বাংলাদেশে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অস্থিরতার যে সমস্যা নিয়ে বারবার আলোচনা হয়, সেটির বাইরে নয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিও। শেয়ারদর বাড়তে থাকলে বা কমতে থাকলে প্রায়ই তারা নিত্যনতুন সিদ্ধান্ত নিতে থাকে।
এর একটি উদাহরণ হতে পারে এসএমই মার্কেট নিয়ে। স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর জন্য চালু করা আলাদা প্লাটফর্মে কারা শেয়ার কিনতে পারবেন, তা নিয়ে এক বছরের মধ্যে তিনবার নতুন নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
সংস্থাটি প্রায়ই নীতি পাল্টায়, একেকবার একেক সিদ্ধান্ত নেয়, শেয়ারদর কমতে থাকলেও বাজারে হস্তক্ষেপ করে আবার এও বলে যে, পুঁজিবাজারকে স্বাভাবিকভাবে চলতে দেয়া উচিত।
বিভিন্ন সময় হুটহাট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিএসইসি। নীতিগত সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কিছুদিন পরই আগের অবস্থানে চলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। আবার দেখা গেছে, বিনিয়োগকারীরা কোনো দাবি জানাতে থাকলে মানা হবে না জানিয়েও পরে সূচক পড়তে থাকলে সেটা করা হয়েছে।
বিএসইসির সাবেক একজন চেয়ারম্যান বলেছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থার যেটি কাজ নয়, সেটি করতে গিয়ে বারবার বিনিয়োগকারীর আস্থায় বরং চিড় ধরাচ্ছে বিএসইসি। আবার তাদের যে কাজ, সুশাসন নিশ্চিত করা, সেটিতে তারা সফল হচ্ছে না।
পুঁজিবাজারের কোম্পানিগুলোর সুশাসন নেই, কথাটি বলেছেন খোদ বিএসইসির একজন কমিশনার। আরেকজন কমিশনার বলেছেন, নিজেদের স্বার্থে কিছু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্ষতি করছে পুঁজিবাজারের। কিছু ব্রোকারেজ হাউস বিনিয়োগকারী, ডিএসই এমনকি বিএসইসিকে মিথ্যা তথ্য দেয়।
বিএসইসির একজন সাবেক চেয়ারম্যান এসব বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেছেন, সংস্থাটির কাজ এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া।
তদন্তের নির্দেশ এক দিনেই প্রত্যাহার
২০২১ সালের ১২ জানুয়ারি বিএসইসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ৩০ কর্মদিবসে যেসব কোম্পানির শেয়ারদর ৫০ শতাংশ বেড়েছে, সেগুলো নিয়ে তদন্ত করে তাদের রিপোর্ট দিতে হবে ডিএসইকে। এই নির্দেশনা আসার পর ১৩ জানুয়ারি ৯১ পয়েন্ট সূচকের পতন হয়। সেদিনই তদন্তের নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
স্বল্প মূলধনি কোম্পানি নিয়ে সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন নেই
আবার ২০২১ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর ক্রমাগত বেড়ে চলার পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেসব কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয়। তবে তদন্তে কী পাওয়া গেল, সেটি নিয়ে আর কিছু জানানো হয়নি।
এরপর ডিসেম্বরে সিদ্ধান্ত জানানো হয়, কোম্পানিগুলোর পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকা করতে হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাজ করতে হবে বলে জানিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু বহু কোম্পানির মূলধন বাড়ানোর কোনো উদ্যোগই নেই।
এই নির্দেশনায় কম মূলধনি কোম্পানিগুলোর দর আবার বাড়তে থাকে সে সময়। কিন্তু যেসব কোম্পানির মূলধন কম, তা বাড়ালেই কোম্পানির উন্নতি হবে, এই নিশ্চয়তা দেয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রি-ওপেনিং সেশন
২০২০ সালের অক্টোবরে পুঁজিবাজারে প্রি-ওপেনিং সেশন এবং পোস্ট-ওপেনিং সেশনের চালু করা হয়। লেনদেন শুরুর ১৫ মিনিট আগে বাই বা সেল অর্ডার বসিয়ে রাখা যেত। বাজার যখন উঠছিল, তখন এ নিয়ে কথা হয়নি। তবে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে যখন সংশোধন শুরু হয় তখন অন্যান্য নানা বিষয়ের পাশাপাশি এটি নিয়েও কথা উঠতে থাকে।
পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক দরপতনের মধ্যে গত ২২ মে প্রি-ওপেনিং সেশন বন্ধ করে দেয়া হয়। সে সময় এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে কারসাজির বিষয়টি উঠে আসে। লেনদেন শুরুর আগেই শেয়ারের সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন দরে বিপুলসংখ্যক শেয়ার বসিয়ে রাখা হয়। যদিও পরবর্তী সময়ে এসব কার্যাদেশ বাতিল কিংবা পরিবর্তন হয়ে যায়। কিন্তু লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আতঙ্কে বাজারে দরপতন হতে থাকে।
কারসাজির সুযোগ করে দেয়ার সন্দেহে যেটি বন্ধ করা হয়েছিল, সেটি আবার চালু হয়েছে গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে। যুক্তি হিসেবে বলা হচ্ছে, তবে স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেডিং ইঞ্জিনের চাপ কমানো।
এবার প্রি-ওপেনিং সেশনের সময় রাখা হয়েছে ৫ মিনিট। অর্থাৎ সকাল সাড়ে ৯টায় লেনদেন শুরুর ৫ মিনিট আগে থেকেই শেয়ার কেনাবেচার অর্ডার দিয়ে রাখা যাবে ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে। আর পোস্ট ক্লোজিং সেশনের সময় ১টা ৫০ মিনিট থেকে ২টা পর্যন্ত।
এসএমইতে বিনিয়োগসীমা পরিবর্তন
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর এসএমই বোর্ড চালুর পর বেশ আশাবাদী ছিল বিএসইসি। সেখানে শেয়ার কেনাবেচা করার সুযোগ ছিল সীমিত। প্রথমে সিদ্ধান্ত ছিল, যাদের বিনিয়োগ কমপক্ষে এক কোটি টাকা, তারাই সেখানে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
এতে দেখা যায়, বিনিয়োগকারীর সংখ্যা খুবই কম, আর এই বোর্ডের কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর সেভাবে বাড়ছিল না।
এরপর যোগ্য বিনিয়োগকারী হওয়ার শর্ত শিথিল করা হয়। প্রথমে জানানো হয়, যাদের বিনিয়োগ ৫০ লাখ টাকা, তারাই সেখানে শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবেন। এতেও যখন শেয়ারগুলো দর হারাতে থাকে।
পরে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে বিনিয়োগসীমা ৫০ লাখ টাকা থেকে কমিয়ে ২০ লাখ টাকায় বিনিয়োগ নামিয়ে আনে বিএসইসি।
এরপর গত ২৮ মার্চ সিদ্ধান্ত হয়, যোগ্য বিনিয়োগকারী হতে কাউকে আবেদন করতে হবে না। যার বিনিয়োগ ২০ লাখ টাকা, তাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই এই মার্কেটে শেয়ার কেনাবেচার জন্য যোগ্য বিনিয়োগকারী হিসেবে নিবন্ধিত করে নেবে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ।
বিনিয়োগসীমা কমানোর পর এসএমই বোর্ডের শেয়ার বাড়তে থাকে লাফিয়ে লাফিয়ে, সেই সঙ্গে বাড়ে লেনদেন। তবে মূলবাজারে হয় উল্টো চিত্র। কমে যেতে থাকে লেনদেন ও শেয়ারদর।
বিএসইসির নতুন সিদ্ধান্ত হলো এই বোর্ডে শেয়ার কেনাবেচা করতে হলে বিনিয়োগকারীর কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকার বিনিয়োগ থাকতে হবে।
যারা আগের নির্দেশনার আলোকে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ দিয়ে যোগ্য হয়েছেন, তাদের যোগ্যতা ধরে রাখতে বিনিয়োগ আরও ১০ লাখ টাকা বাড়াতে হবে। এ জন্য তাদের সময় দেয়া হয়েছে তিন মাস।
যারা এই শর্ত পূরণ করতে পারবে না, তাদের মধ্যে যাদের কাছে এসএমই খাতের শেয়ার আছে, সেসব শেয়ার শুধু তারা বিক্রি করতে পারবেন।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারও বিনিয়াগ ৩০ লাখ টাকা হলে তাকে এসএমইর জন্য যোগ্য বিনিয়োগকারী হতে আবেদন করতে হবে না। প্রতি প্রান্তিকে এসএমইতে লেনদেনের যোগ্য করতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিনা খরচে রেজিস্ট্রেশন করা হবে। এ জন্য প্রতি প্রান্তিকে সিডিবিএল বা ডিপি বিনিয়োগকারীর বিস্তারিত তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দেবে।
দরপতনের সীমা বারবার পরিবর্তন ও ফ্লোর প্রাইস
মার্চের শুরুতে ব্যাপক দরপতনের মধ্যে গত ৮ মার্চ বিনিয়োগকারীদের রক্ষায় স্থিতিশীলতা তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের নির্দেশের পাশাপাশি দর কমার সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করেছিল কমিশন।
এই নির্দেশ জারির পর দিন ঘুরে দাঁড়ায় পুঁজিবাজার। তবে এই উত্থান বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। বিশেষ করে রোজায় এপ্রিলের শুরু থেকে পুঁজিবাজার ক্রমেই নিম্নমুখী হতে থাকে। বহু কোম্পানির শেয়ারগুলো প্রায় প্রতিদিনই ২ শতাংশ করে দর হারাতে থাকে। কিন্তু এই পড়তি দামেও শেয়ার কেনার ক্রেতা পাওয়া যায়নি।
একপর্যায়ে বাজারের লেনদেন এক হাজার কোটি টাকা থেকে কমে ধীরে ধীরে নেমে আসে ৪০০ কোটি টাকার কমে।
এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের একটি সংগঠন পুঁজিবাজারের আবার ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন দর বেঁধে দেয়ার দাবি ওঠে, যদিও তা নাকচ করে দেয় বিএসইসি।
এপ্রিল মাসে রোজার শুরু থেকে পতনের মধ্যে পুঁজিবাজারকেন্দ্রিক বিভিন্ন ফেসবুক পেজে আবার ফ্লোর প্রাইস দেয়ার দাবি উঠতে থাকে। পরে সেই দাবি নিয়ে ১৮ এপ্রিল বিএসইসিতে যায় পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। সে সময় বিএসইসি তাদের না করে দেয়।
২০ এপ্রিল এক দিনে কোনো কোম্পানির শেয়ারের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করে বিএসইসি। শেয়ারের দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা আগের মতোই ১০ শতাংশ রাখা হয়।
এরপর বাজার পরিস্থিতি অবনতি হলে ২৫ মে আবারও দরপতনের সীমা ২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।
এতে পতন রক্ষা করতে না পেরে সর্বশেষ ২৮ জুলাই ফ্লোর প্রাইস আরোপের ঘোষণা দেয় বিএসইসি। জানানো হয় পরের কার্যদিবস রোববার থেকে ফ্লোর প্রাইসের পাশাপাশি এক দিনে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ থাকবে না।
‘বিএসইসির যেটা কাজ নয়, সেটাতে গুরুত্ব’
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘বিএসসির কাজ হচ্ছে সুষ্ঠুভাবে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ক্যাপিটাল মার্কেট বা স্টক মার্কেট পরিচালনা করা। রেগুলেশনস অনুযায়ী স্বচ্ছভাবে ট্রেড হচ্ছে, সেটা দেখাশোনা করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাজারে সুষ্ঠুভাবে লেনদেন হলে ইনডেক্স যেখানে যাবার সেখানে যাবে। যার যে প্রাইসে যাবার সেখানে যাবে। ইনডেক্স নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাজ নয়।
সুশাসন নিয়ে বিএসইসির একজন কমিশনার যে বক্তব্য রেখেছেন, সেটি নিয়েও সমালোচনা করেন ফারুক সিদ্দিকী। বলেন, ‘খুব বেশি হলে কয়েকটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে এই গভর্ন্যান্স আছে। আর ব্যাংকের মধ্যে কয়েকটি দেখা যায়। তাছাড়া বাংলাদেশের কোনো ক্ষেত্রে গভর্ন্যান্স নেই। তবে কোম্পানিতে কর্পোরেট গভর্ন্যান্স নেই, সেটা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কেউ বলতে পারেন না, কারণ তাদের কাজ হচ্ছে এটা এনসিওর করা।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, ‘কোম্পানির পরিচালকরা এবং অডিটররা সঠিক তথ্য তুলে ধরে না। এখানে বেশির ভাগ উদ্যোক্তা আসে শেয়ার বেচার জন্য। সেটা হয়ে গেলে ড্যাম কেয়ার।
‘সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে ডিএসই, বিএসইসি মিলে। কিন্তু তারা বলছে, আমরা তো গাইডলাইন দিয়ে রেখেছি। আমি বিনিয়োগকারীদের বলব, যারা গভর্ন্যান্স মেনে চলে তাদের শেয়ার হোল্ড করতে।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন কোম্পানির তালিকাভুক্তির পরের বছর বা কয়েক বছর পরে জালিয়াতি, মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ঠকানোর বিষয় উঠে আসছে। তাহলে যারা অনুমতি দিয়েছিল তারা তো দায় এড়াতে পারে না
‘অডিটরের বিষয়গুলো দেখবে ফিন্যানশিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি)। আর সার্বিক বিষয়গুলো দেখবে রেগুলেটর। রেগুলেটরকে অনেক পাওয়ার দেয়া আছে। কোথায় কী অনিয়ম, সেগুলো খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেয়া তাদের দায়িত্ব।’
‘কোম্পানির আসার সময় অডিট ঠিকমতো হয়েছে কি না, ট্যাক্স-ভ্যাট দেয় কি না- এসব বিষয় ভালো করে যাচাই করে অনুমোদন দিলে খারাপ কোম্পানি আসার সুযোগ পায় না।’
আবু আহমেদ বলেন, ‘শেয়ারের পতনরোধ করা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাজ নয়। পত্রিকায় দেখলাম, ইএসএ ও পশ্চিমের আরও কয়েকটি মার্কেটে ব্যাপক পতন হয়েছে। কই, তারা তো ফ্লোর প্রাইস দেয়নি।’
বিনিয়োগকারীরা ক্ষুব্ধ
মাসুম জামান নামের এক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিনিয়োগ শিক্ষা নাই, লং টার্মে বিনিয়োগ করেন না বলে সবাই। বিএসইসি তো বিনিয়োগকারীদের চেয়ে আরও অস্থির।’
সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘যখন মার্কেট পড়ল, তখন ফ্লোর প্রাইস দেয়ার দাবি জানানো হলো, বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের নেতারা মিটিং করে চিঠি দিল, কিন্তু তখন ফ্লোর প্রাইস দিল না। পরে আবার ঠিকই দিল, মাঝখান থেকে আমাদের টাকাগুলো গেল।
‘আবার এই যে প্রি ওপেনিং সেশন চালু করল, চালু করবে তো কদিন আগে কারসাজির কথা বলে বন্ধ করল কেন?’
আরেক বিনিয়োগকারী ফিদুল বিশ্বাস বলেন, ‘এসএমই বোর্ডের শেয়ার নিয়ে কী হচ্ছে দেখেছেন তো? বিএসইসি এলিজিবল ইনভেস্টর হওয়ার জন্য বিনিয়োগের সীমা কয় দফায় পরিবর্তন করল। এতে কী হলো? এসএমই মার্কেটের শেয়ারদর বেড়ে আকাশে উঠল। এভাবে বারবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের মানে কী? উনারা কি ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন না?’
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএসইর এক ব্রোকার বলেন, ‘নিয়ন্ত্রক সংস্থা যেগুলো নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বা বাস্তবায়ন করেছে তা অবশ্যই পুঁজিবাজারের স্বার্থেই করেছে। তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা পাল্টানোর ক্ষেত্রে দ্রুততা বা ধীরগতি দেখা গেছে কিছু ক্ষেত্রে। এসব ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আরও বেশি পরিণত আচরণ আশা করে সবাই।’
বিএসইসি কী বলছে
বারবার সিদ্ধান্ত- এ বিষয়ে বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘ক্যাপিটাল মার্কেটের রেগুলেটর হিসেবে বিভিন্ন সময়ে পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে, সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আপ-ওয়ার্ড মার্কেটে এক রকম, ডাউন-ওয়ার্ড মার্কেটে আরেক রকম সিদ্ধান্ত নিতে হয়। বাজারের লিক্যুইডিটি, বাজারের সার্বিক অবস্থা, বাজারে ট্রান্সপারেন্সি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, যে ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, সেই সিচুয়েশন চেঞ্জ হলে, সেই সিচুয়েশনে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়। রেগুলেটরের তো এটাই কাজ। পলিসি লেভেলে যুগোপযোগী করে বিভিন্ন সময় বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ জন্য এটা সুপারভাইজ করতে রেগুলেটরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
‘কোনো কিছু যদি পরিবর্তন করা লাগে, তাহলে পাবলিক ইস্যু রুলস কতবার পরিবর্তন হচ্ছে? সেই একবার করে রেখেছিল, সেটাই তো সারাজীবন চলতে পারে না। বিভিন্ন পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, যে কারণে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তা আইনের মধ্যে থেকেই করেছে। আমরা মনে করছি, তা পারফেক্টলিই নিচ্ছে।’
কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রভাব বাজারে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএসইসির মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘এর সুফল আমরা মার্কেটে বর্তমানে দেখতে পাচ্ছি এবং আগামী দিনেও দেখতে পারব। রিফরমেশন একটা কনটিনিউয়াস প্রসেস, এটা চলতে থাকবে। বিভিন্ন সময়ে এটা যুগোপযোগী করার জন্য রিফর্ম হবে। সম্প্রতি কমিশন যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তা ক্যাপিটাল মার্কেটের জন্য হেল্পফুল এবং কাঙ্ক্ষিত ক্যাপিটাল মার্কেট গ্রোথ অর্জনে সহায়ক হবে।’
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য