এমনিতেই ভারতে রপ্তানি বাড়ছিল। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গত অর্থবছরে ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলার রপ্তানির মাইলফলক ছুঁয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের পর পাশের এই দেশটিতে পণ্য রপ্তানির পালে নতুন করে হাওয়া লেগেছে। প্রতি মাসেই বাড়ছে রপ্তানি।
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ভারতে ১৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিলেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। আগস্টে তা বেড়ে ২২ কোটি ২৪ লাখ ডলারে ওঠে। সেপ্টেম্বরে তা আরও বেড়ে ২৪ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ভারতে ৬১ কোটি ২৭ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৩ শতাংশ বেশি।
বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ ভারতে পণ্য রপ্তানির এই ইতিবাচক ধারা আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশার কথা শুনিয়েছেন সরকারের নীতিনির্ধারক, অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা। তারা বলছেন, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন মাত্রা পেয়েছে। তার ফলেই রপ্তানি বাড়ছে। অর্থবছর শেষে এবার ভারতে রপ্তানি ৩ বিলিয়ন (৩০০ কোটি) ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করতে পারে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) গতকাল মঙ্গলবার দেশভিত্তিক রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) গত অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় ভারতে তৈরি পোশাকসহ অন্য পণ্য রপ্তানিতেও বড় উল্লম্ফন হয়েছে। এই তিন মাসে ভারতে ৩০ কোটি ৬৪ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৬ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি। কাঁচা পাট, চামড়া ও প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতেও ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
এর মধ্য দিয়ে জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে ভারতে পণ্য রপ্তানি করে মোট ৬১ কোটি ২৭ লাখ ডলারের বিদেশি মুদ্রা দেশে এনেছেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ৪৯ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। এ হিসাবে এই ৩ মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ শতাংশ।
গত দুই অর্থবছরে সব দেশেই বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ভারতে। অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি ২০০ কোটি (২ বিলিয়ন) ডলারের মাইলফলক ছুঁয়েছে, যা ছিল আগের অর্থবছরের চেয়ে ৫৫ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছিল ৭২ কোটি ডলার (ওভেন ৪০ কোটি ও নিট ৩১ কোটি ৫৬ লাখ ডলার)। অন্যান্য পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাতপণ্য রপ্তানি থেকে ১৯ কোটি ৪৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ২০ হাজার ডলার, প্লাস্টিকদ্রব্য থেকে ৩ কোটি ৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং কটন ও কটন প্রোডাক্টস থেকে ৪ কোটি ডলারের মতো আয় হয়েছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে মাত্র ৩টি অর্থবছরে ভারতে পণ্য রপ্তানি ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলারের বেশি হয়েছে, তা-ও সেটা গত ৩ বছরে। তার আগের বছরগুলোয় ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ১ বিলিয়ন ডলারের নিচে।
২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা ভারতে ১২৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেন, যা ছিল এযাবৎকালের সর্বোচ্চ। ২০১৯-২০ অর্থবছরের চেয়ে এ আয় বেশি ছিল প্রায় ১৭ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ভারতের বাজারে ১২৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল বাংলাদেশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা কমে ১০৯ কোটি ৬১ লাখ ৬০ হাজার ডলারে নেমে আসে।
২০১১ সালে ভারত বাংলাদেশকে অস্ত্র ও মাদক বাদে সব পণ্যে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা দেয়। যদিও সেই সুবিধা খুব বেশি কাজে লাগাতে পারছিলেন না বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। ২০১১ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশের বেশ কিছু কারখানার কাছ থেকে পোশাক নিয়ে টাকা দেয়নি ভারতীয় কোম্পানি লিলিপুট। সে জন্য বেশ কয়েক বছর পোশাক রপ্তানিতে ভাটা পড়ে। কিন্তু গত কয়েক বছরে ভারতের বিভিন্ন শহরে পোশাকের নামিদামি বিদেশি অনেক ব্র্যান্ড বিক্রয়কেন্দ্র খোলায় তাতে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি পায়।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি নিউজবাংলাকে বলেছেন, ‘এমনিতেই ভারতে আমাদের রপ্তানি বাড়ছিল। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের মধ্য দিয়ে তা আরও বাড়ছে। ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য খুবই খুশির খবর। আশা করছি, চলতি অর্থবছরে দেশটিতে আমাদের রপ্তানি ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।’
গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)-এর নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পণ্যের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশই কাছাকাছি উৎস থেকে পণ্য সংগ্রহের দিকে মনোযোগ বাড়িয়েছে। আবার বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অবকাঠামোগত যোগাযোগের উন্নতিও এ ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে।’
তিনি বলেন, ‘ভারতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি আরও বাড়ানো সম্ভব। এর জন্য রপ্তানিকারকদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে নির্ধারিত মান পরিপালনের দিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। তবে ভারতের বাজারে অনেক সময় অযৌক্তিকভাবে অশুল্ক বাধা আরোপ করা হয়। এই বাধা দূর করার ক্ষেত্রে কূটনৈতিক যোগাযোগের পাশাপাশি বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং রপ্তানিকারকদের নেগোসিয়েশন দক্ষতা বাড়াতে হবে।’
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের এ গবেষক আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ বর্তমানে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সেপা) স্বাক্ষর নিয়ে আলোচনা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশ যথাযথ নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে এ চুক্তি করলে ভারতে রপ্তানি আরও বাড়বে। একই সঙ্গে এ দেশে ভারতের বিনিয়োগ বাড়বে। ভারতের বিনিয়োগকারীদের উৎপাদিত পণ্য তাদের দেশে এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে রপ্তানি হবে ‘
সেলিম রায়হান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে বেশ আলোচনা হয়েছে। ‘সেপা’র বিষয়েও দ্রুত ভালো সিদ্ধান্ত আসবে বলে মনে হচ্ছে। সার্বিকভাবে বলা যায়, ভারতে আমাদের রপ্তানি দিন দিন বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে।’
একই কথা বলেছেন দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ চেম্বারের বর্তমান সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘গত অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরেও ভারতে রপ্তানি আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি নিয়ে আমরা অর্থবছর শুরু করেছি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় আমাদের প্রধান দুই বাজার আমেরিকা-ইউরোপের দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার কারণে আমরা পোশাক রপ্তানিতে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। ওই দেশগুলোর মানুষ এখন পোশাক কেনা কমিয়ে দিচ্ছেন। এ অবস্থায় আমরা যদি ভারতে আমাদের রপ্তানি আরও বাড়াতে পারি, তাহলে আমাদের জন্য খুবই ভালো হয়।’
দেশের অন্যতম শীর্ষ পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ইভিন্স গ্রুপের কর্ণধার পারভেজ বলেন, ‘ভারতে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের কদর বাড়ছে। ভৌগোলিক কারণেই ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ছে। এখন থেকে তা বাড়তেই থাকবে বলে মনে হচ্ছে আমার কাছে। প্রায় দেড় শ কোটি লোকের চাহিদা মেটাতে ভারতকে বাংলাদেশ থেকে পোশাক কিনতেই হবে। ভারতে পোশাক তৈরি করতে যে খরচ হয়, বাংলাদেশ থেকে আমদানি করলে তার থেকে অনেক কম পড়ে। সে কারণে সব হিসাব-নিকাশ করেই তারা এখন বাংলাদেশ থেকে বেশি করে পোশাক কিনছে।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের অনেক ব্যবসায়ী এখন বাংলাদেশের কারখানায় পোশাক তৈরি করে তাদের দেশে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করছেন। এতে তাদের এক দিকে যেমন লিড টাইম কম লাগছে, অন্যদিকে খরচও কম হচ্ছে।’
সব মিলিয়ে ভারতের বিশাল বাজার বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকদের জন্য আগামী দিনে ‘সুদিন’ বয়ে আনবে বলে মনে করছেন পারভেজ।
তিনি বলেন, ‘ভারতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে ব্র্যান্ড-সচেতনতা। এ কারণে সেখানে স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোও শক্ত অবস্থান তৈরি করছে। আবার আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোও দেশটিতে নতুন নতুন বিক্রয়কেন্দ্র খুলতে শুরু করেছে। সেই সুফলই এখন পাচ্ছে বাংলাদেশ।
এটা অব্যাহত রাখতে হবে। দুই দেশের সরকারের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন ধরে ভারতে বিজেপি ও বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে। এটাই উপযুক্ত সময়। সরকার ও বেসরকারি খাত মিলে ভারতের বাজার ধরতে একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
বাংলাদেশের নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কয়েক দিন আগে ভারতের দুই জন বায়ার আমার কারখানা পরিদর্শনে এসেছিলেন। তারা দুই জন আমার পুরোনো ক্রেতা। এবার তারা এসেছেন আরও বেশি অর্ডার দিতে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, ভারতে আমাদের পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। আমরা বেশ ভালোভাবেই ভারতের বাজারে প্রবেশ করছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমবারের মতো গত অর্থবছরে ভারতে আমাদের রপ্তানি ২ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছে। এটা বাড়ছেই। সত্যি কথা বলতে কি, ভারতের বাজার যদি আমরা মোটামুটি ভালোভাবে ধরতে পারি, তাহলে আর আমাদের পেছনের দিকে ফিরে তাকাতে হবে না। কেননা, ভারত আমাদের পাশের দেশ, পরিবহন খরচ খুবই কম পড়বে। আমাদের মুনাফা বেশি হবে।’
‘ইউরোপ-আমেরিকার বাজারে যদি কখনো কোনো কারণে সমস্যা হয়, তা হলেও আমাদের সমস্যা হবে না।’
আরও পড়ুন:পোলট্রি খাতের শীর্ষস্থানীয় চার প্রতিষ্ঠান খামার পর্যায়ে ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর খুচরা বাজারে এর দাম কমতে শুরু করেছে।
রমজানের প্রথম দিন শুক্রবার রাজধানীর শ্যামবাজার, সূত্রাপুর বাজার, ধুপখোলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে ব্রয়লার মুরগি ২৫০-২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২৬০-২৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
অযৌক্তিক দামে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করায় বৃহস্পতিবার এ খাতে দেশের চার প্রধান প্রতিষ্ঠান কাজী ফার্মস, প্যারাগন পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, আফতাব বহুমুখী ফার্মস ও সিপি বাংলাদেশকে তলব করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এরপর কোম্পানিগুলো খামার পর্যায়ে নির্ধারিত এ দামে মুরগি বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেয়।
এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংসের দাম। বাজারে হাড়সহ গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি, হাড়ছাড়া ১ হাজার টাকা কেজি, খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি, বকরি ১ হাজার টাকা কেজি।
এছাড়া বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের মতোই প্রকারভেদে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি, বুটের বেসন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, খেসারি ডালের বেসন ১০০ টাকা যা গত সপ্তাহেও একই দাম ছিল। মোটা মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা আর চিকন মসুর ডাল ১৪৫ টাকায় অপরিবর্তিত দরে বিক্রি হচ্ছে। চিনির মূল্য গত সপ্তাহের সমান ১২০ টাকা কেজি, মুড়ি ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, লেবু প্রকারভেদে ৪০-৬০-৮০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।
শ্যামবাজারের রাতুল এন্টারপ্রাইজের শফিকুল মোড়ল বলেন, ‘এখন এমন সময় আইছে যে রমজানেও মানুষের আনাগোনা কম দেখা যাচ্ছে। অথচ রমজান মাস আইলে মানুষের ভীড় লাইগ্যা থাকত। আর এখন হাতেগোনা মানুষ বাজারে আসতাছে। যেই হারে দাম বাড়ছে, মানুষও কী কইরা কিনবো? দাম কমলেই ভালা, আমরার বেচে বিক্রি বেশি হয়।’
মাছের দর কমেছে কিছুটা
রুই মাছ গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে। বাজারে প্রকারভেদে রুই ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঙাশ ২৫০ টাকা থেকে ৫০ টাকা কমে ২০০ টাকায়, ইলিশ ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাহিদা বেড়েছে তরমুজ বেলের
ইফতারিতে শরবত বানাতে তরমুজ ও বেলের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। বাজারে ৪০ টাকা কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। আর প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১৪০ টাকা হালি বেল বিক্রি হচ্ছে।
তরমুজ কিনতে আসা রিফাত হাসান বলেন, ‘তরমুজ কেজি ও পিস উভয় ভাবেই কিনতে পারছি। কেজি হিসেবে কিনলে ৪০ টাকা আর পিস হিসেবে কিনলে দেখা যাচ্ছে প্রকারভেদে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দিয়ে কেনা যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন:খামার পর্যায়ে দাম ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা ব্রয়লার মুরগি বিক্রির আশ্বাস দিয়েছে এ খাতে দেশের চার প্রধান প্রতিষ্ঠান কাজী ফার্মস, প্যারাগন পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, আফতাব বহুমুখী ফার্মস ও সিপি বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার অযৌক্তিক দামে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করায় চার কোম্পানিকে তলব করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এরপর কোম্পানিগুলো খামার পর্যায়ে নির্ধারিত এ দামে মুরগি বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেন।
শুক্রবার থেকে এ চারটি কোম্পানি নতুন দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করবে করলে ভোক্ত পর্যায়ে এর দাম কমবে বলে আশা করছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, রোজায় বাজারে ব্রয়লার মুরগির দামে ৩০-৪০ টাকার একটা প্রভাব পড়বে। আশা করছি, ভোক্তা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগির দাম কমবে ৩০-৪০ টাকা।
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘কাজী ফার্ম, সিপি, প্যারাগন ও আফতাব ফার্মের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। কোম্পানিগুলো আজ পর্যন্ত প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা করে মিলগেটে বিক্রি করেছে। তারা আজ বৈঠকে আমাদের জানিয়েছেন, আগামীকাল থেকে ১৯০-১৯৫ টাকায় বিক্রি করবে। আশা করছি, ভোক্তা পর্যায়ে এখন দাম ৩০-৪০ টাকা কমবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের আহ্বান করেছি, আপনারা এই রমজান মাসে একটু কম লাভ করেন। তারা একমত হয়েছেন। ফার্ম থেকে ব্রয়লার আসছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা রেটে। সে ক্ষেত্রে তো খোলাবাজারে ২৫০ টাকা হবেই।’
ব্রয়লারের দাম কমাতে প্রয়োজনে বর্ডার উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলেও জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
আরও পড়ুন:‘ঈদ ফেস্টিভ্যাল’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন চালু করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ।
মাসব্যাপী ক্যাম্পেইনটি ২৩ মার্চ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে, যেখানে থাকছে মেগা ডিল, হট ডিল, ফায়ারওয়ার্ক ভাউচার, দারাজ ক্লাব-কয়েন বুস্ট, শেইক শেইক, মিস্ট্রি বক্সসহ আকর্ষণীয় অফার। এ ছাড়াও ক্যাম্পেইন চলাকালীন গ্রাহকরা তাদের কেনা পণ্য রিভিউ করে জিতে নিতে পারবেন আকর্ষণীয় গিফট।
ডায়মন্ড স্পন্সর হিসেবে ক্যাম্পেইনে বাটা, হ্যায়ার, ইনফিনিক্স, লোটো, স্টুডিও এক্স, রিয়েলমি, ডেটল এবং লাইফবয়ের মতো ব্র্যান্ড পার্টনারদের সঙ্গে আরও যুক্ত হয়েছে গোল্ড স্পন্সর ফ্যাব্রিলাইফ, ফার্নিকোম, গোদরেজ, ম্যানফেয়ার, ম্যারিকো, মোশন ভিউ, মটোরোলা, নেসক্যাফে, সিঙ্গার, ডাভ এবং সিলভার স্পন্সর বাজাজ ইলেকট্রিকালস, লগিটেক, লুই উইল, বিয়ার্ডো, স্কিন পিওর, ভিট, রিবানা, স্কেমেই, স্টোন রোজ, স্বপন্স ওয়ার্ল্ড, টিপি-লিংক, রিন এবং অরাইমোর মতো ব্র্যান্ড পার্টনাররা।
এ ক্যাম্পেইনে পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে থাকছে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, এইচএসবিসি, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক। নন-কমার্শিয়াল পার্টনার হিসেবে থাকছে লিয়া’স বিউটি বক্স, গ্ল্যামফ্রিক বাই ফারিন, পাউডার রুম বাই এশা রুশদি, ল্যাভিশ বুটিক এবং পালস হেলথ কেয়ার।
ঈদ ফেস্টিভ্যাল সম্পর্কে দারাজ বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার তালাত রহিম বলেন, ‘আমরা এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকদের মাসজুড়ে সাশ্রয়ী কেনাকাটার অভিজ্ঞতা প্রদান করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রাহকদের সেরা ডিল ও অফার দেওয়ার বিষয়টি দারাজ বরাবরই অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে।
‘আমাদের ঈদ ফেস্টিভ্যালও তারই অংশ। আমরা আমাদের স্পন্সর ও পার্টনারদের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। তাদের কারণেই এই ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।’
আরও পড়ুন:পবিত্র রমজান উপলক্ষে গত সোমবার বিশেষ ইফতার বুফে ডিনারের আয়োজন করে প্ল্যাটিনাম হোটেলস্ বাই শেলটেক্।
জাঁকজমকপূর্ণ এ আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন দেশের নামী সাংবাদিক, ফুড ব্লগার ও কয়েকজন বিশেষ অতিথি।
রমজান উপলক্ষে প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ড ও প্ল্যাটিনাম রেসিডেন্সে পাওয়া যাবে দক্ষ শেফদের তৈরি মধ্যপ্রাচ্যের মুখরোচক আইটেম (যেমন: হায়দরাবাদি মাটন হালিম, চিকেন নেহারি, দাজাজ আল ফাহাম, কাবসা)। সেই সঙ্গে মিলবে ঐতিহ্যবাহী দেশীয় ইফতার আইটেমও। আরও পাচ্ছেন মহলাবিয়া, উম্মে আলী, পেস্ট্রি, আনলিমিটেড আইসক্রিম, সফট ড্রিংকস ও জুস।
প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডে এই ইফতার ও ডিনার বুফেটি পেয়ে যাবেন B1G2 অফারে ৩৬৫০ টাকায় (৩১ মার্চ পর্যন্ত)। B1G1 অফারে সেটি ৩ হাজার ৩০০ টাকা।
প্ল্যাটিনাম রেসিডেন্সের ক্ষেত্রে B1G2 অফার ২ হাজার ৯৯৯ টাকা (৩১ মার্চ পর্যন্ত) এবং B1G1 অফারে ২ হাজার ৩০০ টাকা। সেই সঙ্গে প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডে প্রতিদিন থাকছে দেশীয় এবং কন্টিনেন্টাল আইটেমের সেহরি বুফের আয়োজন, যার জনপ্রতি মূল্য ১ হাজার ৯৯৬ টাকা।
সেই সঙ্গে যারা পরিবার, বন্ধুবান্ধব বা অফিসের কলিগদের নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করতে চাইছেন, তাদের জন্য প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডের জিজি এবং প্ল্যাটিনাম রেসিডেন্সের টেরা বিস্ত্রতে থাকছে ইফতারের বিশেষ ব্যবস্থা। আরও পাওয়া যাবে টেকওয়ে ইফতার বক্স যেখানে পেয়ে জাচ্ছেন হায়দরাবাদি মাটন হালিম, জাফরানি রেশমি জিলাপি, চিকেন ও ফিশ কাবসা এবং দই বড়া। এ ছাড়া প্ল্যাটিনাম হোটেলস্ দেশের যেকোনো প্রান্তে ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার জনের ক্যাটারিং সার্ভিস দিয়ে থাকে।
শুধু তাই নয়, যারা একটু নিরিবিলি পরিবেশে পুল সাইডে বসে ইফতার করতে চান, তাদের জন্য প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডের ট্রাইব রুফটপ লাউঞ্জে থাকছে দুটি ফুল কোর্স সেট মেনু।
এই মেন্যুতে থাকছে চিকেন টেন্ডার, মোজারেলা স্টিকস, চিকেন ক্যাশিউনাট সালাদ, পিৎজা, ব্রেডেড প্রন, গ্রিলড চিকেনের সঙ্গে স্প্যাগেটি অ্যালিও ওলিওর মতো সিগনেচার ডিশ। এসব সেট মেন্যু ২০০০ ও ১৬০০ টাকায় B1G1 অফারে পেয়ে যাবেন।
ঢাকার নানান অফিস, রেস্টুরেন্ট ও দোকান থাকা বনানী ১১ নম্বরে প্লাটিনাম গ্র্যান্ডের অবস্থান। এর দূরত্ব হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৫ মিনিটের। বিমানবন্দর থেকে উত্তরায় অবস্থিত প্লাটিনাম রেসিডেন্সের দূরত্ব চার কিলোমিটার। দুটি হোটেলের মার্জিত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ যেকোনো বিশ্বমানের হোটেলের সঙ্গে তুলনাযোগ্য, যা ব্যবসায়ী ও ভ্রমণকারীদের জন্য আদর্শ জায়গা।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করা যাবে 01922110976, 01922110975 নম্বর দুটিতে।
আরও পড়ুন:‘রমজান মাস সামনে রেখে বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। এর ফলে দাম বৃদ্ধির কোনো আশঙ্কা নেই। এ বিষয়ে ভোক্তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।’
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বুধবার এসব কথা বলেছেন। এর আগে রাজধানীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে অধিদপ্তরের একটি দল।
অধিদপ্তরের পরিদর্শন দলটি সকাল ১১টায় নিউমার্কেট বনলতা কাঁচাবাজার, নিত্যপণ্য বিক্রয়কারী ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করে। মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান, এফবিসিসিআই-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন, অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার ও সংশ্লিষ্ট বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ( প্রশিক্ষণ ও প্রচার) আতিয়া সুলতানা জানান, তদারকিকালে মাছ, মুরগি, চাল ও মুদি দোকানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়। দেখা যায় ছোলা ও মসুর ডালের দাম নিম্নমুখী এবং অন্যান্য পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে।
ব্রয়লার মুরগির দামের ক্ষেত্রে কোনো অসঙ্গতি আছে কিনা তা যাচাইয়ে মুরগি কেনার ভাউচার দেখে যে দোকান থেকে কেনা করা হয়েছে সে দোকানে তাৎক্ষণিক তদারকির জন্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অপর একটি টিমকে নির্দেশনা দেন। রমজানে কোনোভাবেই যেন ব্রয়লার মুরগির দাম না বাড়ে সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
তদারকিকালে ‘পণ্য কিনি প্রয়োজনে, মূল্য রাখি নিয়ন্ত্রণে’ এমন জনসচেতনতামূলক বার্তা দিয়ে ব্যবসায়ীদেরম মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
বাজার তদারকি কার্যক্রম শেষে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন জানান, পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে এফবিসিসিআই ও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতিসহ সব বাজার কমিটি যৌথভাবে কাজ করবে।
আরও পড়ুন:একদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আরও কমেছে। আগের দিন মঙ্গলবার এক দফা কমানো হয় স্বর্ণের দাম।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস নির্ধারিত এই দাম কার্যকর হবে বৃহস্পতিবার থেকে।
২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ (১১.৪৪৬ গ্রাম) বিক্রি হবে ৯৬ হাজার ৪৬১ টাকায়। বুধবার পর্যন্ত এই মানের স্বর্ণের ভরি ছিল ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা। সে হিসাবে ভরি প্রতি কমেছে ১ হাজার ১৬৬ টাকা।
নতুন দর অনুযায়ী, ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হবে ৯২ হাজার ৮৭ টাকা। ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরির দাম হবে ৭৮ হাজার ৯০৭ টাকা। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৬৫ হাজার ৭৮৫ টাকায় বিক্রি হবে।
বুধবার পর্যন্ত ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ৯৩ হাজার ১৯৫ টাকা। ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরির দাম ছিল ৭৯ হাজার ৮৯৮ টাকা। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ৬৬ হাজার ৫৪৩ টাকা ভরিতে।
চার দিন আগে ১৮ মার্চ এই মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৭ হাজার ৭০০ টাকা বাড়িয়েছিল বাজুস। তখন দাম ছুঁয়েছিল প্রায় লাখ টাকা।
বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়।
এতে বলা হয়েছিল, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয় রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের রুপার দাম প্রতি ভরি ১ হাজার ৭১৫ টাকা। ২১ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১০৫০ টাকায় অপরিবর্তিত আছে।
আরও পড়ুন:দুই দিন আগে সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) সোনার দাম ভরিতে ৭ হাজার ৭০০ টাকা বাড়িয়েছিল দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস; ছুঁয়েছিল প্রায় লাখ টাকা। মঙ্গলবার তা থেকে মাত্র ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানো হয়েছে।
বুধবার থেকে দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ (১১.৪৪৬ গ্রাম) ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকায় বিক্রি হবে। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই মানের স্বর্ণ ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
দুই দিন আগে গত শনিবার এই সোনার দাম ভরিতে ৭ হাজার ৬৯৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল বাজুস। যা রোববার থেকে কার্যকর হয়। তার আগে ৯১ হাজার ৯৬ টাকা ভরিতে বিক্রি হয়েছিল এই মানের স্বর্ণ।
অন্যান্য মানের সোনার দরও একই হারে বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দর অনুযায়ী, বুধবার থেকে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হবে ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা। ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হবে ৯৩ হাজার ১৯৫ টাকা। ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরির দাম হবে ৭৯ হাজার ৮৯৮ টাকা। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৬৬ হাজার ৫৪৩ টাকায় বিক্রি হবে।
এর আগে গত শনিবার ভরি প্রতি স্বর্ণের দাম ৭ হাজার ৬৯৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। মঙ্গলবার পর্যন্ত এ দামে সোনা কেনাবেচা হয়েছে। ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ ৯৪ হাজার ৩০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ ৮০ হাজার ৮৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৬৭ হাজার ৩০১ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তার আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অবশ্য ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে ৯১ হাজার ৯৬ টাকায় নামিয়ে এনেছিল বাজুস।
শনিবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে দেশের বাজারে সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা কিনতে লাগবে ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেট ৯৪ হাজার ৩০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৮০ হাজার ৮৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা বিক্রি হবে ৬৭ হাজার ৩০১ টাকা দরে।
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামও ওঠানামা করছে। মঙ্গলবার রাত ৯টায় প্রতি আউন্স (৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম, ২.৬৫ ভরি) স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৯৫২ ডলার ১৮ সেন্ট। ১৮ মার্চ রাতে যখন দেশে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়, তখন প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৯৯২ ডলার।
এদিকে সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের রুপার দাম প্রতি ভরি ১ হাজার ৭১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১০৫০ টাকায় অপরিবর্তিত আছে।
মন্তব্য