× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Another big price drop is now devastating in Orion
google_news print-icon

আবার বড় দরপতন, সেই ওরিয়নে এখন সর্বনাশ

আবার-বড়-দরপতন-সেই-ওরিয়নে-এখন-সর্বনাশ
নানা গুজব-গুঞ্জনে কিছু কোম্পানির শেয়ারদর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল, সেগুলোর পতনও হয়েছে সবচেয়ে বেশি। লভ্যাংশ-সংক্রান্ত ঘোষণার কারণে মূল্যসীমা না থাকা দুই কোম্পানি দর হারিয়েছে ১৩ শতাংশের বেশি। কিছুদিন ধরে লাফাচ্ছিল এমন চারটি কোম্পানি দর হারিয়েছে ৯ শতাংশের বেশি। আরও চারটি কোম্পানি দর হারিয়েছে ৮ শতাংশ করে, তিনটি দর হারিয়েছে ৭ শতাংশ করে। আটটি কোম্পানির দর কমেছে ৬ শতাংশের বেশি, ১৩টি কোম্পানির দর কমেছে ৫ শতাংশের বেশি, আরও ৮টির কমেছে ৪ শতাংশের বেশি।

বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে আবার ঢালাও দরপতন হলো দেশের পুঁজিবাজারে। স্বল্প মূলধনি কিছু কোম্পানির শেয়ারদর লাফ দিলেও গত কয়েক মাসে লাফিয়ে বাড়ছিল এমন কোম্পানিগুলো দর হারানোয় সূচকের বড় পতন হলো।

সূচকের এই পতনে প্রধান ভূমিকায় ছিল তুমুল আলোচিত ওরিয়ন গ্রুপের চার কোম্পানি, যেগুলো গত আগস্ট-সেপ্টেম্বরে সূচক বৃদ্ধিতে ছিল প্রধান ভূমিকায়। সেই সঙ্গে বড় মূলধনি কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেডের দরপতনও এতে রেখেছে ভূমিকা।

সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার ১৫ পয়েন্টের পর দ্বিতীয় কর্মদিবসে সূচক কমল ৬৫ পয়েন্ট। কিছুটা কমল লেনদেনও।

বড় পতনের এই দিনে কেবল ২৫টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে ১৫৩টির আর আগের দিনের দরে হাতবদল হয়েছে ১৮২টি কোম্পানি, সেগুলোর সিংহভাগই লেনদেন হচ্ছে বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইসে।

আবার বড় দরপতন, সেই ওরিয়নে এখন সর্বনাশ
সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

লেনদেনও কিছুটা কমেছে। দিন শেষে হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ২৯৭ কোটি ৮৩ লাখ ১৪ হাজার টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় ৪৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা কম। রোববার হাতবদল হয়েছিল ১ হাজার ৩৪৩ কোটি ১২ লাখ ৪ হাজার টাকা।

এদিন পতনে থাকা কোম্পানিগুলোর দর এক দিনেই এতটা কমেছে যা বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।

ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজের সিইও সুমন দাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্বল্পমূলধনির দর বাড়ছে, এর দুটো কারণ হতে পারে। প্রথমত, বিএসইসি থেকে পেইড-আপ ক্যাপিটাল বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে, যেটা করার পরিকল্পনা করছে কোম্পানিগুলো। যার কারণে ওই দিকে ধাবিত করছে।

আর দ্বিতীয়ত, এসব শেয়ারের দর বাড়ানো সহজ হয়, ফলে যারা ওমুক ভাই, তমুক ভাই ফলো করেন, তারা এসব শেয়ারের পেছনে দৌঁড়ান, এতেই দর বাড়ে।’

তিনি বলেন, ‘বাজারকে স্বাভাবিকভাবে চলতে দিতে হবে। ফ্লোরপ্রাইস বা বিভিন্ন সময় যে ২ বা ৫ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার দেয়া হয়েছিল সেগুলোর খুব বেশি প্রয়োজন ছিল না। সে সময় যদি পড়ত, একটা সময় গিয়ে মানুষ ঠিকই বুঝতে পারতেন, এবং বিনিয়োগে ফিরে আসতেন। তবে এখন যদি ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয় তাহলে হয়ত আবার মার্কেট ডাউন ট্রেন্ডে চলে যেতে পারে।’

অন্য এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যেগুলোর তরতর করে বেড়েছিল, সেগুলোর তো কমবে। আবার যেগুলোর কারণ ছাড়াই কমে যাবে সেগুলোর বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’

পতনের উচ্চহারে ব্যাপক ক্ষতি

নানা গুজব-গুঞ্জনে কিছু কোম্পানির শেয়ারদর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল, সেগুলোর পতনও হয়েছে সবচেয়ে বেশি। লভ্যাংশ-সংক্রান্ত ঘোষণার কারণে মূল্যসীমা না থাকা দুই কোম্পানি দর হারিয়েছে ১৩ শতাংশের বেশি। কিছুদিন ধরে লাফাচ্ছিল এমন চারটি কোম্পানি দর হারিয়েছে ৯ শতাংশের বেশি।

আবার বড় দরপতন, সেই ওরিয়নে এখন সর্বনাশ
কোম্পানিগুলোর দর পতনের উচ্চ হারের কারণে বিনিয়োগকারীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে

আরও চারটি কোম্পানি দর হারিয়েছে ৮ শতাংশ করে, তিনটি দর হারিয়েছে ৭ শতাংশ করে। আটটি কোম্পানির দর কমেছে ৬ শতাংশের বেশি, ১৩টি কোম্পানির দর কমেছে ৫ শতাংশের বেশি, আরও ৮টির কমেছে ৪ শতাংশের বেশি।

দরবৃদ্ধির বেশির ভাগই স্বল্প মূলধনি

বিপরীতে যেসব কোম্পানির দর বেড়েছে, তার মধ্যে কেবল দুটি করে কোম্পানি আছে যাদের দর যথাক্রমে ৮, ৭, ৫ ও ৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে। চারটি কোম্পানির দর ২ শতাংশের বেশি ও ৭টি দর বেড়েছে ১ শতাংশের বেশি।

শীর্ষ দশে থাকা ১০টি কোম্পানির সাতটিই স্বল্প মূলধনি। এর মধ্যে একটির দর ১৬ কর্মদিবসে ১৭৫ টাকা ৯০ পয়সা থেকে হয়েছে ৩৯২ টাকা ৩০ পয়সা।

সূচক পতনে বেশি প্রভাব ওরিয়ন গ্রুপের, সঙ্গে বেক্সিমকো লিমিটেড

তবে দরবৃদ্ধি ও পতনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর শেয়ারসংখ্যা কম থাকায় এগুলো সূচকে প্রভাব বিস্তার করতে পারে কমই। সূচকের বড় পতন হয়েছে মূলত বেক্সিমকো লিমিটেড, ওরিয়ন গ্রুপের চার কোম্পানি, বড় মূলধনি বহুজাতিক কোম্পানি লাফার্জ সিমেন্ট, হঠাৎ করে লাফাতে থাকা সি পার্ল, জেএমআই হসপিটাল, আইসিবি ও সোনালী পেপারের দরপতনে।

বেক্সিমকো লিমিটেডের ৩.৪৪ শতাংশ দরপতনে ৭.৭৪ পয়েন্ট সূচক কমেছে। ওরিয়ন গ্রুপের চার কোম্পানির মধ্যে বিকন ফার্মা ৫.১ পয়েন্ট, ওরিয়ন ফার্মা ৩.৪৮ পয়েন্ট, কোহিনূর কেমিক্যালস ১.৭৫ পয়েন্ট এবং ওরিয়ন ইনফিউশন সূচক কমিয়েছে ১.৪৩ পয়েন্ট।

সব মিলিয়ে এই পাঁচটি কোম্পানিই সূচক ফেলেছে ১৯.৫০ পয়েন্ট।

ওরিয়নের চার কোম্পানির চিত্র

এই গ্রুপের চারটি কোম্পানিই ওষুধ ও রসায়ন খাতের। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় মূলনি ওরিয়ন ফার্মা দর হারিয়েছে ৫.৫১ শতাংশ। আগের দিন দর ছিল ১৩৪ টাকা ৩০ পয়সা। ৭ টাকা ৪০ পয়সা কমে দর দাঁড়িয়েছে ১২৬ টাকা ৯০ পয়সায়।

গত ২০ কর্মদিবসে এটি কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বনিম্ন দর। গত ১৫ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১১৬ টাকা ২০ পয়সা, পরে বাড়তে বাড়তে উঠে যায় ১৫৬ টাকা ৫০ পয়সা।

শেয়ারদর তরতর করে বাড়তে থাকার সময় লেনদেনও হয়েছে ব্যাপক। এমনও দিন গেছে এক দিনে আড়াই শ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা এখন নেমে এসেছে ৫০ কোটির ঘরে।

গত ২৮ জুলাই দ্বিতীয়বারের মতো পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস দেয়ার দিন কোম্পানিটির দর ছিল ৭৮ টাকা ৭০ পয়সা।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫.৩৬ শতাংশ দর হারিয়েছে স্বল্প মূলধনি কোহিনূর কেমিক্যালস। আগের দিন দর ছিল ৬৩৭ টাকা। ৩৪ টাকা ২০ পয়সা কমে দর দাঁড়িয়েছে ৬০৩ টাকা ৪০ পয়সা।

গত ২৮ জুলাই ফ্লোর প্রাইস দেয়ার দিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৩৭৯ টাকা ৯০ পয়সা। সম্প্রতি উঠে যায় ৭৫৭ টাকা ৪০ পয়সায়। এই দরে যারা কিনেছেন, তাদের এখন শেয়ার প্রতি ১৫০ টাকা হারিয়ে গেছে।

এই গ্রুপের সবচেয়ে আলোচিত কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশন দর হারিয়েছে ৩.৬৮ শতাংশ বা ৩৪ টাকা ৯০ পয়সা। আগের দিন দর ছিল ৯৪৭ টাকা ৯০ পয়সা, দিন শেষে দর হারিয়েছে ৯১৩ টাকা।

আবার বড় দরপতন, সেই ওরিয়নে এখন সর্বনাশ
সূচক পতনে সবচেয়ে বেশি প্রভাবক ছিল এমন ১০টি কোম্পানির মধ্যে চারটিই ওরিয়ন গ্রুপের। শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড

গত ছয় মাসেরও কম সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১২ গুণেরও বেশি বেড়ে এক হাজার টাকা ছুঁয়ে পরে নামতে শুরু করেছে। গত মে-জুন মাসেও দর ছিল ৮০ টাকার নিচে, রোববার দর এক হাজার টাকা ছুঁয়ে কমে।

গত ২৮ জুলাই ফ্লোর প্রাইস দেয়ার দিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১০৪ টাকা ৭০ পয়সা। এভারে অস্বাভাবিক হার দর বৃদ্ধির নেপথ্যে কী, তা খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে, এই দর বৃদ্ধির নেপথ্যে কোনো কারসাজি আছে কি না।

গ্রুপের অপর কোম্পানি বিকন ফার্মা দর হারিয়েছে ৩.১৯ শতাংশ বা ১১ টাকা। আগের দিন দর ছিল ৩৪৪ টাকা ৬০ পয়সা, দিন শেষে দাঁড়িয়েছে ৩৩৩ টাকা ৬০ পয়সা। দিনের এক পর্যায়ে দর নেমে এসেছিল ২২১ টাকায়।

ফ্লোর প্রাইস দেয়ার দিন কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ২৪০ টাকা ৬০ পয়সা। বাড়তে বাড়তে তা সম্প্রতি উঠে যায় ৩৯৩ টাকা পর্যন্ত।

গত তিন বছর ধরেই কোম্পানিটির শেয়ারদর ব্যাপকহারে লাফাচ্ছে। তিন বছর আগেও ২০ টাকার ঘরে লেনদেন হচ্ছিল শেয়ারদর। শেয়ারদর এভাবে লাফাতে থাকলেও কোম্পানির ব্যাপক আর্থিক উন্নতি হয়েছে, এমন প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না।

বেক্সিমকোর চার কোম্পানি ও বন্ডের দরে যা হলো

এই গ্রুপের পাঁচ কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত বেক্সিমকো লিমিটেড ৩.৪৪ শতাংশ বা ৪ টাকা ৪০ পয়সা দর হারিয়েছে। আগের দিন দর ছিল ১২৭ টাকা ৮০ পয়সা, দিন শেষে দাঁড়িয়েছে ১২৩ টাকা ৪০ পয়সায়।

গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর অনেকটাই কমেছে। এর আগে এক বছরে বেড়েছে ব্যাপক হারে। ২০২০ সালে ফ্লোর প্রাইস দেয়ার সময় শেয়ারদর ১৩ টাকার ঘরে থাকলেও গত বছর দর ১৯০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। কোম্পানিটির শেয়ারদর বাড়ার পাশাপাশি তাদের ব্যবসাও বেড়েছে। তবে গত নভেম্বর থেকে টানা দরপতনের কারণে বিনিয়োগকারীরা বড় লোকসানে আছেন।

ফ্লোর প্রাইস দেয়ার দিন কোম্পানিটির শেয়ার দর ১১৪ টাকা ২০ পয়সা ছিল। সেখান থেকে দর ১৪৬ টাকা হয়ে যাওয়ার পর বিনিয়োগকারীরা হারিয়ে যাওয়া টাকা ফিরে পাওয়ার আশা করেছিলেন, তবে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে দর আবার নিম্নমুখি হয়ে যাওয়ায় সে আশা আর পূরণ হয়নি।

ওরিয়ন গ্রুপের মতো এই গ্রুপের সবগুলো কোম্পানি দর হারায়নি। বেক্সিমকো ফার্মার দর এদিন স্রোতের বিপরীতে গিয়ে ১.৩১ শতাংশ বা ২ টাকা ১০ পয়সা বেড়েছে। আগের দিন দর ছিল ১৬০ টাকা ২০ পয়সা, দিন শেষে দাঁড়িয়েছে ১৬২ টাকা ৩০ পয়সা।

আবার বড় দরপতন, সেই ওরিয়নে এখন সর্বনাশ
ব্যাপক দরপতনের মধ্যেও স্বল্প মূলধনি বেশ কিছু কোম্পানির দর বেড়েছে

এই কোম্পানিটির দর গত দুই বছরে অনেকটাই বেড়েছে। ৯০ টাকার কম থেকে বাড়তে বাড়তে গত বছর ২৩৯ টাকা ৪০ পয়সায় উঠে যায়। কিন্তু গত বছরের অক্টোবর থেকে ক্রমাগত দর হারাচ্ছে।

গ্রুপের আরেক কোম্পানি আইএফআইসি ব্যাংক ফ্লোর প্রাইস থেকে কিছুটা দূরে অবস্থান করছে। ১০ পয়সা দর হারিয়ে শেয়ারদর এখন ১১ টাকা ৯০ পয়সা। কমতে পারবে বড়জোর আর ৪০ পয়সা।

ব্যাংক খাতের যে কোম্পানিটি গত এক বছরে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে, তার মধ্যে আছে এটি। গত বছরের নভম্বেরের তৃতীয় সপ্তাহে দর উঠে ২১ টাকা ৮০ পয়সা। সেখান থেকে প্রায় অর্ধেকে দাঁড়িয়েছে।

আরেক কোম্পানি শাইনপুকুর সিরামিকস ৯০ পয়সা বা ১.৮১ শতাংশ দর হারিয়েছে। আগের দিন দর ছিল ৪৯ টাকা ৬০ পয়সা, দিন শেষে দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ৭০ পয়সা।

গত এক বছরে গ্রুপের একমাত্র কোম্পানি হিসেবে শেয়ারদর অনেকটাই বেড়েছে। এই সময়ে ২৪ টাকা ৫০ পয়সা থেকে দর ৫৮ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত উঠে যায়।

এই গ্রুপের গ্রিন সুকুক বন্ড দর হারিয়েছে ১ টাকা। ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের বন্ডের দর আগের দিন ছিল ৮৮ টাকা ৫০ পয়সা, বর্তমান দর ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা।

লাফিয়ে উত্থান, ধপাস করে পতন

৫ কোটির স্বল্পমূলধনি কোম্পানি অ্যাপেক্স ফুডস। গত জুলাইয়ের ২৮ তারিখেও কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ১৬৫ টাকা ৯০ পয়সা। সেখান থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে গতকাল পর্যন্ত শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩১৪ টাকা ৯০ পয়সায়।

আজকে লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে দরপতন বা বৃদ্ধির সীমা না থাকায় একদিনেই কমেছে ১৩.৬৯ শতাংশ বা ৪৩ টাকা ১০ পয়সা। বিশ্বের অন্য বাজারে না ঘটলে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে লভ্যাংশ ঘোষণার পরে দর সমন্বয় হতে দেখা যায়। তবে ঘোষিত ২০ শতাংশ বা শেয়ার প্রতি ২ টাকার বিপরীতে এই পতনকে শুধুমাত্র দর সংশোধন বলার উপায় নেই।

একই অবস্থা ফারইস্ট নিটিংয়ের। কোম্পানির শেয়ারপ্রতি ১ টাকা লভ্যাংশের বিপরীতে একদিনেই দর কমেছে ১৩.০৪ শতাংশ বা ৩ টাকা। ২৮ জুলাইয়ে ১৭ টাকায় লেনদেনের পর তরতর করে শেয়ারদর বেড়ে ২৯ আগস্ট ২৪ টাকা ৫০ পয়সা লেনদেন হয়। এরপর ওঠানামার মধ্যে থাকলেও গতকাল পর্যন্ত ২৩ টাকায় শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

একেবারে কম না হলেও ৫৭ কোটি টাকার মূলধনি কোম্পানি বিডি কম। ১২ সেপ্টেম্বরের পর থেকে লাগামহীন ঘোড়ার মতো ছুটেছে শেয়ারদর। ওই দিন ৩২ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হওয়া শেয়ারটি ১২ অক্টোবরে ৭৫ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়। সেখান থেকে তিন কর্মদিবসে কমে আজকে শেয়ার হাতবল হয়েছে ৫৮ টাকা ৯০ পয়সায়।

৩ অক্টোবরে নাভানা সিএনজির শেয়ার ২৬ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেনের পরে হু হু করে দর বেড়ে বৃহস্পতিবারে ৩৫ টাকা ৮০ পয়সায় ঠেকে। এরপর দুই দিনেই কমে দর দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ২০ পয়সায়। আজকে দর কমেছে একদিনে যতটুকু সম্ভব ততটুকু বা ৯.৫৫ শতাংশ।

স্বল্পমূলধনি অ্যাপেক্স স্পিনিংয়ের দর ২৮ জুলাইয়ে ছিল ১২৮ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৩০ আগস্ট ১৬৪ টাকা ৩০ পয়সায় উঠেছিল। এরপর দরপতন হলেও ১২ অক্টোবর শেয়ার বেচাকেনা হয় ১৫৫ টাকা ৩০ পয়সায়। সেখান থেকে কয়েক দিনেই শেয়ারদর কমে আজ ১৩৯ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। ১৪ টাকা ১০ পয়সা বা ৯.১৯ শতাংশ দর কমেছে।

আরেক স্বল্পমূলধনি আজিজ পাইপসও দর ধরে রাখতে পারেনি। ১২ সেপ্টেম্বর ৯৬ টাকায় লেনদেন হওয়া শেয়ারদর ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ১৪০ টাকা ২০ পয়সায় ঠেকে। এরপর কয়েকদিনেই দর কমেছে ২৫ টাকার মতো। সোমবার ১১ টাকা ৫০ পয়সা কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১৫ টাকা ৬০ পয়সা।

এ ছাড়াও লাফিয়ে লাফিয়ে দর বাড়ার পরে ব্যাপকহারে দর কমেছে ফার কেমিক্যাল, পেনিনসুলা চিটাগং, আফতাব অটোমোবাইলস, ইনডেক্স অ্যাগ্রো, মুন্নু সিরামিকস ও সি-পার্লের মতো কোম্পানির।

শীর্ষ ৫ খাত যেমন

লেনদেনের শীর্ষে ওষুধ ও রসায়ন খাত। সর্বোচ্চ ২০০ কোটি ৯০ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৬.২৭ শতাংশ। খাতটিতে ৩টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। আর ১০টির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে। আর দরপতন হয়েছে ১৭টির।

প্রকৌশল খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ৬টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৫টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে। দরপতন হয়েছে ২১টির।

তৃতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতে লেনদেন হয়েছে ১৪৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। ১টির দরবৃদ্ধি, ৮টির দরপতন ও আগের দরে লেনদেন হয়েছে ৪টি কোম্পানির।

চতুর্থ সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে সেবা ও আবাসন খাতে। খাতের সবকটি বা ৪টির লেনদেনই হয়েছে দরপতনে। হাতবদল হয়েছে ১১৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

১০৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা লেনদেন করে তালিকার পঞ্চম স্থানে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাত। ৩টির দরবৃদ্ধি, ১টির অপরিবর্তিত দরে ও ২টির লেনদেন হয়েছে দরপতনে।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে কারসাজি: তিন বিনিয়োগকারীকে ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা
৪৯ দিনে ৮১৪ টাকা দর বাড়ার পর ঘুম ভাঙল বিএসইসির
৫০০ কোটি টাকার বন্ড আনছে মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক
ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসতে চায় না দুই কারণে: সালমান
লেনদেন এবার হাজার কোটির নিচে, দুর্বল কোম্পানির রমরমা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market Index is increasing transactions

পুঁজিবাজার : সূচক বেড়ে চলছে লেনদেন

পুঁজিবাজার : সূচক বেড়ে চলছে লেনদেন

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।

এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।

সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।

অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।

এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।

এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Transaction is going on in the capital market of Dhaka Chittagong

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
At the end of the holidays the capital market starts with the big ups

ছুটি শেষে বড় উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু পুঁজিবাজারে

ছুটি শেষে বড় উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু পুঁজিবাজারে

তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।

প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।

এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
In the first hour of the capital market the rise in the index has risen to most companies

পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টায় সূচকের উত্থান, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টায় সূচকের উত্থান, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।

দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।

প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The government will form a committee to find a long term financing way from the capital market

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।

তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।

সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

p
উপরে