শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর সব দেশের অর্থনীতির উদ্বেগজনক ও স্পর্শকাতর সূচক এখন মূল্যস্ফীতি। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠে ৯ শতাংশে পৌঁছেছে। কিন্তু বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির হার এখন কত- তা জানতে দুই মাস পেছনে যেতে হবে। কেননা, জুলাইয়ের পর মূল্যস্ফীতির কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো- বিবিএস।
গত জুলাইয়ে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এরপর আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাস চলে গেছে, কিন্তু অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচকের তথ্য প্রকাশ করেনি বিবিএস। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মূল্যস্ফীতির তথ্য নিয়ে সরকার লুকোচুরি করছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবের কারণে আগস্টে মূল্যস্ফীতি অনেকটা বেড়েছে বলে সেটা প্রকাশ করতে দেরি করা হচ্ছে। দেশে এমনটা অতীতে বিভিন্ন সরকারের সময়ে হয়েছে। তথ্য-উপাত্ত নিয়ে রাজনৈতিকীকরণ বন্ধ হওয়া উচিত। ‘কমলে প্রথম সপ্তাহে, বাড়লেই অপেক্ষার পর অপেক্ষা’- এই খারাপ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য সঠিক সময়ে প্রকাশ করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
তবে দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া বা মূল্যস্ফীতি বাগে এসেছে বলে দাবি করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। কিন্তু কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেননি তিনি। মন্ত্রী বলেছেন, ‘চলতি বছরের আগস্টে মূল্যস্ফীতি অনেক বাড়লেও সেপ্টেম্বরে তা কমে এসেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (বিআইডিএস) এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন এম এ মান্নান।
এক মাসের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও আগস্টে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কত ছিল, সে তথ্য এখনও প্রকাশ করেনি পরিসংখ্যান ব্যুরো। সেপ্টেম্বরে তা কমে কততে নেমেছে সে তথ্যও প্রকাশ করেনি বিবিএস। পরিকল্পনামন্ত্রীও এই দুই মাসের তথ্য প্রকাশ করেননি।
মন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের জন্য ভালো সংবাদ আছে। দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া বাগে এসেছে এই মাসে (সেপ্টেম্বর)। সবাই আমাদের কাছে ফোন করে জানার জন্য। গত মাসে (আগস্ট) মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল।
‘এই মাসে নেমেছে এবং ভালোভাবে নেমেছে। আমি যদিও অর্থনীতিবিদ নই, তবুও আমি বলছি আগামী মাসে (অক্টোবর) মূল্যস্ফীতি আরও কমবে।’
মূল্যস্ফীতি কমার কারণ ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, ‘কেন কমেছে? কারণ আমাদের সরকারের কৌশলগত ব্যবস্থা। তেলের দাম বেড়েছিল, কিন্তু এখন কমেছে। কারণ এক কোটি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। সেখানে কম দামে বিক্রি হচ্ছে চাল, তেল।
‘ফলে আমরা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরাসরি আঘাত করতে পেরেছি। এতে দাম কমে এসেছে। শুধু কমেনি; ভালো কমেছে। বিশ্ববাজারেও কমেছে। কয়েক দিনের মধ্যে আপনারা মূল্যস্ফীতির পুরোটা তথ্য পেয়ে যাবেন।’
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বড় ধরনের মূল্যস্ফীতি হয়েছে বাংলাদেশে। চলতি বছরের জুনে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয় ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, যা ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। পরের মাস জুনে সেটি সামান্য কমে হয় ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এরই মধ্যে দুই মাস পার হয়ে গেছে, কিন্তু আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের তথ্য প্রকাশ করেনি বিবিএস।
মূল্যস্ফীতির তথ্য নিয়ে লুকোচুরি কেন?
সাধারণত প্রথম সপ্তাহেই আগের মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করে থাকে পরিসংখ্যান ব্যুরো। সেই ধারাবাহিকতায় সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে আগস্ট মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য তৈরি করে অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয় বিবিএস। কিন্তু সরকারের উচ্চপর্যায়ের ‘সবুজ সংকেত’ পাওয়া যায়নি। ফলে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচকটির আগস্ট মাসের তথ্য প্রকাশ করেনি পরিসংখ্যান ব্যুরো। এরই মধ্যে সেপ্টেম্বর মাসও শেষ হয়ে গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিএসের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা মাঠ পর্যায় থেকে যে তথ্য পাই, তা দিয়ে মূল্যস্ফীতির হিসাব কষে মাসের দুই-তিন তারিখের মধ্যেই অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠাই। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেয়ার সেই তথ্য আমরা প্রকাশ করি। আগস্ট মাসের তথ্য এখনও অনুমোদন দেয়নি মন্ত্রণালয়। সে কারণে আমরাও প্রকাশ করতে পারছি না।’
বিবিএস সূত্রে জানা গেছে, পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে গত আগস্ট মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। আর খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে উঠেছে। এক মাসের মধ্যে প্রায় ৩ শতাংশ হারে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির তথ্য সরকার প্রকাশ না করলেও সীমিত আয়ের মানুষ ঠিকই এর উত্তাপ পাচ্ছে।
বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির প্রকৃত তথ্য নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন উঠেছে। অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, বেশি হারে বেড়েছে বলেই মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না। অর্থনীতির তথ্য-উপাত্ত নিয়ে এক ধরনের রাজনীতি করা হচ্ছে বলে আগের মতোই অভিযোগ করেছেন তারা।
গত মার্চ মাসে এক সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে বলেছিল, পরিসংখ্যান ব্যুরো দেশে মূল্যস্ফীতির যে তথ্য প্রকাশ করে, প্রকৃত হার তার দ্বিগুণের চেয়ে বেশি। সানেম ওই সময় বলেছিল, শহর এলাকায় সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ১২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। গ্রামে এই হার ১২ দশমিক ১০ শতাংশ।
আরেক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যও ওই সময় বলেছিলেন, দেশে প্রকৃত মূল্যস্ফীতি বিবিএসের তথ্যের দ্বিগুণেরও বেশি।।
সে সময় বিবিএসের তথ্যে বলা হয়েছিল, ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৬ দশমিক ১২ শতাংশ।
আগস্ট মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য নিয়ে নীতিনির্ধারক, অর্থনীতিবিদ, গবেষকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে বেশ আগ্রহ ছিল। কারণ, জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়। অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
কয়েক মাস ধরেই দেশে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির প্রবণতা ছিল। আবার তখন বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামও কিছুটা কমেছিল। ঠিক এ রকম এক সময়ে, গত ৫ আগস্ট সরকার জ্বালানি তেলের দাম ৪২ থেকে ৫১ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। ডিজেলের দাম লিটারে ৩৪ টাকা, অকটেনের দাম লিটারে ৪৬ টাকা ও পেট্রলের দাম লিটারে ৪৪ টাকা বাড়ানো হয়। এর আগে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক লাফে জ্বালানি তেলের দাম এত বাড়ানো হয়নি।
এর পরপরই সব ধরনের পরিবহন ভাড়া বাড়ানো হয়। এই দুইয়ের প্রভাবে বেড়ে যায় প্রায় সব পণ্যের দাম। এরপর গত ২৯ আগস্ট খানিকটা মুখ রক্ষা করতে জ্বালানি তেলের দাম ৫ টাকা কমায় সরকার। তবে তাতে বাজারে খুব একটা প্রভাব দেখা যায়নি; বরং এর সামগ্রিক প্রভাবে খাদ্যপণ্য ছাড়াও যাতায়াত, পোশাক-আশাক, শিক্ষাসামগ্রীসহ খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের দামও বেশ বেড়ে যায়। সুতরাং তখন থেকেই আগস্ট মাসে মূল্যস্ফীতি আরও বৃদ্ধির শঙ্কা করা হচ্ছিল। একাধিক অর্থনীতিবিদের প্রাক্কলন ছিল মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর এ নিয়ে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যখন মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশে দেরি হয়, তখন সরকারের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সাধারণত প্রথম সপ্তাহেই মূল্যস্ফীতির তথ্য তৈরি হয়ে যায়। তাহলে দুই মাস পার হয়ে গেলেও দেশবাসী মূল্যস্ফীতির কোনো তথ্য পাচ্ছে না কেন? তথ্য-উপাত্ত নিয়ে রাজনৈতিকীকরণ বন্ধ হওয়া উচিত। কারণ, তথ্য-উপাত্ত দিয়ে নীতি ঠিক করা হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য, দেশে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে কারসাজি করা হচ্ছে, তথ্য ঢেকে রাখা হচ্ছে। ৯-১০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি যা-ই হোক না কেন, এটা প্রকাশ করা উচিত। বিভিন্ন দেশ তাদের মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করে ফেলছে।’
তার মতে, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আরও ৩ শতাংশের মতো মূল্যস্ফীতি বাড়বে।
গত কয়েক মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশের সময়কাল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কোনো মাসের মূল্যস্ফীতি কমলে পরের মাসের প্রথম সপ্তাহেই তা প্রকাশ করা হয়। আবার বাড়লে মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশে পরের মাসের তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
যেমন গত মে ও জুন মাসে মূল্যস্ফীতির হার ৭ শতাংশের বেশি ছিল। মে মাসে ছিল ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং জুন মাসে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ওই দুই মাসের তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয় পরের মাসের ১৯ তারিখে। আবার গত জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ হয়। আর জুলাই মাসের মূল্যস্ফীতির সেই তথ্য প্রকাশ করা হয় দ্রুতগতিতে, আগস্ট মাসের ৩ তারিখে।
দেশের প্রায় সব ধরনের তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করার একমাত্র সংস্থা বিবিএস। আট-দশ বছর আগে বিবিএস আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করত। বিবিএসের পরিবর্তে এখন পরিকল্পনামন্ত্রী নিজে মূল্যস্ফীতির তথ্য সাংবাদিকদের জানান। মূলত বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালই পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে নিজেই মূল্যস্ফীতির তথ্য সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে শুরু করেছিলেন।
আবার ২০১৭ সালে মূল্যস্ফীতি টানা বাড়তে থাকলে আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রতি মাসের পরিবর্তে তিন মাস পরপর মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। পরে মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করলে আবারও মাসিক ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি প্রকাশ শুরু হয়েছিল।
মূল্যস্ফীতি এখন সারা বিশ্বেরই সবচেয়ে বড় সমস্যা। বিশ্বব্যাপী সব ধরনের অর্থনৈতিক নীতি নেয়া হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ বা ফেড মূল্যস্ফীতি কমাতে আগ্রাসীভাবে নীতি সুদের হার বাড়াচ্ছে। মূল্যস্ফীতি কমাতে মন্দাকে পর্যন্ত ডেকে আনা হচ্ছে।
এ নিয়ে এখন বিশ্বব্যাপী চলছে প্রবল বিতর্ক। বিশ্বব্যাংক সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, সবাই যদি সমন্বিতভাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কাজটি না করে, তাহলে মন্দার চেয়েও খারাপ অবস্থা হতে পারে। দেখা দিতে পারে স্ট্যাগফ্লেশন বা বদ্ধস্ফীতি। অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি আদৌ কমল না, অথচ প্রবৃদ্ধি কমে গেল ভয়াবহভাবে।
‘এ পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতির সঠিক তথ্য প্রকাশ করা উচিত’ মন্তব্য করে অর্থনীতিবিদ আহসান মনসুর বলেন, ‘মূল্যস্ফীতির তথ্য দিয়ে নীতি ঠিক করা দরকার। মূল্যস্ফীতির তথ্য না থাকলে এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব কীভাবে। আমানত ও ঋণের সুদের হার মূল্যস্ফীতি দিয়ে ঠিক করা উচিত। মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা আনতেও মূল্যস্ফীতির সঠিক তথ্য দরকার।’
আরও পড়ুন:দেশের একমাত্র ঔষধি পল্লী এখন নাটোরের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। প্রায় দিনই দর্শনার্থীরা আসছেন এই পল্লীতে এবং মুগ্ধতা নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এই পল্লীতে বছরে শুধু অ্যালোভেরাই উৎপাদন হচ্ছে ১৫ হাজার টন। এছাড়া শিমুল মূল, অশ্বগন্ধাসহ উৎপাদন হচ্ছে ১৪০ ধরনের ভেষজ। উৎপাদিত এসব ভেষজের বাজার মূল্য অন্তত শত কোটি টাকা।
নাটোর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর-খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম জুড়ে এই ভেষজ পল্লীর অবস্থান। ইউনিয়নের প্রধান সড়কের প্রায় একই সমতলে থাকা ভেষজ পল্লী ছবির মতো সুন্দর।
জানা যায়, ১৯৯৫ সালের দিকে খোলাবাড়িয়া এলাকার আফাজ পাগলা তার কবিরাজি কাজে ব্যবহারের জন্য স্বউদ্যোগে ভেষজ উদ্ভিদের চাষাবাদ শুরু করেন। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে পুরো গ্রামে। শেষে সারা ইউনিয়ন জুড়ে। শুধু আবাদি জমিই নয়, গ্রামের প্রতিটি বাড়ির আনাচে-কানাচে, রাস্তার ধারে, নদীর পাড়ে চোখে পড়ে ভেষজ উদ্ভিদের রকমারি গাছ। তবে সব সৌন্দর্য ছাড়িয়ে অ্যালোভেরা গাছ সবচেয়ে দৃষ্টি নন্দন।
নাটোর সদর উপজেলা কৃষি অফিসের হিসাবে, লক্ষ্মীপুর-খোলাবাড়িয়াতে ১৪০ প্রকার ভেষজ উদ্ভিদ জন্মে। এর মধ্যে অ্যালোভেরা ছাড়াও শিমুল মূল, অশ্বগন্ধা, মিশ্রি দানা, বিটরুট, রোজেলা ও শতমূল প্রসিদ্ধ। ভেষজ উদ্ভিদের মোট ১৫৫ হেক্টর আবাদি জমির মধ্যে ৭০ হেক্টরে ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা চাষ হচ্ছে।
৫০ হেক্টর আবাদি জমি থেকে পাওয়া যাচ্ছে এক হাজার ২০০ টন শিমুল মূল। ১২ হেক্টরে বিটরুট এবং পাঁচ হেক্টর মিশ্রি দানার আবাদি জমি থেকে পাওয়া যাচ্ছে ৫০ টন করে ভেষজ। ১০ হেক্টর থেকে পাওয়া যাচ্ছে ১২ টন অশ্বগন্ধা। ইউনিয়নের দুই হাজার কৃষক ভেষজ উদ্ভিদ চাষের সঙ্গে জড়িত।
মূলত বর্ষার শেষে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে এক বিঘা জমিতে অ্যালোভেরার ১০ হাজার চারা রোপণ করা হয়। এই আবাদি জমি থেকে পরবর্তী দুই বছর অনায়াসে অ্যালোভেরার পাতা সংগ্রহ করা যায়।
সেচের ব্যবস্থা রেখে সারিবদ্ধ এসব গাছ থেকে রোপণের ৩ মাস পর থেকে পাতা সংগ্রহ শুরু হয়। চাষাবাদ, পরিচর্যা ও সেচের কাজে সারা বছর জমিতে ১০০ শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। জৈব সার ছাড়াও পরিমাণ মতো ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি, জিপসাম, দস্তা ও বোরিক এসিড প্রয়োজন হয়। পাতার কালো দাগ পড়া রোধে ব্যবহার হয় চুন।
পাতা ছিদ্রকারী মশাসহ অন্যান্য কীটপতঙ্গ দমনে সম্প্রতি ছত্রাক নাশক টাইকোডার্মা ও সেক্স ফেরোমেন ব্যবহারে সম্প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা। বিঘাপ্রতি অ্যালোভেরার গড় উৎপাদন প্রায় ৩০ টন।
উৎপাদিত ভেষজ উদ্ভিদ শুকিয়ে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে নানা রকম ভেষজ ওষুধ। এর বিপণন কাজ চলছে এলাকার ৪টি স্থানে গড়ে ওঠা প্রায় একশটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।
ভেষজ উৎপাদনকারী কৃষক, সমবায় নেতা ও কবিরাজ মো. জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘অ্যালোভেরা সংরক্ষণে একটি হিমাগার নির্মাণ ও সাবান-শ্যাম্পুসহ প্রসাধনী তৈরির কারখানা নির্মাণে উদ্যোক্তা খুঁজে বের করা হলে আমরা উপকৃত হব।
খোলাবাড়িয়া হাজীগঞ্জ বাজার ভেষজ উৎপাদন ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীনে গ্রামে একটি ঔষধি উদ্ভিদ গবেষণা সেন্টার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এর ফলে আমাদের উৎপাদিত ভেষজ পণ্যের গুণাগুণ ও মান নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। পাশাপাশি প্রসাধন ও ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের আগমন ঘটবে। ফলে ভেষজ পল্লী আরও সমৃদ্ধ হবে।
নাটোর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নীলিমা জাহান বলেন, ভেষজ পল্লীর প্রায় ১০ হাজার মানুষ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বিপণন কিংবা কৃষি শ্রমের সঙ্গে জড়িত। ভেষজ পল্লীর পরিধি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নাটোর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. হাবিবুল ইসলাম খান বাসসকে বলেন, ভেষজ পল্লীতে হিমাগার, প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র, গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা সম্ভব হলে- কৃষকরা লাভবান হবেন। সমৃদ্ধ হবে দেশের একমাত্র এই ঔষধি পল্লী।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক হাজার ৮৮৫ কোটি সাত লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ৫৩ কোটি দুই লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫০ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক-এর চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক-এর সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
এর মধ্যে নতুন প্রকল্প ৩টি, সংশোধিত প্রকল্প ৭টি এবং ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বৃদ্ধির ৩টি প্রকল্প রয়েছে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ; আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল; স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ একনেক সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
আজকের সভায় অনুমোদিত ১৩টি প্রকল্পসমূহ হলো: কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রকল্প, ‘PRO-ACT Bangladesh-Resilience Strengthening through Agri-Food Szstems Transformation in Cox's Bazar’ প্রকল্প। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রকল্প ‘গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ (২য় পর্যায়) (প্রস্তাবিত ৩য় সংশোধন)’ প্রকল্প। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প, (১) ‘খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় সংশোধন)’ (২) জামালপুর শহরের ‘নগর স্থাপত্যের পুনঃসংস্কার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় সংশোধিন)’ এবং (৩) ‘গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১ থেকে ৫ নম্বর জোনের অভ্যন্তরীণ রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ (৩য় সংশোধিত) প্রকল্প। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রকল্প ‘উত্তরা লেক উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রকল্প, ‘অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি ভবন নির্মাণ)’ প্রকল্প। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রকল্প, ‘কিশোরগঞ্জ (বিন্নাটি)-পাকুন্দিয়া-মির্জাপুর টোক জেলা মহাসড়ককে যথাযথ মানে উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প। শিল্প মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রকল্প, ‘বিএসটিআই’র পদার্থ (ফিজিক্যাল) ও রসায়ন (কেমিক্যাল) পরীক্ষণ ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন) প্রকল্প। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১টি ‘ঘোড়াশাল ৩য় ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্প’ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রকল্প ‘মানসিক হাসপাতাল, পাবনা-কে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রূপান্তর’ প্রকল্প।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প (১) ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেইটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (৪র্থ সংশোধিত) প্রকল্প (২) বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল লেভেল ক্রসিং গেটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (৫ম সংশোধিত) প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।
সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা কর্তৃক ইতোমধ্যে অনুমোদিত ১২টি প্রকল্প সম্পর্কে একনেক সদস্যদের অবহিত করা হয়। সেগুলো হলো: ১. লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরের উন্নয়ন ও ই-ওয়েস্ট প্রক্রিয়াকরণের সুবিধাদি সৃষ্টি (২য় সংশোধিত) প্রকল্প ২. BGD e-Gov CIRT এর সক্ষমতা বৃদ্ধি (২য় সংশোধিত) প্রকল্প ৩. আশার আলো স্কুল ঢাকা (বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য) স্থাপন প্রকল্প ৪. টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, পিরোজপুর স্থাপন (২য় সংশোধিত) প্রকল্প ৫ বাংলাদেশ টেলিভিশনের দেশব্যাপী ডিজিটাল টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্রচার প্রবর্তন (১ম পর্যায়) (২য় সংশোধিত) প্রকল্প ৬. ভবদহ ও তৎসংলগ্ন বিল এলাকার জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসনের মাধ্যমে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ ৭. গভীর সমুদ্রে টুনা ও সমজাতীয় পেলাজিক মাছ আহরণে পাইলট প্রকল্প (২য় সংশোধিত) ৮. মিঠাপানির মাছের মড়ক প্রতিরোধে ভ্যাকসিন উদ্ভাবন প্রকল্প ৯. ফেনী জেলার সদর উপজেলাধীন কাটামোবারকঘোনা চরকালিদাস সড়কে ফেনী নদীর উপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প ১০. সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ১১. শেখ হাসিনা নকশিপল্লী জামালপুর পর্যায় (১ম সংশোধিত) প্রকল্প। ১২. তাঁতিদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে চলতি মূলধন সরবরাহ ও তাঁতের আধুনিকায়ন (২য় সংশোধিত)।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড রাইজ দ্রুতই বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের পছন্দের এআই হাবে পরিণত হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্ল্যাটফর্মটি তরুণদের শেখা, সৃষ্টি ও আত্মপ্রকাশের নতুন দিগন্তে উন্মোচিত করেছে। গত বছর বাংলালিংক চালু করা এই প্ল্যাটফর্মটি অল্প সময়ের মধ্যেই তরুণদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও প্রাণবন্ত ডিজিটাল সহযাত্রীতে পরিণত হয়েছে, যেখানে প্রযুক্তি শুধুই একটি মাধ্যম নয়, বরং স্বপ্নপূরণের সঙ্গী।
প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যতের জন্য তরুণদের প্রস্তুত করে তুলতে নিজেদের লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন টুলস নিয়ে এসেছে ডিজিটাল লাইফস্টাইল প্যাক রাইজ। রাইজের এআই টুলসের মাধ্যমে কথা বলার দক্ষতা থেকে শুরু করে চাকরির উপযোগী সিভি তৈরি করতে পারছেন তরুণেরা। ক্রমবর্ধমান সক্রিয় ব্যবহারকারী নিয়ে রাইজের যাত্রা বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শুধু বাড়তি সুবিধাই নয়, পাশাপাশি সৃজনশীল সহযোগী হিসেবে তরুণ প্রজন্মের ক্ষমতায়নে ও নিজেদের স্বনির্ভর আত্মপ্রকাশে ভূমিকা রাখছে।
সম্প্রতি, চালু করা রাইজের ফিচারগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ভোকালাইজ, যা দেশের প্রথম এআই স্পিকিং কোচ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এটি ব্যবহারকারীদের উচ্চারণ ও টোন আরও পরিশীলিত করতে সহায়তা করছে, ফলে তারা সাক্ষাৎকার, ক্লাস বা উপস্থাপনার আগে আরও আত্মবিশ্বাসীভাবে প্রস্তুত হতে পারছেন।
অন্যদিকে, রাইজের সিভি-রাইজার ফিচার ব্যবহারকারীদের কয়েক মিনিটের মধ্যে সিভি তৈরিতে সাহায্য করছে। অ্যাভাটারাইজ ফিচার ব্যবহারকারীর ব্যক্তিত্ব ও স্টাইল অনুযায়ী ডিজিটাল অ্যাভাটার তৈরি করে দিচ্ছে। রাইজের এ সকল এআই টুলস একসাথে লক্ষাধিক ব্যবহারকারীকে নিজেদের প্রকাশে এবং অনলাইনে তাদের পেশাদার উপস্থিতি তৈরিতে ভূমিকা রাখছে।
তরুণদের দক্ষতার মানোন্নয়নেও ভূমিকা রাখছে রাইজ। রাইজ সামারাইজ, গ্রামারাইজ ও রিউরাইজের মত টুলসের মাধ্যমে পড়াশোনা ও লেখার কাজকে যেমন দ্রুত ও সহজ করছে, তেমনি শিক্ষার্থীদের সময় বাঁচিয়ে কাজের মান উন্নত করতে সহায়তা করছে।
বাংলালিংকের চিফ ডিজিটাল অফিসার গোলাম কিবরিয়া বলেন, “বাংলাদেশের তরুণেরা শুধু কানেক্টিভিটিই নয়, বরং এমন সুযোগ ও টুলের দাবিদার, যা তাদের বড় স্বপ্ন দেখতে, সাহসের সাথে এগিয়ে যেতে এবং বর্তমানের ডিজিটাল যুগে নিজেদের সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে অনুপ্রাণিত করবে।” তিনি আরও বলেন, “রাইজের মাধ্যমে আমরা প্রযুক্তিগত সেবাদানের বাইরে গিয়ে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছি, যার মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তরুণদের শেখা, সৃষ্টি ও আত্মবিশ্বাসের সাথে নিজেদের প্রকাশে সহায়তা করবে। রাইজ মূলত একটি প্রজন্মকে নতুন উচ্চতায় পোঁছাতে অনুপ্রাণিত করছে। কারণ, আমরা জানি, যখন তরুণরা উঠে দাঁড়ায়, তখন গোটা দেশ এগিয়ে যায়।”
রাইজের লক্ষ্য তরুণদের দৈনন্দিন জীবনে এআই প্রযুক্তিনির্ভর ফিচার যুক্ত করার মাধ্যমে তাদের সম্ভাবনা উন্মোচনে ভূমিকা রাখা। যে কারণে টেলিকো-নিরপেক্ষ ডিজিটাল অ্যাপ হিসেবে যাত্রা শুরু করে রাইজ এবং ব্যবহারকারীরা যেকোন নেটওয়ার্কেই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন।
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)-এর জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন’ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব উওমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ (ডব্লিউজিএস) ক্যাম্পাসে জ্ঞান চর্চা এবং সামাজিক পরিবর্তন নিয়ে আসতে যৌথভাবে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন সম্পর্কে সচেতনতা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফ্রেশ অনন্যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করেছে। সেইসাথে ফ্রেশ অনন্যা এবং ডিপার্টমেন্ট অব উওমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ যৌথভাবে ক্যাম্পাসের প্রফেসর মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে ‘মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন অ্যান্ড হেলথ অ্যাওয়েরনেস প্রোগ্রাম’ শীর্ষক একটি সেমিনার আয়োজন করে।
দেশের নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে গ্লোবাল অন্ট্রপ্রেনারশিপ নেটওয়ার্ক (জিইএন) বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় দুই দিনব্যাপী একটি মাস্টারক্লাস দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
গেটস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় আয়োজিত এই ‘উদ্যোগTARA গ্লোবাল এজ ২০২৫’ শীর্ষক মাস্টারক্লাসের লক্ষ্য ছিল দেশের নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক জ্ঞান, সক্ষমতা ও বৈশ্বিক পরিমণ্ডল সম্পর্কে জানাশোনা বৃদ্ধি করা, যাতে তাঁরা বাস্তবমুখী দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে টেকসই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা করতে পারেন।
২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এই বিশেষ প্রশিক্ষণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ৬৫ জন সম্ভাবনাময় নারী উদ্যোক্তা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জিইএন বাংলাদেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে. এম. হাসান রিপন এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কর্মকর্তারা এমন উদ্যোগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ ও আন্তঃদেশীয় সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এই মাস্টারক্লাস পরিচালনা করেন নেদারল্যান্ডসের প্রখ্যাত বিজনেস কোচ মিক ওয়ালভিশ। ব্যবসায়িক লক্ষ্যকে কীভাবে টেকসই উন্নয়নে রূপ দেওয়া যায়, সেই বিষয়ে তিনি অংশগ্রহণকারী নারী উদ্যোক্তাদের দিকনির্দেশনা দেন। ইন্টারেকটিভ সেশন ও বাস্তবমুখী অনুশীলনের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী নারী উদ্যোক্তারা নেতৃত্ব, আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে জ্ঞানার্জন করেন, যা তাঁদের বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায়িক পরিবেশে সফল হতে সহায়তা করবে। প্রশিক্ষণার্থীরা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের কাছ থেকে মূল্যবান দিকনির্দেশনা, পরামর্শ ও ক্রস-লার্নিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন। পাশাপাশি এই সেশনটি নারী উদ্যোক্তাদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে।
নারী নেতৃত্বাধীন উদ্যোগকে প্রশিক্ষণ, অর্থায়ন ও কৌশলগত সহায়তা দিয়ে এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে দেশে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই ও কার্যকর উদ্যোক্তা সংস্কৃতি গড়ে তুলতে ব্র্যাক ব্যাংক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ৯৭টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
ভারতের প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর অন্যতম ‘কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ’ (CSE) এক শতকেরও বেশি সময় পর আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কার্যক্রম বন্ধের পথে। এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা আইনি জটিলতা শেষে সোমবার সিএসই শেষ দীপাবলি ও কালীপূজা উদযাপনের করেছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে ভারতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি (SEBI) সিএসই-র বিরুদ্ধে নিয়ম না মানার অভিযোগে শেয়ার লেনদেন স্থগিত করে। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সিএসই বোর্ড আদালত থেকে মামলা প্রত্যাহার করে স্বেচ্ছা প্রস্থান প্রক্রিয়া শুরু করে। চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল শেয়ারহোল্ডারদের জরুরি সাধারণ সভায় প্রস্থান অনুমোদিত হয়।
চেয়ারম্যান দীপঙ্কর বোস জানান, ‘আমরা সেবির কাছে প্রস্থান অনুমোদনের জন্য আবেদন জমা দিয়েছি। বর্তমানে সম্পদের মূল্যায়ন চলছে।’
সেবি রাজবংশী অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস নামের একটি সংস্থাকে সম্পদের মূল্যায়নের দায়িত্ব দিয়েছে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সিএসই হোল্ডিং কোম্পানি হিসেবে কাজ চালাবে, এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিএসই ক্যাপিটাল মার্কেটস প্রাইভেট লিমিটেড (CCMPL) বিএসই ও এনএসইতে ব্রোকারেজ কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
১৯০৮ সালে যাত্রা শুরু করা সিএসই এক সময় বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। বিশেষত ছোট ও মাঝারি শিল্পের শেয়ার লেনদেনের ক্ষেত্রে এটি ছিল অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। কিন্তু ১২০ কোটি টাকার কেতন পারেখ কেলেঙ্কারির পর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ভেঙে পড়ে এবং এক্সচেঞ্জের অবনতি শুরু হয়।
স্টকব্রোকার সিদ্ধার্থ থিরানি স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে মা লক্ষ্মীর পূজা দিয়ে আমরা ট্রেডিং শুরু করতাম। ২০১৩ সালে সেবি লেনদেন স্থগিত করলে সব থেমে যায়। এবারের দীপাবলি যেন সেই ঐতিহ্যের শেষ প্রহর।’
সিএসই কর্তৃপক্ষ কর্মীদের জন্য স্বেচ্ছা অবসর ঘোষণা করে, যেখানে ২০ দশমিক ৯৫ কোটি রুপি এককালীন প্রদানের ব্যবস্থা করা হয় এবং বছরে প্রায় ১০ কোটি রুপি সাশ্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সমস্ত কর্মী এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিলেও কিছুজনকে নিয়ন্ত্রক কার্যক্রমের জন্য চুক্তিভিত্তিক রাখা হয়েছে।
২০২৪–২৫ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে চেয়ারম্যান বোস বলেন, ‘এসই ভারতের মূলধন বাজারে এক সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’ বর্তমানে এখানে ১ হাজার ৭৪৯টি তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও ৬৫০ জন নিবন্ধিত সদস্য রয়েছে।
সিএসইর তিন একর জমি সৃজন গ্রুপের কাছে ২৫৩ কোটি টাকায় বিক্রি করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে, যা সেবির অনুমোদনের পর কার্যকর হবে।
এই বছরের দীপাবলি সিএসইর জন্য শুধুই আলোর উৎসব নয়, বরং একটি যুগের অবসান ছিল। ৯০ দশকের জমজমাট ট্রেডিং ফ্লোরের স্মৃতিকে বিদায় জানাতে এবার প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। আগামী সপ্তাহে এক্সচেঞ্জ চত্বরে আয়োজন করা হবে প্রতীকী পূজা ও বিদায় অনুষ্ঠান।
নির্মাণ, আবাসন, পানি ও বিদ্যুৎ খাতকে কেন্দ্র করে ঢাকায় শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। এই প্রদর্শনী আগামী ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজন করা হয়েছে। এটি দেশের সবচেয়ে বৃহৎ শিল্প-বাণিজ্যিক প্রদর্শনী।
এবারের আয়োজনে থাকছে, ‘৩০তম বিল্ড সিরিজ অব এক্সিবিশন্স’, ‘২৭তম পাওয়ার সিরিজ অব এক্সিবিশন্স’ এবং ‘৭ম ওয়াটার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী’-২০২৫।
কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ)-এর আয়োজনে টানা ২৯ বছরের ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠেয় এই প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
সোমবার রাজধানীর সেমস বাংলাদেশের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট ও গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন. ইসলাম, গ্রুপ সিইও এস. এস. সারওয়ার, নির্বাহী পরিচালক তানভীর কামরুল ইসলাম এবং পরিচালক অভিষেক দাস।
আন্তর্জাতিক এই প্রদর্শনীতে ২০টিরও বেশি দেশের ২০০টিরও বেশি কোম্পানি অংশ নেবে। ৫০০ এরও বেশি বুথ ও আন্তর্জাতিক প্যাভিলিয়নসহ আয়োজিত এই মেলায় ৩৫ হাজারের বেশি ব্যবসায়ী ও দর্শনার্থীর উপস্থিতি প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন, এসিআই, রহিম আফরোজ, ওমেরা ও এসএসজি তাদের সর্বশেষ প্রযুক্তি, পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।
এছাড়া একই সময়ে অনুষ্ঠেয় ২২তম সোলার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০২৫এর নলেজ পার্টনার হিসেবে থাকছে জার্মান উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জিআইজেড বাংলাদেশ। সেমস-গ্লোবাল ও জিআইজেড বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে ১৫ নভেম্বর আইসিসিবির ৫ নম্বর পুষ্পাঞ্জলি হলে হবে দিনব্যাপী সম্মেলন ‘শেপিং টুমরো’স এনার্জি ওয়ার্কফোর্স।
প্রদর্শনীর ভ্রমণ, কুরিয়ার ও কার্গো পার্টনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে বেঙ্গল এয়ারলিফট লিমিটেড।
এছাড়া প্রদর্শনীর পাশাপাশি চারটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা নির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানি খাতের বৈশ্বিক প্রবণতা, উদ্ভাবন ও টেকসই উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করবেন।
এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্মাণ, জ্বালানি ও পানি খাতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংযোগ আরও জোরদার হবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন।
মন্তব্য