পুঁজিবাজারে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন গ্রহণ হয়েছে।
চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকটির আইপিওতে বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক সাড়া মিলেছে। প্রতিষ্ঠানটিও বিনিয়োগকারীদের দিয়েছে বিশেষ সুবিধা।
প্রাথমিকভাবে অনাবাসী বাংলাদেশিদের (এনআরবি) প্রাধান্য দিয়ে ২৫ শতাংশ শেয়ার বরাদ্দ রাখা হয়। অবশিষ্ট ৭৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ করা হয়।
বিনিয়োগকারীরা ১০ হাজার টাকা বা এর গুণিতক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আইপিও আবেদন করতে পারেন।
পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন পর ব্যাংক খাতের মতো ভালো কোম্পানির আইপিও আসায় বিনিয়োগকারীরা বেশ উৎফুল্ল ও আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। পুঁজিবাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া ক্ষুদ্র ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ফিরে পেয়েছেন আস্থা।
ব্যাংকটির আইপিও আবেদন গত ১৬ অক্টোবর শুরু হয়ে চলে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত।
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের আইপিও আবেদন গ্রহণের সময় বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আগ্রহের চিত্র দেখা যায়।
মূলত বাড়তি আগ্রহের পেছনে মূল কারণ বিনিয়োগকারীরা ১০ হাজার টাকা বা এর গুণিতক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আইপিও আবেদন করতে পেরেছেন। পাশাপাশি ব্যাংকটির গ্রোথ ও শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ভালো অবস্থানে থাকায় কোম্পানিটির আইপিও আবেদনে আগ্রহী ছিল বিনিয়োগকারীরা।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংকিং খাতের কোম্পানিগুলো ভালো মৌলভিত্তির হওয়ার এ ধরনের কোম্পানি বাজারে আসলে বাজারের গভীরতা বাড়ে। শেয়ারসংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে এসব শেয়ারে কারসাজির আশঙ্কাও কম।
এদিকে বিশেষ সুবিধা থাকায় এ শেয়ারে বিনিয়োগ লাভজনক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিনিয়োগকারীরা।
গত ১৫ জুন অনুষ্ঠিত ৮২৭তম কমিশন সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে এই আইপিওর অনুমোদন দেয়া হয়।
আইপিওর মাধ্যমে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের ৪২ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে ৪২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করবে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।
উত্তোলিত অর্থ এসএমই, সরকারি সিকিউরিটিজ ও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খরচ খাতে ব্যয় করবে ব্যাংকটি।
ব্যাংকটির প্রকাশিত প্রসপেক্টাসে বর্ণিত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন (২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর) অনুযায়ী, ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১ টাকা ৯১ পয়সা। পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ১৪ টাকা ৪২ পয়সা।
ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির আমানত, ইনভেস্টমেন্ট (বিনিয়োগ), পরিচালন আয়, শেয়ারপ্রতি আয়ে (ইপিএস) ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
ওই ৯ মাসে বিনিয়োগের ওপর আয় হয়েছে ৯৭৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এই বিনিয়োগ আয় থেকে আমানতের ওপর প্রদত্ত মুনাফা বাদ দিয়ে এবং শেয়ার ও সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের ওপর আয়, এক্সচেঞ্জ ব্রোকারেজ কমিশন ও অন্যান্য পরিচালন আয় যোগ করে মোট পরিচালন আয় দাঁড়িয়েছে ৩৯৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
এরপর যাবতীয় পরিচালন ব্যয় (যেমন : বেতন ও মজুরি, ভাড়া, ট্যাক্স ইনস্যুরেন্স, বিদ্যুৎ, আইন খরচ, স্টাম্প, টেলিকমিউনিকেশন, স্টেশনারি, প্রিন্টিং, বিজ্ঞাপন, প্রধান নির্বাহীর বেতন ও ফি, পরিচালকদের ফি, অবচয় এবং প্রভিশনসহ অন্যান্য) বাদ দিয়ে কর পূর্ববর্তী মুনাফা দাঁড়ায় ১৭৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
এই মুনাফা থেকে করবাবদ ৭৬ কোটি ৬০ লাখ বাদ দিয়ে ব্যাংকটির নিট মুনাফা দাঁড়ায় ৯৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আর এতে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৯১ টাকা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪.৪২ টাকা।
শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক (১০.৬৩ টাকা)। এর আগে ব্যাংকটি ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিনিয়োগের ওপর আয় করেছিল ১ হাজার ২০৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
বছরটিতে মোট পরিচালন আয় থেকে পরিচালন ব্যয় ও কর ব্যয় বাদ দিয়ে নিট মুনাফা হয়েছিল ১০২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আর এতে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয় ২ টাকা ১০ পয়সা। বছরটিতে শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভি) ছিল ১৩ টাকা ৬৫ পয়সা। শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ১৫ টাকা ১২ পয়সা।
২০১৯ অর্থবছরে বিনিয়োগের ওপর আয় হয়েছিল ১ হাজার ১০৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা। বছরটিতে নিট মুনাফা হয়েছিল ৩৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আর শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছিল ০.৭৯ টাকা। অর্থবছরটিতে শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ১২ টাকা ১৭ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ২ টাকা ২৭ পয়সা।
২০১৮ অর্থবছরে বিনিয়োগের ওপর আয় হয়েছিল ৯৩৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আর অর্থবছরটিতে নিট মুনাফা হয়েছিল ৫৩ কোটি দুই লাখ টাকা। শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয় ১ টাকা ২৫ টাকা। এ সময় ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ১২ টাকা ৫১ পয়সা।
আর শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ঋণাত্মক (০.৩১ টাকা)।
২০১৭ অর্থবছরে বিনিয়োগের ওপর আয় হয়েছিল ৭২০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আর বছরটিতে নিট মুনাফা হয়েছিল ৩৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। ইপিএস ছিল ০.৯২ টাকা। অর্থবছরটিতে শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ১১ টাকা ৭৭ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ৪ টাকা ১২ পয়সা।
২০১৬ অর্থবছরে বিনিয়োগে আয় ছিল ৪২৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
অর্থবছরে ব্যাংকটির নিট মুনাফা হয়েছিল ৪২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এতে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ১ টাকা। এ সময় ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ১০ টাকা ৮৬ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ৫ টাকা ৪১ পয়সা।
লভ্যাংশ বিতরণ
ব্যাংকটি নিট মুনাফার ওপর ২০১৭ অর্থবছরে নগদ ডিভিডেন্ড দিয়েছে ৫ শতাংশ। ২০১৮ অর্থবছরে ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে। ২০১৯ অর্থবছরে ৫ শতাংশ এবং ২০২০ অর্থবছরে নগদ ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে।
সম্পদের পরিমাণ
ব্যাংকটির সম্পদ বিবরণে দেখা যায়, সর্বশেষ ৯ মাসে ব্যাংকটির মোট সম্পদ ছিল ১২ হাজার ৭২৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার। ২০২০ অর্থবছরে এ সম্পদ ছিল ১২ হাজার ৯০ কোটি ২১ লাখ টাকার। ২০১৯ অর্থবছরে ১০ হাজার ৬৪০ কোটি ৫৩ লাখ টাকার, ২০১৮ অর্থবছরে ৯ হাজার ২১৭ কোটি ১৯ লাখ টাকার, ২০১৭ অর্থবছরে ৭ হাজার ৯১৩ কোটি ৬ লাখ টাকার, ২০১৬ অর্থবছরে ৪ হাজার ৯২৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার সম্পদ ছিল।
ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ২ হাজার কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ৫১৫ কোটি ৪১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
ব্যাংকের দায়
৯ মাসে ব্যাংকটির দায় ছিল ১১ হাজার ৯৮৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। ২০২০ অর্থবছরে ১১ হাজার ৪২০ কোটি ২১ লাখ টাকা, ২০১৯ অর্থবছরে ১০ হাজার ৭১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, ২০১৮ অর্থবছরে ৮ হাজার ৬৮৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, ২০১৭ অর্থবছরে ৭ হাজার ৪১২ কোটি ৯২ লাখ টাকা এবং ২০১৬ অর্থবছরে দায় ছিল ৪ হাজার ৪৬৫ কোটি ৩ লাখ টাকা।
৪২৫ কোটি টাকার শেয়ার বণ্টন যেভাবে
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের ২০২২ সালের ১৬ জুনের নোটিফিকেশন অনুযায়ী, এনআরবি বা প্রবাসীরা মোট শেয়ারের ২৫% পাবেন অর্থাৎ তারা পাবেন ১০৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা বা ১০ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার। অভিবাসী কর্মীদের মাধ্যমে ২৫ শতাংশ আইপিও শেয়ার সাবস্ক্রিপশন পরিপূর্ণ না হলে আনসাবস্ক্রাইবড অংশ অন্যান্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আনুপাতিক হারে বণ্টন করা হবে।
যোগ্য বিনিয়োগকারী পাবেন ৬৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বা ৬ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৫ কোটি ৯৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বা ১ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ শেয়ার। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পাবেন ২৩৯ কোটি ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা বা ২৩ কোটি ৯০ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ শেয়ার।
৪২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে যেভাবে
জিআইবি তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম আরও গতিশীল ও সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আইপিও থেকে উত্তোলিত ২৬৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা বা ৬৩.১৮ শতাংশ সরকারি বন্ডে বিনিয়োগ করবে। ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পে (এসএমই) বিনিয়োগ করবে ১০০ কোটি টাকা বা ২৩.৫৩ শতাংশ। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করবে ৫০ কোটি টাকা বা ১১.৭৬ শতাংশ। এ ছাড়া সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে আইপিও খাতে।
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড বর্তমানে সারা দেশে সব বিভাগে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। একই সঙ্গে দেশে আরও শাখা খোলার মাধ্যমে সব জেলা ও বড় শহরে ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।
এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে নতুন শাখা খোলা, ব্যবসা কাভারেজ বাড়ানো, নতুন কর্মকর্তা/কর্মচারী নিয়োগ করা, ব্যবসায়িক কৌশল পরিবর্তন, অপারেশনাল ক্রিয়াকলাপের সূত্র পরিবর্তন এবং মূলধন বিনিয়োগ বাড়ানো কার্যক্রম প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এতে করে ব্যাংকের সম্ভাব্য গ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিদ্যমান গ্রাহকরা ব্যাংকের অনুগত গ্রাহক হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে বিনিয়োগের সুযোগ বিস্তৃত হয়েছে। ইসলামী চিন্তাধারার লোকেরা এমন একটি ব্যাংকিং কার্যক্রমে জড়িত হতে পছন্দ করে, যেখানে সুদ নেয়ার বা দেয়ার সুযোগ নেই এবং সেসব ব্যাংকের ওপর আস্থা রাখে, যেসব ব্যাংক ইসলামী শরিয়াহ ও নীতির অনুশীলন করে পরিচালনা হয়।
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক সম্পূর্ণভাবে ইসলামী শরিয়াহ ও নীতির অনুশীলন করে কাজ করছে। ব্যাংকে পরিবেশগত বিষয়কে অত্যন্ত অগ্রাধিকার দেয়া হয় এবং এটি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে গ্রিন ব্যাংকিং নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেয়। ফলে পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে সচেতন ব্যক্তিরা গ্রিন ব্যাংকিং নীতির আওতায় পরিচালিত ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকিং করার সুযোগ রয়েছে।
জিআইবির গ্রাহকরা সহজেই ব্যালেন্স/স্টেটম্যান্ট দেখা, যেকোনো ব্যাংকে ফান্ড ট্রান্সফার, ক্রেডিট কার্ডের বিল প্রদান ও চেক রিকুইজিশনসহ অন্যান্য অনলাইন ব্যাংকিংয়ের সেবা পাচ্ছে।
জিআইবির এসএমই ব্যাংকিং
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এসএমই ক্লায়েন্টদের বৈচিত্র্যপূর্ণ আর্থিক চাহিদা মেটাতে যুগোপযোগী নানা ধরনের এসএমই প্রোডাক্ট প্রবর্তন করেছে। ব্যাংকটি এসএমই ক্লায়েন্ট, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য রিভলভিং এবং মেয়াদি বিনিয়োগ সুবিধা দেয়।
জিআইবি দেশব্যাপী ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলোর অর্থায়নে আরও বেশি সুযোগ পেতে সহায়তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করছে। এসএমই সেক্টরে আর্থিক মধ্যস্থতাকারীদের বিস্তৃতি আরও কার্যকরভাবে এবং দক্ষতার সঙ্গে সমর্থন করার জন্য ব্যাংক বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় হওয়া মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার জন্য আগামী ১৭ এপ্রিল দিন ঠিক করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ঠিক ছিল মঙ্গলবার। তবে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান নতুন এ দিন ঠিক করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়।
দেশের অভ্যন্তরের কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করে বলে ধারণা করেন সংশ্লিষ্টরা।
ওই ঘটনায় একই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪ এবং তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬- এর ৫৪ ধারা ও ৩৭৯ ধারায় একটি মামলা করেন।
মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন:রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া অর্থের ৮০ শতাংশ ফেরত আনা হয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, বাকি অর্থ আদায়ে মামলা চলছে। মামলায় জিতে বাকি অর্থও ফেরানো সম্ভব।
রাজধানীর একটি হোটেল শনিবার ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় দেশ থেকে টাকা পাচার বন্ধ হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও রেমিট্যান্স প্রবাহ স্মরণকালের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠানই ২০ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করেছে। সেসব অর্থ উদ্ধারে কাজ চলছে। বিদেশিরাও সহযোগিতা করছেন।
গভর্নর বলেন, পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন তথা এফবিআইসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। বিদেশি আইনজীবীও নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
রেমিট্যান্স প্রসঙ্গে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনতে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ায় বছরে সরকারের ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। গত ৫ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩০০ কোটি ডলার। রপ্তানি বেড়েছে ২৫০ কোটি ডলার।
তিনি বলেন, প্রশিক্ষিত কর্মী বিদেশে পাঠাতে পারলে রেমিট্যান্স বছরে ৬০০ কোটি ডলারে উন্নীত করা সম্ভব হবে।
সৌদি আরবকে টপকে রেমিট্যান্স পাঠানোয় শীর্ষে উঠে এসেছে দুবাই।
একে আশঙ্কাজনক উল্লেখ করে গভর্নর জানান, সৌদি আরব থেকে অর্থ প্রথমে দুবাইয়ে আসছে। সেখান থেকে বাংলাদেশে আসছে। দুবাইয়ের কিছু প্রতিষ্ঠান এই সুযোগে মুদ্রা বিনিময় হার ম্যানুপুলেট (হস্তক্ষেপ) করার চেষ্টা করছে।
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ২ হাজার ৪৯০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। এ ছাড়া বিপিএম-৬ গণনার মান অনুযায়ী রিজার্ভ এখন দুই হাজার কোটি ডলার হয়েছে।
গত ৮ জানুয়ারি বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৬৫৭ কোটি ডলার। আর বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ১৬৭ কোটি ডলার।
এ প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, ‘চার মাস চলার মতো রিজার্ভ আছে। তাই ভয়ের কিছু নেই।’
আরও পড়ুন:নতুন বছরে প্রথম পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে পদ্মা ব্যাংক পিএলসির, যা ব্যাংকটির ১২১তম সভা।
ব্যাংকের হেড অফিসে গত ৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় সভাটি।
মো. শওকত আলী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পদ্মা ব্যাংকের পর্ষদ সভায় অন্য পরিচালকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজিবর রহমান, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন, তামিম মারজান হুদা, শাহনুল হাসান খান, ডা. ফারহানা মোনেম, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান, ব্যারিস্টার-এট-ল’ এবং এইচএম আরিফুল ইসলাম এফসিএ।
সভা পরিচালনা করেন পদ্মা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো. তালহা (চলতি দায়িত্বে)।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা ডিসেম্বর মাসে রেকর্ড পরিমাণ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। এটা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় প্রায় ৩২ শতাংশ বেশি।
প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীরা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দেশে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রেমিট্যান্স প্রাপ্তিতে প্রবৃদ্ধি ২৭ দশমিক ৫৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। কারণ এই সময়কালে মোট ১৩ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। গত বছর এটা ছিল ১০ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস-এর সঙ্গে আলাপকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, সরকার অনাবাসী বাংলাদেশিদের (এনআরবি) বৈধ চ্যানেলে দেশে অর্থ প্রেরণে উৎসাহিত করায় দেশে রেমিট্যান্সের প্রবাহ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ১২ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে। বিএফআইইউর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
একইসঙ্গে তাদের ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্যও চাওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা ইতোমধ্যে পাঠিয়েছে সংস্থাটি।
হিসাব তলব করা সাংবাদিকরা হলেন- সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদল, ঢাকা টাইমস সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন, বাংলাদেশ পোস্টের বিশেষ প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম হাসিব, নাগরিক টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক দ্বীপ আজাদ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসসের সাবেক প্রধান বার্তা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপ-প্রধান বার্তা সম্পাদক মো. ওমর ফারুক, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের সাবেক মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি হোসনে আরা মমতা ইসলাম সোমা, দৈনিক জনকণ্ঠের ডেপুটি এডিটর ওবাইদুল কবীর মোল্লা, দৈনিক জাগরণ সম্পাদক আবেদ খান, ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত এবং গ্লোবাল টিভির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।
বিএফআইইউর নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, হিসাব তলব করা ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেয়ার তারিখ থেকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউ-তে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, দেশে সুশাসনের ভিত্তি মজবুত হওয়ায় অর্থ পাচার উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে। এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। অর্থ এখন আর বিদেশে ডাইভার্ট হচ্ছে না; বরং তা দেশের মধ্যেই অবস্থান করছে।
শনিবার টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ইসলামী ব্যাংকের ৪০০তম শাখা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গভর্নর বলেন, ‘যারা অর্থ নিয়ে দেশ ছেড়েছে, তাদের অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি। ইনশাআল্লাহ আমরা সফল হবো, হয়তো একটু সময় লাগবে। তবে আমরা হাল ছাড়ব না।’
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘একসময় আমাদের রিজার্ভ হ্রাস পাচ্ছিল। ব্যালেন্স অফ ক্রেডিটের কারণে মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটেছিল। আমরা সেই সংকট থেকে বেরিয়ে এসেছি। এখন রিজার্ভ আর কমছে না।
‘গত ৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক এক ডলারও বিক্রি করেনি। ব্যালেন্স অফ পেমেন্টের ঘাটতিও দূর হয়েছে। বর্তমানে এটি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রেও বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে। গত পাঁচ মাসে অতিরিক্ত তিন মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।’
দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদানের উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, ‘বিদেশে কর্মরত ভাই-বোনদের পাঠানো টাকা এখন খুব দ্রুত এবং নিরাপদে পরিবারের হাতে পৌঁছাচ্ছে। ইসলামী ব্যাংক এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ইতিহাস বলে, ইসলামী ব্যাংক দেশের এক নম্বর রেমিট্যান্স সংগ্রাহক প্রতিষ্ঠান।’
ব্যাংকিং খাতে আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে খাদ্যপণ্যের উচ্চ মূল্যই মূল্যস্ফীতির প্রধান কারণ। তবে আমরা আশা করছি, আগামী চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে খাদ্যপণ্যের দাম কমে একটি স্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। মনে রাখতে হবে, ব্যাংক কোনো ব্যক্তি বা পারিবারিক প্রতিষ্ঠান নয়। এটি একটি আমানতকারী প্রতিষ্ঠান, যা জনগণকে সেবা দেয়।’
ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড অফ ডাইরেক্টরসের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল, এফসিএস চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, রিস্ক কমিটির চেয়ারম্যান ড. এম মাসুদ রহমান এবং ইনডিপেন্ডেন্ট ডাইরেক্টর মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব।
অনুষ্ঠানে শরীয়াহ্ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন:দেশে বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন তথা রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন (দুই হাজার কোটি) ডলারের বেশি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
তিনি জানিয়েছেন, গত পাঁচ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে তিন বিলিয়ন তথা ৩০০ কোটি ডলার সমপরিমাণের।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা মিলনায়তনে শনিবার দুপুরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ৪০০তম শাখা উদ্বোধন করার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গভর্নর এসব কথা জানান।
গভর্নর বলেন, ‘গত পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ বিলিয়ন। প্রথম দিকে বলেছিলাম ১০টি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে, কিন্তু সেগুলো এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলো যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সেটাই বড় বিষয়। এখন আর এগুলো পড়ে যাবে না।
‘সব মিলিয়ে ইসলামী ব্যাংক এখন শীর্ষেই অবস্থান করছে এবং আন্তর্জাতিক মানে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে।’
অনুষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংক বোর্ড অফ ডিরেক্টরের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ মনিরুল মওলা। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর মুহাম্মদ আবদুস সামাদ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য