× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
This time the transaction is less than a thousand crores of weak companies
google_news print-icon

লেনদেন এবার হাজার কোটির নিচে, দুর্বল কোম্পানির রমরমা

লেনদেন-এবার-হাজার-কোটির-নিচে-দুর্বল-কোম্পানির-রমরমা
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে তিনটি লোকসানি। একটির উৎপাদন শুরু হওয়া অনিশ্চিত বলে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ কোম্পানি আইসিবির হাতে থাকা কোম্পানির শেয়ার বিক্রির নির্দেশনা এসেছে। একটি কোম্পানি গত ৫ বছরের মধ্যে তিন বছর লোকসান দিয়েছে। বাকি দুই বছর সামান্য মুনাফা করার পর শেয়ার প্রতি ২০ পয়সা ও ১০ পয়সা করে লভ্যাংশ দিয়েছে।

ফ্লোর প্রাইসে দুই শতাধিক কোম্পানির গড়াগড়ি খাওয়ার মধ্যে আড়াই মাসে অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানি দর হারাতে থাকার মধ্যে লেনদেন এবার নামল এক হাজার কোটি টাকার নিচে।

সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ১১৯ পয়েন্ট দরপতনের পরদিন সূচক অবস্থান ধরে রাখার পর তৃতীয় কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছোটখাটো একটি লাফ দিল।

৫০ পয়েন্ট উত্থানের দিন ১৩৭টি কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধি এবং ৩২টির দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তির কোনো কারণ ছিল না এ কারণে যে ১৯৭টি কোম্পানি এদিন হাতবদল হয় আগের দিনের দরে। যেগুলোর প্রায় সবগুলোই আসলে বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইসে হাতবদল হয়েছে।

বাজার পরিস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে যে চিত্র অতীতে দেখা গেছে, সেটি আবার দেখা যাচ্ছে। স্বল্প মূলধনি বা দুর্বল কোম্পানিগুলোর শেয়ারে তুমূল আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।

এদিন সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে যেগুলোর সেগুলোর সিংহভাগের আয়, লভ্যাংশের ইতিহাস ভালো নয়। আবার এমন কোম্পানিও আছে, যাদের উৎপাদন বন্ধ কয়েক বছর ধরে।

সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে তিনটি লোকসানি। একটির উৎপাদন শুরু হওয়া অনিশ্চিত বলে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ কোম্পানি আইসিবির হাতে থাকা কোম্পানির শেয়ার বিক্রির নির্দেশনা এসেছে।

একটি কোম্পানি গত ৫ বছরের মধ্যে তিন বছর লোকসান দিয়েছে। বাকি দুই বছর সামান্য মুনাফা করার পর শেয়ার প্রতি ২০ পয়সা ও ১০ পয়সা করে লভ্যাংশ দিয়েছে।

একটি কোম্পানির আয় গত ৫ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে কমছে। পাঁচ বছর আগে শেয়ার প্রতি তিন টাকার বেশি আয় করা কোম্পানিটি গত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ২২ পয়সা আয় করেছে। গত মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিক শেষে আয় হয়েছে ১৪ পয়সা।

অন্য একটি কোম্পানি টানা পাঁচ বছর ধরে শেয়ার প্রতি কেবল ৫০ পয়সা করে লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। তাদের আয়ের প্রবৃদ্ধি নেই। এই পাঁচ বছরে একবারই কেবল ৫০ পয়সার বেশি আয় হয়েছে তাদের।

অন্য একটি কোম্পানি গত ৫ বছরেও কখনও শেয়ার প্রতি এক টাকা আয় করতে পারেনি। আর দর বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা কোম্পানি গত দুই বছরে শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা করে লভ্যাংশ দিয়ে আসার পর এবারই প্রথম দেড় টাকা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ৯৯৪ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার টাকা। গত ১৪ আগস্টের পর এক প্রথম লেনদেন নামল হাজার কোটির দিনে। ৩৮ কর্মদিবস আগে সেদিন হাতবদল হয় ৬৪৪ কোটি ৪৫ লাখ ৩১ হাজার টাকার শেয়ার।

লেনদেন এবার হাজার কোটির নিচে, দুর্বল কোম্পানির রমরমা
বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুর্বল কোম্পানির দরবৃদ্ধি বা দুর্বল কোম্পানি- এই কথাটা আমি মনে করি না।

‘দুর্বল বলতে আর্থিক অবস্থা বর্তমানে ভালো নয়, সেটাই তো বোঝানো হয়েছে, বিজনেস ভালো হলে অবস্থা তো ভালো হতেই পারে। দুর্বল কোম্পানি সবসময়ের জন্য দুর্বল নয়। বেশ কয়েকটি কোম্পানির আগে খারাপ ছিল এখন তো সেগুলোর ইপিএস ভালো হয়েছে।’

সূচক ও লেনদেন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মার্কেট ডাউনওয়ার্ডে ছিল ১৫-২০ দিন যাবত, এখন আবার আপওয়ার্ডে যাবে। মার্কেটের ট্রেন্ড অনুযায়ী সূচক, লেনদেন দুটোই বাড়বে।’

দর বৃদ্ধির শীর্ষে যারা

লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে দরবৃদ্ধি বা পতনের সীমা না থাকায় সি-পার্লের দর ১২.৬৭ শতাংশ বেড়েছে। আগের দিন দর ছিল ১৩১ টাকা, ১৬ টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৭ টাকা ৬০ পয়সা।

২০১৯ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ারদর কখনও এতটা উঁচুতে উঠেনি। প্রথম বছর ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়া কোম্পানিটি পরের দুই বছর শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা করে লভ্যাংশ দিয়েছিল।

২০১৯ সালে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৪৪ পয়সা, পরের বছর লোকসান হয় ৯ পয়সা, ২০২১ সালে আয় হয় ৬১ পয়সা। আর গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে মেয়ার প্রতি আয় হয় ১ টাকা ৩৪ পয়সা, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

গত ২৮ জুলাই ফ্লোর প্রাইস দেয়ার দিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৪৪ টাকা। আড়াই মাসেরও কম সময়ে সেটি সাড়ে তিন গুণ হয়ে গেল।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর বেড়েছে পেনিনসুলা চিটাগংয়ের। ১০ শতাংশ দর বেড়েছে কোম্পানিটির।

তালিকাভুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো দিন শেয়ারপ্রতি এক টাকা আয় করতে পারেনি। ৩০ টাকা থেকে বেড়ে শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৩৩ টাকায়।

এরপরে ৯.৯১ শতাংশ দর বেড়েছে লোকসানি হাক্কানি পাল্পের। গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি ৭ পয়সা আয় ছাড়া প্রতি বছরই লোকসান দিয়েছে কোম্পানিটি।

গত বছর ১ শতাংশ, তার আগের দুই বছর ২ শতাংশ ও ২০১৮ সালে ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।

বুধবার শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৭৫ টাকা ৪০ পয়সায়।

লেনদেন এবার হাজার কোটির নিচে, দুর্বল কোম্পানির রমরমা
দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় এমন সব কোম্পানি দেখা গেছে, যাদের ব্যবসার পরিস্থিতি বা লভ্যাংশের ইতিহাস ভালো না

গত বছর বিপুল লোকসান দেয়া ইনফরমেশন সার্ভিসেসের দর বেড়েছে ৯.৮৯ শতাংশ। ২০১৭ সালে ৫২ পয়সা লোকসানের পরের তিন বছর ৫০ পয়সার নিচে আয় করেছে। কিন্তু ২০২১ সালে লোকসান দিয়েছে ৮ টাকা ৪৫ পয়সা।

২০২০ সালে ১ ও তার আগের বছর ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। আজ শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬০ টাকায়।

গত বছর শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৯৪ পয়সা লোকসানে থাকা আফতাব অটোসের দর বেড়েছে ৯ টাকা ৭৬ শতাংশ। শেয়ারের ক্লোজিং প্রাইস দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ৬০ পয়সায়।

লোকসান হলেও ২০২১ সালে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানি। তার আগের বছরগুলোতে আয় ভালো থাকায় লভ্যাংশ আরও বেশি দিয়েছিল।

নাভানা সিএনজির দর ৯.৭৬ শতাংশ বেড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩২ টাকা ৬০ পয়সায়।

২০০৯ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না। গত ৫ বছর ধারাবাহিকভাবে কমছে আয়। ২০১৭ সালে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৩ টাকা ৩ পয়সা। প্রতি বছর কমতে কমতে ২০২১ সালে শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়ায় ২২ পয়সা। চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক মার্চ পর্যন্ত আয় হয়েছে ১৪ পয়সা।

ধারাবাহিকভাবে লোকসানে থাকায় কোনোদিন নগদ লভ্যাংশ দিতে পারেনি বিডি ওয়েল্ডিং। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ১ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। কয়েক বছর ধরে কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ। বোর্ড পুনর্গঠন করার পর কোম্পানিটি উৎপাদনে ফিরতে পারবে না এই আশঙ্কায় আইসিবির হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দেয়ার সুপারিশ করেছে বিএসইসি।

জেড ক্যাটাগরিতে থাকা কোম্পানির শেয়ারদর ৯.৭২ শতাংশ বেড়ে হাতবদল হয়েছে ২৭ টাকা ১০ পয়সায়। সম্প্রতি কোম্পানিটির দর ৪০ টাকার কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। পরে আবার নেমে আসে ২২ টাকায়। গত ২ দিনে বাড়ল ২১ শতাংশ।

ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং স্টেশনের দর ৯.৫৫ শতাংশ বা ৪ টাকা ২০ পয়সা বেড়ে শেয়ার বেচাকেনা হয়েছে ৪৮ টাকা ২০ পয়সায়।

২০২১ সালে শেয়ারপ্রতি ৮১ পয়সা আয়ের বিপরীতে ২ শতাংশ নগদ ও ৮ শতাংশ বোনাস বা স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল ইন্ট্রাকো।

গত পাঁচ বছরে দেশবন্ধু পলিমারের শেয়ারপ্রতি আয় ৫০ পয়সা অতিক্রম করতে পারেনি। ২০২১ সালে ২০ পয়সা আয়ের বিপরীতে ৫ শতাংশ বা ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল।

বসুন্ধরা পেপারের দর ৬ টাকা ৪০ পয়সা বা ৮.৮২ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালে শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৩৭ পয়সা আয়ের বিপরীতে বিনিয়োগকারীদের ১ টাকা ২০ পয়সা লভ্যাংশ দেয় কোম্পানি।

বুধবার শেয়ারটির ক্লোজিং প্রাইস দাঁড়িয়েছে ৭৯ টাকা।

গত বছর ওটিসি মার্কেট থেকে ফেরা মনোস্পুল পেপারের দর গত কয়েক দিন ধরেই লাফাচ্ছে। দর ৮.৭৫ শতাংশ বেড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৩১ টাকা ৮০ পয়সায়।

২০১৯ সালে শেয়ারপ্রতি ২২ টাকা ১৪ পয়সা আয় ছিল। তার পরের বছর আয় কমে দাঁড়ায় ৫ টাকা ৫৬ পয়সায়। ২০২১ সালে সেটি আরও কমে দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ২৩ পয়সা। আর বিপরীতে ওই বছর কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ বা ১ টাকা নগদ লভ্যাংশ দেয়।

গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য শেয়ার প্রতি ১০ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর বোর্ড মিটিংয়ের দিন শেয়ারদর ছিল ১৯২ টাকা ৯০ পয়সা। ৮ কর্মদিবসে দর বাড়ল ১৩৮ টাকা ৯০ পয়সা।

স্বল্প মূলধনি ও দুর্বল আর্থিক ভিত্তির আরও সাতটি কোম্পানির দর ৮ শতাংশের বেশি, আরও ৭টির দর ৭ শতাংশের বেশি বেড়েছে। ১২টির দর বেড়েছে ৬ শতাংশের বেশি, ৬টির দর বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি, ১৫টির দর বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি, ১৬টির দর বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি।

দর পতনের শীর্ষ ১০

পতনের তালিকার শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি। ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১০ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। আগের দিনে লেনদেন হয় ১১ টাকা ২০ পয়সায়।

পতনের তালিকায় পরের স্থানে ছিল কোহিনূর কেমিক্যাল। ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ দর কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৪৬ টাকা ৫০ পয়সায়। আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৬৬৭ টাকা ৪০ পয়সা।

তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ। ২ দশমিক ২৬ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ১২০ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ১২৩ টাকা ৫০ পয়সায়।

দর কমার শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো ছিল- ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, মুন্নু অ্যাগ্রো, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, আজিজ পাইপস, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও সিটি ব্যাংক।

সূচকে প্রভাব যাদের

সবচেয়ে বেশি ৪ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে বিকন ফার্মা। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৩ দশমিক ১২ শতাংশ।

লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের দর ৩ দশমিক ০১ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৪ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট।

সি-পার্ল সূচকে যোগ করেছে ৩ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ১২ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

এর বাইরে ইউনিক হোটেল, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ওরিয়ন ইনফিউশন, বসুন্ধরা পেপার, জেএমআই হসপিটাল, সোনালী পেপার ও জেএমআই সিরিঞ্জেস।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট।

বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ২৯ পয়েন্ট সূচক কমেছে বেক্সিমকো লিমিটেডের দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ১ দশমিক ০৯ শতাংশ।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ দশমিক ০৫ পয়েন্ট কমেছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের কারণে। শেয়ার প্রতি দাম কমেছে ২ দশমিক ২৭ শতাংশ।

কোহিনূর কেমিক্যালের দর ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ১ পয়েন্ট।

আর কোনো কোম্পানি এক পয়েন্ট সূচক কমাতে পারেনি।

ইউনিলিভার, সিটি ব্যাংক, আল আরব ব্যাংক, ম্যারিকো, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের দরপতনে সূচক কমেছে।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৭ দশমিক ৭২ পয়েন্ট।

কোন খাত কেমন

গত এক মাসের সাধারণ চিত্রের মতোই শীর্ষে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। লেনদেন হয়েছে ২৩৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ২৪.৫৭ শতাংশ। খাতটিতে ১৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। অপরিবর্তিত দরে লেনদেন হয়েছে ৯টি কোম্পানির। আর দরপতন হয়েছে ৩টির।

বিবিধ খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫৪ কোটি ১০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। ৭টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৪টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে। দরপতন হয়েছে ২টির।

তৃতীয় স্থানে থাকা প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয়েছে ১৪২ কোটি টাকা। ২৪টির দরবৃদ্ধি, ৫টির দরপতন ও আগের দরে লেনদেন হয়েছে ১৩টি কোম্পানির।

চতুর্থ সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে কাগজ ও মুদ্রণ খাতে। এ খাতে কোনো দরপতন হয়নি। লেনদেন হয়েছে ৬১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

৫টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে একটি লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে।

৫০ কোটি ৮০ লাখ টাকা বা ৫.৩৫ শতাংশ লেনদেন করে তালিকার পঞ্চম স্থানে ছিল বস্ত্র খাত। ১৩টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির সঙ্গে ২টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে দর কমে। আর অপরিবর্তিত দরে লেনদেন হয়েছে ৪৪টি কোম্পানির।

বাকি খাতের লেনদেন ৫ শতাংশের নিচে ছিল।

এর বাইরে খাদ্য ৫০ শতাংশ, জ্বালানি ৫৬ শতাংশ, প্রযুক্তি ৮১ শতাংশ, সিমেন্ট ৬৬ শতাংশ, ট্যানারি ৫০ শতাংশ, জুট, সেবা ও ভ্রমণ খাতে শতভাগ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে।

আরও পড়ুন:
সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেন নিয়ে লেজেগোবরে অবস্থা
ওরিয়ন দম হারানোর পর ফ্লোর প্রাইসে সর্বোচ্চ পতন
নিজেদের স্বার্থে কিছু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্ষতি করছে পুঁজিবাজারের
পুঁজিবাজারে ১১ প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে বিএসইসির পুরস্কার
সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেন শুরু সোমবার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Transaction in Dhaka is going on in Chittagong

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।

এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।

সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।

দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

মন্তব্য

পতনে পর্যদুস্ত পুঁজিবাজার

পতনে পর্যদুস্ত পুঁজিবাজার

পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।

লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।

ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।

ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।

৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।

অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।

চট্টগ্রামেও বড় পতন

.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।

লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।

সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।

এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু
পুঁজিবাজারে উত্থানের জোয়ারেও কমেনি মন্দ শেয়ারের দৌরাত্ম্য
পুঁজিবাজার: শেষ কর্মদিবসে উত্থানে শুরু লেনদেন
পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন শুরু উত্থানে

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The index has dropped again in the capital market of Dhaka Chittagong

আবারও সূচক কমল ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, বেড়েছে লেনদেন

আবারও সূচক কমল ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, বেড়েছে লেনদেন
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।

সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।

তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: শেষ কর্মদিবসে উত্থানে শুরু লেনদেন
পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন শুরু উত্থানে
শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে
ডিএসইতে সূচকের উত্থানে শুরু দ্বিতীয় কর্মদিবসের লেনদেন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market In the first hour of the rise in Dhaka the fall in Chittagong

পুঁজিবাজার: প্রথম ঘণ্টায় ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন

পুঁজিবাজার: প্রথম ঘণ্টায় ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন ডিএসই ও সিএসইর লোগো। কোলাজ: ইউএনবি
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।

লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।

লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন শুরু উত্থানে
শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে
ডিএসইতে সূচকের উত্থানে শুরু দ্বিতীয় কর্মদিবসের লেনদেন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে উত্থান দিয়ে শুরু লেনদেন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market More than 1 crore transactions in two hours

পুঁজিবাজার: দুই ঘণ্টায় ৩০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন

পুঁজিবাজার: দুই ঘণ্টায় ৩০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন প্রতীকী ছবি
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।

টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।

সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।

আরও পড়ুন:
সপ্তাহের লেনদেন শুরু ঢাকার উত্থানে, পতন চট্টগ্রামে
পুঁজিবাজার: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু
পুঁজিবাজারে উত্থানের জোয়ারেও কমেনি মন্দ শেয়ারের দৌরাত্ম্য
পুঁজিবাজার: শেষ কর্মদিবসে উত্থানে শুরু লেনদেন
পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Week transaction began in Chittagong to fall in Dhaka

সপ্তাহের লেনদেন শুরু ঢাকার উত্থানে, পতন চট্টগ্রামে

সপ্তাহের লেনদেন শুরু ঢাকার উত্থানে, পতন চট্টগ্রামে ডিএসই ও সিএসইর লোগোর মাঝে সূচকের উত্থানের গ্রাফিক্স। ছবি: ইউএনবি
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।

অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু
পুঁজিবাজারে উত্থানের জোয়ারেও কমেনি মন্দ শেয়ারের দৌরাত্ম্য
পুঁজিবাজার: শেষ কর্মদিবসে উত্থানে শুরু লেনদেন
পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন শুরু উত্থানে

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market Starting the week with rise

পুঁজিবাজার: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু

পুঁজিবাজার: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু প্রতীকী ছবি
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।

গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

আরও পড়ুন:
ডিএসইতে সূচকের উত্থানে শুরু দ্বিতীয় কর্মদিবসের লেনদেন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে উত্থান দিয়ে শুরু লেনদেন
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার পুঁজিবাজারে সব সূচকের পতন
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান, চট্টগ্রামে বড় পতন
উত্থানের ধারা বজায় রেখে পুঁজিবাজারে লেনদেন

মন্তব্য

p
উপরে