× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Small Capital Leap with Orion Group
google_news print-icon

ওরিয়ন গ্রুপের আরও লাফ, এবার সঙ্গে স্বল্প মূলধনি

ওরিয়ন-গ্রুপের-আরও-লাফ-এবার-সঙ্গে-স্বল্প-মূলধনি
ওরিয়নের চার কোম্পানির পাশাপাশি স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ারদরে উল্লম্ফনও লেনদেনের একটি উল্লেখযোগ্য দিক। সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে পাঁচটি আর ২০টি কোম্পানির মধ্যে ১৫ই স্বল্প মূলধনি, যেগুলোর বছর শেষে মুনাফা ও লভ্যাংশ খুব ভালো আসে এমন নয়।

দুর্গাপূজার ছুটি কাটিয়ে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে দেশের পুঁজিবাজারের সূচক বাড়ল আরও খানিকটা। সেই সঙ্গে আরও বড় হলো ফ্লোর প্রাইসের তালিকাটি। কমল বেশিরভাগ শেয়ারের দর। তবে বেশিরভাগ শেয়ারের দর ঠায় দাঁড়িয়ে একটি দরেই।

বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স যত পয়েন্ট বেড়েছে, তার চেয়ে বেশি পয়েন্ট বাড়িয়েছে ওরিয়ন গ্রুপের চারটি কোম্পানি। সূচকে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট যোগ করা ১০টি কোম্পানির শীর্ষ পাঁচে এই গ্রুপের চারটি কোম্পানি। বাকি ছয়টির মধ্যে দুটি স্বল্প মূলধনি।

ডিএসইর সূচক বেড়েছে ২৪.৬৭ পয়েন্ট। আর ওরিয়নের চার কোম্পানি বাড়িয়েছে ৩৭.৪৯ পয়েন্ট।

এদিন স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ারদরে উল্লম্ফনও লেনদেনের একটি উল্লেখযোগ্য দিক। সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে পাঁচটি আর ২০টি কোম্পানির মধ্যে ১৫ই স্বল্প মূলধনি, যেগুলোর বছর শেষে মুনাফা ও লভ্যাংশ খুব ভালো আসে এমন নয়।

বিপরীতে শক্তিশালী মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ নেই বললেই চলে। আর অল্প কিছু কোম্পানির শেয়ারেই গোটা লেনদেনের সিংহভাগ হচ্ছে। শত শত কোম্পানির কোনো ক্রেতা না থাকার চিত্র আবার দেখা গেছে।

লেনদেনের এই ভারসাম্যহীনতার কারণে বিনিয়োগকারীদের একটি বড় অংশ আবার নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ায় লেনদেন আরও কমেছে। দিন শেষে এক হাজার কোটি টাকা ছাড়ালেও গত ৩৩ কর্মদিবসে এর চেয়ে কম লেনদেন হয়নি ডিএসইতে।

দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৬৯ কোটি ৮৩ লাখ ৭৭ হাজার টাকা, যা গত ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত ২৪ আগস্ট লেনদেন ছিল ১ হাজার ১৩৩ কেটি ৭১ লাখ ৬২ হাজার টাকা।

ওরিয়ন গ্রুপের আরও লাফ, এবার সঙ্গে স্বল্প মূলধনি
বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

এদিন বেড়েছে মোট ৭৭টি কোম্পানির দর, কমেছে ১০৩টির আর আগের দিনের দরে হাতবদল হয়েছে ১৯০টির দর, যেগুলোর সিংহভাগ ফ্লোর প্রাইসে আছে এবং লেনদেনের পরিমাণ খুবই কম।

লেনদেনের বিষয়ে ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজকের লেনদেন সন্তোষজনক নয়। এর দুটি কারণ হতে পারে, এক পূজার ছুটি মিলিয়ে বেশ কয়েকদিন ছুটি রয়েছে এবং দুই পোলারাইজেশনটা শেষ হয়নি। যার কারণে বিনিয়োগকারীরা হয়তো সাইড লাইনে থেকে বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন।’

স্বল্পমূলধনির প্রতি আগ্রহের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাজার যখন স্লো থাকে, বা কোনো খাতে যখন র‌্যালি না আসে তখন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগটা এসবে ঘোরে। যার কারণে এসবে কিছুটা মুভমেন্ট হয়।’

ওরিয়নের চার কোম্পানির বিস্ময়কর উত্থান অব্যাহত

চার কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৮.৭০ শতাংশ দর বেড়েছে বিকন ফার্মার। আগের দিন দর ছিল ২৫০ টাকা ৩০ পয়সা, বেড়ে হয়েছে ৩৮০ টাকা ৮০ পয়সা।

গত বছর শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ৭৪ পয়সা আয় করে দেড় টাকা লভ্যাশ দেয়া কোম্পানিটি গত মার্চে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ৩ টাকা ৫৮ পয়সা আয় করেছে।

গত ২৮ জুলাই পুঁজিবাজারে দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লোর প্রাইস দেয়ার দিন দর ছিল ২৪০ টাকা ৮০ পয়সা। দুই মাসের কিছু বেশি সময়ে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারদর বাড়ল ১৪০ টাকা বা ৫৮.১৩ শতাংশ।

এই একটি কোম্পানিই সূচকে যোগ করেছে ২৬.৪৬ পয়েন্ট।

গত কয়েক মাসে গ্রুপের যে কোম্পানির দর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে, সেই ওরিয়ন ইনফিউশনের দর এক দিনে বাড়ল আরও ৭.৫ শতাংশ। আগের দিন দর ছিল ৭০১ টাকা ৪০ পয়সা। ৫২ টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে বর্তমান দর ৭৫৪ টাকা।

গত ২৮ জুলাই পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস দেয়ার দিন দর ছিল ১০৪ টাকা ৭০ পয়সা। এই কয় দিনে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের কোম্পানিটির দর ৬৪৯ টাকা ৩০ পয়সা বা ৬২০ শতাংশ।

গত সাত বছরে শেয়ার প্রতি সর্বোচ্চ ১ টাকা ৪০ লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানিটি গত অর্থবছরে লভ্যাংশ দেয় এক টাকা, শেয়ার প্রতি আয় করে ১ টাকা ৩৭ পয়সা। গত মার্চে তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৪৩ পয়সা আয় করতে পেরেছে।

এই কোম্পানিটি সূচকে যোগ করেছে ৪.০২ পয়েন্ট।

ওরিয়ন গ্রুপের আরও লাফ, এবার সঙ্গে স্বল্প মূলধনি
ডিএসইর সূচক যতটা বেড়েছে, তার দেড় গুণের বেশি বাড়িয়েছে ওরিয়ন গ্রুপের চার কোম্পানি

কোহিনূর কেমিক্যালসের দর বেড়েছে ৬.১১ শতাংশ। আগের দিন দর ছিল ৬৪৬ টাকা ৫০ পয়সা। এক দিনে ৩৯ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮৬ টাকা।

গত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ১০ টাকা ৫৪ পয়সা আয় করা কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ বোনাস আর শেয়ার প্রতি সাড়ে তিন টাকা লভ্যাংশ দিয়েছিল। গত মার্চে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ২৪ পয়সা।

গত ২৮ জুন ফ্লোর প্রাইস দেয়ার দিন দর ছিল ৩৭৯ টাকা ৯০ পয়সা। এই কয় দিনে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারের দর বাড়ল ৩০৬ টাকা ১০ পয়সা বা ৮০.৫৭ শতাংশ।

এই কোম্পানিটি সূচকে যোগ করেছে ৩.৭৯ পয়েন্ট।

গ্রুপের সবচেয়ে বড় মূলধনি কোম্পানি ওরিয়ন ফার্মার দর সেই তুলনায় কম বেড়েছে। ২.৯৯ শতাংশ বা ৪ টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ১৪৮ টাকা।

গত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ১ পয়সা মুনাফা করে ১ টাকা ২০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানিটি গত মার্চে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিক শেষে আয় করেছে ৩ টাকা ৭ পয়সা।

লেনদেনে ভারসাম্যহীনতা

এদিন যে ৩৭০টি কোম্পানির শেয়ার হাতবদল হয় তার মধ্যে শীর্ষ ১০ কোম্পানিতে হাতবদল হয় মোট লেনদেনের ৩৪.৯৯ শতাংশ বা ৪০৮ কোটি ৭৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।

এদিন সবচেয়ে কম লেনদেন হওয়া ২০০টি কোম্পানির যত টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে তার প্রায় পাঁচ গুণ টাকা লেনদেন হয়েছে শীর্ষে থাকা ওরিয়ন ফার্মায়।

এই কোম্পানিটির ১৩০ টোকি ২২ লাখ ৮৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর ২০০ কোম্পানি মিলিয়ে লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

শীর্ষ পাঁচটি কোম্পানির লেনদেনের চেয়ে কম টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৩০০ কোম্পানিটি মিলিয়ে। এই কোম্পানিগুলোতে হাতবদল হয়েছে ৩০০ কোম্পানিতে লেনদেন ২৮০ কোটি টাকা।

শীর্ষ ৫ খাত যেমন

বিবিধ খাতে ৭টি বা ৫৩.৮৫ শতাংশ, জ্বালানি খাতে ১১টি বা ৫০ শতাংশ এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৩টি বা শতভাগ কোম্পানির দরপতন হয়েছে। আর কোনো খাতে বেশি দরপতন দেখা যায়নি।

তেমনি কাগজ খাতে ৩টি বা ৫০ শতাংশ, প্রযুক্তি খাতে ৭টি বা ৬৩.৬৪ শতাংশ ও পাট খাতে ২টি বা ৬৬.৬৭ শতাংশ কোম্পানির দরবৃদ্ধি ছাড়া প্রধান কোনো খাতেই খুব বেশি দরবৃদ্ধি দেখা যায়নি।

এর কারণ বেশিরভাগ কোম্পানির আগের দর বা ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হওয়া।

লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। ২৪৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে, যা লেনদেনের ২২.৩৩ শতাংশ।

১১টি করে কোম্পানির দরবৃদ্ধি ও দরপতন হয়েছে। বিপরীতে ৯টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে আগের দিনের দরে।

আর কোনো খাতের লেনদেন দুই শ কোটির ঘরে পৌঁছায়নি। কয়েক দিন আগেও কয়েকটি খাতের লেনদেন এর চেয়ে বেশি লেনদেন হতে দেখা গেছে।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯৬ কোটি ১০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতে। এ খাতের ১৬টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১২টির লেনদেন হয়েছে আগের দরেই। আর ১৪টির দরপতন হয়েছে।

১৫০ কোটি ১০ লাখ টাকা বা ১৩.৫৫ শতাংশ লেনদেন হয়েছে বিবিধ খাতে। খাতটিতে দরপতন বেশি দেখা গেছে। ৭টি বা ৫৩.৮৫ শতাংশ কোম্পানির দরপতনের বিপরীতে ৩টি করে কোম্পানির দরবৃদ্ধি ও দরপতন হয়েছে।

আর কোনো খাতের লেনদেন ১০০ কোটি অতিক্রম বা ১০ শতাংশ ছাড়াতে পারেনি।

৭৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা লেনদেন করে তালিকার চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে কাগজ ও মুদ্রণ খাত। খাতের ৩টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ২টির দরপতন ও ১টির অপরিবর্তিত দরে লেনদেন হয়েছে।

পঞ্চম অবস্থানে থাকা জ্বালানি খাতে লেনদেন হয়েছে ৭০ কোটি ৯০ লাখ টাকা বা ৬.৪০ শতাংশ। ৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি, ৩টির আগের দরে ও ১১টির লেনদেন হয়েছে দর কমে।

পঞ্চাশ কোটি বা ৫ শতাংশের ওপরে লেনদেন হয়েছে সেবা ও আবাসন এবং বস্ত্র খাতে। বাকি খাতের লেনদেন ছিল ৫ শতাংশের নিচে।

দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০

দরবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল আফতাব অটোমোবাইলস। কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৯.৮৪ শতাংশ। ২৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে সর্বশেষ শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২৯ টাকায়।

নাভানা সিএনজির দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ। শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৯ টাকা ২০ পয়সায়। আগের দিনে ক্লোজিং প্রাইস ছিল ২৬ টাকা ৬০ পয়সা।

৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ দর বেড়ে মনোস্পুল পেপারের লেনদেন হয়েছে ২৬৭ টাকা ২০ পয়সায়। আগের দিনের সর্বশেষ দর ছিল ২৪৫ টাকা ৭০ পয়সা।

এ ছাড়াও দরবৃদ্ধির তালিকায় ছিল বিকন ফার্মা, বিডি কম, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, ওরিয়ন ইনফিউশন, ফার্মা এইডস, সোনালী আঁশ ও জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস।

দর পতনের শীর্ষ ১০

পতনের তালিকার শীর্ষে ছিল বিডি ওয়েলডিং। ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৪ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়। আগের দিনে লেনদেন হয় ২৫ টাকা ৭০ পয়সায়।

পতনের তালিকায় পরের স্থানে ছিল মীর আকতার হোসেন লিমিটেড। ৪ দশমিক ০৩ শতাংশ দর কমে লেনদেন হয়েছে ৫৭ টাকা ১০ পয়সায়। আগের দিনের ক্লোদর ছিল ৫৯ টাকা ৫০ পয়সা।

তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারায় হাক্কানি পাল্প। ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ৬৭ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ৭০ টাকা ৩০ পয়সায়।

দর কমার শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো ছিল- নাহি অ্যালুমিনিয়াম, পেনিনসুলা চিটাগং, ফার কেমিক্যাল, বসুন্ধরা পেপার, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, ইয়াকিন পলিমার ও সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট।

সূচক প্রভাব যাদের

সবচেয়ে বেশি ২৬ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে বিকন ফার্মা। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ।

ওরিয়ন ইনফিউশনের দর ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৪ দশমিক ০২ পয়েন্ট।

সোনালী পেপার সূচকে যোগ করেছে ৩ দশমিক ৮১ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ।

এর বাইরে কোহিনূর কেমিক্যাল, ওরিয়ন ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, বিডিকম, জেএমআই সিরিঞ্জ ও তিতাস গ্যাস সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৫০ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট।

বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট সূচক কমেছে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ৩ দশমিক ০৩ শতাংশ।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমেছে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের কারণে। শেয়ার প্রতি দাম কমেছে শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ।

আইপিডিসির দর ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ২ দশমিক ০৯ পয়েন্ট।

এ ছাড়া ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, একমি ল্যাব, বসুন্ধরা পেপার, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, জেএমআই হসপিটাল, বেক্সিমকো লিমিটেড ও মীর আকতার লিমিটেডের দরপতনে সূচক কমেছে।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট।

দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০

দরবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল আফতাব অটোমোবাইলস। কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৯.৮৪ শতাংশ। ২৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে সর্বশেষ শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২৯ টাকায়।

নাভানা সিএনজির দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ। শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৯ টাকা ২০ পয়সায়। আগের দিনে ক্লোজিং প্রাইস ছিল ২৬ টাকা ৬০ পয়সা।

৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ দর বেড়ে মনোস্পুল পেপারের লেনদেন হয়েছে ২৬৭ টাকা ২০ পয়সায়। আগের দিনের সর্বশেষ দর ছিল ২৪৫ টাকা ৭০ পয়সা।

এ ছাড়াও দরবৃদ্ধির তালিকায় ছিল বিকন ফার্মা, বিডি কম, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, ওরিয়ন ইনফিউশন, ফার্মা এইডস, সোনালী আঁশ ও জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস।

দর পতনের শীর্ষ ১০

পতনের তালিকার শীর্ষে ছিল বিডি ওয়েলডিং। ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৪ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়। আগের দিনে লেনদেন হয় ২৫ টাকা ৭০ পয়সায়।

পতনের তালিকায় পরের স্থানে ছিল মীর আকতার হোসেন লিমিটেড। ৪ দশমিক ০৩ শতাংশ দর কমে লেনদেন হয়েছে ৫৭ টাকা ১০ পয়সায়। আগের দিনের ক্লোদর ছিল ৫৯ টাকা ৫০ পয়সা।

তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারায় হাক্কানি পাল্প। ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ৬৭ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ৭০ টাকা ৩০ পয়সায়।

দর কমার শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো ছিল- নাহি অ্যালুমিনিয়াম, পেনিনসুলা চিটাগং, ফার কেমিক্যাল, বসুন্ধরা পেপার, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, ইয়াকিন পলিমার ও সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট।

আরও পড়ুন:
পি কের সহযোগীর ছেলের ‘সিমটেক্স দখল’
সঞ্চয়পত্র নয়, পুঁজিবাজারে আসুন: গভর্নর
ওরিয়ন-বেক্সিমকোর আবেদন হারানোর প্রভাব সূচক-লেনদেনে
পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল নিরীক্ষায় বিএসইসির কমিটি
১০ কোম্পানির দখলে ৪০ শতাংশ, ২০০টিতে ৩.৬

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
With the beginning of the transaction starting in the first hour of the capital market

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।

এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market With the fall of transactions in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।

বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।

লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।

এই সম‌য়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯‌টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২‌টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, ‌সেখা‌নে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।

চট্টগ্রা‌মে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩‌টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬‌টির, কমেছে ৪৪‌টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market Most companies have decreased major collapse in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।

২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।

৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Transaction in Dhaka is going on in Chittagong

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।

এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।

সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।

দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

মন্তব্য

p
উপরে