আগের সপ্তাহে ১০১.৯৫ পয়েন্ট পতনের পর নতুন সপ্তাহের শুরুতেও বিনিয়োগকারীদের হতাশ করল পুঁজিবাজার। যেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম কমা সম্ভব, সেগুলোর মধ্যে ১৮টি ছাড়া সবগুলোর দামই কমেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ারদর, যেগুলো ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর অস্বাভাবিক হারে বেড়ে চলেছিল।
সব মিলিয়ে এদিন সূচক কমেছে ৪৭.৯৮ পয়েন্ট। দুই শতাধিক কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইস দিয়ে ঠেকিয়ে রাখার কারণে এই দরপতন সম্ভাব্য সর্বোচ্চ দরপতনের কাছাকাছি।
শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইসের বেশি আছে এমন ১৩৭টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ১১৯টি কোম্পানি। বাকিগুলোর মধ্যে ১ শতাংশের বেশি বেড়েছে কেবল ৭টি কোম্পানির দর।
বাজারে শেয়ারের ক্রেতা নেই বললেই চলে। লেনদেন নেমে এসেছে ৭০০ কোটি টাকার ঘরে, যা কিছুদিন আগেও নিয়মিত ২ হাজার কোটি টাকার ওপর ছিল।
এদিন হাতবদল হয়েছে মোট ৭৮৮ কোটি ৪৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা, যা আগের দিন ছিল ৯৭৫ কোটি ৬২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
সবশেষ এর চেয়ে কম লেনদেন ছিল গত ১৪ আগস্ট। ৪৬ কর্মদিবস আগে সেদিন হাতবদল হয় ৬৪৪ কোটি ৪৫ লাখ ৩১ হাজার টাকার শেয়ার। তবে সে সময় পুঁজিবাজার তলানি থেকে উঠে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছিল বলে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা হলেও আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন।
ঢালাও পতনের এই দিন ভালো করতে পারেনি নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা স্কয়ার ফার্মা, স্কয়ার টেক্সটাইল ও মতিন স্পিনিং মিলসের শেয়ারও।
শেয়ারপ্রতি ১০ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণার পর সকালে ফ্লোর প্রাইস থেকে উঠে দাঁড়ালেও দিন শেষে সেই ফ্লোরে ফিরেছে স্কয়ার ফার্মা। শেয়ারপ্রতি ১০ টাকার বেশি আয় করে ৫ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করা মতিন স্পিনিং মিলস আর আগের বছরের চেয়ে আড়াই গুণ আয় করে ৭৫ শতাংশ লভ্যাংশ বাড়ানো স্কয়ার টেক্সটাইলের শেয়ার দর হারিয়ে ফিরেছে ফ্লোর প্রাইসে।
ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর যেসব কোম্পানির শেয়ারে ভর করে সূচক বাড়ছিল সেসব কোম্পানির মধ্যে বেক্সিমকো লিমিটেড ফ্লোর প্রাইসের কাছাকাছি নেমে এসেছে। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ১১৫ টাকা ৬০ পয়সা। গত ২০ সেপ্টেম্বর দর উঠে গিয়েছিল ১৪৬ টাকা। ২১ কর্মদিবস পর সেখান থেকে ২৭ টাকা কমে বর্তমান দর ১১৯ টাকা ১০ পয়সা।
১৯ কর্মদিবসে ১৪৯ টাকা ৬০ পয়সা থেকে দর ৩৫ টাকা ৭০ পয়সা হারিয়ে এখন ১১৩ টাকা ৯০ পয়সায় অবস্থান করছে ওরিয়ন ফার্মা।
তবে এই দুটি কোম্পানি নয়, গত বৃহস্পতিবারের মতোই এদিন ঝড় গেছে গত ৩১ জুলাই থেকে যেসব কোম্পানির শেয়ারদর অস্বাভাবিক হারে বেড়েছিল। এর বেশির ভাগই স্বল্প মূলধনি।
১৩টি কোম্পানির দর কমেছে এক দিনে যত কমা সম্ভব ততটাই। এর মধ্যে কেবল একটির পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি টাকার বেশি। এগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ কোম্পানির ব্যবসা, শেয়ারপ্রতি আয় ও সম্পদমূল্য বিবেচনায় শেয়ারদর নিয়ে প্রশ্ন বড় হয়ে উঠেছে।
সব মিলিয়ে এদিন ৫টি কোম্পানির দর ৯ শতাংশের বেশি, ৯টি কোম্পানির দর ৮ শতাংশের বেশি, ৬টির দর ৭ শতাংশের বেশি, ৮টির দর ৬ শতাংশের বেশি, ৯টির দর ৫ শতাংশের বেশি, ১১টির দর ৪ শতাংশের বেশি এবং ৮টির দর ৩ শতাংশের বেশি কমেছে।
‘বাজার গেইম বেইজ বা প্লেয়ার ড্রিভেন হয়ে গেছে’
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, ‘ফান্ডামেন্টাল বেইজ বাজার তো নাই। ভালো ডিভিডেন্ড দেয়ার পরেও ওইসব শেয়ারের প্রতিফলন নাই। বাজার গেইম বেইজ বা প্লেয়ার ড্রিভেন বাজার হয়ে গেছে। বেশি কিছু জিনিস অ্যাফেক্ট হচ্ছে, তার মধ্যে অর্থনীতির ভবিষ্যত শঙ্কা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কথায় একটু প্যানিকড হওয়ায় বাজার খারাপ অবস্থানে আছে। এ ছাড়াও চেক নগদায়ন না করে শেয়ার না কেনার নির্দেশনা বাজারকে অ্যাফেক্ট করেছে।’
স্বল্পমূলধনির দরবৃদ্ধি ও দরপতন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যখন স্বল্পমূলধনি ও দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ে তখন এটা নির্দেশ করে যে, বাজার ভালো অবস্থানে নাই। এর কারণ হচ্ছে অল্প টাকায় গেইন করা যায়। স্বল্পমূলধনির অবস্থায় বলে দিচ্ছে এগুলো পড়ে যাবে।’
কোন খাত কেমন
আগের কর্মদিবসের চেয়ে বেশি না হলেও আবার লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। লেনদেন হয়েছে ১৭১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ৩টি করে কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৭টির দরপতন হয়েছে। আর ৮টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে।
লেনদেন কমে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে এসেছে বিবিধ খাত। হাতবদল হয়েছে ১০৬ কোটি ৬০ লাখ। খাতটিতে কোনো কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়নি। আর ৪টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে ও ৯টির দরপতনে।
এই দুটি খাতেই লেনদেন হয়েছে শতকোটির ওপরে। এরপরে প্রকৌশল খাতে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯৮ কোটি ১০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।
একটি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ২০টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে। দরপতন হয়েছে ২০টির।
চতুর্থ স্থানে থাকা প্রযুক্তি লেনদেন হয়েছে ৬২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। একটির দরবৃদ্ধি, চারটির দরপতন ও আগের দরে লেনদেন হয়েছে ছয়টি কোম্পানির।
৪৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা লেনদেন করে তালিকার পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে কাগজ ও মুদ্রণ খাত। একটি করে কোম্পানির দরবৃদ্ধি ও আগের দরে লেনদেন হয়েছে। চারটির দরপতন হয়েছে।
দর পতনের শীর্ষ ১০
পতনের তালিকার শীর্ষে রয়েছে বিডিকম। ৯.৯১ শতাংশ দর কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৪৩ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। আগের দিনে লেনদেন হয় ৪৮ টাকা ৪০ পয়সা।
পরের স্থানে রয়েছে শমরিতা হসপিটাল। ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ দর কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭২ টাকা ৬০ পয়সায়। আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৮০ টাকা ৪০ পয়সা।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসের। ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ২২ টাকায় হাতবদল হয়। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ২৪ টাকা ৩০ পয়সায়।
দর কমার শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো ছিল- ইন্দোবাংলা ফার্মা, জেএমআই হসপিটাল, অ্যারামিট, বিডি ল্যাম্পস, মনোস্পুল, তমিজউদ্দিন ও জেএমআই সিরিঞ্জ।
এর প্রতিটি কোম্পানির দরই এক দিনে যতটা কমা সম্ভব ততটাই কমেছে।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
৯ দশমিক ৭১ শতাংশ দর বেড়েছে নাভানা ফার্মার। শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ৩৫ টাকায়। আগের দিনের দর ছিল ৩১ টাকা ৯০ পয়সা।
৭.৮৮ শতাংশ দর বেড়েছে সি-পার্লের। প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫০ টাকা ৭০ পয়সায়। আগের দর ছিল ১৩৯ টাকা ৬০ পয়সা।
ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ারদর ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯০৬ টাকা ৮০ পয়সায়। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ৮৬৭ টাকা ৩০ পয়সায়।
এ ছাড়াও দরবৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে সোনালী পেপার, ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং স্টেশন, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, ঢাকা ডায়িং এবং জুট স্পিনার্স।
সূচকে প্রভাব যাদের
সবচেয়ে বেশি ৭ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট সূচক কমেছে বেক্সিমকো লিমিটেডের দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট কমেছে ওরিয়ন ফার্মার কারণে। শেয়ার প্রতি দাম কমেছে ৬ দশমিক ০২ শতাংশ।
জেএমআই হসপিটালের দর ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ২ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট।
এ ছাড়াও অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, কোহিনূর কেমিক্যাল, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ, জেএমআই সিরিঞ্জ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ইউনিক হোটেল ও ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ২৮ দশমিক ০১ পয়েন্ট।
বিপরীতে ২ দশমিক ৭ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে সি-পার্ল। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
সোনালী পেপারের দর ৩ দশমিক ০৫ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট।
ওরিয়ন ইনফিউশন সূচকে যোগ করেছে ১ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে নাভানা ফার্মা, বিকন ফার্মা, ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং, প্রাইম ব্যাংক, আল-আরাফাহ ব্যাংক, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ও বিএসআরএম লিমিটেড।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৭ দশমিক ৯২ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য