× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Global Islami Banks IPO has received massive response from investors
google_news print-icon

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের আইপিওতে ব্যাপক সাড়া বিনিয়োগকারীদের

গ্লোবাল-ইসলামী-ব্যাংকের-আইপিওতে-ব্যাপক-সাড়া-বিনিয়োগকারীদের
পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন পর ব্যাংক খাতের মতো ভালো কোম্পানির আইপিও আসায় বিনিয়োগকারীরা বেশ উৎফুল্ল ও আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। পুঁজিবাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া ক্ষুদ্র ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ফিরে পেয়েছেন আস্থা।

পুঁজিবাজারে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন গ্রহণ হয়েছে।

চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকটির আইপিওতে বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক সাড়া মিলেছে। প্রতিষ্ঠানটিও বিনিয়োগকারীদের দিয়েছে বিশেষ সুবিধা।

প্রাথমিকভাবে অনাবাসী বাংলাদেশিদের (এনআরবি) প্রাধান্য দিয়ে ২৫ শতাংশ শেয়ার বরাদ্দ রাখা হয়। অবশিষ্ট ৭৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ করা হয়।

বিনিয়োগকারীরা ১০ হাজার টাকা বা এর গুণিতক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আইপিও আবেদন করতে পারেন।

পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন পর ব্যাংক খাতের মতো ভালো কোম্পানির আইপিও আসায় বিনিয়োগকারীরা বেশ উৎফুল্ল ও আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। পুঁজিবাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া ক্ষুদ্র ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ফিরে পেয়েছেন আস্থা।

ব্যাংকটির আইপিও আবেদন গত ১৬ অক্টোবর শুরু হয়ে চলে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত।

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের আইপিও আবেদন গ্রহণের সময় বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আগ্রহের চিত্র দেখা যায়।

মূলত বাড়তি আগ্রহের পেছনে মূল কারণ বিনিয়োগকারীরা ১০ হাজার টাকা বা এর গুণিতক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আইপিও আবেদন করতে পেরেছেন। পাশাপাশি ব্যাংকটির গ্রোথ ও শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ভালো অবস্থানে থাকায় কোম্পানিটির আইপিও আবেদনে আগ্রহী ছিল বিনিয়োগকারীরা।

বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংকিং খাতের কোম্পানিগুলো ভালো মৌলভিত্তির হওয়ার এ ধরনের কোম্পানি বাজারে আসলে বাজারের গভীরতা বাড়ে। শেয়ারসংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে এসব শেয়ারে কারসাজির আশঙ্কাও কম।

এদিকে বিশেষ সুবিধা থাকায় এ শেয়ারে বিনিয়োগ লাভজনক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিনিয়োগকারীরা।

গত ১৫ জুন অনুষ্ঠিত ৮২৭তম কমিশন সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে এই আইপিওর অনুমোদন দেয়া হয়।

আইপিওর মাধ্যমে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের ৪২ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে ৪২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করবে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।

উত্তোলিত অর্থ এসএমই, সরকারি সিকিউরিটিজ ও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খরচ খাতে ব্যয় করবে ব্যাংকটি।

ব্যাংকটির প্রকাশিত প্রসপেক্টাসে বর্ণিত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন (২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর) অনুযায়ী, ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১ টাকা ৯১ পয়সা। পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ১৪ টাকা ৪২ পয়সা।

ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির আমানত, ইনভেস্টমেন্ট (বিনিয়োগ), পরিচালন আয়, শেয়ারপ্রতি আয়ে (ইপিএস) ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

ওই ৯ মাসে বিনিয়োগের ওপর আয় হয়েছে ৯৭৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এই বিনিয়োগ আয় থেকে আমানতের ওপর প্রদত্ত মুনাফা বাদ দিয়ে এবং শেয়ার ও সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের ওপর আয়, এক্সচেঞ্জ ব্রোকারেজ কমিশন ও অন্যান্য পরিচালন আয় যোগ করে মোট পরিচালন আয় দাঁড়িয়েছে ৩৯৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

এরপর যাবতীয় পরিচালন ব্যয় (যেমন : বেতন ও মজুরি, ভাড়া, ট্যাক্স ইনস্যুরেন্স, বিদ্যুৎ, আইন খরচ, স্টাম্প, টেলিকমিউনিকেশন, স্টেশনারি, প্রিন্টিং, বিজ্ঞাপন, প্রধান নির্বাহীর বেতন ও ফি, পরিচালকদের ফি, অবচয় এবং প্রভিশনসহ অন্যান্য) বাদ দিয়ে কর পূর্ববর্তী মুনাফা দাঁড়ায় ১৭৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

এই মুনাফা থেকে করবাবদ ৭৬ কোটি ৬০ লাখ বাদ দিয়ে ব্যাংকটির নিট মুনাফা দাঁড়ায় ৯৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আর এতে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৯১ টাকা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪.৪২ টাকা।

শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক (১০.৬৩ টাকা)। এর আগে ব্যাংকটি ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিনিয়োগের ওপর আয় করেছিল ১ হাজার ২০৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

বছরটিতে মোট পরিচালন আয় থেকে পরিচালন ব্যয় ও কর ব্যয় বাদ দিয়ে নিট মুনাফা হয়েছিল ১০২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আর এতে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয় ২ টাকা ১০ পয়সা। বছরটিতে শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভি) ছিল ১৩ টাকা ৬৫ পয়সা। শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ১৫ টাকা ১২ পয়সা।

২০১৯ অর্থবছরে বিনিয়োগের ওপর আয় হয়েছিল ১ হাজার ১০৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা। বছরটিতে নিট মুনাফা হয়েছিল ৩৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আর শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছিল ০.৭৯ টাকা। অর্থবছরটিতে শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ১২ টাকা ১৭ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ২ টাকা ২৭ পয়সা।

২০১৮ অর্থবছরে বিনিয়োগের ওপর আয় হয়েছিল ৯৩৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আর অর্থবছরটিতে নিট মুনাফা হয়েছিল ৫৩ কোটি দুই লাখ টাকা। শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয় ১ টাকা ২৫ টাকা। এ সময় ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ১২ টাকা ৫১ পয়সা।

আর শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ঋণাত্মক (০.৩১ টাকা)।

২০১৭ অর্থবছরে বিনিয়োগের ওপর আয় হয়েছিল ৭২০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আর বছরটিতে নিট মুনাফা হয়েছিল ৩৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। ইপিএস ছিল ০.৯২ টাকা। অর্থবছরটিতে শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ১১ টাকা ৭৭ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ৪ টাকা ১২ পয়সা।

২০১৬ অর্থবছরে বিনিয়োগে আয় ছিল ৪২৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

অর্থবছরে ব্যাংকটির নিট মুনাফা হয়েছিল ৪২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এতে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ১ টাকা। এ সময় ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ১০ টাকা ৮৬ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ৫ টাকা ৪১ পয়সা।

লভ্যাংশ বিতরণ

ব্যাংকটি নিট মুনাফার ওপর ২০১৭ অর্থবছরে নগদ ডিভিডেন্ড দিয়েছে ৫ শতাংশ। ২০১৮ অর্থবছরে ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে। ২০১৯ অর্থবছরে ৫ শতাংশ এবং ২০২০ অর্থবছরে নগদ ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

সম্পদের পরিমাণ

ব্যাংকটির সম্পদ বিবরণে দেখা যায়, সর্বশেষ ৯ মাসে ব্যাংকটির মোট সম্পদ ছিল ১২ হাজার ৭২৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার। ২০২০ অর্থবছরে এ সম্পদ ছিল ১২ হাজার ৯০ কোটি ২১ লাখ টাকার। ২০১৯ অর্থবছরে ১০ হাজার ৬৪০ কোটি ৫৩ লাখ টাকার, ২০১৮ অর্থবছরে ৯ হাজার ২১৭ কোটি ১৯ লাখ টাকার, ২০১৭ অর্থবছরে ৭ হাজার ৯১৩ কোটি ৬ লাখ টাকার, ২০১৬ অর্থবছরে ৪ হাজার ৯২৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার সম্পদ ছিল।

ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ২ হাজার কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ৫১৫ কোটি ৪১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।

ব্যাংকের দায়

৯ মাসে ব্যাংকটির দায় ছিল ১১ হাজার ৯৮৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। ২০২০ অর্থবছরে ১১ হাজার ৪২০ কোটি ২১ লাখ টাকা, ২০১৯ অর্থবছরে ১০ হাজার ৭১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, ২০১৮ অর্থবছরে ৮ হাজার ৬৮৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, ২০১৭ অর্থবছরে ৭ হাজার ৪১২ কোটি ৯২ লাখ টাকা এবং ২০১৬ অর্থবছরে দায় ছিল ৪ হাজার ৪৬৫ কোটি ৩ লাখ টাকা।

৪২৫ কোটি টাকার শেয়ার বণ্টন যেভাবে

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের ২০২২ সালের ১৬ জুনের নোটিফিকেশন অনুযায়ী, এনআরবি বা প্রবাসীরা মোট শেয়ারের ২৫% পাবেন অর্থাৎ তারা পাবেন ১০৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা বা ১০ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার। অভিবাসী কর্মীদের মাধ্যমে ২৫ শতাংশ আইপিও শেয়ার সাবস্ক্রিপশন পরিপূর্ণ না হলে আনসাবস্ক্রাইবড অংশ অন্যান্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আনুপাতিক হারে বণ্টন করা হবে।

যোগ্য বিনিয়োগকারী পাবেন ৬৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বা ৬ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৫ কোটি ৯৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বা ১ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ শেয়ার। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পাবেন ২৩৯ কোটি ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা বা ২৩ কোটি ৯০ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ শেয়ার।

৪২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে যেভাবে

জিআইবি তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম আরও গতিশীল ও সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আইপিও থেকে উত্তোলিত ২৬৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা বা ৬৩.১৮ শতাংশ সরকারি বন্ডে বিনিয়োগ করবে। ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পে (এসএমই) বিনিয়োগ করবে ১০০ কোটি টাকা বা ২৩.৫৩ শতাংশ। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করবে ৫০ কোটি টাকা বা ১১.৭৬ শতাংশ। এ ছাড়া সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে আইপিও খাতে।

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড বর্তমানে সারা দেশে সব বিভাগে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। একই সঙ্গে দেশে আরও শাখা খোলার মাধ্যমে সব জেলা ও বড় শহরে ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।

এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে নতুন শাখা খোলা, ব্যবসা কাভারেজ বাড়ানো, নতুন কর্মকর্তা/কর্মচারী নিয়োগ করা, ব্যবসায়িক কৌশল পরিবর্তন, অপারেশনাল ক্রিয়াকলাপের সূত্র পরিবর্তন এবং মূলধন বিনিয়োগ বাড়ানো কার্যক্রম প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এতে করে ব্যাংকের সম্ভাব্য গ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিদ্যমান গ্রাহকরা ব্যাংকের অনুগত গ্রাহক হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে বিনিয়োগের সুযোগ বিস্তৃত হয়েছে। ইসলামী চিন্তাধারার লোকেরা এমন একটি ব্যাংকিং কার্যক্রমে জড়িত হতে পছন্দ করে, যেখানে সুদ নেয়ার বা দেয়ার সুযোগ নেই এবং সেসব ব্যাংকের ওপর আস্থা রাখে, যেসব ব্যাংক ইসলামী শরিয়াহ ও নীতির অনুশীলন করে পরিচালনা হয়।

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক সম্পূর্ণভাবে ইসলামী শরিয়াহ ও নীতির অনুশীলন করে কাজ করছে। ব্যাংকে পরিবেশগত বিষয়কে অত্যন্ত অগ্রাধিকার দেয়া হয় এবং এটি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে গ্রিন ব্যাংকিং নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেয়। ফলে পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে সচেতন ব্যক্তিরা গ্রিন ব্যাংকিং নীতির আওতায় পরিচালিত ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকিং করার সুযোগ রয়েছে।

জিআইবির গ্রাহকরা সহজেই ব্যালেন্স/স্টেটম্যান্ট দেখা, যেকোনো ব্যাংকে ফান্ড ট্রান্সফার, ক্রেডিট কার্ডের বিল প্রদান ও চেক রিকুইজিশনসহ অন্যান্য অনলাইন ব্যাংকিংয়ের সেবা পাচ্ছে।

জিআইবির এসএমই ব্যাংকিং

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এসএমই ক্লায়েন্টদের বৈচিত্র্যপূর্ণ আর্থিক চাহিদা মেটাতে যুগোপযোগী নানা ধরনের এসএমই প্রোডাক্ট প্রবর্তন করেছে। ব্যাংকটি এসএমই ক্লায়েন্ট, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য রিভলভিং এবং মেয়াদি বিনিয়োগ সুবিধা দেয়।

জিআইবি দেশব্যাপী ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলোর অর্থায়নে আরও বেশি সুযোগ পেতে সহায়তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করছে। এসএমই সেক্টরে আর্থিক মধ্যস্থতাকারীদের বিস্তৃতি আরও কার্যকরভাবে এবং দক্ষতার সঙ্গে সমর্থন করার জন্য ব্যাংক বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আরও পড়ুন:
স্কয়ার ফার্মার ইতিহাসে সর্বোচ্চ নগদ লভ্যাংশ
স্বল্প মূলধনির ব্যাপক পতন, সূচক ঠেকাল ওরিয়ন-বেক্সিমকো
জেমিনির চমক, পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ আয়-লভ্যাংশ
রিং শাইন কিনতে চায় কুইন সাউথের সহযোগী প্রতিষ্ঠান
কমোডিটি এক্সচেঞ্জের জ্ঞান নিতে ভারতে সিএসইর দল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Banking sector corruption with reserve theft The ACC sought the documents of the former Governor and two Indian officials

রিজার্ভ চুরিসহ ব্যাংকিং খাতের দুর্নীতি, সাবেক ৩ গভর্নর ও ২ ভারতীয় কর্মকর্তার নথি চেয়েছে দুদক

রিজার্ভ চুরিসহ ব্যাংকিং খাতের দুর্নীতি,
সাবেক ৩ গভর্নর ও ২ ভারতীয় কর্মকর্তার নথি চেয়েছে দুদক

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে ব্যাংকিং খাতে রিজার্ভ চুরি, হলমার্ক, বেসিক ব্যাংক ও এস আলম গ্রুপের ঋণ জালিয়াতিসহ ব্যাপক লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংক খাত ‘ধ্বংসের’ অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এসব অভিযোগের অনুসন্ধানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের তিনজন সাবেক গভর্নরসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক-বর্তমান ১৯ কর্মকর্তা এবং দুজন ভারতীয় কর্মকর্তার নথি তলব করে ফের চিঠি পাঠিয়েছে দুদক।
গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ব্যাংকিং খাতে ঘটে যাওয়া এসব বড় ধরনের জালিয়াতির ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে দুদকের কাছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত জুনে প্রথম দফায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদারের নথিসহ ২৩ ধরনের নথি চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেয়া হয়েছিল। তবে সে দফায় কাঙ্ক্ষিত তথ্য না মেলায় গত সেপ্টেম্বরে কমিশন তৃতীয়বারের মতো আবার নথি তলব করে।
এই তলবকৃত নথির তালিকায় রিজার্ভ চুরির ঘটনার পর টেকনিক্যাল দায়িত্বে থাকা দুজন ভারতীয় কর্মকর্তার নথিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে এখনও সব নথিপত্র হাতে পায়নি বলে জানিয়েছে দুদক।


জানা গেছে, সম্প্রতি গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তাদের প্রত্যেকের জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট নম্বর, দায়িত্বের পরিধি এবং অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য সরবরাহের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
যাদের নাম তালিকায় রয়েছে তাদের অনেকের বিরুদ্ধেই ২০১৬ সালের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলা, নীতি শিথিলতা এবং অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে তদন্ত চলছে। দুদক ও বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার। রিজার্ভ চুরির সময় গভর্নরের দায়িত্বে ছিলেন ড. আতিউর রহমান, যিনি একই বছরের ১৫ মার্চ পদত্যাগ করেন।
এছাড়া সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, আবু হেনা মো. রাজী হাসান, এসএম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছের, আহমেদ জামাল এবং বিএফআইইউয়ের সাবেক প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাসের সম্পর্কেও তথ্য চাওয়া হয়েছে। সাবেক নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহার নামও রয়েছে এ তালিকায়।
বর্তমান কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন রাজশাহী অফিসের নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক (যিনি সম্প্রতি এক মাসের নোটিশে পদত্যাগ করেছেন) এবং আইসিটি বিভাগের দেবদুলাল রায়। আরও আছেন কমন সার্ভিস বিভাগ-২-এর পরিচালক মো. তফাজ্জল হোসেন, বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স কাউন্সিলের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ এবং আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তা মসিউজ্জামান খান ও রাহাত উদ্দিন।
দুদকের চিঠিতে মসিউজ্জামানের নাম দুইবার এসেছে—একবার অতিরিক্ত পরিচালক, আবার উপপরিচালক হিসেবে—যা একই ব্যক্তিকে নির্দেশ করে বলে জানা গেছে।
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় নেওয়া দুই কোটি ডলার ফেরত আসে এবং ফিলিপাইন থেকে প্রায় দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এখনো প্রায় ছয় কোটি ৬০ লাখ ডলার উদ্ধারের প্রক্রিয়া ফিলিপাইনের আদালতে চলছে।
রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা ও ছাড়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যাংকের চারটি বিভাগ—ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট, আইটি, পেমেন্ট সিস্টেম এবং অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং—এই ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। দুদকের চিঠিতে আরও দুটি ভারতীয় নাগরিকের তথ্য চাওয়া হয়েছে—নীলা ভান্নান ও রাকেশ আস্তানা। নীলা ভান্নান রিজার্ভ চুরির আগে ‘সুইফট’ সংযোগ স্থাপনের কাজ করেছিলেন, আর রাকেশ আস্তানা চুরির পর নিরাপত্তা ভেদ সংক্রান্ত তদন্তে বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন তৎকালীন গভর্নর আতিউর রহমানের আমলে।
এদিকে গতকাল সোমবার আলাদা এক অনুসন্ধানে দুদক চট্টগ্রামের বন সংরক্ষক ড. মোল্যা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে এক দিনেই ৭৭ জন কর্মচারীকে বদলি করার প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
গেল ফেব্রুয়ারিতে অভিযান চালিয়ে দুদক রেজাউল করিমের নামে লালমাটিয়ায় ৭ কোটি টাকার দুটি ফ্ল্যাট, ধানমন্ডিতে স্ত্রীর নামে ৫ কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট এবং সাতক্ষীরার তালা থানায় জমি কেনার প্রাথমিক দুর্নীতির উপাদান খুঁজে পেয়েছিল।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Twenty two more workers trimmed in Islamic Bank

ইসলামী ব্যাংকে আরও ২০০ কর্মী ছাঁটাই

ইসলামী ব্যাংকে আরও ২০০ কর্মী ছাঁটাই

চাকরি বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আরও ২০০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করেছে ইসলামী ব্যাংক। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহে ব্যাংকটিতে ৪০০ জনের চাকরি গেল। এদিকে মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নেওয়াদের মধ্যে ৩৬৪ জন বা ৮৮ শতাংশ উত্তীর্ণ হয়েছে। বাকিদের সক্ষমতা বাড়ানোর প্রশিক্ষণ দিয়ে পুনর্মূল্যায়ন করা হবে। আর গত শনিবার পরীক্ষায় অংশ নিতে ব্যর্থদের মধ্যে যারা আবেদন করেছেন, তাদের জন্য ফের পরীক্ষা নেওয়া হবে।

ইসলামী ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, অযোগ্যতা বা অন্য কোনো বিবেচনায় কাউকে ছাঁটাই করা হয়নি। বরং যারা মূল্যায়ন পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার ছড়াচ্ছে, পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে উল্টো অন্যদের বাধা দিয়েছে কিংবা ব্যাংকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সমাবেশ করেছে– এ রকম ব্যক্তিরা তালিকায় রয়েছেন। ২০১৭ সালে এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংক নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর থেকে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকটিতে প্রায় ১১ হাজার লোক নিয়োগ হয়। এর মধ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগ হয় ৮ হাজার ৩৪০ জন। সেখান থেকে ৫ হাজার ৩৮৫ জনের যোগ্যতা মূল্যায়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর মাধ্যমে গত শনিবার পরীক্ষা নেয় ব্যাংক। এতে অংশ নেন মাত্র ৪১৪ জন। বাকি ৪ হাজার ৯৫৩ জন পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ায় তাদের ওএসডি করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

ইসলামী ব্যাংকের এই বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষার উদ্যোগ বাতিল চেয়ে গত ২১ আগস্ট হাইকোর্টে একটি রিট করেন ব্যাংকটির চট্টগ্রামের চাক্তাই শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. জিয়া উদ্দিন নোমান। বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে নিষ্পত্তির জন্য গত ২৭ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেন আদালত। এর পর গত ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিটকারীকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া এবং চাকরিতে কাউকে রাখা বা না রাখার বিষয়টি ব্যাংকের নিজস্ব এখতিয়ারভুক্ত।

ইসলামী ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের দায়িত্বে থাকা ড. কামাল উদ্দীন জসীম বলেন, যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে নানা অপপ্রচার ছড়ানো হয়েছে। কাউকে চাকরিচ্যুত করা তাদের উদ্দেশ্য নয়। বরং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে বৈধতা দেওয়া তাদের প্রধান লক্ষ্য। তিনি বলেন, আইবিএর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়াদের ৮৮ শতাংশই উত্তীর্ণ হয়েছেন। বাকি যারা উত্তীর্ণ হননি, তাদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া গত ২৭ সেপ্টেম্বরের বাধার কারণে অনেকেই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। তাদের মধ্য থেকে যারা আবেদন করেছেন, তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষার পাশাপাশি এসব কর্মীকে একাডেমিক সনদ যাচাই করছে ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। প্রথম ধাপে বেসরকারি ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২ হাজার ২১৪ জনের সনদ যাচাইয়ের জন্য ৬টি টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। এসব টিম বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সনদ যাচাই করছে। এরই মধ্যে ৩০ জনের জাল সনদ চিহ্নিত করেছে ব্যাংক।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Administrator is the final sitting of the decision to unite five banks

পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক

পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক

সমস্যাগ্রস্ত শরিয়াভিত্তিক বেসরকারি পাঁচটি ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বিশেষ বোর্ড সভা শেষে এ তথ্য জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মো. আরিফ হোসেন খান। সভায় গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড সদস্যরা।

সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, সমস্যাগ্রস্ত শরিয়াভিত্তিক বেসরকারি পাঁচটি ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ’ অনুযায়ী পরিচালিত এই মার্জার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগবে দুই বছর। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে শিগগিরই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, এই একীভূতকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি প্রশাসক টিম গঠন করা হবে। তবে ব্যাংকের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বর্তমান ব্যবস্থাপনা টিম। প্রতিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাদের পদে বহাল থাকবেন।

তিনি আরও বলেন, এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ব্যাংকগুলোর পর্ষদ (বোর্ড) বাতিল করা হবে না। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। প্রশাসক টিম নিয়মিত তাদের কার্যক্রমের অগ্রগতি ও আপডেট বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত টিমকে জানাবে।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংককে একীভূত করে গঠন করা হবে একটি নতুন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক, যার সম্ভাব্য নাম হবে ‘ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক’। নতুন এ ব্যাংকটির জন্য লাইসেন্স ইস্যু করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Southeast Bank Entrepreneur Director Mr Azim Uddin Ahmed has died "
শোকবার্তা

"সাউথইস্ট ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক জনাব আজিম উদ্দিন আহমেদ ইন্তেকাল করেছেন”

সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি গভীর শোকের সঙ্গে জানাচ্ছে যে, ব্যাংকের সম্মানিত স্পনসর পরিচালক ও সাবেক চেয়ারম্যান জনাব আজিম উদ্দিন আহমেদ ০১ আগস্ট ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুতে সাউথইস্ট ব্যাংক পরিবার গভীরভাবে শোকাহত।

জনাব আজিম উদ্দিন আহমেদ ১৯৪০ সালের ৩০ জুন এক সম্মানিত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের একজন সম্মানিত সদস্য এবং পর্ষদের রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান।

তিনি বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য জগতে একজন খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি মিউচুয়াল গ্রুপ এবং এডি হোল্ডিংস লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও, তিনি আর্লা ফুডস বাংলাদেশ লিমিটেড-এর পরিচালক ও সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।

শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়নে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ-এর একজন প্রতিষ্ঠাতা আজীবন সদস্য ছিলেন। তিনি এই বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ফাউন্ডেশনেরও একজন প্রতিষ্ঠাতা আজীবন সদস্য ছিলেন।

শিক্ষা ও সমাজসেবায়ও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি নিজ জিলা ফেনীতে প্রতিষ্ঠা করেছেন মসজিদ,মাদ্রাসা | এছাড়াও বিভিন্ন সমাজ হিতৈষী কাজে জড়িত ছিলেন তার উদার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে |

সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি. পরিবার জনাব আজিম উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছে এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
All banks will be open till 7pm today

আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সব ব্যাংক খোলা থাকবে

আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সব ব্যাংক খোলা থাকবে

রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে অর্থবছরের শেষ দিন আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের সব ব্যাংকের শাখাগুলোতে ব্যাংকিং লেনদেন চলবে।

সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সমকালকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৩০ জুন সকাল ১০টা পর্যন্ত ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯২২ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান। তিনি বলেন, গত অর্থবছরের চেয়ে এবার বেশি রাজস্ব আদায় হওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Former Southeast Bank Chairman Alamgir Kabir has been accused of irregularities including women scandal

আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ, প্রধান উপদেষ্টা ও দুদকের কাছে চিঠি

আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ, প্রধান উপদেষ্টা ও দুদকের কাছে চিঠি আলমগীর কবির। ছবি: সংগৃহীত

সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে নারী কেলেং্কারীসহ দুর্নীতি, অর্থপাচার, শেয়ার কারসাজি ও যৌন হয়রানিসহ একাধিক অভিযোগ এনেছেন ব্যাংকের এক গ্রাহক

গতকাল বুধবার (২৫ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এসব অভিযোগ তুলে লিখিত আবেদন জমা দেন শিমুল সর্দার নামে এক গ্রাহক। একই অভিযোগে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং আর্থিক খাত বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার কাছেও চিঠি পাঠিয়েছেন।

দুদকে দেওয়া ১০ পাতার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আলমগীর কবির দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ— তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নামে-বেনামে ঋণ দিয়েছেন, চলতি ঋণের সুদ মওকুফ করেছেন এবং অযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে একক সিদ্ধান্তে ঋণ অনুমোদন করেছেন। এসব কর্মকাণ্ডের ফলে বর্তমানে সাউথইস্ট ব্যাংকের হাজার কোটি টাকার আমানত ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর কবির ব্যাংকটির অর্থ সরবরাহ ও ব্যবস্থাপনায় একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করেছিলেন। ব্যাংকের প্রতিটি বড় সিদ্ধান্ত—যেমন নতুন শাখা খোলা, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, বুথ বসানো, সফটওয়্যার কেনা ইত্যাদিতে তার একক নিয়ন্ত্রণ ছিল। এসব কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশই ছিল তার আত্মীয়স্বজন বা ঘনিষ্ঠজনদের মালিকানাধীন।

সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির গুরুতর অভিযোগও তুলেছেন অভিযোগকারী। অভিযোগে বলা হয়, আলমগীর কবির একাধিক নারী কর্মকর্তাকে নিজের অফিসে ডেকে নিয়ে তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে হয়রানি করেছেন। এসব ঘটনার কিছু প্রমাণ ইতোমধ্যে ভুক্তভোগীদের কাছে রয়েছে এবং তারা আইনগত পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। এছাড়া তিনি নিজের পছন্দের কিছু নারীকে ব্যাংকের অধীনস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘গ্রিন স্কুল’ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ‘বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড’-এ চাকরি দিয়েছেন বলেও অভিযোগে জানান।

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, শেয়ার কারসাজির অভিযোগে আলমগীর কবিরকে ইতোমধ্যে ১২ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তার নেতৃত্বে সাউথইস্ট ব্যাংকের ২৩২ কোটি টাকা বে লিজিংয়ে বিনিয়োগ করা হয়, যা বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-৪-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড বর্তমানে আর্থিকভাবে এতটাই দুর্বল যে, প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংকের পাওনা ফেরত দিতে পারছে না।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বে লিজিংয়ের পুঞ্জীভূত লোকসান দাঁড়ায় ১৭২ কোটি টাকায়। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান চেয়ারম্যান সুরাইয়া বেগম—যিনি আলমগীর কবিরের স্ত্রী—তাঁর মাধ্যমে ব্যাংকটির সঙ্গে বে লিজিংয়ের লেনদেন ‘ব্যাংকসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে লেনদেন’ হিসেবে চিহ্নিত হয়। এতে করে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ২৭ (১-খ) ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, আলমগীর কবির ব্যাংকের ফাউন্ডেশন ও শিক্ষা বিভাগের তহবিল থেকেও অর্থ তুলে এনে বে লিজিংয়ে সরবরাহ করেছেন। ব্যাংকের মেয়াদি আমানত ও কলমানির অর্থ আটকে আছে ওই প্রতিষ্ঠানটিতে। বারবার চিঠি পাঠিয়েও কোনো অর্থ ফেরত পায়নি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। শুধু মূলধন নয়, প্রতিষ্ঠানটি সুদও পরিশোধ করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Bangladesh National Insurance Company Limiteds 21st Annual Meeting

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর ২৯ তম বার্ষিক সাধারন সভা

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর ২৯ তম বার্ষিক সাধারন সভা

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর ২৯ তম বার্ষিক সাধারন সভা ২৪ জুন ২০২৫ইং তারিখে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২০২৪ইং সালের নিরীক্ষিত বার্ষিক প্রতিবেদন এবং ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়। পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জনাব মোস্তফা কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীর পরিচালক মিসেস বিউটি আক্তার, ব্যারিষ্টার হাসান রাজিব প্রধান, জনাব মনজুর মো: সাইফুল আজম এফসিএমএ, মিসেস তাহমিনা বিনতে মোস্তফা, জনাব তায়েফ বিন ইউসুফ, মিসেস তানজিমা বিনতে মোস্তফা, জনাব ওয়াশিকুর রহমান, জনাব তানভীর আহমেদ মোস্তফা , মিসেস সামিরা রহমান, মিসেস তাসনিম বিনতে মোস্তফা, জনাব মোঃ বেলায়েত হোসেন ভূইয়া, জনাব মোহাম্মদ সাইদ আহমেদ রাজা এবং মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সানা উল্লাহ, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা শেখ বিল্লাল হোসেন এফসিএ, কোম্পানীর অডিটর এ.কে.এম. আমিনুল হক এফসিএ, সিনিয়র পার্টনার মেসার্স এ.হক এন্ড কোং চাটার্ড একাউন্টেন্টস এবং আবদুর রহিম মিয়া, এফসিএ, পার্টনার মেসার্স ইসলাম জাহিদ এন্ড কোং, চাটার্ড একাউন্টেন্টস, মোঃ ফিরোজুল ইসলাম সিনিয়র এক্সিঃ ভাইস প্রেসিডেন্ট (অর্থ ও হিসাব) ও কোম্পানী সচিব মো: মাসুদ রানা এবং কোম্পানীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার সভায় সংযুক্ত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে