ার পরেও ওইসব শেয়ারের প্রতিফলন নাই। বাজার গেইম বেইজ বা প্লেয়ার ড্রিভেন বাজার হয়ে গেছে। বেশি কিছু জিনিস অ্যাফেক্ট হচ্ছে, তার মধ্যে অর্থনীতির ভবিষ্যত শঙ্কা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কথায় একটু প্যানিকড হওয়ায় বাজার খারাপ অবস্থানে আছে। এ ছাড়াও চেক নগদায়ন না করে শেয়ার না কেনার নির্দেশনা বাজারকে অ্যাফেক্ট করেছে।’
স্বল্পমূলধনির দরবৃদ্ধি ও দরপতন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যখন স্বল্পমূলধনি ও দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ে তখন এটা নির্দেশ করে যে, বাজার ভালো অবস্থানে নাই। এর কারণ হচ্ছে অল্প টাকায় গেইন করা যায়। স্বল্পমূলধনির অবস্থায় বলে দিচ্ছে এগুলো পড়ে যাবে।’
কোন খাত কেমন
আগের কর্মদিবসের চেয়ে বেশি না হলেও আবার লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। লেনদেন হয়েছে ১৭১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ৩টি করে কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৭টির দরপতন হয়েছে। আর ৮টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে।
লেনদেন কমে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে এসেছে বিবিধ খাত। হাতবদল হয়েছে ১০৬ কোটি ৬০ লাখ। খাতটিতে কোনো কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়নি। আর ৪টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে ও ৯টির দরপতনে।
এই দুটি খাতেই লেনদেন হয়েছে শতকোটির ওপরে। এরপরে প্রকৌশল খাতে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯৮ কোটি ১০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।
একটি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ২০টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে। দরপতন হয়েছে ২০টির।
চতুর্থ স্থানে থাকা প্রযুক্তি লেনদেন হয়েছে ৬২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। একটির দরবৃদ্ধি, চারটির দরপতন ও আগের দরে লেনদেন হয়েছে ছয়টি কোম্পানির।
৪৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা লেনদেন করে তালিকার পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে কাগজ ও মুদ্রণ খাত। একটি করে কোম্পানির দরবৃদ্ধি ও আগের দরে লেনদেন হয়েছে। চারটির দরপতন হয়েছে।
দর পতনের শীর্ষ ১০
পতনের তালিকার শীর্ষে রয়েছে বিডিকম। ৯.৯১ শতাংশ দর কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৪৩ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। আগের দিনে লেনদেন হয় ৪৮ টাকা ৪০ পয়সা।
পরের স্থানে রয়েছে শমরিতা হসপিটাল। ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ দর কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭২ টাকা ৬০ পয়সায়। আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৮০ টাকা ৪০ পয়সা।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসের। ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ২২ টাকায় হাতবদল হয়। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ২৪ টাকা ৩০ পয়সায়।
দর কমার শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো ছিল- ইন্দোবাংলা ফার্মা, জেএমআই হসপিটাল, অ্যারামিট, বিডি ল্যাম্পস, মনোস্পুল, তমিজউদ্দিন ও জেএমআই সিরিঞ্জ।
এর প্রতিটি কোম্পানির দরই এক দিনে যতটা কমা সম্ভব ততটাই কমেছে।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
৯ দশমিক ৭১ শতাংশ দর বেড়েছে নাভানা ফার্মার। শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ৩৫ টাকায়। আগের দিনের দর ছিল ৩১ টাকা ৯০ পয়সা।
৭.৮৮ শতাংশ দর বেড়েছে সি-পার্লের। প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫০ টাকা ৭০ পয়সায়। আগের দর ছিল ১৩৯ টাকা ৬০ পয়সা।
ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ারদর ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯০৬ টাকা ৮০ পয়সায়। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ৮৬৭ টাকা ৩০ পয়সায়।
এ ছাড়াও দরবৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে সোনালী পেপার, ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং স্টেশন, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, ঢাকা ডায়িং এবং জুট স্পিনার্স।
সূচকে প্রভাব যাদের
সবচেয়ে বেশি ৭ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট সূচক কমেছে বেক্সিমকো লিমিটেডের দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট কমেছে ওরিয়ন ফার্মার কারণে। শেয়ার প্রতি দাম কমেছে ৬ দশমিক ০২ শতাংশ।
জেএমআই হসপিটালের দর ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ২ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট।
এ ছাড়াও অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, কোহিনূর কেমিক্যাল, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ, জেএমআই সিরিঞ্জ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ইউনিক হোটেল ও ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ২৮ দশমিক ০১ পয়েন্ট।
বিপরীতে ২ দশমিক ৭ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে সি-পার্ল। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
সোনালী পেপারের দর ৩ দশমিক ০৫ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট।
ওরিয়ন ইনফিউশন সূচকে যোগ করেছে ১ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে নাভানা ফার্মা, বিকন ফার্মা, ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং, প্রাইম ব্যাংক, আল-আরাফাহ ব্যাংক, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ও বিএসআরএম লিমিটেড।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৭ দশমিক ৯২ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
মন্তব্য