× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Charges of rechargeable products on fire in loadshedding
google_news print-icon

লোডশেডিংয়ে রিচার্জেবল পণ্যের দামে আগুন

লোডশেডিংয়ে-রিচার্জেবল-পণ্যের-দামে-আগুন
রিচার্জেবল লাইট, ফ্যান, ইউপিএস ও আইপিএসের দোকানগুলোতে হঠাৎ করেই ক্রেতা বেড়ে গেছে। ছবি: নিউজবাংলা
ক্রেতাদের অভিযোগ, লোডশেডিংকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে ব্যবসায়ীরা রিচার্জেবল সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। অনেক ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছেন। গোডাউনে পণ্য থাকলেও তারা পর্যাপ্ত সরবরাহ করছেন না।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী রাজধানীসহ দেশজুড়ে চলছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। প্রতিদিন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ থাকছে না। এতে করে চরম ভোগান্তিতে জনজীবন। এক ঘণ্টার কথা বলা হলেও কোথাও কোথাও ২ থেকে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না।

বিদ্যুৎ না থাকার এই ভোগান্তি এড়াতে মানুষ ছুটছে বিকল্প ব্যবস্থার দিকে। ভিড় বাড়ছে চার্জার লাইট, ফ্যান, আইপিএস ও ইউপিএসের দোকানে। আর বর্ধিত এই চাহিদাকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে এসব ইলেকট্রনিক পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা।

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম ও গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, রিচার্জেবল লাইট, ফ্যান, ইউপিএস ও আইপিএসের দোকানগুলোতে হঠাৎ করেই ক্রেতা বেড়ে গেছে।

সিঙ্গার, ওয়াল্টন, ফিলিপস, বাটারফ্লাই, নাভানা, সুকান, অনিকসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্য কিনছেন তারা। পাশাপাশি চায়নিজ অনেক পণ্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে বিক্রি হচ্ছে।

কয়েকজন ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, লোডশেডিংকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে ব্যবসায়ীরা রিচার্জেবল সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিছুদিন আগে যে চার্জার ফ্যানের দাম ছিল ২৮০০ টাকা, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার টাকায়। কোম্পানিভেদে চার্জার ফ্যান ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আর লাইট বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ১০০ টাকা বেশি দামে।

অনেক ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছেন। তাদের গোডাউনে পণ্য থাকলেও পর্যাপ্ত সরবরাহ করছেন না।

লোডশেডিংয়ে রিচার্জেবল পণ্যের দামে আগুন

অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা দায় চাপাচ্ছেন সরবরাহকারীদের ওপর। তারা জানান, চাহিদা অনুযায়ী পণ্য মিলছে না। পাইকারি পর্যায়েও দাম বেশি নেয়া হচ্ছে।

গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেটের এইচ এন ইলেকট্রনিকসের স্বত্বাধিকারী গোলাম মঈনুদ্দিন খান বলেন, ‘বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে রিচার্জেবল ইলেকট্রনিক পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। তবে চাহিদা বাড়ার সঙ্গে দামও বেড়েছে।

‘সবাই খালি আমাদের দোষ দেয়। আমরা কী করুম? বাড়তি চাহিদা মেটাতে আমাদেরও তুলনামূলক বাড়তি দামে এসব পণ্য সংগ্রহ করতে হচ্ছে। ২৫০০ টাকার মাল কিনতে হচ্ছে ৩২০০ টাকা দিয়ে। আমাদের যদি কিনতেই হয় বেশি টাকা দিয়ে তাহলে কমে কীভাবে বিক্রি করব।’

শেফালি আর এসের মালিক শারফুল আমিন বলেন, ‘হঠাৎ করেই রিচার্জেবল জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। ঢাকার বাইরের খুচরা ব্যবসায়ীরা আসছেন আগের চেয়ে বেশি চাহিদা নিয়ে। তারা নামিদামি কোম্পানির পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত কম দামের চায়না ও দেশীয় পণ্য কিনছেন।

‘অধিকাংশ ক্রেতাই চার্জার ফ্যান চাইছেন। এ ছাড়া চার্জার লাইট, আইপিএস ও ইউপিএস কিনছেন অনেকে। আর হঠাৎ করে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও কিছুটা বাড়াতে হয়েছে।’

লোডশেডিং নিয়ে অভিযোগ

মালামাল কিনতে আসা বেশ কয়েকজন ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে নির্ধারিত সময় ধরে এলাকাভিত্তিক এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হবে। কিন্তু বাস্তবে তা মানা হচ্ছে না। কখন বিদ্যুৎ চলে যাবে আর কখন ফিরবে তা নিয়ে পূর্বানুমান করা যাচ্ছে না।

‘ঢাকার কোথাও কোথাও টানা তিন ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না। আর ঢাকার বাইরে তো চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এ জন্য বাধ্য হয়ে গরম থেকে বাঁচতে রিচার্জেবল ইলেকট্রনিক যন্ত্র কিনতে হচ্ছে। আর এটাকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে ব্যবসায়ীরা আমাদের গলা কাটছেন।’

বৃদ্ধ ও শিশুদের ভোগান্তি দেখেই ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকানে

বায়তুল মোকাররম মার্কেটে আইপিএস কিনতে আসা সাদ্দাম মিয়াজি বলেন, ‘বিদ্যুতের লোডশেডিং শুরু হওয়ার পর থেকে বাসায় বিশেষ করে বয়োজ্যেষ্ঠ ও শিশুদের ভোগান্তিটা বেশি হচ্ছে। বাধ্য হয়েই রিচার্জেবল ফ্যান কিনতে এসেছি।

‘কিন্তু এখানে তো দেখছি ব্যবসায়ীরা গলা কাটার জন্য মুখিয়ে আছেন। যে ফ্যান কিনেছিলাম ৩৮০০ টাকায়, সেটা এখন পাঁচ হাজার টাকার বেশি। এটা তো অমানবিক। সুযোগ পেলেই এভাবে দাম বাড়িয়ে মানুষকে কষ্ট দেয়া কোন মনের প্রকাশ তা তারাই ভালো জানে।’

রামপুরা থেকে আসা ইমন মিয়া বলেন, ‘আমার বাচ্চার বয়স চার বছর। সন্ধ্যায় বাচ্চাটা একটু পড়তে বসে। গরম আর অন্ধকারে সন্তানের কষ্ট দেখে একটি রিচার্জেবল ফ্যান ও লাইট কিনতে এসেছি।’

ব্যবসায়ীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেটের জুনাইদ আহ্‌মেদ বললেন, ‘আগের তুলনায় চার্জার ফ্যান ও লাইটের চাহিদা অনেক বেড়েছে। সেই সুবাদে বিক্রিও বেড়েছে অনেকটা। খুচরার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দোকানিরাও আসছেন পণ্য কেনার জন্য।

‘আমাদের এই মার্কেটে চায়নিজ ও দেশি পণ্যই বেশি চলে। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশির ভাগ পণ্যেরই দাম বেড়েছে। চায়না একটি চার্জার ফ্যানের দাম আগে ছিল তিন হাজার টাকা। সেটি এখন ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।’

তবে মইন ইলেকট্রিকের কর্ণধার মইন আলী বলেন, ‘এখন আর নতুন মাল কিনি না। যখন দাম কম ছিল তখন অনেক মালে দুই হাজার টাকাও লস দিচ্ছি। বিক্রি বাড়ার বদলে এখন আরও কমেছে। দাম বেশি হওয়ায় এখন অনেকেই কিনতে পারে না। শুধু যাদের টাকা আছে তারাই আসে।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Freelancers instructed not to deduct tax at source on remittances

ফ্রিল্যান্সারদের রেমিট্যান্সে উৎসে কর না কাটার নির্দেশ

ফ্রিল্যান্সারদের রেমিট্যান্সে উৎসে কর না কাটার নির্দেশ প্রতীকী ছবি
গত রোববার দেশের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত সব অনুমোদিত ডিলার ব্যাংককে এ বিষয়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

ফ্রিল্যান্সারদের বিদেশি আয় বা রেমিট্যান্সের বিপরীতে কোনো ধরনের উৎসে কর না কাটার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ।

গত রোববার দেশের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত সব অনুমোদিত ডিলার ব্যাংককে এ বিষয়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

এর আগে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগের এক নির্দেশনায় ২০২৩ এর ১২৪ ধারা অনুযায়ী সেবা, রেভিনিউ শেয়ারিং বাবদ পাওয়া রেমিট্যান্সের ওপর উৎসে কর আদায় করতে বলা হয়। বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। অনেকে ধারণা করেন, ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের ওপর ১০ শতাংশ উৎসে কর কাটা হবে। এ নিয়ে চলে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তাই বিষয়টি স্পষ্ট করতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এতে বলা হয়, আয়কর আইন ২০২৩ এর ১২৪ ধারা অনুযায়ী, আইটি ফ্রি ল্যান্সিং খাত থেকে কোনো উৎসে কর কাটা যাবে না।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The lowest remittances in 40 months came in September

৪০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স সেপ্টেম্বরে

৪০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স সেপ্টেম্বরে
প্রবাসীরা আগস্ট মাসে প্রায় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে, যা ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। ফেব্রুয়ারি মাসে এর পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।

দেশে সেপ্টেম্বর মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৭ শতাংশ (১৯৬ মিলিয়ন ডলার) কমে ১ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা প্রায় গত সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ আগের মাস আগস্টের তুলনায় ২২৫ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার কমেছে। খবর ইউএনবির

প্রবাসীরা আগস্ট মাসে প্রায় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে, যা ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। ফেব্রুয়ারি মাসে এর পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।

সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও একধাপ কমে ১ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে, যা গত ৪০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

সর্বশেষ ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ ১ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছিল। এরপরে, কোভিড-১৯ মহামারির সময়েও অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্সের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।

বাংলাদেশি প্রবাসীরা চলতি বছরের জুন মাসে ২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে এবং জুলাই মাসে তা ছিল ১ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার।

এই খাতের সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, যখন খোলা বাজারে বিনিময় হার ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে বেশি হয়ে যায়, তখন হুন্ডিতে লেনদেন বেড়ে যায়। আর হুন্ডির চাহিদা বাড়লে রেমিট্যান্স কমে যায়।

গত মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলের তুলনায় খোলা বাজারে ডলারের বিনিময় হার ছিল ৬ থেকে ৭ টাকা বেশি। তাই বেশি লাভের আশায় প্রবাসীরা বৈধ মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠানো কমিয়ে দিয়েছেন বলে জানান তারা।

গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) বাংলাদেশ মোট ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। এর আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসীরা ২১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন।

২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পেয়েছে। যার পরিমাণ ছিল ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তিনটি ভিন্ন শিরোনামে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের মূল্য নির্ধারণ করছে।

বর্তমানে ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয়ের প্রতি ডলারের দাম দিচ্ছে ১১০ টাকা ৫ পয়সা। রপ্তানি বিল ক্যাশিং প্রতি ডলারে ১০৯ টাকা ৫পয়সা দেয়া হয় এবং আমদানি ও আন্তঃব্যাংক লেনদেনের জন্য ১১০ টাকা ৫ পয়সা দেয়া হয়।

অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, এটি অর্থনীতির অব্যবস্থাপনার একটি রেসিপি।

তিনি বলেন, ডলারের দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় প্রবাসীরা অবৈধ চ্যানেলের (হুন্ডি) মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন। খোলা বাজার এবং ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দর একই রকম না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি শিগগিরই উন্নতি নাও হতে পারে।

মনসুর বলেন, ‘রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতি আস্থার অভাবে বাংলাদেশি প্রবাসীরা দেশে কম রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে, কারণ দেশ থেকে নির্বিচারে অর্থ পাচার হচ্ছে।’

তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে রেকর্ডসংখ্যক শ্রমিক রপ্তানি করলেও, রেমিট্যান্সের পরিমাণ ক্রমাগত কমছে; যা পরিসংখ্যানের সঙ্গে মেলে না।

আরও পড়ুন:
২২ দিনে রে‌মিট্যান্স এলো ১০৫ কোটি ডলার
আগস্টের ১৮ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১১ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা
ইসলামী ব্যাংকে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে ওয়াশিং মেশিন জেতার সুযোগ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Sale and purchase closed at Naogaon Municipal Fish Market

বাড়তি ফায়দা নিতে ডিজিটাল মিটারে পাইকারদের ‘না’

বাড়তি ফায়দা নিতে ডিজিটাল মিটারে পাইকারদের ‘না’ নওগাঁ পৌর মাছ-বাজারের আড়তগুলোতে চিরচেনা ভীড় থাকলেও নেই মাছ কেনাবেচার কার্যক্রম। ছবি: নিউজবাংলা
বাইরে থেকে আসা পাইকারদেরও মাছ কিনতে নিষেধ করছেন তারা। এমনকি হুমকিও দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মাছ বিক্রি বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে নওগাঁর পৌর মাছ বাজার।

৪০ কেজিতে মণ হলেও মাছ চাষীদের কাছ থেকে ৪২ কেজিতে মণ হিসাবে মাছ কিনে থাকেন পাইকাররা। তারপরও তাদের পোষাচ্ছে না। প্রশাসনের নির্দেশে ডিজিটাল মিটারে মাছ বিক্রি শুরু করার পরপরই বেঁকে বসেছেন পাইকররা। আড়ত থেকে তারা মাছ কিনবে না, আর কিনতে হলে প্রতি মণে আরও এক কেজি বেশি দাবি তাদের।

বাইরে থেকে আসা পাইকারদেরও মাছ কিনতে নিষেধ করছেন তারা। এমনকি হুমকিও দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মাছ বিক্রি বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে নওগাঁর পৌর মাছ বাজার।

প্রায় ৫০ বছর ধরে এ মাছ বাজারে প্রতিদিন মাছ বিক্রি হয়ে আসছে। সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ২২টি আড়তে বেচাকেনা হয় মাছ। ফলে নওগাঁসহ আশপাশের জেলার মাছ চাষীদেরও গন্তব্য এ বাজারটি। সাধারণত ৪২ কেজিতে মণ ধরে আড়তে মাছ দিয়ে থাকে মাছ চাষীরা। পরে খুচরা বিক্রেতারা অল্প পরিমাণে মাছ কিনে নিজেদের সুবিধামতো সন্ধ্যা পর্যন্ত তা বিক্রি করে থাকে।

সাধারণত মাছ চাষী ও পুকুর চাষীদের কাছ থেকে প্রচলিত কাঁটার দাঁড়িপাল্লায় ওজন করে মাছ কিনে পরে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে তা ডিজিটাল মিটারে বিক্রি করতেন পাইকাররা। তবে সম্প্রতি আড়তেও ডিজিটাল মিটারে মাছ কেনাবেচার জন্য প্রশাসন থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়।

সরকারি নির্দেশনা পেয়ে রোববার থেকে নওগাঁ পৌর মাছ বাজারে চালু হয়েছে ডিজিটাল মিটারে পরিমাপ করে মাছ কেনাবেচা। এ নিয়ে পাইকার-আড়তদারদের মধ্যে শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব।

ডিজিটাল মিটারে পাইকাররা মাছ কিনতে নারাজ। ফলে একে অপরকে দোষারোপ করা শুরু করে দুপক্ষ। একপর্যায় পাইকাররা সংঘবদ্ধ হয়ে আড়ত থেকে মাছ কেনা বন্ধ করে দেন। ফলে আজ দীর্ঘক্ষণ ধরে বন্ধ রয়েছে পৌর বাজারের মাছ কেনাবেচা। এতে ভুগতে হচ্ছে মাছচাষী ও খুচরা ব্যবসায়ীদের। এদিকে আড়তে মাছের কেনাবেচা বন্ধ থাকায় আড়তদারদেরও উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সবকিছু মিলিয়ে এক ধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে মাছ বাজারটিতে।

সংশ্লিষ্টরা কী বলছেন

এর আগে ওই বাজারটিতে ডিজিটাল মিটার চালু করতে একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বলে জানান পৌর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গৌতম হাওলাদার ভুট্টু। তখন থেকে একেক করে সবাই ডিজিটাল মিটারের ব্যবহার শুরু করলেও আড়তে প্রচলিত কাঁটার দাঁড়িপাল্লাই ধরে রাখেন পাইকাররা।

এ বিষয়ে গৌতম হাওলাদার বলেন, ‘ডিজিটাল মিটারে মাছ বিক্রি করা নিয়ে কয়েকদিন আগেও পাইকারদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়। অক্টোবরের ১ তারিখের মধ্যে ডিজিটাল মিটারে মাছ বিক্রির জন্য প্রশাসন থেকে কড়া নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। ওই নির্দেশ বাস্তবায়নে আজ থেকে আমরা কাজ শুরু করেছি। কিন্ত পাইকাররা এ প্রক্রিয়া মানতে নারাজ।

‘এখানে ২২টি আড়তে প্রতিদিন প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকার মাছ বেচাকেনা হয়। নিজেদের সুবিধার্থে পাইকাররা এখন সিন্ডিকেট তৈরি করছে। বাইরে থেকে যেসব পাইকার মাছ কিনতে আসছেন, তাদেরও মাছ না কিনতে হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে বলে জেনেছি। এভাবে চলতে থাকলে মাছ চাষীরা এখানে মাছ বিক্রি করতে আসবেন না। ফলে সবার জন্যই সমস্যা তৈরি হবে।’

নওগাঁ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস এম রবিন শীষ বলেন, ‘আড়তদাররা ডিজিটাল মিটার চালু করার জন্য কয়েকদিন আগেই আমাকে অবগত করেছিলেন। সেসময় তাদের বলা হয়েছিল, জনগণ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়- সেদিকে নজর রেখে তাদের কাজ করতে হবে। ডিজিটাল মিটার ব্যবহার করা হলে পরিমাপে স্বচ্ছতা থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে শুনছি, ডিজিটাল মিটার ব্যবহার নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ নিরুৎসাহিত হচ্ছে। এ নিয়ে নানা বিড়ম্বনা শুরু করেছেন তারা। তাই দুই পক্ষকে (আড়তদার ও পাইকার) নিয়ে বসে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করে সবার জন্য মিটার চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে।’

বাড়তি ফায়দা নিতে ডিজিটাল মিটারে পাইকারদের ‘না’
রোববার সকালে বিরোধ হওয়ার পর স্থবির হয়ে পড়েছে নওগাঁ পৌর মাছ বাজার। ছবি: নিউজবাংলা

আড়তদারদের বক্তব্য

মামুন মৎস্য আড়তের স্বত্ত্বাধিকারী মোস্তফা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুজ্জামান মামুন জানান, দিনে গড়ে প্রায় এক লাখ টাকার মাছ বেচাকেনা করা হয় একেকটি আড়তে। সে হিসাবে একেকটি আড়তে মাসে প্রায় ৩০ লাখ টাকা মতো মাছ বিক্রি হয়। আশপাশের প্রায় ৫০টি বাজারের ব্যবসায়ীরা এই বাজারে মাছ কিনতে আসেন।

তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে ডিজিটাল মিটারে মাছ বিক্রির জন্য পাইকারদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করি। আলোচনার পর পাইকরারা সিদ্ধান্ত নেয়, আমাদের কাছ থেকে তারা মাছ কিনবেন না। এমনকি বাইরে থেকে যেসব ব্যবসায়ীরা আসেন, পাইকাররা তাদেরও মাছ না কিনতে উল্টো হুমকি দেন।’

নওগাঁ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার ও আড়তদার সমিতির উপদেষ্টা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা ডিজিটাল মিটারে মাছ বিক্রি শুরু করেছি। কিন্তু গুটিকয়েক পাইকারের কাছে আমরা জিম্মি হয়ে পড়েছি। চাষীরা মাছ বিক্রি করতে আসলে তাদের কাছে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে বলে শুনতে পারছি।

‘তারা একটা সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। পাইকাররা যদি ডিজিটাল মিটারে মাছ বিক্রি করতে পারে তাহলে আমরা কেন পারবো না? এসব সমস্যা সমাধান না হলে ব্যবসা বন্ধ রাখতে হবে।’

যা বলছেন পাইকাররা

পাইকারদের দাবি, ডিজিটাল মিটারে মাছ পরিমাপ করা হলে ওজনে ঠিকঠাক পাওয়া যাবে না। তারা বলছেন, ডিজিটাল মিটারে পরিমাপের কিছুক্ষণ পর ওই মাছ আবার পরিমাপ করলে ওজন কমে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে পৌর মাছ বাজারের পাইকার ফেরদৌস প্রামানিক বলেন, ‘আগে কাঁটাতে ৪২ কেজিতে মণ হিসাবে মাছ কেনা হতো। হঠাৎ করে আজ আড়তে ডিজিটালে মিটারে মাছ বিক্রি করা হচ্ছে।

‘আগে কাঁটাতে মাছ পরিমাপের সময় ঝুড়িতে পরিমাপ করা হতো। এতে ঝুড়িতে ওঠানোর পর থেকেই মাছের সঙ্গে থাকা অতিরিক্ত পানি ঝরে যেত, তাই ওজন ঠিক থাকত। এখন ক্যারেটে পানিসহ ওজন করা হলে আমাদের জন্য লোকসান হবে। এতে ওজনে ঠিক পাব নাকি, সেটিও জানি না।’

এই সমস্যা দূর করতে ৪২-এর জায়গায় ৪৩ কেজিতে মাছের মণ পরিমাপের কথা জানালেন আরেক পাইকার আফাজ উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘আমরা আগে কাঁটার ওজনে মাছ কিনে ডিজিটাল মিটারে বিক্রি করতাম। কোনো সমস্যা হতো না। এখন যেহেতু ডিজিটাল মিটারে মাছ কেনা শুরু হয়েছে, ৪২ কেজিতে মণের বদলে আরেক কেজি বাড়িয়ে দিলে আমাদের জন্য মাপ ঠিক রাখতে সুবিধা হবে।’

পৌর মাছ বাজারের পাইকার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম তোতা বলেন, ‘নিয়ম সবার জন্যই সমান, কোনো সমস্য নাই। আমরা ডিজিটাল মিটারে মাছ কিনছি। আর এখানে কোনো ধরনের সিন্ডিকেট নেই। বরং আড়ৎদাররা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন।’

নওগাঁ শহরের পলিটেকনিক কলেজপাড়া এলাকার মাছ চাষী সাগর হোসেন বলেন, ‘ডিজিটাল মিটার চালু হওয়াতে আমাদের জন্য সুবিধা হয়েছে। পরিমাপ ডিজিটাল হলে দামে ঘাটতি যাবে না। মিটারে ওজন দেখা যায়, কিন্তু কাঁটার পল্লা হলে আমরা বুঝতে পারি না অনেক সময়। সামনের দিকে একটু হেলে যাওয়া মানে কয়েক কেজি বেশি চলে যাওয়া। হিসাব ডিজিটাল মিটারে হলে এ সমস্যা আর থাকবে না। আগে কাঁটার ওজনে যেহেতু ৪২ কেজিতে মণ ছিল। ডিজিটাল মিটারে ৪৩ কেজিতে মণ হলেও আমাদের সমস্যা নাই।’

তিনি জানান, আড়তদাররা মাছ বিক্রি করতে আসা চাষীদের কাছ থেকে দামের চার শতাংশ ও মাছবাহী গাড়ির জন্য ৫০ টাকা খাজনা নিয়ে থাকেন।

আরও পড়ুন:
ভরা মৌসুমেও দেশি মাছের আকাল কমলগঞ্জে

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Mirage is once again Waltons brand ambassador

আবারও ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মিরাজ

আবারও ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মিরাজ দুই বছরের জন্য মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে চুক্তি করেছে ওয়ালটন। ছবি: সংগৃহীত
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের ডিএমডি নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘ক্রিকেট ও দেশের অন্যান্য খেলাধুলায় সর্বদা পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে ওয়ালটন। জাতীয় ক্রিকেট দল যেমন বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করছে, তেমনি ওয়ালটনও বিশ্ব প্রযুক্তি পণ্য খাতে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করছে।’

তৃতীয়বারের মতো ওয়ালটনের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’ হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।

দুই বছরের জন্য তরুণ এ ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি করেছে দেশের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।

এর আগে ২০১৫ সালে মিরাজ বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক থাকার সময় দুই বছরের জন্য ওয়ালটনের ‘ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডর’ হয়েছিলেন।

রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটনের করপোরেট অফিসে সম্প্রতি মিরাজ ও ওয়ালটনের মধ্যকার এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) নজরুল ইসলাম সরকার।

ওই সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান, মো. শাহজালাল হোসেন লিমন, মো. মাহমুদুল ইসলাম ও দিদারুল আলম খান (চিফ মার্কেটিং অফিসার), সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটন এবং পাওয়ার প্লে কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়ামুর রহমান পলাশ।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের ডিএমডি নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘ক্রিকেট ও দেশের অন্যান্য খেলাধুলায় সর্বদা পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে ওয়ালটন। জাতীয় ক্রিকেট দল যেমন বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করছে, তেমনি ওয়ালটনও বিশ্ব প্রযুক্তি পণ্য খাতে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করছে। মিরাজ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অত্যন্ত প্রতিভাবান ও অন্যতম অলরাউন্ডার। তার মতো মেধাবী অলরাউন্ডার ক্রিকেটারকে তৃতীয়বারের মতো ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’

অনুষ্ঠানে মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘ক্রিকেটের পৃষ্ঠপোষকতায় ওয়ালটন বরাবরই এগিয়ে। দেশের সর্বস্তরের খেলাধুলা ও খেলোয়াড়দেরও পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে ওয়ালটন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার সময় যখন আমার তেমন পরিচিতি ছিল না, ওই সময় ওয়ালটন আমাকে ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডর করেছে। এরপর টানা তিনবার আমাকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের মর্যাদা দিল ওয়ালটন। এটা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিকস প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি গর্বিত। দেশ-বিদেশে ওয়ালটনকে প্রতিনিধিত্ব করার পাশাপাশি ওয়ালটনের ব্র্র্যান্ড ইমেজকে আরও বৃদ্ধি করতে আমি সর্বদা সচেষ্ট থাকব।’

আরও পড়ুন:
ওয়ালটন বাজারে ছেড়েছে নেক্সজি সিরিজের নতুন মডেলের স্মার্টফোন
ওয়ালটন প্লাজা উৎসবে পুরস্কৃত ১৪৪ প্লাজা ও ম্যানেজার
স্নাতক পাশে শো-রুম ম্যানেজার নেবে ওয়ালটন
ক্ষতিগ্রস্ত কিস্তি ক্রেতার পরিবারের পাশে ওয়ালটন প্লাজা
কর্মক্ষেত্রে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পুরস্কার পেল ওয়ালটন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The price of gold fell further in the world market

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমলেও দেশে প্রভাব নেই

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমলেও দেশে প্রভাব নেই প্রতীকী ছবি
মূল্যহ্রাসের এমন বৈষম্যের কারণে স্বর্ণের দামে দেশ ও বিশ্ববাজারে বড় ধরনের পার্থক্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববাজারের চেয়ে দেশের বাজার থেকে এক ভরি স্বর্ণ কিনতে ১৬ হাজার ডলারেরও বেশি গুনতে হচ্ছে।

গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে ব্যাপক পতন ঘটেছে। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমায় দেশের বাজারেও পড়েছে এর প্রভাব। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে যে হারে স্বর্ণের দরপতন হচ্ছে, দেশের বাজারে তার অর্ধেক মূল্য কমছে না।

আন্তর্জাতিক বাজারে এক সপ্তাহেই প্রতি আউন্স স্বর্ণের মূল্য ৭৬ দশমিক ৮০ ডলার কমে গেছে। প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরলে বিশ্ববাজারে এক ভরি স্বর্ণের দাম কমেছে ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা। এর বিপরীতে দেশের বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম কমেছে ১ হাজার ২৮৪ টাকা।

মূল্যহ্রাসের এমন বৈষম্যের কারণে স্বর্ণের দামে দেশ ও বিশ্ববাজারে বড় ধরনের পার্থক্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববাজারের চেয়ে দেশের বাজার থেকে এক ভরি স্বর্ণ কিনতে ১৬ হাজার ডলারেরও বেশি গুনতে হচ্ছে।

সর্বশেষ গত ২৭ সেপ্টেম্বর বৈঠকের পর ২৮ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম পুনর্নির্ধারণ করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সে সময় সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ লাখ ২৮৪ টাকা থেকে কমিয়ে ৯৯ হাজার ৯৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ২২৪ টাকা থেকে কমিয়ে ৯৫ হাজার ৪১২ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস।

এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৯ টাকা থেকে কমিয়ে ৮১ হাজার ৭৬৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৯৩৩ টাকা থেকে কমিয়ে ৬৮ হাজার ১১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তখন থেকে এ দামেই দেশের বাজারে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে।

তবে স্বর্ণের গহনা কিনতে এর চেয়েও বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। কারণ বাজুস নির্ধরিত দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যুক্ত করে দেশের বাজারে স্বর্ণের গহনা বিক্রি হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে সবকিছু মিলিয়ে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতার পকেট থেকে ১ লাখ ৮ হাজার ৪৫৭ টাকা বেরিয়ে যায়।

দেশের বাজারে স্বর্ণের বর্তমান মূল্য নির্ধারণের সময় বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৯০৩ ডলার। বর্তমানে তা কমে ১ হাজার ৮৪৮ ডলারে নেমে গেছে। অর্থাৎ দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর পর বিশ্ববাজারে দাম কমেছে ৫৫ ডলার।

স্বর্ণের আন্তর্জাতিক বাজারের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসেই স্বর্ণের দাম কমেছে। সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৯২৪ দশমিক ৯৯ ডলার। সপ্তাহের ব্যবধানে ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ বা ৭৬ দশমিক ৮০ ডলার কমে প্রতি আউন্সের দাম ১ হাজার ৮৪৮ দশমিক ১৯ ডলারে নামে।

আরও পড়ুন:
স্বর্ণের দাম কিছুটা কমে আরও বড় লাফ, নতুন রেকর্ড

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Now the first shipment of hilsa went to Tripura

ত্রিপুরায় গেল ইলিশের প্রথম চালান

ত্রিপুরায় গেল ইলিশের প্রথম চালান মৌলভীবাজারের চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে শনিবার ইলিশের প্রথম চালান যায় ভারতের ত্রিপুরায়। ছবি: নিউজবাংলা
চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের কর্মকর্তা (পরিদর্শক) হাসানুজ্জামান বলেন, ‘সকল প্রকার কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে ট্রাকের ইলিশ মাছের কার্টুন পরীক্ষার পর রপ্তানির ক্লিয়ারেন্স দেয়া হয়েছে। অনুমোদনপ্রাপ্ত  আরও কয়েকটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত এ পথে ইলিশ মাছ রপ্তানি করবে।’

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় গেল বাংলাদেশের ইলিশের প্রথম চালান।

উপজেলার চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উত্তর ত্রিপুরার কৈলাশহরে রপ্তানি হয় দেড় হাজার কেজি ইলিশ।

চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, বাংলাদেশি ইলিশ নিয়ে কয়েকটি ট্রাক শুল্ক অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। ক্লিয়ারিং এজেন্টের মাধ্যমে রপ্তানির কাগজপত্র ও ট্রাকের মাছ শুল্ক কর্মকর্তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর ট্রাকগুলো ত্রিপুরার কৈলাশহরে প্রবেশ করে।

স্থল শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলাদেশি মাছ রপ্তানিকারক নড়াইলের ‘আরিফ সি ফুড’ ভারতে দেড় টন ইলিশ রপ্তানি করল। আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে মোট ৫০ টন মাছ রপ্তানি করতে হবে। আজ চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে এ বছরের ইলিশ মাছের প্রথমটি গেল।

আরিফ সি ফুডের মালিক কাজি আরিফ আহমদ নিউজবাংলাকে বলেন, “গত বছরও আমি এ পথে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি করেছি। ভারতের কলকাতার ‘আইয়ুশ এন্টারপ্রাইজ’ ইলিশ মাছ নিচ্ছে। ত্রিপুরার বিভিন্ন এলাকায় এ ইলিশ সরবরাহ করা হবে।”

ক্লিয়ারিং এজেন্ট বক্সী এন্টারপ্রাইজের শেখর দত্ত বলেন, ‘আজকের প্রথম চালানে ৮৭৭ টাকা কেজি দরে মোট ১৩ লাখ ১৫ হাজার ৭৭ টাকা মূল্যের দেড় টন ইলিশ আজ ভারতে রপ্তানি হলো।’

চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের কর্মকর্তা (পরিদর্শক) হাসানুজ্জামান বলেন, ‘সকল প্রকার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ট্রাকের ইলিশ মাছের কার্টুন পরীক্ষার পর রপ্তানির ক্লিয়ারেন্স দেয়া হয়েছে। অনুমোদনপ্রাপ্ত আরও কয়েকটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত এ পথে ইলিশ মাছ রপ্তানি করবে।’

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
China rich in tourism is increasing income

চীনে পর্যটন খুলেছে সম্ভাবনার দুয়ার

চীনে পর্যটন খুলেছে সম্ভাবনার দুয়ার মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের কারণে সারা বিশ্বের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র চীন। ছবি: নিউজবাংলা
বিশ্ব পর্যটন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর আগে ২০১৯ সালে চীনে ৬ কোটি ৫৭ লাখ বিদেশি দর্শনার্থী প্রবেশ করেছেন। মহামারি শুরুর পর নিজেদের আন্তর্জাতিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে চীন। পরে বিভিন্ন দেশ পর্যায়ক্রমে করোনার বিধিনিষেধ তুলে নিলেও চীন অনেক দিন ধরে তা বহাল রেখেছিল।

দৃষ্টিসীমাজুড়ে নৈসর্গিক দৃশ্য। নদ-নদী, পাহাড়, বন-জঙ্গলের মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের কারণে সারা বিশ্বের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে চীন।

বলা হয়ে থাকে চীনের বিভিন্ন প্রদেশে এক পাহাড়েই একসময়ে চার ঋতুর সমাহার ঘটে ও প্রতি পাঁচ কিলোমিটার পরপর আবহাওয়ার পরিবর্তন দেখা যায়। দেশটির অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এ পর্যটন শিল্প।

পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি চীনের গ্রেট ওয়াল বা মহাপ্রাচীর। চীনের সবচেয়ে উঁচু টাওয়ার ও বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টাওয়ার হলো সাংহাই টাওয়ার। এর বাইরে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, খাবার পর্যটকদের সহজেই আকৃষ্ট করে।

চীনে পর্যটন খুলেছে সম্ভাবনার দুয়ার

পর্যটকদের আকৃষ্ট করার সব উপাদানই রয়েছে চীনে। এ কারণে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও বড় ভূমিকা রাখছে পর্যটন শিল্প।

চীনে পর্যটন খুলেছে সম্ভাবনার দুয়ার

চায়না ট্যুরিজম অ্যাকাডেমির তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯-এর আগে ২০১৯ সালে পর্যটন খাত থেকে চীনের অভ্যন্তরীণ আয় ছিল ৬ দশমিক ৬৩ ট্রিলিয়ন ইউয়ান। এর মধ্যে বিদেশিদের চীনে ভ্রমণ থেকে আয় ৫ দশমিক ৭৩ ট্রিলিয়ন ইউয়ান, যা ১৩১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের সমান।

চীনে পর্যটন খুলেছে সম্ভাবনার দুয়ার

২০২২ সালে চীনের পর্যটন থেকে আয় ছিল প্রায় দুই ট্রিলিয়ন ইউয়ান। ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে চীনের রাজস্ব প্রায় সম্পূর্ণরূপে অভ্যন্তরীণ পর্যটন থেকেই হবে বলে অনুমান করা হয়েছিল, কিন্তু ২০২০ সালে কোভিড এর কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয় তারা।

গত ১০ বছরের ডেটা বিশ্লেষেণে জানা যায়, ২০১২ সালে পর্যটন খাত থেকে চীনের রাজস্ব আয় হয়েছিল ২ হাজার ৫৯০ বিলিয়ন ইউয়ান। ২০১৪ সালে সেটা ৩ হাজারের ঘর অতিক্রম করে আয় হয় ৩ হাজার ৭৩০ বিলিয়ন ইউয়ান। এরপর প্রতি বছরে এ আয় বেড়েছে, তবে ২০১৯ সালে সেটা ৬ হাজার বিলিয়ন ছাড়িযে যায়। এরপর ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে কোভিডের কারণে বিদেশি পর্যটকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তারা। ওই সময় অভ্যন্তরীণ আয় হয় যথাক্রমে ২ হাজার ২৩০ বিলিয়ন ইউয়ান, ২ হাজার ৯১৯ বিলিয়ন ও ২ হাজার ৪৪ বিলিয়ন ইউয়ান।

বিশ্ব পর্যটন শিল্পে চীন

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন বিশ্বব্যাপী পর্যটন শিল্পের জিডিপিতে বার্ষিক পাঁচ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার যোগ করেছে।

জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান মানসহ চীনের পর্যটন শিল্প গত এক দশকে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। কোভিড-১৯ মহামারির ঠিক আগে চীনা পর্যটন শিল্প ২০১৯ সালে প্রায় ৫ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ইউয়ান আয় করে ১১ দশমিক ৭ শতাংশ রাজস্ব বৃদ্ধি করেছে। চীনের পর্যটন শিল্প দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটন নিয়ে গঠিত। বেইজিং, সাংহাই ও গুয়াংজু চীনা পর্যটকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় অভ্যন্তরীণ গন্তব্য। ২০১৯ সালে চীনে আসা বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ২০ লাখের কাছাকাছি।

চীনে পর্যটন খুলেছে সম্ভাবনার দুয়ার

করোনাভাইরাস মহামারি চীনের পর্যটনে বড় প্রভাব ফেলেছে। যদিও মাত্র কয়েকজন বিদেশি যাত্রীকে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। অভ্যন্তরীণ ভ্রমণকারীর সংখ্যাও ২০২০ সালে অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে। ২০২১ সালে ধীরে ধীরে আবার বাড়তে শুরু করেছে।

চীনে পর্যটন খুলেছে সম্ভাবনার দুয়ার

আন্তর্জাতিক পর্যটন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর আগে ২০১৯ সালে চীনে ৬ কোটি ৫৭ লাখ বিদেশি দর্শনার্থী প্রবেশ করেন। মহামারি শুরুর পর নিজেদের আন্তর্জাতিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে চীন। পরে বিভিন্ন দেশ পর্যায়ক্রমে করোনার বিধিনিষেধ তুলে নিলেও চীন অনেক দিন ধরে তা বহাল রাখে।

এ নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংয়ের নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভও করেছে দেশটির জনগণ। ২০২২ সালের শেষ থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার শুরু করে বেইজিং।

পর্যটন শিল্প: বাংলাদেশের চিত্র

অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বাংলাদেশে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত, ম্যানগ্রোভ বন বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন; আছে পাহাড়, পর্বত ও হাওর। এতকিছুর পরও এ দেশে দিন দিন কমছে বিদেশি পর্যটক। ফলে কমছে এ খাত থেকে আয়ও।

পাশের দেশগুলোতে জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান ১০ শতাংশের ওপরে থাকলেও দেশে মাত্র ৪ দশমিক ৪ শতাংশ।

পাঁচ দশক পেরিয়ে গেলেও দেশের পর্যটন শিল্প কীভাবে এগিয়ে যাবে, তার কোনো মহাপরিকল্পনা এখনও হয়নি।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পর্যটন শিল্পকে তাদের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে রূপান্তর করেছে, কিন্তু বাংলাদেশ সেই তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে।

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, পর্যটন স্পটগুলোয় প্রতি বছর ভ্রমণ করেন প্রায় দেড় কোটি পর্যটক। এর মধ্যে বিদেশি পর্যটক ৩ থেকে ৫ শতাংশ।

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী জানান, দেশের পর্যটন সম্ভাবনা কাজে লাগাতে প্রচার দরকার। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও বিজ্ঞাপন দিতে হবে।

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে দেশে বিদেশি নাগরিক এসেছেন ৫ লাখ ৬৬৫ জন। এ ছাড়া ২০১৮ সালে ৫ লাখ ৫২ হাজার ৭৩০ জন আসেন। ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ বিদেশি নাগরিক দেশে আসেন। এ সংখ্যা ৬ লাখ ২১ হাজার ১৩১।

করোনার সময় ২০২০ সালে বাংলাদেশে এসেছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ৫১৮ জন। ২০২১ সালে ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৬ জন আর ২০২২ সালে দেড় লাখ বিদেশি আসেন। ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত তা হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার।

আরও পড়ুন:
দুর্নীতি: চায়না লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাবেক প্রধানের যাবজ্জীবন
চীনের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধে নেই যুক্তরাষ্ট্র: বাইডেন
ভারতে জি২০ সম্মেলনে যাচ্ছেন না শি
মৃত্যুর মিছিল থামছে না সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রে
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশিদের দ্বারা নির্ধারিত হওয়া উচিৎ: ইয়াও ওয়েন

মন্তব্য

p
উপরে