দরপতন দিয়ে শুরু হওয়া নতুন সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বা ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি দরবৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির ৬টি আর ২০টি কোম্পানির ১৫টিই স্বল্প মূলধনি।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও দুর্ভিক্ষের শঙ্কা নিয়ে আলোচনার মধ্যে দেশের পুঁজিবাজারে যে নতুন করে হতাশা দেখা দিয়েছে, তাতে মৌল ভিত্তির কোম্পানিগুলো ঘুমিয়ে থাকার মধ্যে কেবল মূলধন বা শেয়ারসংখ্যা কম, এমন বেশ কিছু কোম্পানির দর অস্বাভাবিক হারে লাফাচ্ছে।
আড়াই মাস ধরে তুমুল আলোচিত বেক্সিমকো ও ওরিয়ন গ্রুপের কোম্পানিগুলোর দাপট কমেছে। গত বছর ওটিসি মার্কেট থেকে মূল বাজারে পড়েছে, এমন তিনটি কোম্পানির শেয়ারদর এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
রোববার ডিএসইর লেনদেন সামগ্রিকভাবে বিনিয়োগকারীদের আরও হতাশ করেছে। যতগুলো কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে তার চেয়ে দেড় গুণ শেয়ারের দর কমেছে।
১২৭টি কোম্পানির দরপতনের বিপরীতে দরবৃদ্ধি হয়েছে ৮৩টির। আর আগের দরে লেনদেন হয়েছে ১৬১টি কোম্পানির শেয়ার, যার সিংহভাগই ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তরে লেনদেন হয়েছে।
সব মিলিয়ে সূচক কমেছে ১৫ পয়েন্ট, সেই সঙ্গে লেনদেন কমেছে ৬৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ৩৪৩ কোটি ১২ লাখ ৪ হাজার টাকার শেয়ার, যা আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবারে ছিল ১ হাজার ৪১০ কোটি ৯২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে প্রায় সবই স্বল্প মূলধনির কোম্পানি
সবচেয়ে বেশি দরবৃদ্ধি পাওয়া রংপুর ফাউন্ডির পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি টাকা। গত পাঁচ বছরের আর্থিক প্রতিবেদন ঘেঁটে দেখা যায়, ২০২০ সালে ছাড়া প্রতিবছরই চার টাকার কাছাকাছি আয় করেছে কোম্পানিটি, এমনকি ওই বছরই কোম্পানির আয় তিন টাকার ওপরে ছিল।
১০ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ২১৬ টাকা ৭০ পয়সায়। আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইস ছিল ১৯৭ টাকা।
দরবৃদ্ধির চতুর্থ স্থানে থাকা সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির দর বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ। এর পরিশোধিত মূলধন ৩৫ কোটি ৭৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। লভ্যাংশের ইতিহাস ভালো নয়, কোম্পানির আর্থিক ভিত্তিও খুব একটি শক্তিশালী নয়।
বৃহস্পতিবার শেয়ারদর ছিল ৫৯ টাকা ৪০ পয়সা, বেড়ে হয়েছে ৬৫ টাকা ৩০ পয়সা। এর চেয়ে বেশি বাড়া সম্ভব ছিল না এক দিনে।
৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের দুর্বল কোম্পানি আজিজ পাইপ, ৩০ কোটি টাকা মূলধনের তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, ১০ কোটি ৪৫ লাখ টাকার পেপার প্রসেসিং এবং ৯ কোটি ৪০ লাখ টাকার বিডি ল্যাম্পস ছিল এদিন দরবৃদ্ধির সর্বোচ্চ ১০টি কোম্পানিতে।
এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মূলধনও খুব একটি বেশি নয়, ৯৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, তৃতীয় স্থানে থাকা এডিএন টেলিকমের মূলধন ৬৪ কোটির কিছু বেশি, আর পঞ্চম স্থানে থাকা আমরা টেকনোলজিসের মূলধন ৬১ কোটি টাকার কিছুটা বেশি।
এই তালিকার ১১ থেকে ২০ নম্বরে থাকা ১০টি কোম্পানির মধ্যে ছয়টির পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি টাকার নিচে। একটির ১৬ কোটি, একটির ২২ কোটি, একটির ২৬ কোটি টাকা।
এর মধ্যে দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম ৮.৭৩ শতাংশ দর বেড়েছে বিডি ল্যাম্পসের।
আর একাদশ থেকে উনবিংশ স্থানে থাকা স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর দর বেড়েছে ৬.১৪ শতাংশ থেকে ৮.৭৩ শতাংশ পর্যন্ত।
সূচক বেড়েও পরে পতন
লেনদেন শুরুর পরেই দরবৃদ্ধির সঙ্গে সকাল ৯টা ৩৪ মিনিটে সূচক বেড়ে যায় ১৯ পয়েন্ট। ১২ মিনিট পরেই সেখান থেকে ১৬ পয়েন্ট কমে গেলেও আগের দিনের চেয়ে ৫ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হচ্ছিল।
এরপর আবারও দরবৃদ্ধি সকাল ১০টা ২৪ মিনিটে সূচক নিয়ে যায় ৬ হাজার ৫২৭ পয়েন্টে, যা আগের দিনের চেয়ে ৩৩ পয়েন্ট বেশি এবং দিনের সর্বোচ্চ অবস্থান।
এরপর কিছুটা দরপতন হলেও ১০টা ৫১ মিনিট থেকে বেলা ১১ টা ২৯ মিনিট পর্যন্ত সময়েও সূচক আগের দিনের চেয়ে বেড়ে লেনদেন হতে দেখা যায়।
এই সময়ের পরে যে দরপতন তা থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সূচক। দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স হারিয়েছে ১৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের বিষয়ে বিএলআই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজারে আস্থাহীনতা প্রকট হয়েছে। এই সময়ে ভালো শেয়ারের লেনদেন বা বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমে যায়। এই সুযোগে যারা বাজার কারসাজির সঙ্গে যুক্ত থাকে তাদের অনেকেই কম পেইড-আপের শেয়ার নাড়াচাড়া করে (লেনদেন) শেয়ারদর বাড়ায়, যাতে বিনিয়োগকারীরা আগ্রহী হয়। ভলিউম কম থাকায় এসব শেয়ারের দাম বাড়ানো তুলনামূলক সহজ।’
যেমন বাড়ল স্বল্পমূলধনির দর
সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ দরবৃদ্ধি পাওয়া রংপুর ফাউন্ড্রি পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি টাকা।
৩৫ কোটি ৭৬ লাখ ১০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ বা ৫ টাকা ৯০ পয়সা।
৫ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূলধনের কোম্পানি আজিজ পাইপসের দর বেড়েছে ৯.২৯ শতাংশ বা ১০ টাকা ৮০ পয়সা।
তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের মূলধন ৩০ কোটি ৬ লাখ ৫০ হাজার। শেয়ারদর বেড়েছে ২১ টাকা ৫০ পয়সাব ৮.৭৫ শতাংশ।
পেপার প্রসেসিংয়ের দর বেড়েছে ৮.৭৫ শতাংশ বা ২৫ টাকা ১০ পয়সা, এটির মূলধন ১০ কোটি ৪৫ লাখ।
৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা মূলধনের কোম্পানি বিডি ল্যাম্পস বা বাংলাদেশ ল্যাম্পসের দর বেড়েছে ৩০ টাকা ২০ পয়সা, অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে ৮.৭৪ শতাংশ বেশি।
অ্যাপেক্স ফুডসের দর ২৫ টাকা ৩০ পয়সা বা ৮.৭৪ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানির মূলধনের পরিমাণ ৫ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার টাকা।
জেমিনি সি ফুডের মূলধন পাঁচ কোটির নিচে। অথচ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৮.৭৪ শতাংশ বা ৪২ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটির মূলধন ৪ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার।
বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপারের দর বেড়েছে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা বা ৮.৭৩ শতাংশের মতো। এই কোম্পানির মূলধন ৯ কোটি ৩৮ লাখ ৯০ হাজার।
ইস্টার্ন ক্যাবলসের দর বেড়েছে ৮.৭১ শতাংশ বা ১৭ টাকা ৯০ পয়সা, যেখানে কোম্পানির মূলধন ২৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের দর বেড়েছে ৮.৭০ শতাংশ বা ৩৬ টাকা ৯০ পয়সা। কোম্পানির মূলধনের পরিমাণ ১৬ কোটি ৭৭ লাখ ১০ হাজার টাকা।
অ্যারামিট লিমিটেডের দর বেড়েছে ২৬ টাকা ২০ পয়সা বা ৮ শতাংশ। কোম্পানির মূলধন ৬ কোটি টাকা।
সবচেয়ে কম মূলধনি কোম্পানির হিসেবে ৭.৪৯ শতাংশ বা ৫৬ টাকা ৩০ পয়সা দর বেড়েছে সোনালী আঁশের। কোম্পানির মূলধনের পরিমাণ মাত্র ২ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
জেএমআই সিরিঞ্জেসের মূলধন ২২ কোটি ১০ লাখ, শেয়ারদর বেড়েছে ৬.৬২ শতাংশ বা ৩০ টাকা ৬০ পয়সা।
অ্যাগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানি বা প্রাণের দর বেড়েছে ৬.১৪ শতাংশ বা ২০ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানির মূলধন ৮ কোটি টাকা।
তালিকার ২০তম স্থানের অগ্নি সিস্টেমসের দর বেড়েছে ৫.২৯ শতাংশ বা ১ টাকা ২০ পয়সা। কোম্পানিটির মূলধনের পরিমাণ ৭২ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
বড় মূলধনির কী চিত্র
মূলধনের ভিত্তিতে অন্যতম শীর্ষ কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো। এটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৫৪০ কোটি টাকা।
কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন অপরিবর্তিত দরে বা ফ্লোর প্রাইসে হওয়ার সঙ্গে হাতবদল হয়েছে মাত্র ১০ হাজার ৭২৭টি শেয়ার, যার বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ৫৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।
গ্রামীণফোনের মতো বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ারেও খুব বেশি আগ্রহ ছিল না। কোম্পানির মূলধনের পরিমাণ এক হাজার ৩৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ফ্লোর প্রাইস বা আগের দিনের দর ২৮৬ টাকা ৬০ পয়সায় মাত্র ৬৫ হাজার ৩৬২টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার টাকায়।
এই খাতের আরেক কোম্পানি রবি আজিয়াটার মূলধনের পরিমাণ ৫ হাজার ২৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। অথচ শেয়ার লেনদেন হয়েছে মাত্র ৭ হাজার ২৫৪টি। আগের দর বা ফ্লোর প্রাইসে যার বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৮ হাজার টাকা।
ব্যাংক খাতের সিংহভাগ কোম্পানির মূলধনই বাজারের অন্যান্য খাতের কোম্পানির চেয়ে বেশি। অথচ এই খাতের মাত্র ৫টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে, এর মধ্যে ৩টির ১০ পয়সা, ১টির ২০ পয়সা ও ১টির ৩০ পয়সা।
৯টি কোম্পানির দরপতন হয়েছে, যার ৭টির দর কমেছে ১০ পয়সা করে আর একটির ২০ পয়সা ও একটির ৩০ পয়সা কমেছে।
এর বাইরে ১৯টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে আগের দর বা ফ্লোর প্রাইসে।
এসব কোম্পানিতেও লেনদেনের পরিমাণ খুবই কম। মাত্র ৫টি কোম্পানিতেই লেনদেনের পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ২টিতে লেনদেন হয়েছে এক কোটির বেশি, ২টিতে দুই কোটির বেশি ও একটি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ৪ কোটির বেশি।
সিটি ব্যাংকের লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ২০ লাখ ২৯ হাজার টাকা, হাতবদল হয়েছে ১০ লাখ ৬ হাজার ৯৯টি।
আইএফআইসি ব্যাংকের ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ১২৪টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৪ কোটি ৮ লাখ ৪ হাজার টাকায়।
যমুনা ব্যাংকের ১ কোটি ৫২ লাখ ৭২ হাজার টাকায় হাতবদল হয়েছে ৭ লাখ ১৬ হাজার ৯৭০টি শেয়ার।
এনসিসি ব্যাংকের লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ ৫১ হাজার, শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৯ লাখ ২ হাজার ২০৩টি।
ওয়ান ব্যাংকের ২৫ লাখ ৭৮ হাজার ৪১৩টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২ কোটি ৭২ লাখ ৭৮ হাজার টাকায়।
সূচকে প্রভাব যাদের
সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট সূচক কমেছে লাফার্জ হোলসিমের দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ দশমিক ২ পয়েন্ট কমেছে বেক্সিমকো লিমিটেডের কারণে। শেয়ার প্রতি দাম কমেছে ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
বেক্সিমকো ফার্মার দর ২ দশমিক ২ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ৪ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট।
এ ছাড়াও ইউনিক হোটেল, সি-পার্ল, শাহজিবাজার পাওয়ার, বিএসআরএম স্টিল, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, সাইফ পাওয়ার ও ম্যাকসন স্পিনিংয়ের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৩১ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ৩ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে বসুন্ধরা পেপার। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দর ৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট।
বিকন ফার্মা সূচকে যোগ করেছে ২ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ১ দশমিক ১৪ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে জেএমআই হসপিটাল, সোনালী পেপার, জেএমআই সিরিঞ্জেস, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, এডিএন টেলিকম ও ইসলামী ব্যাংক।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২২ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট।
শীর্ষ ৫ খাত যেমন
ফ্লোর প্রাইস কার্যকরের পর থেকে বিপুল সংখ্যক শেয়ারের লেনদেন ফ্লোর প্রাইসে হওয়ার কারণে কোনো খাতেই খুব বেশি দরবৃদ্ধি বা দরপতন দেখা যাচ্ছে না।
গত দুই মাসের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে লেনদেনের শীর্ষে ওষুধ ও রসায়ন খাত। সর্বোচ্চ ২৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৯.১১ শতাংশ। খাতটিতে ৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। আর ১০টির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে। আর দরপতন হয়েছে ১২টির।
প্রকৌশল খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯১ কোটি ২০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। ১০টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৩টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে। দরপতন হয়েছে ১৯টির।
তৃতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতে লেনদেন হয়েছে ১৭৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা। ৫টির দরবৃদ্ধি, ৪টির দরপতন ও আগের দরে লেনদেন হয়েছে ৪টি কোম্পানির।
চতুর্থ সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বস্ত্র খাতে। এ খাতে ১২টির দরবৃদ্ধি ও ১০টি কোম্পানির দরপতন ও অপরিবর্তিত দরে লেনদেন হয়েছে ৩৫টির। হাতবদল হয়েছে ৮৭ কোটি ২০ লাখ টাকা।
৭৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা লেনদেন করে তালিকার পঞ্চম স্থানে ছিল সেবা ও আবাসন খাত। ২টি বা ৫০ শতাংশ করে কোম্পানির দরবৃদ্ধি ও দরপতন হয়েছে।
দর পতনের শীর্ষ ১০
পতনের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ইন্দো-বাংলা ফার্মা। ৯ দশমিক ১২ শতাংশ কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৪ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। আগের দিনে লেনদেন হয় ২৭ টাকা ৪০ পয়সায়।
পতনের তালিকায় পরের স্থানে রয়েছে এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স। ৬ দশমিক ০৪ শতাংশ দর কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৫ টাকা ৮০ পয়সায়। আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৪৮ টাকা।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে বিডি ওয়েল্ডিং। ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ২৪ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ২৬ টাকা ৫০ পয়সায়।
দর কমার শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো ছিল- বিডিকম, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, ম্যাকসন স্পিনিং, ইয়াকিন পলিমার, মুন্নু সিরামিকস ও আরএসআরএম স্টিল।
আরও পড়ুন:
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য