পুঁজিবাজারে এক যুগ ধরে যে আস্থার সংকটের কথা বলাবলি হচ্ছে, সেটি কীভাবে ফিরবে- এ প্রশ্ন আবার বড় হয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের বক্তব্যে।
পুঁজিবাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে আগের কমিশনগুলোর তুলনায় শিবলীর কমিশন অনেক বেশি উদ্যোগী, কিন্তু বাজারে গতি ফিরতে গিয়েও ফেরেনি। টানা ১৬ মাস চাঙ্গাভাবের পর গত এক বছর ধরে পতনের ধারা।
পুঁজিবাজারের এই চিত্রের জন্য যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কথা বলাবলি হচ্ছে, সেটি ভারতের ক্ষেত্রেও সত্য। ডলারের বিপরীতে সে দেশের মুদ্রার অবমূল্যায়ন হয়েছে বাংলাদেশের সমানই। তবে সেখানে পুঁজিবাজার বাংলাদেশের মতো এভাবে ঝিমাচ্ছে না। এমনকি অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটে যাওয়া শ্রীলঙ্কার বাজারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
শেয়ারের ক্রয়মূল্যে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা গণনার দাবি পূরণের পর দেশের পুঁজিবাজার নিয়ে দৃশ্যত আর বড় কোনো দাবি নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দীর্ঘ রক্ষণশীল মনোভাবেও এসেছে পরিবর্তন, কোম্পানিগুলোর সুশাসন নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পদক্ষেপও দৃশ্যমান, বন্ধ কোম্পানিগুলোকে আবার চালুর পদক্ষেপের পর উৎপাদনেও ফিরেছে অনেক কোম্পানি। আরও কিছু কোম্পানি উৎপাদনে আসার অপেক্ষায়।
২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ধসের মধ্যে মিউচুয়াল ফান্ডগুলো লভ্যাংশ না দিলেও গত দুই বছরে ইউনিট-মূল্যের তুলনায় বেশ ভালো লভ্যাংশ দিচ্ছে। তবু বাজার নিয়ে যে আস্থার সংকটের কথা বলাবলি হচ্ছে একযুগ ধরে, সেটি ফিরছে না।
বিশ্ব বিনিয়োগ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সোমবার প্রসঙ্গটি ওঠে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।'
এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শিবলী রুবাইয়াত হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের শুনতে শুনতে কান ব্যথা হয়ে গেছে। আস্থা, এই আস্থা যে কোথা থেকে আনব সেটা আমরা বুঝি না।’
চেয়ারম্যানের এই বক্তব্যে যে প্রশ্নটি বড় হয়েছে, সেটি হলো আর কী হলে পুঁজিবাজারে আস্থা ফিরবে?
পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট হতে সময় না লাগলেও সেটি ফেরাতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিনিয়োগ শিক্ষা বাড়ানো, সুশাসনের সঙ্গে ভালো কোম্পানিগুলোকে আইপিওতে আনার মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে এটি ফেরানো সম্ভব।
‘শব্দটা ছোট, কিন্তু কাজটা কঠিন’
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আস্থা বা কনফিডেন্স শব্দটি ছোট, কিন্তু কাজটা অনেক কঠিন। আস্থা বলতে আমরা যা বুঝি- বিশ্বাস, মার্কেটের ওপর বিশ্বাস। বিএসইসি যা করেছে, সবই প্রশংসার দাবিদার। যেগুলো অতীতে হয়নি সেগুলোও করেছে কমিশন।
‘আস্থা আসে ওইখান থেকে, যেখানে প্রতিটি কমিটমেন্ট ঠিক থাকে। ধরা যাক, ডিভিডেন্ড দিলে ঠিকঠাক পায়, এজিএম ঠিকমতো করে, ভালো কোম্পানি লিস্টেড করে। আস্থা নিয়ে আসার জন্য এটি প্রথম কাজ।’
উদাহরণ তুলে ধরে শাকিল রিজভী বলেন, ‘ধরুন, ডিএসই মাছের বাজার বসিয়েছে। সেই বাজারের একটা কমিটি আছে, তারা সেভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে। আর সিটি করপোরেশনকে বিএসইসি বিবেচনা করুন, মানে তারা তদারকি করে। এখন এই কাঁচাবাজারে মানুষের আস্থা তৈরি করতে হলে কী কী করা দরকার?’
নিজের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তিনি বলেন, ‘গাড়িটা সুন্দরভাবে পার্ক করতে দিতে হবে, সবাই যাতে শৃঙ্খলভাবে থাকে। এই ধরনের কাজগুলো বিএসইসি করেছে, ঠিক করেছে।
কিন্তু যে মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে সেগুলোর কী অবস্থা তা বিবেচনা করতে হবে। যদি পচা মাছ কিনে বাড়ি ফেরেন তাহলে কি আস্থা ফিরবে?
‘যতই লাইট দেয়া হোক, ঝকঝকে বাজার রাখা হোক। প্রোডাক্ট যদি ভালো না হয়, হবে না। যত ভালো কোম্পানি বাজারে আসবে তত আস্থা বাড়বে। অন্য বিষয়গুলো তো বাস্তবায়ন হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘ভালো কোম্পানি সংযোজন করতে হবে। আজকে একটি ভালো কোম্পানি লিস্টেড হলেও কাল সবাই আস্থা ফিরে পাবেন- এমনটি নয়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।’
তাহলে কি আস্থা ফিরবে না?- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আস্থা ফেরাতে সময় লাগবে, এক বছর, দুই বছর বা তারও বেশি লাগতে পারে। একবার আস্থা চলে গেলে তা ফেরানো খুবই কষ্টসাধ্য, কিন্তু আস্থা ফেরার পরে তা চলে যেতে সময় লাগে না।’
শাকিল রিজভী জোর দেন কোম্পানিগুলোর প্রতিবেদনের সত্যতার ওপর। বলেন, ‘যে কোম্পানিগুলো লিস্টেড হবে সেগুলো যেন ফেইক ইনফরমেশন, ফেইক অডিটেড রিপোর্ট দিয়ে লিস্টেড না হয়। সিকিউরিটিজের দর কমতে বা বাড়তে পারে, কিন্তু কোম্পানির কাছ থেকে যেন না ঠকেন বিনিয়োগকারীরা। তারা যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজারে আসবে সেগুলোর বাস্তবায়ন যেন হয়। এসব যত ভালোভাবে করা যাবে, আস্থা সেভাবে ফিরে আসবে।’
বিএসইসির বারবার নীতিগত সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সমালোচনা করেন শাকিল রিজভী। বলেন, ‘ছোটখাটো আইন পরিবর্তন বা সংস্করণ ঠিক আছে। কিন্তু খেলা চলছে, এর মধ্যে একবার বলা হলো প্রতি দলে ১২ জন খেলবে, একবার বলা হলো ১১ জন আবার একবার ৯ জন নিয়ে খেলা হবে বলে ঘোষণা দিলে কীভাবে হবে।’
‘আমাদের শুনতে শুনতে কান ব্যথা হয়ে গেছে। আস্থা, এই আস্থা যে কোথা থেকে আনব, সেটা আমরা বুঝি না।’
ফ্লোর প্রাইস আশীর্বাদ নাকি সংকট
পুঁজিবাজার যখন ক্রমেই নিচের দিকে নামছিল, তখন ২৮ জুলাই দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লোর প্রাইস দেয় বিএসইসি। সব কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বেঁধে দেয়ার পর ৩১ জুলাই থেকে সূচক বাড়তে শুরু করে।
এই দুই মাসে সূচক বেড়েছে প্রায় ৬০০ পয়েন্ট, তবে তাতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস নেই। কারণ ৩০ থেকে ৪০টি কোম্পানির দর বেড়েছে, আর ফ্লোরে গড়াগড়ি খাচ্ছে পৌনে দুই শটির বেশি কোম্পানি। এর মধ্যে আছে ডিএসই-৩০ এর আট থেকে ১০টি কোম্পানি।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও মনে করেন ফ্লোর প্রাইস বহু কোম্পানির লেনদেনে বাধা তৈরি করেছে। তিনি বলেন, ‘এতগুলো শেয়ার যদি ফ্লোর প্রাইসে পড়ে থাকে তাহলে মার্কেটটা জাজমেন্ট করবেন কীভাবে?
‘প্রথম থেকেই বলছি, আমি ফ্লোর প্রাইসের বিরোধী। মার্কেটকে স্বাভাবিকভাবে চলতে দিতে হবে। ফ্লোর প্রাইস না থাকলে হয়তো ইনডেক্সটা পাঁচ হাজার সাত বা আট শর নিচে নেমে যেত। কিন্তু পরে ঠিকই ব্যাক করে নিজের জায়গাটা খুঁজে নিত। নিজেই নিজের বায়ার করে নিত।’
‘এখন এতগুলো আইটেম ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর এই বাজারে কনফিডেন্স কীভাবে আসবে?’- বলেন ডিবিএ সভাপতি।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কি যথাযথ ভূমিকা রাখছেন?
এই প্রশ্নটি উঠছে পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের পক্ষ থেকেই। তারা বলছেন, শক্তিশালী মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ারে আগ্রহ নেই, আর দুর্বল কোম্পানির শেয়ারে বছরের পর বছর ধরে মাতামাতি চলছে- এই বিষয়টি হয়ে আসছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আচরণের কারণে। তারাও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতো ডে ট্রেডারের ভূমিকা পালন করছে- এমন বক্তব্য আসছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকেই।
তবে ডিবিএ সভাপতি বলেন, ‘এটা আমি মনে করি না।’
তিনি বলেন, ‘মুখে পলিথিন দিয়ে যদি বলা হয় ভাত খেতে, আপনি পারবেন? তিন হাজার ৯৮০ পয়েন্টের সময় যা করা হয়েছে তা সব সময়েই করা ঠিক হবে না। ইনডেক্সকে পড়তে দিতে হবে। অযাচিতভাবে শেয়ারের রেট বাড়িয়ে দিলে সেটা কমতে হবে, কমিয়ে দিলে সেটা বাড়তে হবে।’
ফ্লোর প্রাইসে নতুন আইপিও বন্ধ রাখার পরামর্শ
আর কী প্রয়োজন আস্থা ফেরাতে? এই প্রশ্নের উত্তরে রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, ‘কোনটা হলে কী হতো বলা যায় না। এ রকম একটা বাজারে, যেখানে এতগুলো শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আছে, সেখানে এখন এত আইপিও বাজারে দরকার নাই।
‘ফ্লোর প্রাইস দিয়েছেন মানে বায়ার নাই বা ডিমান্ড কম, আবার আইপিও নিয়ে আসছেন।
বলছেন ডিমান্ড নাই আবার সাপ্লাই বাড়াচ্ছেন। এটা সাংঘর্ষিক। আমি আইপিওর পক্ষে, ভালো আইপিও আসুক। বাজারে এনভায়রনমেন্ট ওকে করে নিয়ে ভালো আইপিও নিয়ে আসা হোক।’
তিনি বলেন, ‘কারণ বাজারের আকার বড় করতে হবে। এই বাজারে ৫০০ কোটি টাকা ইন করলে বের করা যায় না। এ জন্য অনেকেই আসে না। এটা যখন হবে তখন সবাই আসবে।’
বিনিয়োগ শিক্ষার তাগিদ
আস্থা ফেরাতে বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছেন ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাফিজ-আল-তারিক।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের শিক্ষা বাড়ানো দরকার। রেজিস্টার্ড ফিন্যানশিয়াল অ্যাডভাইজার দরকার, যারা বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ বিষয়ে আস্থা বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএসইসি যা করছে, সেটা ভালো। সামনে বাজারে বন্ড আসছে। আমরা ঠিক পথে আছি। সময় লাগবে। আর কিছু ম্যাক্রো-ইকোনমিকস ফ্যাক্ট আছে ওয়ার্ল্ডওয়াইড। সেগুলো তো আর রেগুলেটরের নিয়ন্ত্রণে না। এই মুহূর্তে কিছুই চাওয়ার নাই। যেভাবে আগাচ্ছে, সবাই সহযোগিতা করলে এগিয়ে যাবে আশা করি।’
পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট এই কর্মকর্তা বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির কারণে শুধু আমাদের পুঁজিবাজারে প্রভাব পড়ছে, তা নয়। বিশ্বব্যাপী এর নেতিবাচক প্রভাব দৃশ্যমান। সময়টাই খারাপ যাচ্ছে, ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি এবং আটটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার চার দিনের চীন সফরের তৃতীয় দিন শুক্রবার দুই দেশের মধ্যে এ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও স্মারকগুলো স্বাক্ষর হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের কালজয়ী সাহিত্য ও শিল্পকর্মের অনুবাদ ও সৃজন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও খবর আদান-প্রদান, গণমাধ্যম, ক্রীড়া এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিময় সহযোগিতা। এর পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচ বিষয়ে সহযোগিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে।
এগুলো হলো বিনিয়োগ আলোচনা শুরু করা, চীনের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু, মোংলা বন্দরের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ, একটি রোবট ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ এবং একটি কার্ডিয়াক সার্জারি গাড়ি অনুদান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের উত্থাপিত বিষয়গুলো চীন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং।
স্থানীয় সময় শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট এ কথা জানান।
ড. ইউনূসের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্টের বৈঠককে অত্যন্ত সফল উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ইউএনবিকে বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি বিষয় উত্থাপন করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশকে দেওয়া চীনা ঋণের সুদের হার কমানো ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় দেশটির সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়টি ছিল।’
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে আলোচনা অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ, গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে।’
প্রেস সচিব বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার এটি ছিল প্রথম দ্বিপক্ষীয় বিদেশ সফর। এখন পর্যন্ত এটি একটি বড় সফলতা।’
প্রেসিডেন্ট শির বক্তব্যের বরাতে শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও কারখানা স্থাপনে চীন তার দেশের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করবে।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট শি ফুজিয়ান প্রদেশের গভর্নর থাকাকালীন দুইবার বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে তিনি পড়াশোনা করেছেন। সে কথাও উল্লেখ করেছেন চীনের রাষ্ট্রপ্রধান।
প্রেসিডেন্ট শির উদ্বৃতি দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, তিনি বাংলাদেশি আম ও কাঁঠাল খেয়েছেন। এগুলো সুস্বাদু। আশা করা হচ্ছে বাংলাদেশ আগামী মৌসুমে এ দুটি ফল চীনে প্রচুর পরিমাণে রপ্তানি করবে।
চীনা প্রেসিডেন্ট ও প্রধান উপদেষ্টা চীনের পিপলস গ্রেট হলে করা বৈঠকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
তারা দুই দেশের সম্পর্ককে জোরদার করা ও ঢাকা-বেইজিংয়ের পারস্পরিক ও কৌশলগত স্বার্থকে এক নতুন উচ্চতায় নেওয়ার উপায় নিয়েও আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সি৩২ ইলেকট্রিক বাইক এনেছে বৈশ্বিক ব্র্যান্ড রিভো। অত্যাধুনিক ৭২ ভোল্ট ২৬ অ্যাম্পিয়ার সম্পূর্ণ গ্রাফিন ব্যাটারি পরিচালিত এই ইলেকট্রিক বাইকের উদ্বোধন ঘোষণা করেন রিভো বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ভেন নি।
ফিচার
সি৩২-এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য শক্তিশালী ১৮০০ ওয়াট মোটর, যা ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। বাইকটির ইকো মোডে গতি ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং একবার চার্জে এটি ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে।
অন্যদিকে স্পোর্ট মোডে সর্বোচ্চ গতি ৬০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং এক চার্জে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে।
সি৩২ ইলেকট্রিক বাইকে উন্নত ৭২ ভোল্ট ২৬ অ্যাম্পিয়ার গ্রাফিন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে, যা পাঁচ শতাধিক চার্জিং সাইকেল সাপোর্ট করে এবং প্রতিটি পূর্ণ চার্জে মাত্র ২.০৮ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করে।
ব্যাটারিটি সম্পূর্ণ চার্জ হতে ১০.৬ ঘণ্টা সময় নেয়, যা রাতে চার্জ দিয়ে দিনব্যাপী ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।
নিরাপত্তা এবং আরামকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে রিভো সি৩২। এতে রয়েছে সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনে ড্রাম ব্রেক সিস্টেম, যা সর্বোচ্চ স্টপিং পাওয়ার নিশ্চিত করে।
ফ্রন্ট ও রিয়ার হাইড্রোলিক সাসপেনশন থাকার ফলে রাইডাররা মসৃণ ও আরামদায়ক রাইড উপভোগ করতে পারেন। এমনকি অপ্রশস্ত বা অসমান রাস্তাতেও।
রাতে নিরাপদ যাত্রার জন্য সি৩২-এ রয়েছে পূর্ণ এলইডি লাইটিং সিস্টেম, যার মধ্যে এলইডি হেডলাইট, টেইললাইট এবং টার্ন সিগন্যাল অন্তর্ভুক্ত।
রিভো সি৩২ শুধু শক্তিশালী পারফরম্যান্সই দেয় না, এটি ডিজাইনেও বেশ কার্যকর। ১৪০ কেজি ওজনের মজবুত অথচ হালকা ফ্রেম এবং সামনে ও পিছনে ৯০/৮০-১২'' ভ্যাকুয়াম টায়ার যুক্ত বাইকটি দুর্দান্ত গ্রিপ এবং স্থিতিশীলতা প্রদান করে।
২০৫ এমএম পর্যন্ত গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স থাকায় এটি যেকোনো ধরনের রাস্তার জন্য উপযোগী। সিট বাকেটে ২৪ লিটার স্টোরেজ স্পেস রয়েছে, যা ব্যক্তিগত জিনিসপত্র বহনের জন্য আদর্শ।
ব্যবহারকারীবান্ধব ডিজাইন এবং আরামের সমন্বয়ে এটি শহরের যাতায়াতকারী এবং দূরপাল্লার রাইডারদের জন্য একটি পারফেক্ট পছন্দ।
এখন থেকে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যে বাংলাদেশের সব শোরুমে পাওয়া যাচ্ছে।
সি৩২ যাতায়াতকে সহজ, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব করতে উন্নত প্রযুক্তি, শক্তিশালী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করছে, যা প্রতিদিনের যাত্রীদের পাশাপাশি পরিবেশ সচেতন রাইডারদের জন্য আদর্শ হতে পারে।
আরও পড়ুন:আলু রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। এ স্থলবন্দর দিয়ে নতুন করে আরও ১০৫ টন আলু গিয়েছে নেপালে।
এ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ১ হাজার ৫৫৪ টন আলু নেপালে রপ্তানি করা হলো।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন জানান, বুধবার বিকেলে স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচটি ট্রাকে ১০৫ টন আলু নেপালে গেছে।
তিনি জানান, আলুগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এগুলো রপ্তানি করছে থিংকস টু সাপ্লাই ও ফাস্ট ডেলিভারি নামে দুটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে থিংকস টু সাপ্লাই ৪২ ও ফাস্ট ডেলিভারি ৬৩ টন রপ্তানি করে। এ ছাড়াও বন্দরটি দিয়ে হুসেন এন্টারপ্রাইজ, ক্রসেস এগ্রো, সুফলা মাল্টি প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং লোয়েড বন্ড লজিস্টিক নামের কয়েকটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানও নেপালে আলু রপ্তানি করছে।
উজ্জ্বল হোসেন বলেন, রপ্তানিকারকরা প্রয়োজনীয় নথিসহ অনলাইনে আবেদন করলে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের ল্যাবে পরীক্ষা করার পর ফাইটোসেনেটারি সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। রপ্তানিকৃত আলুগুলো স্টারিজ এবং লেডিও রোজেটা জাতের।
বাজারে নতুন আসা স্মার্টফোন ‘অপো এ৫ প্রো’ রেকর্ড গড়া পারফরম্যান্স করেছে বলে জানিয়েছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানি অপো।
কোম্পানিটি শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আগের জেনারেশনের ডিভাইসের তুলনায় নতুন স্মার্টফোনটি ৪৫০ শতাংশ বেশি বিক্রয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা বাংলাদেশের বাজারে অপোর ধারাবাহিক সফলতার নির্দেশক। তাৎপর্যপূর্ণ এ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের বাজারে অপোর ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি এবং ব্রান্ডটির প্রতি গ্রাহকদের গভীর আস্থা ও আনুগত্যের প্রতিফলন।
অপো প্রতিনিয়ত স্মার্টফোন প্রযুক্তির অভিনব উদ্ভাবনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোম্পানিটির ‘অপো এ৫ প্রো’ ডিভাইসের ক্ষেত্রেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। ফোনটি নিত্যদিনের বৈচিত্র্যময় চাহিদা পূরণে ভোক্তাদের আধুনিক ও উন্নত সব ফিচার ব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছে।
কোম্পানির কর্মকর্তা ও গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া
বিজ্ঞপ্তিতে অপো এ৫ প্রোর বিক্রয় নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা ও একাধিক গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেছে অপো।
ডিভাইসটির প্রথম দিনের বিক্রয়ের বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে অপো বাংলাদেশ অথরাইজ এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, ‘এ সফলতা অপোর প্রতি বাংলাদেশি গ্রাহকদের আস্থা ও আগ্রহের বিষয়টিই সফলভাবে চিত্রিত করছে। তাদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো অভিনব পণ্য উদ্ভাবন ও সেবা প্রদানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
একটি বেসরকারি প্রকৌশল কোম্পানিতে চাকরিরত তারেক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ অপোর নতুন ডিভাইস নিয়ে তার অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, ‘অপো এ৫ প্রোর ওয়াটারপ্রুফ, ডাস্টপ্রুফ এবং শকপ্রুফ ফিচার আমার সবচেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
‘আমি এ রকম একটি টেকসই ও সহনশীল স্মার্টফোনের জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছিলাম এবং আমার অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। স্মার্টফোনটি কিনতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত।’
আরেক গ্রাহক শারমিন আক্তার বলেন, “ঈদের আগে আমি একটি মোবাইল কেনার কথা ভাবছিলাম। এ ক্ষেত্রে স্মার্টফোনের দারুণ ডিজাইন ও উন্নত ফিচারগুলো আমার অগ্রাধিকারে ছিল।
“আমার মতে, বাজারের একই ঘরনার ফোনগুলোর মধ্যে এ বিষয়গুলোতে ‘অপো এ৫ প্রো’ই সেরা। ফোনটি পছন্দ করতে পেরে মনে হচ্ছে আমি সঠিক মোবাইলটিই বেছে নিয়েছি।”
নতুন ডিভাইসের ফিচার
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘অপো এ৫ প্রো’ বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন, যেটি আইপি৬৬, আইপি৬৮ এবং আইপি৬৯ রেটিং অর্জন করেছে। ডিভাইসটি পানি, ধুলা ও যেকোনো ধরনের শক থেকে সুরক্ষিত। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মোবাইলটির অনন্য স্থায়িত্ব।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মোবাইলটিতে সংযুক্ত আছে মিলিটারি গ্রেডের ইমপ্যাক্ট রেজিস্ট্যান্স প্রযুক্তি। পাশাপাশি ডিভাইসের মাদারবোর্ড থার্মাল কনডাকটিভিটি বৃদ্ধি করে এবং আগের জেনারেশনের স্মার্টফোনের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি সক্ষমতা প্রদান করে। মোবাইলটি এক হাজার বেন্ডিং টেস্টও উতরে গেছে। অর্থাৎ প্রতিদিনের যেকোনো পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে এটি ব্যবহার উপযোগী।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্মার্টফোনটি নান্দনিক ফটোগ্রাফির জন্য অনন্য। এতে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা এআই সংবলিত উন্নত ফিচার। ডিভাইসটিতে এআই ইরেজার ২.০ ব্যবহার করে সহজেই ছবিতে থেকে অপ্রয়োজনীয় বস্তু মুছে ফেলা যায়। এআই রিফ্লেকশন রিমুভার ব্যবহার করে অযাচিত রিফ্লেকশন সরিয়ে দেওয়া যায়।
এ ছাড়া এআই আনব্লার ফিচার ব্লারি বা অস্পষ্ট ছবিকে আরও স্পষ্ট করে তুলতে সাহায্য করে।
দাম
অপো জানায়, দেশজুড়ে রিটেইল স্টোর এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে স্মার্টফোনটি ২৩ হাজার ৯৯০ টাকায় ৮জিবি+২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে।
বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে অপোর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলোতে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে ভারত ও পাকিস্তান থেকে চালবোঝাই আরও দুটি জাহাজ।
এক দিনের ব্যবধানে দুটি জাহাজ বন্দরে পৌঁছায়।
এবার এসেছে ৪৮ হাজার ৭৫০ টন আতপ ও সিদ্ধ চাল। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে আসে ২৬ হাজার ২৫০ টন এবং ভারত থেকে আসে ২২ হাজার ৫০০ টন চাল।
চট্টগ্রাম বন্দরের সাইলো জেটি ও কাফকো-সংলগ্ন জেটিতে এই দুই জাহাজ নোঙর করে বলে শনিবার দুপুরে নিশ্চিত করেন খাদ্য অধিদপ্তরের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্শী চাকমা।
পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজটি শুক্রবার চট্টগ্রাম সাইলো জেটিতে বার্থিং করেছে জানিয়ে তিনি জানান, জাহাজ এমভি মারিয়ম গত ১১ মার্চ ২৬ হাজার ২৫০ টন আতপ চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে প্রবেশ করে।
অন্যদিকে ১২ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে প্রবেশ করে ভারতের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি তানাইস ড্রিম। জাহাজটি শুক্রবার কাফকো সংলগ্ন জেটিতে বার্থ করে।
এ জাহাজ থেকে ২২ হাজার ৫০০ টন বাসমতি নয় এমন সিদ্ধ চাল আনা হয়েছে।
পাকিস্তানের জাহাজ এমভি মারিয়মে আসা চালের নমুনা সংগ্রহ শেষে ভৌত বিশ্লেষণ সম্পন্ন হয়েছে মন্তব্য করে জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্শী চাকমা জানান, এ চালের খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অন্যদিকে ভারত থেকে আসা জাহাজ এমভি তানাইস ড্রিমের চালগুলোর নমুনা সংগ্রহ করা শেষ হয়েছে।
এর আগে বুধবার ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা ৩৮ হাজার ৮৮০ টন চাল বাংলাদেশে এসে পৌঁছে। জি-টু-জি চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম থেকে ১৭ হাজার ৮০০ টন আতপ চাল এবং আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ২১ হাজার ৮০ টন সিদ্ধ চাল কেনা হয়েছে।
গত ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে আরও ৬ হাজার টন সিদ্ধ চাল আমদানি করা হয়।
আরও পড়ুন:জনপ্রিয় বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘অপো’ পবিত্র রমজান মাসে গ্রাহকদের জন্য বিশেষ ‘ঈদ মেগা গিফট ক্যাম্পেইন’ ঘোষণা করেছে।
১৩ মার্চ থেকে শুরু হয়ে সারা দেশে অপোর আউটলেটগুলোতে বিশেষ এ ক্যাম্পেইন চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত।
ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ক্রেতারা তাদের চাহিদা উপযোগী দারুণ সব ডিল ও অফার উপভোগ করতে পারবেন।
এ বছর অপো ভোক্তাদের জন্য ‘মেগা’ লটারি অফার ঘোষণা করেছে। এতে অংশ নিয়ে ক্রেতারা ১ লাখ টাকা সমমূল্যের গৃহস্থালি উপকরণ (হোম অ্যাপ্লায়েন্স), অপো প্যাড, অপো ওয়াচ অথবা ‘বাই ১, গেট ওয়ান ১’, ডিল উপভোগ করতে পারবেন।
এ ছাড়াও অপো সব ক্রেতার জন্যই বিশেষ ও নিশ্চিত উপহারের ঘোষণা দিয়েছে, যাতে করে সবাই এ আনন্দের ভাগিদার হতে পারেন। নির্দিষ্ট কিছু মডেলের স্মার্টেফোন কিনেও গ্রাহকরা উপহারের ভাগিদার হতে পারবেন। যেমন- ‘রেনো১২এফ’-এর সঙ্গে বিশেষ হুডি, ‘রেনো১৩এফ’-এর সঙ্গে বিশেষ ব্যাগ এবং নতুন বাজারে আসা ‘এ৫ প্রো’র সঙ্গে ‘অপো সুপার শিল্ড কার্ড’ পাবেন তারা।
অপো বাংলাদেশ, অথরাইজ এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, “আমাদের গ্রাহকদের সেরা সেবা দিতে অর্থাৎ কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স বৃদ্ধিতে অপো প্রতিনিয়ত অভিনবভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্টফোন উপভোগের মাধ্যমে এই ঈদে তারা অসাধারণ সব পুরস্কার জিতে নিতে পারবেন। ‘এ৫ প্রো’র উন্মোচন এবং মেগা গিফট ক্যাম্পেইনের এই ঘোষণা ভোক্তাদের রমজান উদযাপনে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে। অপোভক্তদের সঙ্গে এই বিশেষ উপলক্ষ যুক্ত করতে পেরে আমরা আনন্দিত।”
একটি অনলাইন লটারির মাধ্যমে মেগা গিফট লটারির বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে এবং তা অপো এ৩এক্স, এ৬০, রেনো সিরিজ এবং নতুন লঞ্চ হওয়া অপো এ৫ প্রোসহ বিভিন্ন ডিভাইসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
এ ক্যাম্পেইন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ক্রেতাদের নিকটস্থ অপো আউটলেট পরিদর্শনের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
আকর্ষণীয় ঈদ অফার ও অন্যান্য তথ্য পাওয়া যাবে অপো বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/OPPOBangladesh এবং ওয়েবসাইটে website https://www.oppo.com/bd/।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য