ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর ৪৯ কর্মদিবসে ১০ টাকার শেয়ারের দর অবিশ্বাস্যভাবে ৮১৪ টাকা ৯০ পয়সা বাড়ার পর অবশেষে এই ঘটনার নেপথ্যে কী, সেটি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএইসি।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই দাম বৃদ্ধির বিষয়টি তদন্ত করবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। এরপর তারা প্রতিবেদন দেবে বিএসইসিকে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘অরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ারের দাম খুব অল্প সময়ে অনেক বেড়ে গেছে। আমরা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) নির্দেশ দিয়েছি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। ডিএসই দেখবে এই দাম বাড়াতে কোন কারসাজি করা হয়েছে কিনা।’
ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর গত ৪৯ কর্মদিবসে এই কোম্পানিটর দর বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৭৭৮ দশমিক ৩১ শতাংশ।
এই দর বৃদ্ধির মধ্যে মধ্যে মোট ৫ বার ডিএসইর পক্ষ থেকে কোম্পানির কাছে কারণ জানতে চাওয়া হয়েছিল। কোম্পানি জানিয়েছে দাম বাড়তে পারে, এমন কোনো মূল্য সংবেদনশীল অপ্রকাশিত তথ্য কাদের কাছে নেই।
কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয়ের অনুপাতে দর এতটাই বেড়েছে যে, বর্তমান যে হারে আয় করে, সে হারে বর্তমান শেয়ারদরের সমান আয় করতে সময় লাগবে ৬৭১ দশমিক ২৪ বছর।
রকেট গতিতে বেড়েছে দাম
সাম্প্রতিক সময়ে তো বটেই, পুঁজিবাজারে গত এক দশকের মধ্যেও কোনো কোম্পানির এমন অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির বিষয়টি দেখা যায়নি।
২০২০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পুঁজিবাজারে উত্থানের মধ্যেও এই কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল এক শ টাকার নিচে। ৩ মাস আগে ১৩ জুলাই কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৯৫ টাকা ৫০ পয়সা।
গত ২৮ জুলাই পুঁজিবাজারে ধস পরিস্থিতিতে দ্বিতীয়বারের মতো সব শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইসে বেঁধে দেয়ার দিন দর ছিল ১০৪ টাকা ৭০ পয়সা। পরের কর্মদিবস ৩১ জুলাই পুঁজিবাজারে উল্লম্ফনের দিন শেয়ারদর বেড়ে দাঁড়ায় ১১৬ টাকা ৩০ পয়সা।
শেয়ারটির উত্থান পর্ব শুরু হয় ১৬ আগস্ট থেকে। আগের কর্মদিবস ১৪ আগস্ট দর ছিল ১২৯টাকা ১০ পয়সা।
টানা ১৭ কর্মদিবস বেড়ে ৮ সেপ্টেম্বর শেয়ারদর দাঁড়ায় ৪১৯ টাকা। এরপর টানা তিন দিন দর কমে। ১৩ সেপ্টেম্বর দর দাঁড়ায় ৩৯৫ টাকা ৩০ পয়সা।
এরপর আবার টানা ছয় কর্মদিবস বেড়ে ২১ সেপ্টেম্বর দর দাঁড়ায় ৬০৩ টাকা ৫০ পয়সা। এরপর দুই কর্মদিবস কমে আবার, দর ২৫ সেপ্টেম্বর দর দাঁড়ায় ৫৬৫ টাকা ৭০ পয়সা। তিন কর্মদিবসে একটি দরেই ঘুরপাক খেয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর দর দাঁড়ায় ৫৬৪ টাকা ৬০ পয়সা।
এরপর থেকে শুরু হয় আরেক অবিশ্বাস্য উত্থানপর্ব। টানা আট কর্মদিবস বেড়ে বর্তমান দর ৯১৯ টাকা ৬০ পয়সা।
২০ কোটির কোম্পানি এখন পৌনে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার
ওরিয়ন ইনফিউশন রোগীর গায়ে পুশ করার আইভি স্যালাইন প্রস্তুত করে। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় পাঁচ বছর পর ১৯৯৪ সালে।
এর পরিশোধিত মূলধন এখন ২০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এর শেয়ারসংখ্যা ২ কোটি ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬০।
শেয়ারদর অস্বাভাবিক হারে বাড়ার কারণে সেই কোম্পানিটি এখন ১ হাজার ৮৭২ কোটি ২৮ লাখ ৩৫ হাজার ২৯৬ টাকার কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।
কেবল এই কোম্পানিটি নয়, ওরিয়ন গ্রুপের আরও দুটি কোম্পানির শেয়ারদরেও ব্যাপক উত্থান দেখা যাচ্ছে।
এর মধ্যে বিকন ফার্মার দর গত ২৮ জুলাই ছিল ২৪০ টাকা ৬০ পয়সা, সেটি এখন বেড়ে হয়েছে ৩৫২ টাকা ২০ পয়সা। মাঝে ৩৯৩ টাকাতেও উঠেছিল।
অন্যদিকে ওরিয়ন ফার্মার দর গত ২৮ জুলাই ছিল ৭৮ টাকা ৭০ পয়সা, সেটি এখন ১১৬ টাকা ২০ পয়সা, মাঝে হয়েছিল ১৩৮ টাকা ৬০ পয়সা। এটি মাঝে উঠেছিল ১৫৬ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত।
আয় ও লভ্যাংশ আহামরি নয়
১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্বল্প মূলধনি কোম্পানিটির আয় বা লভ্যাংশের ইতিহাস খুব একটি ভালো এমন নয়।
২০১৭ সাল থেকে কখনও কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ২ টাকা আয় করতে পারেনি। ওই বছর আয় ছিল ১ টাকা ৫৩ পয়সা, পরের বছর যা হয় ১ টাকা ৬২ পয়সা। ২০১৯ সালে আয় ছির ১ টাকা ৯৭ পয়সা, পরের বছর যা দাঁড়ায় ১ টাকা ৪৬ পয়সা। ২০২১ সালে শেয়ার প্রতি আয় হয় ১ টাকা ৩৭ পয়সা।
গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে মার্চ পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৪৩ পয়সা।
এই পাঁচ বছরের মধ্যে ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৪০ পয়সা এবং পরের দুই বছর শেয়ার প্রতি এক টাকা করে লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি।
কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্যও খুব একটা বেশি নয়। গত অর্থবছর শেষে প্রতি শেয়ারের বিপরীতে ১৩ টাকা ১০ পয়সার সম্পদ ছিল তাদের, গত মার্চ শেষে যা কিছুটা বেড়ে হয় ১৩ টাকা ৫৫ পয়সা।
কোম্পানিটির রিজার্ভে আছে ছয় কোটি টাকা।]
এর মোট শেয়ারের মধ্যে মধ্যে ৪০ দশমিক ৬১ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার, বিদেশিদের হাতে রয়েছে দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৫১ দশমিক ৮৫ শতাংশ শেয়ার।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য