× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Investor volatility also in the BSEC
google_news print-icon

বিনিয়োগকারীর অস্থিরতা বিএসইসিতেও

বিনিয়োগকারীর-অস্থিরতা-বিএসইসিতেও
প্রতীকী ছবি
বিশেষজ্ঞরা বলেন, শেয়ারদর বা সূচকের ওঠানামা দেখা বিএসইসির কাজ নয়। তাদের কাজ সুশাসন নিশ্চিত, সঠিক মূল্য সংবেদনশীল তথ্য সময়মতো প্রকাশ নিশ্চিত করা। বর্তমান বিএসইসি আগের তুলনায় বেশ সক্রিয়। তবে নানা সময় তাদের নানা সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে বাজারে বরং বিনিয়োগকারীদের আস্থার ঘাটতির কারণ হয়েছে।

বাংলাদেশে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অস্থিরতার যে সমস্যা নিয়ে বারবার আলোচনা হয়, সেটির বাইরে নয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিও। শেয়ারদর বাড়তে থাকলে বা কমতে থাকলে প্রায়ই তারা নিত্যনতুন সিদ্ধান্ত নিতে থাকে।

এর একটি উদাহরণ হতে পারে এসএমই মার্কেট নিয়ে। স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর জন্য চালু করা আলাদা প্লাটফর্মে কারা শেয়ার কিনতে পারবেন, তা নিয়ে এক বছরের মধ্যে তিনবার নতুন নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

সংস্থাটি প্রায়ই নীতি পাল্টায়, একেকবার একেক সিদ্ধান্ত নেয়, শেয়ারদর কমতে থাকলেও বাজারে হস্তক্ষেপ করে আবার এও বলে যে, পুঁজিবাজারকে স্বাভাবিকভাবে চলতে দেয়া উচিত।

বিভিন্ন সময় হুটহাট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিএসইসি। নীতিগত সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কিছুদিন পরই আগের অবস্থানে চলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। আবার দেখা গেছে, বিনিয়োগকারীরা কোনো দাবি জানাতে থাকলে মানা হবে না জানিয়েও পরে সূচক পড়তে থাকলে সেটা করা হয়েছে।

বিএসইসির সাবেক একজন চেয়ারম্যান বলেছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থার যেটি কাজ নয়, সেটি করতে গিয়ে বারবার বিনিয়োগকারীর আস্থায় বরং চিড় ধরাচ্ছে বিএসইসি। আবার তাদের যে কাজ, সুশাসন নিশ্চিত করা, সেটিতে তারা সফল হচ্ছে না।

পুঁজিবাজারের কোম্পানিগুলোর সুশাসন নেই, কথাটি বলেছেন খোদ বিএসইসির একজন কমিশনার। আরেকজন কমিশনার বলেছেন, নিজেদের স্বার্থে কিছু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্ষতি করছে পুঁজিবাজারের। কিছু ব্রোকারেজ হাউস বিনিয়োগকারী, ডিএসই এমনকি বিএসইসিকে মিথ্যা তথ্য দেয়।

বিএসইসির একজন সাবেক চেয়ারম্যান এসব বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেছেন, সংস্থাটির কাজ এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া।

তদন্তের নির্দেশ এক দিনেই প্রত্যাহার

২০২১ সালের ১২ জানুয়ারি বিএসইসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ৩০ কর্মদিবসে যেসব কোম্পানির শেয়ারদর ৫০ শতাংশ বেড়েছে, সেগুলো নিয়ে তদন্ত করে তাদের রিপোর্ট দিতে হবে ডিএসইকে। এই নির্দেশনা আসার পর ১৩ জানুয়ারি ৯১ পয়েন্ট সূচকের পতন হয়। সেদিনই তদন্তের নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

স্বল্প মূলধনি কোম্পানি নিয়ে সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন নেই

আবার ২০২১ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর ক্রমাগত বেড়ে চলার পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেসব কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয়। তবে তদন্তে কী পাওয়া গেল, সেটি নিয়ে আর কিছু জানানো হয়নি।

এরপর ডিসেম্বরে সিদ্ধান্ত জানানো হয়, কোম্পানিগুলোর পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকা করতে হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাজ করতে হবে বলে জানিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু বহু কোম্পানির মূলধন বাড়ানোর কোনো উদ্যোগই নেই।

এই নির্দেশনায় কম মূলধনি কোম্পানিগুলোর দর আবার বাড়তে থাকে সে সময়। কিন্তু যেসব কোম্পানির মূলধন কম, তা বাড়ালেই কোম্পানির উন্নতি হবে, এই নিশ্চয়তা দেয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রি-ওপেনিং সেশন

২০২০ সালের অক্টোবরে পুঁজিবাজারে প্রি-ওপেনিং সেশন এবং পোস্ট-ওপেনিং সেশনের চালু করা হয়। লেনদেন শুরুর ১৫ মিনিট আগে বাই বা সেল অর্ডার বসিয়ে রাখা যেত। বাজার যখন উঠছিল, তখন এ নিয়ে কথা হয়নি। তবে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে যখন সংশোধন শুরু হয় তখন অন্যান্য নানা বিষয়ের পাশাপাশি এটি নিয়েও কথা উঠতে থাকে।

পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক দরপতনের মধ্যে গত ২২ মে প্রি-ওপেনিং সেশন বন্ধ করে দেয়া হয়। সে সময় এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে কারসাজির বিষয়টি উঠে আসে। লেনদেন শুরুর আগেই শেয়ারের সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন দরে বিপুলসংখ্যক শেয়ার বসিয়ে রাখা হয়। যদিও পরবর্তী সময়ে এসব কার্যাদেশ বাতিল কিংবা পরিবর্তন হয়ে যায়। কিন্তু লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আতঙ্কে বাজারে দরপতন হতে থাকে।

কারসাজির সুযোগ করে দেয়ার সন্দেহে যেটি বন্ধ করা হয়েছিল, সেটি আবার চালু হয়েছে গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে। যুক্তি হিসেবে বলা হচ্ছে, তবে স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেডিং ইঞ্জিনের চাপ কমানো।

এবার প্রি-ওপেনিং সেশনের সময় রাখা হয়েছে ৫ মিনিট। অর্থাৎ সকাল সাড়ে ৯টায় লেনদেন শুরুর ৫ মিনিট আগে থেকেই শেয়ার কেনাবেচার অর্ডার দিয়ে রাখা যাবে ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে। আর পোস্ট ক্লোজিং সেশনের সময় ১টা ৫০ মিনিট থেকে ২টা পর্যন্ত।

এসএমইতে বিনিয়োগসীমা পরিবর্তন

গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর এসএমই বোর্ড চালুর পর বেশ আশাবাদী ছিল বিএসইসি। সেখানে শেয়ার কেনাবেচা করার সুযোগ ছিল সীমিত। প্রথমে সিদ্ধান্ত ছিল, যাদের বিনিয়োগ কমপক্ষে এক কোটি টাকা, তারাই সেখানে বিনিয়োগ করতে পারবেন।

এতে দেখা যায়, বিনিয়োগকারীর সংখ্যা খুবই কম, আর এই বোর্ডের কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর সেভাবে বাড়ছিল না।

এরপর যোগ্য বিনিয়োগকারী হওয়ার শর্ত শিথিল করা হয়। প্রথমে জানানো হয়, যাদের বিনিয়োগ ৫০ লাখ টাকা, তারাই সেখানে শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবেন। এতেও যখন শেয়ারগুলো দর হারাতে থাকে।

পরে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে বিনিয়োগসীমা ৫০ লাখ টাকা থেকে কমিয়ে ২০ লাখ টাকায় বিনিয়োগ নামিয়ে আনে বিএসইসি।

এরপর গত ২৮ মার্চ সিদ্ধান্ত হয়, যোগ্য বিনিয়োগকারী হতে কাউকে আবেদন করতে হবে না। যার বিনিয়োগ ২০ লাখ টাকা, তাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই এই মার্কেটে শেয়ার কেনাবেচার জন্য যোগ্য বিনিয়োগকারী হিসেবে নিবন্ধিত করে নেবে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ।

বিনিয়োগসীমা কমানোর পর এসএমই বোর্ডের শেয়ার বাড়তে থাকে লাফিয়ে লাফিয়ে, সেই সঙ্গে বাড়ে লেনদেন। তবে মূলবাজারে হয় উল্টো চিত্র। কমে যেতে থাকে লেনদেন ও শেয়ারদর।

বিএসইসির নতুন সিদ্ধান্ত হলো এই বোর্ডে শেয়ার কেনাবেচা করতে হলে বিনিয়োগকারীর কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকার বিনিয়োগ থাকতে হবে।

যারা আগের নির্দেশনার আলোকে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ দিয়ে যোগ্য হয়েছেন, তাদের যোগ্যতা ধরে রাখতে বিনিয়োগ আরও ১০ লাখ টাকা বাড়াতে হবে। এ জন্য তাদের সময় দেয়া হয়েছে তিন মাস।

যারা এই শর্ত পূরণ করতে পারবে না, তাদের মধ্যে যাদের কাছে এসএমই খাতের শেয়ার আছে, সেসব শেয়ার শুধু তারা বিক্রি করতে পারবেন।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারও বিনিয়াগ ৩০ লাখ টাকা হলে তাকে এসএমইর জন্য যোগ্য বিনিয়োগকারী হতে আবেদন করতে হবে না। প্রতি প্রান্তিকে এসএমইতে লেনদেনের যোগ্য করতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিনা খরচে রেজিস্ট্রেশন করা হবে। এ জন্য প্রতি প্রান্তিকে সিডিবিএল বা ডিপি বিনিয়োগকারীর বিস্তারিত তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দেবে।

দরপতনের সীমা বারবার পরিবর্তন ও ফ্লোর প্রাইস

মার্চের শুরুতে ব্যাপক দরপতনের মধ্যে গত ৮ মার্চ বিনিয়োগকারীদের রক্ষায় স্থিতিশীলতা তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের নির্দেশের পাশাপাশি দর কমার সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করেছিল কমিশন।

এই নির্দেশ জারির পর দিন ঘুরে দাঁড়ায় পুঁজিবাজার। তবে এই উত্থান বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। বিশেষ করে রোজায় এপ্রিলের শুরু থেকে পুঁজিবাজার ক্রমেই নিম্নমুখী হতে থাকে। বহু কোম্পানির শেয়ারগুলো প্রায় প্রতিদিনই ২ শতাংশ করে দর হারাতে থাকে। কিন্তু এই পড়তি দামেও শেয়ার কেনার ক্রেতা পাওয়া যায়নি।

একপর্যায়ে বাজারের লেনদেন এক হাজার কোটি টাকা থেকে কমে ধীরে ধীরে নেমে আসে ৪০০ কোটি টাকার কমে।

এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের একটি সংগঠন পুঁজিবাজারের আবার ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন দর বেঁধে দেয়ার দাবি ওঠে, যদিও তা নাকচ করে দেয় বিএসইসি।

এপ্রিল মাসে রোজার শুরু থেকে পতনের মধ্যে পুঁজিবাজারকেন্দ্রিক বিভিন্ন ফেসবুক পেজে আবার ফ্লোর প্রাইস দেয়ার দাবি উঠতে থাকে। পরে সেই দাবি নিয়ে ১৮ এপ্রিল বিএসইসিতে যায় পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। সে সময় বিএসইসি তাদের না করে দেয়।

২০ এপ্রিল এক দিনে কোনো কোম্পানির শেয়ারের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করে বিএসইসি। শেয়ারের দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা আগের মতোই ১০ শতাংশ রাখা হয়।

এরপর বাজার পরিস্থিতি অবনতি হলে ২৫ মে আবারও দরপতনের সীমা ২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।

এতে পতন রক্ষা করতে না পেরে সর্বশেষ ২৮ জুলাই ফ্লোর প্রাইস আরোপের ঘোষণা দেয় বিএসইসি। জানানো হয় পরের কার্যদিবস রোববার থেকে ফ্লোর প্রাইসের পাশাপাশি এক দিনে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ থাকবে না।

‘বিএসইসির যেটা কাজ নয়, সেটাতে গুরুত্ব’

বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘বিএসসির কাজ হচ্ছে সুষ্ঠুভাবে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ক্যাপিটাল মার্কেট বা স্টক মার্কেট পরিচালনা করা। রেগুলেশনস অনুযায়ী স্বচ্ছভাবে ট্রেড হচ্ছে, সেটা দেখাশোনা করা।’

বিনিয়োগকারীর অস্থিরতা বিএসইসিতেও

তিনি আরও বলেন, ‘বাজারে সুষ্ঠুভাবে লেনদেন হলে ইনডেক্স যেখানে যাবার সেখানে যাবে। যার যে প্রাইসে যাবার সেখানে যাবে। ইনডেক্স নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাজ নয়।

সুশাসন নিয়ে বিএসইসির একজন কমিশনার যে বক্তব্য রেখেছেন, সেটি নিয়েও সমালোচনা করেন ফারুক সিদ্দিকী। বলেন, ‘খুব বেশি হলে কয়েকটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে এই গভর্ন্যান্স আছে। আর ব্যাংকের মধ্যে কয়েকটি দেখা যায়। তাছাড়া বাংলাদেশের কোনো ক্ষেত্রে গভর্ন্যান্স নেই। তবে কোম্পানিতে কর্পোরেট গভর্ন্যান্স নেই, সেটা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কেউ বলতে পারেন না, কারণ তাদের কাজ হচ্ছে এটা এনসিওর করা।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, ‘কোম্পানির পরিচালকরা এবং অডিটররা সঠিক তথ্য তুলে ধরে না। এখানে বেশির ভাগ উদ্যোক্তা আসে শেয়ার বেচার জন্য। সেটা হয়ে গেলে ড্যাম কেয়ার।

‘সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে ডিএসই, বিএসইসি মিলে। কিন্তু তারা বলছে, আমরা তো গাইডলাইন দিয়ে রেখেছি। আমি বিনিয়োগকারীদের বলব, যারা গভর্ন্যান্স মেনে চলে তাদের শেয়ার হোল্ড করতে।’

বিনিয়োগকারীর অস্থিরতা বিএসইসিতেও

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন কোম্পানির তালিকাভুক্তির পরের বছর বা কয়েক বছর পরে জালিয়াতি, মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ঠকানোর বিষয় উঠে আসছে। তাহলে যারা অনুমতি দিয়েছিল তারা তো দায় এড়াতে পারে না

‘অডিটরের বিষয়গুলো দেখবে ফিন্যানশিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি)। আর সার্বিক বিষয়গুলো দেখবে রেগুলেটর। রেগুলেটরকে অনেক পাওয়ার দেয়া আছে। কোথায় কী অনিয়ম, সেগুলো খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেয়া তাদের দায়িত্ব।’

‘কোম্পানির আসার সময় অডিট ঠিকমতো হয়েছে কি না, ট্যাক্স-ভ্যাট দেয় কি না- এসব বিষয় ভালো করে যাচাই করে অনুমোদন দিলে খারাপ কোম্পানি আসার সুযোগ পায় না।’

আবু আহমেদ বলেন, ‘শেয়ারের পতনরোধ করা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাজ নয়। পত্রিকায় দেখলাম, ইএসএ ও পশ্চিমের আরও কয়েকটি মার্কেটে ব্যাপক পতন হয়েছে। কই, তারা তো ফ্লোর প্রাইস দেয়নি।’

বিনিয়োগকারীরা ক্ষুব্ধ

মাসুম জামান নামের এক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিনিয়োগ শিক্ষা নাই, লং টার্মে বিনিয়োগ করেন না বলে সবাই। বিএসইসি তো বিনিয়োগকারীদের চেয়ে আরও অস্থির।’

সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘যখন মার্কেট পড়ল, তখন ফ্লোর প্রাইস দেয়ার দাবি জানানো হলো, বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের নেতারা মিটিং করে চিঠি দিল, কিন্তু তখন ফ্লোর প্রাইস দিল না। পরে আবার ঠিকই দিল, মাঝখান থেকে আমাদের টাকাগুলো গেল।

‘আবার এই যে প্রি ওপেনিং সেশন চালু করল, চালু করবে তো কদিন আগে কারসাজির কথা বলে বন্ধ করল কেন?’

আরেক বিনিয়োগকারী ফিদুল বিশ্বাস বলেন, ‘এসএমই বোর্ডের শেয়ার নিয়ে কী হচ্ছে দেখেছেন তো? বিএসইসি এলিজিবল ইনভেস্টর হওয়ার জন্য বিনিয়োগের সীমা কয় দফায় পরিবর্তন করল। এতে কী হলো? এসএমই মার্কেটের শেয়ারদর বেড়ে আকাশে উঠল। এভাবে বারবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের মানে কী? উনারা কি ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন না?’

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএসইর এক ব্রোকার বলেন, ‘নিয়ন্ত্রক সংস্থা যেগুলো নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বা বাস্তবায়ন করেছে তা অবশ্যই পুঁজিবাজারের স্বার্থেই করেছে। তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা পাল্টানোর ক্ষেত্রে দ্রুততা বা ধীরগতি দেখা গেছে কিছু ক্ষেত্রে। এসব ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আরও বেশি পরিণত আচরণ আশা করে সবাই।’

বিএসইসি কী বলছে

বারবার সিদ্ধান্ত- এ বিষয়ে বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘ক্যাপিটাল মার্কেটের রেগুলেটর হিসেবে বিভিন্ন সময়ে পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে, সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আপ-ওয়ার্ড মার্কেটে এক রকম, ডাউন-ওয়ার্ড মার্কেটে আরেক রকম সিদ্ধান্ত নিতে হয়। বাজারের লিক্যুইডিটি, বাজারের সার্বিক অবস্থা, বাজারে ট্রান্সপারেন্সি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’

তিনি বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, যে ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, সেই সিচুয়েশন চেঞ্জ হলে, সেই সিচুয়েশনে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়। রেগুলেটরের তো এটাই কাজ। পলিসি লেভেলে যুগোপযোগী করে বিভিন্ন সময় বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ জন্য এটা সুপারভাইজ করতে রেগুলেটরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

‘কোনো কিছু যদি পরিবর্তন করা লাগে, তাহলে পাবলিক ইস্যু রুলস কতবার পরিবর্তন হচ্ছে? সেই একবার করে রেখেছিল, সেটাই তো সারাজীবন চলতে পারে না। বিভিন্ন পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, যে কারণে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তা আইনের মধ্যে থেকেই করেছে। আমরা মনে করছি, তা পারফেক্টলিই নিচ্ছে।’

কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রভাব বাজারে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএসইসির মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘এর সুফল আমরা মার্কেটে বর্তমানে দেখতে পাচ্ছি এবং আগামী দিনেও দেখতে পারব। রিফরমেশন একটা কনটিনিউয়াস প্রসেস, এটা চলতে থাকবে। বিভিন্ন সময়ে এটা যুগোপযোগী করার জন্য রিফর্ম হবে। সম্প্রতি কমিশন যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তা ক্যাপিটাল মার্কেটের জন্য হেল্পফুল এবং কাঙ্ক্ষিত ক্যাপিটাল মার্কেট গ্রোথ অর্জনে সহায়ক হবে।’

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজারের কোম্পানিতে সুশাসনের অভাব: বিএসইসি কমিশনার
ওরিয়ন গ্রুপের আরও লাফ, এবার সঙ্গে স্বল্প মূলধনি
ঘোষণা না দিয়ে শেয়ার কিনে ধরা বঙ্গজের পরিচালক
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট: বিএসইসির করণীয় কী
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হচ্ছে ডিএসই

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
With the beginning of the transaction starting in the first hour of the capital market

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।

এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market With the fall of transactions in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।

বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।

লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।

এই সম‌য়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯‌টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২‌টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, ‌সেখা‌নে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।

চট্টগ্রা‌মে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩‌টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬‌টির, কমেছে ৪৪‌টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market Most companies have decreased major collapse in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।

২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।

৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Transaction in Dhaka is going on in Chittagong

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।

এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।

সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।

দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

মন্তব্য

p
উপরে