ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর ৪৯ কর্মদিবসে ১০ টাকার শেয়ারের দর অবিশ্বাস্যভাবে ৮১৪ টাকা ৯০ পয়সা বাড়ার পর অবশেষে এই ঘটনার নেপথ্যে কী, সেটি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএইসি।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই দাম বৃদ্ধির বিষয়টি তদন্ত করবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। এরপর তারা প্রতিবেদন দেবে বিএসইসিকে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘অরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ারের দাম খুব অল্প সময়ে অনেক বেড়ে গেছে। আমরা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) নির্দেশ দিয়েছি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। ডিএসই দেখবে এই দাম বাড়াতে কোন কারসাজি করা হয়েছে কিনা।’
ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর গত ৪৯ কর্মদিবসে এই কোম্পানিটর দর বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৭৭৮ দশমিক ৩১ শতাংশ।
এই দর বৃদ্ধির মধ্যে মধ্যে মোট ৫ বার ডিএসইর পক্ষ থেকে কোম্পানির কাছে কারণ জানতে চাওয়া হয়েছিল। কোম্পানি জানিয়েছে দাম বাড়তে পারে, এমন কোনো মূল্য সংবেদনশীল অপ্রকাশিত তথ্য কাদের কাছে নেই।
কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয়ের অনুপাতে দর এতটাই বেড়েছে যে, বর্তমান যে হারে আয় করে, সে হারে বর্তমান শেয়ারদরের সমান আয় করতে সময় লাগবে ৬৭১ দশমিক ২৪ বছর।
রকেট গতিতে বেড়েছে দাম
সাম্প্রতিক সময়ে তো বটেই, পুঁজিবাজারে গত এক দশকের মধ্যেও কোনো কোম্পানির এমন অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির বিষয়টি দেখা যায়নি।
২০২০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পুঁজিবাজারে উত্থানের মধ্যেও এই কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল এক শ টাকার নিচে। ৩ মাস আগে ১৩ জুলাই কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৯৫ টাকা ৫০ পয়সা।
গত ২৮ জুলাই পুঁজিবাজারে ধস পরিস্থিতিতে দ্বিতীয়বারের মতো সব শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইসে বেঁধে দেয়ার দিন দর ছিল ১০৪ টাকা ৭০ পয়সা। পরের কর্মদিবস ৩১ জুলাই পুঁজিবাজারে উল্লম্ফনের দিন শেয়ারদর বেড়ে দাঁড়ায় ১১৬ টাকা ৩০ পয়সা।
শেয়ারটির উত্থান পর্ব শুরু হয় ১৬ আগস্ট থেকে। আগের কর্মদিবস ১৪ আগস্ট দর ছিল ১২৯টাকা ১০ পয়সা।
টানা ১৭ কর্মদিবস বেড়ে ৮ সেপ্টেম্বর শেয়ারদর দাঁড়ায় ৪১৯ টাকা। এরপর টানা তিন দিন দর কমে। ১৩ সেপ্টেম্বর দর দাঁড়ায় ৩৯৫ টাকা ৩০ পয়সা।
এরপর আবার টানা ছয় কর্মদিবস বেড়ে ২১ সেপ্টেম্বর দর দাঁড়ায় ৬০৩ টাকা ৫০ পয়সা। এরপর দুই কর্মদিবস কমে আবার, দর ২৫ সেপ্টেম্বর দর দাঁড়ায় ৫৬৫ টাকা ৭০ পয়সা। তিন কর্মদিবসে একটি দরেই ঘুরপাক খেয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর দর দাঁড়ায় ৫৬৪ টাকা ৬০ পয়সা।
এরপর থেকে শুরু হয় আরেক অবিশ্বাস্য উত্থানপর্ব। টানা আট কর্মদিবস বেড়ে বর্তমান দর ৯১৯ টাকা ৬০ পয়সা।
২০ কোটির কোম্পানি এখন পৌনে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার
ওরিয়ন ইনফিউশন রোগীর গায়ে পুশ করার আইভি স্যালাইন প্রস্তুত করে। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় পাঁচ বছর পর ১৯৯৪ সালে।
এর পরিশোধিত মূলধন এখন ২০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এর শেয়ারসংখ্যা ২ কোটি ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬০।
শেয়ারদর অস্বাভাবিক হারে বাড়ার কারণে সেই কোম্পানিটি এখন ১ হাজার ৮৭২ কোটি ২৮ লাখ ৩৫ হাজার ২৯৬ টাকার কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।
কেবল এই কোম্পানিটি নয়, ওরিয়ন গ্রুপের আরও দুটি কোম্পানির শেয়ারদরেও ব্যাপক উত্থান দেখা যাচ্ছে।
এর মধ্যে বিকন ফার্মার দর গত ২৮ জুলাই ছিল ২৪০ টাকা ৬০ পয়সা, সেটি এখন বেড়ে হয়েছে ৩৫২ টাকা ২০ পয়সা। মাঝে ৩৯৩ টাকাতেও উঠেছিল।
অন্যদিকে ওরিয়ন ফার্মার দর গত ২৮ জুলাই ছিল ৭৮ টাকা ৭০ পয়সা, সেটি এখন ১১৬ টাকা ২০ পয়সা, মাঝে হয়েছিল ১৩৮ টাকা ৬০ পয়সা। এটি মাঝে উঠেছিল ১৫৬ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত।
আয় ও লভ্যাংশ আহামরি নয়
১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্বল্প মূলধনি কোম্পানিটির আয় বা লভ্যাংশের ইতিহাস খুব একটি ভালো এমন নয়।
২০১৭ সাল থেকে কখনও কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ২ টাকা আয় করতে পারেনি। ওই বছর আয় ছিল ১ টাকা ৫৩ পয়সা, পরের বছর যা হয় ১ টাকা ৬২ পয়সা। ২০১৯ সালে আয় ছির ১ টাকা ৯৭ পয়সা, পরের বছর যা দাঁড়ায় ১ টাকা ৪৬ পয়সা। ২০২১ সালে শেয়ার প্রতি আয় হয় ১ টাকা ৩৭ পয়সা।
গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে মার্চ পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৪৩ পয়সা।
এই পাঁচ বছরের মধ্যে ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৪০ পয়সা এবং পরের দুই বছর শেয়ার প্রতি এক টাকা করে লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি।
কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্যও খুব একটা বেশি নয়। গত অর্থবছর শেষে প্রতি শেয়ারের বিপরীতে ১৩ টাকা ১০ পয়সার সম্পদ ছিল তাদের, গত মার্চ শেষে যা কিছুটা বেড়ে হয় ১৩ টাকা ৫৫ পয়সা।
কোম্পানিটির রিজার্ভে আছে ছয় কোটি টাকা।]
এর মোট শেয়ারের মধ্যে মধ্যে ৪০ দশমিক ৬১ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার, বিদেশিদের হাতে রয়েছে দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৫১ দশমিক ৮৫ শতাংশ শেয়ার।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য